জুলকারনাইনের প্রতিবাদ: তারেক-খালেদার 'রাজকীয় চেয়ার' খবরে নতুন বিতর্ক

সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য ‘রাজকীয় চেয়ার’ তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি জয়নাল আবেদীন এই চেয়ারগুলো নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করছেন।
তবে এই সংবাদে উঠে এসেছে সাংবাদিকতার নীতিগত প্রশ্ন এবং রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে বিতর্ক। অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “প্রথম আলোর এই সংবাদটি মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নেতিবাচক রাজনৈতিক ন্যারেটিভ তৈরির একটি চক্রান্ত।”
জুলকারনাইন আরও উল্লেখ করেন, ‘রাজকীয় চেয়ার’ শব্দগুচ্ছকে কোটেশন মার্কসহিত তুলে ধরা হলেও, এর মাধ্যমে পাঠকের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সংবাদটি ক্লিকবেইটের সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। তার মতে, আসলে এটি একটি স্থানীয় নেতার ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি আসবাবপত্র, যেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনও সরাসরি সংশ্লিষ্টতা নেই। তথাপি সংবাদটি উপস্থাপনায় দলে একটি কেন্দ্রিয় উদ্যোগের ছাপ দেওয়া হয়েছে, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণের জন্য ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে।
তিনি এই ধরনের সাংবাদিকতার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কথাও উল্লেখ করেন, যা সাধারণ পাঠকদের কাছে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করছে। জুলকারনাইনের মতে, এ ধরনের সংবাদ ‘সাংবাদিকতার আড়ালে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ’ হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়নি। তবে এই বিতর্কিত প্রতিবেদন ও এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া সংবাদ মাধ্যমে ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের প্রতিবেদন সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও পেশাদারিত্বের প্রশ্ন উত্থাপন করে। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবেশে সংবাদ প্রকাশনার পদ্ধতি ও উদ্দেশ্য নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সন্দেহ ও বিভ্রান্তি বাড়ছে। রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি ও জনমতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এ ধরনের তথ্য-প্রচার, যা গণমাধ্যমের বিশ্বস্ততা ও স্বচ্ছতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এ ঘটনা দেশের মিডিয়া এবং রাজনীতি দুই ক্ষেত্রেই সাংবাদিকতা, তথ্য উপস্থাপন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ন্ত্রণের জটিল দিকগুলো সামনে এনে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এসব ইস্যু নিয়ে আরও সুদূরপ্রসারী আলোচনা ও কর্মশালা হওয়ার সম্ভাবনা থাকায়, সংবাদমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখার ওপর নজরদারি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক
‘মোদির বিরুদ্ধে মিছিল করা বাহার এখন মেয়েকে নিয়ে কলকাতায়’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পূর্নিমা রানী শীল লগ্নজিতা নামে এক তরুণী দাবি করেছেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মিছিল করা কুমিল্লার সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনাকে নিয়ে কলকাতার রাজারহাট নিউটাউনে লুকিয়ে আছেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছিল। এবং ভারত সরকারের বিরুদ্ধে এই সেই কুকুর যে কি না আওয়ামী লীগের খেয়ে পরে মোদির সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় কাট মোল্লা নিয়ে মিছিল করে সে কেন ভারতের মাটিতে।”
ওই তরুণী আরও অভিযোগ করেন, “২০২১ সালে বাংলাদেশে দুর্গাপূজায় হামলার পেছনে বাংলাদেশি আওয়ামী লীগ নেতা বাহার উদ্দিন বাহার যিনি পূজা মণ্ডপে কোরআন রেখেছিলেন। তখন সারা বাংলাদেশে পুজোর বারোটা বাজিয়েছিল।” তিনি ভারত সরকার ও রাজ্য সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, এই ধরনের ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা ঠিক কি না। তিনি আরও বলেন, এই 'রাজাকার আলবদরকে' অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক।
/আশিক
আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক অঙ্গনে রাখতে হবে: নুরুল হক নুর
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, এক বছরে বর্তমান সরকার যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, আওয়ামী লীগ তা ১৬ বছরে করেছিল। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, সামনে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হতে পারে। এই কারণে তিনি মনে করেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক অঙ্গনে রাখা প্রয়োজন।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, “কিছুদিন আগে বিআইজিডি ব্র্যাকের একটি জরিপে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের সমর্থন মাত্র ৭ শতাংশ। অর্থাৎ, একটি ন্যারেটিভ ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে যে, পরবর্তী চূড়ান্ত নির্বাচনের আগে দেখানো হবে আওয়ামী লীগের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জনসমর্থন আছে। সেক্ষেত্রে এই দলটিকে বাদ দিয়ে কীভাবে নির্বাচন সম্ভব?”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকাংশে পশ্চিমা বিশ্বের ওপর নির্ভরশীল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের যথাক্রমে ১০ বিলিয়ন ও ১৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে। এ অবস্থায় বিদেশিরা যদি বলে, ‘তোমরা যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি না করো, তাহলে আমরা তোমাদের দেশে শার্ট-প্যান্ট কেনা কমিয়ে দেবো।’ তখন ড. ইউনূস বা অন্যান্য রাজনীতিবিদদের অর্থনীতিকে সচল রাখতে এবং দেশকে পরিচালনা করতে হলে আওয়ামী লীগকে নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এমন একটি পরিস্থিতি সামনে তৈরি হতে পারে বলেও তিনি মনে করেন।
নুর বলেন, “আমরা যারা গণঅভ্যুত্থানের দাবিদার, তারা গত এক বছরে যে কাজগুলো করেছি, সেটি বাস্তবসম্মতভাবে আওয়ামী লীগকে আবার ফিরে আসার একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এটিই বাস্তব।”
/আশিক
আদর্শ মা’র আশীর্বাদ: কাজ হারিয়ে এবার আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চাইলেন জয়
অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় তার সাম্প্রতিক ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। আমেরিকায় অবস্থানরত জয় তার পোস্টে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন, যেখানে তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বাদ না রাখার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। তার এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) জয় তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, বিদেশের মাটিতে তার নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অনেকে পছন্দ করলেও বিএনপিকে আগামীতে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি লেখেন, “আওয়ামী লীগের যতই দোষ থাকুক, একটা বিশাল শ্রেণির জনগণ আওয়ামী লীগের সাপোর্টার, তাদের বাদ রেখে ইলেকশন করলে সেই ইলেকশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আসবে এবং ভবিষ্যতে বিভক্তি আরও বেশি তৈরি হবে।”
জয়ের এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। জাহিদ খান নামে একজন তার স্ট্যাটাসে লেখেন, “বিএনপি-জামায়াত ছাড়া ইতোপূর্বে যে নির্বাচনগুলো আওয়ামী লীগ সরকার করেছে, তখন তোমার এরকম প্রতিবাদী পোস্ট কোথায় ছিল?”
ইসমাইল হোসেন মন্তব্য করেন, “এটা একদম ক্লিয়ার, আপনি আওয়ামী লীগের কথা বলতেই এতো কিছু ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে লিখেছেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া যা বলার বলেন সমস্যা নাই। আওয়ামী লীগ একটা সন্ত্রাসী সংগঠন, এরা সুযোগ পেলে দেশ আর দেশ রাখবে না।”
আবু তাহের চৌধুরী বলেন, “আওয়ামী লীগ এখন আর কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের মানুষকে গুম, খুন, নির্যাতন আর লুটপাট করে অবশেষে গণহত্যা চালিয়ে পলায়ন করেছে।”
জাবের এইচ সুমন বলেন, “আওয়ামী লীগ যেভাবে দেশের অধিকাংশ দলকে চারটা নির্বাচন থেকে দূরে রেখেছে, আওয়ামী লীগকেও চারবার দূরে রাখতে হবে, প্রয়োজন হলে আইনের মাধ্যমে করা দরকার, তখন শিক্ষা হবে।”
দেলোয়ার হোসাইন ও মামুন হোসাইন-এর মতো অনেকেই জয়কে গত ১৬ বছরে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার কারণে এখন আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পক্ষে কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেন। মুজাফ্ফার নামের একজন লেখেন, “আওয়ামী লীগের সময় তো বিড়ালের মতো চুপ করে ছিলি।”
টুটুল জহিরুল ইসলাম কটাক্ষ করে বলেন, “হা হা হা। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চাই।” তিনি আরও যোগ করেন, “আওয়ামী লীগ যখন ভোটারবিহীন একদলীয় নির্বাচন করেছিল, দিনের ভোট রাতে করেছিল তখন এই জাতীয় কোনো পোস্ট করে থাকলে প্লিজ এখানে স্ক্রিনশট যুক্ত করুন। শোনেন মিয়া ভাই, চামচামি একটা জন্মগত অসুখের নাম। আগে সুস্থ হতে হবে।”
সাদেকুল ইসলাম সরাসরি মন্তব্য করেন, “জয় আওয়ামী লীগের দালালের মতো কথা বলছো।” আহমেদ নুর বলেন, “জয় নিজের কথা বাইরের মানুষের নামে চালায়া দিয়েছে!”
এর আগে, ২০১৪ সালে জয় প্লট চেয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ‘উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী’ ও ‘আদর্শ মা’ বলে সম্বোধন করে চিঠি লিখেছিলেন। ওই চিঠিতে তিনি নিজেকে ‘আপনার সুযোগ্য পুত্রের নামের আরেক পুত্র’ হিসেবে উল্লেখ করে পূর্বাচলে একটি প্লট পাওয়ার আবদার জানান। সেই চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে তিনি কাজ হারাতে শুরু করেন এবং ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানানোয় তাকে ‘কালচারাল ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে তার ছবিতে চুনকালি ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়।
/আশিক
ফেসবুক পোস্টে রনির বিরুদ্ধে জুলকারনাইন সায়েরের ক্ষোভ
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনিকে তীব্র সমালোচনা করে তাকে ‘পল্টিবাজ’ আখ্যায়িত করেছেন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এ মন্তব্য করেন, যা দ্রুতই নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দেয়।
জুলকারনাইন সায়ের লিখেছেন, মৃত মা-বাবাকে নিয়ে নোংরা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা অত্যন্ত অমানবিক এবং সভ্য সমাজে অগ্রহণযোগ্য কাজ। তার নজরে আসে, গোলাম মাওলা রনি প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের মৃত মাকে নিয়ে অবমাননাকর একটি পোস্ট দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই পোস্টে রনি যে ছবি ব্যবহার করেছেন সেটি আসলে পাকিস্তানি অভিনেত্রী মারিয়াম ওয়াহিদের ছবি। এভাবে বিভ্রান্তি তৈরি করে মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করাকে তিনি একেবারেই নিন্দনীয় হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি রনির রাজনৈতিক অতীতের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। জুলকারনাইন সায়ের উল্লেখ করেন, রনি একসময় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুই সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। তখনও তিনি একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্যের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সাংবাদিক হিসেবে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না, তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে গোলাম মাওলা রনি বহুল পরিচিত একজন ‘পল্টিবাজ’ নামেই খ্যাত।
তার পোস্টে আরও বলা হয়, রাজনীতিতে থাকলে সমালোচনা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ। কিন্তু সেই সমালোচনার জবাবে যদি কেউ মৃত মা-বাবাকে নিয়ে এত জঘন্য মন্তব্য করেন, তবে তা রাজনৈতিক নৈতিকতার চরম অবক্ষয়। তার ভাষায়, “আপনি যেহেতু রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, আপনাকে নিয়ে সমালোচনা হবেই। কিন্তু সেই সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় মৃত ব্যক্তিকে টেনে এনে গালাগাল করা মানসিক দারিদ্র্যের পরিচায়ক। যদি সত্যিই এমন মনোভাব থাকে তবে রাজনীতি ছেড়ে নিষিদ্ধ পল্লীর তত্ত্বাবধায়ক ধাঁচের কোনো কাজ করা হয়তো আপনার জন্য বেশি উপযুক্ত।”
জুলকারনাইন সায়েরের এই বক্তব্য প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অনেকেই তার বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত জীবনের মৃত মা-বাবাকে টেনে আনা শুধু অনৈতিকই নয়, এটি একটি জঘন্য দৃষ্টান্ত। ফেসবুক ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, রাজনীতিতে ভিন্নমত থাকাটা স্বাভাবিক, কিন্তু মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে কটূক্তি করা কোনোভাবেই সভ্য সমাজের আচরণ হতে পারে না।
-রাফসান
‘মুজিব আমল ছিল স্বৈরতন্ত্রের অন্ধকার’: ইতিহাসের ভিন্ন চিত্র তুলে ধরলেন সায়ের
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের অভিযোগ করেছেন যে, ১৫ আগস্টের শ্রদ্ধা নিবেদনের আড়ালে একটি ভয়াবহ ষড়যন্ত্র হয়েছে। তিনি বলেন, এটি ছিল একটি ‘ওয়েল কো-অর্ডিনেটেড ক্যাম্পেইন’, যার উদ্দেশ্য ছিল জুলাই বিপ্লবের গণহত্যার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের অপকর্ম আড়াল করা।
জুলকারনাইন সায়েরের মতে, ১৫ আগস্টের শ্রদ্ধা নিবেদনের বেশিরভাগ পোস্টই আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের মিত্র, অর্থের বিনিময়ে কাজ করা বা বিজ্ঞাপন জগতের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে করা হয়েছে। এই প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য ছিল শেখ মুজিবকে এককভাবে মহিমান্বিত করা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৬ বছরের ‘অত্যাচার, হত্যাযজ্ঞ ও অপকর্ম’ থেকে জনগণের মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া।
জুলকারনাইন সায়ের তার পোস্টে শেখ মুজিবের ১৯৭২-১৯৭৫ সালের শাসনকালের কঠোর সমালোচনা করে লেখেন, তার শাসন মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে ‘স্বৈরতন্ত্রের অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিল’। তিনি রক্ষীবাহিনীর গঠন, প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা, ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু এবং দুর্নীতির মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড ছিল মুজিবের ব্যর্থতা ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জমা হওয়া ক্ষোভের বিস্ফোরণ।
জুলকারনাইন সায়ের অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা একটি সুপরিকল্পিত প্রচারণার মাধ্যমে এই কাজটি করেছেন। তিনি বলেন, এই প্রচারণার অংশ হিসেবে এমন সেলিব্রেটিদের দিয়ে পোস্ট করানো হয়েছে যারা প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগপন্থি নন, যাতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়। তিনি কয়েকটি নির্দিষ্ট নামও উল্লেখ করেন এবং অভিযোগ করেন যে, একটি নির্দিষ্ট ইউটিউবার ও সাংবাদিকের মাধ্যমে এই প্রচারণা পরিচালিত হয়েছে। তিনি সরকারকে এই ষড়যন্ত্রের গভীরে তদন্ত করার আহ্বান জানান।
ফেসবুকে বিনা খরচে রিচ বাড়াবেন যেভাবে: জেনে নিন ৫ সহজ কৌশল
ফেসবুকে এখন অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করছেন যে তাদের পোস্ট আগের মতো মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না, অর্থাৎ ‘রিচ’ কমে যাচ্ছে। ফলে হতাশায় ভুগছেন কনটেন্ট নির্মাতা ও উদ্যোক্তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক কৌশল জানা থাকলে কোনো খরচ ছাড়াই পোস্টের অর্গানিক রিচ বাড়ানো সম্ভব।
রিচ কমে যাওয়ার কারণ:
ব্যবহারকারীদের আগ্রহ কমে যাওয়া: ফেসবুক ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণ করে এবং যদি কোনো নির্দিষ্ট ধরনের কনটেন্টে ব্যবহারকারী আগ্রহ না দেখায়, তবে সেই কনটেন্ট তাদের কাছে আর পৌঁছায় না।
সময়: পোস্ট করার সময়ের ওপরও রিচ নির্ভর করে। মধ্যরাতে বা যখন ব্যবহারকারী সক্রিয় কম থাকেন, তখন পোস্ট করলে স্বাভাবিকভাবেই রিচ কম হয়।
কনটেন্টের বৈচিত্র্যহীনতা: একই ধরনের পোস্ট বারবার করলে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ কমে যায়।
ক্লিকবেইট ও স্প্যাম: ক্লিকবেইট বা স্প্যামধর্মী পোস্ট রিচ কমার একটি বড় কারণ। ফেসবুকের অ্যালগরিদম এসব সহজেই ধরে ফেলে।
বিনা খরচে রিচ বাড়ানোর ৫ কৌশল
১. মানবিক দিক রাখুন: শুধুমাত্র তথ্য না দিয়ে কনটেন্টে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ছোট গল্প বা অনুপ্রেরণামূলক বিষয় তুলে ধরুন।
২. কনটেন্টে বৈচিত্র্য আনুন: নিয়মিত ছবি, ভিডিও, রিল ও ইনফোগ্রাফিক্স ব্যবহার করুন। প্রশ্ন করে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আলাপচারিতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
৩. ক্লিকবেইট থেকে দূরে থাকুন: এমন কোনো কিছু পোস্ট করবেন না যা শুধু ক্লিক বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।
৪. ডেটা বিশ্লেষণ করুন: নিয়মিত ফেসবুক ইনসাইট পর্যবেক্ষণ করে কোন সময়ে পোস্ট দিলে বেশি রিচ পাওয়া যায়, তা বোঝার চেষ্টা করুন।
৫. নিয়মিত সক্রিয় থাকুন: শুধু নিজের কনটেন্ট পোস্ট না করে অন্যদের পোস্টে কমেন্ট ও শেয়ার করে সক্রিয়তা বাড়ান।
সূত্র : এইসময়
ইরাকে আলেমের চমক: কোরআনের আয়াতেই মুহূর্তে সুস্থ হচ্ছেন রোগীরা
ইরাকের কুর্দিস্তানের একজন আলেম, ড. মালা আলি কুর্দিস্তানি, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন রোগীকে সুস্থ করছেন—এমন কিছু ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছে। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ভিডিওগুলো দেখছেন এবং একে ‘কোরআনের অলৌকিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে নিজেদের বিশ্বাস ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
ভিডিও ক্লিপগুলোতে দেখা যায়, ড. কুর্দিস্তানি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রোগীদের চিকিৎসা করছেন। একটি ভিডিওতে তিনি একজন বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মুখে হাত রেখে কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করছেন এবং কিছুক্ষণ পরেই ওই নারী কথা বলার চেষ্টা করছেন। অন্য একটি দৃশ্যে, একজন শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তির কানের কাছে আয়াত পাঠ করার পর তিনি শব্দ শুনতে পাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। একইভাবে অসুস্থ ব্যক্তির মাথায় হাত রেখে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে তাকে সুস্থ করে তোলার দৃশ্যও দেখা গেছে।
এই ভিডিওগুলো ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এটিকে ইসলামের আধ্যাত্মিক শক্তির বাস্তব উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করছেন। সামাজিক মাধ্যমে বহু মানুষ পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইলের ৮২ নম্বর আয়াতটি শেয়ার করছেন, যেখানে বলা হয়েছে: "আমি কোরআনে এমন বস্তু নাজিল করেছি যা মুমিনদের জন্য নিরাময় ও রহমত।" তাদের মতে, ড. কুর্দিস্তানির এই কাজ সেই আয়াতেরই প্রতিফলন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ড. মালা আলি কুর্দিস্তানি ইরাকের কুর্দিস্তান প্রদেশের এরবিল শহরের একজন সুপরিচিত আলেম। সেখানে তিনি "নবিব ক্লিনিক" নামে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালনা করেন। আধ্যাত্মিক চিকিৎসার জন্য তার খ্যাতি রয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তার ফেসবুক পেজে অনুসারীর সংখ্যা ৫৭ লাখের বেশি, যা তার ব্যাপক প্রভাবের প্রমাণ দেয়।
ড. কুর্দিস্তানির এই কার্যক্রম একদিকে যেমন বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষের বিশ্বাসকে দৃঢ় করছে, তেমনই আধ্যাত্মিক উপায়ে রোগ নিরাময়ের কার্যকারিতা এবং এর প্রমাণ নিয়ে বিজ্ঞান ও চিকিৎসা মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে কারণ যা-ই হোক, এই ভিডিওগুলো যে ইন্টারনেট দুনিয়ায় এক অভূতপূর্ব আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
/আশিক
সুষ্ঠু নির্বাচনও একতরফা হতে পারে: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
নির্বাচনে রাজনৈতিক টানাপোড়েন থাকলেও তা পিছিয়ে যাবে বলে মনে করেন না এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, রাজনীতিতে নানা কৌশল থাকলেও তিনি আশা করেন, নির্বাচন শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়েই হবে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, দলগুলোর মধ্যকার অভ্যন্তরীণ মতবিরোধের কারণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনও একতরফা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো প্রতিটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো প্রার্থী খুঁজে বের করা। তার মতে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও প্রার্থী সংকটের কারণে এটি একতরফা হতে পারে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে দলগুলোর মধ্যে গভীর মতবিরোধ রয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, বিএনপি চাইছে আগামী সংসদ দুই বছরের মধ্যে এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করবে, কিন্তু অন্য দলগুলো এতে একমত নয়। বিশেষ করে জামায়াত ও এনসিপি পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি নিয়ে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।
ফুয়াদ বলেন, জামায়াত এবং এনসিপি বিএনপির পরে দেশের দুটি সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। তারা যদি পিআর পদ্ধতির মতো ইস্যুতে নির্বাচন বর্জন করে, তাহলে নির্বাচন একতরফা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি এই দায়টা নিয়ে একটা ভালো নির্বাচন করবে কিনা?" তিনি মনে করেন, এই টেনশনগুলো সমাধানযোগ্য এবং বিএনপিকে এখন রাষ্ট্রনায়কের মতো নেতৃত্ব দেখাতে হবে।
‘ভাই’ ডাকার জেরে এমন ঘটনা, দেখে অবাক নেটিজেনরা
রাখি উৎসবে ভাই-বোনের মজার ঝগড়া ভাইরাল, হাস্যরসের ছোঁয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
রাখি বন্ধন উপলক্ষে দেশের অনেক পরিবারের ঘরে ঘরে আনন্দের মাতম দেখা যায়। তবে অনেকেই এই উৎসবে মনখারাপের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েন, কারণ তাদের কোনো ভাই, দাদা কিংবা বোন নেই। মাঝে মাঝে রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও মেয়েরা এমন কাউকে ভাই বলে রাখি পরিয়ে দেন, যা কখনো কখনো হাসির উৎসব হলেও অনেকের চোখে রাগ জন্মায়।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যা নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি স্কুটারে করে যাচ্ছিলেন এক তরুণী ও আরেক যুবক। পথ চলার সময় পাশের আরেক যুবকের সঙ্গে তাদের স্কুটারের সংঘর্ষের সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু তারা সময়মতো সতর্ক হয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হয়। এরপর ওই দুই যুবকের মধ্যে দোষ কার—এই নিয়ে কথাকাটাকাটি শুরু হয়।
হঠাৎ ওই পাশের যুবক বললো, “আমার কোনো বোন নেই, তাই তাকে টেনে আনবেন না।”
এ কথা শুনে তরুণী স্কুটার থেকে নেমে ওই যুবকের কাছে গিয়ে বলেন, “আপনার কোনো বোন নেই, তাই আমি আজ থেকে আপনার বোন হয়ে যাবো। আমি আপনাকে রাখি পরিয়ে দেব।”
যুবক প্রশ্ন করে, “সত্যিই? আপনি আমার বোন হবেন?”
এরপরই অপ্রত্যাশিতভাবে তিনি তরুণীর হাত ধরে চড়-থাপ্পড় শুরু করেন।তরুণীকে মারতে মারতেই যুবক বলেন, কেন পরপুরুষের সঙ্গে স্কুটার করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি? মারতে মারতেই বলেন, এবার পরিবারকেও জানিয়ে দেবেন তার কীর্তি।
এমনকি স্কুটার থেকে ওই যুবককে টেনে নামিয়েও মারধর শুরু করেন ওই যুবক। মারতে মারতে বলেন, ‘তোমার সাহস তো কম নয়। আমার চোখের সামনে দিয়ে আমার বোনের সঙ্গেই ঘোরাঘুরি করছ! কেন ঘুরছিল বলো?’
অবশেষে আহত অবস্থায় তরুণী হাত জোড় করে ক্ষমা চান এবং বলেন, “আমি আর এমন করব না।”
ভিডিওটি মজার ছলে তৈরি হলেও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে এবং নেটিজেনরা নানা রকম মন্তব্য করছেন।
ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন সুলভ মৌলিক নামে এক ব্যক্তি। হাজার হাজার লাইক ও কমেন্ট হয়েছে, যেখানে অনেকেই হাসিমুখে মন্তব্য করেছেন, আবার কেউ বলেছেন, “ভাই-বোনের মধ্যে এমন বন্ধুত্বই হওয়া উচিত।”
নেটিজেনদের মধ্যে ভিডিওটি মজার এবং প্রাঞ্জল বন্ধুত্বের এক চমৎকার উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সূত্র : আজকাল
পাঠকের মতামত:
- নির্বাচনের প্রস্তুতি: ২৫ আগস্টের মধ্যে ব্যালট বাক্সের হিসাব চাইল ইসি
- ১৩ বছর পর ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- শিশুদের সুরক্ষায় নতুন নোকিয়া ফোন: 'নগ্ন ছবি' ব্লক করবে এআই
- হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার: গ্রুপ কল শিডিউল করার সুযোগ!
- মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ৩৩ দিন পর মৃত্যুর কাছে হার মানল দগ্ধ শিক্ষার্থী তাসনিয়া
- খুলনায় ডুমুরিয়ায়া বাড়িতে ঢুকে যুবদল নেতাকে হত্যা
- ডিজিএফআই ও বসুন্ধরা গ্রুপের প্রভাবে স্বাধীন সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- কোনো কেন্দ্র দখল করলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল:সিইসি
- আমদানি ব্যয় ৮০ টাকা, খুচরায় ৩০০: কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে চলছে কারসাজি
- ‘মোদির বিরুদ্ধে মিছিল করা বাহার এখন মেয়েকে নিয়ে কলকাতায়’
- বেশি ভিউয়ের লোভে তরুণী সেজে ভিডিও বানাতেন টিকটকার, গ্রেপ্তার
- ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম গ্রেপ্তার
- হৃদপিণ্ডের দুর্বলতার লক্ষণ: জেনে নিন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ
- জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর: এক ভরি স্বর্ণ কিনতে কত টাকা লাগবে?
- ‘ক্রাশের’ স্বামীকে হত্যা করতে গুগলের সাহায্য নিয়ে বোমা বানালেন প্রেমিক!
- ‘সীমিত আয়ের মানুষ খাবেটা কী?’: ইলিশের পর পটোলের দামও আকাশছোঁয়া
- সামিট গ্রুপ: কালো টাকা সাদা করার আন্তর্জাতিক কৌশল
- গভীর সংকটে দেশের ব্যাংক খাত: মূলধন সংরক্ষণে দক্ষিণ এশিয়ায় তলানিতে বাংলাদেশ
- গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সৌদি আরব
- টিভিতে আজকের খেলা: এক নজরে ক্রিকেট ও ফুটবলের সূচি
- দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, অতি ভারি বর্ষণেরও সম্ভাবনা
- দেশের জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন জরুরি: চরমোনাই পীর
- গাজায় ইসরাইলের হামলা বৃদ্ধি, গত একদিনে আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
- মেঘনার বুকে ভেসে উঠল নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের লাশ, স্তব্ধ পরিবার-সহকর্মীরা
- শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে গণমাধ্যমকে সতর্ক করল অন্তর্বর্তী সরকার
- আওয়ামী লীগ থেকে একসঙ্গে ৮ নেতার পদত্যাগ
- সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর জন্য সুখবর!
- ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বে জয়ী মাহফুজ আলমের বাবা
- বিএসএফের হাতে বিজিবি সদস্য আটক
- বাউফলে এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
- রাজধানীর বাজারে সবজির আগুন, খালি হাতে ফিরছেন অনেকে
- জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সম্মেলনের উদ্যোগে ইউনূস
- গাজা শহর দখলের চূড়ান্ত নির্দেশ নেতানিয়াহুর
- আগে গণপরিষদ নির্বাচন ও সংবিধান সংশোধন, তারপর জাতীয় নির্বাচন: আখতার হোসেন
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক ধারা: বাড়ল ৫০ মিলিয়ন ডলার
- আমার ছেলেকে ভালোবাসবেন: আরিয়ানের প্রথম কাজ নিয়ে শাহরুখ
- দলের টানা হারে অস্ট্রেলিয়া সফরে টাইগার যুবাদের স্বপ্নভঙ্গ
- ‘বাংলায় কথা বলার’ কারণে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে মারধর, শিকার ভারতীয় নাগরিক!
- জামায়াতের দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না’: হামিদুর রহমান আযাদ
- পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত নয়: তারেক রহমান
- পাথর লুটে আমাদের কোনো কর্মীও জড়িত নয়, দুদককে ক্ষমা চাইতে হবে’: জামায়াত
- দুর্নীতির ফাঁদে ইমরান: সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন, তবুও মুক্তি মিলছে না
- একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
- আবারও খোলা হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ গেট, পানিবন্দি ২০ হাজার
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এরপর কোনো পদে থাকব না: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- পাথর লুটে জড়িত ৫২ জনের নাম প্রকাশ:তালিকায় রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের নাম
- ক্ষুধার্ত দেশে উপদেষ্টাদের হাঁসের মাংস বিলাস কষ্ট দেয়: বিএনপি নেতা আলাল
- ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে উমামার প্রতিদ্বন্দ্বিতা
- ইউক্রেনে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা
- বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা চুক্তির মাধ্যমে পেয়েছিল অবৈধ সুবিধা
- ইরাকে আলেমের চমক: কোরআনের আয়াতেই মুহূর্তে সুস্থ হচ্ছেন রোগীরা
- ফেসবুক পোস্টে রনির বিরুদ্ধে জুলকারনাইন সায়েরের ক্ষোভ
- একাদশে ভর্তি: প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ হলো,যেভাবে দেখবেন
- ১৭ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- বক্স অফিস রিপোর্ট: ‘কুলি’র বাজিমাত, পিছিয়ে ‘ওয়ার ২’, আর ‘ধূমকেতু’র রেকর্ড
- গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকে (জিসিএ) এর বার্ষিক পিকনিক প্রাণের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
- আল্লাহ আমাকে পাকিস্তানের অভিভাবক বানিয়েছেন,প্রেসিডেন্ট হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নেই: মুনির
- গুজবের পর্দা ফাঁস: তারকাদের টাকার বিনিময়ে মুজিবকে নিয়ে পোস্ট? জানা গেল আসল সত্য
- আলবার্ট আইনস্টাইনের শেষ মুহূর্ত: এক ছবিতে ধরা পড়ল এক যুগের অবসান
- আখেরি চাহার শোম্বা: সফর মাসের শেষ বুধবারের ইতিহাস ও তাৎপর্য
- শেয়ারবাজারে বেক্সিমকো ও ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ দর-বদলের চিত্র
- দেশের স্বর্ণের বাজার স্থিতিশীল, জানুন ভরি প্রতি দাম
- জিআইবি জানালো আইপিও অর্থ ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতার কারণ
- রহিমা ফুডসের শেয়ার মালিকানা বদল
- খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন