নিজের নামে কয়টি সিম? নিরাপদ থাকতে এখনই জেনে নিন!

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৯ ১২:০৭:৩৬
নিজের নামে কয়টি সিম? নিরাপদ থাকতে এখনই জেনে নিন!

বাংলাদেশের প্রতিটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)-এর মাধ্যমে সিম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকেই জানেন না, নিজের নামে কতটি সিম নিবন্ধিত আছে। এটি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আপনার অজান্তেই কেউ আপনার এনআইডি ব্যবহার করে সিম রেজিস্ট্রেশন করে ফেলতে পারে। সেই সিম যদি কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার হয়, তাহলে দায়ভার আপনার ওপরই আসতে পারে।

এই ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নতুন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ঘোষণা দিয়েছে, একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারবেন। এটি আগামী ১৫ আগস্ট ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। পূর্বে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারতেন, কিন্তু প্রতারণা, জালিয়াতি এবং অপরাধের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে।

নিজের নামে কতটি সিম নিবন্ধিত রয়েছে, তা জানতে হলে একটি মোবাইল ফোন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চারটি সংখ্যা যথেষ্ট। মোবাইলের ডায়াল প্যাডে গিয়ে *16001# ডায়াল করে নির্দেশনা অনুযায়ী এনআইডির শেষ চারটি সংখ্যা প্রবেশ করালেই ফিরতি মেসেজে আপনি জানতে পারবেন আপনার নামে কয়টি সিম নিবন্ধিত এবং কোন কোন অপারেটরের সেগুলো। তবে পূর্ণ নম্বর দেওয়া হয় না, শুধু শুরু ও শেষের তিনটি ডিজিট দেখা যাবে।

আপনার নামে নিবন্ধিত, কিন্তু আপনি যেসব সিম ব্যবহার করছেন না—সেগুলো বাতিল করতে হবে। এটি করতে হলে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে লিখিত আবেদন করতে হবে এবং প্রমাণপত্র দেখিয়ে সেসব সিম বাতিল করতে হবে। এতে করে আপনার এনআইডির অপব্যবহার বন্ধ হবে এবং অপরাধমূলক ঝুঁকিও কমে যাবে।

বিটিআরসি আরও জানিয়েছে, যেসব গ্রাহকের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাদের তালিকা অপারেটরদের কাছে পাঠানো হবে। অপারেটররা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাইবে, তারা কোন ১০টি সিম রাখতে চান। বেশি ব্যবহৃত সিম ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংযুক্ত সিমগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বর্তমানে দেশে মোট সক্রিয় সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ, যেখানে প্রকৃত গ্রাহক মাত্র ৬ কোটির কিছু বেশি। অধিকাংশ গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম থাকলেও, ১১ থেকে ১৫টি সিম রয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ গ্রাহকের নামে, যা একটি বড় নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

তাই সময় থাকতেই নিজের নামে কয়টি সিম নিবন্ধিত রয়েছে, তা যাচাই করে নিন। অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল করুন এবং নিজের পরিচয় ও নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখুন। আপনার প্রতিটি নিবন্ধিত সিম একেকটি পরিচয়, একেকটি দায়বদ্ধতা। সচেতন থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ