‘পাকিস্তানকে এখন সম্মানের চোখে দেখে বিশ্ব’: খাজা আসিফ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৫ ১১:১৮:৫৮
‘পাকিস্তানকে এখন সম্মানের চোখে দেখে বিশ্ব’: খাজা আসিফ

সত্য নিউজ: সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সামরিক, কূটনৈতিক ও প্রযুক্তিগত প্রতিপত্তির স্বাক্ষর রেখেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। বুধবার জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পাকিস্তানের বহুমুখী সাফল্যের কারণে আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটিকে নতুন করে সম্মান ও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।

খাজা আসিফ বলেন, "যারা একসময় আমাদের গুরুত্ব দিত না, তারাও এখন আমাদের সম্মানের চোখে দেখে। কারণ আমরা শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, কূটনৈতিক ও সাইবার পরিসরেও সফলতা অর্জন করেছি।"

সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এছাড়া ৭৭টি ইসরায়েলি তৈরি হারপ ড্রোন প্রতিহত করার কথাও জানান তিনি। তাঁর ভাষায়, “এই বিজয় আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রমাণ।”

তিনি আরও বলেন, “প্রথমবারের মতো সাইবার যুদ্ধেও আমরা ভারতীয় ডিজিটাল অবকাঠামো অচল করে দিতে সক্ষম হয়েছি। এটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”

খাজা আসিফ স্পষ্ট করে বলেন, পাকিস্তান যুদ্ধ চায় না, তবে প্রয়োজন হলে জবাব দিতে প্রস্তুত। “চার দিন সংযম দেখিয়েছি, কারণ আমরা শান্তি চাই। কিন্তু ভারত যদি উত্তেজনা বাড়ায়, আমাদেরও জবাব প্রস্তুত রয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজনৈতিক চাপে রয়েছেন, সেই হতাশা থেকে তিনি বেপরোয়া সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো ছাড় দেবে না।”

২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে এক বিস্ফোরণের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করে। দিল্লি হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ভারত এখনও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ সামরিকভাবে জবাব দেয়, যার ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধাবস্থার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।

পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিতে থাকলে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে উভয় দেশ সামরিক কার্যক্রম বন্ধে সম্মত হয়। যদিও এই সমঝোতা সাময়িক স্বস্তি এনেছে, বিশ্লেষকদের মতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখনও ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।

খাজা আসিফের বক্তব্য শুধু পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সাফল্যের ঘোষণাই নয়, বরং ভারতের কৌশলগত অবস্থান ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপে ইঙ্গিত করেও একটি কৌশলগত বার্তা পাঠিয়েছে। আন্তর্জাতিক কূটনীতির প্রেক্ষাপটে এ ধরনের বিবৃতি দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা রাজনীতির নতুন দিক উন্মোচন করছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত