সহিংসতা ঠেকাতে সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি

দেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাসদরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে জানমাল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কোনো সহিংসতা, দাঙ্গা বা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার (২৬ মে) এসব কথা বলেন সেনাসদরের পরিচালক (মিলিটারি অপারেশন্স) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশনায় ৬২টি জেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনী সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বাহিনীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
গত ৪০ দিনের মধ্যে পরিচালিত অভিযানে সেনাবাহিনী ২৪১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭০৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। আগস্ট ২০২৩ থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সংখ্যা ৯ হাজার ৬১১ এবং গুলির সংখ্যা ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬১। একই সময়ে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ১৪ হাজার ২৬৬ অপরাধী, যাদের মধ্যে কিশোর গ্যাং সদস্য, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, অপহরণকারী, চাঁদাবাজ ও চোরাচালানকারী রয়েছে।
রাজধানীর ভাষানটেকে এক অভিযানে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিটলু বাবুসহ ১০ জনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে এলাকাবাসীর মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতি ফিরিয়ে এনেছে সেনা সদস্যরা।
মাদকের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে গত ৪০ দিনে ৪৮৭ জন এবং আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা ও অবৈধ মদ।
এছাড়া নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদক ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। যশোর ও সাতক্ষীরায় অভিযান চালিয়ে জেলি মেশানো চিংড়ি জব্দসহ সংশ্লিষ্ট চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানায়, ৫ আগস্টের পর থেকে শিল্পাঞ্চলে নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত রয়েছে তারা। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সড়কপথ, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল এবং মহাসড়কে টহল ও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া ও টিকিট কালোবাজারি রোধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কোরবানির পশুর হাটে চাঁদাবাজি ও অপরাধ দমনে বিশেষ নজরদারির কথা জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতায় আহত ৪ হাজার ৫৯৬ জনকে সিএমএইচে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে সেনাবাহিনী, যার মধ্যে এখনো ৩৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে এফডিএমএন ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং বিদেশি কূটনীতিক ও দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজেও দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের দীর্ঘ ছুটি, চালু থাকবে জরুরি সেবা
- বাংলাদেশে সেনা-সরকার উত্তেজনা ও ‘কু’ এর গুঞ্জন: নেপথ্যে কি?
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- সেনাপ্রধানের বক্তব্য, জুলকারনাইন তাতে যা বললেন!
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- বাংলাদেশে আন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে মৌলিক অধিকার হুমকিতে
- সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা নিহত
- মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কেন অনিশ্চিত
- ডিসেম্বরে নির্বাচন চান সেনাপ্রধান
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"
- তিন মাসে ১.১৮ লাখ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি, দেউলিয়াত্বের পথে ২০ ব্যাংক
- স্টারলিংক চালু, সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কি?