যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় নাগরিক শিশু পর্নোগ্রাফির অভিযোগে গ্রেপ্তার

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৭ ১৩:২৪:০২
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় নাগরিক শিশু পর্নোগ্রাফির অভিযোগে গ্রেপ্তার

যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলে শিশু পর্নোগ্রাফি রাখার অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক গুরজিৎ সিং মালহিকে গ্রেপ্তার করেছে মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অনলাইনে শিশু পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বিতরণের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। মালহির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চলছিল এবং পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর আইসিই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি ফেডারেল হেফাজতে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে মামলা চলছে।

এই গ্রেপ্তারের ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মালহির একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাকে পাঞ্জাবের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, আম আদমি পার্টি (এএপি)-র নেতা এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মালহির ছবিগুলো সামনে আসায় বিতর্ক আরও জোরদার হয়। বিজেপি এবং কংগ্রেসের নেতারা এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে এএপি’র নৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বিজেপি নেতারা এই ঘটনার মাধ্যমে আম আদমি পার্টির 'স্বচ্ছ ভাবমূর্তি'কে কটাক্ষ করে বলেন, এমন একজন অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কংগ্রেস নেতারাও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তারা মনে করছেন, এএপি’র নেতারা এক অপরাধীর সান্নিধ্যে থেকে নিজেদের রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে সরে গেছেন।

যদিও আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি, তবে দলটির কিছু নেতারা বিষয়টিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা হিসেবে দেখছেন। তারা দাবি করছেন, শুধুমাত্র কোনো ছবির ভিত্তিতে কারো সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রমাণ করা যায় না এবং এটি একটি পরিকল্পিত চরিত্রহননের প্রচেষ্টা।

এদিকে, শিশু পর্নোগ্রাফির মতো সংবেদনশীল অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রে কঠোর আইন রয়েছে। যদি মালহির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে তাকে দীর্ঘ মেয়াদি কারাদণ্ডের পাশাপাশি অভিবাসন সংক্রান্ত জটিলতার মুখেও পড়তে হতে পারে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনা ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ রাজনৈতিক সংযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, অনেকেই সতর্ক হয়ে মন্তব্য করছেন ছবি থাকলেই সবসময় ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা প্রমাণিত হয় না। তবে এই গ্রেপ্তার নিছক একটি আইনি ঘটনা হয়েও পাঞ্জাবের রাজনীতিতে এক নতুন বিতর্কের সূচনা করেছে, যা সামনে আরও বড় আকারে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ