শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৭ ১৫:০১:৩৪
শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতের আমেজ পাওয়া গেলেও শীত এখনো পুরোপুরি আসেনি। তবে এই সময়েই অনেকে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন। তাই শীত এলে সুস্থ থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জের। সুতরাং শীতের আগে এখন থেকেই জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা জরুরি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে আপনি সহজেই শীতে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং মৌসুমি রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, শীতে সুস্থ থাকতে কোন কোন নিয়ম মানা এবং কোন অভ্যাসগুলো বর্জন করা উচিত:

সুস্থ থাকতে যে ৫টি নিয়ম মানবেন

১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেই পানি পান করতে চান না, যা মারাত্মক ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা তৈরি করতে পারে। সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত সঠিক পরিমাণে পানি পান করার বিকল্প নেই।

২. সকালের খাবার মিস করবেন না: ঠিকমতো ব্রেকফাস্ট না করার অভ্যাস মোটেও ভালো নয়। সুস্থ থাকতে চাইলে অবশ্যই সকালে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ব্রেকফাস্ট না করলে শরীরে এনার্জি থাকবে না, ব্লাড সুগারের মাত্রা কমে যেতে পারে এবং গ্যাসের সমস্যাও দেখা দেবে।

৩. কফিতে লাগাম টানুন: শীত মানেই কফির কাপ হাতে যখন-তখন বসে থাকলে চলবে না। অতিরিক্ত কফি পান করলে ডিহাইড্রেশন, অ্যাংজাইটি, বদহজম এবং ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের তাপমাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। তাই কফি পানে লাগাম টানুন।

৪. জাঙ্ক ও প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন: ফাস্টফুড ও প্যাকেটজাত খাবার সব ঋতুতেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এসব খাবারে বেশি ক্যালোরি, সুগার ও ফ্যাট থাকে, যা ওজন বাড়ায়। রান্নার ঝামেলা এড়াতেও এসব প্রসেসড ফুড খাবার পাতে রাখা ঠিক নয়।

৫. অ্যালকোহল পরিহার করুন: শীতকালে বিভিন্ন উৎসব-আয়োজন ও পার্টিতে অনেকেই অ্যালকোহল গ্রহণ করেন। কিন্তু বেশি পরিমাণ অ্যালকোহল শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়, যা শীতে শরীরে গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে।

Holiday Village

পা ফাটা দূর করুন: ঘরোয়া উপায়ে মসৃণ গোড়ালি পাওয়ার সহজ কৌশল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ১৬:০১:৪৯
পা ফাটা দূর করুন: ঘরোয়া উপায়ে মসৃণ গোড়ালি পাওয়ার সহজ কৌশল
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতের সময় বা নিয়মিত যত্নের অভাবে অনেকের পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। এতে শুধু ব্যথাই হয় না, বরং পায়ের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পায়ের নিচের ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ার কারণেই মূলত এই সমস্যা হয়। তবে ঘরোয়া কিছু উপাদান দিয়ে সহজেই এই সমস্যা দূর করা সম্ভব।

পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি

এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি পায়ের ফাটা দূর করে ত্বককে মসৃণ ও নরম রাখতে সাহায্য করবে।

উপকরণ:

১ টেবিল চামচ লবণ

আধা কাপ লেবুর রস

২ টেবিল চামচ গ্লিসারিন

২ চা চামচ গোলাপজল

প্রয়োজনমতো গরম পানি

একটি পিউমিস স্টোন

ব্যবহারের নিয়ম:

১. পা ভিজিয়ে রাখুন: প্রথমে একটি বড় পাত্রে সহনীয় গরম পানি নিন। তাতে লবণ, ১০ ফোঁটা লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন ও ১ চা চামচ গোলাপজল মিশিয়ে দিন। পা সেই পানিতে ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।

২. পরিষ্কার করুন: এরপর পিউমিস স্টোন দিয়ে গোড়ালির ফাটা অংশ হালকা ঘষে পরিষ্কার করুন।

৩. ধুয়ে মুছে নিন: ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পা ধুয়ে ভালোভাবে মুছে ফেলুন।

৪. মিশ্রণ প্রয়োগ: এরপর ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, ১ চা চামচ গোলাপজল ও ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি পায়ের ফাটা অংশে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। মিশ্রণটি আঠালো হওয়ায় রাতে সুতির মোজা পরে ঘুমাতে পারেন।

৫. সকালের যত্ন: সকালে উঠে হালকা গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে লোশন লাগিয়ে নিন।

গুরুত্বপূর্ণ টিপস

যদি পায়ের ফাটার সমস্যা খুব বেশি হয় বা ঘা হয়ে যায়, তাহলে লেবুর রস ব্যবহার না করাই ভালো।

এই প্যাকটি প্রতিদিন ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে পায়ের ফাটা দূর হবে এবং ত্বক থাকবে মসৃণ ও নরম।

সূত্র : টিপস ২৪


মেথি পানির ম্যাজিক: নিয়মিত ১৫ দিন পান করলে শরীরে আসে যে ৬ পরিবর্তন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ১১:০৪:০১
মেথি পানির ম্যাজিক: নিয়মিত ১৫ দিন পান করলে শরীরে আসে যে ৬ পরিবর্তন
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস মেথি ভেজানো পানি—শুনতে যতটা সাধারণ, এর উপকারিতা ততটাই গভীর। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই ঘরোয়া পানীয়টি হজমশক্তি উন্নত করা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং শরীরকে ভেতর থেকে ডিটক্স করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক পুষ্টিবিদ্যার দৃষ্টিতেও এখন মেথির বীজকে ‘সুপারফুড’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নিয়মিতভাবে ১৫ দিন মেথি পানি পান করলে শরীরে আসে কিছু ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।

১৫ দিনে শরীরে যে ৬ পরিবর্তন আসে

১. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে আসে: মেথি দানায় রয়েছে গ্যালাক্টোম্যানান নামের দ্রবণীয় আঁশ, যা রক্তে গ্লুকোজ শোষণের গতি কমিয়ে দেয়। নিয়মিত ১৫ দিন মেথি পানি খেলে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিসের প্রাথমিক ধাপে বিশেষ উপকারী ভূমিকা রাখতে পারে।

২. বাড়ে বিপাকক্রিয়া, হজম হয় সহজ: মেথি পানি শরীরের বিপাকক্রিয়াকে সক্রিয় করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক যৌগ হজম এনজাইমকে উত্তেজিত করে এবং চর্বি ভাঙার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে মেটাবলিজম ঠিক রাখে।

৩. পেট পরিষ্কার থাকে, সতেজ হয় হজমতন্ত্র: মেথি প্রাকৃতিক অন্ত্র পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। এর আঁশ শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, মলত্যাগ স্বাভাবিক রাখে এবং অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। খালি পেটে পান করলে এটি পাকস্থলীর আবরণে সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে।

৪. ত্বকে দেখা দেয় দৃশ্যমান উন্নতি: মেথি পানির ডিটক্স ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকেও প্রতিফলিত হয়। শরীর যখন ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়, তখন ব্রণ বা ফুসকুড়ি কমে আসে, ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও সতেজ। কয়েক সপ্তাহেই ত্বকের রঙে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসতে পারে।

৫. হরমোন নিয়ন্ত্রণে ভারসাম্য: মেথি দানায় এমন কিছু যৌগ থাকে, যা ইস্ট্রোজেন হরমোনের মতো কাজ করে। ফলে বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এটি হরমোনজনিত ওঠানামা কমাতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত পান করলে মন-মেজাজ স্থির থাকে।

৬. শরীর থাকে আর্দ্র ও কর্মশক্তিতে ভরপুর: ভেজানো মেথি দানা থেকে বের হওয়া জেলি জাতীয় আঁশ শরীরকে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখে। সকালে খালি পেটে পান করলে ত্বক ও শরীর দুই-ই আর্দ্র থাকে, ক্লান্তি ও শুষ্কতা কমে।

তৈরি ও সেবনের নিয়ম

রাতে এক চা চামচ মেথি দানা এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ছেঁকে সেই পানি খালি পেটে পান করুন। চাইলে হালকা গরম করে খাওয়া যায়, আবার ভেজানো দানাগুলোও চিবিয়ে খাওয়া যায়। নিয়মিত ১৫ দিন এভাবে খেলে এর সুফল স্পষ্ট অনুভব করা যায়।


বিলাসবহুল জীবন থেকে জনকল্যাণ: দুবাইয়ের রাজকন্যা শেখ মাহরার যত কীর্তি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৮:৩৫:৫৬
বিলাসবহুল জীবন থেকে জনকল্যাণ: দুবাইয়ের রাজকন্যা শেখ মাহরার যত কীর্তি
ছবিঃ সংগৃহীত

পুরো নাম শেখ মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, তবে তিনি দুবাইয়ের রাজকন্যা শেখ মাহরা নামেই পরিচিত। ত্রিশের কোঠায় থাকা এই রাজকন্যা বিপুল সম্পদ, বিলাসবহুল জীবন, নিজস্ব ফ্যাশন স্টাইল এবং বহুমুখী জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে রাজকন্যা পরিচয় ছাপিয়ে হয়ে উঠেছেন স্বতন্ত্র এক ব্যক্তিত্ব। তিনি গোটা মধ্যপ্রাচ্যসহ বৈশ্বিক অঙ্গনের তরুণীদের কাছে অনুপ্রেরণার এক অনন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

সম্পদ ও আয়ের উৎস

শেখ মাহরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাই আমিরাতের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা। তাঁর পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৮০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।

ব্যক্তিগত সম্পদ: বিভিন্ন সূত্রমতে, মাহরার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ৩০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলারের মধ্যে।

বিনিয়োগ: পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের পাশাপাশি তার আয়ের উৎস হলো বিভিন্ন ব্যক্তিগত ব্যবসায় উদ্যোগ। তিনি রিয়েল এস্টেট এবং প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছেন।

ফ্যাশন আইকন: ফ্যাশন আইকন হিসেবে বিশ্বজুড়ে দারুণ জনপ্রিয় তিনি। বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের প্রচারণা কার্যক্রমের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততাও আয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

জীবনযাত্রা ও মানবিক দিক

শেখ মাহরা অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন। তার গ্যারেজে রোলস-রয়েস, ল্যাম্বরগিনি ও ফেরারি ব্র্যান্ডের বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ির সংগ্রহ রয়েছে। তিনি সব সময় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনারদের তৈরি পোশাকে দেখা দিলেও, তাঁর পোশাকে ঐতিহ্যবাহী আমিরাতি পোশাকের সঙ্গে আধুনিক ফ্যাশনের মিশ্রণ দেখা যায়, যা তাঁর স্টাইলের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

বিলাসবহুল জীবনের পাশাপাশি মাহরার মানবিক দিকটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দাতব্য ও সামাজিক কার্যক্রমে তাঁকে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। বিশেষত নারীর ক্ষমতায়ন, নারীশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সুরক্ষা এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তার মতো নানা জনহিতকর কাজে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত।

সূত্র: ম্যাশেবল


শখের পোশাক বারবার ধোয়ার পরেও উজ্জ্বল থাকবে যে ৮ উপায়ে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৭:০৪:৪৯
শখের পোশাক বারবার ধোয়ার পরেও উজ্জ্বল থাকবে যে ৮ উপায়ে
ছবিঃ সংগৃহীত

পছন্দের পোশাক যেন বারবার ধোয়ার পরেও ঠিক আগের মতোই উজ্জ্বল ও সুন্দর থাকে, তার জন্য দরকার সঠিক যত্ন। কাপড়ের রং ও গুণমান দীর্ঘদিন ধরে রাখতে কিছু ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস গড়ে তোলাই যথেষ্ট। চলুন, জেনে নিই সেই ৮টি অভ্যাস:

পোশাকের যত্ন ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ৮ উপায়

১. ঠাণ্ডা পানিতে ধোয়ার অভ্যাস: গরম পানিতে কাপড় ধোয়ার ফলে রং দ্রুত ফিকে হয়ে যায়। তাই সম্ভব হলে সবসময় ঠাণ্ডা পানিতে কাপড় ধুতে চেষ্টা করুন।

২. কাপড় উল্টে ধোয়া: কাপড় ধোয়ার আগে উল্টো দিক করে নিন। এতে বাইরের দিকের রঙে ডিটারজেন্ট সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে না, ফলে রং অনেক দিন টিকে থাকে।

৩. নরম ও রাসায়নিকমুক্ত ডিটারজেন্ট: হার্শ কেমিক্যাল বা কড়া রাসায়নিক ব্যবহার করলে কাপড়ের তন্তু নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নরম ও মাইল্ড ডিটারজেন্ট কাপড়কে কোমল ও উজ্জ্বল রাখে।

৪. ডিটারজেন্টে দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখবেন না: কাপড় অনেকক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে রং ও তন্তু দুর্বল হয়ে যায়। তাই খুব বেশি সময় ভিজিয়ে না রেখে সময়মতো ধুয়ে ফেলাই ভালো।

৫. সূর্যের তাপে নয়, ছায়ায় শুকান: কাপড় সরাসরি কড়া রোদে শুকালে রঙ ফিকে হয়ে যেতে পারে। তাই ছায়ায় শুকানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৬. ভিনেগার ব্যবহার: কাপড় ধোয়ার সময় অল্প পরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে নিলে রং ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং কাপড় থাকে টাটকা ও ঝকঝকে।

৭. নির্দিষ্ট নিয়ম মানুন: প্রতিটি ফ্যাব্রিকের ধোয়ার পদ্ধতি আলাদা। তাই ট্যাগে থাকা নির্দেশিকা অনুযায়ী কাপড় ধোয়া উচিত।

৮. ভেজা কাপড় জমিয়ে রাখবেন না: ভেজা কাপড় বেশি সময় জমিয়ে রাখলে তাতে ছত্রাক জন্মায় ও দুর্গন্ধ তৈরি হয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব শুকিয়ে ফেলুন।

এই সাধারণ নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার প্রিয় পোশাকের রং, উজ্জ্বলতা ও গুণমান অনেক দিন ধরে ঠিক রাখা সম্ভব।

সূত্র : এবিপি


বদহজম ও গ্যাসের সমস্যা? মুক্তি দেবে এই ৮টি ঘরোয়া টোটকা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৫:৪৩:৫৯
বদহজম ও গ্যাসের সমস্যা? মুক্তি দেবে এই ৮টি ঘরোয়া টোটকা
ছবিঃ সংগৃহীত

অনেকেরই হজমের সমস্যা আছে। এ কারণে কেউ কেউ নিয়মিত ওষুধও খান। যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তারা কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে এ কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই ৮টি ঘরোয়া টোটকা আপনার হজমশক্তি বাড়াতে, গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।

বদহজম দূর করার ৮ ঘরোয়া উপায়

১. আদা চা: আদা চায়ে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি পরিপাকতন্ত্রকে শান্ত করতে এবং বমিভাব কমাতে সাহায্য করে। খাবারের পরে গরম আদা চা পান করলে পেট ফাঁপা কমে এবং হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।

২. মৌরি বীজ: খাবারের পরে এক চা চামচ মৌরি বীজ চিবিয়ে খেলে পেটের ফোলাভাব কমে, সেই সঙ্গে গ্যাসের সমস্যাও দূর হয়। এই বীজের সুগন্ধি উপাদানগুলো অন্ত্রের পেশি শিথিল করে এবং শ্বাসকে সতেজ রাখে।

৩. লেবুর পানি: এক কাপ উষ্ণ লেবুর পানি দিয়ে দিন শুরু করলে তা কেবল শরীরে পানি সরবরাহ করে না, বরং পিত্ত উৎপাদনও সক্রিয় করে। এটি খাবারকে আরও ভালোভাবে ভাঙতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে পারে।

৪. দই: দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক বা ভালো ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্যে সহায়তা করে। নিয়মিত দই খেলে হজম ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এটি অ্যান্টিবায়োটিক বা হজম সংক্রান্ত সংক্রমণের পরে ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে পারে।

৫. পুদিনা চা: পুদিনা পরিপাকতন্ত্রের পেশি শিথিল করে। এটি আইবিএস (Irritable Bowel Syndrome) এবং বদহজমের মতো উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। এই চা পান করলে খিঁচুনি এবং পেট ফাঁপা কমে যায়।

৬. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার: অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পাকস্থলীর অ্যাসিড বৃদ্ধি করে হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করলে পুষ্টি শোষণে সহায়তা হয় এবং খাওয়ার পরে বুকজ্বালা বা ভারী অনুভব হওয়া কমে।

৭. জোয়ান (Ajwain): জোয়ান বীজ হজম সমস্যা কমাতে বেশ কার্যকর। সামান্য ভাজা জোয়ান, অল্প বিট লবণ এবং গরম পানি গ্যাস কমায় এবং পেটের ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি দেয়। এই বীজ হজমকারী এনজাইমগুলোকেও উদ্দীপ্ত করে।

৮. বাটারমিল্ক: এটি এক ধরনের আয়ুর্বেদিক প্রতিকার। সাধারণত ভাজা জিরা গুঁড়ো এবং এক চিমটি বিট লবণ মিশিয়ে এটি তৈরি করা হয়। ভারী বা তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পরে এটি পান করলে পেট শান্ত হয় এবং হজমক্ষমতা বাড়ে।


বয়স বাড়ার ছাপ: ৫টি অভ্যাস যা আপনার ত্বক ও চুলকে রাখবে তরতাজা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৫:৩১:২৭
বয়স বাড়ার ছাপ: ৫টি অভ্যাস যা আপনার ত্বক ও চুলকে রাখবে তরতাজা
ছবিঃ সংগৃহীত

বয়সকে আটকানো যায় না, এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ত্বকের বলিরেখা, চুল পড়া এবং ম্লান ত্বকের মতো বার্ধক্যের চিহ্নগুলোকেও কিছুটা প্রতিহত করা যেতে পারে। এর জন্য দরকার কিছুটা যত্ন এবং অধ্যবসায়। অনেকেই সৌন্দর্যচর্চায় উৎসাহ দেখালেও, কয়েক দিন পরেই ছেড়ে দেন। অথচ প্রতিদিন দীর্ঘসময় দরকার নেই; মাত্র কয়েকটি সহজ অভ্যাস নিয়ম করে মেনে চললেই বয়সের ছাপ অনেকটাই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।

চলুন, জেনে নিই যেসব অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে আপনার ত্বক ও চুলকে রাখতে পারে তরতাজা:

তারুণ্য ধরে রাখার ৫ অভ্যাস

১. শরীর রাখুন আর্দ্র: ভেতর থেকে আর্দ্রতা বজায় থাকলে ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত দেখায়। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া জরুরি। দিনের শুরুতে এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায় এবং হজম ভালো থাকে, ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে সময় লাগে।

২. সুপারফুড হোক খাদ্যতালিকায়: ঘরোয়া রান্নাঘরেই লুকিয়ে রয়েছে ‘সুপারফুড’-এর ভাণ্ডার—যেমন হলুদ, ঘি, আমলকী ইত্যাদি।

পরামর্শ: রাতে ঘুমানোর আগে হলুদ মেশানো দুধে এক চিমটে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। সকালে একটি আমলকী এবং প্রতিদিনের খাবারে ১-২ চামচ ঘি রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো শরীরকে ভেতর থেকে শক্তি জোগায় এবং ত্বককে তরুণ রাখে।

৩. ঘুমকে হালকাভাবে নেবেন না: প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি। ঘুমের সময় শরীর নিজেকে মেরামত করে। ঘুম কম হলে মানসিক চাপ বাড়ে, যার প্রভাব পড়ে ত্বকে। ফলে বলিরেখা, চোখের নিচে কালি এবং ত্বকের মলিনতা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত ঘুম ত্বককে রাখে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।

৪. শরীরচর্চা করুন নিয়মিত: রোজ ২০-৩০ মিনিট শরীরচর্চা করলেই যথেষ্ট। এটা শুধু পেশি নয়, মনকেও চনমনে রাখে। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, মনকে রাখে চাপমুক্ত। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে ত্বকেও, ফলে বয়সের ছাপ পড়ার গতি কমে।

৫. চুলে নিয়মিত তেল লাগান: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পাতলা হওয়া স্বাভাবিক। তবে সঠিক যত্নে তা অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব। সপ্তাহে ২-৩ দিন চুলে হালকা তেল মেখে চুলের গোড়ায় আলতো করে মালিশ করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, পুষ্টিও পৌঁছায় গোড়ায়। ফলে চুল হয় ঘন ও মজবুত।

সূত্র : আনন্দবাজার


ছবিতে ব্যাঙ না ঘোড়া? আপনি কেমন মানুষ—এই ছবিই দেবে উত্তর!

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৪:২৬:৪৭
ছবিতে ব্যাঙ না ঘোড়া? আপনি কেমন মানুষ—এই ছবিই দেবে উত্তর!
ছবিঃ সংগৃহীত

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ঝলকেই চোখে পড়ে এমন কিছু ছবি, যেগুলোর উত্তর নাকি বলে দিতে পারে আপনি কেমন মানুষ। সম্প্রতি তেমনই একটি দৃষ্টিভ্রম (অপটিক্যাল ইলিউশন) ছবি ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানা যাবে চমকপ্রদ কিছু তথ্য!

এ ধরনের ছবি বা ভিডিও এক ধরনের ধাঁধা। ছবিটি এক হলেও, কে কী দেখছে—সেটা মানুষভেদে আলাদা হয়। মনোবিজ্ঞানের নানা দিকও এতে কাজ করে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তারা বলেন, এমন ছবি দেখলে আমাদের মস্তিষ্ক চিন্তা করতে শেখে, আর নিজের অজান্তেই ভিতরের চরিত্র প্রকাশ পায়।

ভাইরাল হওয়া এই ছবিটিতে দুটি প্রাণী লুকানো আছে—ব্যাঙ এবং ঘোড়া। আপনি প্রথমে কোনটা দেখলেন, সেটাই আসল বিষয়।

ছবিতে যা দেখলে, আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন?

১. ব্যাঙ দেখলে...

যদি ছবির দিকে তাকাতেই ব্যাঙ দেখতে পান, তাহলে আপনি সাধারণত সরল ও সৎ স্বভাবের মানুষ। এই ধরনের মানুষরা বিশ্বস্ত, আত্মবিশ্বাসী এবং অন্যদের সঙ্গে খোলামেলা ব্যবহার করেন। আপনার চিন্তা সহজ, জটিলতা পছন্দ করেন না এবং সোজা পথে হাঁটতে ভালোবাসেন।

২. ঘোড়া দেখলে...

যদি প্রথমে ঘোড়া দেখেন, তাহলে আপনি বিশ্লেষণাত্মক স্বভাবের। আপনি কোনো কিছুর গভীরে গিয়ে ভাবেন, সব দিক বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে ভালোবাসেন। এ ধরনের মানুষরা সাধারণত অন্যদের মতো ভাবেন না, নিজের মতো করে ভাবেন এবং নিজস্ব যুক্তিতে বিশ্বাস রাখেন।

পরামর্শ

এই ধরনের দৃষ্টিভ্রম ছবি কেবল সময় কাটানোর জন্য নয়, নিজের সম্পর্কে কিছু নতুন দৃষ্টিভঙ্গিও এনে দেয়। তবে মনে রাখবেন, এ ধরনের টেস্ট শুধু মজা ও আগ্রহের জন্য। আপনার আসল ব্যক্তিত্ব অনেক গভীর এবং জটিল, যা শুধু একটি ছবিতে আটকে থাকে না।

আপনি কী প্রথমে দেখেছেন? ব্যাঙ, না ঘোড়া?


বন্ধুরূপী শত্রু: যে ৫টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার বন্ধুত্বের বন্ধন বিপদজনক

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ২১:৪১:২০
বন্ধুরূপী শত্রু: যে ৫টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার বন্ধুত্বের বন্ধন বিপদজনক
ছবিঃ সংগৃহীত

বন্ধুত্বের বন্ধন একটি সুন্দর বন্ধন, যদি বন্ধু নির্বাচনে কোনো ভুল না হয়। তাই বন্ধু নির্বাচনের সময় আমাদের খুব সতর্ক থাকা উচিত। কারণ, ভালো বন্ধু যেমন আমাদের জীবনকে উজ্জ্বল করে, তেমনি খারাপ বন্ধুও আমাদের জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন খারাপ বন্ধু ১০০ শত্রুর সমান। তারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেবল রঙই পরিবর্তন করে না, বরং আপনার পিঠে ছুরি মারতেও দ্বিধা করে না।

আসুন এখন জেনে নেওয়া যাক, সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা খারাপ বন্ধুদের কীভাবে চিনতে বলছেন:

খারাপ বন্ধু চেনার ৫টি লক্ষণ

১. সাফল্যে ঈর্ষান্বিত: যে বন্ধুরা বাইরে থেকে ভালো দেখায়, কিন্তু আপনার ভালো দেখলে গভীরভাবে ঈর্ষান্বিত হয়, তারাই আপনার ধ্বংসের কারণ। খারাপ বন্ধুরা আপনার অগ্রগতিকে ঈর্ষা করবে এবং অন্যদের সামনে আপনার সুনাম নষ্ট করবে।

২. খারাপ সময়ে পালিয়ে যাওয়া: একজন সত্যিকারের বন্ধু হলো সেই ব্যক্তি, যে কেবল আপনার সুখে নয়, আপনার দুঃখেও আপনার পাশে থাকে। কিন্তু খারাপ বন্ধুরা যখন পরিস্থিতি কঠিন হয়, তখন আপনাকে সাহায্য না করেই পালিয়ে যাবে এবং নানা অজুহাত দেবে।

৩. পেছনে গর্ত খোঁড়া: শত্রুরা সাধারণত সামনে থেকে আক্রমণ করে, কিন্তু খারাপ বন্ধুরা পেছনে থেকে আপনার জন্য গর্ত খোঁড়ে। তারা আপনার সব দুর্বলতা জানে, তাই তারা আপনার বিশ্বাসের অপব্যবহার করবে। তারা আপনার সঙ্গে ভালো কথা বলবে, কিন্তু আপনার পেছনে আপনার সম্পর্কে খারাপ কথা বলবে।

৪. ভুল সংশোধন নয়, প্রকাশ: খারাপ বন্ধুরা আপনার ভুল সংশোধন করার পরিবর্তে সেগুলো সবার সামনে প্রকাশ করবে, যাতে তারা আপনার দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে এবং নিজেকে ভালো প্রমাণ করতে পারে।

৫. গোপনীয়তার অপব্যবহার: আপনি আপনার গোপনীয়তা ও দুর্বলতাগুলো যাদের সঙ্গে ভাগ করে নেন, সেইসব তথ্যের অপব্যবহার তারা করবে। এই কারণে এমন বন্ধুদের থেকে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত।

পরামর্শ

সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, সর্বদা এমন বন্ধু নির্বাচন করুন যারা জ্ঞানী এবং আপনার স্বার্থের কথা মনে রাখে। কখনো বোকা বা স্বার্থপর লোকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন না।

সূত্র : আজতক বাংলা


খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ১১:০০:৫২
খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ছবিঃ সংগৃহীত

রান্নার স্বাদ বাড়ানোতে মসলা হিসেবে এলাচের তুলনা নেই। কিন্তু স্বাদ ছাড়াও এলাচের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত এলাচের পানি পান করলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটি দূর হওয়াসহ আরও পাঁচটি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য পাওয়া যায়।

এই পাঁচটি রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাচের পানি খুব কার্যকর:

১. হজম ও অ্যাসিডিটি দূর: আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা বলেন, এলাচের পানি পান করলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটি দূর হয়। এটি দ্রুত এবং উন্নত হজমে সহায়তা করে।

২. শরীরকে বিষমুক্ত করা: এলাচের পানি পান করলে তা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন) বের করে দিতে সাহায্য করে, যা শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখে।

৩. মুখের স্বাস্থ্য: এলাচ একটি প্রাকৃতিক মুখশুদ্ধি। এর পানি পান করা মুখের দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া কমাতেও উপকারী হতে পারে।

৪. রক্ত সঞ্চালন: এলাচের পানি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে, যা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সচল রাখতে জরুরি।

৫. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য: এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং সুস্থ হৃদযন্ত্র বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

এলাচের পানি পান করার পদ্ধতি খুবই সহজ:

তৈরির নিয়ম: চার থেকে পাঁচটি গোটা এলাচ দানা এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন।

সেবনের সময়: সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন।

সতর্কতা: পানি পান করার পর এক ঘণ্টা কিছু খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন।

পাঠকের মতামত: