গর্ভাবস্থায় সতর্ক থাকুন: যে ৫টি ফল এড়িয়ে চলবেন

গর্ভাবস্থায় একটি সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য মায়ের খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় শরীরে নানা ধরনের হরমোনগত পরিবর্তন হয়, যা গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। ফলে গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু খাবার ও ফল এড়িয়ে চলাও সমান জরুরি হয়ে পড়ে।
যদিও আমাদের সমাজে পুরোনো প্রজন্মের অভিজ্ঞতা থেকে গর্ভবতী নারীদের খাবার সম্পর্কে নানা পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান আজ স্পষ্ট করে জানাচ্ছে, কোন ফলগুলো গর্ভবতীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং কেন। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
১. পাকা পেঁপে
পাকা পেঁপেতে থাকে ল্যাটেক্স, যা জরায়ুতে সংকোচন সৃষ্টি করতে পারে। এতে গর্ভপাত বা প্রি-ম্যাচিউর লেবারের ঝুঁকি থাকে। এছাড়া এতে থাকা প্যাপাইন নামক এনজাইম গর্ভফুল বা প্লাসেন্টার কোষের ক্ষতি করতে পারে, যা ভ্রূণের জন্য হুমকিস্বরূপ।
২. আনারস
আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম, যা জরায়ুর মুখ নরম করে প্রসব বেদনা ত্বরান্বিত করতে পারে। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে আনারস খাওয়ার ফলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। যদিও অন্তিম ধাপে চিকিৎসকের পরামর্শে পরিমিত আনারস খাওয়া যেতে পারে, তবে তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় হওয়া উচিত।
৩. আঙুর
বিশেষ করে কালো আঙুরে থাকে রেসভেরাট্রল, যা অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং গর্ভস্থ শিশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি আঙুরে সাধারণত কীটনাশকের উপস্থিতি বেশি থাকে, যা গর্ভবতী নারী ও ভ্রূণের জন্য বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
৪. তেতুল
তেতুলে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি থাকলেও, এটি অ্যাসিডিক প্রকৃতির হওয়ায় গর্ভবতী নারীর মধ্যে অম্লতা, বমি ভাব এবং পেটের অস্বস্তি বাড়াতে পারে। এতে ল্যাক্সেটিভ প্রভাব থাকায় অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়া বা শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
৫. লিচু
লিচু গরম প্রকৃতির ফল হওয়ায় শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেতে পারে। কিছু গবেষণায় গর্ভপাতের সঙ্গে লিচুর একটি সম্ভাব্য সংযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে এই ফলটি পরিহার করাই শ্রেয়।
সতর্কতা ও পরামর্শ:
গর্ভাবস্থায় কোনো ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়া ফল খাওয়ার আগে সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া এবং কীটনাশক মুক্ত করা জরুরি। সর্বোপরি, কোনো একটি ফল অতিরিক্ত খাওয়ার চেয়ে পরিমিত ও বৈচিত্র্যময় খাদ্য গ্রহণ মায়ের সুস্থতা ও শিশুর সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের দীর্ঘ ছুটি, চালু থাকবে জরুরি সেবা
- বাংলাদেশে সেনা-সরকার উত্তেজনা ও ‘কু’ এর গুঞ্জন: নেপথ্যে কি?
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- সেনাপ্রধানের বক্তব্য, জুলকারনাইন তাতে যা বললেন!
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- বাংলাদেশে আন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে মৌলিক অধিকার হুমকিতে
- দারুননাজাত: নৈতিকতার আলোকবর্তিকা
- মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কেন অনিশ্চিত
- ইউজিসি-ম্যাকগিল পিএইচডি স্কলারশিপ: শুধুমাত্রবাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য
- ডিপ্লোমেটিক শেকআপ: জসীম উদ্দিন দূতাবাসে , সচিব হচ্ছেন নজরুল
- ডিসেম্বরে নির্বাচন চান সেনাপ্রধান
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"