মাহফুজ আলমের ফেইসবুক পোস্ট: কি বার্তা দিলেন? 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১১ ১৮:৪১:৫২
মাহফুজ আলমের ফেইসবুক পোস্ট: কি বার্তা দিলেন? 

সত্য নিউজ: অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য এবং জুলাই ছাত্র আন্দোলনের পরিচিত মুখ জনাব মাহফুজ আলম তার ব্যক্তিগত ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আজ একটি পোস্ট দিয়েছেন, যা দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তার এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে জোর আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

জনাব মাহফুজ আলম তার পোস্টে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও আদর্শিক বিষয়ে স্পষ্ট ও কড়া ভাষায় মত প্রকাশ করেছেন। নিচে তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

"দুটি কথা:

১. '৭১ এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চলিয়েছে। (পাকিস্তান অফিসিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারো ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনো ক্ষমা চায়নি)। ইনিয়ে বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোট্যাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে।

২. মুজিববাদী বামদের ক্ষমা নাই। লীগের গুম-খুন আর শাপলায়, মোদীবিরোধী আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের মস্তিস্ক এরা। এরা থার্টি সিক্সথ ডিভিশন। জুলাইয়ের সময়ে এরা নিকৃষ্ট দালালি করেও এখন বহাল তবিয়তে আছে। আজ পর্যন্ত মুজিববাদী বামেরা কালচারালি ও ইন্টেলেকচুয়ালি জুলাইয়ের সাথে গাদ্দারি করে যাচ্ছে। দেশে বসে জুলাইয়ের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে এরা চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। লীগের এসকল বিটিম ও শীঘ্রই পরাজিত হবে। অন্য কারো কাঁধে ভর করে লাভ নেই।"

পোস্টটিতে তিনি স্পষ্টভাবে যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা প্রার্থনার অনিবার্যতা, পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির বর্জন, এবং জুলাই আন্দোলনের ‘স্যাবোট্যাজ’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসাথে তিনি মুজিববাদী বাম রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় অভিযোগ তুলে ধরেন, বিশেষ করে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর এবং সাম্প্রতিক মোদীবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পোস্টটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতপ্রকাশ নয়, বরং অন্তর্বর্তী সময়ের ক্ষমতাকাঠামো এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তির অভিমুখে এক স্পষ্ট বার্তা বহন করে। কিছু বিশ্লেষক এটিকে একটি "ডিসক্লোজার" হিসেবেও দেখছেন, যা রাজনীতির অন্তরালের কিছু বাস্তবতা সামনে এনেছে।

তবে এই বক্তব্য ঘিরে বিভিন্ন পক্ষ থেকে ভিন্নমত আসার সম্ভাবনাও রয়েছে। বিশেষ করে যারা অতীতে বা বর্তমানে সংশ্লিষ্ট পক্ষ হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন, তাদের প্রতিক্রিয়া আগামীতে নতুন রাজনৈতিক আলোচনার জন্ম দিতে পারে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত