পল্লবীতে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে গুলি ও হামলা, আহত কর্মকর্তা

রাজধানী ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১২ ১৯:৫৯:১৪
পল্লবীতে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে গুলি ও হামলা, আহত কর্মকর্তা

রাজধানীর পল্লবীতে এক নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে চাঁদা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে। অভিযুক্তদের দাবি ছিল পাঁচ কোটি টাকা, যা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানানোয় ঘটেছে এই সশস্ত্র হামলা। শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে পল্লবীর আলাব্দিরটেক এলাকায় অবস্থিত ‘এ কে বিল্ডার্স’ নামের একটি আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে এ হামলা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, কিছুদিন আগে একজন ব্যক্তি নিজেকে প্রভাবশালী পরিচয় দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান কাইউম আলী খানের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানালে হুমকির মাত্রা বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার বিকেলে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল ওই প্রতিষ্ঠানে ঢুকে প্রথমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং এরপর বেপরোয়া গুলি চালায়।

এই হামলায় শরিফুল ইসলাম নামে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হন। দ্রুত তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকেরা সতর্ক থাকলেও তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।

এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুল এহসান বলেন, হামলার হুমকি প্রথমে দেওয়া হয় প্রায় তিন সপ্তাহ আগে। জামিল নামের এক ব্যক্তি তার বাবাকে ফোনে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দেওয়া হয়। এরপর থেকে একাধিকবার হুমকি ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও একটি দফায় জামিলের নেতৃত্বে একটি দল অফিসে ঢুকে সিসি ক্যামেরা, কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে যায়। শুক্রবারের ঘটনায় তারা শুধু হামলা চালায়নি, অফিস কক্ষে গুলি চালিয়ে কর্মীদের মধ্যে ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে এবং একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। হামলার পেছনে কারা রয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেছেন এবং হামলাকারীদের শনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

চাঁদাবাজির এই ঘটনা রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় ব্যবসায়িক নিরাপত্তা ও আইনের শাসন নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, সন্ত্রাসীরা যদি দিনের বেলায় এমনভাবে হামলা করতে পারে, তাহলে তাদের নিরাপত্তা কোথায়?

সত্য প্রতিবেদন/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ