ভারত-পাকিস্তান সম্মত যুদ্ধবিরতিতে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১১ ১৪:৪৫:২৫
ভারত-পাকিস্তান সম্মত যুদ্ধবিরতিতে

সত্য নিউজ: দীর্ঘদিনের সামরিক উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (১০ মে) তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতভর চলা আলোচনা শেষে দুই দেশ একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে।

ট্রাম্পের ঘোষণা

ট্রাম্প লিখেছেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়, শুভবুদ্ধির ব্যবহার করে দুপক্ষ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের জন্য দুই দেশকেই অভিনন্দন জানাই।”

দুই দেশের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্পের ঘোষণার কিছু সময় পর ভারত ও পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে জানান, শনিবার বিকেল ৫টা থেকে দুই দেশের মধ্যে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সব ধরনের সামরিক অভিযান ও গোলাগুলি বন্ধ থাকবে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের সামরিক অপারেশনসের মহাপরিচালক ভারতীয় কর্মকর্তাকে ফোন করে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, “পাকিস্তান সবসময়ই এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চেয়েছে। তবে দেশটির সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার বিষয়ে কোনো আপস করা হয়নি।” জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ওরা (ভারত) থামলে আমরাও থামব। আমরা ধ্বংস ও সম্পদের অপচয় চাই না।”

কূটনৈতিক সাফল্য ও আঞ্চলিক প্রভাব

এই যুদ্ধবিরতি শুধু ভারত-পাকিস্তানের জন্য নয়, বরং গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। একাধিকবার সীমান্ত উত্তেজনা ও সংঘর্ষের কারণে প্রাণহানি, বাস্তুচ্যুতি ও নিরাপত্তা সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষ।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি মধ্যস্থতা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সক্রিয় আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধবিরতি একটি সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তিচুক্তির ভিত্তি হতে পারে।

ভবিষ্যতের প্রত্যাশা

যুদ্ধবিরতির এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যৎ আলোচনার দরজা খুলে দিতে পারে। ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করার লক্ষ্যে একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে, জানিয়েছে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র।

এই শান্তির উদ্যোগ সফল হলে তা শুধুমাত্র দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাবে না, বরং সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যেও আস্থা ও সহযোগিতার নতুন অধ্যায় সূচিত করতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত