যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় ডলারের দাপট

সত্য নিউজ:ওয়াশিংটন ও বেইজিং থেকে আশাব্যঞ্জক বার্তা আসার পরই বিশ্ববাজারে দেখা গেছে পুঁজিবাজার ও মুদ্রা সূচকের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান বাণিজ্য আলোচনা "প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি"র দিকেই এগোচ্ছে—এই খবরে সোমবার সকালে বিশ্বব্যাপী সূচক ও ডলারের দর বেড়েছে।
সোমবার সকালে ওয়াল স্ট্রিটের মূল সূচকগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও নাসডাক ফিউচার্সের মান বেড়েছে যথাক্রমে ১.২ শতাংশ করে। ইউরোপের ইউরোস্টক ৫০ সূচক বেড়েছে ০.৯ শতাংশ, জার্মানির ডিএএক্স ০.৭ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যের এফটিএসই ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এশিয়ার বাজারেও একই ধরনের প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। জাপানের নিক্কেই সূচক ০.৩ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কেএস১১ সূচক ০.৪ শতাংশ বেড়ে লেনদেন শুরু করেছে।
ডলার শক্তিশালী, তবে মিশ্র প্রভাব অন্যান্য মুদ্রায়
বাজারের আস্থাবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ডলার ইনডেক্স ০.২ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে ১০০.৬০ পয়েন্টে। ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫.৯০ ইয়েনে, যা ০.৪ শতাংশের প্রবৃদ্ধি। ইউরোর বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হলেও ইউয়ানের বিপরীতে ডলার সামান্য পিছিয়েছে ০.২ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্টক ফিউচার্স চুক্তির এই উত্থান ভবিষ্যৎ বাজারের ইতিবাচক দিকনির্দেশনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদিও চূড়ান্ত বাণিজ্যচুক্তি এখনো হয়নি, তবুও আলোচনার অগ্রগতি বাজারে আশাবাদ তৈরি করেছে।
শুল্ক হ্রাসের প্রত্যাশা ও রাজনৈতিক বার্তা
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আলোচনা "গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি"র দিকে এগোচ্ছে। চীনও জানিয়েছে, দু’দেশ নতুন একটি অর্থনৈতিক সংলাপ ফোরাম গঠনে সম্মত হয়েছে। যদিও এখনো কোনো নির্দিষ্ট শুল্কহারের ঘোষণা আসেনি, তবে দুই দেশ যৌথ বিবৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছেন, হোয়াইট হাউস হয়তো ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চ শুল্ক আরোপ থেকে পিছিয়ে আসবে। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ঘোষিত ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপও পরিশোধন হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন অনেকে। শুল্ক ইস্যুতে ইতিবাচক সুর পেলে এটি বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে।
ভূরাজনীতির উন্নতি বাজারে আস্থা বাড়িয়েছে
এদিকে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির ঘোষণা ও ইউক্রেন-রাশিয়া আলোচনার সম্ভাবনাও বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি তুরস্কে পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত। ভূরাজনৈতিক এই ইতিবাচক অগ্রগতি বিশ্ববাজারে আস্থা ফিরিয়ে এনেছে।
স্বর্ণ ও জ্বালানি তেলের বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
ডলারের চাঙাভাব ও বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নেওয়ার মনোভাব বাড়ায় সোনার দাম কিছুটা কমেছে। সোমবার সোনার দাম ১.৭ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ৩,২৬৮ ডলারে নেমেছে, যা এপ্রিলে রেকর্ড করা ৩,৫০০ ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
অন্যদিকে, তেলের বাজারে আবার আশাবাদ দেখা গেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ২৩ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ৬৪.১৪ ডলার এবং ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ২৫ সেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১.২৭ ডলার।
চুক্তি এখনও অনিশ্চিত, তবে আশা জাগাচ্ছে কাঠামোগত অগ্রগতি
গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপারস্টোনের কৌশলবিদ মাইকেল ব্রাউন মন্তব্য করেন, “চীন-যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি কাঠামো তৈরি করছে, যার আওতায় ভবিষ্যতে আরও কার্যকর আলোচনা হতে পারে। যদিও এখনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি, কিন্তু ইতিবাচক বার্তা ভবিষ্যতের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে।”
বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলছেন, আলোচনার ফলাফল যতক্ষণ না শুল্ক স্থগিত, হ্রাস বা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দিকে এগোয়, ততক্ষণ বাজারে স্থায়ী প্রভাব আসবে না। তবে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত বার্তা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ইতিবাচকই বলা চলে।
স্বর্ণের দামে স্বস্তি নেই: ফের বাড়ল দাম, নতুন মূল্য কার্যকর আজ থেকে
দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বেড়ে আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) থেকে প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫১ টাকায়। সবশেষ সমন্বয়কৃত দামেই দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেঁজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দামের তালিকা
নতুন দাম অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হবে:
২২ ক্যারেট: ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫১ টাকা
২১ ক্যারেট: ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮০১ টাকা
১৮ ক্যারেট: ১ লাখ ৪১ হাজার ২৬৩ টাকা
সনাতন পদ্ধতি: ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫০ টাকা
বাজুস আরও জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছিল, যা ২৫ জুলাই থেকে কার্যকর ছিল। তখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা।
/আশিক
জুলাইয়ে রেকর্ড পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বাংলাদেশ বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে ৪৪৬.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত অর্থবছরের (অর্থবছর-২৫) জুলাই মাসে বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩৮৫.৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক বছরের ব্যবধানে এটি প্রায় ৬১ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
ইআরডির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীকে আসল বাবদ পরিশোধ করেছে ৩২৭.৭২ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের জুলাইয়ে ছিল ২৬৪.৮৮ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১১৮.৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের জুলাইয়ের ১২০.৭৯ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় সামান্য কম।
বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বাড়লেও, একই সময়ে ঋণ গ্রহণ কমেছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে ২০২.৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা পরিশোধের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।
তবে, একই মাসে নতুন প্রতিশ্রুতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে নতুন প্রতিশ্রুতি এসেছে ৮৩.৪৬ মিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের জুলাইয়ের ১৬.৪০ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।
গত অর্থবছরে (২০২৪-২৫) বাংলাদেশ আসল ও সুদ বাবদ মোট ৪.০৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৭৪.৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি।
তবে, গত অর্থবছরে নতুন ঋণ চুক্তি এবং ঋণ বিতরণের পরিমাণ উভয়ই কমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বাংলাদেশ নতুন ঋণ চুক্তি করেছে ৮.৩২৩ বিলিয়ন ডলারের, যা তার আগের অর্থবছরের ১০.৭৩৯ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম। একইভাবে, ঋণ বিতরণও কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৫৬৮ বিলিয়ন ডলারে, যা তার আগের অর্থবছরের ১০.২৮৩ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় কম।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), যার পরিমাণ ৭৭.৫০ মিলিয়ন ডলার। এরপর রয়েছে বিশ্বব্যাংক (৫৯.০৭ মিলিয়ন ডলার), জাপান (১৭.২৪ মিলিয়ন ডলার), ভারত (১৩.৬২ মিলিয়ন ডলার) এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা (৩৫.৩৩ মিলিয়ন ডলার)।
/আশিক
দেশের ইতিহাসে রিজার্ভের উত্থান-পতন: যা ছিল এবং এখন কী অবস্থা
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার দিন শেষে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ৩৩ লাখ ডলার। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ৩১ লাখ ডলার। গত রোববার গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০.৮৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৫.৮৭ বিলিয়ন ডলার।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করার পর দেশের গ্রস রিজার্ভ কমে ২৯.৫৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। আর বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ নেমে আসে ২৪.৫৬ বিলিয়ন ডলারে।
প্রবাসী আয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের কারণে গত জুনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৭২ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল, যা গত ২৮ মাসের মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ।
এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। গত জুন শেষে বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে ২৬.৬৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। ২০২৩ সালের জুন থেকে আইএমএফের শর্ত মেনে বাংলাদেশ ব্যাংক বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করছে। ওই সময় রিজার্ভ ছিল ২৪.৭৫ বিলিয়ন ডলার।
দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে কমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে তা ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
সরকার পতনের পর থেকে অর্থ পাচারে কঠোর নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন কারণে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। হুন্ডি ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়ে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার দেশে এসেছে। চলতি অর্থবছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৪১২ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯.৬০ শতাংশ বেশি।
/আশিক
বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডিন্যান্স ২০২৫: কী কী পরিবর্তন আসছে নতুন আইনে?
দশকের পর দশক ধরে চলা ব্যাংক লুটপাটের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দায়ী করা হয়েছে, কারণ প্রায়শই রাজনৈতিক চাপ ও ক্ষমতার কাছে সংস্থাটি নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে অনেক সময় আইনের বাইরে গিয়েও নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনকে খুণ্ন করেছে।
এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছেন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। ড. সাবেত সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটি ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২’ সংশোধন করে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া তৈরি করেছে এবং তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আর্থিক খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের কোনো বিকল্প নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করতে খসড়া আইনে কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে:
বোর্ডে সরকারি সদস্য: সরকার মনোনীত সদস্য সংখ্যা কমানো হবে।
নিয়োগের ক্ষমতা: গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর নিয়োগের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধানের পরিবর্তে রাষ্ট্রপতির হাতে যাবে।
জবাবদিহি: গভর্নরকে যেকোনো বিষয়ে সরাসরি সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
চাকরির মেয়াদ: গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের চাকরির মেয়াদ চার বছরের পরিবর্তে ছয় বছর করা হবে।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “সরকারি ব্যাংকগুলো সরকার চালায়, বেসরকারি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক চালায়—এমন দ্বৈত নীতি পৃথিবীর কোথাও নেই। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই খসড়া তৈরি করেছি।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে এবং অনিয়ম রোধে কোম্পানি আইনেও সংশোধনী আনা হচ্ছে।
/আশিক
গুজবে কান দেবেন না: ব্রাজিল থেকে মাংস আমদানি নিয়ে সরকারের বার্তা
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানি সংক্রান্ত খবর ছড়িয়ে পড়লে তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ব্রাজিল বাংলাদেশকে প্রতি কেজি ১২০ টাকায় গরুর মাংস সরবরাহ করবে’—এমন খবর পুরোপুরি মিথ্যা। সরকার বিদেশ থেকে, বিশেষ করে ব্রাজিল থেকে, গরুর মাংস আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। মন্ত্রণালয় জানায়, ভিত্তিহীন ও যাচাইবিহীন এই ধরনের সংবাদ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। জনসাধারণকে এই ধরনের মিথ্যা প্রচারে প্রভাবিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং দেশের চাহিদা দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমেই পূরণ করা সম্ভব। প্রাণিসম্পদ খাত শুধুমাত্র মাংস উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি নারীর ক্ষমতায়ন, আত্মকর্মসংস্থান, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রায় ১৫ লাখ প্রান্তিক খামারি এবং কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ৬ লাখের বেশি মৌসুমি খামারি গবাদিপশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দেশের শতভাগ কোরবানির পশুর চাহিদা দেশীয় উৎস থেকেই পূরণ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের মতে, মাংস একটি অত্যন্ত পচনশীল পণ্য, যার মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত একটি কার্যকর কোল্ড চেইন অবকাঠামো থাকা জরুরি। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের হিমায়িত মাংস সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য উপযুক্ত অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। কোল্ড চেইনের দুর্বলতা মাংসের গুণগত মান নষ্ট করে জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বিদেশ থেকে মাংস আমদানি করা হলে ক্ষুরারোগ (এফএমডি), ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি), যক্ষ্মা, ব্রুসেলোসিস এবং অ্যানথ্রাক্স-এর মতো জীবাণু দেশে প্রবেশের আশঙ্কা থাকে। এতে জনস্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদ মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। সরকার দেশীয় খামারিদের স্বার্থরক্ষা এবং জনগণকে মানসম্মত মাংস সরবরাহের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
/আশিক
তিন বছরে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে
বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার গত তিন বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্রতি চারজনের একজন এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। করোনার আগে তিন দশক ধরে দারিদ্র্য কমলেও বর্তমানে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
‘ইকোনমিক ডায়নামিকস অ্যান্ড মুড অ্যাট হাউসহোল্ড লেভেল ইন মিড ২০২৫’ শীর্ষক এই গবেষণায় বলা হয়, ২০২৫ সালের মে মাসে দেশে দারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ। অথচ ২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে এ হার ছিল মাত্র ১৮.৭ শতাংশ। এ হিসাব অনুযায়ী এখন প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।
গবেষণায় আরও বলা হয়, দেশের ১৮ শতাংশ পরিবার যে কোনো দুর্যোগ বা সংকটে হঠাৎ করেই দারিদ্র্যের নিচে নেমে যেতে পারে। অতি বা চরম দারিদ্র্যের হারও ২০২২ সালের ৫.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৯.৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
দারিদ্র্য বৃদ্ধির কারণ:
পিপিআরসি বলছে, দারিদ্র্যের এই উল্লম্ফন মূলত তিনটি বড় সংকটের প্রভাবে ঘটেছে:
- করোনা মহামারির দীর্ঘস্থায়ী ধাক্কা
- উচ্চ মূল্যস্ফীতি
- রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খাবার, চিকিৎসা, বাসাভাড়া ও শিক্ষা খাতে ব্যয় বেড়েছে। শহরে গড় আয় কমলেও ব্যয় বেড়ে গেছে। বর্তমানে শহরের পরিবারের মাসিক গড় আয় ৪০ হাজার টাকার সামান্য বেশি হলেও ব্যয় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। ফলে আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হয়ে পড়ছে এবং অনেক পরিবার ঋণের ফাঁদে পড়ছে।
বৈষম্য ও ঝুঁকি
পিপিআরসির জরিপে দেখা গেছে, সবচেয়ে দরিদ্র ১০ শতাংশ পরিবারের মাসিক আয় মাত্র ৮ হাজার টাকা, আর শীর্ষ ১০ শতাংশ পরিবারের আয় এক লাখ টাকার ওপরে। ফলে আয়বৈষম্য আরও প্রকট হচ্ছে। একই সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী রোগ, নারীপ্রধান দরিদ্র পরিবার, খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা, ঋণ বৃদ্ধি এবং অনিশ্চিত কর্মসংস্থান—এসব নতুন ঝুঁকির কারণে দারিদ্র্য থেকে উত্তরণের পথ আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
হোসেন জিল্লুর রহমানের মন্তব্য
গবেষণা প্রকাশ অনুষ্ঠানে পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ এখন ধারাবাহিক সংকটজনক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কেবল জিডিপি নয়, বরং সমতা, ন্যায়বিচার ও বৈষম্য হ্রাসকে গুরুত্ব দিতে হবে।” তিনি প্রবাসী আয়, স্থানীয় ভোক্তা বাজার ও ডিজিটাল ব্যবস্থার মতো ক্ষেত্রগুলোকে টিকে থাকার শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেন।
সুপারিশ
পিপিআরসি স্বল্পমেয়াদে দরিদ্র পরিবারের জন্য জরুরি সহায়তা, মধ্যমেয়াদে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কৌশলগত টাস্কফোর্স এবং দীর্ঘমেয়াদে জনমুখী দৃষ্টিকোণ থেকে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার আহ্বান জানিয়েছে।
২৫ আগস্ট ২০২৫-এর বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার প্রকাশ
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্ববাণিজ্যের সঙ্গে ক্রমশই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত হচ্ছে। দেশের কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি প্রতিদিনই পাঠাচ্ছেন রেমিট্যান্স, যা জাতীয় অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তিগুলোর একটি। প্রবাসীদের এই লেনদেন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কার্যক্রমকে নির্বিঘ্ন রাখতে প্রতিদিনের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ সোমবার (২৫ আগস্ট, ২০২৫) দিনের সর্বশেষ মুদ্রা বিনিময় হার প্রকাশ করেছে।
ডলারের সর্বশেষ হার
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, আজকের দিনে (সোমবার) আন্তঃব্যাংক বাজারে মার্কিন ডলারের সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ১২১ টাকা ৩৯ পয়সা এবং সর্বোচ্চ মূল্য ১২২ টাকা ৬৫ পয়সা। গড়ে প্রতি ডলারের বিনিময় হার দাঁড়িয়েছে ১২১ টাকা ৬৫ পয়সা। ডলারের এই ওঠানামা সরাসরি প্রভাব ফেলছে আমদানি-রপ্তানি খরচ এবং প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থে।
ইউরোপীয় মুদ্রা
আজকের বাজারে ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিং কেনার হার ধরা হয়েছে ১৬৫ টাকা ৯৫ পয়সা এবং বিক্রির হার ১৬৭ টাকা ৮০ পয়সা। অন্যদিকে ইউরো কেনার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৪ টাকা ৬৭ পয়সা এবং বিক্রির হার ১৪৯ টাকা ৫৭ পয়সা। ইউরোপীয় মুদ্রার এ তারতম্য মূলত ইউরোজোনে চলমান অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত।
এশীয় মুদ্রা
এশিয়ার মুদ্রার মধ্যে জাপানি ইয়েনের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ০.৮১ টাকা এবং বিক্রয়মূল্য ০.৮৪ টাকা। ভারতীয় রুপির ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ টাকা ৩৯ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ১ টাকা ৪০ পয়সা। অপরদিকে সৌদি রিয়েলের ক্রয়মূল্য ৩২ টাকা ২৫ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ৩২ টাকা ৫৯ পয়সা। বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসীদের জন্য রিয়েলের এই হার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রেমিট্যান্সের একটি বড় অংশ সৌদি আরব থেকে আসে।
অন্যান্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা
অস্ট্রেলিয়ান ডলারের ক্রয়মূল্য ৭৭ টাকা ৮৮ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ৭৮ টাকা ৭০ পয়সা। সিঙ্গাপুর ডলারের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৯২ টাকা ৭১ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ৯৬ টাকা ৫৯ পয়সা। একইভাবে কানাডিয়ান ডলারের ক্রয়মূল্য ৮৭ টাকা ২৩ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ৮৮ টাকা ১৬ পয়সা।
রেমিট্যান্সের চিত্রে মিশ্র বার্তা: আগস্টে গতি হারিয়েছে প্রবাস আয়
আগস্ট মাসের প্রথম ২৩ দিনে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৪ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)।
রবিবার (২৪ আগস্ট) এই তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসের এই সময়ে প্রতিদিন গড়ে প্রবাস আয় এসেছে সাত কোটি ৬০ লাখ ২৬ হাজার ৯৫৬ ডলার। গত বছর একই সময়ে প্রতিদিন প্রবাস আয় এসেছিল সাত কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৩ ডলার।
আগের মাস জুলাইয়ে প্রতিদিন প্রবাস আয় এসেছিল আট কোটি ২৫ লাখ ৯৫ হাজার ৬৬৬ ডলার। সেই হিসাবে রেমিট্যান্স আগের বছরের তুলনায় বাড়লেও আগের মাস জুলাইয়ের চেয়ে কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আগস্টের ২৩ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৯ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
/আশিক
আমদানি ব্যয় ৮০ টাকা, খুচরায় ৩০০: কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে চলছে কারসাজি
অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে দেশে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে। গত এক মাসে শুধু বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েই এক হাজার ৫২১ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। তবে, আমদানির পরিমাণ স্বাভাবিক থাকলেও খুচরা বাজারে দাম অনেক বেশি।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ১১টি ট্রাকে ১৬৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকদের নথিপত্র অনুযায়ী, ভারত থেকে প্রতি কেজি মরিচ আমদানিতে সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা খরচ হয়। অথচ বাজারে তা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বেনাপোলের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক হাফিজ আহমেদ জানান, তারা কম লাভে বিক্রি করলেও হাতবদল হয়ে খুচরা বাজারে দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ আমদানিতে সরকারকে ৩৬ টাকা শুল্ক দিতে হয়। যদি শুল্ক কমানো হয়, তাহলে আমদানি ব্যয় এবং বাজারে দাম কমবে।
বেনাপোলের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা আনন্দ জানান, আমদানি করা মরিচগুলো সাধারণত বিভাগীয় ও জেলা শহরে চলে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে সরবরাহ কম থাকে, যে কারণে দাম ঊর্ধ্বমুখী।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- ফ্যাসিস্ট আমলেও এমন হামলা হয়নি’: নুরের স্ত্রী মারিয়া নুর
- নুরের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার হবে, আশ্বাস দিলেন উপদেষ্টা আসিফ
- জামালপুরে বিএনপির সাবেক নেতার বিরুদ্ধে কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ
- আজকের বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান: আমীর খসরু
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে সরকারকে আইনি নোটিশ
- বিএনপি থেকে বহিষ্কার হলেন উদয় কুসুম বড়ুয়া
- উন্নতি হচ্ছে নুরুল হক নুরের: কথা বলছেন ও তরল খাবার খাচ্ছেন
- চ্যাটবটের সঙ্গে ভুলেও শেয়ার করবেন না যে ১০টি তথ্য
- প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে জামায়াত: নির্বাচনকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
- বুয়েটে কেউ পাত্তা দিত না: ব্যক্তিগত জীবনের গল্প শোনালেন অপি করিম
- প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে এনসিপি নেত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য
- নুরের ওপর হামলা ‘পূর্ব পরিকল্পিত’, মেরে ফেলার উদ্দেশ্য ছিল: রিজভী
- চবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- ৩১ আগস্ট শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ৩১ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- আইএসপিআরের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান,সেনাবাহিনী ও পুলিশই হামলা চালিয়েছে: রাশেদ খান
- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় আছে: রিজভী
- নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও সংঘর্ষ
- বাংলাদেশে প্রথম রোবটিক রিহ্যাব সেন্টার: চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত
- ডিএসই-তে শীর্ষ ২০ শেয়ার: ভ্যালু, ভলিউম ও ট্রেডে বাজারের গতি-প্রকৃতি
- দাবি পরিশোধ সক্ষমতায় শীর্ষে উঠে এলো একটি বীমা প্রতিষ্ঠান
- সরকারি সিকিউরিটিজে কুপন প্রদানের রেকর্ড ডেট ঘোষণা
- হাঁড়ি-কলসি থেকে টেরাকোটা: দোয়েল চত্বরে মাটির শিল্পের রঙিন দুনিয়া
- দেশের বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান, শেষ তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর
- দরজার নিচ দিয়ে গড়িয়ে পড়া রক্তে প্রকাশ পেল অচিন্তনীয় কাহিনি
- রুমিন ফারহানা ও হাসনাত সম্পর্কের নতুন মোড়
- ডা. তাহেরের বিতর্কিত মন্তব্যে চিকিৎসক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া
- ভারতের কেরালায় ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ: ‘বিফ ফেস্ট’
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পরীক্ষা স্থগিত, সেনা মোতায়েন
- জুলাই সনদ নিয়ে মতভেদ চরমে, আজ তিন দলের সঙ্গে বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের
- ব্ল্যাকহেড্স দূর করার ঘরোয়া উপায়: মাত্র দুটি জিনিস লাগবে
- মা-মেয়েকে অজ্ঞান করতে গিয়ে ধরা, নিজ জুসেই বেহুঁশ অজ্ঞান পার্টির সদস্য
- শরিয়াহবিরোধী,আখ্যায় আফগানিস্তানে নারীদের বিউটি পার্লার বন্ধে কঠোর অবস্থান
- টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের রেকর্ড ছুঁলেন লিটন, বাংলাদেশের সহজ জয়
- রংপুরে চাপা উত্তেজনা: জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ মুখোমুখি
- নুরের পাশে জামায়াত: ঢাকা মেডিকেলে তাহেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল
- খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান অংশ নেবেন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে
- শঙ্কামুক্ত নন: নুরকে আরও ৩৬ ঘণ্টা আইসিইউতে রাখার সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের
- ট্রাম্পের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে, কী বলছে হোয়াইট হাউস?
- নেদারল্যান্ডসকে ১৩৬ রানে আটকে দিল টাইগাররা
- সবার সক্রিয় সমর্থন চাই: ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কাছে তারেক রহমানের আহ্বান
- কড়া বার্তা অন্তর্বর্তী সরকারের
- সংসদ ভবনে আগুন দিল বিক্ষোভকারীরা
- এক মঞ্চে মামুনুল-চরমোনাই পীর: নির্বাচন ও জুলাই সনদ নিয়ে কঠোর বার্তা
- অ্যাপলের নতুন চমক: আইফোন ১৭ সিরিজ আসছে, কী থাকছে নতুন ফোনে?
- পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলতেই ৩২ বস্তা টাকা, এবার রেকর্ড ভাঙার আশা
- ভারত আমাদের হাত বেঁধে, মুখ ঢেকে বন্দীদের মতো করে নিয়ে যায়—এরপর সমুদ্রে ফেলে দেয়
- শিবচরে ৪ বাসের ভয়ংকর সংঘর্ষ, অচল হয়ে পড়েছে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে
- ডিএসই প্রকাশ করল নতুন মার্জিন ঋণযোগ্য সিকিউরিটিজ তালিকা
- মাহাথির মোহাম্মদ ও মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক রূপান্তর: নীতি, সংস্কার ও উত্তরাধিকার
- "জাতীয় নাগরিক পার্টি আসলে ইউনূসের দল, জামায়াতই দেশ চালাচ্ছে"
- জ্ঞান ফিরেছে নুরুল হক নুরের
- ২৭ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২৬ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ২৭ আগস্টের বন্ড মার্কেট আপডেট: কিছু বন্ডে দরপতন, বেশিরভাগই স্থবির
- ২৬ আগস্ট শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া বিপ্লব অসম্পূর্ণ: ডা. তাহের
- মাহফুজ আলমের উপস্থিতিতে নিউইয়র্কে কনস্যুলেটে আওয়ামী সহিংসতা, নিন্দার ঝড়
- নাইজেরিয়ার বাজারে ডেরিকা: টমেটো পেস্ট থেকে মাপের এককে রূপান্তরের গল্প
- ২৫ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- সার্কিট ব্রেকারে তালিকাভুক্ত দুই শীর্ষ কোম্পানি
- ডিএসইতে ব্যাংক শেয়ারের দাপট
- জুলাই সনদ নিয়ে মতভেদ চরমে, আজ তিন দলের সঙ্গে বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের