ফরিদপুরে তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারে চিকিৎসকদের রাস্তায় প্রতিবাদ!

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২০ ১১:৪৮:২২
ফরিদপুরে তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারে চিকিৎসকদের রাস্তায় প্রতিবাদ!
ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ‌অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: সমকাল

ফরিদপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে "অপপ্রচার" ও "অবমাননাকর বক্তব্যের" প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ড্যাব (ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ)-এর চিকিৎসকেরা। শনিবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. মুস্তাফিজুর রহমান শামীম। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. মিজানুর রহমান, ডা. নুরুল ইসলাম রানা এবং ডা. আলামিন সারোয়ার।

বক্তারা অভিযোগ করেন, কিছু কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। এসব "মনগড়া ও অপমানজনক" প্রচারণার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, এটি একটি সুপরিকল্পিত অপচেষ্টা।

তারা জানান, দেশের চিকিৎসক সমাজ এসব অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ। যারা এই ধরনের অপপ্রচারে জড়িত, তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

সমাবেশে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে “ষড়যন্ত্রকারীদের” বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

/আশিক


আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে হেঁটে জামায়াত দেশের জন্য অশুভ সংকেত আনছে: এনসিপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৮:৪৩:১৩
আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে হেঁটে জামায়াত দেশের জন্য অশুভ সংকেত আনছে: এনসিপি
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি অভিযোগ করেছে যে জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিভাজন সৃষ্টি করছে। তারা ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে বলে দলটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার ৭ ডিসেম্বর এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে উদ্দেশ করে জামায়াত বক্তব্য দিয়েছিল। সোমবার ৮ ডিসেম্বর এনসিপি তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াতের সেই বক্তব্যকে অসত্য মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় এনসিপি সেই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে এবং এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এনসিপি মনে করে জামায়াতের এই বিবৃতি বাস্তবতাবিবর্জিত ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং জনমত বিভ্রান্ত করার স্পষ্ট অপচেষ্টা। দলটি অভিযোগ করে যে ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তে তারা পুরোনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে নতুন খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হতে চাচ্ছে যা দেশের জন্য অশুভ সংকেত।

এনসিপির দাবি গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ন্যাশনাল প্রফেশনালস অ্যালায়েন্সের বা এনপিএ এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রমাণনির্ভর যে মন্তব্য করেন তা সম্পূর্ণ তথ্যসম্মত ও দায়িত্বশীল। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয় গত ২৭ নভেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলি চালানো তুষার মণ্ডল যে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে এবং অস্ত্র ও গুলিসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

এনসিপি জানিয়েছে এমন স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাস্তবতা অস্বীকার করা সত্য গোপন ও দায় এড়ানোর নিন্দনীয় অপচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছু নয়। সহিংসতা অস্ত্রনির্ভরতা ও ধর্মের অপব্যবহার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিপন্থী উল্লেখ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য বলে মনে করে দলটি। বিজ্ঞপ্তির শেষে জামায়াতকে সত্য শান্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।


ক্ষমতায় গেলে খাল খনন প্রকল্প আবার চালু করা হবে: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৮:৩৫:১২
ক্ষমতায় গেলে খাল খনন প্রকল্প আবার চালু করা হবে: তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তখন তিনি খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে আবার দেশ পরিচালনার সুযোগ দিলে এই খাল খননের কাজ আবার শুরু করা হবে। সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাল খননের গুরুত্ব ও কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন খাল খনন করেছিলেন তখন এর মাধ্যমে তিনি একদিকে যেমন বন্যাকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন আর অন্যদিকে ঠিক একইভাবে ফসলের সেচ ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটিয়েছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন সেচ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বাংলাদেশের যেখানে একটি ফসল হতো সেখানে দুটি ফসল হওয়া শুরু করল। শুধু পানি সরবরাহ ঠিকভাবে পাওয়ার জন্য এবং সেচ সুবিধার জন্য যেখানে দুটি হতো সেখানে তিনটি ফসল হওয়া শুরু করল।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট টেনে তিনি বলেন এই বাংলাদেশে যেখানে কয়েক বছর আগে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় সেখানে দেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই হলো না বরং অল্প পরিমাণ হলেও বিদেশে খাদ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি মনে করেন দেশের কৃষি ও কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাল খনন কর্মসূচির কোনো বিকল্প নেই।


নীতি ছাড়া ধর্মের নামে রাজনীতিতে  একটি দল: সালাহউদ্দিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১২:১১:২৬
নীতি ছাড়া ধর্মের নামে রাজনীতিতে  একটি দল: সালাহউদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ৭ তারিখ থেকে শুরু হওয়া বিএনপির ঘোষিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে ফার্মগেটের খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশের রাজনীতিতে একটি দল নীতি–আদর্শহীনভাবে ধর্মকে ব্যবহার করছে, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। তিনি দাবি করেন, মানুষের আর্থ–সামাজিক উন্নয়নের জন্য সুস্পষ্ট ও বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই উন্নয়ন, সুশাসন এবং সমৃদ্ধ অর্থনীতি প্রতিষ্ঠাই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। একই মঞ্চে বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যিনি এই কর্মসূচিকে জনগণের প্রত্যাশা জানার সবচেয়ে কার্যকর উপায় বলে উল্লেখ করেন।

বিএনপি জানায়, এ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হবে, যা দলটির আগামী জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহার প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। বিকেলের দ্বিতীয় সেশনের সমাপনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

-রাফসান


বিমান প্রস্তুত হলেও আগামী ৪৮ ঘণ্টা খালেদা জিয়ার জন্য অগ্নিপরীক্ষা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১১:৫৪:৩২
বিমান প্রস্তুত হলেও আগামী ৪৮ ঘণ্টা খালেদা জিয়ার জন্য অগ্নিপরীক্ষা
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি পেয়েছে। সোমবার ৮ ডিসেম্বর সকালে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বিমান পৌঁছালেও খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়া সম্পূর্ণ নির্ভর করছে তাঁর বর্তমান শারীরিক অবস্থার ওপর।

রাগীব সামাদ জানান জার্মানভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকায় নামবে। প্রয়োজন হলে একই দিন রাত ৯টার পর বিমানটি ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দিতে পারবে। বেবিচক সূত্র জানায় গত শনিবার এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ যে আবেদন জমা দিয়েছিল তাতে মঙ্গলবার ঢাকায় অবতরণ এবং পরদিন বুধবার লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রার সময়সূচি প্রস্তাব করা হয়।

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসা ও বিদেশযাত্রা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানায় চিকিৎসকেরা তাঁর সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করে বিদেশ পাঠানোর সম্ভাব্য সময় আরও দুদিন পিছিয়ে দিয়েছেন। দীর্ঘ যাত্রার ঝুঁকি বিবেচনায় নেওয়া এ সিদ্ধান্ত এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় তাঁর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের ওপর।

মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায় তাঁর ডায়াবেটিস কিডনি হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুস সংক্রান্ত জটিলতাগুলো কখনো নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে তাঁকে স্থিতিশীল বলা যাচ্ছে না। সর্বশেষ পরীক্ষায় কিডনি ও ফুসফুসের কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও তা সামগ্রিক ঝুঁকি কমানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন তিনি এখনও আশঙ্কামুক্ত নন।

এই অনিশ্চয়তার কারণে বিদেশ যাত্রার সম্ভাব্য তারিখ বারবার বদলাচ্ছে। শুরুতে বিএনপি জানিয়েছিল ৫ ডিসেম্বর ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে। পরে সময় পরিবর্তন করে ৭ ডিসেম্বর করা হয়। এরপর নতুন সূচিতে ৯ ডিসেম্বর যাত্রার সম্ভাবনা জানানো হয় যা আবারও পিছিয়ে যায় তাঁর স্বাস্থ্যগত অনিশ্চয়তার কারণে। ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনও জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অগ্রগতি অনুযায়ীই শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন কি না।


 চাঁদাবাজদের কাছে মাথা নত করব না: হাসনাত আব্দুল্লাহ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১১:৪০:২১
 চাঁদাবাজদের কাছে মাথা নত করব না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির বা এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন আজকের চাঁদাবাজরাই আগামী দিনের টেন্ডারবাজ। তিনি সতর্ক করে বলেন চাঁদাবাজরা কিছুদিন পর মানুষের ঘরের ইট খুলে নিয়ে যাবে। তাই চাঁদাবাজদের নির্মূল না করা পর্যন্ত তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। রবিবার ৭ ডিসেম্বর রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের পদ্মকুট বাজারে উঠানে রাজনীতি শীর্ষক এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ দৃঢ়কণ্ঠে বলেন প্রয়োজনে ৩০০ ভোট পাব কিন্তু চাঁদাবাজদের কাছে মাথা নত করব না। তিনি তাঁর নির্বাচনী কৌশলের কথা তুলে ধরে বলেন রাজমিস্ত্রি ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো আমার বাবার বন্ধু এবং এবার তারাই হবে আমার নির্বাচনের এজেন্ট। কারণ তাদের সন্তান এবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। মা বাবার এ ভোট তাদের সন্তানের পক্ষেই হোক।

নারীদের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন আমার মায়েরা বোনেরা রোজা রেখে আমাকে ভোট দিতে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ভাইবোনরা আমার জন্য কাজ করবে এবং প্রবাসে থাকা ভাইয়েরা ফোনে ভোট দেওয়ার জন্য পরিবারকে বলে দিয়েছেন।

বিগত শাসনামলের উদাহরণ টেনে এনসিপি নেতা হুঁশিয়ারি দেন এখন যদি কেউ মনে করে লাঠি দিয়ে দেশ চালাবে তবে তাদের শেখ হাসিনার কথা মনে রাখা উচিত। তিনি বলেন এ ছুপা নেতাগিরি বাংলাদেশে আর চলবে না এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতির সমালোচনা করে বলেন আমরা যারা নেতা বানাই নেতারা কখনো আমাদের মানুষই মনে করে না। নেতার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা বিশেষ চেয়ার ও বিশেষ প্রটোকল থাকে। এই বিশেষ মানুষকে আর আমরা সাধারণ মানুষের নেতা হিসেবে মানব না।

দেবিদ্বার উপজেলা এনসিপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই উঠান বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নাজমুল হাসান নাহিদ মো. মুজিবুর রহমান ওসমান গনি মোল্লা ও শামীম কাওসার।


জুলাই–আগস্ট হত্যামামলায় সাবেক ১৭ মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ট্রাইব্যুনালে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১১:০২:০৭
জুলাই–আগস্ট হত্যামামলায় সাবেক ১৭ মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ট্রাইব্যুনালে
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই–আগস্ট ২০২৪-এর ছাত্র–জনতার গণআন্দোলন দমনকালে সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা সরকারের সময়কার সাবেক মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শুনানি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনাল চত্বরে আনা হয়। পরে পুলিশ সদস্যরা একে একে তাদের হাজতখানায় নিয়ে যায়।

এদিন ট্রাইব্যুনাল–১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলার অগ্রগতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে গঠনমূলক অভিযোগ উত্থাপনসহ বেশ কয়েকটি মামলার প্রমাণ উপস্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

হাজির করা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম, সাবেক এমপি ফারুক খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

প্রসিকিউশন ইতোমধ্যে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, হাসানুল হক ইনু ও পলকের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠন করেছে। ইনুর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণও চলছে। আরও একটি মামলায় জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখে গণহত্যায় প্রত্যক্ষ ভূমিকার অভিযোগ এনে সজীব ওয়াজেদ জয় ও পলকের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।

কারফিউ জারি ও বলপ্রয়োগ করে ছাত্র–জনতার ওপর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনার অভিযোগে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধেও পৃথক শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত।

এছাড়া গত ১৫ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল–১ সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে দাখিলযোগ্য তদন্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে প্রসিকিউশনের সময় চাওয়ার পরও তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল অতিরিক্ত সময় দিয়েছে।

সকালে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আদালত চত্বরে প্রবেশকারী প্রায় সকলকেই তল্লাশি করে ভিতরে ঢুকতে দেন। পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত ও সতর্কতামূলক।

-শরিফুল


নির্বাচনী আসন নিয়ে টানাপোড়েন: ৫টি জোটে বিভক্ত রাজনীতির মাঠ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৯:০৩:৪৩
নির্বাচনী আসন নিয়ে টানাপোড়েন: ৫টি জোটে বিভক্ত রাজনীতির মাঠ
ছবি : সংগৃহীত

দেশের নির্বাচনমুখী দলগুলো এ মুহূর্তে পাঁচটি জোটে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তবে নির্বাচনী আসন বণ্টন জটিলতায় জোটগুলো শেষ পর্যন্ত অটুট থাকবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিএনপির সঙ্গে আসন নিয়ে তীব্র টানাপোড়েন চলছে ক্ষুব্ধ মিত্র দলগুলোর। বিএনপির কাছ থেকে প্রত্যাশিত আসন না পাওয়া কয়েকটি দল জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী সমঝোতার বলয়ে ঝুঁকছে। কিন্তু সেখানেও আসন নিয়ে টানাপোড়েন কম নয়।

রোববার এনসিপি এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছে। তারা পৃথক জোট করলেও বিএনপি অথবা জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার পথ খোলা রেখেছে। ভোটের মাঠে বড় শক্তি না হলেও পরিচিত এমন ৯টি বামপন্থী দল মিলে গঠন করেছে গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট। অন্যদিকে জাতীয় পার্টিসহ জেপি আওয়ামী লীগের কয়েকটি মিত্র দলের জোট আজ সোমবার আত্মপ্রকাশ করার কথা রয়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মতো তৎপরতা নেই ১৪ দলের শরিকদের এবং ফ্যাসিবাদের দোসর তকমা পাওয়া জাতীয় পার্টি এখনও একা।

আগামী ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে আছে ১২ দলীয় জোট ১১ দলের জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট পাঁচদলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ এলডিপি বিজেপি এনডিএম গণঅধিকার পরিষদ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও গণফোরাম। বিএনপি দুই দফায় ২৭২ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং বাকি ২৮ আসনের ১২টিতে মিত্র দলের নেতাদের প্রার্থী করার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছে। কিন্তু ২৪৪ আসনের তালিকা দিয়ে মাত্র ১২টিতে ছাড় দেওয়ায় ক্ষুব্ধ যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে থাকা সমমনা ও মিত্র দলগুলো। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্সের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রকাশ্যে বিএনপির সমালোচনা করেছেন। তাঁরা বলছেন আসন নিশ্চিত না করায় নির্বাচনের প্রচার ও প্রস্তুতি থেকে পিছিয়ে পড়ছেন এবং শিগগির সমস্যার সমাধান না হলে এককভাবে নির্বাচন করবেন।

জামায়াত নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী সমঝোতায় রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস খেলাফত মজলিস খেলাফত আন্দোলন জাগপা ও বিডিপি। লেবার পার্টি বিএনপিকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়ে সঙ্গ ছেড়ে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। তবে জামায়াত খুব বেশি আসন ছাড়তে রাজি নয় কারণ তারা এনসিপিসহ আরও কয়েকটি দলকে নিজের পক্ষে টানার চেষ্টা করছে। আট দলের সমন্বয়ক এবং জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ডা. হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন আজ সোমবার আসন সমঝোতার আলোচনা শুরু হবে।

এনসিপির জোট কোন দিকে যাবে তা নিয়েও জল্পনা চলছে। নতুন জোটের সূত্র জানিয়েছে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদকে জোটভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। বিএনপি গণঅধিকার পরিষদকে দুটি আসন ছেড়ে দিতে রাজি হলেও দলটি আরও কয়েকটি আসন চায়। না পেলে দলটি এনসিপির সঙ্গে আসতে পারে বলে সূত্র জানায়। সংস্কারের বিষয়ে জামায়াতের কাছাকাছি অবস্থান এনসিপির। গণভোটে দুটি দলই সরাসরি হ্যাঁ ভোটের পক্ষে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন যেসব দল সংস্কারের পক্ষে তারা সবাই গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে আসতে পারে।

অন্যদিকে শেখ হাসিনার পতনের পর চাপে পড়েছে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জেপি এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগের মিত্র দলগুলো। মঞ্জু আনিসের নেতৃত্বে আজ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক জোট আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এই জোটের আশা আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ভোট পেয়ে নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারবে। বামপন্থিদের গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী ভাবনা সম্পর্কে সিপিবির সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন তারা ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং সিপিবি ১৩০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই করেছে।

সম্পাদনা: সম্পাদকরাজীব আহাম্মদ ও কামরুল হাসান-১৪৭৮ শব্দ


শরীয়তপুর ২: ধানের শীষের শফিকুর নাকি জামায়াতের ডা. মাহমুদ কার পাল্লা ভারী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ২১:১৪:১৩
শরীয়তপুর ২: ধানের শীষের শফিকুর নাকি জামায়াতের ডা. মাহমুদ কার পাল্লা ভারী

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শরীয়তপুর ২ বা নড়িয়া সখিপুর আসনের নির্বাচনী চালচিত্র দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এনামুল হক শামীমের অবর্তমানে এই আসনটি এখন বিএনপি ও জামায়াতের শক্তি পরীক্ষার ময়দানে পরিণত হয়েছে। এখানে বিএনপির অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণের মুখোমুখি হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী বিশিষ্ট চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল।

শফিকুর রহমান কিরণের রাজনৈতিক দুর্গ

এই আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ। তিনি ১৯৯৬ সালে এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে নড়িয়া ও সখিপুরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করছেন কিরণের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের আগলে রাখার বিষয়টি ভোটাররা ইতিবাচকভাবে নেবেন। তিনি ইতিমধ্যেই এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন এবং হারানো আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন।

ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউলের চমক ও কৌশল

অন্যদিকে এই আসনে জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউলকে। পেশায় চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ হওয়ায় এলাকায় তাঁর একটি নিজস্ব গ্রহণযোগ্যতা ও ক্লিন ইমেজ রয়েছে। জামায়াত মনে করছে গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে গিয়ে একজন শিক্ষিত ও পেশাজীবী মানুষকে প্রার্থী করায় সাধারণ ও নিরপেক্ষ ভোটারদের সমর্থন পাওয়া সহজ হবে। ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল নিয়মিত গণসংযোগ করছেন এবং ইসলামী মূল্যবোধ ও সমাজসেবার বার্তা নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।

ভোটের সমীকরণ ও চ্যালেঞ্জ

শরীয়তপুর ২ আসনটি নদীভাঙন কবলিত এলাকা হওয়ায় এখানকার মানুষের প্রধান দাবি টেকসই উন্নয়ন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন এই আসনে লড়াই হবে মূলত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বনাম নতুন নেতৃত্বের। শফিকুর রহমান কিরণ যেখানে তাঁর অতীত উন্নয়ন ও বিএনপির ভোটব্যাংকের ওপর নির্ভর করছেন সেখানে ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল নির্ভর করছেন জামায়াতের সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী ও ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির ওপর।

তৃণমূলের ভাবনা

সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় বিএনপি ও জামায়াত উভয়েই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউলের প্রার্থিতা বিএনপির একচ্ছত্র আধিপত্যে বড় ধরনের ভাগ বসাতে পারে। বিশেষ করে তরুণ ও ধর্মপ্রাণ ভোটারদের মধ্যে জামায়াতের প্রার্থীর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে শরীয়তপুর ২ আসনে কিরণ বনাম বকাউলের এই লড়াই ততই জমে উঠছে।


নির্বাচনে যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা বাড়বে: মান্না

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ২০:৫৬:১১
নির্বাচনে যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা বাড়বে: মান্না
কুড়িগ্রামে নাগরিক ঐক্যের জেলা কার্যালয় উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি : কালবেলা

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন নির্বাচনে যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা বাড়বে। তিনি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন আগে কমিশন বলেছিল চলতি মাসের ৭ বা ৮ তারিখের দিকে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তারপর শোনা গেল ১১ তারিখ তফসিল ঘোষণা হবে। কিন্তু এখন পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন বলছে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কোনো কথা বলবে না। এই পরিস্থিতিতে তিনি দাবি জানান যে রোজার আগেই নির্বাচন হতে হবে।

রোববার ৭ ডিসেম্বর বিকেলে কুড়িগ্রামে নাগরিক ঐক্যের জেলা কার্যালয় উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও কথা বলেন। মান্না বলেন এ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জোটে খালেদা জিয়ার অসাধারণ অবদান ছিল। তিনি অনেক কষ্ট করেছেন এবং অনেক নির্যাতন সহ্য করেছেন। সবাই চায় তিনিও এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকুন। তবে তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ে সবার মধ্যে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং সে কারণে নির্বাচনের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় কি না এটা আমাদের মনের মধ্যে আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে।

নির্বাচনী সমঝোতা ও জোটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মান্না বলেন ১৫ বছরের লড়াইয়ে আমাদের সঙ্গে বিএনপিসহ অন্যান্য দল ছিল এবং তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কারও সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা গড়ে ওঠেনি। তিনি স্পষ্ট করেন যে তাঁরা এককভাবে কিছু করতে চান না বরং ঐক্যের ভিত্তিতেই এগোতে চান।

এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্যা কায়সার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জেলা কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর অব. আব্দুস সালাম এবং সদস্য সচিব জোহবাদুল ইসলাম বাবলুসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা শহরের কলেজ মোড়ে স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশেও বক্তব্য দেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত