“সোহাগ খুনে আনসার-পুলিশ চুপ কেন?” প্রশ্ন রুমিনের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১২ ২১:৩৯:৩৮
 “সোহাগ খুনে আনসার-পুলিশ চুপ কেন?” প্রশ্ন রুমিনের

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা দেশের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সরকারের নীরবতা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, মিটফোর্ডের মতো জনবহুল এলাকায় এমন বর্বর ঘটনা ঘটার পরও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তাঁর ভাষায়, '১০০ মিটারের মধ্যে আনসার ক্যাম্প ছিল, তারা কী করেছিল? পুলিশ কী করেছিল? ভিডিও প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কী করেছিল?—এসব প্রশ্নের জবাব তাদের দিতেই হবে।'

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ডিআরইউ-তে 'ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি—বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীন পরিবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রুমিন বলেন, আজকাল রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রায় অনুপস্থিত। অথচ রাষ্ট্রীয় চেয়ারে বসে শুধু ক্ষমতা ভোগ করলে চলবে না, দায়িত্বও নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি নতুন ভয়াবহ সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে—মবোক্রেসি। এখানে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থাকলে, কিংবা রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেই ২০ থেকে ৩০ জন মানুষ হুরহুর করে হামলে পড়ে। এটা এখন যেন প্রথায় পরিণত হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে একদল মানুষ ভাড়া করে এভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। এমন মব তৈরি হচ্ছে টাকার বিনিময়ে, আর প্রশাসন নির্বিকার।’

সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে রুমিন বলেন, সরকার যদি জনগণের ওপর ভরসা রাখতে না পারে, তাহলে এই রাষ্ট্রে সত্যিকারের গণতন্ত্র কায়েম হবে না। ‘যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, সেটিই অনেক। বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ১৮ কোটি মানুষের—যারা এই দেশেই জন্মেছে, এই দেশেই থাকবে এবং এখানেই মরবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাদের হাতেই ফিরিয়ে দিতে হবে,’—বললেন রুমিন ফারহানা।

আলোচনায় বক্তারা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, গণতন্ত্রের অবস্থা এবং জনগণের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার বক্তব্যে বারবার উঠে আসে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা ও জনগণের পক্ষে কথা বলার দাবি।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ