ভারতে ওয়াকফ আইন

ভারতে ওয়াকফ সংশোধন আইনে স্থিতাবস্থা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কেন্দ্রকে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১৭ ২২:২৯:০৫
ভারতে ওয়াকফ সংশোধন আইনে স্থিতাবস্থা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কেন্দ্রকে

সত্য নিউজ:ভারতে সদ্য কার্যকর হওয়া ওয়াকফ সংশোধন আইন-২০২৫–এর কয়েকটি ধারা প্রয়োগের ক্ষেত্রে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সাময়িক স্থিতাবস্থা (status quo) জারি করেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে আগামী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত জবাব চেয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি যৌথ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানিতে ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে আশ্বস্ত করেন যে, সরকার ওয়াকফ সংশোধন আইন-২০২৫ অনুসারে আপাতত কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল ও রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডে কোনো নতুন নিয়োগ দেবে না এবং ১৯৯৫ সালের মূল ওয়াকফ আইনের অধীনে ইতোমধ্যে নিবন্ধিত সম্পত্তিসমূহের বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হবে না।

আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, পিটিশনের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যে ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবহারকারীদের কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়েও কেন্দ্র সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ সংশোধন আইন-২০২৫ বাতিল চেয়ে মোট ৭২টি পিটিশন দাখিল হয়েছে, যার মধ্যে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দসহ বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন ও ব্যক্তি রয়েছেন। এছাড়াও ডিএমকে ও কংগ্রেসের সাংসদ ইমরান প্রতাপগারহি ও মোহাম্মদ জাওয়াদও আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন।

বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, এত বিপুল সংখ্যক পিটিশনের শুনানি একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তাই আইনজীবীদের পরামর্শ অনুযায়ী বাছাই করে পাঁচটি পিটিশন গ্রহণ করা হবে, এবং সেগুলোতেই আপাতত শুনানি চলবে। আদালত আরও নির্দেশ দেয়, সরকার থেকে সাড়া পাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে আবেদনকারীরা তাদের চূড়ান্ত অবস্থান জানিয়ে জবাব দাখিল করবেন।

প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধন বিল ২০২৫ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে উত্তপ্ত বিতর্কের মধ্য দিয়ে ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষ—লোকসভা ও রাজ্যসভা—থেকে পাস হয়। ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে এটি আইনে পরিণত হয়। লোকসভায় বিলটির পক্ষে ২৮৮টি এবং বিপক্ষে ২৩২টি ভোট পড়ে। রাজ্যসভায় পক্ষে ভোট পড়ে ১২৮টি এবং বিপক্ষে ৯৫টি।

এই সংশোধিত আইনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকের আশঙ্কা, নতুন আইনের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বেড়ে যাবে এবং মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বায়ত্তশাসনে চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে।


নেপালে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ: নিহত ৩৪, আহত দেড় হাজারের বেশি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১২ ১১:৪৪:০৯
নেপালে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ: নিহত ৩৪, আহত দেড় হাজারের বেশি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে নেপালে চলমান বিক্ষোভে সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় জানায়, এ পর্যন্ত ৩৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৩৬৮ জনে

হতাহতের বিবরণ

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. প্রকাশ বুধাথোকি জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে প্রায় এক হাজার মানুষ চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রদেশ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান তৈরি হয়েছে।

বিক্ষোভের সূচনা

ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউবসহ মোট ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই রাস্তায় নামে তরুণ প্রজন্ম, যাদের অধিকাংশকে ‘জেনারেশন জেড’ বলা হয়। পুলিশের গুলিতে প্রথম দিনেই কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে স্কুল ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও নিহতদের জন্য ক্ষোভ ও সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আন্দোলনকে আরও তীব্র করে তোলে।

বিক্ষোভের বিস্তার

প্রতিবাদকারীরা রাজধানী কাঠমাণ্ডুসহ বিভিন্ন জায়গায় শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি ও সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায় এবং সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে কয়েকজন মন্ত্রীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। আন্দোলনের তীব্রতায় প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

সরকার দেশজুড়ে কারফিউ জারি করেছে এবং সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছে। বৃহস্পতিবার ভোরে বাগমতি প্রদেশের রামেছাপ জেলায় একটি কারাগার ভাঙার চেষ্টা চলাকালে সেনাদের গুলিতে অন্তত দুইজন নিহত হন। যদিও পুলিশ দাবি করছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে নেপাল প্রেসের তথ্যমতে প্রায় ১৪ হাজার ৩০৭ জন বন্দি বিভিন্ন কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনা

ওলির পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। একটি অনলাইন জরিপে বিক্ষোভকারীরা প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।


UNHRC-তে মুখোমুখি ভারত–সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তানকে আক্রমণ দিল্লির

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১২ ১১:২০:২৫
UNHRC-তে মুখোমুখি ভারত–সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তানকে আক্রমণ দিল্লির

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (UNHRC) ৬০তম অধিবেশনে ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশেষ করে সংখ্যালঘু অধিকার প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছে সুইজারল্যান্ড। দেশটি ভারতের প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা জোরদার করার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) জেনেভায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ছিল হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের মৌখিক প্রতিবেদন নিয়ে সাধারণ আলোচনা। এখানে একাধিক দেশ তাদের বক্তব্য রাখে।

ভারতের প্রতিক্রিয়া

ভারতের স্থায়ী মিশনের কাউন্সেলর ক্ষিতিজ ত্যাগী সুইজারল্যান্ডের বক্তব্যের জবাবে বলেন, মন্তব্যগুলো যথাযথ তথ্যভিত্তিক নয় এবং ভারতের বাস্তব পরিস্থিতিকে প্রতিফলিত করে না। তাঁর ভাষায়, ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে বহুত্ববাদ ও সাংবিধানিক অধিকার গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, মানবাধিকার ইস্যুতে আলোচনা করতে হলে প্রতিটি দেশেরই নিজেদের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ যেমন বর্ণবাদ, প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য ও বিদেশিবিদ্বেষ মোকাবিলায় মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।

তাঁর বক্তব্যে ভারত সুইজারল্যান্ডকে "ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার" হিসেবে উল্লেখ করলেও, এ ধরনের মন্তব্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সময় ও গুরুত্বকে ব্যাহত করে বলে মন্তব্য করেন।

পাকিস্তান প্রসঙ্গে ভারতের জবাব

একই অধিবেশনে পাকিস্তানও ভারতের সমালোচনা করে। এ সময় ভারত তার জবাবে পাকিস্তানের অভিযোগগুলোকে “পুনরাবৃত্ত ও প্রচারণাধর্মী” আখ্যা দেয়। ভারতের প্রতিনিধি বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রায়ই একই ধরনের অভিযোগ তুলে ধরে, যা বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতি তৈরি করে।

ভারতের বক্তব্যে ৯/১১ হামলার প্রসঙ্গও উঠে আসে। প্রতিনিধি উল্লেখ করেন, আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে অবস্থান করছিলেন এবং পরবর্তীতে ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে তিনি নিহত হন। এই তথ্যের উল্লেখ করে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ে উপদেশ দেওয়ার নৈতিক ভিত্তি প্রশ্নবিদ্ধ।

প্রেক্ষাপট

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে বহু দেশ পরস্পরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মতামত জানায়। সুইজারল্যান্ড সাধারণত মানবাধিকার ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সংখ্যালঘু ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষা নিয়ে মন্তব্য করে থাকে। অন্যদিকে ভারত দাবি করে, তাদের বহুত্ববাদী সমাজ ও সাংবিধানিক কাঠামো মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট কার্যকর।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মানবাধিকার বিষয়ক বিতর্ক দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে কাশ্মীর প্রসঙ্গ আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রায়ই উত্থাপিত হয়। ভারত এ ধরনের অভিযোগকে প্রচারণা হিসেবে চিহ্নিত করে এবং পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের ইতিহাসের দিকে ইঙ্গিত করে।


উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ২২:৪৮:৫৯
উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রেরউটাহভ্যালিইউনিভার্সিটি (UVU) ক্যাম্পাসেপ্রকাশ্য অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন কনজারভেটিভ অ্যাক্টিভিস্ট ও টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর সহপ্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ক (৩১)। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্র হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। বুধবার দুপুরে ওরেম শহরে আউটডোর এক প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেওয়ার সময় ছাদের দিক থেকে ছোঁড়া একক গুলি তাঁর গলায় লাগে। ভিডিও ফুটেজে তাঁকে মঞ্চে চেয়ার থেকে পড়ে যেতে দেখা যায় এবং দর্শকেরা আতঙ্কে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খালি করে দেওয়া হয় এবং ক্লাস স্থগিত করা হয়। ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যৌথভাবে হামলাকারীকে খুঁজে বের করার জন্য মানবহান্ট চালাচ্ছে। ডোরটুডোর তল্লাশি চলছে এবং জনসাধারণের কাছে ছবি বা ভিডিওসহ যেকোনো তথ্য সরবরাহের আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দুজনকে আটক করা হলেও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে হামলাকারী এখনও পলাতক, যদিও তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে এটি একক হামলাকারীর কাজ ছিল।

উটাহ গভর্নর স্পেন্সার কক্স ঘটনাটিকে সরাসরি “টার্গেটেড অ্যাটাক” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং অপরাধীর জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা হামলাকারীকে খুঁজে বের করব, বিচার করব এবং সর্বোচ্চ আইনি শাস্তি নিশ্চিত করব।” এফবিআই এবং অন্যান্য ফেডারেল সংস্থা যৌথভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওপেনএয়ার ক্যাম্পাস ইভেন্টে ছাদ থেকে এমন আক্রমণ ঠেকানো কঠিন, যা ভবিষ্যতে নিরাপত্তা প্রটোকল নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

ঘটনার পর রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটউভয় শিবির থেকেই নিন্দা জানানো হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শোক প্রকাশ করে বলেন, চার্লি কার্ক ছিলেন “একজন মহান ও কিংবদন্তি মানুষ”। প্রেসিডেন্টের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়েছে। ডেমোক্র্যাট নেতারাও রাজনৈতিক সহিংসতার কঠোর নিন্দা করেছেন এবং এটিকে গণতন্ত্রের জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও শোক ও সমবেদনা এসেছে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালি ও ইসরায়েলের শীর্ষ নেতারা কার্কের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁকে “ইসরায়েলের প্রকৃত বন্ধু” আখ্যা দিয়েছেন।

চার্লি কার্ক মাত্র ১৮ বছর বয়সে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে কনজারভেটিভ তরুণদের সংগঠিত করেছিলেন। সংগঠনটি বর্তমানে প্রায় চার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সক্রিয় বলে দাবি করে। ২০১৬ সালের পর তিনি ট্রাম্প রাজনীতির অন্যতম মুখপাত্রে পরিণত হন এবং ধারাবাহিকভাবে টেলিভিশন, পডকাস্ট ও ক্যাম্পাস ট্যুরের মাধ্যমে কনজারভেটিভ ভোটার ও তরুণদের প্রভাবিত করেছেন।

এই হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতা ও প্রকাশ্য ইভেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাধিক উচ্চপ্রোফাইল রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনার পর এবার UVUতে কার্কের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠছেবিশ্ববিদ্যালয় ও জনসমাবেশে ফ্রি স্পিচএর নিরাপত্তা কীভাবে আরও কার্যকরভাবে নিশ্চিত করা যায়। বর্তমানে তদন্তকারীরা ব্যালিস্টিক্স, সিসিটিভি ফুটেজ ও ডিজিটাল ফরেনসিকস বিশ্লেষণ করছেন এবং জনসাধারণের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন।


গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১১:০৬:৪৩
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ক
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থি রাজনীতির অন্যতম পরিচিত মুখ এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার চার্লি কার্ক (Charlie Kirk) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। বুধবার স্থানীয় সময় উটা ভ্যালি ইউনিভার্সিটির প্রাঙ্গণে ভাষণ দেওয়ার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সাক্ষীদের বর্ণনা ও ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মঞ্চে উপস্থিত থেকে তাবুর নিচে বসা অবস্থায় হঠাৎ গুলির শব্দে চেয়ার থেকে লুটিয়ে পড়েন চার্লি কার্ক। দর্শকদের মধ্যে সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তেই তারা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন। পরে পুলিশ নিশ্চিত করে, তার গলায় গুলি লেগেছিল এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে।

এখনও হামলাকারীকে শনাক্ত বা আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে পুরো এলাকা জুড়ে। কর্তৃপক্ষ বলছে, হামলার প্রকৃত কারণ ও উদ্দেশ্য তদন্ত করা হচ্ছে।

ঘটনার পরপরই উটা’র রিপাবলিকান সিনেটর মাইক লি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “আমি পরিস্থিতির ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছি। চার্লি কার্ক এবং সেখানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন।”

চার্লি কার্কের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোক নেমে এসেছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, “চার্লি যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রজন্মকে বোঝার ক্ষেত্রে ছিলেন অসাধারণ। তিনি শুধু আমার কাছে প্রিয় ছিলেন না, বরং অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ। মেলানিয়া ও আমি তার স্ত্রী এরিকা এবং পুরো পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”

-রাফসান


নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য প্রধান পছন্দ সুশিলা কার্কি, বলছে ‘জেন জেড’ আন্দোলন

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১০:৫৪:১৬
নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য প্রধান পছন্দ সুশিলা কার্কি, বলছে ‘জেন জেড’ আন্দোলন
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রচণ্ড বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা ও সংসদ ভবনে অগ্নিসংযোগের পর রাজনৈতিক শূন্যতায় পড়েছে নেপাল। এই সংকটময় সময়ে দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি ও প্রথম নারী সুপ্রিম কোর্ট প্রধান সুশিলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে দেখতে চাইছে তরুণদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলন ‘জেন জেড’-এর একটি অংশ।

বুধবার সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ‘জেন জেড’ প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করেন বলে জানায় সেনাবাহিনী। ৩০ মিলিয়ন জনসংখ্যার হিমালয়কন্যা দেশটিতে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার পর সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি রক্ষ্যা বাম বলেন, “সুশিলা কার্কির নামই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের জন্য সবচেয়ে আলোচিত। এখন রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা।” তিনি আরও জানান, সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।

৭৩ বছর বয়সী সুশিলা কার্কি এএফপিকে বলেন, “বর্তমান সংকট মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের একসঙ্গে বসা জরুরি। সংসদ এখনো বহাল রয়েছে এবং সেখান থেকেই সমাধান বের করতে হবে।”

তবে আন্দোলনের ভেতরেই নেতৃত্ব নিয়ে মতপার্থক্য স্পষ্ট। ডিসকর্ড প্ল্যাটফর্মে হাজারো তরুণ ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগ দিয়ে নিজেদের এজেন্ডা ও সম্ভাব্য নেতৃত্ব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করেছেন। সাংবাদিক প্রণয় রানা বলেন, “এ ধরনের বিকেন্দ্রীভূত আন্দোলনে মতবিরোধ থাকা স্বাভাবিক। এখানে নানা স্বার্থ ও কণ্ঠস্বর কাজ করছে।”

এদিকে, বৃহস্পতিবারও সেনারা রাজধানীর রাস্তায় টহল দিয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত থাকলেও শহরের বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দিলে এবং দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে তরুণরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং সহিংস রূপ নেয়। সরকার কঠোর দমন অভিযান চালালে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়। এরপর ক্রুদ্ধ জনতা সরকারি ভবনগুলোতে অগ্নিসংযোগ করে, যার পর প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হন।

-সুত্রঃ এ এফ পি


মার্কিন রাজনীতিতে নতুন বিভাজনের আশঙ্কা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১০:৩০:৪৯
মার্কিন রাজনীতিতে নতুন বিভাজনের আশঙ্কা
ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ডানপন্থি কর্মী এবং টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ককে উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ রিপাবলিকান নেতারা কার্ককে “মার্কিন রক্ষণশীল মূল্যবোধের শহীদ” হিসেবে অভিহিত করেছেন।

৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া ভিডিও বার্তায় বলেন, চার্লি কার্ক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও আমেরিকান জনগণের জন্য লড়াই করেছেন। তাঁর মৃত্যু সত্য ও স্বাধীনতার জন্য এক ধরনের ত্যাগ। কার্কের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে রক্ষণশীল মহলে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার জ্যাক পোসোবিয়েক বলেন, কার্ক যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা থামবে না। স্টিভ ব্যানন বলেন, এটি এক ধরনের যুদ্ধক্ষেত্রের ক্ষতি, তাই এখন আরও দৃঢ় হওয়ার সময়।

কার্কের মৃত্যু তরুণ রক্ষণশীলদেরও নড়েচড়ে বসিয়েছে। ব্রেইটবার্ট নিউজের সাংবাদিক ম্যাট বয়েল বলেছেন, আমেরিকায় নতুন আগুন জ্বলে উঠেছে, তরুণরা এই হত্যাকাণ্ড চুপচাপ মেনে নেবে না। পডকাস্টার বেনি জনসন এক্স-এ লিখেছেন, কার্ক একজন আমেরিকান শহীদ। হারিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট কেভিন রবার্টস বলেন, এই ঘটনা দেশের জন্য এক মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত।

এদিকে হত্যার তদন্ত চলছে। পুলিশ এক সন্দেহভাজনকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দিয়েছে। এখনো মূল হত্যাকারী পলাতক। এর মধ্যেই ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকরা হত্যার জন্য রাজনৈতিক বামপন্থীদের দায়ী করেছেন। এলন মাস্ক এক্স-এ লিখেছেন, “বামপন্থীরা হত্যার দল।” ট্রাম্প বলেন, র‍্যাডিক্যাল বামদের সহিংসতায় বহু নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। অভিনেতা জেমস উডস আরও এক ধাপ এগিয়ে মন্তব্য করেছেন, “এটি বন্দুক সহিংসতা নয়, এটি ডেমোক্র্যাট সহিংসতা।”

রক্ষণশীল টিভি হোস্ট গ্রেগ গুটফেল্ড সতর্ক করে বলেছেন, যদি কেউ মনে করে এই হত্যাকাণ্ড আন্দোলনকে থামিয়ে দেবে, তবে তারা ভুল করছে। এর রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এই হত্যাকাণ্ড মার্কিন রাজনীতিতে নতুন বিভাজন তৈরি করতে পারে এবং আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকানদের আরও ঐক্যবদ্ধ করতে পারে।

-সুত্রঃ এ এফ পি


নেপালে রাজনৈতিক শূন্যতা: সেনা তত্ত্বাবধানে উত্তাল দেশ, নতুন নেতৃত্ব কে?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১০:১৪:৫৫
নেপালে রাজনৈতিক শূন্যতা: সেনা তত্ত্বাবধানে উত্তাল দেশ, নতুন নেতৃত্ব কে?
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রাণঘাতী সহিংসতা, তীব্র বিক্ষোভ এবং প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর নেপাল এক অনিশ্চিত রাজনৈতিক মোড়ে দাঁড়িয়ে। মঙ্গলবার শুরু হওয়া সহিংসতায় দেশটির পার্লামেন্ট ভবন পর্যন্ত অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর পরপরই সেনাবাহিনী ক্ষমতার ভার নেয়। ৩ কোটি মানুষের এই হিমালয়ি দেশটি এখন প্রশ্নের মুখে—কে নেবে নেতৃত্ব, কেমন হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার?

সেনা তত্ত্বাবধানে অস্থির পরিস্থিতি

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগডেল বুধবার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি—যাদের Gen Z নামে অভিহিত করা হচ্ছে—এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যদিও বৈঠকের বিস্তারিত জানানো হয়নি। সেনারা আপাতত শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে, কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে সেনা তত্ত্বাবধান দীর্ঘ হলে রাজনৈতিক বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

সংবিধান ও অন্তর্বর্তী সমাধান

সংবিধান অনুযায়ী, ৮০ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেলকে বৃহত্তম দলের নেতাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাতে হবে। তবে বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্ব কার্যত অদৃশ্য। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি—যাকে সম্ভাব্য অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দেখা হচ্ছে—বলেছেন,

“সব রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের একসঙ্গে বসে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। পার্লামেন্ট এখনো বিদ্যমান, সেটিই হতে পারে সংলাপের মঞ্চ।”

কিন্তু সমস্যার গভীরতা শুধু প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগে সীমাবদ্ধ নয়। সংকটগোষ্ঠী ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক আশীষ প্রধানের ভাষায়,

“এবারের জনরোষ পুরো রাজনৈতিক শ্রেণির প্রতি। সাধারণ মানুষ কেবল একজন নেতাকে নয়, পুরো ব্যবস্থাকেই প্রত্যাখ্যান করছে।”

যুবশক্তির উত্থান

Gen Z নামের ব্যানারে তরুণরা বেকারত্ব, দুর্নীতি ও সুযোগের অভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছে। সরকারের স্বল্পমেয়াদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ হিসেবে কাজ করে। আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা কাঠমান্ডুর মেয়র, র‌্যাপার-থেকে-প্রকৌশলী বালেন্দ্র শাহ এবং যুব অধিকার সংগঠন হামি নেপালের নেতা সুধান গুরুং। তারা দাবি করছে, সহিংসতার জন্য তরুণরা দায়ী নয়; বরং আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ রাখাই তাদের লক্ষ্য।

সাংবাদিক প্রণয় রানা সতর্ক করে বলেন,

“যুব আন্দোলনকে ছায়ায় থাকা সুযোগসন্ধানীদের হাতে চলে যেতে দেওয়া যাবে না। এখন দরকার ঐক্যবদ্ধ পরিকল্পনা ও নেতৃত্ব।”

পুরনো প্রজন্মের পতন

কমিউনিস্ট পার্টির প্রবীণ নেতা ও চারবারের প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলি পদত্যাগের পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর সাবেক মিত্র ও পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাকেও দেখা যায়নি। দুই নেতার ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তিও জনরোষে ভেসে গেছে।

রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ

২০০৮ সালে নেপাল রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে প্রজাতন্ত্রে রূপ নেয়। ক্ষমতাচ্যুত রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের প্রতি কিছু জনসমর্থন ফিরে এলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তাঁর প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা খুব কম। ক্রাইসিস গ্রুপ সতর্ক করে বলেছে,

“রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হলে তা স্বৈরতান্ত্রিক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।”

-সুত্রঃ এ এফ পি


যুক্তরাষ্ট্রে আটক কোরীয় শ্রমিকদের দেশে ফেরাতে চার্টার্ড ফ্লাইট

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ১২:৩২:২১
যুক্তরাষ্ট্রে আটক কোরীয় শ্রমিকদের দেশে ফেরাতে চার্টার্ড ফ্লাইট
ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে বৃহৎ পরিসরের অভিবাসন অভিযানে আটক হওয়া শতাধিক দক্ষিণ কোরীয় শ্রমিককে দেশে ফিরিয়ে আনতে বুধবার সিউল থেকে একটি চার্টার্ড বিমান ছাড়বে। কোরিয়ান এয়ার কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের বোয়িং ৭৪৭-৮আই উড়োজাহাজ সকাল ১১টায় (স্থানীয় সময়) সিউল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যাত্রা করবে।

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে হুন্ডাই ও এলজি এনার্জি সলিউশনের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন ৪.৩ বিলিয়ন ডলারের ব্যাটারি কারখানায় ব্যাপক অভিবাসন অভিযান চালানো হয়। এতে মোট ৪৭৫ জনকে আটক করা হয়, যাদের মধ্যে শতাধিক দক্ষিণ কোরীয় শ্রমিক রয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী কঠোর অভিযানে এটাই একক স্থানে সবচেয়ে বড় ধরপাকড় বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো হিউন জরুরি বৈঠকে অংশ নিতে সোমবার ওয়াশিংটন গেছেন। তিনি আটক শ্রমিকদের বিষয়টিকে “গুরুতর পরিস্থিতি” আখ্যা দিয়ে দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের আশ্বাস দিয়েছেন। সংসদ সদস্যদের তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে এমন একটি চুক্তি হয়েছে যাতে আটক শ্রমিকদের ওপর পাঁচ বছরের পুনঃপ্রবেশ নিষেধাজ্ঞার মতো শাস্তি আরোপ করা হবে না। তার ভাষায়, “আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে।”

ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে, আটক শ্রমিকদের নিয়ে ফেরার ফ্লাইটটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৩টা ৩০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) উড্ডয়ন করবে।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, আটক দক্ষিণ কোরীয় শ্রমিকদের অনেকে এমন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন যা সরাসরি নির্মাণ কাজে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয় না। এ কারণেই তারা অভিযানে ধরা পড়েন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা মিত্র, একই সঙ্গে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ও প্রধান গাড়ি ও ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারী দেশ। তাদের একাধিক কারখানা যুক্তরাষ্ট্রে স্থাপিত হয়েছে। এছাড়া শুল্কবিষয়ক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আহ্বানেও সাড়া দিয়েছে সিউল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনার প্রভাব দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কেও কিছুটা প্রতিফলিত হতে পারে।

-সুত্রঃ এ এফ পি


মাত্র ২৪ ঘণ্টায় নতুন প্রধানমন্ত্রী

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ০৯:৫৭:৫৪
মাত্র ২৪ ঘণ্টায় নতুন প্রধানমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে। ৩৯ বছর বয়সী এই তরুণ রাজনীতিবিদ এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দীর্ঘদিন ধরেই প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

বিবিসি জানিয়েছে, আস্থা ভোটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রাসোয়া বায়রো ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টা পরই লেকর্নুর নাম ঘোষণা করা হয়। এ নিয়োগের মাধ্যমে ম্যাক্রোঁ তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী পেলেন।

এলিসি প্রাসাদের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আসন্ন বাজেট অনুমোদন নিশ্চিত করতে লেকর্নুকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাপক মতভেদ ও বিরোধিতা সৃষ্টি হওয়ায় দেশ রাজনৈতিক অচলাবস্থার মুখে পড়ে।

এরই প্রেক্ষাপটে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাসোয়া বায়রো আকস্মিকভাবে আস্থাভোট আহ্বান করেন। তবে পার্লামেন্টে ৩৬৪-১৯৪ ভোটে পরাজিত হয়ে তিনি ক্ষমতা হারান।

পরাজয়ের পর বায়রো প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার এই পদত্যাগই সেবাস্তিয়ান লেকর্নুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পথ প্রশস্ত করে। দায়িত্ব পাওয়ার পর লেকর্নু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, প্রেসিডেন্ট তাকে একটি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন ফ্রান্সের স্বাধীনতা ও শক্তি রক্ষা করা, জনগণের সেবা করা এবং দেশের ঐক্য ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা তাঁর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত: