৬০০ সৈন্য নিহত—তবু রাশিয়ার পাশে উত্তর কোরিয়া, কেন?

উত্তর কোরিয়া বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সামরিক সম্পর্ক কোনো যুদ্ধোন্মুখ আগ্রাসনের জন্য নয়, বরং ইউরোপ ও এশিয়ার ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। সোমবার (২ জুন) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই অবস্থান জানায়।
রাশিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়ার সামরিক সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে পিয়ংইয়ং, এমন অভিযোগও রয়েছে—তারা রাশিয়াকে অস্ত্র এবং সৈন্য সরবরাহ করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতা লি সিওং-কুয়েন জানিয়েছেন, তাদের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যে উঠে এসেছে, রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৬০০ সৈন্য নিহত এবং আরও কয়েক হাজার আহত হয়েছে।
গত শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ মোট ১১টি দেশ একত্রে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সামরিক সহযোগিতাকে ‘বেআইনি’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। তারা একটি বহুপাক্ষিক পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীর মাধ্যমে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে, যারা জাতিসংঘের বাইরে স্বাধীনভাবে কাজ করলেও উত্তর কোরিয়ার জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের উপর নজর রাখে।
এই আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার জবাবে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন,
“আমাদের সামরিক সহযোগিতা মূলত আঞ্চলিক শান্তি, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার জন্য।” তিনি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে “আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের মূল ভিত্তি” বলেও উল্লেখ করেন।
পিয়ংইয়ংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া “সমতা, সার্বভৌমত্ব ও ন্যায়বিচারের” ভিত্তিতে একটি বহু-মেরু বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। এর মাধ্যমে তারা পশ্চিমা এককেন্দ্রিক নেতৃত্বের পরিবর্তে নতুন কূটনৈতিক ভারসাম্য স্থাপন করতে আগ্রহী।
উত্তর কোরিয়া এই বছরের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকার করে যে, তারা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে থাকার জন্য সেনা মোতায়েন করেছে। এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, বিশেষ করে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে।
বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে এই ঘনিষ্ঠতা কেবল সামরিক নয়, বরং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে। এটি ইউরেশিয়ান ভূরাজনীতিতে একটি নতুন বলয়ের উত্থান নির্দেশ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে চার্জ দাখিল, বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার
- বাহরাইনেরমানামায় বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন, নেতৃত্বে আক্তার হোসেন
- বাহরাইনে জাতীয়তাবাদী শক্তির পুনর্জাগরণ: গ্যালালী শাখায় নতুন নেতৃত্ব
- চীন না ভারত? উন্নয়ন না আনুগত্য? বুলেট ট্রেন বলছে স্পষ্ট জবাব
- অবশেষে বিসিবি সভাপতি ফারুককে নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ
- বিশ্বশক্তির নজর এখন বাংলাদেশে: খনিজ ভাণ্ডারের নতুন মানচিত্র
- তারেক-ইউনুস উত্তপ্ত ফোনালাপ: যা জানা গেল
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- নতুন বিসিবি সভাপতিবুলবুলের কাছে আশরাফুলের চাওয়া
- হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম
- ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি?
- চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ভোর: দক্ষিণ এশিয়ার তেলের ‘রাজসিংহাসন’ দখলের পথে বাংলাদেশ?
- ভারতের গর্ব এস-৪০০ ধ্বংস: বাস্তবতা নাকি প্রচারযুদ্ধ?
- ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক