ভাতের মাড়: ত্বক ও চুলের যত্নে প্রাচীন কিন্তু কার্যকর এক জাদু

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৬ ০৯:৩৪:০৪
ভাতের মাড়: ত্বক ও চুলের যত্নে প্রাচীন কিন্তু কার্যকর এক জাদু

সত্য নিউজ: সৌন্দর্যচর্চার জগতে প্রাচীনকাল থেকেই ভাতের মাড় বা চাল ধোয়া পানি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জাপানের ঐতিহ্যবাহী রূপচর্চায় এর ব্যবহার হাজার বছরের পুরোনো। আজও বিশ্বজুড়ে এই সহজলভ্য উপাদানটি ত্বক ও চুলের যত্নে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা প্রাকৃতিক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন উপায়ে নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে চান, তাঁদের জন্য ভাতের মাড় যেন এক অলৌকিক সমাধান।

কীভাবে তৈরি করবেন চাল ধোয়া পানি বা ভাতের মাড়:১. চাল ভিজিয়ে রাখা: আধা কাপ চাল দুই কাপ পানিতে ভিজিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর পানি ছেঁকে নিন।

২. ফার্মেন্টেড পদ্ধতি: ভিজিয়ে রাখা পানি ২৪–৪৮ ঘণ্টা রেখে দিন। গন্ধ বের হলে বুঝবেন এটি ব্যবহার উপযোগী।

৩. সেদ্ধ ভাতের মাড়: চাল সেদ্ধ করে অতিরিক্ত পানি আলাদা করে ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করুন।

ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা:

উজ্জ্বল ত্বক: এতে থাকা ভিটামিন বি, সি ও ই ত্বকের দাগ কমিয়ে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।

বার্ধক্য রোধ: এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে কোলাজেন হারাতে দেয় না, ফলে ত্বক থাকে টানটান ও তরুণ।

নরম ও ময়েশ্চারাইজড ত্বক: প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

ব্রণ ও র‍্যাশ প্রতিরোধ: অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের প্রদাহ কমায় ও ব্রণ রোধে সহায়ক।

ব্যবহারের উপায়:

টোনার: মুখ ধোয়ার পর তুলায় নিয়ে ব্যবহার করুন।

ফেস মাস্ক: চালের গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান।

ক্লিনজার: হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

চুলের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা:

চুল শক্তিশালী করে: অ্যামিনো অ্যাসিড চুলের গোড়া মজবুত করে।

চুল ঝলমলে করে: চুল হয় সিল্কি ও প্রাণবন্ত।

নতুন চুল গজায়: ইনোসিটল নামক উপাদান চুল গজাতে সহায়তা করে।

খুশকি দূর করে: মাথার ত্বকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে।

ব্যবহারের উপায়:

কন্ডিশনার: শ্যাম্পুর পর মাড় দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

হেয়ার মাস্ক: অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে মিশিয়ে লাগান।

লিভ-ইন কন্ডিশনার: বাইরে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন, চুল থাকবে সুন্দর ও ভলিউমযুক্ত।


খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ১১:০০:৫২
খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ছবিঃ সংগৃহীত

রান্নার স্বাদ বাড়ানোতে মসলা হিসেবে এলাচের তুলনা নেই। কিন্তু স্বাদ ছাড়াও এলাচের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত এলাচের পানি পান করলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটি দূর হওয়াসহ আরও পাঁচটি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য পাওয়া যায়।

এই পাঁচটি রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাচের পানি খুব কার্যকর:

১. হজম ও অ্যাসিডিটি দূর: আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা বলেন, এলাচের পানি পান করলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটি দূর হয়। এটি দ্রুত এবং উন্নত হজমে সহায়তা করে।

২. শরীরকে বিষমুক্ত করা: এলাচের পানি পান করলে তা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন) বের করে দিতে সাহায্য করে, যা শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখে।

৩. মুখের স্বাস্থ্য: এলাচ একটি প্রাকৃতিক মুখশুদ্ধি। এর পানি পান করা মুখের দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া কমাতেও উপকারী হতে পারে।

৪. রক্ত সঞ্চালন: এলাচের পানি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে, যা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সচল রাখতে জরুরি।

৫. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য: এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং সুস্থ হৃদযন্ত্র বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

এলাচের পানি পান করার পদ্ধতি খুবই সহজ:

তৈরির নিয়ম: চার থেকে পাঁচটি গোটা এলাচ দানা এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন।

সেবনের সময়: সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন।

সতর্কতা: পানি পান করার পর এক ঘণ্টা কিছু খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন।


ওজন কমাতে সহায়ক: দিনে দুবার পান করুন এই বিশেষ ডিটক্স পানীয়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ১০:৫৪:০৯
ওজন কমাতে সহায়ক: দিনে দুবার পান করুন এই বিশেষ ডিটক্স পানীয়
ছবিঃ সংগৃহীত

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই নানা চেষ্টা করে থাকেন, কিন্তু অনেক সময় নিয়ম মেনে চললেও ওজন কমানো সহজ হয় না। এর প্রধান কারণ হলো শরীরের বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) ঠিকমতো কাজ না করা। চিকিৎসকরা বলছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধু শরীরচর্চা নয়, সঙ্গে দরকার কিছু ঘরোয়া পানীয়। এমন কিছু ডিটক্স পানীয় আছে, যা নিয়মিত পান করলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হওয়ার পাশাপাশি বাড়তি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ এই পানীয়টি দিনে দুবার পান করলে বিপাকক্রিয়ার হার বাড়বে, হজমশক্তি উন্নত হবে এবং পেট পরিষ্কার থাকবে।

এই শক্তিশালী ডিটক্স পানীয়টি তৈরি করতে প্রয়োজন হবে:

উপকরণ:

১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া

১ চা চামচ মৌরি

১ চা চামচ মেথি

১ চা চামচ জোয়ান (Ajwain)

২ টুকরো দারুচিনি

তৈরির পদ্ধতি:

এই উপকরণগুলো একসঙ্গে মিক্সার বা গ্রাইন্ডারে ভালোভাবে গুঁড়া করে সংরক্ষণ করুন।

সেবনের নিয়ম:

দুপুর ও রাতের খাবারের ৩০ মিনিট আগে এক কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন।

উপকারিতা:

এই পানীয়ের মাধ্যমে:

বিপাকক্রিয়ার হার বাড়াতে সাহায্য করবে।

হজমশক্তি উন্নত হবে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করবে।

অম্বলের সমস্যা কমিয়ে আনবে এবং নিয়মিত পানে ওজন কমাতে সহায়ক হবে।

এই ঘরোয়া উপাদান দিয়ে তৈরি পানীয় প্রতিদিন নিয়মিত খাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও সুষম খাদ্যগ্রহণ করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা আরও সহজ হয়ে উঠবে।


দৈনিক রাশিফল: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ০৯:৫৫:০৫
দৈনিক রাশিফল: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫। আজকের দিনে জন্ম নেওয়ায় পাশ্চাত্য মতে আপনি তুলা রাশির জাতক/জাতিকা। আপনার ওপর আজ প্রভাব বিস্তার করছে রাশি অধিপতি শুক্র, বিঘ্ন সৃষ্টিকারী কেতু ও কর্মফল দাতা শনি। দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে পারে। ধৈর্য, সাহস ও মনোবল বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ এগিয়ে যাবে। পিতা-মাতা ও গুরুজনদের সহযোগিতা মিলবে। ধনু রাশির বন্ধুত্ব আজ বিশেষ শুভ ফল বয়ে আনবে।

মেষ (২১ মার্চ–২০ এপ্রিল): কর্মক্ষেত্র ও ব্যবসায়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব আসবে, তবে তা সুফল বয়ে আনবে। আয় বৃদ্ধি পাবে, পারিবারিক জীবনে সুখের বার্তা আসবে। শিক্ষার্থীদের জন্য শুভ সময়। বিদেশযাত্রা বা প্রবাসফেরতের সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃষ (২১ এপ্রিল–২০ মে): অংশীদারিত্বে সমস্যা দেখা দিতে পারে। দাম্পত্য জীবনে অশান্তি বাড়তে পারে। অর্থ লেনদেনে কাউকে অতি বিশ্বাস করা বিপদজনক হবে। আত্মীয় সেজে কেউ ক্ষতি করতে পারে, সতর্ক থাকুন।

মিথুন (২১ মে–২০ জুন): বাণিজ্যিক সফর লাভজনক হবে। রাগ ও অহংকার এড়িয়ে চলুন। পারিবারিক পরিবেশ আনন্দমুখর থাকবে। সন্তানদের সাফল্যে গর্বিত হবেন। কর্মক্ষেত্র ও আর্থিক দিক শুভ।

কর্কট (২১ জুন–২০ জুলাই): অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে। পুরনো ঋণমুক্তি ও হারানো সম্পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন সুযোগ হাতছানি দেবে। গৃহে নতুন সাজসজ্জা ও পরিবারসহ আনন্দঘন সময় কাটবে। শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সিংহ (২১ জুলাই–২০ আগস্ট): অসুবিধা কাটিয়ে নতুন সম্ভাবনার সূচনা হবে। পিতামাতার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। গৃহে নতুন সামগ্রী আসতে পারে। তবে শারীরিক বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন।

কন্যা (২১ আগস্ট–২২ সেপ্টেম্বর): অংশীদারদের সঙ্গে মতানৈক্য দেখা দিতে পারে। আয় আসার আগেই খরচের তালিকা বড় হবে। দাম্পত্য ও সামাজিক কলহ এড়িয়ে চলুন। অনৈতিক কাজ ও নেশা থেকে বিরত থাকুন। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর–২২ অক্টোবর): দূরদেশ থেকে সুখবর আসবে। আটকে থাকা কাজ এগিয়ে যাবে। সন্তানদের পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার আনন্দ দেবে। বিদেশ থেকে লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। সাধনা ও ভজনে সফলতা মিলবে।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর–২১ নভেম্বর): কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি ও সম্মান লাভের সুযোগ আছে। জীবিকার ভিত্তি মজবুত হবে। বিদেশযাত্রা শুভ হতে পারে। দাম্পত্য জীবন সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকবে। মন ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি ঝুঁকবে।

ধনু (২২ নভেম্বর–২০ ডিসেম্বর): অপ্রত্যাশিত সুখবর আসতে পারে। চাকরি ও ব্যবসায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মিটবে। নতুন বাড়ি বা যানবাহন কেনার পরিকল্পনা সফল হতে পারে। পিতা-মাতার সহায়তা মিলবে।

মকর (২১ ডিসেম্বর–১৯ জানুয়ারি): কর্মক্ষেত্রে চাপ ও বিরোধ দেখা দিতে পারে। অযথা ব্যয় এড়িয়ে চলুন। সন্তানদের আচরণে দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। ব্যবসায় মন্দাভাব বিরাজ করবে, ধৈর্য ধরুন।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি–১৮ ফেব্রুয়ারি): নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। প্রেমের সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে। পরিবারে নতুন সদস্যের আগমন ঘটবে। বিবাহযোগ্যদের জন্য সময় অনুকূল। ধর্ম ও ভ্রমণে আগ্রহ বাড়বে।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি–২০ মার্চ): চুক্তি বা বিনিয়োগে সতর্ক থাকুন। কর্মচারীদের সহযোগিতা পাবেন। দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতন থাকুন। দীর্ঘদিনের রোগব্যাধি থেকে মুক্তি মিলবে। ভয় ও দুর্বলতা কাটবে। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখার পরামর্শ রইল।


শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ২১:৫২:৫৬
শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে
ছবিঃ সংগৃহীত

শীত পড়তেই অনেকের মাথা জুড়ে খুশকি এবং চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালেই গোছা গোছা চুল উঠে আসে। শীতের মরসুমে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ায় ত্বক ও চুলেও এর প্রভাব পড়ে, চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। এমন সময় চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি। কিছু সহজ অভ্যাস নিয়মিত মেনে চললে চুল ঝরা ও খুশকির সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব।

চুলের যত্ন নেওয়ার ৬টি জরুরি অভ্যাস

১. তেল মালিশ (ময়েশ্চারাইজ়ার): মুখের মতো চুলেরও ময়েশ্চরাইজেশন প্রয়োজন। মাথার ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে নারকেল, অলিভ বা কাঠবাদামের তেল নিয়মিত মালিশ করুন। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং চুলে জেল্লা ফেরে।

২. ঈষদুষ্ণ তেল মালিশ: শুষ্ক চুলে আর্দ্রতা জোগাতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে ঈষদুষ্ণ তেল মাথার ত্বকে হালকা হাতে মাসাজ বা মালিশ করুন। প্রতিদিন সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন দিন এই অভ্যাস বজায় রাখুন।

৩. গরম ভাপ (Steam): তেল মালিশের পর গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে, সেটি নিংড়ে মাথায় জড়িয়ে নিন। তোয়ালে থেকে গরম ভাপ মাথার ত্বকের গভীরে তেল প্রবেশ করাতে সাহায্য করে এবং চুল আর্দ্র রাখে। মিনিট দশেক তোয়ালে জড়িয়ে স্নান বা শ্যাম্পু করে নিন।

৪. গরম জলে স্নান নয়: শীতকালে গরম জলে স্নান করা আরামদায়ক হলেও বেশি গরম জলে স্নান করলে ত্বক এবং চুলের আর্দ্রতা কমে যায়। চুল হয়ে পড়ে জেল্লাহীন। তাই অতিরিক্ত গরম জল এড়িয়ে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করুন।

৫. চুলকে সুরক্ষা দিন (বর্ম): ধুলো, ধোঁয়া এবং রোদের তাপ থেকে চুল বাঁচাতে পোশাকের সঙ্গে মানানসই টুপি বা স্কার্ফ পরতে পারেন। চুল খোলা না রেখে সুন্দরভাবে কেশসজ্জা করুন এবং যতটা সম্ভব ধুলো-ময়লা থেকে চুলকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

৬. অতিরিক্ত শ্যাম্পু নয়: চুল পরিষ্কার রাখতে অনেকেই প্রতি দিন শ্যাম্পু করেন। নিয়মিত তেল মাখলেও, সপ্তাহে দু’-তিন দিনের বেশি শ্যাম্পু করা ঠিক নয়। এতে চুলের প্রাকৃতিক তেল বা সিবাম নষ্ট হয়ে যায়।

পুষ্টি ও সতর্কতা

চুল ঝরার সমস্যা কমাতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিনে সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, হরমোনের ভারসাম্যের অভাব ঘটলে, কোনো অসুখ এবং ওষুধের প্রভাবেও চুল ঝরতে পারে। তাই সমস্যার কারণটি খুঁজে বের করে সেইমতো সমাধানের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


ঠান্ডা-সর্দি-কাশি? ওষুধ নয়, লবঙ্গ চায়েই মিলবে আরাম

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৮:৪২:২৫
ঠান্ডা-সর্দি-কাশি? ওষুধ নয়, লবঙ্গ চায়েই মিলবে আরাম
ছবিঃ সংগৃহীত

বর্তমানে অনেকেই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ধরনের অসুস্থতায় ঘন ঘন ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে লবঙ্গ চা পান করতে পারেন। এই চা শ্বাসনালীতে স্বস্তি দেয় এবং একই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

লবঙ্গ চা কেন কার্যকর?

লবঙ্গ চা সর্দি-কাশির ওষুধ হিসেবে কাজ করার প্রধান কারণ হলো এতে থাকা ইউজেনল নামক শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই উপাদান:

কফ নিরোধক ও প্রদাহরোধী: ইউজেনল নামক যৌগ কফ দূর করতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ কমিয়ে কাশি ও সর্দি-কাশির লক্ষণ উপশম করে।

শ্বাসনালীতে স্বস্তি: লবঙ্গ চায়ের উষ্ণ ও সুগন্ধযুক্ত বাষ্প শ্বাসনালীতে প্রশান্তি দেয় এবং শ্বাসপ্রশ্বাসকে সহজ করে তোলে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

লবঙ্গ চা তৈরির সহজ পদ্ধতি

১. একটি পাত্রে এক কাপ পানি নিয়ে তাতে কয়েকটি লবঙ্গ যোগ করুন।

২. পানি ফুটে উঠলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে চা তৈরি করুন।

৩. চা ছেঁকে নিয়ে হালকা গরম অবস্থায় পান করুন।

৪. প্রয়োজনে স্বাদের জন্য মধু ও অন্যান্য উপকরণ যেমন আদা বা তুলসি পাতা যোগ করতে পারেন।


ব্যর্থতাই সাফল্যের পথ: যে ৭টি কৌশলে হারকে পরিণত করবেন জয়ে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৭:৩০:৪২
ব্যর্থতাই সাফল্যের পথ: যে ৭টি কৌশলে হারকে পরিণত করবেন জয়ে
ছবিঃ সংগৃহীত

সাফল্য পেতে হলে ব্যর্থতার স্বাদ নিতে জানতে হবেই। কারণ প্রতিটি সফল মানুষের জীবনে থাকে ব্যর্থতার গল্প। আর সাফল্য মানেই কিন্তু ধনী হওয়া বা ভালো চাকরি করা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যর্থতা আসলে শেখা ও উন্নতির এক নতুন সুযোগ। এই ৭টি কৌশল অবলম্বন করলে আপনি আপনার ব্যর্থতাকেই সাফল্যে পরিণত করতে পারবেন।

ব্যর্থতাকে সাফল্যে রূপান্তরের ৭ পদক্ষেপ

১. পরিবর্তনশীল মানসিকতা গড়ে তুলুন: স্থবির মানসিকতা ব্যর্থতাকে নিজের অযোগ্যতার প্রমাণ মনে করে। কিন্তু বিকাশমান এবং পরিবর্তনশীল মানসিকতা ব্যর্থতার চ্যালেঞ্জকে শেখা ও উন্নতির সুযোগ হিসেবে দেখে।

২. নেতিবাচক চিন্তা বদলান: যখন ব্যর্থ হবেন, তখন নিজের সঙ্গে কথা বলার ধরন বদলান। ‘আমি এটা পারি না’ বলার বদলে বলুন ‘আমি এখনো এটা পারিনি’। এই ছোট পরিবর্তন আপনার মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করবে যে পরিশ্রমের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব।

৩. শেখার প্রক্রিয়াকে গ্রহণ করুন: বুঝে নিতে হবে যে আসল শেখা অনেক সময় ভুল থেকেই আসে, আর ব্যর্থতা হলো সাফল্যের পথে একটি প্রয়োজনীয় ও অনিবার্য অংশ।

৪. ব্যর্থতা থেকে বিশ্লেষণ ও শিক্ষা নিন: ব্যর্থতাকে ভুলে যাওয়ার বা উপেক্ষা করার বদলে, সৎ ও নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করুন এর কারণ ও পর্যায়গুলো, যাতে এর ভেতর লুকানো শিক্ষা পাওয়া যায়।

৫. অনুভূতিকে স্বীকার করুন: ব্যর্থতার পর হতাশা, রাগ বা দুঃখ অনুভব করা স্বাভাবিক। এগুলো চেপে রাখা ভালো নয়। যখন মন শান্ত হবে, তখন বিষয়টি ঠান্ডা মাথায় বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

৬. মূল কারণ খুঁজে বের করুন: কেন ব্যর্থতা ঘটেছে সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার প্রস্তুতি, পরিকল্পনা বা কাজের ধাপগুলো পর্যালোচনা করুন। কারণটা জানলে ভবিষ্যতে একই ভুল এড়ানো সহজ হবে।

৭. দায়িত্ব নিন: দোষ অন্যের ওপর না চাপিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করুন। এটি দৃঢ় মানুষদের বৈশিষ্ট্য। এই মানসিকতা আপনাকে উন্নতির ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে এবং নিজের অগ্রগতির নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।


গ্রিন টির চেয়েও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে যে ৩ চা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৬:২৮:১৫
গ্রিন টির চেয়েও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে যে ৩ চা
ছবিঃ সংগৃহীত

গ্রিন টি-র জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। অনেকেই মনে করেন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানেই গ্রিন টি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু চা রয়েছে, যেগুলোতে গ্রিন টির থেকেও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এই বিশেষ উপাদান শরীরের কোষকে বয়সের ছাপ থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকে ধরে রাখে তারুণ্যের দীপ্তি।

‘ম্যাজিকাল’ ৩ চা ও তাদের উপকারিতা

পুষ্টিবিদরা বলছেন, দিনে এক থেকে দুই কাপ এই চাগুলো পান করলে শরীরের ভেতরের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং মনও প্রশান্ত থাকে।

১. হোয়াইট টি: এই চা তৈরি হয় সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে, তাই এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পরিমাণ গ্রিন টি-র থেকেও বেশি।

উপকারিতা: নিয়মিত পান করলে এটি কোষের বার্ধক্য কমায়, ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে। হোয়াইট টি-র স্বাদ খুবই হালকা এবং দেখতে প্রায় জলের মতো।

২. জবা চা (Hibiscus Tea): রক্তিম এই চা তৈরি হয় জবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে। এতে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েডস ও অ্যান্থোসায়ানিন—দুই শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

উপকারিতা: এই চা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং লিভারের কার্যকারিতাও বাড়ায়। এটি গরম বা ঠান্ডা—দুইভাবেই খাওয়া যায়।

৩. মাচা টি (Matcha Tea): সবুজ রঙা মাচা বর্তমানে স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে নতুন প্রিয় পানীয়।

উপকারিতা: গবেষণায় দেখা গেছে, মাচা চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েড ও ক্যাটেচিন, যা কোষের ক্ষয় রোধ করে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতেও সহায়ক।

কেন এই চাগুলো খাবেন?

পুষ্টিবিদদের মতে, এই চাগুলো একাধিক স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়:

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের টক্সিন দূর করে।

ত্বকের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া ধীর করে।

হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

স্ট্রেস কমায় ও মনকে প্রশান্ত রাখে।


রাশিফল: ১৪ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৪:৫১:৫০
রাশিফল: ১৪ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?
ছবিঃ সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। আজ ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, তা জানতে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আপনার কাজে অন্যদের প্রশংসা পাবেন। প্রিয় মানুষের সঙ্গে আলোচনায় স্বস্তি পাবেন। কারো সহযোগিতায় উপকার হবে। চাকরিজীবীর পদস্থদের সুনজরে থাকবেন। জীবনের প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করুন। যেকোনো সিদ্ধান্তে স্থির থাকুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): নতুন যোগাযোগে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এগোতে পারবেন। ব্যবসায় ভালো সুযোগ আসতে পারে। সাহসী পদক্ষেপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন। ভালো ব্যবহার দিয়ে কাজ আদায় করার চেষ্টা করুন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কোনো যোগাযোগ অর্থাগমের পথ দেখাবে। প্রত্যাশা পূরণে বাধাবিপত্তি দূর হবে। আয়ের ক্ষেত্রে পূর্বের তুলনায় অনুকূল অবস্থা থাকবে। লেনদেনে আবেগ পরিহার করতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আলস্যের প্রশ্রয় দেবেন না।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো কাজ করে মানসিক শান্তি পেতে পারেন। অতীতের কোনো কাজের সুফল এখন পেতে পারেন। নিরলসভাবে কাজ করুন। সঠিক প্রচেষ্টায় ভালো ফল পাবেন। মনের স্থিরতা বজায় রাখুন। ভালো থাকুন।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): কোনো শুভ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ব্যয় চাপ থাকবে। অযথা উৎকণ্ঠা বিরাজ করতে পারে। কারো সাহচর্যে আনন্দ পাবেন। সমস্যা সমাধানে নিজ বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগান। কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): আজ আপনার মধ্যে উদ্যম ও ইতিবাচক মনোভাব থাকবে, যা আপনার চারপাশের মানুষদেরও প্রভাবিত করবে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে উষ্ণতা থাকবে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করুন। লক্ষ্য অর্জনের কোনো সুযোগ ছাড়বেন না।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আজ কাজের ব্যস্ততা থাকবে। ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য উন্নতির সম্ভাবনা। আটকে থাকা টাকা উদ্ধার হতে পারে। ব্যক্তিগত জীবনে অতিরিক্ত প্রত্যাশা করবেন না। দীর্ঘদিনের কোনো পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসতে পারে।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): আজ আপনি একটি উদার ও সুন্দর মেজাজে নিজেকে খুঁজে পাবেন। উন্নতির ক্ষেত্রে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। মানসিক অস্থিরতা অনেকটা কমবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সাবধান। লক্ষ্যে স্থির থাকুন। সময় আপনার পক্ষে থাকবে।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কর্মক্ষেত্রে মন্দাভাব কেটে যাবে। ঋণ পরিশোধের সম্ভাবনা আছে। প্রিয়জনের শরীর ভালো যাবে না। সন্তানের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): ইচ্ছানুসারে কাজ করার সুযোগ পাবেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য ধ্যান-ধারণা পেশ করতে পারবেন। সাফল্য লাভের জন্য কুশলী ও ডিপ্লোম্যাটিক হতে হবে। নিজের ওপর আস্থা রাখুন। সুস্থ থাকুন।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কোনো পরিকল্পনায় বিলম্বিত হতে পারে। কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে। কোনো কিছু নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তির সম্ভাবনা। কোনো প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হবেন। অন্যরা আপনার ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্বের প্রতি ভালো প্রতিক্রিয়া জানাবে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি সৃজনশীল প্রকল্পে কাজ করার কথা বিবেচনা করুন।


রক্তস্বল্পতা দূর করা থেকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি—বিট রুটের ১০ উপকারিতা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ১৮:৫৫:০৬
রক্তস্বল্পতা দূর করা থেকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি—বিট রুটের ১০ উপকারিতা
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতের বাজারে গাঢ় গোলাপি কিংবা লালচে রঙের বিট রুট এখন সহজলভ্য। পুষ্টিবিদদের মতে, এই রঙিন সবজিটি পুষ্টিগুণ এবং ভেষজ ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় একে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। ডায়েট সচেতন ও স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে এর উপকারিতা ক্রমশ পরিচিত হচ্ছে।

বিট রুটের ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

১. রক্তস্বল্পতা দূরীকরণ: যারা রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগছেন, তারা খাদ্যতালিকায় বিট রুট রাখতে পারেন। এতে থাকা পর্যাপ্ত আয়রন এবং ফলিসন হিমোগ্লোবিন তৈরি করে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

২. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য বিট রুট অনেক উপকারী। এতে রয়েছে নাইট্রেটস, যা রক্তনালী প্রসারিত করে ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

৩. ওজন কমানো: বিট রুটে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার, যা ক্ষুধা মন্দা তৈরি করে। ফলে দেহের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।

৪. হজমে সহায়তা: পর্যাপ্ত খাদ্য আঁশ থাকার কারণে বিট রুট কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে হজমের জটিলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৫. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: বিট রুট রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) মাত্রা কমিয়ে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৬. লিভার সুরক্ষা: বিট রুটে থাকা বিটেইন উপাদান লিভারে চর্বি জমতে বাধা দেয়, যার ফলে সহজেই শরীরকে ডিটক্সিফাই করা যায়।

৭. চোখের স্বাস্থ্য: বিটে থাকা লুটেইন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমায় এবং চোখের স্বাস্থ্য ও চারপাশের স্নায়ু টিস্যুগুলোর শক্তি বৃদ্ধি করে।

৮. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি: বিট রুট মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৯. প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ: বিট রুটে আছে টালাইন নামক প্রদাহ বিরোধী যৌগ, যা প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগকে নিয়ন্ত্রণ করে।

১০. তারুণ্য ধরে রাখা (অ্যান্টি এজিং): বিট রুটে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের তারুণ্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং ত্বকে বার্ধক্যজনিত যে রিঙ্কেল পড়ে, তার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।

খাবারের নিয়ম ও সতর্কতা

খাওয়ার উপায়: বিট রুট কাঁচা সালাদে, জুস করে কিংবা গাজর, ফুলকপি, ব্রকোলি, বাঁধাকপি ইত্যাদি মিলিয়ে মিক্সড সবজি রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য স্মুদি কিংবা মিল্কশেক করেও দেওয়া যেতে পারে। মিষ্টিপ্রিয় ব্যক্তিরা বিট রুটের হালুয়া বা যেকোনো ডেজার্ট তৈরি করেও খেতে পারেন।

কারা খাবেন না:

ডায়াবেটিস রোগী: দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের প্রতিদিন বিট রুট খাওয়া উচিত নয়। কারণ বিট রুটের গ্লাইসিমিক ইনডেক্স অত্যন্ত বেশি, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে।

কিডনি রোগী: যারা কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগছেন বা যাদের ক্রিয়েটিনিন বেশি, তাদের বিট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

অ্যালার্জি: বিট রুটে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তা এড়িয়ে চলাই ভালো।

সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তাদের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী বিট রুট গ্রহণ করা উচিত।

লেখক: ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনস্ট অ্যান্ড ডায়েটিশিয়ান, উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটাল, উত্তরা, ঢাকা।

পাঠকের মতামত: