গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গুলি পরিস্থিতির দাবিতেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২০ ১৫:২৪:১২
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গুলি পরিস্থিতির দাবিতেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী সেনাবাহিনী ব্যবস্থা নিয়েছে।” তিনি জানান, সংঘর্ষের জেরে জারিকৃত ১৪৪ ধারা ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হবে এবং কারফিউ এরই মধ্যে তুলে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২০ জুলাই) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপি আয়োজিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার প্রথমে কারফিউ এবং পরে ১৪৪ ধারা জারি করে। এতে জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “যে সময় যে পরিস্থিতি দেখা দেয়, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়ে। গোপালগঞ্জে যা ঘটেছে, তা এক প্রকার রাজনৈতিক সংঘাত, যেটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।”

তিনি আরও বলেন, “অপরাধীর কোনো দল নেই। কেউ অন্যায় করলে তাকে অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে। একইসঙ্গে, কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে কঠোর নজর রাখা হচ্ছে।”

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সংঘর্ষে নিহতদের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি। “পুলিশ মামলা করবে কি না, সেটি নির্ভর করছে তদন্ত কমিটির সুপারিশের ওপর। কমিটি কাজ করছে,” বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক শিশুদের আটকের প্রসঙ্গ তুললে উপদেষ্টা বলেন, “আমার কাছে এখনো এ ধরনের কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য আসেনি। তবে যদি কেউ নির্দোষ হয়ে থাকে এবং তাকে আটক করা হয়, তবে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।”

এদিকে হরতাল চলাকালে সহিংসতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ছাত্রলীগের হরতালে তুলনামূলকভাবে কম সহিংসতা হয়েছে। মাত্র দুটি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে, যা আগে থেকে অনেকটাই কম।”

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের বাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় কোনো অসুবিধা হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের কাজের প্রতিবেদন দিয়েছেন। আগের তুলনায় এখন পরিস্থিতি অনেক উন্নত হয়েছে বলে তারা মত দিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত মূল্যায়ন জনগণই করবেন।”

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ