ভোট ছাড়াই এমপি হওয়ার দিন শেষ—ইসির নতুন নিয়ম!

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচনটি ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়ে। সেই বিতর্কিত প্রথা এবার বাতিলের পথে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নতুন করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে, যার ফলে ভবিষ্যতে কেউ বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে পারবেন না।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আরপিওর খসড়ায় এমন নিয়ম যুক্ত হচ্ছে যাতে কোনো আসনে যদি কেবল একজন প্রার্থী থাকেন, তবে তাকেও 'না' ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। এর মানে, ভোটাররা ইচ্ছা করলে সেই প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যানও করতে পারবেন। এই 'না' ভোটের ধারণা প্রথম চালু করেছিল ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন, তবে পরে তা বাতিল হয়।
আরও কিছু উল্লেখযোগ্য সংশোধন আসছে। যেমন, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ দুটি আসনে দাঁড়াতে পারবেন। দুটি আসনের বেশি হলে সব মনোনয়ন বাতিল হবে। একই ভোট পেলে দুই প্রার্থীর মধ্যে পুনরায় নির্বাচন হবে। এছাড়া দলগত জোট হলেও সবাইকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে।
নির্বাচনে অনিয়ম হলে শুধু একটি কেন্দ্র নয়, পুরো আসনের ভোট বন্ধের ক্ষমতা ইসি আবার ফিরে পেতে চায়। এই ক্ষমতা আগে থাকলেও পরে তা বাদ দেওয়া হয়। কমিশন এখন এ ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে।
মনোনয়ন বাতিল বা গ্রহণ সংক্রান্ত আপিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ইসির হবে। তফসিল ঘোষণার আগ থেকে ফল ঘোষণার পর পর্যন্ত জেলা বা বিভাগীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বদলি করতে ইসির অনুমতি লাগবে।
প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রেও নতুন নিয়ম আসছে। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে থাকলে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। হলফনামায় দেশ-বিদেশে আয়ের উৎস এবং সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য জানাতে হবে।
ইসির আইন সংস্কার কমিটির প্রধান আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, “আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। সেখানে যেসব প্রস্তাব আসবে, তা সংযুক্ত করা হবে।”
/আশিক

সুখবর: ৯ মাস বন্ধ থাকার পর খুলছে সেন্ট মার্টিন
আগামী ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য সেন্ট মার্টিন দ্বীপ খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।
রাতযাপন নিয়ে আলোচনা
পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকরা সেন্ট মার্টিন যেতে পারলেও, সেখানে পর্যটকরা রাতযাপন করতে পারবেন কি না—সেই বিষয়টি পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রায় ৯ মাসের জন্য সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ রাখা হয়েছিল।
বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ: বঙ্গোপসাগর থেকে ভারতীয় ১৪ জেলে আটক
বঙ্গোপসাগরে অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ১৪ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে। একই সঙ্গে তাঁদের ব্যবহৃত একটি ট্রলারও জব্দ করা হয়েছে।
নৌবাহিনী জানায়, শুক্রবার রাতে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকার বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরার সময় ভারতীয় ট্রলার ‘এফবি শুভ যাত্রা’ আটক করা হয়। শনিবার রাতে আটক জেলেদের মোংলা উপজেলার দিগরাজ নৌঘাঁটিতে আনা হয়।
জব্দ করা ট্রলার থেকে প্রায় ৫০০ কিলোগ্রাম মাছ, যার মধ্যে ইলিশও রয়েছে, উদ্ধার করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য দপ্তরের তথ্যমতে, আটক জেলেদের রবিবার মোংলা থানা হয়ে বাগেরহাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
মোংলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, নৌবাহিনীর টহলজাহাজ ‘বিএনএস শহীদ আখতার উদ্দিন’ নিয়মিত টহলের সময় ট্রলারটি শনাক্ত করে আটক করে। তিনি আরও জানান, ট্রলারটি বাংলাদেশ জলসীমা অতিক্রম করে অবৈধভাবে মাছ ধরছিল।
আটক জেলেরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেদের অনুপ্রবেশের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে এবং উভয় দেশের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বঙ্গোপসাগরে মৎস্যসম্পদের প্রাচুর্য ও সীমান্ত নির্ধারণসংক্রান্ত অস্পষ্টতার কারণে প্রায়ই এ ধরনের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে থাকে।
-হাসানুজ্জামান
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়াল সরকার
বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রবিবার অর্থ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, এখন থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা তাঁদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা পাবেন। তবে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা ভাতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
নতুন এই নিয়ম ২০২৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। তবে কোনো বকেয়া অর্থ দেওয়া হবে না।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নতুন জাতীয় বেতন স্কেল চালু হলে এই বাড়িভাড়া ভাতাও তাতে সমন্বয় করতে হবে। এছাড়া এমপিও সংক্রান্ত বর্তমান নীতিমালা—যেমন ২০২১ সালের স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতি, ২০১৮ সালের (সংশোধিত ২০২০) মাদ্রাসা নীতি এবং কারিগরি, কৃষি ও মৎস্য ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা—সবগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে।
ভাতা বিতরণে কোনো অনিয়ম হলে বিল অনুমোদনকারী কর্মকর্তাদের দায়ী করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
শিক্ষকরা কয়েকদিন ধরে বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। শনিবার তাঁরা কালো পতাকা মিছিল ও অনশন কর্মসূচি পালন করেন। রবিবার তাঁরা শিক্ষা ভবনের দিকে “ক্ষুধা মিছিল” করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ঠিক তার আগেই সরকার এই ঘোষণা দেয়।
শিক্ষক নেতারা বলেছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাঁদের আন্দোলনের ফল। তবে তাঁরা আশা করছেন, বাকি ভাতাগুলোর ক্ষেত্রেও সরকার দ্রুত ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে।
-নাজমুল হাসান
গণভোটের দিনক্ষণ: নির্বাচনের দিন হবে না আগে? সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ‘চূড়ান্ত রোডম্যাপ’ তৈরির পথে এগিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশন সূত্র জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রথমে একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হবে, যা সনদের আইনি ভিত্তি দেবে। এই আদেশের ভিত্তিতেই গণভোটের আয়োজন করা হবে। তবে গণভোট নির্বাচনের দিন হবে নাকি আগে হবে—সেই সিদ্ধান্ত সরকারকেই নিতে বলবে কমিশন।
আদেশই একমাত্র পথ: গণভোটের কাঠামো
গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ২৪টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে, তবে সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ রয়ে গেছে।
নামকরণ: বিএনপির আপত্তি থাকায় ‘সাংবিধানিক আদেশ’ জারি করা হবে না। তাই এটি ‘সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ বা অন্য কোনো নামে জারি হতে পারে।
গণভোট: আদেশেই উল্লেখ থাকবে গণভোট কীভাবে হবে এবং গণভোটে যদি সনদ অনুমোদন পায়, তবে এই আদেশ জারির পদ্ধতি, কর্তৃত্ব এবং আইনগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। কমিশন মনে করছে, পুরো সনদ নিয়েই গণভোট হবে, দুটি পৃথক প্রশ্ন নয়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ: কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল সংবিধানের মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষমতা দেওয়ার জন্য আগামী সংসদের প্রথম অধিবেশনকে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ হিসেবে ঘোষণা করার পরামর্শ দিয়েছে।
রাজনৈতিক মতবিরোধ
বিএনপির অবস্থান: বিদ্যমান আইনে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচনের দিনে গণভোট করা। গণভোটে সনদ অনুমোদিত হলে তা বাস্তবায়ন করবে পরবর্তী সংসদ। সনদে যেগুলোতে ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) রয়েছে, সেগুলোর সিদ্ধান্তও আগামী সংসদে হবে।
জামায়াত ও এনসিপি: তাদের দাবি, সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে সনদ কার্যকর করে নির্বাচনের আগে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট করা হোক। গণভোটে অনুমোদন পেলে নোট অব ডিসেন্টের গুরুত্ব থাকবে না।
কমিশনের কার্যক্রম
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আগামী সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র যেতে পারেন। কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আগামী সোমবারের মধ্যে সরকারকে সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি সুপারিশ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। অধ্যাপক আলী রীয়াজ ২৬ অক্টোবর দেশে ফিরলে ৩১ অক্টোবর কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে।
ঐকমত্য কমিশনের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সমকালকে বলেন, সনদ বাস্তবায়নে একটি আদেশ জারি করতে হবে, এ নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। কীভাবে, কী নামে জারি করা হবে—এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
রাতে ফ্লাইট চালুর চেষ্টা চলছে: কার্গো ভিলেজের আগুন পরিদর্শনে উপদেষ্টা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুনের ঘটনায় রাতের মধ্যেই ফ্লাইট চালুর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
জরুরি অগ্রাধিকার
বেসামরিক বিমান পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, “এয়ারপোর্টের ফ্লাইট এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে। এখানে শুধু আমদানি কার্গোতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে, রপ্তানি কার্গো নিরাপদ আছে।”
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে তাদের কাছে সবচেয়ে জরুরি হলো: ১. বিমানবন্দরকে চালু করা এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা। ২. ক্ষয়ক্ষতির নির্ণয় করা। ৩. একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করে দুর্ঘটনার কারণ বের করা।
উপদেষ্টা জানান, “আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবে পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি।” ভয়াবহ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি সিভিল এভিয়েশন, সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী ও বিজিবি'র সদস্যরাও কাজ করছেন।
কঠিন পরিণতির মুখোমুখি শেখ হাসিনা
চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে হতে পারে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এমনটাই লেখা হয়েছে। প্রতিবেদনে ৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের খালা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডের দাবি ও অভিযোগ
দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হলো:
তিনি রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র’ ব্যবহার করার নির্দেশ দেন, যার ফলে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হন।
প্রসিকিউশনের দাবি: প্রসিকিউশন দাবি করেছে, শেখ হাসিনার আদেশেই দমন অভিযানের সময় নিহতদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং আহতদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
সাবেক আইজিপি’র স্বীকারোক্তি: সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে বলেছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশেই তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর হেলিকপ্টার ও ড্রোন হামলা চালিয়েছিলেন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন।
চিফ প্রসিকিউটরের মন্তব্য: প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালতে বলেন, “শেখ হাসিনা ১,৪০০ বার মৃত্যুদণ্ডের যোগ্য। যেহেতু তা মানবিকভাবে সম্ভব নয়, তাই আমরা অন্তত একটি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি।” তিনি বলেন, “তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা।”
বিচার ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
পরোয়ানা জারি: আদালত ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।
রায়ের সময়সীমা: রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবীরা তাদের যুক্তি উপস্থাপন শুরু করবেন। চূড়ান্ত রায় নভেম্বরের মধ্যভাগে ঘোষণা করা হতে পারে।
ক্ষতিপূরণ: অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেখ হাসিনার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়াও শুরু হতে পারে, যার অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।
রাজনৈতিক অবস্থা: বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা, যেখানে শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিএনপি এখন ফেভারিট হিসেবে বিবেচিত। তবে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর: নতুন বাংলাদেশের অঙ্গীকার নাকি রাজনৈতিক ভারসাম্যের পরীক্ষা?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শুক্রবারের দিনটি চিহ্নিত হলো এক নতুন অধ্যায়ে। রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ নানা রাজনৈতিক দলের নেতা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। বিকেল পাঁচটা পাঁচ মিনিটে শুরু হওয়া স্বাক্ষরপর্বে দুইজন করে রাজনৈতিক প্রতিনিধি সই করেন, পরে স্বাক্ষর করেন ড. ইউনূস নিজে। এই ঘটনাকে “নতুন বাংলাদেশের সূচনা” বলে আখ্যায়িত করেন প্রধান উপদেষ্টা, বলেন—“এই সনদ শুধু একটি দলিল নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।”
তবে সনদ স্বাক্ষরের আগে সংসদ ভবন এলাকায় সংঘর্ষ ও বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরে “জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা” ব্যানারে শত শত মানুষ তিন দফা দাবিতে অবস্থান নেয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল জুলাই যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সংবিধানে সনদ অন্তর্ভুক্ত করা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ইটপাটকেল, টিয়ারশেল ও সাউন্ডগ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটে, আহত হন বহু মানুষ। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, এরপর দেরিতে হলেও অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ঐতিহাসিক এই আয়োজনে অংশ নেয়নি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর বিতর্ক চলছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ হোসেন বলেন, “জুলাই সনদ এখনো পূর্ণাঙ্গ জাতীয় ঐক্যের প্রতিফলন নয়।” এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন জানান, তিন দফা দাবি না মানায় তারা আপাতত স্বাক্ষর করেননি, তবে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার দ্বার খোলা রাখছেন। তাদের দাবি—সনদের আইনি বৈধতা নিশ্চিত করা, ড্রাফট আদেশের প্রাপ্তি ও গণভোটের মাধ্যমে সনদের অনুমোদন।
আখতার হোসেন বলেন, “দাবি পূরণ হলে আমরা স্বাক্ষর করবো, না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।” সরকার ও ঐকমত্য কমিশন এনসিপিকে অন্তর্ভুক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও দলটি শেষ পর্যন্ত দূরত্ব বজায় রাখে, যা রাজনৈতিক ঐক্যের পূর্ণতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
বিক্ষোভের মুখে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন শুক্রবার দুপুরে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধনের ঘোষণা দেয়। নতুন দফায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, “২০২৪ সালের জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থান কালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, আহতদের পুনর্বাসন ও শহীদ পরিবারকে আইনি দায়মুক্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।”
কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ক্ষমা চেয়ে বলেন, “এই সংশোধনের মাধ্যমে আমরা শহীদ ও আহতদের প্রতি রাষ্ট্রের দায় স্বীকার করেছি।” তবে কিছু পর্যবেক্ষক মনে করছেন, এই সংশোধন রাজনৈতিক চাপের ফল এবং ভবিষ্যতে এর আইনি প্রয়োগই প্রকৃত পরীক্ষার জায়গা।
বিএনপিমহাসচিবমির্জাফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঐতিহাসিক সনদ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। জুলাই সনদ কেবল একটি চুক্তি নয়, এটি জনগণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।” এনসিপির অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় তারা কোথাও ভুল বুঝছে। এই সনদ কারও দলীয় অর্জন নয়, এটি সবার।” ফখরুল আরও যোগ করেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এই সনদের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় শুরু হলো—যেখানে প্রতিহিংসা নয়, সংলাপ ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা হবে।” তার মতে, এই সনদের বাস্তবায়নই নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ সত্যিই ‘নতুন পথে’ হাঁটতে পারছে কিনা।
অন্যদিকে সনদে স্বাক্ষর করলেও জামায়াতে ইসলামী এর আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রেখেই আমরা স্বাক্ষর করেছি। তবে বিলম্ব বা প্রতারণা জাতির সঙ্গে গাদ্দারি হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, নতুন সংকটের নামে কোনো হেজিমনি যেন সৃষ্টি না হয়।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াতের এই শর্তযুক্ত অবস্থান একদিকে সরকারের প্রতি আস্থার ইঙ্গিত, অন্যদিকে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দরকষাকষির সম্ভাবনাও জিইয়ে রাখে।
স্বাক্ষরপর্ব শেষে বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “এই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করলাম।” তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর করার আহ্বান জানান। ড. ইউনূস বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে যদি নির্বাচনও হয়, তবে তা এমনভাবে হতে হবে যাতে জনগণ বিশ্বাস করতে পারে—দেশ বদলেছে।”তিনি প্রশ্ন রাখেন, “নিজেদের নির্বাচন নিজেরাই করবো, তাতে পুলিশ এসে কেন ধাক্কাধাক্কি করবে?” প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্য অনেকের কাছে ছিল নতুন রাজনীতির ইঙ্গিত—একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।
এই সনদে স্বাক্ষর বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ঐতিহাসিক মোড় নির্দেশ করে—যেখানে দীর্ঘ দমননীতির পর প্রথমবারের মতো বিভিন্ন মতাদর্শের দল এক ছাতার নিচে এসেছে। কিন্তু এনসিপির অনুপস্থিতি, দফা সংশোধনের চাপ এবং মাঠপর্যায়ের অস্থিরতা ইঙ্গিত দিচ্ছে, জাতীয় ঐক্যের এই পথ এখনো মসৃণ নয়। অনেকের মতে, জুলাই জাতীয় সনদ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্তর—অথবা আরেকটি রাজনৈতিক পরীক্ষার সূচনা মাত্র।
ইইউ রাষ্ট্রদূতের প্রশংসা: রাজনৈতিক ঐকমত্যে বাংলাদেশের অগ্রগতি
বাংলাদেশে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও সংস্কারের পথে ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরকে “গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি” হিসেবে অভিহিত করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তাঁর মতে, এটি বাংলাদেশের আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে রাষ্ট্রদূত মিলার লিখেছেন, “জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত। এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল, যা মৌলিক সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তি নির্ধারণ করেছে।” তিনি আরও বলেন, “দেশের রাজনৈতিক রূপান্তরের এ মুহূর্তটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক যাত্রার প্রতি ঐক্যবদ্ধ অঙ্গীকারের প্রতিফলন।”
গত শুক্রবার স্বাক্ষরিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’–এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ২৫টি রাজনৈতিক দল, যার মধ্যে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে, একটি অভিন্ন সংস্কার-রূপরেখায় সম্মত হয়। এই উদ্যোগকে অনেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল এক ঐক্য প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি এই প্রক্রিয়ায় ইইউর অব্যাহত আগ্রহ ও সম্পৃক্ততার প্রতীক। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সুশাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইইউ বারবার জোর দিয়েছে যে, তারা বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে আগ্রহী। এই লক্ষ্যে তারা প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রয়োজনে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর সম্ভাবনাও বিবেচনা করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ‘জুলাই সনদ’ শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার ও সহযোগিতার নতুন দিগন্তই খুলে দেয়নি, বরং আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এক ইতিবাচক বার্তাও দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন এই প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করে তুলতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
-আহসান হাবিব
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তীব্র উত্তেজনা
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে দেওয়াল টপকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ এবং অতিথিদের জন্য বরাদ্দ করা চেয়ারে বসে পড়া ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ ধাওয়া দিয়ে সংসদ ভবন এলাকা থেকে বের করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও টিয়ার শেল
ভাঙচুর: বিক্ষুব্ধ জুলাই যোদ্ধারা সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট ভেঙে ফেলেন। তারা বাইরে বের হয়ে বেশ কয়েকটি ট্রাক ও বাসে ভাঙচুর করেন, যার মধ্যে দুটি ছিল পুলিশের গাড়ি।
সংঘর্ষ: গাড়ি ভাঙচুর করার সময় পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। বর্তমানে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে এবং পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে দেখা গেছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি ও নিরাপত্তা
‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে সকাল থেকে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও আহত বীর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়াসহ ৩ দফা দাবিতে সকাল থেকে জুলাই যোদ্ধারা অবস্থান নিয়েছেন।
নিরাপত্তা: বর্তমানে সংসদ ভবন এলাকার ১২ নম্বর গেটে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা সম্পূর্ণ এলাকা ঘিরে ফেলেছেন। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলা করার জন্য।
পাঠকের মতামত:
- তিস্তা মহাপরিকল্পনা’র দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল, ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি
- ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ: ৪২ দেশের নাগরিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা চালু
- ২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- তৈরি পোশাক শিল্পে বড় আঘাত: কার্গো ভিলেজের ক্ষতি নিয়ে যা বলল বিজিএমইএ
- শীতে আমন্ড বাদাম: ভিজিয়ে খাবেন নাকি শুকনো? জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি
- মাথাব্যথাকে বিদায়: ৫টি সহজ ঘরোয়া টোটকা
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
- চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? জেনে নিন উপকারিতা
- ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে হানাহানি থাকবে না: মুফতি ফয়জুল করীম
- ইতিহাসের সবচেয়ে দুঃসাহসিক ছিনতাই: ২ লক্ষ ডলার নিয়ে আকাশেই উধাও সেই রহস্যমানব!
- ড্রোন দিয়ে ঘণ্টায় ১,৮০০ চারা রোপণ: প্রযুক্তিতে বন পুনরুদ্ধারের নজির
- ১০ বছরের সন্তানকে নিয়ে মা সমুদ্র সাঁতরে পৌঁছালেন স্পেনে
- খালেদা-তারেকের নিরাপত্তা: বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি
- নাহিদ ইসলামের তীব্র সমালোচনা: পিআর নিয়ে জামায়াতকে একহাত নিলেন এনসিপি নেতা
- মানব সভ্যতায় মুসলিম বিজ্ঞানীদের ৫ যুগান্তকারী অবদান
- আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টার বার্তা
- ১৮ বছরের গণনা: যে আবিষ্কার বিশ্বকে বোঝালো আমরা মিল্কি ওয়েতে একা নই
- জুলাই সনদের ৫ দফা দাবিতে জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- সুখবর: ৯ মাস বন্ধ থাকার পর খুলছে সেন্ট মার্টিন
- পা ফাটা দূর করুন: ঘরোয়া উপায়ে মসৃণ গোড়ালি পাওয়ার সহজ কৌশল
- শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভাঙা! স্টার্কের ১৭৬.৫ কিমি গতির বল নিয়ে তোলপাড়
- ১৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পরিকল্পিত আগুন: কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বড় অভিযোগ
- ইসি জঙ্গলীয় কায়দায় চলছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- ‘বক্তব্য কাট করে বিকৃত করা হয়েছে’: জুলাই যোদ্ধা নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের ব্যাখ্যা
- এনসিপি’র হুঁশিয়ারি: নির্বাচন কমিশন ‘স্বৈরাচারী কায়দায়’ চলছে
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ: বঙ্গোপসাগর থেকে ভারতীয় ১৪ জেলে আটক
- মেথি পানির ম্যাজিক: নিয়মিত ১৫ দিন পান করলে শরীরে আসে যে ৬ পরিবর্তন
- সাবধান! কম ঘুম ছোট করে দিতে পারে মস্তিষ্ককে, নতুন গবেষণার ভয়াবহ তথ্য
- এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়াল সরকার
- ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা: বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
- ইয়েমেনে জাতিসংঘ ভবনে হুথি অভিযান: সব কর্মী নিরাপদে
- গণভোটের দিনক্ষণ: নির্বাচনের দিন হবে না আগে? সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর
- রক্ষণ থেকে আক্রমণে জাদু: আরাউহোর গোলে লা লিগার শীর্ষে বার্সা
- মেসির জাদুতে ইন্টার মায়ামির দুর্দান্ত জয়: হ্যাটট্রিকে এমএলএস গোল্ডেন বুট প্রায় নিশ্চিত
- ‘আমরা রাজা নই, আমরা জনগণ’: যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল জনতা
- রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি: দোহায় পাকিস্তান-আফগান সমঝোতা
- শাহজালালে আগুনে ছাই ব্যবসায়িক আশা: বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির আশঙ্কা
- ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- কার্গো ভিলেজে আগুন: ক্ষতির আশঙ্কা বিলিয়ন ডলার
- ভারতের বিরুদ্ধে নতুন সামরিক হুমকি দিলেন পাক সেনাপ্রধান
- সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডগুলো জননিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি: তারেক রহমান
- পায়ে সামান্য ব্যথা বা ঘা: নীরব ঘাতক ‘রক্তনালির ব্লকের’ সংকেত নয়তো?
- রাতে ফ্লাইট চালুর চেষ্টা চলছে: কার্গো ভিলেজের আগুন পরিদর্শনে উপদেষ্টা
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- ঢাকার বিমানবন্দর অচল: ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে কার্গো ভিলেজ, ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি
- ৪০-৪৫ দিনের রেণুবিন্দু: বিজ্ঞান বনাম কোরআন, গর্ভের শিশুর নিয়তি কখন লেখা হয়?
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- শি জিনপিং: সমাজে প্রকৃত সমতা চাইলে নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে
- আজ বাংলাদেশের বাঁচা-মরার লড়াই, টিভিতে নয় ২৫ টাকায় দেখুন অনলাইনে
- ১৪ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পরমাণু ইস্যুতে কঠোর ইরান: আইএইএ-এর সঙ্গে চুক্তি স্থগিত, কারণ কী?
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- ‘সামাজিক ব্যবসা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা