“স্বাধীন কমিশন চাই, শুধু কাগজে না”—সালাহউদ্দীন আহমেদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৩ ১৯:৪২:২৮
“স্বাধীন কমিশন চাই, শুধু কাগজে না”—সালাহউদ্দীন আহমেদ
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা শুধু সংবিধানে উল্লেখ থাকলেই যথেষ্ট নয়, বরং এটি কার্যকর করতে হলে উপযুক্ত ও স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে চলমান সংলাপের ১৮তম দিনের আলোচনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এর জন্য একটি কার্যকর নিয়োগ পদ্ধতি থাকা জরুরি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আচরণবিধি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনের মাধ্যমে প্রক্রিয়া চালানো উচিত। নির্বাচন কমিশনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।”

তিনি জানান, সংলাপে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি পাঁচ সদস্যের সিলেকশন কমিটির প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে। এই কমিটিতে থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার (সভাপতি), বিরোধী দলের পক্ষ থেকে নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত একজন আপিল বিভাগের বিচারপতি।

এই কমিটি কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি অনুসন্ধান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। সেখানে রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি এবং সাধারণ নাগরিকরা প্রার্থীর নাম জমা দিতে পারবে। এ জন্য সংসদে একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তাবও তুলে ধরা হয়েছে।

সালাহউদ্দীন বলেন, “এই সার্চ কমিটি প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত যাচাই করে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করবে এবং তা সিলেকশন কমিটির কাছে পাঠাবে। এরপর সিলেকশন কমিটি ঐকমত্যের ভিত্তিতে কমিশনের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।”

আগের প্রস্তাবে প্রতিটি পদের জন্য দুটি করে নাম সুপারিশ করার যে কথা ছিল, সেটি বাদ দিয়ে এবার প্রতিটি পদের জন্য একটি করে নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কমিশনারের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।

এ ছাড়া সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের উপধারায় নতুন একটি সংযোজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—সংসদ কমিশনের সদস্যদের জবাবদিহিতা ও আচরণবিধি নির্ধারণে আইন প্রণয়ন করবে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি কমিশন চাই, যারা সত্যিকার অর্থেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে। অতীতে একাধিকবার কমিশন গঠিত হলেও তারা কার্যত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি। এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই আমরা গঠন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা চাচ্ছি।”

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দীন বলেন, “আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। আজ জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে সে লক্ষ্যে পৌঁছেছে। আমরা ধরে নিচ্ছি, আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই হবে। সেই প্রেক্ষাপটে একটি শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন খুবই জরুরি।”

তিনি সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, তা স্বাগত জানান এবং বলেন, “এই সর্বসম্মত প্রস্তাব একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ভিত্তি তৈরি করবে।”

/আশিক


সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির বিজয় ঠেকানো যাবে না: রুমিন ফারহানা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৪:৪৯:০৫
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির বিজয় ঠেকানো যাবে না: রুমিন ফারহানা
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, কিছু দল বলছে যে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা ‘পিআর’ পদ্ধতি ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। এর কারণ, তারা জানে যে ভোটে অংশ নিলে ১০টি আসনও পাবে না। এ কারণেই তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের শরীফপুর খোলাপাড়া বালুর মাঠে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির বিজয় ঠেকানো যাবে না। আওয়ামী লীগের অত্যাচারীদের বিচার বিএনপিই প্রথম দাবি করেছে, কারণ সবচেয়ে বেশি নির্যাতন সহ্য করেছে এই দলের নেতাকর্মীরাই।”

তিনি আরও জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের নেতাকর্মীরা সবসময় জনগণের সমর্থন পেয়ে এসেছেন। অতীতের সরকারের আমলে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা হয়েছিল। তার নিজের বিরুদ্ধেও ১০টি মামলা আছে, যার মধ্যে তিনটি খুনের মামলা। তবুও তারা দল ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি।


“একদিনও মাথা নত করেননি”-খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৪:২১:২৪
“একদিনও মাথা নত করেননি”-খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশের জন্য অবদান তুলে ধরে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এবং গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি একদিনের জন্যও মাথা নত করেননি। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বদাতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দেশের মানুষ এখন তারেক রহমানের দিকেই তাকিয়ে আছে। তার নেতৃত্বেই আগামী দিনে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি এই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে এবং ভিশন ২০৩০–এর মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা দিয়েছে। বর্তমানে ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে দলটি এগোচ্ছে, যার লক্ষ্য হলো ভেঙে পড়া অর্থনীতি, দুর্বল রাজনৈতিক কাঠামো এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে এবং মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর হাজারো নেতাকর্মী মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত ২৪ জুলাই ঢাকার রাজপথে হাজারো তরুণ, যুবক, নারী ও শিশু তাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন। শুধু ঠাকুরগাঁও জেলায়ই গত ১৫ বছরে বিএনপির ১২ জন সহকর্মী শহীদ হয়েছেন এবং জুলাই মাসেই প্রাণ দিয়েছেন চারজন। তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ ৭৫টি মামলা দিয়ে প্রায় সাড়ে সাত হাজার নেতাকর্মীকে হয়রানি করেছে। অনেকে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন, ধানক্ষেতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং বহুজনকে কারাভোগ করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকের এই সম্মেলন যেমন আনন্দের, তেমনি দুঃখেরও। আনন্দের কারণ হলো মুক্ত পরিবেশে গণতান্ত্রিক দলীয় কার্যক্রম চালানোর সুযোগ পাওয়া; আর দুঃখের কারণ হলো প্রিয় সহযোদ্ধাদের হারিয়ে ফেলা। এ সময় তিনি স্বাধীনতার ঘোষক এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, জিয়াউর রহমান এমন একটি দল গড়ে দিয়েছিলেন, যে দল সব সময় গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে এবং প্রাণ দিয়েছে।

সম্মেলনের মূল পর্বে বিকাল সাড়ে তিনটায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

-শরিফুল


তারেক রহমানের নেতৃত্বে টেকসই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব:  মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৪:১৭:৩৮
তারেক রহমানের নেতৃত্বে টেকসই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব:  মির্জা ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থায় যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে, সেগুলো শক্তিশালী করবে বিএনপি। এ জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে।”

আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি টেকসই গণতন্ত্র নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “গত ২৪ জুলাই ঢাকার রাজপথে হাজারো তরুণ, যুবক, নারী ও শিশু তাদের অধিকার ফেরাতে প্রাণ দিয়েছে। শুধু ঠাকুরগাঁওয়েই গত ১৫ বছরে আমাদের ১২ জন সহকর্মী শহীদ হয়েছেন।” তিনি আরও জানান, এই জেলায় ৭৫টি মামলায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার নেতাকর্মী হয়রানির শিকার হয়েছেন।

তিনি বলেন, “আজকের এই সম্মেলন আমাদের কাছে যেমন আনন্দের, তেমনি দুঃখেরও। আনন্দের কারণ—আমরা মুক্ত পরিবেশে দলীয় কার্যক্রম চালাতে পারছি। আর দুঃখের কারণ—অনেক প্রিয় সহযোদ্ধাকে হারিয়েছি।” বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, “জিয়া একটি দল গড়ে দিয়েছিলেন, যে দল গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, প্রাণ দিয়েছে।”

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংগ্রামের দিক তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “তিনি দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। আবার গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছেন। একদিনের জন্যও মাথা নত করেননি।” তারেক রহমানকে ভবিষ্যতের নেতৃত্বদাতা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “দেশের মানুষ আজ তার দিকে তাকিয়ে আছে। তার নেতৃত্বেই আগামী দিনে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা হবে।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছে এবং ভিশন–২০৩০ এর মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা ঘোষণা করেছে। এখন ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনীতি, রাজনৈতিক কাঠামো এবং রাষ্ট্রের ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে দলটি এগিয়ে যাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু উপস্থিত ছিলেন। সাত বছর আট মাস পর এই দলীয় সম্মেলন ঘিরে সকাল থেকে উৎসবমুখর ছিল ঠাকুরগাঁও জেলার নেতাকর্মীরা। পাঁচ উপজেলা ও তিনটি পৌরসভার ৮০৮ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়ে জেলার নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।


ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা: সেনাবাহিনী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১১:৪৪:৫৯
ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা: সেনাবাহিনী
ছবিঃ ডেইলি সান

আসন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের গুজব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে সোমবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, সেনাবাহিনীর কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা বা ভূমিকা এই নির্বাচনে নেই।

এর আগে সেনাবাহিনী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সোমবার সেনাবাহিনীর সরকারি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে আবারও একই অবস্থান তুলে ধরা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বারবার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে, যাতে নির্বাচনকেন্দ্রিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয় এবং পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। সেনাবাহিনী এ ধরনের গুজবকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনীর এই স্পষ্ট ঘোষণা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং ভোটারদের মাঝে গুজবের প্রভাব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

-সুত্রঃডেইলি সান


রঙিন প্রচারণায় বর্ণিল ডাকসু—ভোট মঙ্গলবার

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১০:৫৪:৩৮
রঙিন প্রচারণায় বর্ণিল ডাকসু—ভোট মঙ্গলবার
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন–২০২৫-এর ১৩ দিনের প্রাণবন্ত প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে শনিবার রাত ১১টায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী এখন অপেক্ষা করছে বহুল প্রতীক্ষিত ভোটগ্রহণের জন্য, যা অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এইবারের ডাকসু নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীদের সৃজনশীলতা ও কৌশল ছিল চোখে পড়ার মতো। পোস্টার, লিফলেট ও প্রচারণার ধরনে এসেছে অভিনবত্ব। কোনো প্রার্থী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ডলার কিংবা টাকার নোটের আদলে লিফলেট ছাপিয়েছেন, কেউ বানিয়েছেন গাছের আকারে হ্যান্ডআউট, আবার কেউ পোস্টারে ব্যবহার করেছেন ওয়াই-ফাই চিহ্ন। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বৃক্ষাকৃতির প্রচারপত্র বিলিয়েছেন, পরিবহন সম্পাদক প্রার্থী দিয়েছেন বাসের আদলে কার্ড, স্বাস্থ্য সম্পাদক প্রার্থী হৃদয়-আকৃতির পোস্টার বানিয়েছেন। এমনকি ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক প্রার্থী বিতরণ করেছেন বিড়ালের আকৃতির লিফলেট। কেউ বুকমার্কের মতো ডিজাইন করেছেন, কেউ আবার ক্রেডিট কার্ডের মতো প্রচারপত্র তৈরি করেছেন। আইন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী লিগ্যাল নোটিশের মতো পোস্টার ছাপিয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রচারণায় সৃজনশীলতার এক রঙিন ছোঁয়া ছিল।

প্রার্থীদের প্রচারণায় প্রাণ সঞ্চার করেছে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনের উন্মুক্ত বিতর্কসভা। গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রার্থীরা সরাসরি শিক্ষার্থীদের সামনে নিজেদের ভিশন ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন সেখানে।

প্রচারণায় অংশ নিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বামঘরানার বিভিন্ন সংগঠন, ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলন (বিডিএসএ) এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য। প্রতিটি প্যানেলই মিছিল, পথসভা, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও উন্মুক্ত আলোচনা আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের সামনে নিজেদের ইশতেহার উপস্থাপন করেছে।

ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রার্থীরা। আবাসিক হলগুলোতে দরজায় দরজায় প্রচারণার পাশাপাশি বাসে যাতায়াতরত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলোচনাসভা আয়োজন করেছে কয়েকটি প্যানেল, যেখানে মেয়েদের প্রশ্ন ও সমস্যার উত্তর দিয়েছেন প্রার্থীরা।

ভোটারদের প্রতিক্রিয়া ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থী বলেন, “এবারের ডাকসু নির্বাচন নিঃসন্দেহে সবচেয়ে উৎসবমুখর। প্রতিটি প্রচারপত্রই অভিনব ও আলাদা।” বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক শিক্ষার্থী শামসুল আলম জানান, “প্রার্থীরা যখন সরাসরি আমাদের কাছে এসে ক্যাম্পাস উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়, তখন ভালো লাগে। আসলে ডাকসু এক ভিন্ন মাত্রার সংযোগ তৈরি করে।”

ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমাদের চেনে, তাই নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়নি। আমরা আগে থেকেই কাজ করেছি। আমাদের কথা ও কাজে সামঞ্জস্য ছিল বলেই শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্বাস করে।” তবে তিনি ভোটকেন্দ্রগুলো আবাসিক হলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন, যা অংশগ্রহণে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তানভীর বারি হামিম বলেন, “শিক্ষার্থীরা উষ্ণ অভ্যর্থনা দিচ্ছেন। আমরা অঙ্গীকার করছি নিরাপদ ও সবার জন্য সমান ক্যাম্পাস গড়ে তুলব।” একইভাবে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আল সাদি ভুইয়া জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশের প্রত্যাশায় তাদের সমর্থন জানাচ্ছেন।

নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক জসীম উদ্দিন জানান, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ব্যালট বাক্স বিতরণসহ সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন দিবসে ক্যাম্পাস বহিরাগতদের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে, বাইরের যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।

সব মিলিয়ে বলা যায়, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে এবারের প্রচারণা ছিল বর্ণিল, সৃজনশীল ও প্রাণবন্ত। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা—সত্যিকারের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে তাদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করবেন।

-এম জামান


আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি চোরে চোরে মাসতুতো ভাই: সারজিস আলম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ২১:৫২:০৮
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি চোরে চোরে মাসতুতো ভাই: সারজিস আলম
সারজিস আলম। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড়ে কুলি-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, “এক চোর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। যেই চোর এতদিন তাদের ছায়াতলে ছিল, সেই চোর এখন তাদের ব্যানারে তাদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলছে।” তিনি অভিযোগ করেন, চুরি ও বাটপারি ছাড়া আওয়ামী লীগের কেউ নেতা হয়নি। তিনি আরও বলেন, “জাতীয় পার্টির নেতা যে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের’ গল্প বলছেন, এই আইডিয়া ভারতের দেওয়া।” তার মতে, এই খুনিরা কখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে থাকতে পারে না।

তিনি বলেন, “যেভাবে আওয়ামী লীগের সব দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেভাবেই তাদের বড় দোসর জাতীয় পার্টিরও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।” তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে বলেন, “ফ্যাসিস্টদের প্রতি নমনীয় আচরণ আপনাদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আস্থার সংকট তৈরি করছে। আপনাদের কাজ হলো খুনিদের বিচারের মঞ্চে নিয়ে যাওয়া।”

সারজিস আরও অভিযোগ করেন, পঞ্চগড়ে ছাত্রদল স্কুলগুলোতে কমিটি দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। তারা স্কুল শিক্ষার্থীদের রাজনীতির চক্রে ঢুকিয়ে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি শুরু করবে।

একই অনুষ্ঠানে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “আমরা সরকারকে বলতে চাই, বিবৃতি থেকে বের হয়ে আসেন। যারা জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করছে, তারা দেশে নির্বাচন চায় না। তারা গৃহযুদ্ধ বাধাতে চায়।” তিনি বলেন, “এখন বিএনপিকেও প্রমাণ করতে হবে, তারা জাতীয় পার্টিকে চায় কি না।


হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি আর চলবে না:  হাসনাত আব্দুল্লাহ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ২১:১২:৩৩
হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি আর চলবে না:  হাসনাত আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, হোন্ডা-গুন্ডা নির্ভর রাজনীতি আর চলবে না। তিনি বলেন, “১০টা গুন্ডা ২০টা গুন্ডা—নির্বাচন ঠান্ডা, এই দিন আমরা ৫ আগস্টেই শেষ করে এসেছি।”

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার বড়কামতা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণখাড়া গ্রামে একটি উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যার পেছনে যত গুন্ডা, সে তত বড় নেতা। কিন্তু নেতৃত্ব ব্যাপারটা ভিন্ন। হোন্ডা-গুন্ডা দিয়ে নেতৃত্ব বাছাইয়ের সময় শেষ হয়ে গেছে। নেতৃত্ব তৈরি হবে নেতার গুণাবলী থেকে।” তিনি বলেন, এনসিপি ইনসাফের পক্ষে। যদি কেউ ইনসাফের পক্ষে থাকে, তাহলে আমরা ধরে নেব সে এনসিপির পক্ষের লোক।

এই এনসিপি নেতা বলেন, “অপরাধ করতে শক্তির প্রয়োজন। রাজনৈতিক ব্যাকআপ নিয়ে স্থানীয়ভাবে নেতাকর্মীরা অপরাধী হয়ে ওঠে। গ্রাম পর্যায়ে মানুষজন যদি অন্যায়ের বিপক্ষে সংঘবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়, তখন অপরাধীরা আর সাহস পাবে না।” তিনি অভিযোগ করেন, অপরাধ দমনের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদেরই অপরাধীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “জনগণের পাশে থাকতে এমপি, চেয়ারম্যান বা মেম্বার হওয়ার দরকার নেই। সত্য কথা বলার জন্য আপনি মানুষ হলেই যথেষ্ট। আমরা চাই আপনারা প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকুন। সত্য বলার জন্য রাজনৈতিক শেল্টারের প্রয়োজন নেই। তবে সত্য বলার পর কেউ যদি জুলুম করে, তবে আমি আপনাদের পাশে এসে দাঁড়াব।


কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৮:১১:০৩
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই তথ্য জানান।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের বহু আগে থেকেই দেশে থেকে তারেক রহমান দলকে নেতৃত্ব দেবেন। যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হবে।” তিনি আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

পিআর পদ্ধতি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগডা. জাহিদ হোসেন বলেন, “পিআর পদ্ধতি বেআইনি দাবি। সংবিধান ইচ্ছা করলে তা বাতিল করা যেতে পারে, তবে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও গণমানুষের ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করা উচিত নয়।”

তিনি অভিযোগ করেন, যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী নয়, তারাই ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, “পতিত স্বৈরাচার পেছনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার হরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।”


শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই: কাদের সিদ্দিকী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৪:৩৪:১৪
শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই: কাদের সিদ্দিকী
ছবি: সংগৃহীত

কাদের সিদ্দিকী বলেছেন যে তিনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছেন না। ২৬ বছর আগে তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে নিজের দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে তিনি শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশের জনগণকে ভালোবাসেন ও সম্মান করেন।

রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। গত রাতে তার বাসভবনের জানালা ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "ধানমন্ডি ৩২-এর মতো আমার বাসা ভেঙে যদি দেশে শান্তি আসে, তাহলে আমি আমার বাসা ভাঙার সমর্থন করছি।" তিনি এই ঘটনার জন্য কোনো দলের নেতাকর্মীকে দোষারোপ করেননি, তবে জানিয়েছেন যে এ ঘটনায় মামলা করা হবে।

এদিকে, বাসাইল উপজেলায় কাদেরিয়া বাহিনী ও ছাত্র সমাবেশের ব্যানারে একই স্থানে পৃথক সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা বেগম এই আদেশ জারি করেন, যা রোববার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বলবৎ ছিল। টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইউএনও) তানবীর আহাম্মেদ জানান, কাদের সিদ্দিকীর বাসায় ভাঙচুরের ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে এবং দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পাঠকের মতামত: