ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকাণ্ড
উপাচার্য কে নিয়ে রিজভীর তীব্র সমালোচনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যর হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নিহত সাম্য ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুতে নির্লিপ্ত আচরণ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী বলেন, শাহরিয়ার আলম সাম্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। তিনি সম্প্রতি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হন। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি তাঁদের কথা শুনতে চাননি। অভিযোগ রয়েছে, উপাচার্য তাঁদের ‘তুই’ সম্বোধন করে অপমানজনক আচরণ করেছেন।
রিজভী বলেন, উপাচার্য ও প্রক্টর দুজনই একটি নির্দিষ্ট আদর্শে বিশ্বাসী বলেই তাঁরা ভিন্নমতের রাজনীতি সহ্য করতে পারেন না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে উপাচার্যের উচিত কি না সব ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সমান আচরণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা করা। অথচ সাম্যর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তাঁর মৃত্যু উপেক্ষিত হয়েছে।
মানববন্ধনে রিজভী অভিযোগ করেন, সাম্যর মৃত্যু ‘হঠাৎ ঘটে যাওয়া একটি অপরাধ’ নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। তাঁর ভাষায়, "পুলিশ ভবঘুরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে, কিন্তু এ ধরনের ছাত্রনেতাকে নিছক ভবঘুরেরা হত্যা করবে—এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।" তিনি আরও বলেন, সাম্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় সংগীতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, যা হয়তো তাঁকে কিছু মহলের টার্গেটে পরিণত করেছিল।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফ্যাসিবাদী প্রবণতা দৃশ্যমান এবং নিরপেক্ষতার অভাব গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতি প্রশাসনের ‘লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড’ ব্যবহারের সমালোচনা করে বলেন, একদিকে সরকার নির্দিষ্ট দলকে সাদরে গ্রহণ করে, অন্যদিকে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়।
মানববন্ধন থেকে সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেন, "সাম্যের রাজনৈতিক শত্রুরা কারা—আমরা আভাস পাচ্ছি। তাঁদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় না আনলে এর ফল ভয়াবহ হবে।"
রিজভীর মতে, আজ যখন কেউ জাতীয় পতাকা বা সংগীতের পক্ষে কথা বলেন, তখন তাঁর জীবন হুমকির মুখে পড়ে। তিনি এ প্রসঙ্গে আবরার ফাহাদের হত্যার উদাহরণ টেনে বলেন, প্রতিবেশী দেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আবরারকে প্রাণ দিতে হয়েছিল।
মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মোকসেদুল মুমিন এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মোস্তাকিম বিল্লাহ।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- মাহফুজ আলমের ফেইসবুক পোস্ট: কি বার্তা দিলেন?
- “ইশরাককে দায়িত্ব দাও, শহর বাঁচাও!”- কেন এই স্লোগান!
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ: জনগণের সিদ্ধান্তের সঙ্গেই থাকবে বিএনপি
- ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাত: কারও প্রকৃত বিজয় নেই, শুধু দাবির প্রতিযোগিতা
- ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কাগজে শান্তি, মাটিতে অনিশ্চয়তা
- আবারও খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের দুয়ার!
- চীনের কৌশলগত সহায়তায় পাকিস্তানের সামরিক শক্তির উত্থান: আঞ্চলিকশক্তির নতুন বিন্যাস
- ১০৩ বছরের নীরবতা ভাঙল এল ক্লাসিকো, দেখল অভাবনীয় গোলবন্যা!
- তারেক রহমানের প্রশ্ন: অন্তর্বর্তী সরকার কি স্বৈরাচারের পুনর্বাসন করছে?
- হবিগঞ্জে সংঘর্ষে আহত অন্তত ৪০, কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর
- নেইমার কিনলেন ১৫ কোটি টাকার ফেরারি: কারন শুনলে অবাক হবে
- আ.লীগ নিষিদ্ধে বিএনপি কি দ্বিধায়?
- কম খরচে উচ্চশিক্ষার সুযোগ: সহজ এবং সাশ্রয়ী ভিসা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেখানে পড়াশোনা করা সম্ভব
- যুদ্ধবিরতিতে কাশ্মীরের কী বার্তা?
- ভারত-পাকিস্তান সম্মত যুদ্ধবিরতিতে