‘বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়ে নিজেরাই মুছে যাবে’ — এনসিপি প্রসঙ্গে আনিস আলমগীর

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২১ ০৮:৩৫:০৫
‘বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়ে নিজেরাই মুছে যাবে’ — এনসিপি প্রসঙ্গে আনিস আলমগীর
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বঙ্গবন্ধুর নাম ও আদর্শকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীর। তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী, যারা বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছে, তাদের নামই ইতিহাস থেকে হারিয়ে গেছে।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, এনসিপির প্রধান নাহিদ ইসলাম ও তার সহযোগীরা গোপালগঞ্জ সফরে গিয়ে উস্কানিমূলকভাবে “মুজিববাদ মুর্দাবাদ” স্লোগান দিয়েছেন। সফরের আগেই তারা গোপালগঞ্জ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার কথা বলেন এবং ‘জুলাই পদযাত্রা’র নাম পরিবর্তন করে করেন ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’, যা আনিস আলমগীরের মতে নিছক কাকতালীয় নয়, বরং প্রতীকী আগ্রাসনের অংশ।

তিনি লিখেছেন, এই উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের ফল আজ দৃশ্যমান—সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারা ছাড়া তারা দেশের কোথাও কার্যক্রম চালাতে পারছে না। অন্যদিকে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রশ্ন তুলেছে, কেন তাদেরকে ভিআইপি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে? এমনকি বিএনপি নেতারা জানতে চেয়েছেন—তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাকেও কি এভাবে পাহারা দেওয়া হবে?

আনিস আলমগীর আরো লিখেছেন, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুকে অবজ্ঞা করে বক্তব্য দেওয়ার পর নাহিদ ইসলাম আবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে তুলে ধরছেন, যা একধরনের ‘রাজনৈতিক ভারসাম্য আনার চেষ্টা’। অথচ তাদের বক্তব্য ও কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে, যেন শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া মুক্তিযুদ্ধই হয়নি।

তার ভাষায়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ভাস্কর্য, মুরাল থেকে শুরু করে স্থাপনাগুলো থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম ও ছবি মুছে ফেলার প্রতিযোগিতায় নেমেছে এনসিপি। এমনকি ইউনূস সরকার তাদের খুশি করতে নতুন মুদ্রা থেকেও বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে দিয়েছে।

আনিস আলমগীর বলেন, বিএনপি ও জামায়াতকে ছাড়িয়ে গিয়ে আওয়ামী লীগবিরোধিতার নতুন রূপ দেখাচ্ছে এনসিপি। যেন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার নৈতিক দায়িত্ব তারা নিজেরাই কাঁধে তুলে নিয়েছে। তবে এর ফলে তারা একঘরে হয়ে পড়েছে, এমনকি দেশি-বিদেশি মুরুব্বিরাও তাদের পক্ষে জনসমর্থন গড়ে তুলতে পারছে না।

তিনি এরশাদ আমলে গঠিত ফ্রিডম পার্টির উদাহরণ টেনে বলেন, “তাদেরও এভাবে দাঁড় করানো হয়েছিল আওয়ামী লীগের বিপরীতে, কিন্তু আজ তাদের নাম ইতিহাস থেকেই মুছে গেছে।”

আনিস আলমগীর তার পোস্টে প্রশ্ন তুলেছেন, “ড. ইউনূস সরকারের বিদায়ের পর কে পাহারা দেবে এই দলটিকে? বিএনপি-জামায়াত কি সেই দায়িত্ব নেবে? যারা নিজেরাই মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ধ্বংস করছে, তারা কি তাদের গড়া ‘জুলাই স্তম্ভ’ টিকিয়ে রাখতে পারবে?”

তার মতে, এনসিপি হয়তো পারবে—শুধু তখনই, যদি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ না থাকে, আর যদি তারা সত্যিই মুজিববাদকে কবর দিতে সক্ষম হয়। তবে ইতিহাস বারবার দেখিয়েছে, যারা বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছে, শেষ পর্যন্ত তাদেরই নাম হারিয়ে গেছে।

আনিস আলমগীর লিখেছেন—“এনসিপি কি পারবে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে? ফ্রিডম পার্টি এখন কোথায়? এবারের পালা কার?”


ড. ইউনূসকে সরাতে কঠোর আন্দোলন হতে পারে:  জাহেদ উর রহমান

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৭:৪৩:০৫
ড. ইউনূসকে সরাতে কঠোর আন্দোলন হতে পারে:  জাহেদ উর রহমান
জাহেদ উর রহমান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান মন্তব্য করেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তার পদ থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য একটি কঠোর আন্দোলনের সূত্রপাত হতে পারে। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ড. ইউনূস আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এই মন্তব্য তিনি বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তার ইউটিউব চ্যানেল ‘জাহেদস টেক’-এ প্রকাশিত একটি ভিডিওতে করেন।

জাহেদ উর রহমান বলেন, “ড. ইউনূসকে সরিয়ে ফেলার জন্য তার বিরুদ্ধে খুব কঠোর আন্দোলন শুরু হয়ে যেতে পারে। অন্তত বক্তৃতা-বিবৃতি তো চলবেই। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হতে পারে যাতে ড. ইউনূস আর দায়িত্বে থাকতে না পারেন।” তিনি যোগ করেন, “এই দেশে যেই নির্বাচনের পক্ষ নেবে, সেই কিছু লোকের শত্রুতে পরিণত হবে। তাকে নানাভাবে আক্রমণ করা হবে এবং তার বিভিন্ন ব্যর্থতাকে নতুন করে সামনে আনা হবে।”

‘ড. ইউনূসের অবস্থান খুবই কঠিন’

সম্প্রতি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে যে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন, সেটিকে জাহেদ উর রহমান ‘ভেরি টাফ’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ড. ইউনূসের এই সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও কঠোরতার অভাব রয়েছে, যা যৌক্তিক সমালোচনা। তবে তিনি যত দিন দায়িত্বে থাকবেন, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা সহজ হবে না। কারণ নির্বাচনের পক্ষে যে অংশটি আছে, তাদের শক্তি অনেক বেশি। তিনি আরও বলেন, বিদেশি শক্তিও যদি নির্বাচন বানচালের খেলায় নামে, ড. ইউনূসের মতো মানুষ দায়িত্বে থাকলে তা সহজেই সামাল দেওয়া সম্ভব।

পদত্যাগের প্রবণতা ও ভবিষ্যৎ শঙ্কা

জাহেদ উর রহমান মনে করেন, নির্বাচন ভণ্ডুল হওয়ার পরিস্থিতি এলেও ড. ইউনূস দায়িত্ব ছাড়তে পারবেন না। তিনি দায়িত্ব থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার রেখে তারপর তাকে যেতে হবে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “ড. ইউনূস একবার যাওয়ার (পদত্যাগ) প্রবণতা দেখিয়েছিলেন। তিনি খানিকটা নন-কনফ্রন্টেশনাল ধরনের মানুষ, তাই কারো কারো আশা তৈরি হতে পারে।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, অনাগত দিনগুলোতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মারাত্মক আক্রমণ, বিদ্রুপ ও ব্যঙ্গ চলতে থাকবে। যদি তিনি চলে যান, তাহলে তারা তাদের মতো একজন লোক বসাতে চাইতে পারে, সেনাপ্রধানকে সরিয়ে ফেলতে চাইতে পারে, এবং দেশ একটি সম্পূর্ণ নৈরাজ্যের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে।

/আশিক


জাতীয় পার্টির পাশাপাশি জামায়াতকেও কাঠগড়ায় তুললেন রুমিন ফারহানা

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৫:৪১:১৮
জাতীয় পার্টির পাশাপাশি জামায়াতকেও কাঠগড়ায় তুললেন রুমিন ফারহানা
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির হাত ধরে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে যে আলোচনা চলছে, তা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা। তিনি মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগ যদি পুনর্বাসিত হয়, তাহলে সেটা জামায়াতে ইসলামীর কাঁধে ভর করেও হতে পারে।

জাতীয় পার্টির হাত ধরে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের শঙ্কা প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, “আপনি কীভাবে গ্যারান্টি দেবেন যে জামায়াতের হাত দিয়ে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হবে না? আমরা কি দেখিনি, আওয়ামী লীগের নিম্ন স্তরের নেতাকর্মীরা প্রাণ, সম্পদ ও পরিবার বাঁচাতে জামায়াতে যোগ দিয়েছে?” তিনি প্রশ্ন করেন, “জামায়াতে ইসলামী কি সর্বপ্রথম আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেওয়ার বক্তব্য দিয়ে তার যাত্রা শুরু করে নাই? তাহলে আপনি জাতীয় পার্টি বা অন্য দলের নাম নিচ্ছেন কেন?”

জামায়াতের নেতাকর্মীদের ‘ভোল বদল’ হয়েছে মন্তব্য করে রুমিন ফারহানা বলেন, “আওয়ামী লীগ যদি ফেরে, আওয়ামী লীগ তো জামায়াত দিয়েও ফিরতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “জামায়াতের নেতাকর্মীরা এখন ডিম ফুটে নতুন বাচ্চা বেরোনোর মতো। আগে ছিল মুরগির বাচ্চা, এখন হয়ে গেল হাঁসের বাচ্চা।”

তিনি বলেন, “আগে তারা ছিল আওয়ামী লীগ, এখন হয়ে গেল শিবিরের প্রার্থী। দেখছেন না? কে কার ঘাড়ে ভর করে কোথায় আসবে, এটা তো গুপ্ত রাজনীতি। যারা এটি করে, তাদের দিয়ে তো আপনি এটার গ্যারান্টি দিতে পারবেন না।”

/আশিক


ধর্ষণের হুমকি: ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন উমামা ফাতেমা

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৯:৪৯:৪৯
ধর্ষণের হুমকি: ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন উমামা ফাতেমা
উমামা ফাতেমা। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছদ্মবেশে রাজনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে, কিন্তু নিজেদের কর্মীদের দায় নিচ্ছে না। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে রিট করা এক ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) উমামা ফাতেমা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ধর্ষণের হুমকির একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায়, আলী হুসেন নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ডাকসুর এক নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ফেসবুক পোস্টে উমামা ফাতেমা লিখেছেন, “এই ক্যাম্পাসে একজন মেয়েকে রেপ থ্রেট দিয়ে কতই না সহজে পার পাওয়া যায়। শিবির কেন গুপ্ত রাজনীতি থেকে প্রকাশ্যে আসে না, সেটার কারণ এটাই। সাধারণ শিক্ষার্থী সেজে রাজনৈতিক সুবিধাটা ঠিকই নেবে, কিন্তু নিজেদের লোকের দায়টা নেবে না।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, এখন পর্যন্ত হুমকিদাতার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ডাকসুতে অংশ নেওয়া অন্যান্য প্রার্থীরাও এর বিচার দাবি করেছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই হুমকির ঘটনায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদ এবং অপরাজেয়৭১-অদম্য ২৪ প্যানেলের সহসভাপতি পদপ্রার্থী মো. নাইম হাসান প্রক্টরের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

/আশিক


প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে এনসিপি নেত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩১ ১৬:৫৪:০৪
প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে এনসিপি নেত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য
ডা. মাহমুদা মিতু।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্যবসাটা ভালো বোঝেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার নিজের লোকজনের জন্য আগামী ১০০ বছর খাওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন।

রবিবার (৩১ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে এনসিপি নেত্রী এই মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে ডা. মাহমুদা মিতু বলেন, “মাথা নত করারও একটা লেভেল থাকে। তবে ব্যবসাটা ভালো বুঝছে পাগলায় (ড. মুহাম্মদ ইউনূস)।”

তিনি বলেন, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা, হাসপাতাল করা, কর মওকুফ এবং বছর বছর ধরে তার এনজিও বন্ধুদের ক্ষমতায়ন করা—সবই আসলে নিজের লোকজনের আগামী ১০০ বছর খাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য। তিনি আরও বলেন, “ওনাকে দেখে মেরুদণ্ডহীন অতি জ্ঞানীদের আমি ঘৃণা করা শিখেছি।”

এনসিপি নেত্রী ডা. মাহমুদা মিতুর এই স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং মন্তব্য ঘরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

/আশিক


ফকিন্নির বাচ্চা, বলে হাসনাত আব্দুল্লাহকে তীব্র আক্রমণ রুমিন ফারহানার

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৫ ২১:৪১:২৯
ফকিন্নির বাচ্চা, বলে হাসনাত আব্দুল্লাহকে তীব্র আক্রমণ রুমিন ফারহানার
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র কথার লড়াই শুরু হয়েছে। এই দুই নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে কড়া ও নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

এই কথার লড়াইয়ের সূত্রপাত হয় যখন হাসনাত আব্দুল্লাহ, রুমিন ফারহানাকে ‘বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক অন্যতম সম্পাদক’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এর জবাবে রুমিন ফারহানা সোমবার (২৫ আগস্ট) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে হাসনাত আব্দুল্লাহকে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বলে তীব্র সমালোচনা করেন।

ভাইরাল হওয়া সেই পোস্টে রুমিন ফারহানা লিখেছেন, ‘এটা ওই ফকিন্নির বাচ্চাটা (হাসনাত আব্দুল্লাহ) না, যে আমাকে আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক বলেছে?’ এই মন্তব্যের সঙ্গে তিনি হাসনাত আব্দুল্লাহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিভিন্ন ছবি ও প্রমাণও জুড়ে দেন। দুই নেতার এই ধরনের পাল্টাপাল্টি মন্তব্যে ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা এবং তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এই ঘটনার শুরু রবিবার (২৪ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের শুনানির সময়। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে এনসিপির নেতাদের ধাক্কাধাক্কি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপর বিকেলে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, এই হামলা ছিল আগামী নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলের একটি ‘টেস্ট ম্যাচ’।

সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিএনপির এমন অনেক ‘আওয়ামী লীগবিষয়ক সম্পাদক’ আছেন, যারা আওয়ামী লীগ থেকেও বেশি আওয়ামী লীগ। তিনি রুমিন ফারহানার সমালোচনা করে বলেন, ‘বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক সম্পাদক যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম রুমিন ফারহানা। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, আওয়ামী লীগের ফ্ল্যাটভোগী এবং যারা গুণ্ডা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ঠাণ্ডা করে দিতে চায়, একটি প্রেসক্রিপটিভ ইলেকশনের দিকে আবার যেতে চায়, আমরা বিএনপির এই আওয়ামীবিষয়ক সম্পাদকদের বলব, আপনারা জনগণের পালসকে বুঝুন, ২৪-পরবর্তী জনগণের পালসকে বুঝুন। নতুবা আবার বাংলাদেশ সংকটের দিকে যাবে।’

/আশিক


প্রগতিশীলতার মুখোশ পরা লোকেরাই স্লাটশেমিং করে: হাসনাত আব্দুল্লাহ বিস্ফোরক মন্তব্য

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৫ ১৭:০৫:৫৪
প্রগতিশীলতার মুখোশ পরা লোকেরাই স্লাটশেমিং করে: হাসনাত আব্দুল্লাহ বিস্ফোরক মন্তব্য
ছবিঃ সংগৃহীত

নারীর রাজনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে তার শরীর, সম্পর্ক বা ব্যক্তিগত জীবনকে টেনে এনে 'স্লাটশেমিং' করা বা চরিত্র নিয়ে নোংরা মন্তব্য করার অধিকার কারও নেই। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই মন্তব্য করেছেন।

সোমবার (২৫ আগস্ট) তিনি নারীদের প্রতি স্লাটশেমিংয়ের বিরুদ্ধে নিজের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি নিজে শ্রেণিঘৃণার শিকার হলেও রুমিন ফারহানাসহ যেকোনো নারীর প্রতি স্লাটশেমিংয়ের বিরুদ্ধে আমার স্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করছি।’

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, কোনো নারী বিএনপির হোক, এনসিপির হোক, বামপন্থী বা ডানপন্থী হোক, কিংবা কোনো দলই না করুক—তার রাজনৈতিক অবস্থান যা-ই হোক না কেন, তার শরীর, সম্পর্ক, পোশাক বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নোংরা মন্তব্য করা রাজনীতির অংশ নয়। এটি পুরুষতান্ত্রিক ঘৃণার সবচেয়ে জঘন্য রূপ। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ঘৃণ্য চর্চা প্রায়শই প্রগতিশীলতার মুখোশধারী মানুষের কাছ থেকে আসে, যারা একদিকে নারীর অধিকারের কথা বলে, আর অন্যদিকে কোনো নারী তাদের রাজনৈতিক মতের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করলেই তার চরিত্রে আঘাত করে।

তিনি উদাহরণ হিসেবে রুমিন ফারহানা, তাসনিম জারা, সামান্থা, উমামা, তাজনুভা কিংবা মানসুরার মতো নারীদের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারাও এই ঘৃণ্য ট্র্যাডিশনের বাইরে নন। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, কোনো দল বা মতের পক্ষে থাকলে স্লাটশেমিংকে গুরুত্ব না দেওয়া, আর বিপক্ষে থাকলে তাতে উৎসাহ দেওয়া—এই ধরনের দ্বিচারিতা আমাদের রাজনীতিকে শুধু কুরুচিপূর্ণ করে তোলে না, বরং নারীবিদ্বেষকে সমাজে স্বাভাবিক করে তোলে।

তিনি এই ঘৃণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াকে একটি জরুরি রাজনৈতিক লড়াই হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, দল, মত, বা পরিচয় যা-ই থাকুক না কেন, এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

/আশিক


 ‘মোদির বিরুদ্ধে মিছিল করা বাহার এখন মেয়েকে নিয়ে কলকাতায়’

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৩ ১১:০৯:৩৮
 ‘মোদির বিরুদ্ধে মিছিল করা বাহার এখন মেয়েকে নিয়ে কলকাতায়’
সাবেক এমপি বাহার ও মেয়ে সূচনা। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পূর্নিমা রানী শীল লগ্নজিতা নামে এক তরুণী দাবি করেছেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মিছিল করা কুমিল্লার সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনাকে নিয়ে কলকাতার রাজারহাট নিউটাউনে লুকিয়ে আছেন।

শনিবার (২৩ আগস্ট) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছিল। এবং ভারত সরকারের বিরুদ্ধে এই সেই কুকুর যে কি না আওয়ামী লীগের খেয়ে পরে মোদির সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় কাট মোল্লা নিয়ে মিছিল করে সে কেন ভারতের মাটিতে।”

ওই তরুণী আরও অভিযোগ করেন, “২০২১ সালে বাংলাদেশে দুর্গাপূজায় হামলার পেছনে বাংলাদেশি আওয়ামী লীগ নেতা বাহার উদ্দিন বাহার যিনি পূজা মণ্ডপে কোরআন রেখেছিলেন। তখন সারা বাংলাদেশে পুজোর বারোটা বাজিয়েছিল।” তিনি ভারত সরকার ও রাজ্য সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, এই ধরনের ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা ঠিক কি না। তিনি আরও বলেন, এই 'রাজাকার আলবদরকে' অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক।

/আশিক


আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক অঙ্গনে রাখতে হবে: নুরুল হক নুর

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ০৯:৫১:৪৩
আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক অঙ্গনে রাখতে হবে: নুরুল হক নুর

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, এক বছরে বর্তমান সরকার যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, আওয়ামী লীগ তা ১৬ বছরে করেছিল। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, সামনে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হতে পারে। এই কারণে তিনি মনে করেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক অঙ্গনে রাখা প্রয়োজন।

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, “কিছুদিন আগে বিআইজিডি ব্র্যাকের একটি জরিপে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের সমর্থন মাত্র ৭ শতাংশ। অর্থাৎ, একটি ন্যারেটিভ ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে যে, পরবর্তী চূড়ান্ত নির্বাচনের আগে দেখানো হবে আওয়ামী লীগের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জনসমর্থন আছে। সেক্ষেত্রে এই দলটিকে বাদ দিয়ে কীভাবে নির্বাচন সম্ভব?”

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকাংশে পশ্চিমা বিশ্বের ওপর নির্ভরশীল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের যথাক্রমে ১০ বিলিয়ন ও ১৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে। এ অবস্থায় বিদেশিরা যদি বলে, ‘তোমরা যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি না করো, তাহলে আমরা তোমাদের দেশে শার্ট-প্যান্ট কেনা কমিয়ে দেবো।’ তখন ড. ইউনূস বা অন্যান্য রাজনীতিবিদদের অর্থনীতিকে সচল রাখতে এবং দেশকে পরিচালনা করতে হলে আওয়ামী লীগকে নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এমন একটি পরিস্থিতি সামনে তৈরি হতে পারে বলেও তিনি মনে করেন।

নুর বলেন, “আমরা যারা গণঅভ্যুত্থানের দাবিদার, তারা গত এক বছরে যে কাজগুলো করেছি, সেটি বাস্তবসম্মতভাবে আওয়ামী লীগকে আবার ফিরে আসার একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এটিই বাস্তব।”

/আশিক


আদর্শ মা’র আশীর্বাদ: কাজ হারিয়ে এবার আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চাইলেন জয়

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২০ ২১:৩৭:৫৩
আদর্শ মা’র আশীর্বাদ: কাজ হারিয়ে এবার আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চাইলেন জয়
পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। ফাইল ছবি

অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় তার সাম্প্রতিক ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। আমেরিকায় অবস্থানরত জয় তার পোস্টে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন, যেখানে তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বাদ না রাখার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। তার এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) জয় তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, বিদেশের মাটিতে তার নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অনেকে পছন্দ করলেও বিএনপিকে আগামীতে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি লেখেন, “আওয়ামী লীগের যতই দোষ থাকুক, একটা বিশাল শ্রেণির জনগণ আওয়ামী লীগের সাপোর্টার, তাদের বাদ রেখে ইলেকশন করলে সেই ইলেকশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আসবে এবং ভবিষ্যতে বিভক্তি আরও বেশি তৈরি হবে।”

জয়ের এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। জাহিদ খান নামে একজন তার স্ট্যাটাসে লেখেন, “বিএনপি-জামায়াত ছাড়া ইতোপূর্বে যে নির্বাচনগুলো আওয়ামী লীগ সরকার করেছে, তখন তোমার এরকম প্রতিবাদী পোস্ট কোথায় ছিল?”

ইসমাইল হোসেন মন্তব্য করেন, “এটা একদম ক্লিয়ার, আপনি আওয়ামী লীগের কথা বলতেই এতো কিছু ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে লিখেছেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া যা বলার বলেন সমস্যা নাই। আওয়ামী লীগ একটা সন্ত্রাসী সংগঠন, এরা সুযোগ পেলে দেশ আর দেশ রাখবে না।”

আবু তাহের চৌধুরী বলেন, “আওয়ামী লীগ এখন আর কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের মানুষকে গুম, খুন, নির্যাতন আর লুটপাট করে অবশেষে গণহত্যা চালিয়ে পলায়ন করেছে।”

জাবের এইচ সুমন বলেন, “আওয়ামী লীগ যেভাবে দেশের অধিকাংশ দলকে চারটা নির্বাচন থেকে দূরে রেখেছে, আওয়ামী লীগকেও চারবার দূরে রাখতে হবে, প্রয়োজন হলে আইনের মাধ্যমে করা দরকার, তখন শিক্ষা হবে।”

দেলোয়ার হোসাইন ও মামুন হোসাইন-এর মতো অনেকেই জয়কে গত ১৬ বছরে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার কারণে এখন আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পক্ষে কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেন। মুজাফ্ফার নামের একজন লেখেন, “আওয়ামী লীগের সময় তো বিড়ালের মতো চুপ করে ছিলি।”

টুটুল জহিরুল ইসলাম কটাক্ষ করে বলেন, “হা হা হা। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চাই।” তিনি আরও যোগ করেন, “আওয়ামী লীগ যখন ভোটারবিহীন একদলীয় নির্বাচন করেছিল, দিনের ভোট রাতে করেছিল তখন এই জাতীয় কোনো পোস্ট করে থাকলে প্লিজ এখানে স্ক্রিনশট যুক্ত করুন। শোনেন মিয়া ভাই, চামচামি একটা জন্মগত অসুখের নাম। আগে সুস্থ হতে হবে।”

সাদেকুল ইসলাম সরাসরি মন্তব্য করেন, “জয় আওয়ামী লীগের দালালের মতো কথা বলছো।” আহমেদ নুর বলেন, “জয় নিজের কথা বাইরের মানুষের নামে চালায়া দিয়েছে!”

এর আগে, ২০১৪ সালে জয় প্লট চেয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ‘উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী’ ও ‘আদর্শ মা’ বলে সম্বোধন করে চিঠি লিখেছিলেন। ওই চিঠিতে তিনি নিজেকে ‘আপনার সুযোগ্য পুত্রের নামের আরেক পুত্র’ হিসেবে উল্লেখ করে পূর্বাচলে একটি প্লট পাওয়ার আবদার জানান। সেই চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে তিনি কাজ হারাতে শুরু করেন এবং ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানানোয় তাকে ‘কালচারাল ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে তার ছবিতে চুনকালি ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়।

/আশিক

পাঠকের মতামত: