ড্রোন দিয়ে ঘণ্টায় ১,৮০০ চারা রোপণ: প্রযুক্তিতে বন পুনরুদ্ধারের নজির

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ১৮:৩৮:৫১
ড্রোন দিয়ে ঘণ্টায় ১,৮০০ চারা রোপণ: প্রযুক্তিতে বন পুনরুদ্ধারের নজির
ছবিঃ সংগৃহীত

বন উজাড় রোধে নজির গড়ছে ব্রাজিল। দেশটি এখন উন্নত রোবট এবং জিওট্যাগিং ড্রোন ব্যবহার করে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১,৮০০টি গাছ রোপণ করছে—যা মানুষের হাতের কাজের চেয়ে বহুগুণ দ্রুত। এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্রাজিলের পুরো পুনঃবনায়ন প্রক্রিয়া এখন আরও দক্ষ ও টেকসই হচ্ছে।

দ্রুত বনায়ন ও পর্যবেক্ষণ

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গাছ রোপণ এবং পর্যবেক্ষণ দুটোই চলছে একইসঙ্গে:

রোপণ ও দক্ষতা: ড্রোনগুলো শুধু গাছ রোপণই নয়, বরং প্রতিটি চারা কোথায় লাগানো হলো, কীভাবে বেড়ে উঠছে এবং টিকে আছে কি না—তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে। এই পদ্ধতি পরিবেশবিদদের সহজে শনাক্ত করতে সাহায্য করছে যে কোন অঞ্চলগুলো সবচেয়ে বেশি বনহীন হয়েছে এবং কোথায় নতুন চারা লাগানো জরুরি।

উদ্দেশ্য: ব্রাজিলের এই উদ্যোগ অবৈধ বন উজাড় ও কৃষি সম্প্রসারণের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতি মোকাবিলার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রযুক্তি ও পরিবেশ পরিকল্পনাকে একত্র করে দেশটি দেখাচ্ছে—কীভাবে উদ্ভাবন বৃহৎ পরিসরে বন পুনরুদ্ধারে সহায়ক হতে পারে।

বৈশ্বিক প্রভাব

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মডেলটি বিশ্বজুড়ে অনুসরণ করা যেতে পারে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলে। প্রতিটি নতুন গাছ শুধু কার্বন শোষণই নয়, অসংখ্য প্রাণীর আবাসস্থল পুনর্গঠনে সহায়তা করছে, মাটি ও পানির ভারসাম্যও ফিরিয়ে আনছে। এই প্রকল্পটি প্রমাণ করছে—আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রকৃতি একসঙ্গে কাজ করলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবেশগত সংকটও মোকাবিলা করা সম্ভব।

Holiday Village

টেলিগ্রাম নিয়ে ভয়াবহ তথ্য! আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কি ঝুঁকিতে?

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৬:৫৬:৪১
টেলিগ্রাম নিয়ে ভয়াবহ তথ্য! আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কি ঝুঁকিতে?
ছবিঃ সংগৃহীত

ফেসবুকে এখন ভিন্ন ভিন্ন নামে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গ্রুপ ও পেজ। এসব গ্রুপে নিয়মিত শেয়ার করা হচ্ছে তরুণী-যুবতীদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিওর ডেমো ক্লিপ। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীদের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

অশ্লীল বাণিজ্যের প্রক্রিয়া

সূত্র জানায়, শুরুটা হয় ফেসবুকে। সেখানে ‘এক্সপোজ’ বা ‘ভাইরাল ভিডিও’ নামে পেজ-গ্রুপ খুলে আপত্তিকর স্ক্রিনশট পোস্ট করা হয়। এরপর দেওয়া হয় টেলিগ্রাম চ্যানেলের লিংক।

অর্থ লেনদেন: টেলিগ্রাম গ্রুপে প্রবেশ করলে প্রথমে দেওয়া হয় আংশিক ভিডিও। পুরো ভিডিও দেখতে হলে গুনতে হয় টাকা। নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে এসব ভিডিও কিনছে নানা বয়সী তরুণ-তরুণী।

সাবস্ক্রিপশন: ‘প্রিমিয়াম’ নামে মাসিক বা বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনও বিক্রি হচ্ছে। মাসে এক হাজার টাকা বা পুরো বছরের জন্য এককালীন টাকা পরিশোধ করলে সদস্যরা অশ্লীল কনটেন্ট দেখতে পান। অনেক সময় একজন নারীর ভিডিও ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।

অপরাধের উৎস: যেসব নারীর ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ব্যবহৃত হচ্ছে, তারা চরম মানসিক আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতারক প্রেমিক গোপনে ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করেছে, আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আইডি হ্যাক করেও ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

আইনের চোখ ও চক্রের কার্যক্রম

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই এসব চক্র গোপনে পর্ন ব্যবসা চালাচ্ছে। ফেসবুক ও টেলিগ্রাম ঘেঁটে এমন বহু গ্রুপের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘এক্সপোজ ভাইরাল ভিডিও’ (২০ হাজার সদস্য) এবং ‘ব্রেইনটস অফিসিয়াল ডেমো’ (৩৮ হাজার সদস্য)। এসব গ্রুপের অ্যাডমিনরা ছদ্মনাম ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার বলেন, “এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। প্রতিটি অভিযোগ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।”

তবে চক্রের সদস্যরা ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে থাকে এবং বিকাশ ও নগদের অ্যাকাউন্টও খোলা হয় ভুয়া তথ্য দিয়ে। ফলে তাদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনা কঠিন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, এ ধরনের ভিডিও তৈরি ও প্রচার একটি ফৌজদারি অপরাধ।

সূত্র : দৈনিক মানবজমিন


৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন: নতুন বস্তু অ্যামোনাইট

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ১১:০৭:২৮
৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন: নতুন বস্তু অ্যামোনাইট
সৌরজগতে রহস্যময় বস্তু শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা/ফ্রিপিক

সৌরজগতে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি রহস্যময় বস্তু শনাক্ত করেছেন, যার বৈজ্ঞানিক নাম ২০২৩ কেকিউ১৪। অ্যামোনাইট নামে পরিচিত এই বস্তুটি কক্ষপথের প্রচলিত নিয়ম মানছে না বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এটি বিরল ট্রান্স-নেপচুনিয়ান ক্ষুদ্র শ্রেণির অন্তর্গত, যাকে সেডনয়েড বলা হয়, এবং নেপচুনের কক্ষপথের অনেক দূরে অবস্থান করছে।

কক্ষপথের অমিল ও লুকানো গ্রহের শঙ্কা

তাইওয়ানের একাডেমিয়া সিনিকা ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকসের বিজ্ঞানী ই-টুং চেনের নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশের একদল বিজ্ঞানী বস্তুটি শনাক্ত করেছেন।

অমিল: বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই বস্তুটির গতিপথ আগে আবিষ্কৃত হওয়া তিনটি সেডনয়েডের গতিপথের সঙ্গে মিলছে না।

রহস্য: এই অমিলের কারণে বস্তুটি লুকানো কোনো দূরবর্তী গ্রহ কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বস্তুটির আচরণ প্রাথমিক সৌরজগতের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

৪০০ কোটি বছর আগের রহস্য

অ্যামোনাইট নামে বস্তুটি সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে ৬৬ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট দূরত্বে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, অ্যামোনাইটের কক্ষপথ কোটি কোটি বছর ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে অ্যামোনাইট যদি সৌরজগতের কোনো দূরবর্তী গ্রহ হয়, তবে তার কক্ষপথ সম্ভবত আরও দূরে হতে পারে।

অধিকাংশ দূরবর্তী ছোট বস্তু নেপচুনের কাছাকাছি থাকে এবং নেপচুনের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। সেডনয়েড ধরনের বস্তুর ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। বিজ্ঞানীদের মতে, অ্যামোনাইটের অবস্থান নেপচুনের সরাসরি মহাকর্ষীয় প্রভাবের বাইরে হওয়ায়, তাদের সামনে ৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগৎ কেমন ছিল, তা জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এই আবিষ্কার সেডনয়েডের তালিকায় এখন চারটি বস্তু অন্তর্ভুক্ত করল। বিজ্ঞানী ই-টুং চেন বলেন, “অ্যামোনাইট খুঁজে পাওয়ার কারণে সৌরজগতের সীমান্তে ধাঁধার একটি অনুপস্থিত টুকরা আবিষ্কার করা গেছে।”

সূত্র: আর্থ ডটকম


পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৯:২৩:৪৯
পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে
ছবিঃ সংগৃহীত

স্মার্টফোন বর্তমানে আমাদের জীবনের এক অপরিহার্য যন্ত্র। কল বা বার্তা পাঠানো ছাড়াও প্রাত্যহিক কাজ, বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার অপরিহার্য। কিন্তু প্রতিদিনের ব্যবহারে স্মার্টফোনে অসংখ্য তথ্য জমা হওয়ায় এবং একাধিক অ্যাপ চালু থাকার ফলে ফোন ধীরগতির হয়ে পড়ে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে অনেকে নতুন ফোন কেনার কথা ভাবেন। তবে সামান্য কিছু পরিবর্তন ও সচেতন ব্যবহারে পুরোনো ফোনটিই আগের মতো গতিশীল করে তোলা সম্ভব।

স্মার্টফোনের গতি বাড়ানোর ৫টি কার্যকর উপায়

১. ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু অ্যাপগুলো নিয়ন্ত্রণ: অনেক অ্যাপ ব্যবহার না করলেও ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। এই অ্যাপগুলো প্রসেসরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে, ফলে ফোন ধীরগতির হয় এবং ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যায়। ফোনের সেটিংসে গিয়ে কোন অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে, তা নির্ধারণ করে দিলে এই চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব।

২. ক্যাশে মেমোরি মুছে ফেলা: অ্যাপ ব্যবহারের সময় সাময়িক ডেটা ক্যাশে মেমোরি হিসেবে ফোনে জমা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই জমা ডেটা বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ফোনের সেটিংসে বা সিস্টেম লেভেল ক্লিয়ার ক্যাশের সুবিধা ব্যবহার করে ক্যাশে মুছে ফেললে ফোন হালকা হয়ে ওঠে, অ্যাপ চালু ও ব্যবহারে গতি ফেরে।

৩. অব্যবহৃত অ্যাপ সরিয়ে ফেলা: প্রায় সবার ক্ষেত্রেই ঘটে যে প্রয়োজনে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করার পর আর ব্যবহার করা হয় না। এই ধরনের অব্যবহৃত অ্যাপগুলো স্টোরেজ দখল করে রাখে এবং ফোনের গতি কমিয়ে দেয়। ফোনের ফিচারে অব্যবহৃত অ্যাপ শনাক্ত করে সেগুলো মুছে ফেললে স্টোরেজ খালি হয় এবং ফোন দ্রুত হয়।

৪. নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করা: ফোন নির্মাতারা নিয়মিত অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট দেন। এসব হালনাগাদে পারফরম্যান্স উন্নয়ন ও নিরাপত্তাজনিত পরিবর্তন যুক্ত করা হয়। অনেকে ডেটা খরচের কথা ভেবে আপডেট এড়িয়ে যান, যা ফোনের গতি ও স্থিতিশীলতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই সময়মতো আপডেট ইনস্টল করে নেওয়া জরুরি।

৫. ব্যাটারির ব্যবস্থাপনা: ব্যাটারির সঠিক ব্যবস্থাপনা ফোনের গতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফোনের স্ক্রিন ব্রাইটনেস খুব বেশি থাকলে বা ‘অলওয়েজ অন ডিসপ্লে’র মতো ফিচার চালু থাকলে প্রসেসরের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ব্যাটারি সেভার মোড চালু রাখা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণ করলে প্রসেসরের ওপর চাপ কমে এবং ফোন স্থিতিশীলভাবে কাজ করতে পারে।

নিউজ১৮


মানুষের বুদ্ধিমত্তা ছাড়িয়ে যাবে এআই, ‘সিঙ্গুলারিটি’ কি তবে সন্নিকটে?

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৯:২১:৪৬
মানুষের বুদ্ধিমত্তা ছাড়িয়ে যাবে এআই, ‘সিঙ্গুলারিটি’ কি তবে সন্নিকটে?
ছবিঃ সংগৃহীত

পৃথিবীতে মানুষ আবির্ভূত হওয়ার পর থেকে প্রায় তিন লাখ বছর ধরে প্রাণিজগতে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রজাতি হিসেবে টিকে আছে মানুষ। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (AI)-এর দ্রুত উন্নতি সেই শ্রেষ্ঠত্বের অবস্থানকে দীর্ঘদিন অক্ষুণ্ন রাখবে কি না, তা নিয়ে এখনই প্রশ্ন উঠছে। বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছেন, এমন এক সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে, যখন এআই প্রযুক্তি মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতাকেও ছাড়িয়ে যাবে। এই মুহূর্তটিকেই তাঁরা বলছেন ‘সিঙ্গুলারিটি’।

সিঙ্গুলারিটির নতুন সময়সীমা

‘সিঙ্গুলারিটি’ হলো সেই বিন্দু, যেখান থেকে এমন এক যুগের সূচনা হবে, যেখানে যন্ত্র মানুষের চেয়েও দ্রুত ও নিখুঁতভাবে চিন্তা করবে এবং মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে নিজেই নিজের উন্নয়ন ঘটাতে শুরু করবে।

গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এআইমাল্টিপলের একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ বছর আগেও বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, ২০৬০ সালের আগে এআই মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। কিন্তু এখন অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, সেই সময় হয়তো আর দূরে নয়—সম্ভবত কয়েক বছরের মধ্যেই ঘটতে পারে এই ঐতিহাসিক পরিবর্তন।

এআইমাল্টিপলের প্রধান বিশ্লেষক সেম দিলমেগানি বলেন, “সিঙ্গুলারিটি একটি কাল্পনিক ঘটনা, যা ঘটলে যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তা হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের মতো বৃদ্ধি পাবে। এ অবস্থায় একটি সিস্টেম মানুষের মতো চিন্তা করতে পারবে, কিন্তু গতিতে হবে অতিমানবীয় এবং স্মৃতিতে হবে প্রায় নিখুঁত।”

বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস

অ্যানথ্রপিকের সিইও দারিও আমোদি তার প্রবন্ধে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালেই সিঙ্গুলারিটি ঘটতে পারে। তখনকার এআই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নোবেলজয়ী মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান হবে।

প্রবৃদ্ধির গতি: সেম দিলমেগানির মতে, জেনারেটিভ এআইয়ের অগ্রগতি এত দ্রুত গতিতে ঘটছে যে, বর্তমানে শীর্ষ এআই মডেলগুলোর সক্ষমতা গড়ে প্রতি সাত মাসে দ্বিগুণ হচ্ছে। এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ‘বুদ্ধিমত্তার বিস্ফোরণ’ ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

সূত্র: ডেইলি মেইল


লাল তারার বিস্ফোরণ: মহাবিশ্বের গোপন নাট্যমঞ্চে মানুষের উপস্থিতি

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৪:৪৬:০৩
লাল তারার বিস্ফোরণ: মহাবিশ্বের গোপন নাট্যমঞ্চে মানুষের উপস্থিতি
ছবিঃ সংগৃহীত

মহাবিশ্বের এক মহারহস্যের পর্দা এবার যেন সরে গেল। প্রথমবারের মতো নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এক বিশাল লাল তারার বিস্ফোরণের ঠিক আগ মুহূর্তের ছবি তুলেছে। নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের নেতৃত্বে করা এই পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব সাফল্য। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এতদিন যেসব বিশাল তারা হঠাৎ ‘অদৃশ্য’ হয়ে যাচ্ছিল, তারা আসলে ধূলার আড়ালে লুকিয়ে ছিল।

‘এসএন২০২৫পিএইচটি’ ও রহস্যময় ধুলা

বিস্ফোরণের কেন্দ্র: গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু ‘এসএন২০২৫পিএইচটি’, একটি সুপারনোভা যা ২০২৫ সালের ২৯ জুন পৃথিবী থেকে প্রায় চার কোটি আলোবর্ষ দূরের ‘এনজিসি ১৬৩৭’ গ্যালাক্সিতে প্রথম শনাক্ত হয়।

শনাক্তকরণ: জেমস ওয়েবের ইনফ্রারেড দৃষ্টিতে বিজ্ঞানীরা হাবল টেলিস্কোপের পুরোনো ছবির সঙ্গে তুলনা করে বিস্ফোরিত তারাটিকে শনাক্ত করেছেন। এটি ছিল একটি গভীর লাল, বিশালাকার সুপারজায়ান্ট, যা সূর্যের চেয়ে প্রায় এক লাখ গুণ বেশি উজ্জ্বল।

ধুলার রহস্য: আশ্চর্যের বিষয় হলো, ধুলার ঘন আবরণ তার প্রকৃত উজ্জ্বলতাকে ঢেকে দিয়েছিল। ফলে যা দেখা যাচ্ছিল, তা আসলের একশ ভাগের এক ভাগ মাত্র। এই তারার চারপাশের ধুলা ছিল কার্বনসমৃদ্ধ, যেখানে সাধারণত সুপারজায়ান্ট তারায় ধুলা হয় অক্সিজেনভিত্তিক।

বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য

বিজ্ঞানীদের মতে, এটাই এখন পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে লাল, সবচেয়ে ধুলায় ঢাকা সুপারজায়ান্ট বিস্ফোরিত তারা। মৃত্যুর আগে তারাটির অভ্যন্তরীণ প্রবাহে পরিবর্তন এসেছিল, যার ফলে গভীর স্তর থেকে কার্বন উঠে এসে পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং তার ধুলার রসায়ন বদলে যায়। জেমস ওয়েবের এই ছবি মহাবিশ্বের বৃহৎ তারাগুলোর জীবন ও মৃত্যু বোঝার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এ ছবি শুধু এক তারার শেষ অধ্যায় নয়, এ যেন মহাবিশ্বের গোপন নাট্যমঞ্চে প্রথমবারের মতো মানুষের উপস্থিতি।


ফোন স্লো হয়ে গেলে কী করবেন? স্টোরেজ খালি করার ১০ সহজ কৌশল

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ১৭:০৭:৩৫
ফোন স্লো হয়ে গেলে কী করবেন? স্টোরেজ খালি করার ১০ সহজ কৌশল
ছবিঃ সংগৃহীত

স্মার্টফোনে জায়গা কমে গেলে ফোন ধীরগতিতে কাজ করে এবং নতুন অ্যাপ বা ফাইল ডাউনলোড করা কঠিন হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং ফোনের গতি স্বাভাবিক রাখতে সময়মতো স্টোরেজ খালি রাখা জরুরি। নিচে এমন ১০টি সহজ কৌশল দেওয়া হলো, যা আপনার ফোনের স্টোরেজ ফাঁকা রাখতে সাহায্য করবে।

স্টোরেজ খালি করার ১০ কৌশল

১. ভিডিও ও ছবি ক্লাউডে রাখুন: বড় ভিডিও ও ছবি ফোনে জমে থাকে। গুগল ড্রাইভ বা গুগল ফটোসের মতো ক্লাউড স্টোরেজে সংরক্ষণ করলে ফোনের অনেক জায়গা খালি থাকে।

২. ক্যাশে মেমোরি মুছে ফেলুন: প্রতিটি অ্যাপ ব্যবহারের সময় ক্যাশে তথ্য জমা হয়। ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাপের ক্যাশ ক্লিয়ার করলে অনেক জায়গা খালি হবে।

৩. অব্যবহৃত অ্যাপ ডিলিট করুন: যে অ্যাপগুলো আপনি কম ব্যবহার করেন বা প্রয়োজন নেই, সেগুলো মুছে ফোনের স্টোরেজ খালি করুন।

৪. অটোমেটিক ডাউনলোড বন্ধ করুন: হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রাম-এর মতো অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিডিয়া ডাউনলোড করে। এটি বন্ধ করলে স্টোরেজ সাশ্রয় হয়।

৫. চ্যাট অ্যাপের মিডিয়া ফাইল মুছে দিন: হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারের ছবি, ভিডিও ও অডিও ফাইলগুলো অ্যাপের সেটিংস থেকে ডিলিট করলে স্টোরেজ খালি হয়।

৬. পুরোনো ডাউনলোড ফাইল ডিলিট করুন: ডাউনলোড ফোল্ডারে অনেক পুরোনো ফাইল জমে থাকে। অপ্রয়োজনীয় ফাইল খুঁজে বের করে মুছে স্টোরেজ ফাঁকা করুন।

৭. স্টোরেজ অপটিমাইজেশন ব্যবহার করুন: অনেক ফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপ্রয়োজনীয় ফাইল সরানোর অপশন থাকে। এটি ব্যবহার করে জায়গা খালি রাখা যায়।

৮. জরুরি ফাইল ই-মেইলে সংরক্ষণ করুন: দরকারি ফাইল বা ছবি ই-মেইলে সংরক্ষণ করলে তা ফোনে বাড়তি জায়গা নেবে না।

৯. কম রেজোলিউশনের ছবি ব্যবহার করুন: কম গুরুত্বপূর্ণ ছবিগুলো কম রেজোলিউশনে সংরক্ষণ করলে স্টোরেজ কম লাগে।

১০. ফোন রিস্টার্ট করুন: মাঝে মাঝে ফোন রিস্টার্ট করলে অস্থায়ী ফাইল ও সিস্টেম ক্যাশ মুছে যায়। ফলে ফোন দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করে।

এই সহজ কৌশলগুলো অনুসরণ করলে আপনার ফোনের স্টোরেজ খালি থাকবে এবং প্রয়োজনের সময় দ্রুত কাজ করবে।


ইউটিউবে সাফল্য: আপনার চ্যানেলকে জনপ্রিয় করার ৮টি সহজ টিপস

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৯:৪৭:০৫
ইউটিউবে সাফল্য: আপনার চ্যানেলকে জনপ্রিয় করার ৮টি সহজ টিপস
ছবিঃ সংগৃহীত

আজকের দিনে ইউটিউব কেবল ভিডিও দেখার জায়গা নয়, এটি ক্যারিয়ার গড়ার অন্যতম বড় সুযোগ। কিন্তু ইউটিউবে সফল হতে শুধু ভিডিও বানালেই হবে না, সঠিক কিছু কৌশল অবলম্বন করা জরুরি। নিচে এমন ৮টি সহজ কিন্তু কার্যকর টিপস দেওয়া হলো, যা আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে দ্রুত জনপ্রিয় করে তুলবে।

ইউটিউব চ্যানেল সফল করার ৮ কৌশল

১. আকর্ষণীয় থাম্বনেইল ব্যবহার করুন: প্রথম দেখায় মানুষ থাম্বনেইল দেখে আকৃষ্ট হয়। তাই রঙিন, পরিষ্কার, এবং ভিডিওর বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে—এমন থাম্বনেইল ব্যবহার করুন, যা দর্শক টানবে বেশি।

২. ভিডিওর শুরুতেই মনোযোগ কাড়ুন: দর্শক যদি প্রথম ৫-১০ সেকেন্ডে আগ্রহ হারায়, তাহলে তারা ভিডিও ছেড়ে দেবে। তাই শুরুতে চমক—মজার প্রশ্ন, তথ্য বা ছোট গল্প দিন, যা মানুষকে পুরো ভিডিওটি দেখতে আগ্রহী করে তুলবে।

৩. নিয়মিত ভিডিও দিন, মান বজায় রাখুন: হাতেগোনা কয়েকটি ভালো ভিডিও নয়, বরং নিয়ম করে ভালো মানের ভিডিও দিতে পারলে তবেই আপনি দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে পারবেন। সপ্তাহে এক বা দুবার নির্দিষ্ট দিনে ভিডিও আপলোড করুন, যেন দর্শক অপেক্ষা করে।

৪. কাজের শব্দ (Keyword) ব্যবহার করুন: আপনার ভিডিও মানুষ কীভাবে খুঁজে পাবে? এর উত্তর হলো—ভিডিওর টাইটেল, ডিসক্রিপশন (বর্ণনা) ও ট্যাগে সঠিক কীওয়ার্ড বা শব্দ ব্যবহার করে। যেমন, কুকিং ভিডিওর জন্য ‘চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি’ বা ‘৫ মিনিটে সহজ রান্না’—এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করুন।

৫. কমেন্টে উত্তর দিন, সম্পর্ক তৈরি করুন: দর্শক শুধু দেখেই না, কথাও বলতে চায়। তাই ভিডিওতে প্রশ্ন করুন, মতামত জানতে চান, আর যারা কমেন্ট করেছে, তাদের রিপ্লাই দিন। এতে ফলোয়াররা আপনাকে কাছের মানুষ ভাববে।

৬. অন্যান্য মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার: আপনার ভিডিও শুধু ইউটিউবেই সীমাবদ্ধ রাখবেন না। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ বা টিকটকে শেয়ার করুন। কোলাবরেশন (সহযোগিতা) করলে নতুন দর্শক পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

৭. ভিডিওগুলো সিরিজ আকারে সাজান: একই ধরনের ভিডিও এক জায়গায় (প্লেলিস্টে) রাখলে মানুষ একটার পর একটা দেখতে চায়। এতে ভিউ এবং ওয়াচ টাইম—উভয়ই বাড়ে।

৮. ভিডিও শেষে সাবস্ক্রাইব করতে বলুন: অনেকে ভালো ভিডিও দেখেও সাবস্ক্রাইব করতে ভুলে যায়। তাই ভিডিওর শেষে একটা ছোট্ট অনুরোধ রাখুন—ভালো লাগলে সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না।

ইউটিউবে সফল হতে সময় লাগে, কিন্তু ভালো কনটেন্ট, ধৈর্য আর দর্শকের সঙ্গে সম্পর্ক—এই তিনটিই সফলতার চাবিকাঠি।

সূত্র : প্রযুক্তি


সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৬:০২:৫০
সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে

হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। পরিবার, বন্ধু বা কাজের কথা বলার জন্য এটি যেমন সুবিধাজনক, তেমনি ভুল করে অথবা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে কেউ ঢুকে গেলে, আপনার ব্যক্তিগত বার্তা, ছবি বা তথ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই—আপনি নিজেই খুব সহজে ৫টি উপায়ে দেখে নিতে পারেন, আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কেউ ব্যবহার করছে কি না।

সুরক্ষা নিশ্চিতের ৫টি সহজ উপায়

১. লিঙ্কড ডিভাইস চেক করুন: আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপে যান। এরপর Settings > Linked Devices অপশনে যান। এখানে যদি কোনো অজানা ডিভাইস (যেমন অচেনা ফোন, কম্পিউটার বা ব্রাউজার) যুক্ত থাকে, তাহলে সেটি থেকে Log out করে দিন। চাইলে এখান থেকেই আপনি সব ডিভাইস থেকে একবারে লগ আউট করতে পারবেন।

২. ওয়েব/ডেস্কটপে লগইনের নোটিফিকেশন: কেউ যদি হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব বা ডেস্কটপে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢোকে, তাহলে আপনার ফোনে একটি নোটিফিকেশন আসার কথা। এমন কিছু দেখলে দ্রুত সতর্ক হোন এবং যাচাই করে দেখুন।

৩. অচেনা চ্যাট বা বার্তা দেখলে খেয়াল করুন: আপনি লেখেননি, এমন কোনো বার্তা যদি কারও কাছে যায়, অথবা আপনি হঠাৎ কোনো নতুন গ্রুপে যুক্ত হয়ে যান—তাহলে বুঝবেন কেউ আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাক্সেস করছে।

৪. লাস্ট সিন বা অনলাইন স্ট্যাটাস মিলিয়ে দেখুন: আপনি অ্যাপে ঢোকেননি, অথচ কেউ আপনাকে ‘online’ বা ‘last seen recently’ দেখছে? এমন হলে ধরে নিন, কিছু একটা গড়বড় হচ্ছে এবং আপনার অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তা যাচাই করা প্রয়োজন।

৫. সিকিউরিটি কোড চেঞ্জ নোটিফিকেশন চালু করুন: কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকলে এনক্রিপশন সিকিউরিটি কোড বদলাতে পারে। এটি জানতে হলে Settings > Account > Security তে যান এবং Show Security Notifications অপশনটি চালু করুন।

বিশেষ পরামর্শ

দ্রুত পদক্ষেপ: অজানা কোনো ডিভাইসে লগ ইন থাকলে সঙ্গে সঙ্গে লগ আউট করুন।

নিরাপত্তা যাচাই: অচেনা বার্তা বা আচরণ দেখলে অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তা যাচাই করুন।

রিসেট: প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট রিসেট করুন এবং নতুন পিন ব্যবহার করুন।

নিজের তথ্য নিজেরই সুরক্ষা করতে হবে। একটু সচেতন থাকলেই হোয়াটসঅ্যাপে নিরাপদ থাকা সম্ভব।


চাঁদ কি ধ্বংস হতে চলেছে? বিজ্ঞানীদের পারমাণবিক হামলার পরিকল্পনা!

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৯:১৫:০৪
চাঁদ কি ধ্বংস হতে চলেছে? বিজ্ঞানীদের পারমাণবিক হামলার পরিকল্পনা!

মহাকাশে এক অভূতপূর্ব ও সাহসী পদক্ষেপের কথা ভাবছেন পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা: চাঁদে আঘাত হানতে ছুটে আসা একটি গ্রহাণুকে ধ্বংস করতে পারমাণবিক বিস্ফোরণের সিদ্ধান্ত! এই বিস্ফোরণ হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ব্যবহৃত বোমার চেয়েও পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি শক্তিশালী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন এমন চরম সিদ্ধান্ত এবং এর ফলে চাঁদ ও পৃথিবীর ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে?

২০৩২ সালের সম্ভাব্য হুমকি

বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, ২০৩২ সালে একটি গ্রহাণু চাঁদে আঘাত হানতে পারে। যদি এমনটা ঘটে, তাহলে চাঁদের টুকরো টুকরো ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনগুলোর (International Space Station) জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করবে।

বিকল্প পদক্ষেপের চিন্তা

এই সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটিকে তার গতিপথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিরাচরিত পদ্ধতির পরিবর্তে একটি ভিন্ন এবং শক্তিশালী পদক্ষেপের কথা ভাবছেন। তারা সরাসরি গ্রহাণুটির ওপর পারমাণবিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছেন।

'2024 YR4' গ্রহাণু

প্রাথমিকভাবে '2024 YR4' নামক প্রায় ৬০ মিটার প্রশস্ত এই গ্রহাণুটিকে পৃথিবীর জন্য হুমকি মনে করা হলেও, বর্তমানে বিজ্ঞানীরা বলছেন এটি পৃথিবীতে নয়, বরং চাঁদে আঘাত হানবে। পৃথিবীর জন্য তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, চাঁদের জন্য এটি বেশ বিপজ্জনক। এর ফলে পৃথিবীর জন্যও বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে।

উল্কা বৃষ্টির আশঙ্কা ও গবেষণা

যদি এই গ্রহাণুটি চাঁদে আঘাত হানে, তাহলে মহাকাশে প্রচুর পরিমাণে চাঁদের ভূমির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়বে। এতে পৃথিবী থেকে ব্যাপক উল্কা বৃষ্টি দেখা যেতে পারে। নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ব্রেন্ট বার্বের নেতৃত্বে একটি দল এই বিপদ কমানোর জন্য বিভিন্ন সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করেছে এবং তাদের গবেষণার ফলাফল একটি প্রি-প্রিন্ট পেপারে প্রকাশিত হয়েছে।

পারমাণবিক হামলার প্রস্তাবনা

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, গ্রহাণুটির গতিপথ পরিবর্তন করতে বড় কোনো বস্তু দিয়ে এটির পাশে আঘাত করা উচিত। নাসার ডার্ট মিশনের (DART mission) মতো করে আঘাত করার পরিকল্পনা চলছে, যেখানে একটি মহাকাশযান ব্যবহার করে ডিমরফস (Dimorphos) গ্রহাণুর কক্ষপথ সফলভাবে পরিবর্তন করা হয়েছিল। তবে, '2024 YR4' গ্রহাণুর ক্ষেত্রে গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করলে উল্টো তা পৃথিবীর দিকে চলে আসার ঝুঁকি রয়েছে, কারণ এর ভর ও গঠন সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই।

সময় এবং তথ্যের সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির গতিপথ পরিবর্তনের পরিবর্তে এটিকে ধ্বংসের কথা ভাবছেন। গবেষকরা গ্রহাণুটিকে পারমাণবিক বিস্ফোরকের দুটি ১০০ কিলোটনের ডিভাইস দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন, যা ১৯৪৫ সালে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে প্রায় পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি শক্তিশালী হবে। এই গবেষণাটি 'জার্নাল অফ দ্য অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল সায়েন্সেস' (Journal of the Astronautical Sciences) এ জমা দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: