গণমাধ্যমে ছুটির বৈষম্য দূর করুণ: জেসিবি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ২৬ ১১:২৭:১৬
গণমাধ্যমে ছুটির বৈষম্য দূর করুণ: জেসিবি

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য কমপক্ষে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণাসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে ছুটি নিশ্চিত করার দাবিতে তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম-এর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ (জেসিবি)।

রোববার (২৫ মে) সংগঠনের পক্ষ থেকে সদস্য সচিব মিয়া হোসেন-এর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিটি তথ্য উপদেষ্টার দপ্তরে পেশ করা হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যেখানে ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে সাংবাদিকরা প্রতিবারই বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এবারের ঈদুল আজহায় গণমাধ্যমকর্মীদের কমপক্ষে ৫ দিনের ছুটি ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায়, সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীনতার পর থেকে সাংবাদিকরা ছুটির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন।যদিও দুই ঈদে সাধারণভাবে ৫–৭ দিনের ছুটি দেওয়া হয়, তবে দুর্গাপূজা, বড়দিন, বৌদ্ধ পূর্ণিমা বা অন্যান্য ধর্মীয় ও জাতীয় দিবসে অনেক সময় ছুটি মেলে না। এমনকি ছুটির দিনে কাজ করালেও অধিকাংশ গণমাধ্যম কোনো অতিরিক্ত পারিশ্রমিক প্রদান করে না।

বিশেষ করে ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমে ছুটির ব্যাপারে কোনো নীতিমালা বা অভিন্ন সিদ্ধান্ত নেই। ফলে প্রতিষ্ঠানভেদে সাংবাদিকদের ছুটি কার্যত মালিকপক্ষের ইচ্ছানির্ভর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহায় কমপক্ষে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা এবং তা গেজেট আকারে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান। একই সঙ্গে সব সরকারি ছুটির দিনেও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ছুটি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া ছুটির দিনে কাজ করানো হলে দ্বিগুণ হারে নগদ মজুরি প্রদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সাংবাদিকদের মৌলিক অধিকার হিসেবে ছুটিভোগে যে বৈষম্য বিদ্যমান, তা অবিলম্বে দূর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশের (জেসিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়, “জাতির বিবেক হিসেবে পরিচিত সাংবাদিকদের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় ছুটির ক্ষেত্রেও একটি ন্যায়ভিত্তিক ও প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।”

বর্তমানে সাংবাদিকরা মূলত দুটি ঈদে ৫-৭ দিনের ছুটি পান। এছাড়া ১ বৈশাখ, ১২ রবিউল আউয়াল, ১০ মহররম, শবে বরাত ও মে দিবসের মতো দিনে সীমিত ছুটি থাকলেও ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর দিনে কেবল নগদ মজুরি দেওয়া হয়।

তবে এসব সিদ্ধান্তও মূলত সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন কর্তৃক নির্ধারিত। ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মাধ্যমে ছুটি সংক্রান্ত কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বা নির্দেশনা নেই।

সাংবাদিকদের ছুটি নিশ্চিত করতে নীতিনির্ধারকদের পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি, এমন মত দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। ঈদুল আজহার ছুটিকে ঘিরে এই দাবি বাস্তবায়িত হলে, তা হবে সাংবাদিকদের জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত।

-ইসরাত, নিজিস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত