আশিয়ান সিটির মাসব্যাপী আবাসন মেলায় থাকছে আকর্ষনীয় অফার

নগরায়ণের চাপে ক্রমবর্ধমান ঢাকা শহরে পরিকল্পিত আবাসন এখন সময়ের দাবি। এ প্রেক্ষাপটে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হাজীক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় মাসব্যাপী একক আবাসন মেলার আয়োজন করেছে আশিয়ান গ্রুপ। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
আশিয়ান সিটি প্রকল্পটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৮ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিস্তৃত। এটি রাজধানীর অন্যতম আলোচিত পরিকল্পিত হাউজিং প্রকল্প হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে। মেলার উদ্বোধনী বক্তব্যে আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “আশিয়ান প্রকল্প গ্রাহকের জন্য একটি শতভাগ নিরাপদ বিনিয়োগ। এখানে দেশি-বিদেশি ক্রেতারা কোনোভাবেই প্রতারণার শিকার হবেন না। আমরা এটিকে ডায়মন্ড প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করি, যা নির্মাণশৈলী, লোকেশন, নাগরিক সুবিধা ও নির্ভরযোগ্যতার দিক দিয়ে অনন্য।”
তিনি আরও বলেন, “আশিয়ান গ্রুপ শুধু আবাসন ব্যবসা নয়, বরং দেশ গড়ার এক সাহসী অংশীদার। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে আমরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে যৌক্তিক সহযোগিতা কামনা করছি, যাতে আবাসন খাতে আমরা আরও উদ্ভাবনী ও সমন্বিত ভূমিকা রাখতে পারি।”
মেলায় আশিয়ান সিটির বিভিন্ন আবাসিক প্লট, অ্যাপার্টমেন্ট ইউনিট এবং বাণিজ্যিক স্পেস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হচ্ছে। ক্রেতাদের জন্য দেওয়া হচ্ছে বিশেষ মূল্যছাড়, বুকিং অফার ও সহজ কিস্তির সুবিধা। প্রকল্পে আধুনিক নগরায়ণের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো যেমন প্রশস্ত রাস্তা, পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ, স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ, পার্ক ও কমিউনিটি সেন্টারের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রুপের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, প্রকৌশলী, বিপণন কর্মকর্তাসহ শতাধিক গ্রাহক ও অতিথি। মেলায় আগত অনেকে জানান, ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে একটি নির্ভরযোগ্য প্রকল্পে বিনিয়োগ করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ, সেই বিবেচনায় আশিয়ান সিটি অনেকের কাছে ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে।
মাসব্যাপী চলা এই একক আবাসন মেলা আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আশিয়ান গ্রুপ আশা করছে, এই মেলার মাধ্যমে ক্রেতাদের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা যাবে এবং আবাসন খাতে আস্থা ও মানের একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন সম্ভব হবে।
-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় ভূমিকম্পের সময় সাততলা একটি ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ায় তিন পথচারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত শক্তিশালী ভূমিকম্পের কয়েক মিনিটের মধ্যেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করেন।
বংশাল থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক আশিস কুমার ঘোষ জানান, ভূমিকম্পের সময় ভবনের ওপরের অংশ কেঁপে ওঠে এবং ছাদের রেলিং ভেঙে নিচে থাকা তিনজনের ওপর পড়ে। এতে তারা গুরুতরভাবে আহত হন। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, তবে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঘটনার পর বংশাল এলাকার সড়কজুড়ে শোক ও আতঙ্কের ছায়া নেমে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মৃতরা সড়ক ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ভূমিকম্পের তীব্রতায় যখন চারপাশ দুলছিল, তখনই ভবনের উপরের রেলিং ভেঙে পুরোটা নিচে পড়ে। ধাতব ও কংক্রিটের অংশগুলো পড়ার শব্দে আশপাশের মানুষ দৌড়ে বেরিয়ে আসেন।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ঘিরে ফেলে এবং আশপাশের এলাকা নিরাপদ করতে কাজ শুরু করে। ভবনের অন্যান্য অংশ দুর্বল হয়ে পড়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে যায়।
শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা বলেন, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭, যা রাজধানীসহ দেশের বিস্তৃত এলাকায় অনুভূত হয়। তিনি বলেন, এই ধরনের ভূমিকম্পে হালকা আফটার শকের সম্ভাবনা থাকলেও আতঙ্কের প্রয়োজন নেই। সবাইকে সতর্কভাবে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার পরামর্শ দেন তিনি।
ভূমিকম্পের সময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভবনে ফাটল ধরা, দেয়াল খসে পড়া এবং পুরোনো ভবনের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বহু এলাকায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ভবন থেকে বের হয়ে সড়কে অবস্থান করেন এবং চারদিকে আজানের ধ্বনি শোনা যায়।
বংশালের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার পুরোনো ভবনগুলো নিয়মিত কাঠামোগত মূল্যায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় না আনলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের ঝুঁকি থেকে যাবে।
বিএনপির দুর্গে হানা দিলেন সারজিস? পঞ্চগড়-১ আসনে জমজমাট লড়াইয়ের আভাস
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়-১ আসনটি এখন জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীর বিপরীতে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থানের' অন্যতম নায়ক ও ছাত্রনেতা সারজিস আলমের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই আসনটিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। সদর উপজেলা, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত এই আসনে এবার প্রথাগত রাজনীতির সঙ্গে নতুন ধারার রাজনীতির এক বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে এই আসনে লড়বেন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জমির। গত ৩ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ২৩৭টি আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিলেন, তাতে নওশাদ জমিরের নাম চূড়ান্ত করা হয়। তিনি প্রয়াত স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে এবং এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করার পেছনে তার দীর্ঘদিনের ভূমিকা রয়েছে। বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করছেন, দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রাম এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে নওশাদ জমির এই আসনে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন।
তবে নির্বাচনী সমীকরণ হঠাৎ করেই বদলে যায় গত রোববার (১৬ নভেম্বর), যখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এই আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সারজিস আলম সারা দেশেই ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা এবং 'জুলাই স্পিরিট'-এর প্রতীক হিসেবে তার অবস্থান তাকে এই আসনের অন্যতম শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পঞ্চগড়-১ আসনে এবার লড়াই হবে মূলত 'অভিজ্ঞতা বনাম তারুণ্যের'। ব্যারিস্টার নওশাদ জমির যেখানে বিএনপির দীর্ঘদিনের ভোটব্যাংক এবং দলীয় কাঠামোর ওপর নির্ভর করবেন, সেখানে সারজিস আলম নির্ভর করবেন তরুণ ভোটার এবং সাধারণ মানুষের আবেগ ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার ওপর। এনসিপি মনে করছে, বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে মানুষ প্রথাগত রাজনীতির ওপর বিরক্ত, তাই তারা সারজিসের মতো নতুন নেতৃত্বকে বেছে নেবে। অন্যদিকে, বিএনপির দাবি, জনগণ ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ সংগ্রামে বিএনপির ত্যাগকে মূল্যায়ন করবে।
এই আসনে নির্বাচনের ফলাফল শুধু একটি জয়-পরাজয় নয়, বরং এটি হবে ভবিষ্যতের রাজনীতির এক নির্দেশক। সারজিস আলম যদি এই আসনে জয়ী হতে পারেন বা বিএনপির প্রার্থীকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন, তবে তা প্রমাণ করবে যে দেশের মানুষ রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চাইছে। আবার বিএনপি যদি বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে, তবে তা প্রমাণ করবে যে দলটির সাংগঠনিক শক্তি এবং জনসমর্থন এখনো অটুট। সব মিলিয়ে, হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ের এই আসনে ভোটের উত্তাপ এখন থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানীতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন: লকডাউন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে ১৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য—যেকোনো ধরনের নাশকতা, সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিজিবির এই মোতায়েনের সিদ্ধান্ত আসে এমন এক সময়ে, যখন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ আগামী ১৩ নভেম্বর রাজধানীতে “লকডাউন” কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীতে সম্ভাব্য সহিংসতা বা অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বুধবার জানান, “রাজধানী ঢাকা শহরের ভেতরে ১২ প্লাটুন এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে আরও ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই মোতায়েন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”
বিজিবির মূল দায়িত্ব হবে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় গ্রেনেড হামলা, যানবাহন অগ্নিসংযোগসহ যেকোনো নাশকতা রোধ করা, এবং প্রয়োজনে পুলিশ ও প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করা। ইতোমধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত টহল ও নজরদারি কার্যক্রম জোরদার করেছে।
এই পদক্ষেপের সঙ্গে মিলে গেছে ১৩ নভেম্বর ঘোষিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার সময়সূচি—যা গত বছরের জুলাই মাসের সহিংস “অভ্যুত্থান”-এর সঙ্গে জড়িত তিন আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন চ্যুতপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানী অবরোধ ও লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এরই প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অক্ষুণ্ন রাখতে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ সরকারের একটি প্রতিরোধমূলক কৌশল, যা সম্ভাব্য সংঘর্ষ বা সহিংসতা ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিক্ষোভ ও সহিংসতার পুনরাবৃত্তি দেশের স্থিতিশীলতার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় উপস্থিতি এখন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
রাজধানীতে এখন সর্বত্রই টহল জোরদার করা হয়েছে; প্রধান সড়ক, সরকারি স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চলছে নজরদারি। জনসাধারণকেও সতর্ক থাকতে এবং গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করেছে প্রশাসন।
-আলমগীর হোসেন
মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে রাতভর সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ, নিহত ১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে জাহিদ (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাতভর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের বাসিন্দারা ভয়ে ঘর থেকে বের হননি।
সংঘর্ষের সময় জাহিদ গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “জাহিদের শরীরে ককটেল বিস্ফোরণের আঘাতজনিত ক্ষত ছিল, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত চলছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেনেভা ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার রাতের সংঘর্ষ সেই পুরনো দ্বন্দ্বেরই পরিণতি। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহার করে। কয়েকটি দোকান ও বসতবাড়ির জানালায়ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনার পর রাত থেকেই মোহাম্মদপুর থানার বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য এলাকা ঘিরে ফেলে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত টহল জোরদার রাখা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জেনেভা ক্যাম্পে বসবাসরত স্থানীয়রা বলেন, “এখানে প্রায়ই ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়, কিন্তু এবার ককটেল বিস্ফোরণ ও মৃত্যু ঘটায় সবাই আতঙ্কে আছে।” তারা দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল শাহবাগ, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অবরোধ
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন। বুধবার দুপুর ২টার দিকে মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড়ের চারপাশের সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে অবরোধ
শিক্ষকরা প্রথমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ মোড় অভিমুখে রওনা হন। জাতীয় জাদুঘরের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়। এরপর শিক্ষকরা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
এ সময় তারা স্লোগান দেন, ‘বেতন নিয়ে টালবাহানা চলবে না’, ‘আমি কে, তুমি কে শিক্ষক শিক্ষক’, ‘প্রজ্ঞাপন দিতে হবে’।
শিক্ষক-কর্মচারীদের তিনটি প্রধান দাবি হলো:
১. মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়া।
২. শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা।
৩. কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
এর আগে বুধবার সকাল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, প্রজ্ঞাপন না এলে দুপুর ১২টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করার কথা জানিয়েছিলেন তারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর অনুরোধে তারা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করেন। এই সময়ের মধ্যে কোনো ফলপ্রসূ সমাধান না আসায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে ককটেল উদ্ধার
রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের পাশে পানি ভবনের সামনে থেকে ককটেল উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানীর ফার্মগেট, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের পাশে পানি ভবনসহ তেজগাঁও এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের লোকজন ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয় যে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন টিম এসব এলাকায় তৎপর রয়েছে।
ঢাকার বাজারে নিত্যপণ্যের দাম: কোন পণ্য বেড়েছে, কোথায় মিলছে স্বস্তি
রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের দামে অস্থিরতা কাটছেই না। কয়েক সপ্তাহ ধরে চড়া সবজির বাজারে স্বস্তির দেখা মেলেনি, বরং এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মুরগির দাম বৃদ্ধি। চালের বাজারও উচ্চমুখী রয়ে গেছে। তবে ভোক্তাদের জন্য সামান্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে ডিম ও আলুর দাম কিছুটা কমে যাওয়া।
মুরগি ও ডিমের বাজার
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০–২০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ১৮০–২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে দাম ছিল ১৭০–১৮০ টাকা। হাজিপাড়া বউবাজারের বিক্রেতা আবু সাইদ আহমেদ জানান, সবজি ও মাছসহ অন্যান্য পণ্যের চাহিদা বেশি থাকায় মুরগির দাম স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা বেড়েছে।
অন্যদিকে, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহ আগে যেখানে এক ডজন লাল ব্রয়লার ডিম বিক্রি হচ্ছিল ১৫০ টাকায়, এখন সেটি ১৪০ টাকায় নামতে দেখা গেছে। কিছু খুচরা দোকানে এক হালি ডিম এখনো ৫০ টাকা রাখা হলেও বেশিরভাগ বাজারে ডিম ডজনে ৫–১০ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে অস্থিরতা
সবজির বাজারে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়েছে ভোক্তাদের ওপর। আলু ও পেঁপে ছাড়া বাজারে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন গোলাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০–১৪০ টাকা, বরবটি, করলা, চিচিঙ্গা ও কচুর লতি বাজারভেদে ১০০–১২০ টাকায়। ধুন্দল কেজিপ্রতি ৮০–১০০ টাকা, আর ঝিঙ্গা, ঢ্যাঁড়স ও পটলও ৮০ টাকার আশেপাশে বিক্রি হচ্ছে।
শাকের বাজারও ভোক্তাদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাল শাক, কলমি বা হেলেঞ্চা প্রতি আঁটি ২০ টাকা দরে পাওয়া গেলেও পুইশাকের আঁটি কিনতে ৪০–৫০ টাকা খরচ হচ্ছে।
চালের বাজার
চালের দামও ভোক্তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক নয়। যদিও গত দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিপ্রতি ১–২ টাকা কমেছে, তারপরও তা ৭২–৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চালের মানভেদে কেজি ৭৫–৯৫ টাকা, ব্রি–২৮ চাল ৬২ টাকা এবং মোটা স্বর্ণা চাল ৫৮–৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সীমিত স্বস্তি
সবজির আগুনঝরা বাজারে আলু ও পেঁপে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ভোক্তাদের। আলু এখনো সহনীয় দামে, কেজিপ্রতি ২৫–৩০ টাকা। আর পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩৫–৪০ টাকায়, যা বাজারে তুলনামূলক কম দামের সবজি হিসেবে টিকে আছে।
কাকরাইলে সংঘর্ষে রক্তাক্ত নুর, উত্তপ্ত রাজনীতি: এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা
রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ফের রক্তাক্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে জাপা ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ধাপে ধাপে সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকা জুড়ে।
রক্তাক্ত নুরের ছবি ভাইরাল
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নুরুল হক নুরের অফিসিয়াল আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয়, যেখানে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে। ছবিটি দ্রুত ভাইরাল হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
‘জয় বাংলা’ স্লোগান ও গণহত্যার অভিযোগ
গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়েছে, জাপার কর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, এটি ছিল পরিকল্পিত সহিংসতা। গণঅধিকার পরিষদের নেতারা বলেন, “জাতীয় পার্টিকে গণহত্যার দায়ে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। যদি বিচার না হয়, তাহলে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা নিজেরাই বিচার করবে।”
ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল
সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা শুরু হয়। একপর্যায়ে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও উত্তেজনা দ্রুত ছড়ায়।
রমনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আতিকুল আলম খন্দকার বলেন, “ঘটনার শুরুতে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছি।”
হলুদ হেলমেটধারী রহস্যময় বাহিনী
সংঘর্ষের দ্বিতীয় দফা ঘটে রাত সাড়ে ৯টার দিকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হলুদ রঙের হেলমেট পরে একদল লোক জাপার কার্যালয় থেকে বের হয়ে গণঅধিকার পরিষদের মিছিলে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এসময় পুলিশের দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। এ বাহিনীকে নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ তাদের সবাইকে একই ধরনের হেলমেট পরা অবস্থায় দেখা গেছে।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগে জটিলতা
জাপার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, গণঅধিকার পরিষদ উসকানিমূলক মিছিল নিয়ে তাদের কার্যালয়ে গিয়ে হামলা চালিয়েছে। অপরদিকে গণঅধিকার পরিষদ বলছে, উল্টো জাপার কর্মীরাই প্রথম ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ বাধিয়েছে। ফলে ঘটনার দায় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বিরোধ তৈরি হয়েছে।
এনসিপির বিক্ষোভের ডাক
এদিকে এ হামলার প্রতিবাদে জরুরি কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় এক ক্ষুদে বার্তায় দলটি জানায়, “ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধা, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ তার দলের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, লীগ ও জাতীয় পার্টির বর্বর হামলার প্রতিবাদে আজ রাতেই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।” এই মিছিলে নেতৃত্ব দেবে ঢাকা মহানগর এনসিপি।
এআই দিয়ে তৈরি করা ছবির মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলমের একটি ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ডিএমপি জানিয়েছে, ছবিটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা এবং এর মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ডিসি মাসুদ আলমের একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি এক ছাত্রের মুখ চেপে ধরেছেন। এই ছবিটি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা ডিএমপির নজরে আসে।
ডিএমপি বলছে, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছে এবং এটি বাস্তব নয়। ছবিটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে তা বোঝা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির উদ্দেশ্যে এমন ছবি তৈরি ও প্রচারের সঙ্গে জড়িতদের ডিএমপি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। একইসঙ্গে ডিএমপির পক্ষ থেকে জনসাধারণকে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- আবারও হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
- ত্বক উজ্জ্বল করতে পানির ভূমিকা আসলে কতটুকু তা নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- মেজর সিনহা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে উঠে এল সেই রাতের রোমহর্ষক বর্ণনা
- স্বাস্থ্য খাত ও বেকারত্ব দূরীকরণে বিএনপির মেগা প্ল্যান তুলে ধরলেন আমীর খসরু
- পাঠ্যবই থেকে ৭ মার্চের ভাষণ বাদ দেওয়া নিয়ে সোহেল তাজের কড়া সতর্কতা
- খামেনিকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্র, দুই দেশের বিরুদ্ধে ইরানের গুরুতর অভিযোগ
- কোরআন ও সুন্নাহর বিপরীতে বাংলাদেশে কোনো কাজ হবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ
- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে ভারতের কাছে ফের চিঠি পাঠাল ঢাকা
- শিরোপা জয়ের রেসে আজ বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান কার পাল্লা ভারীে
- অ্যাপোনিয়ার পর এবার তিশার বিরুদ্ধে কলকাতার প্রযোজকের গুরুতর অভিযোগ
- চট্টগ্রাম ১ আসনে বিএনপির নুরুল আমিন নাকি জামায়াতের সাইফুর রহমান কার পাল্লা ভারী
- রমজান ছাড়াও সারা বছর খেজুর খাওয়ার যে সাতটি বড় স্বাস্থ্যগুণের কথা বলছেন পুষ্টিবিদরা
- ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: তারেক রহমান
- ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পেতে স্মার্টফোনের যে অপশনটি এখনই চালু করা জরুরি
- ঘন ঘন ভূমিকম্পের আতঙ্কের মধ্যেই এবার সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা
- গান নিয়ে মন্তব্যের জেরে বাউল ও তৌহিদি জনতার সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মানিকগঞ্জ
- লা লিগায় উত্তেজনার রাত: শীর্ষে ফেরার মিশনে রিয়াল মাদ্রিদ, টানা পঞ্চম জয়ের খোঁজে আতলেতিকো!
- রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত: রিজভী
- ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে এক ভবনের ওপর হেলে পড়ল আরেকটি ভবন,এলাকায় চরম আতঙ্ক
- গায়ের রং ও গঠন নিয়ে সহপাঠীদের বিদ্রূপের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের করুণ পরিণতি
- টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ায় আবারও কেঁপে উঠল এশিয়ার দুই দেশ
- ২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শিক্ষক হয়ে গালিগালাজ করায় হাদির কড়া সমালোচনা করলেন নীলা
- নৌকার ভোট বাগে আনতে বিএনপি ও জামায়াতের যত কৌশল
- শুক্রবার ও শনিবার মিলে ঘন ঘন ভূমিকম্প নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বড় দুঃসংবাদ
- বড় ভূমিকম্প হলে তা মোকাবিলা নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ৩০০ আসনের জন্য ১৪৮৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে এনসিপি শুরু করল বিশেষ কার্যক্রম
- ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে ৫৬টি দেশের পক্ষ থেকে যে বড় বার্তা পেল নির্বাচন কমিশন
- দাদা-দাদী-নানা-নানীর অতিরিক্ত আদরে বাড়ছে 'সিক্স পকেট সিনড্রোম', জানুন বিস্তারিত
- ফোবিয়া: সহজে চেনা, সময়মতো চিকিৎসা জরুরি
- বিশ্বের ১০ দামী খাবার, চোখ কপালে তোলার মতো মূল্য
- কোরআনের আলোকে আল্লাহর রহমত পাওয়ার ১০ উপায়
- আজ থেকেই যেসব গ্রাহকসেবা বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না
- সিএসই তে মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে ধাক্কা
- ইস্টার্ন পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ব্যতিক্রমী ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ফু-ওয়াং সিরামিকের Q1 ফলাফলে চাপের প্রতিফলন
- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের EPS তিনগুণ বৃদ্ধি
- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির Q1 ফলাফলে চমক
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৩ মিউচুয়াল ফান্ডের NAV হালনাগাদ
- যতবার গাজা যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভয়ংকর রেকর্ড
- "প্রশাসন আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, মামলা করবে।"
- গ্যাসের দাম বাড়ছে আজ!
- বহুমুখী যেসব কর্মসূচিতে রাজধানী সরগরম
- রবিবারের নামাজের ওয়াক্তনামা এক নজরে
- বায়ুদূষণে আবারও বিপজ্জনক ঢাকার বাতাস
- টিভিতে ক্রিকেট–ফুটবলসহ একঝাঁক বড় ম্যাচ
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- শিরোপা জয়ের রেসে আজ বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান কার পাল্লা ভারীে
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- যে যে মামলায় ফাঁসির রায় হলো হাসিনা-কামালের
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী?
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- তারকাদের বাদ দিয়েই বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত, কোচের কড়া সিদ্ধান্তে তোলপাড়
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?







-1.jpg)
