রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের হেলিকপ্টারে ড্রোন হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ২৬ ২১:৪২:২২
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের হেলিকপ্টারে ড্রোন হামলা

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টারের ওপর ড্রোন হামলার অভিযোগ উঠেছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউরি দাশকিন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চল দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় থাকা একটি হেলিকপ্টার বহরকে লক্ষ্য করে একটি ড্রোন পাঠানো হয়। যদিও ড্রোনটি হেলিকপ্টার বহরের কাছাকাছি আসার আগেই ধ্বংস করে ফেলা হয় বলে দাবি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউরি দাশকিন বলেন, “রাডার সিস্টেমে একটি অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তুর গতিবিধি শনাক্ত করা হয়, যা পুতিনের হেলিকপ্টার বহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। আমাদের প্রতিরক্ষা ইউনিট দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সেটিকে মাঝপথেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।”

তিনি আরও দাবি করেন, ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা ইউনিট থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি এবং রাষ্ট্রপতির সফরসূচিও ব্যাহত হয়নি বলে জানান তিনি।

এদিকে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এই হামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে ইউক্রেন আগেও রাশিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি এই দাবি সত্য হয়, তবে এটি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের উত্তেজনাকর মোড় নিতে পারে। কারণ এই প্রথমবারের মতো সরাসরি পুতিনকে লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগ আসছে।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ ঘটনার পর প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে মস্কোয়।

Holiday Village

মস্কোর কৌশলী অবস্থান: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে কেন ‘সময়সীমা নেই’?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ২১:৪৮:৩৩
মস্কোর কৌশলী অবস্থান: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে কেন ‘সময়সীমা নেই’?
ছবিঃ সংগৃহীত

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি বিষয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বুদাপেস্টে সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মস্কো মঙ্গলবার জানিয়েছে, বৈঠকের জন্য ‘নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই’ এবং প্রস্তুতি নিতে কিছু সময় লাগতে পারে।

মস্কোর অবস্থান

ক্রেমলিনের বক্তব্য: ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, “প্রারম্ভিকভাবে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করা হয়নি” এবং বৈঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি প্রয়োজন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য: রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ মন্তব্য করেছেন, বৈঠকের পূর্বপ্রস্তুতির আলোচনা করার মতো সময় এখনো হয়নি। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, “মস্কোর অবস্থান আলাস্কার শীর্ষ বৈঠকের পর থেকে অপরিবর্তিত”, যা তিনি সরাসরি মার্কিন প্রতিনিধি মার্কো রুবিওকে জানিয়েছেন।

আলোচনার প্রেক্ষাপট

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। আগামী ট্রাম্প–পুতিন বৈঠকের সময় ও স্থান নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আলাস্কার বৈঠকে অর্জিত সমঝোতা বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ বলে রাশিয়ার অবস্থান। আলাস্কার বৈঠকে পুতিন জানিয়েছিলেন, যুদ্ধে স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে প্রধান কারণগুলো নিরসন করা জরুরি।

সূত্র: আল-জাজিরা


কানাডায় প্রবেশ করলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ২১:৪৪:১৩
কানাডায় প্রবেশ করলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নির্দেশ অনুযায়ী, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যদি কানাডার মাটিতে পা রাখেন, তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এমনই এক ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি।

সোমবার (২০ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে কারনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, কানাডা আন্তর্জাতিক আইন ও জবাবদিহিতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। সেই নীতির অংশ হিসেবেই রোম স্ট্যাটিউটের বাধ্যবাধকতা মেনে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা হবে।

প্রথম পশ্চিমা দেশ

প্রধানমন্ত্রী কারনি বলেন, কানাডা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আদেশকে বাধ্যতামূলক বিচারিক নির্দেশ হিসেবেই বিবেচনা করবে। সুতরাং, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যদি কানাডার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

প্রেক্ষাপট: গাজা যুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আইসিসি সম্প্রতি নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োগাভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

আইনি বাধ্যবাধকতা: কানাডা রোম স্ট্যাটিউটের সদস্যরাষ্ট্র হওয়ায় আন্তর্জাতিক আদালতের এই নির্দেশ বাস্তবায়নের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে দেশটির।

এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো পশ্চিমা দেশ এমন প্রকাশ্য অবস্থান নিল, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, কানাডার এই ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে বড় ধরনের টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে। তবে মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা এটিকে ‘সাহসী ও নৈতিক নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।


আই লাভ মুহাম্মদ লেখা নিয়ে ভারতে উত্তেজনা: পুলিশের গুলি ও উচ্ছেদ অভিযান

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৮:২৭:৪০
আই লাভ মুহাম্মদ লেখা নিয়ে ভারতে উত্তেজনা: পুলিশের গুলি ও উচ্ছেদ অভিযান
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশের শিল্পনগরী কানপুরের একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় গত ৪ সেপ্টেম্বর আলোকসজ্জা করা একটি সাইনবোর্ডে ‘আই লাভ মুহাম্মদ (সা.)’ লেখা টাঙানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ফলস্বরূপ, উত্তর প্রদেশের একাধিক শহরে মুসলিমদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার এবং উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

কানপুরের ঘটনা ও অভিযোগ

কানপুরের সাঈদ নগরের মুসলিম বাসিন্দারা মহানবী (সা.)-এর জন্মদিন উপলক্ষে ঈদে মিলাদুন্নবী উদ্‌যাপন করছিলেন। সাজসজ্জার অংশ হিসেবে তারা এই সাইনবোর্ড টাঙান।

আপত্তি: কানপুরের মোহিত বাজপায়ীসহ কয়েকজন হিন্দু ব্যক্তি এই সাইনবোর্ড টাঙানোর বিরুদ্ধে আপত্তি তোলেন। তাদের দাবি, ওই স্থানটি হিন্দুদের একটি উৎসবের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে মুসলিম বাসিন্দারা বলছেন, সাইনবোর্ডটি এমন এক উন্মুক্ত স্থানে রাখা হয়েছিল, যেখানে তারা প্রতিবছর ঈদে মিলাদুন্নবী উদ্‌যাপনের জন্য জড়ো হন।

মামলা: এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়জন মুসলিম পুরুষ ও অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে মামলা করা হয়।

বেরেলিতে সংঘর্ষ ও দমন

কানপুরের ঘটনার কয়েক দিন পরে এর প্রভাব উত্তর প্রদেশের আরেক শহর বেরেলিতে ছড়িয়ে পড়ে। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজ্য পুলিশ বেরেলিতে একজন ধর্মীয় নেতাসহ নয়জন মুসলিমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।

গ্রেফতার: গত ২৬ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর হাজার হাজার মুসলিম ‘আই লাভ মুহাম্মদ (সা.)’ লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে মাজারের আশপাশে জড়ো হন। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযোগ, এ সমাবেশের অনুমতি ছিল না। পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে এবং তৌকির রেজা খানসহ কয়েক ডজন মুসলিমকে গ্রেপ্তার করে। শহরে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রাজনৈতিক সমালোচনা: উগ্র হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বেরেলির অস্থিতিশীলতার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, “একজন মাওলানা ভুলে গেছেন যে কে ক্ষমতায় আছে।” এরপর মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়ন আরও বেড়ে যায়।

মানবতাবিরোধী কার্যকলাপ

উত্তর প্রদেশ ও অন্যান্য বিজেপিশাসিত রাজ্যে বিভিন্ন অভিযোগে মুসলিমদের বাড়ি ও ব্যবসায়িক স্থাপনা উচ্ছেদ করা এখন সাধারণ ঘটনা। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এসব উচ্ছেদকে ‘বুলডোজার জাস্টিস’ বলে নিষিদ্ধ করেছেন।

মানবাধিকার: মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অব সিভিল রাইটস (এপিসিআর) জানিয়েছে, ‘আই লাভ মুহাম্মদ (সা.)’ সংক্রান্ত প্রচারণা কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২২টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং আড়াই হাজারের বেশি মানুষের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

উদ্দেশ্য: উর্দু কবি মুনাওয়ার রানার মেয়ে সুমাইয়া রানা অভিযোগ করেন, “বিজেপি সরকার ভীতি সঞ্চার করতে চায়, যাতে মুসলিমরা তাদের ধর্মীয় ও মৌলিক অধিকার রক্ষায় কথা বলার সাহস না পায়।”


দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন অন্ধ রোগীরা: চোখে মাইক্রোচিপ প্রতিস্থাপনে ‘চমকপ্রদ’ সাফল্য

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৫:২৬:১৩
দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন অন্ধ রোগীরা: চোখে মাইক্রোচিপ প্রতিস্থাপনে ‘চমকপ্রদ’ সাফল্য
ছবিঃ সংগৃহীত

দৃষ্টিহীন রোগীদের চোখে অত্যাধুনিক একটি মাইক্রোচিপ সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যার ফলে রোগীরা আবার দেখতে পাচ্ছেন। লন্ডনের মুরফিল্ডস আই হসপিটালে একদল দৃষ্টিহীন রোগীর ওপর পরিচালিত আন্তর্জাতিক এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফলকে চিকিৎসকরা ‘চমকপ্রদ’ বলে দাবি করেছেন।

প্রযুক্তি ও অপারেশনের বিবরণ

ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক বায়োটেক সংস্থা সায়েন্স করপোরেশনের তৈরি ‘প্রিমা ইমপ্লান্ট’ নামক এই ডিভাইসটি মানুষের চুলের মতো পাতলা, ২ মিলিমিটার আয়তনের বর্গাকার একটি ফটোভোলটাইক মাইক্রোচিপ। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এটিকে রেটিনার ঠিক নিচে স্থাপন করা হয়।

কার্যপদ্ধতি: রোগীরা বিশেষ ধরনের স্মার্ট চশমা পরেন, যাতে একটি ক্ষুদ্র ক্যামেরা যুক্ত থাকে। এই ক্যামেরা ইনফ্রারেড রশ্মির মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ইমপ্লান্টে পাঠায়। ইমপ্লান্ট সেই তথ্যকে একটি ছোট প্রসেসরে পাঠিয়ে স্পষ্ট করে এবং উন্নত প্রতিচ্ছবিটি ইমপ্লান্ট ও অপটিক নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে ফিরে যায়, যেখানে মস্তিষ্ক সেটি প্রক্রিয়া করে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়।

সফলতা: নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ৩২ জন রোগীর মধ্যে ২৭ জন রোগী পড়তে সক্ষম হয়েছেন।

রোগী ও চিকিৎসকের সন্তুষ্টি

সত্তর বছর বয়সী দৃষ্টিহীন রোগী শিলা আরভিন, যিনি এই প্রযুক্তির সাহায্যে আবার বই পড়তে এবং ক্রসওয়ার্ড মেলাতে পারছেন, বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এক অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেন।

মুরফিল্ডস আই হসপিটালের কনসালট্যান্ট অপথ্যালমিক সার্জন ড. মাহী মুকিত, যিনি যুক্তরাজ্যের এই ট্রায়ালের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি বলেন, “এটি প্রথম ইমপ্লান্ট যা রোগীদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি মনে করি এটি একটি বড় অগ্রগতি।”

মাকুলার সোসাইটির গবেষণা পরিচালক ড. পিটার ব্লুমফিল্ড এই ফলাফলকে নিরাময় অযোগ্য রোগ ‘ড্রাই এজ-রিলেটেড মাকুলার ডিজেনারেশন’ বা জিওগ্রাফিক অ্যাট্রোফিতে আক্রান্ত প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জন্য ‘দারুণ খবর’ বলে অভিহিত করেছেন। ড. মুকিত আশা প্রকাশ করেছেন, এই প্রযুক্তিটি আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থা এনএইচএস (NHS)-এর রোগীদের জন্য ব্যবহার করা যাবে।

তবে, যাদের চোখের অপটিক নার্ভ (যেটি রেটিনা থেকে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়) ঠিকমতো কাজ করে না, তাদের জন্য এই প্রযুক্তি কাজে আসবে না।

সূত্র: বিবিসি


নারী নেতৃত্বে জাপান: তাকাইচি পেলেন পার্লামেন্টের আস্থা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১১:৫৮:৪০
নারী নেতৃত্বে জাপান: তাকাইচি পেলেন পার্লামেন্টের আস্থা
ছবিঃ সংগৃহীত

জাপানের রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস গড়লেন সানায়ে তাকাইচি। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ মঙ্গলবার তাঁকে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। ৬৪ বছর বয়সী এই রক্ষণশীল রাজনীতিক ও চীনবিরোধী কণ্ঠস্বর অপ্রত্যাশিতভাবে প্রথম দফার ভোটেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান।

নির্বাচনের পর মঙ্গলবারই সম্রাটের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তাকাইচি। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী জাপানি রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে, যেখানে প্রথমবারের মতো নারী নেতৃত্বে দেশটির সরকার পরিচালিত হবে।

রক্ষণশীল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) দীর্ঘদিনের সদস্য তাকাইচি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে প্রতিরক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি নিয়ে কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত। চীনের সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরোধিতা এবং জাপানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে তাঁর অবস্থান আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও আলোচিত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তাকাইচির নেতৃত্বে জাপান আরও দৃঢ় পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে। পাশাপাশি, তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়া জাপানের সামাজিক কাঠামোতেও নারীর নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

-হাসানুজ্জামান


ট্রাম্পের হুমকিতে উত্তাল বোগোতা: যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১১:৪৫:৪৪
ট্রাম্পের হুমকিতে উত্তাল বোগোতা: যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া
ছবিঃ সংগৃহীত

দক্ষিণ আমেরিকার ঐতিহ্যবাহী মিত্র দেশ কলম্বিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তীব্র সংকটে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান ও সহায়তা প্রত্যাহারের ঘোষণা ঘিরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরমে পৌঁছেছে। সোমবার কলম্বিয়া তাদের ওয়াশিংটনস্থিত রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল গার্সিয়া পেনাকে ‘পরামর্শের জন্য’ দেশে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেয়, যা কার্যত দুই দেশের মধ্যে গভীর কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রতিফলন।

ট্রাম্প রবিবার ঘোষণা দেন যে, যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়াকে দেওয়া সব ধরনের অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধ করে দেবে। তিনি কলম্বিয়ার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোকে ‘অবৈধ মাদক ব্যবসার নেতা’ হিসেবে অভিযুক্ত করে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। ট্রাম্পের হুমকি—যদি পেত্রো সরকার মাদক চাষ বন্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে কলম্বিয়ার ওপর ‘শাস্তিমূলক শুল্ক’ আরোপসহ আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কলম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্মান্দো বেনেদেত্তি ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘আক্রমণ বা সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে মাদকবিরোধী লড়াইয়ের নামে ভয় দেখানো আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক রীতির পরিপন্থী।”

গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসার পর থেকেই তার সঙ্গে পেত্রোর সম্পর্ক ক্রমেই অবনতির দিকে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারিবীয় অঞ্চলে চালানো প্রাণঘাতী মাদকবিরোধী অভিযানের কারণে উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আগস্ট থেকে মার্কিন নৌবাহিনী দক্ষিণ আমেরিকার উপকূল এলাকায় যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে অন্তত সাতটি নৌযানে হামলা চালিয়েছে, যেগুলোকে তারা ‘মাদকবাহী জাহাজ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, এসব অভিযানে ৩২ জন নিহত হয়েছে, যদিও এ বিষয়ে কোনো স্বাধীন তদন্ত বা প্রমাণ প্রকাশ করা হয়নি।

মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন ‘সারসংক্ষেপ হত্যাকাণ্ড’ আন্তর্জাতিক আইনে বেআইনি, এমনকি যদি লক্ষ্যবস্তু মাদক পাচারকারীও হয়। সাম্প্রতিক অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল ভেনেজুয়েলা, তবে এখন মনোযোগ পড়েছে কলম্বিয়ার দিকে। রবিবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, কলম্বিয়ার বিদ্রোহী সংগঠন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ইএলএন)-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি নৌযানে হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে। এর আগে একটি আধা-ডুবোজাহাজে চালানো হামলায় দুজন জীবিত উদ্ধার হয়, যাদের একজন কলম্বিয়ান নাগরিক।

এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট পেত্রো ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে ‘খুনের দায়ে অভিযুক্ত’ করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।” তিনি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সত্য ও বিজ্ঞানের পক্ষে দাঁড়াবে, অহংকার ও মিথ্যার পক্ষে নয়। ট্রাম্প স্বাধীন মানুষ পছন্দ করেন না, কারণ তিনি নিজেকে রাজা ভাবেন।”

দীর্ঘদিন ধরে কলম্বিয়া দক্ষিণ আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সহায়তাপ্রাপ্ত দেশ। ২০২৩ সালে দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৭৪০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য পেয়েছিল, যার অর্ধেকই মাদকবিরোধী কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সম্পর্ক এমন পর্যায়ে নেমে এসেছে যে, ওয়াশিংটন কলম্বিয়াকে ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধে অবিশ্বস্ত সহযোগী’ ঘোষণা করেছে। জবাবে বোগোতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা স্থগিত করে।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় নিউইয়র্কে প্রো-প্যালেস্টাইন সমাবেশে অংশ নেওয়ার কারণে পেত্রোর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার (ভিসা) বাতিল করে ওয়াশিংটন। ফলে দুই ঐতিহাসিক মিত্র দেশের সম্পর্ক এখন কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে।

২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পেত্রো যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন মাদকবিরোধী যুদ্ধের ‘জবরদস্তিমূলক’ কৌশল পরিবর্তনের আহ্বান জানান। তার মতে, মাদক চাষ নির্মূলের চেয়ে সামাজিক-অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা ও বিকল্প জীবিকা নিশ্চিত করাই টেকসই সমাধান। তবে তার শাসনামলে কোকা চাষ প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে বলে জাতিসংঘ ও কলম্বিয়া সরকারের নিজস্ব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প প্রশাসনের হুমকি এবং কলম্বিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার—দুই দেশকেই এমন এক সংঘাতময় পথে ঠেলে দিচ্ছে, যার পরিণতি লাতিন আমেরিকার রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

-আলমগীর হোসেন


গাজায় রক্ত ঝরছে, মার্কিন দূতরা ইসরায়েলে: শান্তিচুক্তি কি টিকে থাকবে?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১১:২৫:১৯
গাজায় রক্ত ঝরছে, মার্কিন দূতরা ইসরায়েলে: শান্তিচুক্তি কি টিকে থাকবে?
ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত থাকায় শান্তি টিকিয়ে রাখতে মার্কিন দূতেরা কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছেন। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার (২০ অক্টোবর) গাজা সিটির তুফাহ এলাকার পূর্বাংশ আল-শাফে দুটি ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা নিজেদের বাড়ি দেখে ফেরার পথে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারান।

সীমা না মানা ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ইসরায়েলি দাবি: ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা এমন সন্ত্রাসীদের দিকে গুলি চালিয়েছে, যারা শুজাইয়া এলাকায় তথাকথিত হলুদ সীমারেখা অতিক্রম করে ইসরায়েলি সেনাদের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল। এই সীমারেখাটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশিত মানচিত্রে নির্ধারিত, যেখানে ইসরায়েলি সেনারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে পিছু হটে অবস্থান করছে।

ফিলিস্তিনিদের বিভ্রান্তি: গাজা সিটির বাসিন্দারা জানান, পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় এই সীমারেখাটি কোথায়, তা তারা বুঝতে পারছেন না। স্থানীয় বাসিন্দা সামির (৫০) বলেন, “আমরা মানচিত্র দেখেছি, কিন্তু বাস্তবে কোনো সীমারেখা খুঁজে পাওয়া যায় না।”

হামলার ধারাবাহিকতা: রোববারের (১৯ অক্টোবর) ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করেছে, এটি প্রতিশোধমূলক হামলা। তবে হামাস সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ইসরায়েল অজুহাত তৈরি করে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে চাইছে।

হামাসকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি ও কূটনৈতিক তৎপরতা

ট্রাম্পের বার্তা: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, হামাসের ভেতরে কিছু বিদ্রোহী উপাদান রয়েছে, যা সংগঠনের নেতাদের ঠিক করতে হবে। তিনি বলেন, “তাদের ভালো হতে হবে। না হলে তারা নিশ্চিহ্ন হবে।” তবে তিনি স্পষ্ট করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থল সেনা এতে অংশ নেবে না।

মার্কিন কূটনীতি: অবিরত সহিংসতার মধ্যে সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনার ইসরায়েল পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামী মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইসরায়েল সফরে যাবেন।

তবে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দ্যুজারিক বলেছেন, গাজায় সাহায্য পৌঁছানো এখনো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযুম জানান, একাধিক চেকপোস্ট সাহায্যবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে রেখেছে।


বিস্ময়কর! মাত্র কয়েক মিনিটে লুট হলো ফ্রান্সের বিশ্বখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ১৫:৫২:৩৮
বিস্ময়কর! মাত্র কয়েক মিনিটে লুট হলো ফ্রান্সের বিশ্বখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম
ছবিঃ সংগৃহীত

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের বিশ্বখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি বড় ধরনের এক লুটের ঘটনা ঘটেছে। দুর্ধর্ষ এই ঘটনা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সমৃদ্ধ এই জাদুঘরের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছে। চোরের দল এত দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ সেরেছে যে, অনেকের কাছে এটিকে হলিউডের কোনো সিনেমার গল্প মনে হয়েছে।

চুরির বিবরণ ও ক্ষয়ক্ষতি

ঘটনাটি ঘটেছে রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে, যখন দর্শনার্থীদের জন্য ল্যুভর খোলা ছিল।

চুরির পদ্ধতি: মিউজিয়ামের এক কোণায় একটি ট্রাক খুঁজে পায় ফরাসি পুলিশ। ওই ট্রাক থেকে একটি মই লাগানো ছিল মিউজিয়ামের দোতলার ব্যালকনিতে। ব্যালকনির জানালা ভেঙেই চোরেরা ল্যুভরে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষ: চুরির ঘটনাটি ঘটেছে মিউজিয়ামের অ্যাপোলো রুমে, যেখানে ফ্রান্সের রাজপরিবারের বিভিন্ন অলংকারের সংগ্রহ রয়েছে। এর মধ্যে ফরাসি সম্রাট চতুর্দশ লুইসের ব্যবহার করা মূল্যবান পাথরের তৈরি বিভিন্ন পাত্রও ছিল।

চুরি যাওয়া সামগ্রী: ফ্রান্সের সংস্কৃতিমন্ত্রী রাশিদা দাতি জানিয়েছেন, চুরি হওয়া একটি অলংকার খুঁজে পাওয়া গেছে। দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সেটি হলো ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়নের স্ত্রী সম্রাজ্ঞী উজিনির মুকুট, যাতে ১ হাজার ৩৫৪টি হীরা ও ৫৬টি পান্না রয়েছে। চুরির সময় মুকুটটির ক্ষতি হয়েছে।

তদন্ত ও প্রেসিডেন্টের নিন্দা

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোঁর নিউনেজের ধারণা, এই চুরির সঙ্গে তিন থেকে চারজন জড়িত ছিল। তিনি জানান, মাত্র সাত মিনিটে চুরি শেষে চোরেরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, চোরদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং চুরি হওয়া সব অলংকার ফিরিয়ে আনা হবে। তদন্তের স্বার্থে রোববার এক দিনের জন্য ল্যুভর বন্ধ রাখা হয়েছিল।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাঁক্রো চুরির এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “যে ঐতিহ্যকে নিয়ে আমরা গর্বিত হই, এটি তার ওপর একটি আক্রমণ।” তিনি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।


আমেরিকার কড়া হুমকি: ট্রাম্পের বক্তব্যের পর দোটানায় মোদি সরকার

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ১২:০৮:২৯
আমেরিকার কড়া হুমকি: ট্রাম্পের বক্তব্যের পর দোটানায় মোদি সরকার
ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দেশটি যদি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ না করে, তবে ভারতীয় পণ্যের ওপর ‘ব্যাপক শুল্ক’ আরোপ করা হবে। তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্য নিয়ে এখনো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কোনো মন্তব্য করেনি।

সোমবার (২০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ব্যক্তিগত আশ্বাসের দাবি ট্রাম্পের

ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করবে।

ট্রাম্পের ভাষ্য:

“তিনি আমাকে বলেছেন, ‘আমি রাশিয়ান তেল নিয়ে আর কিছু করছি না’। কিন্তু যদি তারা (ভারত) এটা চালিয়ে যায়, তাহলে তাদের বিশাল শুল্ক দিতে হবে।”

শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার চাপ

রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখছে এমন দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। ওয়াশিংটনের দাবি, এ ধরনের বাণিজ্য রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ চালাতে পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করছে।

শুল্ক বৃদ্ধি: ইতোমধ্যেই ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক অনেক বেড়েছে। এ বছরের আগস্টে ট্রাম্প শুল্কহার বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছেন, যা টেক্সটাইল থেকে শুরু করে ওষুধ পর্যন্ত বিস্তৃত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

সতর্কতা: ট্রাম্প বারবার জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ না করলে এসব শুল্ক বজায় থাকবে বা আরও বাড়ানো হবে।

চলতি মাসের শুরুতেও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁকে বলেছেন—ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের এ বক্তব্য নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

পাঠকের মতামত: