ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে পাকিস্তানে আহত ও নিহত সেনা সংখ্যা কত?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৩ ১৮:০৬:২০
ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে পাকিস্তানে আহত ও নিহত সেনা সংখ্যা কত?

সত্য নিউজ: কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা চূড়ান্ত রূপ নেয়, যার জেরে পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এই হামলায় পাকিস্তানের ১১ জন সেনা সদস্যও প্রাণ হারান, আহত হন আরও অন্তত ৭৮ জন।

আইএসপিআর আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, ৬ মে দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। তার আগে ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়।

আইএসপিআরের ভাষ্যমতে, নিহত বেসামরিকদের মধ্যে সাতজন নারী এবং ১৫ শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১২১ জন। নিহত সামরিক সদস্যদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ছয়জন এবং বিমানবাহিনীর পাঁচজন রয়েছেন।

সেনাবাহিনীর শহীদদের মধ্যে আছেন— নায়েক আবদুল রেহমান, ল্যান্সনায়েক দিলাওয়ার খান, ল্যান্সনায়েক ইকরামুল্লাহ, নায়েক ওয়াকার খালিদ, সিপাহি মুহাম্মদ আদিল আকবর ও সিপাহি নিসার। বিমানবাহিনীর শহীদদের মধ্যে আছেন স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফ, চিফ টেকনিশিয়ান আওরঙ্গজেব, সিনিয়র টেকনিশিয়ান নাজিব, করপোরাল ফারুক ও সিনিয়র টেকনিশিয়ান মুবাশির।

আইএসপিআর জানায়, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী ‘মারকা-ই-হক’ ব্যানারে প্রতিরোধ গড়ে তুলে এবং ‘অপারেশন বুনইয়ান উন মারসুস’-এর মাধ্যমে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে ভবিষ্যতে কেউ চ্যালেঞ্জ করলে, তার জবাব দ্রুত, সর্বাত্মক ও চূড়ান্তভাবে দেওয়া হবে। এখানে বিভ্রান্তির কোনো জায়গা নেই।”

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১১ মে সন্ধ্যায় দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় বলে ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য অনুসারে, "দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা কমিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র নিরলসভাবে কাজ করেছে এবং বর্তমানে দুপক্ষ শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে সম্মত হয়েছে।"

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ঘোষণা দিয়েছেন, ১০ মে ‘ইয়াওম-এ-মারকা-ই-হক’ হিসেবে পালিত হবে, যা ‘অপারেশন বুনইয়ান উন মারসুস’-এর সাফল্য স্মরণে উৎসর্গ করা হবে। একই সঙ্গে ১৬ মে দিনটি ‘ধন্যবাদ দিবস’ হিসেবে পালিত হবে—দেশের প্রতিরক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের স্বীকৃতি ও মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রতীক হিসেবে।

এই সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার নতুন অধ্যায় শুরু করেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত