‘পাকিস্তানকে এখন সম্মানের চোখে দেখে বিশ্ব’: খাজা আসিফ

সত্য নিউজ: সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সামরিক, কূটনৈতিক ও প্রযুক্তিগত প্রতিপত্তির স্বাক্ষর রেখেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। বুধবার জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পাকিস্তানের বহুমুখী সাফল্যের কারণে আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটিকে নতুন করে সম্মান ও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
খাজা আসিফ বলেন, "যারা একসময় আমাদের গুরুত্ব দিত না, তারাও এখন আমাদের সম্মানের চোখে দেখে। কারণ আমরা শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, কূটনৈতিক ও সাইবার পরিসরেও সফলতা অর্জন করেছি।"
সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এছাড়া ৭৭টি ইসরায়েলি তৈরি হারপ ড্রোন প্রতিহত করার কথাও জানান তিনি। তাঁর ভাষায়, “এই বিজয় আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রমাণ।”
তিনি আরও বলেন, “প্রথমবারের মতো সাইবার যুদ্ধেও আমরা ভারতীয় ডিজিটাল অবকাঠামো অচল করে দিতে সক্ষম হয়েছি। এটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”
খাজা আসিফ স্পষ্ট করে বলেন, পাকিস্তান যুদ্ধ চায় না, তবে প্রয়োজন হলে জবাব দিতে প্রস্তুত। “চার দিন সংযম দেখিয়েছি, কারণ আমরা শান্তি চাই। কিন্তু ভারত যদি উত্তেজনা বাড়ায়, আমাদেরও জবাব প্রস্তুত রয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজনৈতিক চাপে রয়েছেন, সেই হতাশা থেকে তিনি বেপরোয়া সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো ছাড় দেবে না।”
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে এক বিস্ফোরণের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করে। দিল্লি হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ভারত এখনও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ সামরিকভাবে জবাব দেয়, যার ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধাবস্থার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিতে থাকলে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে উভয় দেশ সামরিক কার্যক্রম বন্ধে সম্মত হয়। যদিও এই সমঝোতা সাময়িক স্বস্তি এনেছে, বিশ্লেষকদের মতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখনও ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।
খাজা আসিফের বক্তব্য শুধু পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সাফল্যের ঘোষণাই নয়, বরং ভারতের কৌশলগত অবস্থান ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপে ইঙ্গিত করেও একটি কৌশলগত বার্তা পাঠিয়েছে। আন্তর্জাতিক কূটনীতির প্রেক্ষাপটে এ ধরনের বিবৃতি দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা রাজনীতির নতুন দিক উন্মোচন করছে।
গাজা নগরীর কেন্দ্রে প্রবেশ করছে ইসরায়েলি সেনারা
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় শহর গাজা সিটির প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। এছাড়া, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) গাজার সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম এই নগরীর একাধিক সুউচ্চ ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা, যার মধ্যে একটি ১২ তলা ও একটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, তারা এখন গাজা নগরীর ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। ইসরায়েলি হামলা শুরুর আগে এই নগরীতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করতেন। গত মাসের শুরুর দিকে গাজা নগরী পুরোপুরি দখলের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যেই প্রায় ৪০ বর্গকিলোমিটার নগরীর উপকণ্ঠে বিমান ও গোলা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। তারা ধীরে ধীরে নগরীর কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বোমা হামলা চালিয়ে নগরীর দ্য ম্যানেজমেন্ট অব মুশতাহা টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেয় ইসরায়েল। ভবনটিতে অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। হামলায় অনেকে হতাহত হয়েছেন। গাজা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, শুক্রবার ইসরায়েলের হামলায় গাজা নগরীসহ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৬৯ জন নিহত ও ৪২২ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, ম্যানেজমেন্ট অব মুশতাহা টাওয়ারে হামাসের প্রতিরোধ যোদ্ধারা অবস্থান করছিলেন। কিন্তু টাওয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে হামাসের কোনো সদস্য ছিলেন না। ভবনটিতে অবস্থানকারীদের সবাই ছিলেন বেসামরিক ফিলিস্তিনি।
এদিকে, গাজা নগরীতে আরেকটি পাঁচতলা ভবনের বাসিন্দাদেরও সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। এখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ভবনটির একাংশ বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সামরিক বিশেষজ্ঞ ইলাইজা ম্যাগনিয়ার আল জাজিরাকে বলেন, নিজেদের সেনাদের হতাহতের সংখ্যা কমাতে গাজা নগরীর বহুতল ভবন লক্ষ্যবস্তু করছে ইসরায়েল। তবে বহুতল ভবন নিশানা করার অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। যেমন বেসামরিক বাসিন্দাদের ভীতসন্ত্রস্ত করা, যাতে তারা এই নগরী ছেড়ে চলে যান।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, গাজার নরকদ্বারের তালা এখন খুলে ফেলা হচ্ছে। দ্বারটি খোলার পর আর বন্ধ হবে না এবং ইসরায়েলের সামরিক কার্যক্রম আরও বাড়বে।
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের ৭০০তম দিন পূর্ণ হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা শুরুর পর থেকে অন্তত ১৯ হাজার ৪২৪টি শিশু নিহত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ৫২ মিনিটে একটি শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে। নিহত শিশুদের মধ্যে নবজাতক ও এক বছরেরও কম বয়সীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। একই সময়ে গাজায় ১০ হাজার ১৩৮ জন নারী ও ৪ হাজার ৬৯৫ জন বয়স্ক মানুষ নিহত হয়েছেন। এর অর্থ, নিহতের মধ্যে নারী ও বয়স্ক মানুষ প্রায় ২৩ শতাংশ। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ নিহত হয়েছেন ২৯ হাজার ৯৭৫ জন বা ৪৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানে হামাস বা অন্যান্য ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর সদস্যসংখ্যা কত, তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে সম্প্রতি ইসরায়েলের ফাঁস হওয়া এক নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গাজায় নিহত ব্যক্তিদের প্রায় ৮৩ শতাংশই বেসামরিক মানুষ।
সূত্র: আল-জাজিরা
জিম্মি মুক্তি না হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে: ট্রাম্পের সতর্কবার্তা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে গভীর আলোচনা চলছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য দেন। ট্রাম্প বলেন, হামাসের সঙ্গে আমাদের গভীর আলোচনা হচ্ছে। আমি হামাসকে আহ্বান জানাব, জিম্মিদের মুক্তি দিন। তাহলে ভালো কিছু ঘটবে। তবে হামাস যদি গাজা থেকে জিম্মিদের মুক্তি না দেয়, তাহলে পরিস্থিতি জটিল হবে এবং খারাপ দিকে যাবে।
ট্রাম্প আরও বলেন, হামাসের হাতে বর্তমানে খুব বেশি জীবিত জিম্মি নেই, ফলে আলোচনার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, আমি সবসময় বলেছি—যখন জিম্মির সংখ্যা ১০ থেকে ২০ জনে নেমে আসে, তখন তাদের ফিরিয়ে আনা সহজ হয় না। যদি পর্যাপ্ত প্রচেষ্টা না করা হয়, তাহলে জিম্মিদের ফেরত পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। আবার অনেক ছাড় দিলে সেটি আত্মসমর্পণের মতো হবে, যা মোটেও ভালো কিছু নয়। এটি নিঃসন্দেহে একটি কঠিন পরিস্থিতি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েলে সাধারণ মানুষের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভে জনগণ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও সমঝোতার দাবি জানায়। ট্রাম্পের মতে, ইসরায়েলি সমাজের এই চাপের কারণে গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সরকারের জন্য ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।
এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে সব জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি লিখেছিলেন, দুই, পাঁচ বা সাতজন নয় সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। হামাস যদি তা করে, তবে ভালো কিছু ঘটবে।
-রফিক
নেপালের কঠোর পদক্ষেপ ফেসবুক ও টুইটারের বিরুদ্ধে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার রোধ এবং ভুয়া আইডির মাধ্যমে ঘৃণা ও গুজব ছড়ানো ঠেকাতে নেপাল সরকার বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির সরকার ঘোষণা দেয়, নিবন্ধনের শর্ত পূরণ না করায় ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের সেবা নেপালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে সাইবার অপরাধ, ভুয়া তথ্য প্রচার এবং সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বর্তমানে নেপালের প্রায় তিন কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৯০ শতাংশই ইন্টারনেট ব্যবহার করে, ফলে এসব প্ল্যাটফর্মের প্রভাব দেশজুড়ে বিস্তৃত।
এর আগে সরকার সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিকে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের নির্দেশ দেয়। নিবন্ধনের সময় স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়োগ, অভিযোগ নিষ্পত্তিকারী কর্মকর্তা এবং কোম্পানির দায়িত্বশীল ব্যক্তির নাম দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। নিবন্ধনের শেষ সময়সীমা ছিল বুধবার। শর্ত না মানলে প্ল্যাটফর্মগুলোর সেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও স্পষ্ট জানানো হয়েছিল।
নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বৃহস্পতিবার এক সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নেপাল টেলিকমিউনিকেশনস অথরিটিকে (এনটিএ) নির্দেশ দেওয়া হয়, যারা নিবন্ধন করেনি তাদের প্ল্যাটফর্মের অ্যাক্সেস অবিলম্বে বন্ধ করতে। যদিও বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কোন কোন প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, টিকটক, ভাইবার, উইটক, নিমবাজ এবং পপো লাইভ ইতোমধ্যেই নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে, কিন্তু ফেসবুকসহ বেশ কয়েকটি বড় প্ল্যাটফর্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি।
যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং বলেন, “আমরা তাদের নিবন্ধনের জন্য যথেষ্ট সময় দিয়েছি এবং বারবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের আহ্বানকে উপেক্ষা করেছে। তাই তাদের সেবা নেপালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
-রফিক
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে সামরিক শক্তির মহাপ্রদর্শনী:বেইজিং থেকে বিশ্বকে চীনের কৌশলগত বার্তা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে বিজয়ের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ এ চীন শুধু ইতিহাসের স্মৃতি স্মরণ করেনি, বরং একে রূপান্তর করেছে সামরিক আধুনিকায়নের মহামঞ্চে। তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত এই কুচকাওয়াজে চীনের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, কৌশলগত ক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ যুদ্ধনীতির দিকনির্দেশনা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুই ডজনেরও বেশি রাষ্ট্রপ্রধান। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে এটিকে চীনের সামরিক শক্তির পাশাপাশি রাজনৈতিক জোট ও প্রভাবেরও প্রতীকী প্রদর্শন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নতুন প্রজন্মের বিমান প্রতিরক্ষা: HQ-20, HQ-9C ও HQ-29
চীনের সামরিক প্রদর্শনীর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল HQ-20 বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এটি প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে উন্মোচিত হয়। আটচাকার ট্রান্সপোর্টার-ইরেক্টর লঞ্চার সমৃদ্ধ এই ব্যবস্থা অন্তত আটটি ইন্টারসেপ্টর বহন করতে সক্ষম। HQ-9 এর নকশাগত মিল থাকলেও HQ-20 ছোট মিসাইল ব্যবহার করে, যা দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীলতা ও উচ্চ গতিশীলতার বার্তা দেয়।
এছাড়া প্রদর্শিত হয় HQ-9C, যা HQ-9B এর উন্নত সংস্করণ। এতে উন্নত নির্দেশনা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা যোগ হয়েছে। ভারতের “অপারেশন সিন্ধুর”-এ পাকিস্তানের হাতে থাকা HQ-9B ও HQ-16 ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার অভিজ্ঞতার পর HQ-9C এর উন্নয়নকে বিশ্লেষকরা চীনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ফল বলছেন।
অন্যদিকে, HQ-29 উচ্চতর প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রদর্শিত হয়, যা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যপথে প্রতিরোধ ও নিম্ন-কক্ষপথ উপগ্রহ ধ্বংসে সক্ষম। বিশ্লেষকরা এটিকে মার্কিন নৌবাহিনীর SM-3 ইন্টারসেপ্টর-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করছেন।
এগুলো প্রমাণ করে, চীন শুধুমাত্র আঞ্চলিক প্রতিরক্ষার দিকে নয়, বরং মহাশূন্য ও বৈশ্বিক স্তরে অ্যান্টি-অ্যাকসেস/এরিয়া ডিনায়াল (A2/AD) ক্ষমতা তৈরি করছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্দো-প্যাসিফিক’ কৌশলের সরাসরি চ্যালেঞ্জ।
মহাশূন্য ও সাইবার যুদ্ধক্ষেত্র
কুচকাওয়াজে অন্তর্ভুক্ত ছিল নেটওয়ার্ক সাপোর্ট ও সাইবার ইউনিট, যা ইঙ্গিত দেয় সামরিক আধুনিকায়ন কেবল প্রচলিত অস্ত্রেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং মহাশূন্য, সাইবারস্পেস এবং তড়িৎচৌম্বক ক্ষেত্রেও চীনের উপস্থিতি জোরদার হচ্ছে। প্রদর্শনীতে ছিল ইলেকট্রনিক জ্যামিং যান, মোবাইল রাডার ইউনিট ও সাইবার ব্রিগেড, যা সর্বাঙ্গীণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে উপস্থাপিত হয়।
‘লয়্যাল উইংম্যান’ ও পানির নিচের ড্রোন
সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণকারী প্রদর্শনীর একটি ছিল FH-97 “লয়্যাল উইংম্যান” ড্রোন। এটির ডানা ছয় মিটার ও দৈর্ঘ্য ১০ মিটার। এটি জে-২০ ও জে-৩৫ স্টেলথ ফাইটারের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করতে পারে। ড্রোনটি ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, নজরদারি, এমনকি সুনির্দিষ্ট হামলার সক্ষমতা রাখে। অভ্যন্তরীণ বোম্ব বে-তে অস্ত্র বা সেন্সর বহনের ব্যবস্থা রয়েছে।
ডিজাইনার ডেং শুয়াই রাষ্ট্রীয় গ্লোবাল টাইমসকে জানান, এ ড্রোন “সেন্সর, অস্ত্রভাণ্ডার এবং পাইলটদের জন্য বুদ্ধিমান সহকারী” হিসেবে কাজ করে। এর নামকরণ হয়েছে “লয়্যাল উইংম্যান” কারণ এটি মানবচালিত বিমানের পাশাপাশি “সশস্ত্র দেহরক্ষীর মতো” উড়ে।
ভূমি পর্যায়ে প্রদর্শিত হয় দুইটি বিশালাকার মানববিহীন পানির নিচের যান (UUV), এর একটি চিহ্নিত হয় AJX002 নামে। টর্পেডোর মতো আকৃতির এ যান দীর্ঘ-পাল্লার নজরদারি, আন্ডারসি কেবল ট্যাপিং, মাইন বিছানো বা হামলার মতো মিশনের জন্য তৈরি। এছাড়া উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন লেজার ও মাইক্রোওয়েভ নির্গমনকারী ট্রাকও প্রদর্শিত হয়, যা ড্রোন প্রতিরোধে ত্রিমুখী ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিতি পায়।
ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী ও পারমাণবিক ত্রিমুখী ক্ষমতা
প্রথমবারের মতো চীন তার পূর্ণাঙ্গ পারমাণবিক ত্রিমুখী বাহিনী প্রদর্শন করে—স্থল, নৌ ও বিমানভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা একসঙ্গে। জিংলেই-১ বিমান থেকে নিক্ষেপণযোগ্য পারমাণবিক মিসাইল ছিল এর কেন্দ্রে, সঙ্গে ছিল জুলাং-৩ সাবমেরিন-ভিত্তিক মিসাইল এবং স্থল-ভিত্তিক DF-61, DF-31 ও DF-5C আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র।
DF-5C কে চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী আইসিবিএম হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যা ২০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত পাল্লা ও একাধিক ওয়ারহেড বহনের ক্ষমতা রাখে। এছাড়া প্রদর্শিত হয় ডিএফ-১৭ হাইপারসনিক মিসাইল এবং ডিএফ-২৬ডি, যা “গুয়াম কিলার” নামে পরিচিত।
প্রচলিত অস্ত্র ও আকাশ শক্তি
প্রচলিত সামরিক সরঞ্জামও কুচকাওয়াজে গুরুত্ব পায়। প্রদর্শিত হয় আধুনিক ট্যাংক, সাঁজোয়া যান ও আর্টিলারি ইউনিট। টাইপ ৯৯বি মেইন ব্যাটল ট্যাংক প্রথমবারের মতো কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। PHL-16 স্বচালিত মাল্টিপল রকেট লঞ্চারও প্রদর্শিত হয়। আকাশ থেকে উড়োজাহাজ প্রদর্শনীতে ছিল জে-২০, জে-৩৫ ও জে-১৫ ফাইটার জেট, হালনাগাদ বোম্বার এইচ-৬জে এবং ক্যারিয়ার-ভিত্তিক প্রাথমিক সতর্কীকরণ বিমান KJ-600। KJ-600 কে PLAN-এর টাইপ 003 ফুজিয়ান এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এটি ১,২০০ কিমি পর্যন্ত দীর্ঘ-পাল্লার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা রাখে।
ভূরাজনৈতিক তাৎপর্য
চীনের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক সুস্পষ্ট বার্তা বহন করে। প্রথমত, এটি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি একটি সরাসরি প্রতিরোধমূলক সংকেত, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ও ঘাঁটিগুলোর প্রেক্ষাপটে। চীন দেখাতে চেয়েছে যে সে কেবল আঞ্চলিক শক্তিই নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ বৈশ্বিক সামরিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, যা মহাশূন্য থেকে সাইবারস্পেস পর্যন্ত প্রতিটি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত। দ্বিতীয়ত, কুচকাওয়াজে রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তানের নেতাদের উপস্থিতি একটি প্রতীকী রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছে যে চীন বিকল্প আন্তর্জাতিক জোট গড়ে তুলতে চাইছে, যা পশ্চিমা জোটের পাল্টা ভারসাম্য তৈরি করতে পারে। তৃতীয়ত, এই প্রদর্শনী আঞ্চলিক দেশগুলোর জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ। ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলো এই প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে নিজেদের প্রতিরক্ষা কৌশল আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করবে। ফলে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নতুন সামরিক প্রতিযোগিতা ও কৌশলগত অস্থিরতার দিকে ধাবিত হতে পারে।
বেইজিংয়ের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেবলমাত্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিচারণ নয়, বরং এটি ছিল চীনের সামরিক আধুনিকায়ন ও বিশ্বশক্তি হওয়ার ঘোষণা। লয়্যাল উইংম্যান ড্রোন, পানির নিচের যান, ডিরেক্টেড এনার্জি অস্ত্র থেকে শুরু করে পূর্ণাঙ্গ পারমাণবিক ত্রিমুখী বাহিনী—সবকিছুই প্রমাণ করে যে চীন যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিটি মাত্রায় প্রস্তুত। এর ফলে বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যে নতুন পরিবর্তনের সূচনা হবে এবং বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামরিক প্রতিযোগিতা তীব্রতর হবে। এই প্রদর্শনী থেকে স্পষ্ট যে চীন শুধু প্রতিরক্ষার সীমাবদ্ধতায় নেই, বরং বৈশ্বিক নেতৃত্বের আসনে বসার জন্য সামরিক, প্রযুক্তিগত ও কূটনৈতিক সব দিক থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করছে।
ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব বিমানবন্দর বন্ধ
ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে ইসরায়েলের তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টার কিছু আগে ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়, যার ফলে তেল আবিব এবং মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। সেনাবাহিনীর দাবি, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করেছে।
তবে, গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলার পর হাজার হাজার ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি শুরু করে। একই সঙ্গে বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অর্থ কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, হোয়াইট হাউসের রহস্যজনক পদক্ষেপ
যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস সম্প্রতি ৪৯০ কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা কর্তনের তালিকা থেকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে (ডব্লিউটিও) বাদ দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি আইনপ্রণেতা এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবারের ঘোষণায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতির অংশ হিসেবে ডব্লিউটিওতে যুক্তরাষ্ট্রের ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের অর্থ সহায়তা কর্তনের কথা বলা হয়েছিল। এই অর্থ কর্তনের ঘোষণার পর ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা এর তীব্র নিন্দা জানান এবং একে কংগ্রেসের বরাদ্দকৃত অর্থের ওপর একতরফা হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে, ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-ইওয়ালা এই সমস্যার সমাধানে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিসের প্রধান জেমিসন গ্রিয়ারসহ ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা জানিয়েছেন। ব্যবসায়িক মহল মনে করে, ডব্লিউটিওতে অর্থায়ন বন্ধ করা হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চীনের আধিপত্য বেড়ে যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে পড়বে।
ট্রাম্প প্রশাসন অতীতে ডব্লিউটিওকে ‘দন্তহীন’ বলে সমালোচনা করেছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইট থেকে ডব্লিউটিও-সম্পর্কিত তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যা এই বিতর্কের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে একটি বাণিজ্যিক সূত্র জানিয়েছে, ডব্লিউটিওর আর কোনো তহবিল কর্তন করা হবে না। এই বিষয়ে হোয়াইট হাউস, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিস বা ডব্লিউটিও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
দীর্ঘদিন ধরে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় প্রশাসনই ডব্লিউটিওর সমালোচনা করে আসছে, কারণ তাদের মতে, সংস্থাটি বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে মানদণ্ড নির্ধারণে ব্যর্থ হয়েছে।
অতিরিক্ত যাত্রীতে ট্র্যাজেডি:নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত ২৯
নাইজেরিয়ার উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় নাইজার রাজ্যে ভয়াবহ নৌদুর্ঘটনায় অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার মালালে নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির রেড ক্রস ও স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা।
প্রায় ৮০ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা তুগান সুলে গ্রাম থেকে দুগ্গা অভিমুখে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ও নদীর ভেতরে থাকা একটি গাছের গুঁড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়।
স্টেট ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (সেমা) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন, তবে ৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর নদীর দুই পাড়ে স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
নাইজেরিয়ার ব্যস্ত নদীগুলোতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় নিয়মিত ঘটনা। অতিরিক্ত যাত্রী বহন, নৌকার রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, নিরাপত্তা বিধি উপেক্ষা এবং পর্যাপ্ত তদারকির ঘাটতিই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে প্রতিবারই বহু প্রাণহানি ঘটলেও কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
-সুত্রঃ এ এফ পি
ইকুয়েডরে আবারও মার্কিন উপস্থিতির সম্ভাবনা
লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর মাদক কার্টেল-সংশ্লিষ্ট সহিংসতার দোলাচলে বিপর্যস্ত। এরই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার দেশটির রাজধানী কুইটোতে পৌঁছেছেন। ইকুয়েডর সরকার জানিয়েছে, মাদক ও সহিংসতা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শিগগিরই “গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা চুক্তি” স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ায় পাচার হওয়া কোকেনের অন্যতম প্রধান ট্রানজিট পয়েন্টে পরিণত হয়েছে ইকুয়েডর। এর ফলে দেশটি এখন আন্তর্জাতিক অপরাধচক্র ও মাফিয়া গোষ্ঠীর কার্যত আস্তানা হয়ে উঠছে।
রুবিও বুধবার রাতে কুইটো পৌঁছান। বৃহস্পতিবার তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন। ডানপন্থী নোবোয়া নিজ দেশে সেনাবাহিনীর ভূমিকা বাড়ানোর পক্ষে—যা অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি অনুসৃত।
এর আগে ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জন রেইমবার্গ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে এবং অচিরেই একাধিক নতুন চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আমাদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছে। তবে নিরাপত্তা সুরক্ষায় আরও মৌলিক চুক্তি সামনে আসছে, যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
রুবিওর সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূলে কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে। তাদের দাবি, এসব অভিযান মূলত মাদক প্রবাহ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, ভেনেজুয়েলা থেকে আসা এক সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযান আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটকানো হলে বিস্ফোরণে ১১ জন নিহত হয়। তবে এর উৎস বা নিহতদের পরিচয় স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেইমবার্গের ভাষায়, “সন্ত্রাসবাদ ও মাদক পাচারের বিরুদ্ধে আমরা এক যৌথ যুদ্ধে নেমেছি।”
ভৌগোলিকভাবে কোকেন উৎপাদনের দুই প্রধান কেন্দ্র কলম্বিয়া ও পেরুর মাঝে অবস্থান করছে ইকুয়েডর। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট কোকেন সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ ইকুয়েডরের বন্দর থেকে রপ্তানি হয়, যার প্রায় অর্ধেক যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির সম্ভাবনা আলোচনায় এসেছে। ইকুয়েডরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েলা সোমারফেল্ড সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওয়াশিংটন চাইলে ইকুয়েডরে নিরাপত্তা উপস্থিতি গড়ে তুলতে পারে। উল্লেখ্য, অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের মাদকবিরোধী বাহিনী (ডিইএ) দেশটিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় বন্দর মান্তায় মার্কিন নৌঘাঁটিও ছিল। তবে ২০০৯ সালে বামপন্থী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া ঘাঁটির চুক্তি নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানালে মার্কিন ঘাঁটি বন্ধ হয়ে যায়।
আজ নতুন করে নিরাপত্তা সহযোগিতার সম্ভাবনা ইঙ্গিত দিচ্ছে, মাদকবিরোধী লড়াইয়ে ইকুয়েডর ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে আরও শক্তিশালী অবস্থান নিতে চলেছে।
-সুত্রঃ এ এফ পি
পুতিন জানালেন, কেন তিনি এখনো ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব গ্রহণ করেননি
ইউক্রেন যদি শান্তিচুক্তি করতে রাজি না হয়, তবে রাশিয়া সামরিকভাবেই তার সব লক্ষ্য পূরণ করবে। তবে আলোচনার সম্ভাবনা তিনি পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।
চীনের এক সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার পর পুতিন বলেন, “যদি ইউক্রেন কোনো সমঝোতায় না আসে, তাহলে রাশিয়া সামরিকভাবেই তার লক্ষ্য পূরণ করবে।” এই বক্তব্যকে অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী বিশ্বব্যবস্থার প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছেন। পুতিন তার এই “আন্তরিক প্রচেষ্টা”র প্রশংসা করলেও এখনো তা মানেননি।
অন্যদিকে, ইউক্রেন সফরে থাকা যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি বিবিসিকে বলেন, অন্তত ট্রাম্প পুতিনকে আলোচনার টেবিলে এনেছেন। প্রয়োজনে যুক্তরাজ্য ও তার মিত্ররা রাশিয়ার ওপর বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে এবং ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেবে।
আলোচনা সম্ভব, তবে শর্ত আছে
গত মাসে আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়ার বিচ্ছিন্নতা ভাঙার চেষ্টা করেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পুতিনের বৈঠকেরও উদ্যোগ নেন। এ বিষয়ে পুতিন বলেন, “আমি কখনোই এমন বৈঠকের সম্ভাবনা বাতিল করিনি। তবে প্রশ্ন হলো, এর কোনো ফল আসবে কি না। দেখা যাক।” তিনি আরও ইঙ্গিত দেন, জেলেনস্কি চাইলে মস্কোতে আসতে পারেন। যদিও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটিকে সঙ্গে সঙ্গে ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা ভারতকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে—ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, “পুতিন ভালোভাবেই জানেন তিনি কোথায় অবস্থান করছেন। আমার আলাদা কোনো বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি জানেন আমি কোথায় আছি, এখন তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
বেইজিংয়ে রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, “টানেলের শেষে সামান্য আলো দেখা যাচ্ছে। সাধারণ জ্ঞান কাজ করলে সমাধান সম্ভব। না হলে সামরিকভাবেই আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।” তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, দনবাস অঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণেই থাকবে এবং ভবিষ্যতে কোনো শান্তিচুক্তি হলেও পশ্চিমা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দনবাসে প্রযোজ্য হবে না।
পাঠকের মতামত:
- আবহাওয়ার পূর্বাভাস: দেশের ৬ বিভাগে বৃষ্টি, বাড়তে পারে গরম
- বাংলাদেশে যত উন্নয়ন হয়েছে, সব বিএনপির সময়ে: শামা ওবায়েদ
- উচ্চকক্ষ নিয়ে সরকারের অনুরোধ উপেক্ষা, বিএনপি তার সিদ্ধান্তে অটল
- নতুন ছবিতে শাহরুখের নতুন লুক
- রাজবাড়ীর নুরাল পাগলার দরবারে বিক্ষোভ, মরদেহ উত্তোলন করে আগুন ধরাল জনতা
- মরুভূমির বুকে এক বিস্ময়: সৌদি আরবের ‘ডেজার্ট রক’ রিসোর্ট
- গাজা নগরীর কেন্দ্রে প্রবেশ করছে ইসরায়েলি সেনারা
- মোহাম্মদপুর-আদাবরে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য, চাঁদা না দিলেই মারধর
- সিআইডি পুলিশের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার শাওন
- আজকের খেলাধুলার টিভি সূচি
- শেখ হাসিনার মতো আর কাউকে একনায়ক হতে দেব না: সারজিস আলম
- বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো আর কোনো একনায়ক জন্ম নেবে না: সারজিস
- মুম্বাই পুলিশের তদন্তের মুখে শিল্পা শেঠি ও রাজ কুন্দ্রা
- মুন্সীগঞ্জে বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রণক্ষেত্র, হাসপাতালে ৮
- জ্বর, মাথাব্যথা, আর্থ্রাইটিস—ভিন্ন ভিন্ন সমস্যায় ভিন্ন ডোজ প্যারাসিটামল
- জিম্মি মুক্তি না হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে: ট্রাম্পের সতর্কবার্তা
- সংসদকেন্দ্রিক সংস্কারের ওপর জোর, সরকারের সমালোচনায় গয়েশ্বর
- “২০২৬ নির্বাচনে ধানের শীষে বিজয়, তারেক রহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী”
- কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফের হামলা ও ভাঙচুর
- গোয়ালন্দে কবর অবমাননার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র নিন্দা
- চাকরির প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার
- স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বিল্লাল বহিষ্কার, মালিবাগ হামলায় মামলা
- দেশীয় চিকিৎসাব্যবস্থায় আস্থা প্রকাশ করলেন জামায়াতের আমির
- হোয়াটসঅ্যাপে আসছে ইনস্টাগ্রাম ধাঁচের ‘ক্লোজ ফ্রেন্ড’ ফিচার
- দান করার যত ফজিলত
- কাবুলের পথে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ত্রাণবাহী বিমান
- বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হারে অস্থিরতা
- নেপালের কঠোর পদক্ষেপ ফেসবুক ও টুইটারের বিরুদ্ধে
- “তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্য সম্ভব”
- শেয়ারবাজারে আস্থা ফেরাতে সরকারের নতুন উদ্যোগ
- কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির কোন্দল, হাসনাত আবদুল্লাহ কি চমক দেখাবেন?
- “মামার বাড়ির আবদার নয়”-রাকসু নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ উপাচার্যের
- তারাকান্দায় বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- অনূর্ধ্ব-১৭ দল গঠনে চলছে বাছাই প্রক্রিয়া
- উদ্যোক্তাদের জন্য ৫৪ লাখ টাকার পুরস্কার
- ৭ সেপ্টেম্বর আকাশে চোখ রাখুন: দেখা মিলবে দীর্ঘস্থায়ী চন্দ্রগ্রহণের
- মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণেই ইহকাল ও পরকালের মুক্তি: তারেক রহমান
- নূর শুরু, নুর দিয়ে শেষ হবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
- জনগণ না চাইলে পিআর থেকে সরে আসবে জামায়াত: মিয়া গোলাম পরওয়ার
- ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচের দামে লাগাম টানতে নতুন সুপারিশ
- জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ
- দেশে ফিরতে চাইলে তারেক রহমানকে সহায়তা দেবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ডিএসই’র বাজার প্রতিবেদন: এক নজরে আজকের লেনদেন
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে সামরিক শক্তির মহাপ্রদর্শনী:বেইজিং থেকে বিশ্বকে চীনের কৌশলগত বার্তা
- পোস্টারবিহীন নির্বাচন, প্রচারে নতুন বিধান যুক্ত করল ইসি
- গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে ফ্রান্সের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই
- টিকিট বিক্রির তিন ধাপ, ফিফা জানাল বিস্তারিত পরিকল্পনা
- ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব বিমানবন্দর বন্ধ
- যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আস্থার শীর্ষে এএইচজেড
- জ্ঞান ফিরেছে নুরুল হক নুরের
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ভ্যালু, ভলিউম ও ট্রেডে শীর্ষ ২০ কোম্পানি
- ডিএসই–৩০ সূচকের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর লেনদেনের চিত্র
- জুলাই সনদ নিয়ে মতভেদ চরমে, আজ তিন দলের সঙ্গে বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের
- ১ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- শেয়ারবাজারে ফিরল স্বস্তি, শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ
- ০১ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২৪ সালের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন
- সংসদ ভবনে আগুন দিল বিক্ষোভকারীরা
- নোয়াখালীর সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুরের অবৈধ সম্পদের পাহাড়
- ডা. তাহেরের বিতর্কিত মন্তব্যে চিকিৎসক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া
- ৩১ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- দেড় বছর পর ঢাকায় স্থায়ী রাষ্ট্রদূত পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- “তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্য সম্ভব”