শুক্রবার উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে না সকাল ৭টা থেকে

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাজের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিনটি জেলায় সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আগামী শুক্রবার, ১ আগস্ট সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ পিএলসি (পিজিসিবি)।
রোববার (২৭ জুলাই) পিজিসিবির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্বসাদিপুর গ্রিড উপকেন্দ্রে নির্ধারিত প্রকল্প কাজের জন্য ওইদিন পাঁচ ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণ শাটডাউন থাকবে।
এর ফলে দিনাজপুর জেলার নেসকো বিতরণ-১ ও ২-এর কিছু অংশ, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর আওতাভুক্ত এলাকাসমূহ, এবং পুরো ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
পিজিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রাহকদের এই সাময়িক ভোগান্তির জন্য তারা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে এবং পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়েছে।
/আশিক
পিতৃত্বকালীন ছুটি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা!
বাংলাদেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির আইনি স্বীকৃতির পথে বড় অগ্রগতি ঘটেছে। সরকারি কর্মীদের জন্য ১৫ দিনের সবেতনে পিতৃত্বকালীন ছুটি প্রদানের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি ও পারিবারিক বাস্তবতার অভিজ্ঞতা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পরিবার কাঠামোয় বাবার সক্রিয় ভূমিকার গুরুত্ব নতুন করে সামনে এসেছে।
বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবী নারীরা ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির সুবিধা পান। কিন্তু বাবাদের জন্য এমন কোনো ছুটির বিধান নেই। অথচ সন্তান জন্মের পর পরিবার গঠনের প্রতিটি ধাপে বাবার উপস্থিতি সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, মা যখন শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল অবস্থায় থাকেন, তখন বাবার পাশে থাকা কেবল আবেগীয় সহায়তা নয়, বরং বাস্তব প্রয়োজন।
সিজারিয়ান ডেলিভারির পর একজন মা দীর্ঘ সময় দুর্বল থাকেন, আর নবজাতক থাকে অতি সংবেদনশীল। এই সময় বাবার সহায়তা পরিবারে জীবনযাত্রার ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম উপাদান হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অধিকাংশ সরকারি চাকরিজীবী বাবাকে অফিসের দায়িত্ব পালন করতে হয়, স্ত্রীর ও সন্তানের পাশে থাকার সুযোগ পান না। এ ধরনের অভিজ্ঞতা প্রায় ৯০ শতাংশ সরকারি কর্মীর জীবনে ঘটে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৭৮টি দেশে ইতিমধ্যেই পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানেও বাবাদের জন্য ছুটির ব্যবস্থা আছে। ইউরোপে এ ছুটির সময়কাল আরও দীর্ঘ এবং কাঠামোবদ্ধ। উদাহরণস্বরূপ, স্পেনে বাবারা ১২ সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটি পান, আর পোল্যান্ডে এই সুবিধা ৯০ দিন পর্যন্ত।
বাংলাদেশেও কিছু অগ্রগামী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন আড়ং, ব্র্যাক এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়—ইতোমধ্যে পিতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা চালু করেছে। এবার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ১৫ দিনের ছুটির প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে সন্তান জন্মের পরপরই বাবা পরিবারকে সময় দিতে পারেন, স্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে পারেন এবং নবজাতকের সঙ্গে প্রথম দিনের বন্ধনে যুক্ত হতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পিতৃত্বকালীন ছুটি কেবল একটি সামাজিক দাবি নয়, এটি কর্মদক্ষতা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারিবারিক কল্যাণের সঙ্গেও সম্পর্কিত। এ ছুটি শেষে কাজে যোগ দেওয়ার পর অনেক কর্মী আরও মনোযোগী, আত্মবিশ্বাসী এবং দায়িত্বশীল হয়ে ওঠেন। মা-বাবার যৌথ অংশগ্রহণ শিশুর বিকাশ ও মানসিক বৃদ্ধিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
-রাফসান
শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আরও এক বা দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হবে।
আজ ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দি চলাকালে বিরতির সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমরা ট্রাইব্যুনালে আবেদন করব যাতে আরও এক-দু’জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পরই সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়া সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর খুব শিগগিরই যুক্তি উপস্থাপন শুরু হবে বলে আশা করছি।”
মামলাটি বিচার করছেন ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চ, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। আজকের শুনানিতে প্রধান প্রসিকিউটরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম। প্রসিকিউশন টিমের অন্যান্য সদস্যরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমির হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। অপরদিকে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট জায়েদ বিন আমজাদ যুক্তি উপস্থাপন করছেন।
গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিকভাবে তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এবং বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। মামলার একপর্যায়ে সাবেক আইজিপি মামুন দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন গ্রহণ করে এবং তাকে মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয়।
এছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইসিটিতে আরও দুটি মামলা চলমান। একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের। অন্য মামলায় অভিযোগ রয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকায় হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ চলাকালে গণহত্যা সংঘটনের।
প্রধান প্রসিকিউটরের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে এবং শিগগিরই যুক্তি উপস্থাপন শুরু হলে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির দিকে এগোতে পারে।
-সুত্রঃ বি এস এস
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ — প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি এবং উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে (সিএও) যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি (AUSTR) ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। বৈঠকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, “এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।”
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র গত ৩১ জুলাই বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপিত পারস্পরিক শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনে। ড. ইউনূস এই সিদ্ধান্তকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে অভিহিত করেন।
বৈঠকে দুই দেশ বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা ও সয়াবিনসহ কৃষিপণ্য আমদানি বৃদ্ধি এবং জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করে। আলোচনার বিষয়বস্তুতে আরও ছিল—এলপিজি আমদানি, সিভিল এয়ারক্রাফট ক্রয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং রোহিঙ্গা মানবিক সংকট।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানি করতে প্রস্তুত এবং আশা করছে এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে শুল্ক আরও হ্রাস পাবে, যা উভয় দেশের জন্য টেকসই ও পারস্পরিকভাবে লাভজনক বাণিজ্য অংশীদারিত্ব গড়ে তুলবে। তিনি চলমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর হওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শ্রম অধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত ১১ দফা শ্রম কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক শ্রমমান রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আগামী দিনে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ও স্বল্পসুদে ঋণ প্রবাহ আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের দরজা বাংলাদেশে আরও প্রশস্ত হোক,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চ বাংলাদেশের গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া আলোচনাগুলো গতি পাওয়ায় আলোচনার ফলাফল ইতিবাচক হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের আলোচক দলের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেন এবং সময়মতো শুল্ক চুক্তি বাস্তবায়ন ও ক্রয় প্রতিশ্রুতি পূরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, ইউএসটিআরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক এমিলি অ্যাশবি, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুর্শেদ, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন উপস্থিত ছিলেন।
-সুত্রঃ বি এস এস
দেশের উন্নয়নে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তরুণদের দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিটি তরুণের প্রতিভা, শক্তি ও সৃজনশীলতা যেন কেবল ব্যক্তিগত সাফল্যে সীমাবদ্ধ না থাকে; বরং তা সমাজ ও দেশের জন্য উদাহরণ হয়ে উঠুক।
আজ রাজধানীর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে “ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫” প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এ বছর ১২ জন তরুণ-তরুণীকে সমাজসেবায় অসাধারণ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
ড. ইউনূস বলেন, তরুণরা যদি সক্রিয় থাকে তবে এই দেশের কোনো সমস্যা অমীমাংসিত থাকবে না। “আজ আমরা তরুণদের শক্তি উদযাপন করছি। তারা আমাদের জাতির চালিকাশক্তি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যদি তরুণরা উদ্যমী, কর্মচঞ্চল ও নতুন চিন্তাধারায় সমৃদ্ধ থাকে, তবে তাদের অগ্রযাত্রাকে কোনো বাধাই থামাতে পারবে না।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এখানে থাকতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি এখন আর শিক্ষাক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই। তারা স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সুরক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। “২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান তরুণদের নেতৃত্বেই হয়েছে—তারা ইতিহাস লিখেছে এবং ভবিষ্যতেও লিখবে,” তিনি যোগ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, পথচলায় নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে—জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশগত সংকট—কিন্তু এসব চ্যালেঞ্জে হতাশ হওয়া যাবে না। “আমাদের নিজেদের শক্তি দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমি আশা করি, এই নেতৃত্বও তরুণরাই দেবে।”
তিনি আরও বলেন, স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ কেবল মানবিক সেবার জন্য নয়, এটি আত্মোন্নয়ন, চরিত্র গঠন ও নেতৃত্ব তৈরির একটি অনন্য মাধ্যম। “আমরা চাই আমাদের তরুণরা শুধু স্বেচ্ছাসেবক নয়—তারা যেন সমাজের নীতি নির্ধারক, উদ্ভাবক ও পরিবর্তনের স্থপতি হয়ে ওঠে।”
ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ডকে তিনি কেবল সম্মাননা নয়, বরং নতুন নেতৃত্ব ও নতুন ভাবনার সাহসী যাত্রার ডাক হিসেবে উল্লেখ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তরুণদের অংশগ্রহণ ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। স্বাস্থ্যখাতে ছোট উদ্যোগও হাজারো শিশুকে রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে; শিক্ষাক্ষেত্রে ছোট প্রচেষ্টা জাতীয় শিক্ষার মান অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারে। পরিবেশ রক্ষায় তাদের সম্মিলিত পদক্ষেপ আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।
তিনি স্বীকার করেন, স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের পথ সহজ নয়—সময়, অর্থ এবং মানসিক চাপের মতো বাধা রয়েছে। কিন্তু এই বাধা অতিক্রমের মধ্য দিয়েই ধৈর্য, সহনশীলতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করা যায়।
ড. ইউনূস শেষ বক্তব্যে পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আমি আমার পক্ষ থেকে, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এবং পুরো জাতির পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনারাই হোন নতুন নীতি প্রণেতা, বিপ্লবী চিন্তার বাহক এবং সামাজিক রূপান্তরের পথিকৃৎ।”
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শোজিব ভূঁইয়া, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত সুরাইয়া ফারহানা রেশমাও বক্তব্য দেন।
-সুত্রঃ বি এস এস
বিশ্ব পর্যটন দিবসে ভ্রমণ মেলা, থাকছে ছাড় ও র্যাফেল ড্র
আসন্ন বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজন করা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ভ্রমণ ও পর্যটন প্রদর্শনী ১২তম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার (এটিএফ)। ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে পর্যটনকে আরও জনপ্রিয় করে তোলা, পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া এবং দেশি-বিদেশি ভ্রমণ উদ্যোক্তাদের এক মঞ্চে আনার লক্ষ্যে এই আয়োজন আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আয়োজক ও সহযোগী সংস্থাগুলো
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আয়োজক পর্যটন বিচিত্রা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেলার আয়োজনকে সফল করতে সহযোগিতায় রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ। সরকারি সহযোগিতা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগে এটি হয়ে উঠবে একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক পর্যটন উৎসব।
মেলায় কী থাকছে
পর্যটন বিচিত্রার সম্পাদক ও এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “দেশি-বিদেশি পর্যটন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিচ্ছে এই মেলায়। দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে নানা রকম ডিসকাউন্ট অফার, বিশেষ প্যাকেজ ডিল, আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র, এবং পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট নতুন সুযোগ-সুবিধার তথ্য।”
মেলায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে—
বিজনেস-টু-বিজনেস (B2B) সেশন: যেখানে দেশি ও বিদেশি পর্যটন উদ্যোক্তা এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলো পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: দেশের ঐতিহ্য, লোকসংস্কৃতি ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরা হবে।
আঞ্চলিক পর্যটন গন্তব্যের প্রচার: ভ্রমণপিপাসুদের জন্য দেশি-বিদেশি ভ্রমণ প্যাকেজ ও গন্তব্য সম্পর্কিত তথ্য সহজলভ্য করা হবে।
বিশেষ ছাড়: শীত মৌসুমের ভ্রমণ পরিকল্পনার জন্য হোটেল, এয়ারলাইন্স, ট্রাভেল এজেন্সি এবং ট্যুর অপারেটররা বিশেষ অফার দেবে।
প্রবেশ ও পুরস্কার ব্যবস্থা
মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। তবে আগ্রহীরা যদি অনলাইনে নিবন্ধন করেন, তবে প্রবেশ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। প্রতিটি প্রবেশ কুপনের বিপরীতে দর্শনার্থীরা অংশ নিতে পারবেন আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র–তে, যেখানে থাকবে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় এয়ারলাইন্সের টিকিট, ভ্রমণ ভাউচার, এবং অন্যান্য উপহার।
এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি পর্যটন কেবল অর্থনীতির চালিকাশক্তি নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জাতীয় পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ বাহক। এই মেলার মাধ্যমে আমরা শুধু নতুন ভ্রমণের সুযোগ তৈরি করছি না; বরং আমরা চাই টেকসই পর্যটনশিল্প গড়ে তুলতে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমানভাবে সমৃদ্ধ হবে।”
-রফিক
সংস্কার কমিশনের ৭০ শতাংশ সুপারিশ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব: আসিফ নজরুল
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকার দলগতভাবে কাজ করছে এবং ইতিমধ্যেই প্রায় অর্ধেক সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
রবিবার রাজধানীর ফোরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংহতি কমিশনের বৈঠকে তিনি জানান, “ছয়টি সংস্কার কমিশনের তৎক্ষণাৎ বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব।”
বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন এবং ‘জুলাই জাতীয় চাটার ২০২৫’ বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ড. আসিফ বলেন, “আমরা প্রথমে সেই প্রস্তাবগুলো বাছাই করেছি যা তৎক্ষণাৎ বাস্তবায়নযোগ্য, এবং তার প্রায় অর্ধেক ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে।”
সংবিধান সংশোধনের প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, “সংবিধানকে আদেশ বা নির্বাহী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কে নেতৃত্ব দেবে—এর মতো কিছু বিষয় সহজেই প্রসিডিউর রুলস পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “কিছু প্রস্তাব পুনরাবৃত্তিমূলক বা রুটিন কাজের মতো, যেমন দুর্নীতি বিরোধী কৌশলপত্র প্রস্তুতি। অনেক সংস্কার রুটিন কার্যাবলী; কিছু নির্বাহী আদেশ বা অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে করা যায়, আর কিছু সংবিধানগত বিষয় যা বিস্তৃত সংহতির দাবি করে।”
নির্বাচনের বিষয়ে ড. আসিফ জানান, সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতিতে অটল। তিনি বলেন, “একবার নির্বাচন সময়সূচি ঘোষণা হলে কোনো আইনগত সংশোধনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনগত সংস্কার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।”
ড. আসিফ আশা প্রকাশ করেন, “আপনাদের মত শুনে খুব আশাবাদী হলাম। সবাই চায় সংহতির ভিত্তিতে ভালো সমাধান। যদি আমাদের লক্ষ্য থাকে গণআন্দোলনের ঐক্য রক্ষা, ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করা এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তাহলে সমাধান খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।”
তিনি ঐক্য বজায় রাখার গুরুত্বকেও উল্লেখ করেন, “সর্বোপরি, উদ্দেশ্যই মূল। যদি উদ্দেশ্যে আমরা একসাথে থাকি, সামনের পথ স্পষ্ট হবে।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংহতি কমিশনের উপ-সভাপতি প্রফেসর আলী রিয়াজ, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়েতে ইসলামের সহ-সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান আজাদ এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন। সভার সঞ্চালক ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, যিনি জাতীয় সংহতি চাটার প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন।
-সুত্রঃ বি এস এস
১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অবশেষে দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের নতুন সীমানা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ৪ সেপ্টেম্বর কমিশন আনুষ্ঠানিক গেজেট প্রকাশ করে। এবার মোট ১৬ জেলার ৪৬টি আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সীমানায় গাজীপুর জেলার আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ছয়টি, আগে ছিল পাঁচটি। অন্যদিকে বাগেরহাট জেলার আসন সংখ্যা কমে হয়েছে তিনটি, আগে ছিল চারটি। এ ছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ বেশ কিছু জেলার বিভিন্ন আসনের সীমারেখায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে।
তবে যে প্রতিশ্রুতি ছিল আসন মানচিত্রকে আরও “পরিষ্কার” করার, তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। চূড়ান্ত মানচিত্রেও অন্তত ২২টি উপজেলা একাধিক আসনের মধ্যে বিভক্ত রয়ে গেছে। এর মানে, এসব উপজেলার মানুষকে ভোট দিতে হবে ভিন্ন ভিন্ন আসনে। নতুন করে বিভক্ত হয়েছে ফরিদপুরের ভাঙা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর এবং নোয়াখালী সদর উপজেলা। আবার পূর্বে বিভক্ত চারটি উপজেলা—পাবনার বেড়া, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর এবং চট্টগ্রামের বোয়ালখালী—এখন একীভূত হয়ে গেছে একটি আসনে।
বিভক্ত থাকা ২২টি উপজেলার মধ্যে রয়েছে—ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল, সিরাজগঞ্জ সদর, চুয়াডাঙ্গা সদর, ঝিনাইদহ সদর, যশোর সদর, মাগুরা সদর, নড়াইল সদর, খুলনার দিঘলিয়া, মানিকগঞ্জ সদর, ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ ও সাভার, গাজীপুর সদর, নরসিংদী সদর, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি, মাদারীপুর সদর, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি ও নোয়াখালী সদর, লক্ষ্মীপুর সদর এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া।
ইসি জানিয়েছে, পুনঃসীমানা নির্ধারণের সময় তারা তিনটি বিষয় বিবেচনা করেছে—প্রশাসনিক সুবিধা, এলাকাকে যতটা সম্ভব কম্প্যাক্ট রাখা এবং ভোটারের সংখ্যা সমান করার চেষ্টা। সর্বশেষ ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী দেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ এবং প্রায় ১২ কোটি ৬০ লাখ ভোটার রয়েছে। গড় হিসেবে প্রতিটি আসনে ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের আসনে ভোটারের গড় সংখ্যা আরও কিছুটা বেশি।
এবারের পুনঃসীমানা প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। ইসি যখন খসড়া মানচিত্র প্রকাশ করে, তখন ৮৪টি আসন নিয়ে ১,৮৯৩টি অভিযোগ, আপত্তি ও প্রস্তাবনা জমা পড়ে। এসব বিষয়ে শুনানি হয় ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট চারদিনব্যাপী। শুনানি শেষে কিছু পরিবর্তন এনে কমিশন চূড়ান্ত মানচিত্র ঘোষণা করে।
তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই নতুন মানচিত্র নিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হয়েছে। বিশেষ করে বাগেরহাট, ফরিদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে নতুন সীমানা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, সীমানা পুনঃনির্ধারণে জনসংখ্যা ও প্রশাসনিক সুবিধার কথা যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়নি।
এর আগে অতীতের প্রতিটি বড় নির্বাচনের আগে আসন পুনর্নির্ধারণ হয়েছে। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন ১২তম নির্বাচনের আগে ১০টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করে। কেএম নূরুল হুদা কমিশন পরিবর্তন করেছিল ২৫টি আসনের সীমানা, আর ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে কাজী রকিবউদ্দিন কমিশন পরিবর্তন করেছিল ৮৭টি আসন। ২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদা কমিশন একযোগে ১৩৩টি আসনের সীমারেখা নতুন করে এঁকে দেয়।
আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। ফলে এখন আর কোনো আইনি বাধা নেই—নতুন সীমানা অনুযায়ীই ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে নির্ধারিত ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
-হাসানুজ্জামান
জাতীয় ঐকমত্য: বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপে যে বক্তব্য রেখেছেন, তা নিছক একটি রাজনৈতিক বিবৃতি নয়; বরং একটি জাতির জন্য নতুন সামাজিক চুক্তির ঘোষণা। তাঁর কথায় স্পষ্ট প্রতিধ্বনিত হয়েছে ছাত্র-যুবকেন্দ্রিক অভ্যুত্থানের শক্তি, যে শক্তি শুধু একনায়কতন্ত্রকে উৎখাত করেনি, বরং জাতিকে নতুন পথের সামনে দাঁড় করিয়েছে।
ইউনূস বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে যে অগ্রগতি এসেছে, তা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যও এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। গণতান্ত্রিক সংকট ও সামাজিক বিভাজনে জর্জরিত এই সময়ে বাংলাদেশ দেখাচ্ছে—সংলাপ, আলোচনা ও আপসের মাধ্যমে কীভাবে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে ওঠে। তাঁর ভাষায়, শুরুতে এই ধারণা টিকবে কি না তা নিয়ে তিনি নিশ্চিত ছিলেন না, কিন্তু দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পর যে দৃশ্যপট দাঁড়িয়েছে, তা অভূতপূর্ব।
নির্বাচনের প্রসঙ্গে ইউনূস ঘোষণা করেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেটি হবে "জাতির নবজন্মের মহোৎসব"। এটি কেবল একটি ভোট আয়োজন নয়, বরং একটি জাতির আত্মপ্রকাশ। তাঁর বক্তব্যে ইতিহাসের ধারাবাহিকতা স্পষ্ট—অসংখ্য রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই মুহূর্তকে অর্থবহ করে তুলতে হলে ঐকমত্য ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তিনি সতর্ক করেছেন, "আমরা অনেক কথা বলতে পারি, কিন্তু দ্বিমত রেখে সমাপ্ত করতে পারব না।"
অধ্যাপক ইউনূস রূপক টেনে বলেন, এখন জাতির হাতে আলাদিনের প্রদীপ এসে গেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সেই শক্তি দিয়েছে। ছোটখাটো চাওয়া-পাওয়া নয়, চাইলে জাতিকে নতুনভাবে গড়া সম্ভব। কিন্তু এই সুযোগ একবারই এসেছে—পুনরায় আসবে না। এখানেই তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির মৌলিকত্ব; তিনি বুঝতে পারছেন যে রাজনৈতিক নেতারা যদি এই সুযোগ হাতছাড়া করেন, তবে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে একটি মৌলিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন—সংস্কারের লক্ষ্য হলো সব পথঘাট বন্ধ করে দেওয়া, যাতে ভবিষ্যতে কোনো স্বৈরাচার পুনরায় মাথাচাড়া দিতে না পারে। এ জন্য কেবল সরকার বা প্রশাসন নয়, বরং সব রাজনৈতিক শক্তিকে একমত হতে হবে। একে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন “হাইওয়ে” হিসেবে—পথ ইতিমধ্যেই তৈরি, এখন শুধু সাইনবোর্ড বসানো বাকি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মতামত দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার। এই অংশগ্রহণ নিজেই প্রমাণ করে, রাজনৈতিক বৈরিতার মধ্যেও সংলাপের ক্ষেত্র রচিত হচ্ছে।
ইউনূসের বক্তব্যের কেন্দ্রে ছিল একটি বার্তা—এবার ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ব্যর্থ হলে তা কেবল একটি নির্বাচন বা একটি সরকারের পরাজয় নয়, বরং একটি জাতির নবজন্মের ব্যর্থতা। বাংলাদেশের ইতিহাসে বহু আন্দোলন হয়েছে, বহু অভ্যুত্থান ঘটেছে, কিন্তু সবসময় তা জাতির দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গঠনে রূপান্তরিত হয়নি। এবার সেই পথ খোলা।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনেই নয়, সামাজিক মনস্তত্ত্বেও গভীর প্রভাব ফেলবে। এটি নাগরিকদের জন্য আশ্বাস, আবার রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একধরনের নৈতিক চাপ। ঐকমত্যের এই যাত্রা সফল হলে বাংলাদেশ শুধু নিজেদের জন্য নয়, দক্ষিণ এশিয়ার জন্যও এক উদাহরণ তৈরি করবে। আর ব্যর্থ হলে—অতীতের মতো আবারও বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হতে হবে।
বাংলাদেশ এক নতুন ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষায়, "এই নির্বাচন শুধু নির্বাচন নয়, এটি হবে জাতির নবজন্ম।" প্রশ্ন এখন একটাই—রাজনৈতিক নেতৃত্ব কি এই নবজন্মকে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে?
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু বুধবার
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ায় এই কর্মসূচির উদ্বোধন হবে। শনিবার মালয়েশিয়ায় পৌঁছানো নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই উদ্যোগের উদ্বোধন করবেন।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলামের একান্ত সচিব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকারমূলক উদ্যোগ, যা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসীরা শুধু ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন না, বরং ভবিষ্যতে স্মার্ট এনআইডি ব্যবহার করে সরকারি বিভিন্ন সেবায়ও অংশ নিতে পারবেন।
-নাজমুল হোসেন
পাঠকের মতামত:
- পিতৃত্বকালীন ছুটি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা!
- শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে
- ৯০৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ১১টি প্যানেল নিয়ে উত্তেজনায় রাকসু নির্বাচন
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ — প্রধান উপদেষ্টা
- দেশের উন্নয়নে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- চাকরির বাজারে এআইয়ের ঝড়: কারা পড়বেন সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে?
- রিমান্ডে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ দিলেন অভিনেতা সিদ্দিকুর
- ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE) বাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ব্লক লেনদেনে প্রায় ৪৩৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা
- ১৫ সেপ্টেম্বর শীর্ষ দশ কোম্পানি দর হারাল
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার
- ‘আমার বাবাকে কাকা-কাকাতো ভাই মেরে ফেলেছে’
- গ্রেফতার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন নুসরাত ফারিয়া
- বিশ্ব পর্যটন দিবসে ভ্রমণ মেলা, থাকছে ছাড় ও র্যাফেল ড্র
- রাশফোর্ডের চমৎকার ক্রস, লোপেজ ও লেভানডোস্কির গোল—বার্সার দারুণ পারফরম্যান্স
- কাতারকে সাবধান হতে বললেন ট্রাম্প
- অক্টোবর মাসের বলিউড সিনেমার রোডম্যাপ: প্রেম, কমেডি, থ্রিলার ও হররের সংমিশ্রণ
- বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করবে: লুৎফুজ্জামান বাবর
- সংস্কার কমিশনের ৭০ শতাংশ সুপারিশ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব: আসিফ নজরুল
- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান তারেক রহমানের
- গ্ল্যামার, রঙ আর বার্তা—এমির রেড কার্পেটে সেলিব্রিটিদের সাজসজ্জা
- “গো ব্যাক মোদি” স্লোগানে মুখরিত মণিপুর
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- অবরুদ্ধ গাজায় মৃত্যু-ক্ষুধার মিছিল
- ইসরায়েলি অবরোধের বিরুদ্ধে সমুদ্রপথে প্রতিবাদ, গাজাগামী নৌবহরে যোগ দিল গ্রিসের দুটি জাহাজ
- বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের আরেক গৌরব: নাসার STEM দূত ড. আহসান
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষোভ প্রশমনে ট্রাম্পের ‘ওপেন ডোর’ নীতি
- উন্নয়নের মুখোশ না মহা লুটপাট? শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৫ লাখ কোটি টাকার রহস্য
- টিকটক বন্ধ নাকি বাঁচবে? স্পেনের যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈঠকেই মিলবে সিদ্ধান্ত
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- জাতীয় ঐকমত্য: বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- মালয়েশিয়ায় প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু বুধবার
- গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান: ড. আলী রিয়াজ
- শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের অস্ত্র মামলায় নতুন মোড়
- উদ্যোক্তা সৃষ্টির আর্থিক কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- ব্লক মার্কেটে রেকর্ড লেনদেন
- ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE) বাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ১৪ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১৪ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- তারেক জিয়ার কেন দেশে ফেরা কেন জরুরি?
- উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের মহড়ায় উত্তেজনা
- গুলিবর্ষণের পর প্রথম প্রকাশ্যে দেখা গেল দিশা পাটানিকে
- ডিএসই–৩০ সূচকে মিশ্র লেনদেন
- গুপ্তচরবৃত্তির আশঙ্কা, নাসা থেকে বহিষ্কার চীনা গবেষকরা
- ছুটির মুডে অনন্যা পাণ্ডে: ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য নতুন অনুপ্রেরণা
- সরকার পরিবর্তনের ডাক দিলেন ইলন মাস্ক, লন্ডনে বিক্ষোভ
- ন্যাটো সীমান্তে নতুন উত্তেজনা: রাশিয়ার ড্রোন অভিযান প্রসারিত
- ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীর বড় সিদ্ধান্ত: সরকারি ছুটি কাটছাঁটের পরিকল্পনা বাতিল
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- ডোপ টেস্ট কী, কেন করা হয়, কেন এত এখন জরুরি
- জাকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের জন্য আজ বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
- রজনীকান্ত–কমল হাসান আবারও একসঙ্গে বড় পর্দায়