ঋতুপর্ণার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ দেশ, গর্বিত মা ও গ্রামবাসী

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৩ ২০:৩৬:১৬
ঋতুপর্ণার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ দেশ, গর্বিত মা ও গ্রামবাসী

বাংলাদেশ নারী ফুটবলে রচিত হলো আরেকটি গৌরবময় অধ্যায়। মিয়ানমারকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে ২০২৬ সালের এএফসি নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা। আর এই ঐতিহাসিক জয়ে মূল নায়ক ছিলেন রাঙামাটির মেয়ে ঋতুপর্ণা চাকমা, যিনি একাই করেছেন দুটি গোল।

বাঁ পায়ে ঋতুর করা গোল দুটি ছিল নিখুঁত দক্ষতার প্রতিফলন। তার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়েছেন শুধু দর্শকই নয়, আনন্দে ভাসছেন পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামের মানুষরাও।

ঋতুর বাড়িতে আনন্দের জোয়ারবৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার মগাছড়ি গ্রামে ঋতুপর্ণার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে অন্যরকম এক উচ্ছ্বাস। স্বজনদের চোখে-মুখে স্পষ্ট গর্বের ছাপ। ঋতুর মা বসুপতি চাকমা, বড় বোন পুতুলি চাকমা ও ঋতুর ছোট ভাই তখন বাড়িতেই ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মাকে প্রতি দুই-তিন দিন পর পর চট্টগ্রামে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে হয়।

ঋতুর মা জানান, “বুধবার রাতে খেলার পর ঋতু ফোন করেছিল। জানতে চেয়েছিল, খেলা দেখেছি কি না। বলেছি, দেখেছি এবং খুব খুশি হয়েছি।”

বড় বোন পুতুলি বলেন, “ওর জোড়া গোলের মাধ্যমে বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে সুযোগ পেয়েছে, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় গর্ব। দেশবাসীর কাছে ওর জন্য দোয়া চাই।”

গ্রামেও আনন্দ, তবে নিঃশব্দেমগাছড়ি গ্রামে ঋতুর সাফল্য নিয়ে নিরবে হলেও গর্বের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকাংশ মানুষ কৃষি ও শ্রমজীবী হওয়ায় বর্ণিল উদযাপন চোখে না পড়লেও, গ্রামবাসী জানিয়েছেন—তারা মোবাইলে খেলা দেখেছেন এবং ঋতুর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়েছেন।

এই জয়ে বাংলাদেশের নারী ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। লাল-সবুজের নারী দল এখন শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, এশিয়ার মঞ্চেও নিজেদের শক্ত অবস্থান জানিয়ে দিল।

স্পোর্টস ডেস্ক/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ