শেখ হাসিনা আসন ও টাকা অফার করলেও আপোষ করিনি: নুরুল হক

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ১৯:০৯:৫০
শেখ হাসিনা আসন ও টাকা অফার করলেও আপোষ করিনি: নুরুল হক
ছবি : সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন আওয়ামী লীগের আমলে শেখ হাসিনা আমাদের আসন অফার করেছিলেন এবং টাকা অফার করেছিলেন। কিন্তু আমরা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপোষ করিনি। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন আমরা ২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না। যদি দেশের প্রয়োজনে জোট করি তবে তা ন্যায্যতার বিচারে সম্মানজনক আসন সমঝোতার ভিত্তিতেই হবে।

শনিবার ৬ ডিসেম্বর বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ বা নবীনগর আসনে দলীয় প্রার্থী পরিচয় করিয়ে দিতেই স্থানীয় গণঅধিকার পরিষদ এ জনসভার আয়োজন করে। সমাবেশে নুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহ সভাপতি নজরুল ইসলামকে এই আসনে দলের একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।

নির্বাচন ও জোট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশন তার কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। ১১ তারিখ তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকায় যদি নির্বাচন পেছানোর কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি হয় সেটি হয়তো নির্বাচন কমিশন এবং সরকার বিবেচনা করবে।

নুরুল হক নুর ঘোষণা দেন নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হোক আর এপ্রিলে হোক নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে। আর দেশের প্রয়োজনে কোনো জোট করলে যেসব জায়গায় জনসমর্থন আছে সেই সব আসন নিশ্চিত করেই কেবল জোট হবে।

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন আমরা দেখতে পাই কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা পুরনো ফ্যাসিস্টদের মতোই হুমকি ধামকি ও আধিপত্য বিস্তারের অপরাজনীতি দেশব্যাপী কায়েম করতে চায়। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে ১৬ বছরের অপশাসন মুহূর্তের মধ্যেই চুরমার হয়ে গেছে। জনগণের প্রতিবাদে নেতারা সীমান্ত দিয়ে হেলিকপ্টার দিয়ে নদী নালা ও খাল বিল দিয়ে যে যেভাবে পেরেছে পালিয়ে গেছে। কেউ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাদের পরিণতিও তাই হবে বলে তিনি সতর্ক করেন। গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন সকল রাজনৈতিক দলকে সংযত এবং সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান এই তরুণ নেতা।

নবীনগর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল হাসান তপু এবং নবীনগর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকসহ স্থানীয় নেতারা।


যথাসময়ে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: রিজভী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ১৮:৫৯:৫০
যথাসময়ে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: রিজভী
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন তারেক রহমান দূরে থেকেও দেশের মানুষের কাছে রয়েছেন এবং তিনি যথাসময়ে দেশে ফিরে নেতৃত্ব দেবেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন তারেক রহমান যখন মনে করবেন তখনই দেশে আসবেন এবং এতে কোনো বাধা হবে না। শনিবার ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিএনপি আয়োজিত দেশ গড়ার পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মসূচির প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী জানান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দূর থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে তৃণমূলে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি দেশ ও দেশের জনগণকে ভালোবাসেন বলেই যথাসময়ে দেশে ফিরে নেতৃত্ব দেবেন বলে নেতা-কর্মীদের আশ্বস্ত করেন।

তবে নির্বাচনী তফসিল বিলম্বিত হওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রিজভী। তিনি সতর্ক করে বলেন যদি নির্বাচনের তফসিল বিলম্বিত হয় তাহলে দেশের গণতন্ত্র দূর আকাশের তারা হয়ে যাবে। তিনি অভিযোগ করেন এত গুম খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ্য করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে নির্বাচন সেটি প্রলম্বিত হলে গণতন্ত্রের বিকাশ ব্যাহত হবে।

বিএনপি সবসময়ই পলিটিক্স অফ কমিটমেন্ট বা প্রতিশ্রুতির রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন অতীতেও দল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছে এবং ভবিষ্যতেও সে ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রত্যেকটি বাস্তবায়িত হবে এবং আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়ন কাজে লাগিয়ে তিনি প্রতিটি অঙ্গীকার বাস্তবে রূপ দেবেন। তাঁর প্রতিশ্রুতিতে চুল পরিমাণ বিচ্যুতি হবে না।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট টেনে তিনি বলেন অতীতে স্বামী মারা গেলে স্ত্রী ১৫ বছর পেনশন পেতেন। কিন্তু ১৯৯০ সালে বিএনপির ইশতেহারে ঘোষণা দেওয়া হয় স্বামী মারা গেলে স্ত্রী যতদিন জীবিত থাকবেন ততদিন পেনশনের টাকা পাবেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছিলেন বলে তিনি মনে করিয়ে দেন।


বাঁকাপথে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখলে সেই সূর্য আর উঠবে না: জামায়াত আমির

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ১৮:৩৯:৫২
বাঁকাপথে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখলে সেই সূর্য আর উঠবে না: জামায়াত আমির
সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াত আমির। ছবি: সমকাল

গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে সমমনা আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে নাম উল্লেখ না করে বিএনপিকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন একদল অপকর্ম করে চলে গেছে আর আরেক দল বাংলাদেশে অপকর্মের দায়িত্ব নিয়েছে। একদল চাঁদাবাজি করে জনগণের ব্যানার পুড়িয়েছে আর আরেক দল আবার তার চাইতে পেশিশক্তিতে চাঁদাবাজিতে নেমে পড়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন একদল দখলদার বনতে গিয়ে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে এখন আরেক দল বেপরোয়া দখলদার হয়ে পড়েছে। কেউ বাঁকাপথে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বলব সেই সূর্য আর উঠবে না।

শনিবার বিকেলে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত এই বিশাল বিভাগীয় সমাবেশে জামায়াত আমির এসব কথা বলেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন ৫৪ বছরে দেশের মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি কারণ বর্গীরা চলে যাওয়ার পর দেশের ভেতরে যারা ছিল তারা জনগণের সম্পদ ছোঁ মেরে নিয়ে চলে গেছে এবং দেশে দেশে বেগমপাড়া তৈরি করেছে। তিনি বলেন এভাবে অপকর্মের দায় নিয়ে ফ্যাসিস্টরা পালিয়েছে কিন্তু ফ্যাসিজমের কালো ছায়া বাংলাদেশ থেকে এখনো যায়নি।

রাজনীতিবিদদের আচরণের সমালোচনা করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন দেশবাসী আশা করেছিল অতীতে অপকর্মের পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজনীতিবিদরা নতুন রাজনীতি শুরু করবেন। কিন্তু তারা পুরোনো ধারায় পড়ে আছে। তারা সংস্কারে রাজি না এবং তারা সনদ বাস্তবায়নেও রাজি না। এমনকি গণভোটেও রাজি ছিল না কিন্তু পরে ধাক্কাইয়া রাজি করানো হয়। আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন তারা নির্বাচন বলে চিৎকার করে জনগণকে বেহুঁশ করে ফেলেছিল। এখন ভিন্ন সুরে কেউ কেউ বলছেন যা ভালো নয়। তিনি সতর্ক করেন যে বাংলাদেশের জনগণ আগামীতে তাদের লাল কার্ড দেখাবে। এই লাল কার্ড থেকে বাঁচতে গিয়ে নির্বাচনে প্রহসন করলে তাদের সব ষড়যন্ত্র ভণ্ডুল করে দেওয়া হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন কেউ যদি আবার চিন্তা করে বাঁকাপথে ক্যু করে ক্ষমতায় যাবে তবে তাদের বলব বন্ধু সেই সূর্য আর উঠবে না বরং নতুন সূর্য কোরআন হাতে নিয়ে উঠবে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন যারা ৫৩ বছর আমাদের জিম্মি করে রেখেছিল তারাই আজ নিরাপদ নয়। আজ চাঁদাবাজদের পক্ষে জনগণ নেই এবং তারা যতই পরিকল্পনা করুক জনগণ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হবেই। আগামীতে ইসলামী শক্তির উত্থান ঘটবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন যারা জুলাই যুদ্ধে রক্ত দিয়েছে তাদের রক্তের ওপর নতুন করে ফ্যাসিজম জন্ম দেওয়া যাবে না। তিনি অভিযোগ করেন জুলাই সনদ ও গণভোটে যাদের আপত্তি তারাই লুটপাটের পথ খুঁজছে। কিন্তু এ দেশে ইসলাম ও দেশপ্রেমিক জনতা তা কখনো হতে দেবে না। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যোগ দেন।


খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে: ডা. জাহিদ হোসেন 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ১৮:১৮:১৪
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে: ডা. জাহিদ হোসেন 
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাঁকে বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। শনিবার ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান তিনি।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে মেডিকেল বোর্ড। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত আছে তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তিনি জানান গত ৬ বছর ধরে মেডিকেল বোর্ড প্রতিকূল পরিবেশেও খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিয়ে আসছে এবং এখনো পেশাগত দক্ষতার সঙ্গে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসা সমন্বয়ের কাজে ডা. জোবাইদা রহমান সকাল ও বিকেল বোর্ডের বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

এর আগে লন্ডন থেকে শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। শনিবার দুপুরের পর শাশুড়ি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে তিনি হাসপাতালে যান। ডা. জাহিদ জানান পরিবারের সদস্য শামিলা রহমান ও শামীম এস্কান্দারসহ অন্যরাও নিয়মিতভাবে চিকিৎসার বিষয়ে অবহিত হচ্ছেন। খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা থাকলে গুজব না ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড সবুজ সংকেত দিলেই কাতারের রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডক্টর এনামুল হক চৌধুরী। শনিবার গণমাধ্যমকে তিনি জানান ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে কাতারের রয়্যাল অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে আসবে এবং সেভাবে তারা এখন প্রস্তুত রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স আনার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি স্পষ্ট করেন যে কাতার কর্তৃপক্ষই জার্মানি থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। মেডিকেল বোর্ড যখনই সিদ্ধান্ত জানাবে তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে এবং খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড তাঁর চিকিৎসা দিচ্ছে যেখানে তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানও সদস্য হিসেবে যুক্ত আছেন। বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে এবং তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।


বাগদানের তিন মাস পর ঘরোয়া আয়োজনে সম্পন্ন হলো হান্নান ও জেদনীর বিয়ে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ১১:৪০:৩৭
বাগদানের তিন মাস পর ঘরোয়া আয়োজনে সম্পন্ন হলো হান্নান ও জেদনীর বিয়ে
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির বা এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক পর্ষদের সদস্য আবদুল হান্নান মাসউদ বিয়ে করেছেন। পাত্রী জাতীয় ছাত্রশক্তির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী সুলতানা জেদনী। শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর রাজধানীতে ঘরোয়াভাবে এই বিয়ে সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে।

বিয়ের অনুষ্ঠানে নববিবাহিতা দম্পতির সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ ও জাতীয় ছাত্রশক্তির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী সুলতানা জেদনীর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আবেগঘন মন্তব্য করে বলেন জুলাইয়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে গড়ে ওঠা দুজন রাজনীতিবিদের এই আয়োজনে থাকতে পেরে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে নিজেকে।

জানা গেছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। সেদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে বাগদানের বিষয়টি জানিয়েছিলেন হান্নান মাসউদ। অন্যদিকে শ্যামলী সুলতানা জেদনী গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক পদে ছিলেন। পরে সংগঠনটি বিলুপ্ত হলে নতুন করে জাতীয় ছাত্রশক্তি গঠিত হলে তিনি ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক অঙ্গনের এই দুই পরিচিত মুখের বিয়েতে শুভাকাঙ্ক্ষীরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।


চিকিৎসার হাল ধরতে এভারকেয়ারে ডা. জোবাইদা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ১০:৫৭:২২
চিকিৎসার হাল ধরতে এভারকেয়ারে ডা. জোবাইদা
ছবি : সংগৃহীত

এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে বিলম্বের কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে। দল থেকে রোববার লন্ডনে নেওয়ার কথা থাকলেও তার পুরোটাই নির্ভর করছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসা এবং খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ওপর। সূত্র জানায় কাতার আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসতে কারিগরি ত্রুটির কারণে দু একদিন বিলম্ব হতে পারে। যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন শনিবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছাবে এবং রোববার খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে।

৮০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার রাতে তাঁর এন্ডোস্কোপি করা হয় এবং এতে পাকস্থলীর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। পরে তাঁর আরেকটি মাইনর অপারেশন সম্পন্ন হয়। এদিন সকালে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই বিমানবন্দর থেকে সরাসরি শাশুড়িকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছুটে যান পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। সেখানে তিনি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। পেশায় চিকিৎসক জোবাইদা নিজেও তাঁর শাশুড়ির জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান বৃহস্পতিবার রাতে খালেদা জিয়ার হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে যা যাত্রা পিছিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। বোর্ড দ্রুত বৈঠকে বসে আলোচনার ভিত্তিতে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়ার দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টারও বেশি আকাশপথের লন্ডন যাত্রা সম্ভব হবে কি না সে বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে স্বস্তির খবর হলো খালেদা জিয়ার চেস্ট বা বুক পরিষ্কার হচ্ছে এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় যেখানে কফ জমে ছিল তা কমছে।

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন চিকিৎসকরা নিশ্চিত করলেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে। খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন তাঁরা আশা করছেন শনিবার কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে এসে পৌঁছালে রোববার তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় শুক্রবার বঙ্গভবনসহ সারা দেশে বাদ জুমা মসজিদ মন্দির ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জুমার নামাজের পর বঙ্গভবনের সব মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সংলগ্ন মসজিদেও দোয়া প্রার্থনায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ নেতাকর্মীরা অংশ নেন। হাসপাতালের সামনে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে এবং সাধারণ মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করতে দেখা গেছে।


স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে মাইনাস টু ফর্মুলা ভেস্তে দেওয়া এক অদম্য নেত্রীর গল্প

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ০৯:২৮:৪৫
স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে মাইনাস টু ফর্মুলা ভেস্তে দেওয়া এক অদম্য নেত্রীর গল্প
বেগম খালেদা জিয়া।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিস্তৃত পরিক্রমায় তিনিই সেই অনিবার্য ও অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব যাঁকে উপেক্ষা করে ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। দমন পীড়ন ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নির্মমতা কিংবা ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ কষ্ট শোক কোনো কিছুই খালেদা জিয়াকে দমিয়ে দিতে পারেনি। তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন নেতৃত্ব শুধু ক্ষমতার আসন নয় বরং তা জনগণের প্রতি অঙ্গীকার ন্যায়ের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সংকটের মুখে দৃঢ় থাকার সাহস ও ধৈর্য ধারণ। অথই প্রতিকূলতার মাঝেও যে শান্ত স্থির অথচ প্রবল প্রাণশক্তির বহিঃপ্রকাশ তিনি দেখিয়েছেন সেটিই তাঁকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় স্তম্ভে পরিণত করেছে।

আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্রের যে শ্বাস প্রশ্বাস ফিরে পাওয়া এর পেছনে তাঁর দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম ও অবিচল অবস্থানই সবচেয়ে উজ্জ্বলভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তাই ইতিহাসের বিচারে সংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ে এবং জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিটি স্রোতোধারায় তিনিই প্রধান কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হন। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর ভূমিকা ছিল সংঘর্ষমুখী সাহস ও কৌশলগত ধৈর্য এবং রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির এক বিরল সমন্বয়। তাঁর প্রত্যাখ্যানেই ভেস্তে যায় ওয়ান ইলেভেনের মাইনাস টু ফর্মুলা এবং তাঁর শক্ত অবস্থানের কারণেই প্রশ্নবিদ্ধ হয় একদলীয় নির্বাচনের বৈধতা। তাঁর নেতৃত্বেই বিএনপি টিকে থাকে সবচেয়ে দীর্ঘ দমন পীড়নের মধ্যেও।

রাষ্ট্রীয় শক্তির সব রকম ব্যবহার এবং আদালত প্রশাসনের রাজনৈতিকীকরণ থেকে শুরু করে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও পরিবারকে টার্গেট করা কোনো কিছুর সামনে তিনি ভেঙে পড়েননি। এই দৃঢ়তা ও আপসহীন অবস্থানই তাঁকে বিশেষ সম্মানিত ব্যক্তিত্ব মর্যাদায় ভূষিত করেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে খুব কম নেতাই আছেন যাঁদের উত্থান একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয় বরং তা একটি সময়ের দাবি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যার পর দেশ যখন নেতৃত্বশূন্যতার গভীর সংকটে তখন বিএনপির অস্তিত্বই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। বিচারপতি আব্দুস সাত্তার দায়িত্ব নিলেও দলের জন্য প্রয়োজন ছিল এমন একজন নেতার যিনি বহুমাত্রিক সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়ে দল রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ধরে রাখতে পারবেন।

এই শূন্যতার মুহূর্তেই খালেদা জিয়া সামনে এলেন। ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ করে যখন তিনি রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করলেন তার মাত্র তিন মাস পরই দেশ তলিয়ে গেল সামরিক অভ্যুত্থানের অন্ধকারে। জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা দখল গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করে দিল আর তার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই প্রবল ও স্পষ্ট অবস্থান নিলেন খালেদা জিয়া। ১৯৮৩ সালের মার্চে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান এবং ১ এপ্রিল প্রথম বর্ধিত সভায় জানিয়ে দিলেন বিএনপি শুধু টিকে থাকবে না লড়বেও।

১৯৯০ সালে ছাত্রনেতা জেহাদের শাহাদাতের পর ২৪টি ছাত্রসংগঠন নিয়ে গঠিত হয় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য। নূর হোসেনের শাহাদাতের পর আন্দোলন অগ্নিগর্ভ রূপ নেয়। খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে এই গণআন্দোলনই পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচার এরশাদ পতনের পথ প্রশস্ত করে। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ১৪০টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব কটিতে জয়ী হন। ২০ মার্চ তিনি ৩২ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাঁচ দফা জাতীয় নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। চারবার পাঁচটি আসনে এবং একবার তিনটি আসনে জয়ী হয়ে বিশ্বরাজনীতিতেও এক অনন্য রেকর্ড গড়েন তিনি। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি স্টেট সিনেট তাঁকে গণতন্ত্রের যোদ্ধা উপাধিতে ভূষিত করে। অর্থনীতিতে তাঁর বড় অবদানগুলোর মধ্যে রয়েছে মুক্তবাজার অর্থনীতির সূচনা এবং আয়করের হার ৫৫ থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ২০০৫ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় তাঁর স্থান হয় ২৯তম।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনা সমর্থিত জরুরি অবস্থা জারি হয় এবং ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই সরকার দুর্নীতি দমনের নামে মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালায় যেখানে বিএনপি ও জিয়া পরিবার ছিল মূল টার্গেট। ৭ মার্চ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং এপ্রিল মাসে খালেদা জিয়াকে জোর করে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ হলে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে কার্যত গৃহবন্দি করা হয় এবং তাঁর দুই ছেলে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন। সেপ্টেম্বরে খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় যা আন্তর্জাতিক মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেয়। পরবর্তী সময়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আরও সাত বছরের সাজা হয়। অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘদিন তাঁকে বন্দি রাখা হয় এবং বিদেশে চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পরদিন রাষ্ট্রপতির আদেশে খালেদা জিয়ার শাস্তি মওকুফ ও মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। মুক্তির পরদিন ৭ আগস্ট বিএনপির মহাসমাবেশে তিনি অংশ নেন। বাংলাদেশের স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রের উত্তরণের অগ্নিঝরা লড়াই সংগ্রামে যাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য তিনি খালেদা জিয়া। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের আলো জ্বালিয়ে রাখা এক অদম্য নেত্রী যিনি গণমানুষের আশ্রয়স্থল ও প্রত্যাশার বাতিঘর।

লেখক : যুগ্ম সম্পাদক, কালের কণ্ঠ


মাইনর অপারেশনের পরেও ঝুঁকিমুক্ত নন বিএনপি চেয়ারপারসন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ০৯:০৬:০৩
মাইনর অপারেশনের পরেও ঝুঁকিমুক্ত নন বিএনপি চেয়ারপারসন
ছবি : সংগৃহীত

এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিলম্বের কারণে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়েছে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে আজ শনিবার দিনের যে কোনো সময় বিশেষ এই বিমানটি ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। শারীরিক অবস্থাসহ চিকিৎসকদের অনুমতি মিললে আগামীকাল রবিবার দিনের প্রথম ভাগে তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে বলে দলীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার এন্ডোস্কোপি করা হয় এবং পরে তাঁর আরেকটি মাইনর অপারেশন সম্পন্ন হয়। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলেও তিনি চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তাঁর চিকিৎসা চলছে। মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান সবচেয়ে ভালো লক্ষণ হলো খালেদা জিয়ার চেস্ট বা বুক পরিষ্কার হচ্ছে এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় যেখানে কফ জমে ছিল তা কমছে। তবে হৃদযন্ত্র লিভার ও কিডনির জটিলতা এখনো কাটছে না।

লন্ডনযাত্রা পুরোপুরি নির্ভর করবে শারীরিক অবস্থার ওপর। মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. জিয়াউল হক শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন তাঁর অবস্থা এখনো ক্রিটিক্যাল এবং ঝুঁকিমুক্ত নন। তিনি জানান মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে যে খালেদা জিয়াকে ১৩ ঘণ্টা বিমানে রেখে লন্ডনে নেওয়া সম্ভব হবে কি না।

এদিকে শুক্রবার সকালে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই শাশুড়ি খালেদা জিয়ার শয্যা পাশে যান পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। তিনি সরাসরি বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান এবং মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান কাতার রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি থাকায় দেশটির আমির তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছেন যা শনিবার বিকেল ৫টায় ঢাকায় অবতরণ করবে। এখন যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসছে সেটিও কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কিন্তু এটি জার্মান কোম্পানির তৈরি।

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় শুক্রবার সারাদেশে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে দোয়া ও প্রার্থনা করেছেন বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সংলগ্ন মসজিদে দোয়া প্রার্থনায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এছাড়া হাসপাতালের সামনে প্রতিদিনই বাড়ছে ভিড় এবং সাধারণ মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করতে দেখা গেছে।


 লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ারে ডা. জুবাইদা রহমান 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৫ ১১:৪৫:২৪
 লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ারে ডা. জুবাইদা রহমান 
ডা. জুবাইদা রহমান। ছবি : সংগৃহীত

লন্ডন থেকে দেশে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান তিনি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না দিয়ে সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও তাঁর শাশুড়ি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতেই তাঁর এই তড়িঘড়ি আগমন।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে দেশে পৌঁছানোর পর ডা. জুবাইদা রহমান গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তিনি সোজা হাসপাতালে চলে যান যেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়ার প্রক্রিয়া তদারকি করতেই ডা. জুবাইদা দেশে এসেছেন।

এর আগে এদিন কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে না পৌঁছানোয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিয়ে যাওয়ার সময় পিছিয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন কারিগরি ত্রুটির কারণে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার ঢাকায় আসছে না তবে সব ঠিক থাকলে সেটা শনিবার ৬ ডিসেম্বর পৌঁছাতে পারে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন ম্যাডামের শরীর যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে ইনশাআল্লাহ রোববার ৭ ডিসেম্বর তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। ডা. জুবাইদা রহমানের উপস্থিতি এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের প্রতিক্ষায় থাকা খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রার প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।


এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় পেছাল বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশ যাত্রা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৫ ১০:৫৭:৫৮
এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় পেছাল বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশ যাত্রা
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত

কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে না পৌঁছানোয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিয়ে যাওয়ার সময় পিছিয়েছে। শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন কারিগরি ত্রুটির কারণে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার ঢাকায় আসছে না তবে সব ঠিক থাকলে সেটা শনিবার ৬ ডিসেম্বর পৌঁছাতে পারে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন ম্যাডামের শরীর যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে ইনশাআল্লাহ রোববার ৭ ডিসেম্বর তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার এভারকেয়ার হাসপাতালে বৈঠকে বসে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড যেখানে যুক্তরাজ্য ও চীন থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অংশ নেন। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণের পর তাঁকে লন্ডনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

জানা যায় লন্ডন ব্রিজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে। হাসপাতালটি লন্ডনের টেমস নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং যুক্তরাজ্যের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত। এটি কার্ডিয়াক অর্থোপেডিক ক্যানসার ও স্নায়ুরোগের চিকিৎসার জন্য বিখ্যাত এবং সেখানে অত্যাধুনিক সুবিধা ও বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসকরা রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছে। বিমানে যাতে যেকোনো প্রতিকূলতার মধ্যেও তাঁকে সুস্থভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল এবং বাইরের দুজন চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে থাকবেন।

খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে মোট ১৪ জন লন্ডনে যাবেন। তাঁরা হলেন খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ডক্টর মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকি ডা. মো. শাহাবুদ্দিন তালুকদার ডা. নূরউদ্দিন আহমদ ডা. মো. জাফর ইকবাল ডা. মোহাম্মদ আল মামুন এসএসএফের হাসান শাহরিয়ার ইকবাল ও সৈয়দ সামিন মাহফুজ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী মো. আবদুল হাই মল্লিক সহকারী ব্যক্তিগত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রূপা শিকদার।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত