দলীয় প্রধানকে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দেওয়ার দাবি অগণতান্ত্রিক:সালাহউদ্দিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২০ ১৯:৩০:২০
দলীয় প্রধানকে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দেওয়ার দাবি অগণতান্ত্রিক:সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ/ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে দলীয় প্রধানের জন্য সুযোগ খোলা রাখা উচিত, কারণ এটি তার গণতান্ত্রিক অধিকার। তিনি জানান, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আদালতের রায়ের ওপর আস্থা রাখছে। তবে আদালত ব্যবস্থা ফিরিয়ে না দিলে, সংসদ চাইলে আইন করে তা পুনরায় চালু করতে পারে বলেও মত দেন তিনি।

রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। আলোচনায় দুটি বিষয় উঠে আসে—তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও একজন ব্যক্তি একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, লিডার অফ দ্য হাউজ এবং দলীয় প্রধান হতে পারবেন কি না।

সালাহউদ্দিন জানান, আদালতে রিভিউ আবেদন বিচারাধীন থাকায় এখনই সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে বিএনপি আশা করছে, আদালতের মাধ্যমেই এ ব্যবস্থা ফিরবে। তা না হলেও সংসদীয় প্রক্রিয়ায় আইন করে এই পদ্ধতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ যেন রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে থাকে—এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের ঐকমত্য রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই কমিশন একটি খসড়া তৈরি করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ও দলীয় প্রধানের পদ একত্রে রাখা নিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশেই এমনটি হয়ে থাকে। তাই এটা গণতন্ত্রবিরোধী নয় বরং সংসদীয় পদ্ধতিরই অংশ। দলীয় প্রধানকে অযোগ্য ঘোষণা করার কোনো সুযোগ থাকা উচিত নয়। পার্লামেন্টারি পার্টি যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সে ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, আবার চাইলে অন্য কাউকে মনোনয়নও দিতে পারে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো কয়েকটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে কমিশন একটি খসড়া তৈরি করেছে। এই খসড়ায় দলগুলোর কোনো সংশোধনী থাকলে, তা জমা দিতে বলা হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা রাখার প্রস্তাব বিএনপির পক্ষ থেকে আর নেই বলেও জানান তিনি। নতুন প্রস্তাবে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, তৃতীয় বৃহত্তম দলের প্রতিনিধি এবং আরও দুজন সদস্য থাকবেন। এই কমিটি জনগণের কাছ থেকেও উপদেষ্টা পদের জন্য নাম আহ্বান করতে পারবে। এরপর শর্টলিস্ট করে প্রয়োজন হলে র‍্যাংকড চয়েস ভোটিংয়ের মাধ্যমে উপদেষ্টা নির্বাচন করা যাবে।

তিনি বলেন, এমন একজন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা করা হবে, যিনি নির্বাচনের সময় ৯০ দিনের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে সেই সময়সীমা আরও ৩০ দিন বাড়ানো যাবে। তবে দায়িত্ব হবে শুধুমাত্র রুটিন কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

সালাহউদ্দিন আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতা ও আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মাথায় রেখে আমরা যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ