ফিলিপাইনে মধ্যবর্তী ভোটযুদ্ধ চলছে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১২ ১৩:৩৬:২৮
ফিলিপাইনে মধ্যবর্তী ভোটযুদ্ধ চলছে

সত্য নিউজ: ফিলিপাইনের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিতে পারে আজকের মধ্যবর্তী নির্বাচন। দেশটির প্রায় ১১ কোটি জনসংখ্যার ভোটাররা সোমবার ১,৮০০টিরও বেশি স্থানীয় ও জাতীয় পদে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করছেন। যদিও ব্যালট পেপারে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বা ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতার্তের নাম নেই, এই নির্বাচন ঘিরে তাঁদের মধ্যকার রাজনৈতিক ছায়াযুদ্ধ এখন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।

সিনেটের ২৪টি আসনের মধ্যে অর্ধেক—১২টি আসন নিয়ে আজ ভোট হচ্ছে। ফার্দিনান্দ ও সারা দুজনেই তাঁদের ঘনিষ্ঠ প্রার্থীদের পক্ষে সরব প্রচার চালিয়েছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ভোটের ফল ফার্দিনান্দ প্রশাসনের রাজনৈতিক নীতি ও ভবিষ্যৎ শক্তিকেন্দ্রের ভারসাম্য নির্ধারণে বড় প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে এটি ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতার্তের রাজনৈতিক ভবিষ্যতেরও ইঙ্গিত দেবে, বিশেষ করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসনের সম্ভাবনা ঘিরে থাকা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে।

সারা দুতার্তে, যিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের কন্যা, প্রেসিডেন্ট হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা লালন করছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফার্দিনান্দের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ও অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াইয়ে তাঁর অবস্থান দুর্বল হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যদি তিনি এই নির্বাচনে সমর্থকদের মাধ্যমে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করতে না পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে তাঁর জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা হুমকিতে পড়বে।

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দের জন্য এই নির্বাচন একটি অঘোষিত গণভোটের রূপ নিয়েছে। তাঁর প্রশাসনের অর্থনৈতিক সংস্কার ও রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন তাঁর জন্য অত্যন্ত জরুরি। ফিলিপাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অ্যারিস আরুগাই মন্তব্য করেছেন, "সিনেটর নির্বাচনই মূল ছায়াযুদ্ধ। এই নির্বাচন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সুসংহত করার বা তা দুর্বল হয়ে যাওয়ার দিকে মোড় নিতে পারে।"

মেয়র, গভর্নর এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য নির্বাচন ছাড়াও আজকের ভোটে সিনেট নিয়েই সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে। কারণ, ফিলিপাইনের সংবিধানে সিনেটের রয়েছে উচ্চমাত্রার আইনগত ও রাজনৈতিক ক্ষমতা, যা প্রয়োজনে প্রেসিডেন্টের উদ্যোগগুলো আটকে দিতে পারে বা তাকে নীতিগতভাবে কোণঠাসা করে ফেলতে পারে।

এই নির্বাচন শুধু ব্যক্তি নেতৃত্বের লড়াই নয়, বরং তা ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ছকের নির্ধারক। ফলাফল স্পষ্ট হলে বোঝা যাবে, আসন্ন ২০২৮ সালের নির্বাচনে কে এগিয়ে থাকবেন এবং কে হারাতে বসেছেন রাজনৈতিক ভিত।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ