চিন্ময় দাসকে আরও এক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিলেন আদালত

সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলার মতো একাধিক মামলায় জড়িত এই নেতা বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন নগরীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর চিন্ময় দাসের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এর বাইরে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ, বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের ওপর হামলা ইত্যাদি অভিযোগে আরও পাঁচটি মামলা দায়ের হয়।
এই ছয়টি মামলায় মোট ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২১ জনের বিরুদ্ধে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, রিপন দাস সাইফুলের ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন, চন্দন দাস কিরিচ দিয়ে কোপান, এবং প্রায় ১৫–২০ জন মিলে লাঠি, ইট, বাটাম ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তাকে হত্যা করেন।
২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন। ওই মামলায় ২৫ নভেম্বর ঢাকার একটি এলাকা থেকে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চিন্ময়ের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার জামিন শুনানি ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে অস্ত্রসজ্জিত অবস্থায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধাদান ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নতুন মামলা হয়, যেখানে চিন্ময় দাস অন্যতম আসামি।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আবেদনের মাধ্যমে চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান। শুনানি শেষে বিচারক আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আসন পুনর্বিন্যাসে উত্তাল ফরিদপুরের ভাঙ্গা
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে এলাকাবাসী। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে স্থানীয়রা ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের পুকুরিয়া, হামিরদী, মাধবপুর ও নওয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড এবং ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ ও আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী এলাকায় অবস্থান নেয়। এতে মহাসড়ক দুটিতে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র রোদে কষ্ট এড়াতে আন্দোলনকারীরা মহাসড়কের ওপর সামিয়ানা টানিয়ে দীর্ঘসময় অবস্থান করেন।
অবরোধে অংশ নেওয়া এলাকাবাসী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভাঙ্গাকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত তারা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না। দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য মহাসড়ক অচল রাখার হুঁশিয়ারিও দেন তারা। স্থানীয়দের দাবি, আগে ফরিদপুর–৪ আসনটি গঠিত ছিল ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে, আর ফরিদপুর–২ আসনে অন্তর্ভুক্ত ছিল নগরকান্দা ও সালথা। কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন দেশের ৪৬টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করে যে গেজেট প্রকাশ করে, তাতে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর–৪ থেকে কেটে নিয়ে ফরিদপুর–২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেই বিরোধ দেখা দেয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, “আমরা অনেকটা অসহায় অবস্থায় আছি। এলাকাবাসী দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বে না বলে জানিয়েছে। এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।”
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে উল্লেখ করে বলেন, “আন্দোলনকারীদের দাবি জাতীয় পর্যায়ের। স্থানীয় প্রশাসনের এখতিয়ার নেই। তারা যে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল, সেটি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি।”
প্রসঙ্গত, ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর–৪ থেকে ফরিদপুর–২ আসনে যুক্ত করার গেজেট প্রকাশের পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ৫ সেপ্টেম্বর এলাকাবাসী দুই দফা সড়ক অবরোধ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব নির্বাচন কমিশন সচিবকে বিবাদী করে ওই গেজেট বাতিলের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাড়া না পেয়ে গত মঙ্গলবার বিএনপি নেতা মো. শহিদুল ইসলাম বাবুল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান দুলালসহ পাঁচজনের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি ভিন্ন। ৭ সেপ্টেম্বর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আইন অনুযায়ী সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত হলে তা নিয়ে কোনো আদালত বা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে সতর্ক করে দেন, “বিক্ষোভ–আন্দোলন করেও কোনো লাভ হবে না।”
-রাফসান
সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে। শাহবাগ থানার একটি মামলায় আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আবু আলম শহীদ খান ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
অযাচিতভাবে কিছু রাজনৈতিক দল আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও জিলা স্কুল মাঠে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনস্থল পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন। তবে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।” তিনি আরও বলেন, “বিএনপি শুরু থেকেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে।”
আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বিবার্ষিক সম্মেলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “এ সম্মেলনের জন্য নানা আয়োজন রয়েছে। আমরা আশা করছি, অত্যন্ত সফল একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন। আমরা আশাবাদী, সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।”
এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যানের ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগ নেতাদের মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
চার দফা দাবিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে গ্রাহক
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একীভূতকরণসহ চার দফা দাবিতে ডামুড্যায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হওয়ায় গ্রাহক সেবাদান কার্যক্রম থমকে গেছে।
ডামুড্যা পল্লী বিদ্যুতের ডিপার্টমেন্টাল ম্যানেজার (ডিজিএম) সুবীর কুমার দত্ত জানান, ৩৭ জন কর্মচারী ছুটির আবেদন করলেও ৩০ জন তাদের স্টেশন ছেড়েছেন। তিনি ও আরও দুজন কর্মকর্তা মিলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখার চেষ্টা করছেন। তবে জরুরি সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। গ্রাহক আলমগীর হোসেন বলেন, "আমি সেবা নিতে এসেছিলাম, কিন্তু কোনো লোকজন নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাউকে পাইনি।"
কর্মবিরতির কারণ ও কর্মীদের দাবি
কর্মবিরতির বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি কোনো কর্মচারী। তারা জানিয়েছেন, গণমাধ্যমের সামনে কথা বললে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হতে পারে।
তাদের চার দফা দাবিগুলো হলো:
১. আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অন্য বিতরণ সংস্থার মতো কোম্পানি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা।
২. সব চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে স্থায়ী করা, মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল করা।
৩. বদলি/বরখাস্তের বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করা এবং ১৭ আগস্ট ২০২৫ থেকে চাকরিচ্যুত ও বরখাস্তকৃতদের পূর্বের কর্মস্থলে পুনর্বহাল করা।
৪. লাইনক্রুদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং আন্দোলনকালে যোগদান করতে না পারা পাঁচজন লাইনক্রুকে আগের পদে ফিরিয়ে দেওয়া।
সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড়াচ্ছে পাগলা ঘোড়া
ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর এলাকায় একটি পাগলা ঘোড়ার কামড় ও লাথিতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা সদরের কলেজ রোড ও চৌরাস্তা এলাকায় ঘোড়াটি হঠাৎ করে এমন তাণ্ডব শুরু করে। গত দুই দিন ধরেই এটি বিভিন্ন স্থানে এমন অস্বাভাবিক আচরণ করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. নিজাম খান বলেন, "পাগলা ঘোড়াটি কলেজ রোড থেকে শুরু করে চৌরাস্তা পর্যন্ত এলোমেলোভাবে দৌড়াচ্ছিল। যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড়ে কিংবা লাথি মেরে আহত করছে।" তিনি জানান, গত দুই দিনে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কয়েকজনকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সাংবাদিক কাজী হাসান ফিরোজ জানান, ঘোড়াটি তাকে কামড়ে আহত করেছে এবং তিনি এখনো ব্যথা অনুভব করছেন।
জলাতঙ্কে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা
স্থানীয়দের ধারণা, ঘোড়াটি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান বলেন, "ঘোড়ার কামড়ে আহত হয়ে কয়েকজন আজ হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও টিটেনাস দেওয়া হয়েছে। ঘোড়াটির আচরণ দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, এটি জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে।"
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী বলেন, "ঘোড়াটি গুনবাহা গ্রামে আটক করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। অফিস থেকে লোক পাঠানো হয়েছে।" তিনি আরও জানান, যদি ঘোড়াটি জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে ৩-৪ দিনের মধ্যে তার মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
গণতন্ত্রের জন্য জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: রিজওয়ানা হাসান
জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ এবং জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের স্বার্থে গণমাধ্যমকে জবাবদিহিমূলক হতে হবে, তবেই জনগণের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এবং এর স্থায়িত্ব আসবে।”
আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। তিনি আরও বলেন, “যতটুকু সংস্কার জনসমর্থন, রাজনৈতিক সমর্থন ও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ঐক্যমতের ভিত্তিতে হবে, ততটুকুই টেকসই হবে। কাগজে পরিবর্তন আনলে স্থায়িত্ব আসবে না, দরকার মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন।” তিনি উল্লেখ করেন যে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিয়েই সরকার আলাদা গণমাধ্যম কমিশন গঠন করেছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো সবাই মিলে বাস্তবায়ন করতে পারলে সেটিই হবে টেকসই। তিনি বলেন, “সরকার সহায়তা করবে, তবে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব নিতে হবে গণমাধ্যমকেই।” একই সঙ্গে তিনি গণমাধ্যমে নৈতিকতা, দায়িত্বশীলতা ও জনআস্থার গুরুত্বের পাশাপাশি ‘মব জাস্টিস’-এর বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অনারারি নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
ইলিশের বাজারে আগুন: দুই বছরে চাঁদপুরে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম ইলিশের পাইকারি বাজার চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র-এ ইলিশের দাম গত দুই বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২৩ সালে যে ইলিশের দাম ছিল প্রতি কেজি ১,৩০০ টাকা, বর্তমানে একই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২,৫০০ থেকে ২,৬০০ টাকায়। ধারাবাহিকভাবে ইলিশের আমদানি ও স্থানীয় ইলিশের প্রাপ্যতা কমে যাওয়ায় এই দাম বৃদ্ধি ঘটেছে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইলিশের বর্তমান বাজারদর
আড়তদার মো. ইউসুফ বন্দুকসী ও মো. আকবর জানান, বর্তমানে এক কেজির ওপরের ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২,৫০০ থেকে ২,৬০০ টাকায়। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম প্রতি কেজি ২,২০০ টাকা, আর ছোট আকারের ইলিশের দাম প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।
খুচরা বিক্রেতা কামাল উদ্দিন বলেন, খুচরা বিক্রেতারা এখন বিপদে আছেন, কারণ বছরের শুরুতে এক কেজির ওপরের ইলিশ ২,৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ২,২০০ টাকায় নেমে এসেছে। গত কয়েক দিনে খুচরা ক্রেতার সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
ইলিশের দাম বাড়ার কারণ
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক সবেবরাত সরকার বলেন, ইলিশের আমদানি যখন কমে যায় তখন দাম বাড়ে। গত দুই বছর ভরা মৌসুমে আমদানি ছিল ১ থেকে ১.৫ হাজার মণ, কিন্তু বর্তমানে তা কমে ২০০ থেকে ৪০০ মণ হয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বাড়ছে।
উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণ
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের মৎস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু কাউসার দিদার জানান, গত দুই বছর ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইলিশ আহরণ কম হচ্ছে। এছাড়া, সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়া এবং নদীগুলোতে পলি জমে চর জাগার কারণে নদীর গতি-প্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে, যা ইলিশের উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলছে।
চাঁদপুর সদরের জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা সংরক্ষণ এবং মা ইলিশের ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ কারণেই এখন বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়ছে।
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী: দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি, রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্যময় দিন। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল অর্থাৎ আজকের এই দিনে তিনি আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং একই দিনে তার ওফাত হয়। এই দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও তাৎপর্যপূর্ণ।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আঞ্জুমানে রহমানিয়ার মাইজভান্ডারির সভাপতি ও বিএসপি চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীর নেতৃত্বে লাখো নবীপ্রেমী সুফিবাদী জনতার অংশগ্রহণে এক জাঁকজমকপূর্ণ জশনে জুলুস র্যালি বের হয়।
শনিবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিমদিক থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন ও কদম ফোয়ারা সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়। এবার ঈদে মিলাদুন্নবীর ১৫০০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা ছিল।
শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিল ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’ এবং ‘ইয়া রাসুল সালামু আলাইকা’ লেখা বড় বড় প্ল্যাকার্ড। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল কালেমা খচিত পতাকা, ফেস্টুন এবং বিশাল জাতীয় পতাকা। তারা নারায়ে তাকবির ও নারায়ে রিসালতের স্লোগানে রাজধানীর রাস্তা মুখরিত করে তোলেন।
শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, “মহানবী (সা.) সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত। তার আদর্শ অনুসরণ করে একটি শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।” তিনি বলেন, “স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো প্রিয় নবীর শিক্ষা বাস্তবায়ন করা।”
রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক মহলের বাণী
দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন যে, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সবার মধ্যে অপার শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আরও সুসংহত হবে।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তার বাণীতে বলেন, “মহানবী (সা.) মানবতার মুক্তি, সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার যে মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা আজও আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।” তিনি বলেন, “মদিনার সনদের মাধ্যমে মহানবী (সা.) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহনশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, যা আমাদের জাতীয় জীবনে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন। তারেক রহমান বলেন, “অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অতুলনীয়।”
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বছরজুড়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পবিত্র জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা ও চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ ছাড়া মানবজাতির কল্যাণ সম্ভব নয়।”
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। বায়তুল মোকাররমে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।
নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এতে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মো. সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গোয়ালন্দ থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর ‘ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ফকীর মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। বক্তব্য শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা দরবারের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় সংঘর্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনায় দুইজন পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের একজন আহত হন। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা দরবার শরিফে ঢুকে ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে তারা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে এনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে।
ওসি রাকিবুল ইসলাম বলেন, “নুরাল পাগলার দরবারে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।”
পাঠকের মতামত:
- ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫: কারা পেলেন সেরা সম্মাননা
- যুক্তরাষ্ট্রে আটক কোরীয় শ্রমিকদের দেশে ফেরাতে চার্টার্ড ফ্লাইট
- কাপ্তাই বাঁধে ১৬ গেট খোলা: কর্ণফুলীতে তীব্র পানি প্রবাহ
- জরায়ুর যত্নে সচেতনতা: নারীর সুস্থ জীবনের অপরিহার্য শর্ত
- মহেশখালী-মাতারবাড়ি: পর্যটন ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত
- ডোপ টেস্ট কী, কেন করা হয়, কেন এত এখন জরুরি
- একীভূতকরণ প্রসঙ্গে এক্সিম ব্যাংকের ব্যাখ্যা
- বিজয়ের পর শিবিরের তিনটি কাজের নির্দেশ
- ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমকে নিয়ে জুলকারনাইন সায়েরের বার্তা
- স্বাস্থ্য জটিলতায় স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে বিএনপি মহাসচিব
- মাত্র ২৪ ঘণ্টায় নতুন প্রধানমন্ত্রী
- আসন পুনর্বিন্যাসে উত্তাল ফরিদপুরের ভাঙ্গা
- ইসরায়েলের হামলা, কাতারের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
- ঢাবি ডাকসু: ভিপি–জিএস–এজিএস পদে শিবিরের দাপট
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- নিরাপদ কাতারেও হামলা! দোহায় ইসরাইলি হামলায় তোলপাড় আরব বিশ্ব
- ইইউ সংলাপ: ঢাকার অগ্রাধিকার বাণিজ্য, ইউরোপের নজর অনিয়মিত অভিবাসনে
- খুনের পরিসংখ্যানে বৃদ্ধি: দেরিতে দায়ের হওয়া মামলার প্রতিফলন
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- বিক্ষোভে রক্তক্ষয়, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
- ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে, নির্বাচন স্বচ্ছ দাবি ঢাবি ভিসির
- টিএসসি কেন্দ্রে তিন ঘণ্টায় ৩৫% ভোট
- অল্প সময়েই ছয় দফা বৃদ্ধি: স্বর্ণের বাজারে আগুন
- আবারও যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ইরান: সেনাপ্রধান হাতামির হুঁশিয়ারি
- থাকসিন শিনাওত্রার কারাদণ্ড: রাজনৈতিক বংশপরিচয়ের পতনের আভাস
- বার্মিংহামে বলিউডের ‘ওজিজি’ রানী: কারিনা কাপুর খানের সিলভার শাড়ি
- ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস: পোশাক নয়, স্টাইলের প্রদর্শনী
- বলিউডে বহিরাগতদের প্রতি ক্ষোভ, ‘নেপো বেবি’দের পক্ষ নিলেন তনিশা মুখার্জি
- মেক্সিকোতে ভয়াবহ ট্রেন-বাস সংঘর্ষে ১০ নিহত, আহত ৪১
- ডাকসু নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য
- বিদায় নিশ্চিত, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩
- উয়েফার নিয়ম মানতে প্রস্তুত হ্যারি কেইন ও দল
- পরিচালকের শেয়ার কেনা সম্পন্ন
- যে ভোট রাতেই করা যায়, সেটা দিনে টেনে রাখা কেন?- ফারুকী
- মহাবিশ্বে নতুন দৈত্য কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান
- বার্নি স্যান্ডার্সের সঙ্গে জোহরান মামদানি, নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচনে প্রগতিশীল ঢেউ
- গাজা অভিমুখী শান্তিপূর্ণ মিশনে হামলা
- প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
- জাতিসংঘ ক্ষুব্ধ, স্পেন অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি—গাজায় ইসরাইলের ধ্বংসযজ্ঞ তীব্রতর
- পাকিস্তান–চীন যৌথ অনুসন্ধানে নতুন দিগন্ত
- রজনীকান্ত–কমল হাসান আবারও একসঙ্গে বড় পর্দায়
- জাকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের জন্য আজ বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
- ভারত-নেপাল সীমান্তে সতর্কতা জারি
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠাচ্ছে সরকার
- স্ত্রীর কাছে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চাইলেন শরিফ ওসমান বিন হাদী, পেলেন শর্ত
- অনুমোদনের অপেক্ষায় রাশিয়ার ক্যান্সার ভ্যাকসিন
- নেপালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ
- খালেদা জিয়ার অসুস্থতার নাম ভাঙিয়ে ১৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি
- আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা’ মডেল? পুত্র জয় ও কন্যা পুতুলের দিকেই ইঙ্গিত
- যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আস্থার শীর্ষে এএইচজেড
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ভ্যালু, ভলিউম ও ট্রেডে শীর্ষ ২০ কোম্পানি
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- ডিএসই–৩০ সূচকের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর লেনদেনের চিত্র
- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২৪ সালের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন
- শেয়ারবাজারে ফিরল স্বস্তি, শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গোয়ালন্দে কবর অবমাননার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র নিন্দা
- দেড় বছর পর ঢাকায় স্থায়ী রাষ্ট্রদূত পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- “তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্য সম্ভব”
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বাংলাদেশি ওষুধের সাফল্য: যুক্তরাজ্যে রেনেটার নতুন পদচারণা
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- সৌদি রাজতন্ত্রের অজানা অধ্যায়: ক্ষমতার জন্য বাবা ও ভাইদের ছাড় দিলেন না মোহাম্মদ বিন সালমান
- চাকরির প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার