জুলকারনাইনের প্রতিবাদ: তারেক-খালেদার 'রাজকীয় চেয়ার' খবরে নতুন বিতর্ক

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৬ ১০:৩০:০২
জুলকারনাইনের প্রতিবাদ: তারেক-খালেদার 'রাজকীয় চেয়ার' খবরে নতুন বিতর্ক

সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য ‘রাজকীয় চেয়ার’ তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি জয়নাল আবেদীন এই চেয়ারগুলো নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করছেন।

তবে এই সংবাদে উঠে এসেছে সাংবাদিকতার নীতিগত প্রশ্ন এবং রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে বিতর্ক। অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “প্রথম আলোর এই সংবাদটি মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নেতিবাচক রাজনৈতিক ন্যারেটিভ তৈরির একটি চক্রান্ত।”

জুলকারনাইন আরও উল্লেখ করেন, ‘রাজকীয় চেয়ার’ শব্দগুচ্ছকে কোটেশন মার্কসহিত তুলে ধরা হলেও, এর মাধ্যমে পাঠকের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সংবাদটি ক্লিকবেইটের সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। তার মতে, আসলে এটি একটি স্থানীয় নেতার ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি আসবাবপত্র, যেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনও সরাসরি সংশ্লিষ্টতা নেই। তথাপি সংবাদটি উপস্থাপনায় দলে একটি কেন্দ্রিয় উদ্যোগের ছাপ দেওয়া হয়েছে, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণের জন্য ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে।

তিনি এই ধরনের সাংবাদিকতার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কথাও উল্লেখ করেন, যা সাধারণ পাঠকদের কাছে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করছে। জুলকারনাইনের মতে, এ ধরনের সংবাদ ‘সাংবাদিকতার আড়ালে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ’ হতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়নি। তবে এই বিতর্কিত প্রতিবেদন ও এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া সংবাদ মাধ্যমে ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের প্রতিবেদন সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও পেশাদারিত্বের প্রশ্ন উত্থাপন করে। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবেশে সংবাদ প্রকাশনার পদ্ধতি ও উদ্দেশ্য নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সন্দেহ ও বিভ্রান্তি বাড়ছে। রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি ও জনমতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এ ধরনের তথ্য-প্রচার, যা গণমাধ্যমের বিশ্বস্ততা ও স্বচ্ছতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এ ঘটনা দেশের মিডিয়া এবং রাজনীতি দুই ক্ষেত্রেই সাংবাদিকতা, তথ্য উপস্থাপন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ন্ত্রণের জটিল দিকগুলো সামনে এনে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এসব ইস্যু নিয়ে আরও সুদূরপ্রসারী আলোচনা ও কর্মশালা হওয়ার সম্ভাবনা থাকায়, সংবাদমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখার ওপর নজরদারি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ