শিল্পের মাঝে শান্তি, সংগীতে প্রতিযোগিতা—আত্মবিশ্লেষণে বিটিএস (BTS)-এর লিডার আরএম

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২১ ১৪:৩৯:২৭
শিল্পের মাঝে শান্তি, সংগীতে প্রতিযোগিতা—আত্মবিশ্লেষণে বিটিএস (BTS)-এর লিডার আরএম

বিশ্বজুড়ে তারকা খ্যাত BTS-এর লিডার আরএম বা কিম নামজুন, সম্প্রতি Samsung Newsroom–এর ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ভেতরের কিছু গভীর অনুভব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, চিত্রকলার প্রতি ভালোবাসা তাঁকে মানসিক প্রশান্তি দেয়, কারণ এখানে তাঁর কোনো প্রতিযোগিতা বোধ নেই। অন্যদিকে, সংগীতে মাঝে মাঝে ‘ঈর্ষা’ অনুভব করেন, বিশেষ করে যখন অসাধারণ কোনো শিল্পীর অ্যালবাম শোনেন।

আরএম বলেন, “আমি ছবি আঁকতে পারি না, তাই চিত্রকলার সামনে দাঁড়িয়ে আমি হালকা ও মুক্ত অনুভব করি।” তিনি শেয়ার করেন, শিকাগোর আর্ট ইনস্টিটিউটে মনেট ও ভ্যান গগের কাজ দেখার অভিজ্ঞতা তাকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং একধরনের সান্ত্বনা দিয়েছিল।

কিন্তু সংগীতের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। তিনি জানান, কখনও কখনও, যখন কোনো অসাধারণ অ্যালবাম শোনেন, তখন মনে হয়—“ইশ, এটা আমি কেন করতে পারলাম না?”—এই স্বাভাবিক প্রতিযোগিতার অনুভূতি আসে।

নিজেকে তিনি একজন শিল্প ইতিহাসবিদ নন, বরং একজন আগ্রহী দর্শক বলেই অভিহিত করেন। “আমি কেবল ভালোবাসি, পড়ি, দেখি, শেয়ার করি,”—এভাবেই নিজের শিল্পচর্চার ব্যাখ্যা দেন তিনি। যদিও অনেকেই তাকে ‘কিউরেটর’ মনে করেন, আরএম এই খেতাব গ্রহণে নিজেকে সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।

আরএম স্পষ্ট করে বলেন, ইনস্টাগ্রামে তাঁর শেয়ার করা শিল্পকর্মগুলো কোনো রাজনৈতিক বার্তা বহন করে না, বরং তা একান্ত ব্যক্তিগত ভালো লাগা থেকে। “যা ভালো লাগে, তাই শেয়ার করি,”—এই সাদামাটা ব্যাখ্যায়ই আছে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির স্বচ্ছতা।

সবশেষে তিনি বলেন, তাঁর স্বপ্ন একদিন এমন একটি জায়গা তৈরি করা যেখানে শিল্প ও সংস্কৃতি দিয়ে বিভিন্ন প্রজন্ম ও জাতিকে একত্রিত করা যাবে। সিউলে এমন একটি সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা তাঁর হৃদয়ের গভীরে।

এই আরএম সেই শিল্পী, যিনি গানের বাইরে গিয়ে শিল্পে, সাহিত্যে এবং মানবিক অনুভবের আলোচনায় তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি আলাদা পথচিহ্ন তৈরি করছেন।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ