এক কোকেন সাম্রাজ্যের পতনের গল্প

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২১ ১১:৩২:২৪
এক কোকেন সাম্রাজ্যের পতনের গল্প
ছবিঃ এ এফ পি

একুয়েডরের কুখ্যাত মাদক পাচারকারী আদোলফো মাসিয়াস, যিনি "ফিটো" নামে পরিচিত, তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। তিনি লস চোনেরোস নামের এক গ্যাংয়ের প্রধান। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি একুয়েডরের একটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কারাগার থেকে পালিয়ে যান। তবে এক মাস আগে আবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রোববার তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয় এবং রাতেই তার বিমান নিউইয়র্কে অবতরণ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তার বিরুদ্ধে মাদক পাচার, অস্ত্র চোরাচালান ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার তাকে নিউইয়র্কের একটি ফেডারেল আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে একুয়েডরের একটি আদালতে তিনি নিজেই যুক্তরাষ্ট্রে বিচার গ্রহণে সম্মতি দেন।

ফিটো একসময় ট্যাক্সি চালাতেন, পরে তিনি ভয়ংকর এক গ্যাংয়ের নেতা হয়ে ওঠেন। তার গ্যাংয়ের সঙ্গে মেক্সিকোর সিনালোয়া কার্টেল, কলম্বিয়ার গাল্ফ ক্লান এবং ইউরোপের বলকান অঞ্চলের মাফিয়াদের সম্পর্ক রয়েছে। এই গ্যাং একুয়েডরে বহু অপরাধ ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত।

ফিটোর পালিয়ে যাওয়া দেশের ভেতরে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। তখন প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া দেশে "অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত" ঘোষণা করেন এবং সেনাবাহিনী রাস্তায় নামানো হয়। এরপর জুন মাসে মান্টা শহরের একটি বিলাসবহুল বাড়ির নিচে একটি গোপন ঘর থেকে তাকে ধরা হয়। নোবোয়া তখনই বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব, তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে।”

এটি একুয়েডরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো অপরাধীকে নতুন আইনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হলো। এই আইন চালু হয় ২০২৩ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে। সরকার জানায়, এটি তাদের অপরাধ দমন নীতির বড় একটি পদক্ষেপ।

বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ কোকেন একুয়েডরের বন্দর হয়ে পাচার হয়। শুধু ২০২৪ সালেই দেশটি ২৯৪ টন মাদক জব্দ করেছে। তাই মাদক চক্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফিটোর মত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করাকে বড় সফলতা হিসেবে দেখছে সরকার।

-হাসানুজ্জামান, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ