জাতীয় পার্টির নামে ফেরার পথ খুঁজছে আওয়ামী লীগ: রাশেদ খান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৮ ১৯:৩৫:৩১
জাতীয় পার্টির নামে ফেরার পথ খুঁজছে আওয়ামী লীগ: রাশেদ খান
ছবি: সংগৃহীত

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিল না করে আগামী নির্বাচন আয়োজন করলে সেটি আওয়ামী লীগের জন্যই সুবিধাজনক হবে। তার ভাষায়, “আওয়ামী লীগ আবার জাতীয় পার্টির ব্যানারে ফিরে আসবে।”

সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে দলের আয়-ব্যয় বিবরণী জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী দল যেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে।”

তিনি জানান, বর্তমান কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন আশ্বস্ত করেছেন, আওয়ামী লীগের পদে থাকা কেউ স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

তবে গণ অধিকার পরিষদ জানতে চেয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা আওয়ামী লীগের সরাসরি পদে না থেকেও ‘ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েমে’ ভূমিকা রেখেছেন, তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি না। এ বিষয়ে সিইসি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন বলেও জানান রাশেদ খান।

জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোট সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলা হয় নির্বাচন কমিশনের সামনে। রাশেদ বলেন, “এই জোটগুলোও তো দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে মদদ দিয়েছে। তাহলে তাদের নিবন্ধন স্থগিত হবে না কেন?”

গণ অধিকার পরিষদ তাদের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাবও নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তাদের মোট আয় হয়েছে ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৩০০ টাকা। ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮ টাকা।

/আশিক


ডাকসু নির্বাচন কি জাতীয় রাজনীতির পূর্বাভাস? জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১২ ১৪:০০:৫১
ডাকসু নির্বাচন কি জাতীয় রাজনীতির পূর্বাভাস? জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য

ফ্রান্সে অবস্থানরত বাংলাদেশি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সার ড. পিনাকী ভট্টাচার্য সাম্প্রতিক ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এক দীর্ঘ ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। তিনি ছাত্রশিবিরের বিজয়কে কেবল একটি সংগঠনের অর্জন নয়, বরং বাংলাদেশের মজলুম জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে দেখেছেন। তাঁর মতে, এ বিজয় বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

শিবিরের বিজয় ও পূর্বাভাসের বাস্তবতা

পিনাকী ভট্টাচার্য ভিডিওতে উল্লেখ করেন, আগস্ট মাসেই তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ছাত্রশিবির ডাকসুর ভিপি ও জিএসসহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদে বিজয়ী হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে শিবিরের জয় হবে ব্যাপক এবং ভোটের ব্যবধান হবে বিরাট। তাঁর মতে, এই বিজয় শুধু সংখ্যার হিসাব নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি “ফেনোমেনাল” পরিবর্তনের সূচনা। তিনি আশঙ্কাও প্রকাশ করেন যে, শেষ মুহূর্তে নির্বাচন স্থগিতের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারত; তবে তা হয়নি এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামপন্থীরা যে বিপুল সমর্থন লাভ করেছে তা পরিষ্কার হয়ে গেছে।

বিএনপি ও ছাত্রদলের ভরাডুবির কারণ

বিএনপি ও তাদের ছাত্রসংগঠনের অবস্থান নিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্যের সমালোচনা ছিল সরাসরি। তাঁর মতে, ছাত্রদলের এই ভরাডুবি অবশ্যম্ভাবী ছিল না, তবে তাদের অদূরদর্শী কৌশল, অপরিপক্ব রাজনীতি এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস তাদের এই অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি বারবার আওয়ামী লীগের দেওয়া ন্যারেটিভ গ্রহণ করেছে এবং জামায়াতকে দুর্বল করার চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেদের এন্টি–ইন্ডিয়া ভোট ব্যাংক হারিয়েছে। এর ফলে তারা প্রগতিশীল ভোট কিছুটা পেলেও নিজেদের মূল সমর্থন হারিয়েছে, যা বড় ধরনের রাজনৈতিক ব্যর্থতা।

ন্যারেটিভ যুদ্ধ ও ভারতবিরোধী ভোটের গুরুত্ব

ড. ভট্টাচার্যের বিশ্লেষণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিল ন্যারেটিভের লড়াই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির মূল দ্বন্দ্ব হলো ভারতীয় আধিপত্যবাদ বনাম জনগণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা। বিএনপি যদি আওয়ামী লীগের মতো মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক রাজনীতি করতে থাকে তবে সেটি তাদের জন্য আত্মঘাতী হবে। কারণ, এতে জামায়াত–শিবির বরং শক্তিশালী হবে, তারা এন্টি–ইন্ডিয়া ভোট ধরে রাখতে পারবে। পিনাকীর মতে, বিএনপি তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভুলভাবে চিহ্নিত করেছে, যার ফলে আজ তারা জনগণের আস্থা হারিয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য

ইতিহাসের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ডাকসুর নির্বাচন কখনোই কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকে না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আগে তোফায়েল আহমেদ ও আসম আবদুর রবের বিজয় কিংবা ১৯৯০ সালের গণআন্দোলনের আগে আমানউল্লাহ আমানের জয় জাতীয় রাজনীতির পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। তাঁর মতে, এবার শিবিরের জয়ও তেমনই একটি বার্তা বহন করছে—বাংলাদেশে নতুন এক রাজনৈতিক বাস্তবতা জন্ম নিচ্ছে।

ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

তবে পিনাকী ভট্টাচার্য সতর্ক করেছেন, এই বিজয়ে আত্মহারা হলে হবে না। এখন থেকে শুরু হবে মূল সংগ্রাম—সঠিক ন্যারেটিভ ধরে রাখা, সেটিকে আরও বিস্তৃত করা এবং জাতীয় রাজনীতির ময়দানে রূপান্তরিত করা। তিনি বলেন, সেকুলার শক্তি, আন্তর্জাতিক স্বার্থ ও মূলধারার গণমাধ্যম এই বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করবে। তাই সংগঠনকে কৌশলগতভাবে প্রস্তুত হতে হবে এবং জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় করতে হবে।

নতুন দিগন্তের সূচনা

ড. পিনাকী ভট্টাচার্যের মতে, ডাকসুর এই ফলাফল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটি প্রমাণ করেছে যে ইসলামপন্থীরা আর প্রান্তিক শক্তি নয়; তারা এখন জনসমর্থনের বৃহৎ ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, “ডাকসুর এই বিজয় শুধুমাত্র একটি সংগঠনের জয় নয়, এটি একটি প্রজন্মের, একটি জনগণের এবং একটি আন্দোলনের বিজয়।” তাঁর মতে, ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে ভারতীয় বয়ান নয়, বরং বাংলাদেশের নাগরিকদের মুক্তির বয়ানই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবে।


জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ২৩:৫৪:৩০
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকেই জুলাই সনদের সমস্ত সুপারিশ বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে। তাঁর মতে, এই সনদে অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবগুলোই ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি শক্তিশালী করার প্রধান নির্দেশনা হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার সাংবিধানিকভাবে গঠিত হয়েছে। তবে দলটি আহ্বান জানিয়েছে, সংবিধান নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠে এমন কোনো সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ না নিতে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, ইতোমধ্যে ২৯টি রাজনৈতিক দল লিখিত মতামত জমা দিয়েছে। এর মধ্যে নির্বাহী আদেশ, অধ্যাদেশ জারি এবং অফিস আদেশসহ ছয় ধরনের মতামত পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, সংবিধান সংশোধনের জন্য ১৯টি মৌলিক বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এর আগে সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির এই নেতা। সেখানে তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা জাতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁর মতে, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সে অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের ইতিবাচক কিছু অর্জন থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে সেই অর্জনের মূল্য থাকবে না অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচিত জাতীয় সংসদই সংবিধান সংশোধনের অনুমোদন দিতে পারে। ভিন্ন কোনো প্রক্রিয়ায় গেলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে এবং গণতান্ত্রিক বৈধতা হারানোর ঝুঁকি তৈরি হবে।


শিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলের বর্জন—প্রশ্নের মুখে ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১৬:২৮:১৪
শিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলের বর্জন—প্রশ্নের মুখে ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে ভোট চলাকালীন সময়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুটি বড় ছাত্রসংগঠনছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল এবং ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের বর্জন ঘোষণা

বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী মওলানা ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। এ সময় প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তাঁরা অভিযোগ করেন, ভোটগ্রহণে নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তারা এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

ছাত্রশিবির সমর্থিত জোটের অভিযোগ

এদিকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটও একইভাবে অনিয়মের অভিযোগ তোলে। বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের যথাযথ প্রস্তুতি ছিল না। ক্যাম্পাসে ভীতি ও অনিয়মের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।”

তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন হলে বহিরাগতদের আনাগোনা দেখা গেছে এবং ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ভোটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কিছু সিদ্ধান্ত নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে। কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, “কিছু কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে চলমান রয়েছে। যেসব কেন্দ্রে সাময়িক বিরতি ছিল, সেগুলোতে ভোটারদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।”

নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটার সংখ্যা

এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন এবং পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন। মোট ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও দুপুরের পর তা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।


জাকসুতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সাদীর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১১:১৩:১২
জাকসুতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সাদীর
ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নিজের ভোট দিয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে তিনি মীর মোশাররফ হোসেন হলে ভোট প্রদান করেন।

ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার অভিযোগ, নির্দিষ্ট একটি ছাত্র সংগঠনের প্রার্থীদের নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে এবং অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে, যা নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার কৌশল হতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভোট অবশ্যই ম্যানুয়ালি গণনা করতে হবে, যাতে কারচুপির সুযোগ না থাকে।

এসময় তিনি আরও অভিযোগ করেন, শিবির সভাপতি হলে প্রবেশ করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। দেশবিরোধী শক্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালে যারা দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, শিক্ষার্থীরা তাদের কখনোই মেনে নেবে না।

তার মতে, জাহাঙ্গীরনগর একটি প্রগতিশীল বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখানে পরাজিত শক্তির কোনো আশ্রয় নেই। সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলকেই বিজয়ী করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রশাসনের আচরণের সমালোচনা করে সাদী বলেন, গতকাল থেকেই প্রশাসন একপেশে আচরণ করছে। অভিযোগ জানানোর পরও নির্বাচন কমিশন উদাসীন থেকেছে, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তবে তিনি এও উল্লেখ করেন যে ফলাফল যাই হোক না কেন, সেটি মেনে নেওয়ার মানসিকতা তার রয়েছে।

-রাফসান


নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য প্রধান পছন্দ সুশিলা কার্কি, বলছে ‘জেন জেড’ আন্দোলন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১০:৫৪:১৬
নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য প্রধান পছন্দ সুশিলা কার্কি, বলছে ‘জেন জেড’ আন্দোলন
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রচণ্ড বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা ও সংসদ ভবনে অগ্নিসংযোগের পর রাজনৈতিক শূন্যতায় পড়েছে নেপাল। এই সংকটময় সময়ে দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি ও প্রথম নারী সুপ্রিম কোর্ট প্রধান সুশিলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে দেখতে চাইছে তরুণদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলন ‘জেন জেড’-এর একটি অংশ।

বুধবার সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ‘জেন জেড’ প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করেন বলে জানায় সেনাবাহিনী। ৩০ মিলিয়ন জনসংখ্যার হিমালয়কন্যা দেশটিতে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার পর সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি রক্ষ্যা বাম বলেন, “সুশিলা কার্কির নামই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের জন্য সবচেয়ে আলোচিত। এখন রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা।” তিনি আরও জানান, সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।

৭৩ বছর বয়সী সুশিলা কার্কি এএফপিকে বলেন, “বর্তমান সংকট মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের একসঙ্গে বসা জরুরি। সংসদ এখনো বহাল রয়েছে এবং সেখান থেকেই সমাধান বের করতে হবে।”

তবে আন্দোলনের ভেতরেই নেতৃত্ব নিয়ে মতপার্থক্য স্পষ্ট। ডিসকর্ড প্ল্যাটফর্মে হাজারো তরুণ ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগ দিয়ে নিজেদের এজেন্ডা ও সম্ভাব্য নেতৃত্ব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করেছেন। সাংবাদিক প্রণয় রানা বলেন, “এ ধরনের বিকেন্দ্রীভূত আন্দোলনে মতবিরোধ থাকা স্বাভাবিক। এখানে নানা স্বার্থ ও কণ্ঠস্বর কাজ করছে।”

এদিকে, বৃহস্পতিবারও সেনারা রাজধানীর রাস্তায় টহল দিয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত থাকলেও শহরের বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দিলে এবং দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে তরুণরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং সহিংস রূপ নেয়। সরকার কঠোর দমন অভিযান চালালে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়। এরপর ক্রুদ্ধ জনতা সরকারি ভবনগুলোতে অগ্নিসংযোগ করে, যার পর প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হন।

-সুত্রঃ এ এফ পি


৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন: নিরাপত্তা, অনিয়ম ও বিতর্কে সরগরম ক্যাম্পাস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১০:০৪:১৫
৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন: নিরাপত্তা, অনিয়ম ও বিতর্কে সরগরম ক্যাম্পাস
ছবিঃ সংগৃহীত

৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ১১ হাজার ৯১৯ জন শিক্ষার্থী এবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৮ জন প্রার্থী।

কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে ১,২০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন আছে, যাদের মধ্যে অনেকেই সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গেও সমন্বয় করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, তবুও তারা নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত।

মাদক, টাকা ও খাবার বিতরণের অভিযোগ

ভোটের আগে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মাদক সহজলভ্য হওয়ার অভিযোগ করেছেন। জনপ্রিয় আড্ডাস্থল যেমন তারজান পয়েন্ট, সিডনি ফিল্ড ও বিভিন্ন হল এলাকায় মাদক, মদ এবং বিরিয়ানি বিতরণের খবর পাওয়া গেছে। অনেকেই বলছেন, এসব ভোটার প্রভাবিত করার জন্য দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ সরাসরি অর্থ বিতরণের অভিযোগও করেছেন।

স্বতন্ত্র প্যানেলের জিএস প্রার্থী মো. শাকিল আলী বলেন,

“হলগুলোতে মদ ও মাদক সরবরাহ হচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটারদের বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছে। এগুলো অন্যায্য এবং আচরণবিধি ভঙ্গ।”

‘সংসপ্তক পরিষদ’-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন,

“অনেক প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে। আমরা আশা করেছিলাম সবাই নিয়ম মেনে চলবে, কিন্তু তা হয়নি।”

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসন এসব অনিয়ম ঠেকাতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

মনোনয়ন বাতিল ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার

নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী সাইদা আনন্যা ফারিয়া প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঐক্যের স্বার্থে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

এদিকে, আদালতের আদেশে ‘ঐক্য প্যানেল’-এর ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এতে ভোটের আগে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে।

ডোপ টেস্ট নিয়ে বিতর্ক

এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট চালু করা হয়েছে। তবে ভোটের মাত্র দুই দিন আগে টেস্ট শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বলছেন, এত কম সময়ে সবাই পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবে না। সময়সীমা বাড়ানো হলেও অনেক প্রার্থীর নমুনা সংগ্রহ এখনো শেষ হয়নি।

-নাজমুল হোসেন


ডাকসুতে জয়ীদের উদ্দেশ্যে জামায়াত আমিরের বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ১৯:১১:৩৪
ডাকসুতে জয়ীদের উদ্দেশ্যে জামায়াত আমিরের বার্তা
ছবি: সংগৃহীত

গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ নির্বাচনে শীর্ষ তিনটি পদে বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), জিএস পদে এসএম ফরহাদ এবং এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান। এছাড়া ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে একই প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয় অর্জন করেন। বাকি তিনটি সম্পাদকীয় পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানান এবং নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

জামায়াত আমির নির্বাচিতদের উদ্দেশে বলেন, “আমার প্রত্যাশা, তারা দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমগ্র ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করবেন।”

তিনি আরও বলেন, “৯ সেপ্টেম্বর দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট প্রদান করেছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। এ নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছেন, আমি তাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”

ডা. শফিকুর রহমান তার বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করেন, “জাতির এ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক সমাজ এবং নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।”

এসময় তিনি ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় চ্যানেল এস-এর সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম শিবলীর মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”

-রাফসান


"ষড়যন্ত্র ভেদ করে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে হবে"

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ১৯:০৫:৫২
"ষড়যন্ত্র ভেদ করে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে হবে"
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সহযোগী শক্তির পাশাপাশি আরেকটি রাজনৈতিক দলও প্রহসনের খেলায় অংশ নিয়েছে। তিনি বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন থেকেই সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।

বুধবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশাল মহানগর মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত ওই সভায় সেলিমা রহমান আরও বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে এবং এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “এখন থেকে ঘরে ঘরে যেতে হবে, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। কে নমিনেশন পেলেন বা কে প্রার্থী হলেন সেটা বড় বিষয় নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হবে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোট নিশ্চিত করা।”

তিনি দেশের বর্তমান সামাজিক অবক্ষয়ের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেলিমা রহমান বলেন, “আজকের সমাজে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে গেছে। শিশু ও তরুণরা অশালীন ভাষায় কথা বলছে, শিক্ষকের মর্যাদা নেই, মায়ের সম্মান নেই, বাবার সম্মান নেই। এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে আপনাদের মাধ্যমে।” তিনি আরও আহ্বান জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত করতে এবং দেশকে সঠিক পথে ফেরাতে তারেক রহমান প্রস্তাবিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

-রফিক


স্বাস্থ্য জটিলতায় স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে বিএনপি মহাসচিব

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ১০:০৬:৩৬
স্বাস্থ্য জটিলতায় স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে বিএনপি মহাসচিব
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগমের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি নির্ধারিত ফ্লাইটে তিনি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, রাহাত আরা বেগমের চিকিৎসকের পরামর্শ ও শিডিউল আগেই নির্ধারিত ছিল। সেই সময়সূচি অনুযায়ী তারা আজ সকালে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি আরও জানান, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে মির্জা ফখরুল ও তাঁর স্ত্রী ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

তবে, চিকিৎসা শেষে তারা কতদিন সিঙ্গাপুরে অবস্থান করবেন, সে বিষয়ে শায়রুল কোনো তথ্য দেননি। পারিবারিক কারণে এ যাত্রা মূলত চিকিৎসাকেন্দ্রিক, বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে নিজেও চোখের চিকিৎসা করিয়েছিলেন। গত মাসেই তিনি চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসেন। এবার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য একই দেশে নিয়ে যাওয়া তাঁর পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনের একটি ধারাবাহিকতা বলেই মনে করছেন অনেকে।

-রাফসান

পাঠকের মতামত: