ওজন কমানোর রহস্য: ডায়েট নয়, সমস্যা লুকিয়ে আছে ৩টি অভ্যাসে

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৬ ১৭:৫৩:২৮
ওজন কমানোর রহস্য: ডায়েট নয়, সমস্যা লুকিয়ে আছে ৩টি অভ্যাসে
ছবিঃ সংগৃহীত

ওজন কমানো কিংবা শরীর সুস্থ রাখার জন্য অনেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, ডায়েট করেন। তবে অনেক চেষ্টার পরও দেখা যায়, বাড়তি ওজন যেন একচুলও নড়ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মূল কারণ শরীরচর্চা বা ডায়েট নয়, বরং কিছু অভ্যাসগত ভুল। বিশেষ করে ৩৫ বছর বয়সের পর এবং সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টার বেশি কাজের চাপ থাকলে শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে কোমরের চারপাশে একগুঁয়ে চর্বি জমে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ফিটনেস কোচ লার্স মিডেল এমন তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন, যার জন্য শত চেষ্টা করেও ওজন কমানো সম্ভব হয় না।

১. স্ন্যাকস খাওয়ার অভ্যাস

অনেকের ধারণা, শুকনো ফল, সালাদ বা স্যান্ডউইচের মতো খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর। কিন্তু বাস্তবে এসব খাবারেই প্রায় ৩ হাজার পর্যন্ত ক্যালরি থাকতে পারে। ফলে আপনি যত ব্যায়ামই করুন না কেন, এই বাড়তি ক্যালরিগুলো শরীরে জমতে থাকে। তাই বাড়তি ক্যালরি এড়াতে অপ্রয়োজনীয় স্ন্যাকিং বা অতিরিক্ত মুখরোচক খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।

২. রাতে অ্যালকোহল পান

গবেষণায় দেখা গেছে, গভীর রাতে অ্যালকোহল পান করলে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। সন্ধ্যা ৬টার পর অ্যালকোহল গ্রহণ করলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এর ফলে শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণ করাই কঠিন হয় না, পাশাপাশি ঘুমেরও সমস্যা দেখা দেয়। তাই ফিট থাকতে চাইলে অ্যালকোহলকে সম্পূর্ণভাবে ‘না’ বলুন।

৩. লুকানো ক্যালরি

অনেক সময় আমরা যেসব খাবারকে নির্দোষ ভাবি, সেগুলোতেও লুকিয়ে থাকে বাড়তি ক্যালরি। যেমন—সালাদের ড্রেসিং, তেলে ভাজা খাবার কিংবা লবণ মেশানো কাজুবাদাম। নিয়মিত এসব খেলে শরীরে বাড়তি ক্যালরি জমা হতে থাকে। তাই খাবার বাছাইয়ের আগে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।


সকালের শুরুতে কেন বাদাম খাবেন? জেনে নিন ৫টি স্বাস্থ্যকর কারণ

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ২১:৫০:০২
সকালের শুরুতে কেন বাদাম খাবেন? জেনে নিন ৫টি স্বাস্থ্যকর কারণ
ছবিঃ সংগৃহীত

জীবনের প্রথম আহারে কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান যুক্ত থাকলে সারাদিনের কার্যক্ষমতা অনেক গুণ বেড়ে যায়। এই স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলোর মধ্যে বাদাম অন্যতম। ছোটখাটো এই খাবারটি পুষ্টিতে ভরপুর এবং নিয়মিত সকালে বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য একাধিকভাবে উপকারী।

বাদামের পুষ্টি উপাদান

বাদামের (যেমন আখরোট, কাজু, পেস্তা, কাঠবাদাম) মধ্যে রয়েছে:

প্রোটিন

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (ওমেগা-৩ এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট)

ফাইবার

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

ভিটামিন ই, বি৬

ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক ইত্যাদি

সকালে বাদাম খাওয়ার ৫টি উপকারিতা

১. সারাদিনের শক্তি: সকালে বাদাম খেলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, যা আপনাকে দিনভর কর্মক্ষম রাখে। প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে দুর্বলতা বা ক্লান্তি সহজে আসে না।

২. হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর: বাদামে থাকা ফাইবার হজমক্রিয়াকে সহায়তা করে, পেট পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: পরিমাণমতো বাদাম খেলে তা পেট ভরা রাখে দীর্ঘসময়। এতে অপ্রয়োজনীয় খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কাজ করে।

৪. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: বাদামে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা ভালো রাখে। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

৫. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি: বাদামের ভিটামিন ই, ওমেগা-৩ এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ মস্তিষ্কের কোষের পুষ্টি নিশ্চিত করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। এটি চুল ও ত্বকের জন্যও উপকারী।

বাদাম গ্রহণের পদ্ধতি ও সতর্কতা

খাওয়ার নিয়ম: প্রতিদিন সকালে ৫-৬টি ভিজানো অ্যালমন্ড খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। অন্যান্য বাদামগুলিও ২০-৩০ গ্রাম পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

সতর্কতা: চিনি বা লবণমিশ্রিত বাদাম এড়িয়ে চলা ভালো। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য কাঁচা বা ভেজানো বাদাম উপযুক্ত। বাদামে অ্যালার্জি থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।


প্রস্রাবে ফেনা কেন হয়? কখন বুঝবেন এটি কিডনি রোগের সংকেত?

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ২০:৪২:৩৩
প্রস্রাবে ফেনা কেন হয়? কখন বুঝবেন এটি কিডনি রোগের সংকেত?
ছবি: পেক্সেলস

প্রস্রাবে ফেনা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। অনেক কারণে এটি হতে পারে—যেমন লম্বা সময় প্রস্রাব চেপে রাখা। বেশি গতিতে যেকোনো তরল কোথাও পড়লে যেমন ফেনা হয়, প্রস্রাবের ক্ষেত্রেও এটা স্বাভাবিক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ফেনার মাত্রা বেশি হয় বা দীর্ঘদিন ধরে দেখা যায়, তবে এটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।

অনেক কারণেই প্রস্রাবে ফেনা হতে পারে:

স্বাভাবিক গতি: লম্বা সময় প্রস্রাব চেপে রাখার পর বেশি গতিতে প্রস্রাব করলে ফেনা হতে পারে।

প্রোটিনের উপস্থিতি: প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন বেরিয়ে গেলে সাদাটে ফেনা দেখা যায়।

কিডনি সমস্যা: বিভিন্ন রোগ, যা কিডনির কার্যক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করে, সেগুলোর কারণে এমনটা হতে পারে।

পানিশূন্যতা: পানিশূন্যতায় (ডিহাইড্রেশন) ভুগলেও কিছুটা ফেনা দেখা যেতে পারে।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি

প্রস্রাবে ফেনা হলেই যে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, তা নয়। একজন সুস্থ ব্যক্তির মাঝেমধ্যে কিছুটা ফেনা হতেই পারে। কিন্তু কিছু লক্ষণ দেখলে অবহেলা করা উচিত নয়:

বেশি ফেনা বা স্থায়ীত্ব: যদি প্রস্রাবে অনেক বেশি ফেনা হয় কিংবা ফেনার মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে (এমনকি একবার ফ্লাশ করার পরও ফেনা দূর না হলে)।

ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি: টানা বেশ কিছুদিন প্রস্রাবে অল্প পরিমাণ ফেনা দেখা দিলে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে প্রোটিন যাওয়া মারাত্মক হতে পারে।

কিডনি রোগী: আগে থেকেই কিডনির রোগ থাকলে এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসককে জানান।

প্রতিরোধে করণীয়

প্রস্রাবের সঙ্গে ফেনার পাশাপাশি যদি রং গাঢ় হয়ে যায় কিংবা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে তা পানিশূন্যতার লক্ষণ হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে তরল খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন (যদি অতিরিক্ত পানি খাওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকে)।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লম্বা সময় ধরে প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাস এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এই অভ্যাস প্রস্রাবের সংক্রমণ এবং অন্যান্য জটিলতা তৈরি করতে পারে।


অস্টিওপোরোসিস থেকে মুক্তি: গর্ভাবস্থায় হাড় শক্ত রাখতে মেনে চলুন এই নিয়ম

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৭:১৬:৪৪
অস্টিওপোরোসিস থেকে মুক্তি: গর্ভাবস্থায় হাড় শক্ত রাখতে মেনে চলুন এই নিয়ম
ছবিঃ সংগৃহীত

গর্ভাবস্থা প্রতিটি নারীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এই সময় শরীরে নানা পরিবর্তন আসে, যার মধ্যে একটি সাধারণ কিন্তু অবহেলিত সমস্যা হলো হাড়ের দুর্বলতা বা অস্টিওপোরোসিস। চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলছেন, গর্ভাবস্থায় এই হাড় ক্ষয়ের কারণে হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি পর্যন্ত তৈরি হতে পারে। এই সমস্যা এড়ানোর জন্য শুরু থেকেই যত্ন নেওয়া জরুরি।

হাড় দুর্বল হওয়ার কারণ

গর্ভাবস্থায় শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বদলে যায় এবং শরীরের গঠনে পরিবর্তন আসে। এসব কারণে অনেক নারী হাড়ের ঘনত্ব হারান, যাকে গর্ভাবস্থাজনিত অস্টিওপোরোসিস বলা হয়। এটি এমন এক ধরনের হাড় ক্ষয়, যাতে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়। বিশেষ করে বয়স্ক নারীরা বা যাদের আগে থেকেই হাড় দুর্বল, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।

হাড় ভালো রাখতে করণীয়

১. ক্যালসিয়াম গ্রহণ: হাড় ভালো রাখার জন্য ক্যালসিয়াম খুব দরকার। গর্ভাবস্থায় এই খনিজ উপাদানের প্রয়োজন আরও বেড়ে যায়, কারণ মায়ের সঙ্গে সঙ্গে শিশুরও হাড় তৈরি হয়।

খাদ্য: প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ, সবুজ শাকসবজি এবং দুগ্ধজাত খাবার (যেমন দই, পনির) খান।

সাপ্লিমেন্ট: প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খান।

২. ভিটামিন ডি: শরীর যেন ক্যালসিয়াম শোষণ করতে পারে, তার জন্য দরকার ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি পেতে ডিমের কুসুম, মাশরুম, ফ্যাটি ফিশ খান এবং প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকুন।

৩. হালকা ব্যায়াম: সুস্থ থাকতে ব্যায়াম খুব দরকার, এমনকি গর্ভাবস্থাতেও। হাঁটা, হালকা যোগব্যায়াম বা সাঁতার করলে হাড় মজবুত থাকে এবং মনও ভালো থাকে। তবে যেকোনো ব্যায়াম শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৪. ক্ষতিকর অভ্যাস ত্যাগ: গর্ভাবস্থায় ধূমপান ও মদ্যপান একদম এড়িয়ে চলুন। এগুলো শুধু শিশুর নয়, মায়ের হাড়েরও ক্ষতি করে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা প্রক্রিয়াজাত খাবারও কম খাওয়া ভালো।

গর্ভাবস্থায় হাড় দুর্বল হওয়া অস্বাভাবিক নয়, কিন্তু সঠিক খাবার, হালকা শরীরচর্চা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে এটি এড়ানো সম্ভব। সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন এবং নিজের যত্ন নিন।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


অবিশ্বাস্য! ১১ বছর বয়সী শিশুর মুখে ৮১টি দাঁত

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৬:০৮:৩৬
অবিশ্বাস্য! ১১ বছর বয়সী শিশুর মুখে ৮১টি দাঁত
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতের চিকিৎসকরা এক ১১ বছর বয়সী একটি শিশুর মুখে অবিশ্বাস্য ৮১টি দাঁত আবিষ্কার করেছেন। বিরল এক দাঁতের রোগ ‘হাইপারডনশিয়া’ (Hyperdontia)-এর কারণে এমন অস্বাভাবিকভাবে দাঁত গজিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাধারণত মানুষের মুখে ৩২টি স্থায়ী দাঁত থাকে, কিন্তু এই রোগে আক্রান্তদের মুখে দাঁতের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এটি ঘটে ‘ডেন্টাল লামিনা’ নামের এক বিশেষ টিস্যুর অস্বাভাবিক কার্যকলাপের কারণে।

বিরলতা ও ঝুঁকি

চিকিৎসকদের মতে, জিনগত পরিবর্তন, বিকাশজনিত ত্রুটি বা কিছু নির্দিষ্ট সিনড্রোম (যেমন গার্ডনার সিনড্রোম ও ক্লেইডোক্রানিয়াল ডিসপ্লাসিয়া)-এর কারণে এই অতিরিক্ত দাঁত গজাতে পারে। সাধারণত অতিরিক্ত ১ থেকে ৪টি দাঁতের ঘটনা দেখা গেলেও, ৮১টি দাঁত থাকার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি মানুষের দাঁতের বিকাশ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে।

পূর্বের ঘটনা: এর আগেও ২০১৯ সালে ভারতের এক সাত বছর বয়সী শিশুর চোয়াল থেকে ৫২৬টি দাঁতের মতো গঠন অপসারণের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে।

চিকিৎসা ও গবেষণা

চিকিৎসকরা জানান, হাইপারডনশিয়া সনাক্ত করা হয় প্যানোরামিক এক্স-রে বা ত্রিমাত্রিক (৩ডি) স্ক্যানের মাধ্যমে। পরে সার্জারির মাধ্যমে অতিরিক্ত দাঁত অপসারণ করা হয়, যাতে মুখের ভেতর জায়গা সংকোচন, ব্যথা বা চোয়ালের বিকৃতি না ঘটে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের বিরল ঘটনা গবেষকদের জন্য মানবদেহে দাঁত গঠনের প্রক্রিয়া বা টুথ মর্ফোজেনেসিস সম্পর্কে নতুন তথ্য উদঘাটনে সহায়ক হবে।


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ভেষজ পাতা: কীভাবে ও কখন খাবেন কুলেখাড়া?

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ২১:২০:১৮
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ভেষজ পাতা: কীভাবে ও কখন খাবেন কুলেখাড়া?
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে সুগার আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে উল্লেখিত প্রাকৃতিক উপাদানের কদর বাড়ছে। এই প্রাকৃতিক নিরাময়ের মধ্যে অন্যতম ভূমিকা রাখে কুলেখাড়া (Kulekhara)। বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, কুলেখাড়া সুগারকে বশে রাখতে পারে। এ বার প্রশ্ন হলো, কখন এবং কোন উপায়ে কুলেখাড়া খেলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে?

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে কুলেখাড়ার কদর

আয়ুর্বেদের প্রাচীন গ্রন্থ ‘চরক সংহিতা’ ও ‘সুশ্রুত সংহিতা’-তে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। কুলেখাড়ার মধ্যে থাকা ট্যানিন, ফ্ল্যাভোনয়েডস ও স্যাপোনিন জাতীয় উপাদানগুলো রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।

কুলেখাড়ার রস আলফা অ্যামাইলেজ ও আলফা গ্লুকোসাইডেজ উৎসেচককে প্রতিরোধ করতে পারে। যার ফলে শর্করার হজম প্রক্রিয়া অনেক ধীর গতির হয়ে যায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কখন এবং কীভাবে খাবেন কুলেখাড়া?

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কুলেখাড়া সেবনের তিনটি সহজ উপায় নিচে দেওয়া হলো:

১. সকালে খালি পেটে রস: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২০-৩০ মিলিলিটার কুলেখাড়ার রস পান করলে ভালো ফল মেলে।

২. পাতার কাত্থ (ক্বাথ): ১০ গ্রাম শুকনো কুলেখাড়া পাতা ২০০ মিলিলিটার জলে দিয়ে জ্বাল দিতে দিতে ৫০ মিলিলিটারে নিয়ে আসতে হবে। এই কাত্থ দিনে দুই বারে পান করতে পারেন।

৩. গুঁড়ো ও মধু: যেহেতু স্বাদে কুলেখাড়া তেঁতো, তাই এটি সরাসরি খেতে না পারলে পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে তাতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

ডায়াবেটিসের পাশাপাশি এই ভেষজ যকৃতের নানা রোগ, রক্ত তৈরি ও শোধনে এবং মূত্রবর্ধনেও বিশেষ কাজে লাগে।


সুস্থ থাকতে আটার রুটিতে মেশান ৩ উপাদান, দেখুন ম্যাজিক!

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৯:৪৮:৩০
সুস্থ থাকতে আটার রুটিতে মেশান ৩ উপাদান, দেখুন ম্যাজিক!
ছবিঃ সংগৃহীত

খাবারের তালিকায় আটার রুটি অনেকেরই পছন্দের। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে অনেকেই ভাতের পরিবর্তে আটার রুটিকে প্রাধান্য দেন। যদি আপনিও তাদের একজন হয়ে থাকেন, তবে জেনে নিন, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে আটার রুটিতে মেশাবেন কোন তিনটি বিশেষ উপকরণ।

ভাত ও রুটির পুষ্টিগুণে খুব বেশি পার্থক্য নেই, উভয়ই শস্যজাতীয় খাবার এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। তবে ভাতের চেয়ে রুটি সহজে হজম হয় না, যে কারণে পেট বেশিক্ষণ ভরিয়ে রাখে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে।

রুটির পুষ্টিগুণ বাড়াবে যে ৩ উপাদান

আটার রুটিপ্রেমীদের জন্য পুষ্টিবিদরা রুটি তৈরিতে তিনটি বিশেষ উপাদান মেশানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। একেক দিন একেকটি উপাদান মিশিয়ে রুটি তৈরি করলে স্বাদের যেমন পার্থক্য হবে, তেমনি বাড়বে রুটির পুষ্টিগুণও।

১। কালোজিরা: প্রকৃতির এক বিস্ময়কর বীজ হলো কালোজিরা, যা মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ওষুধ হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে রয়েছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন, লিনোলিক অ্যাসিড, ওলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

ব্যবহারের উপায়: স্বাভাবিকভাবে গোল রুটি তৈরি করে তাতে কালোজিরা ছিটিয়ে দিন। এরপর কালোজিরা যেন রুটি থেকে বের হয়ে না যায়, সেজন্য বেলন-পিঁড়িতে আরেকবার রুটিটি বেলে নিন।

২। তিল: একই পদ্ধতিতে আটার রুটিতে তিল ব্যবহার করতে পারেন। তিলে থাকা প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি ও ই, ক্যালসিয়াম ও আয়রন-এর মতো উপাদান রুটির পুষ্টিগুণ আরও বাড়িয়ে তুলবে।

৩। বিভিন্ন ধরনের বাদাম: আটার রুটি তৈরি করতে বিভিন্ন ধরনের বাদামও মেশাতে পারেন। বাদাম কুচি করে কিংবা ব্লেন্ডারে পাউডার করে আটার মিশ্রণে মিশিয়ে রুটি তৈরি করুন। এতে করে এই রুটি সারাদিন আপনাকে সতেজ ও শক্তিশালী রাখতে কাজ করবে।


অ্যালার্জি থেকে মুক্তি চান? খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৫ খাবার

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৪:৩৪:৪৫
অ্যালার্জি থেকে মুক্তি চান? খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৫ খাবার
ছবিঃ সংগৃহীত

অ্যালার্জি একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি অনেক সময় খাদ্যনালি, শ্বাসনালি বা চোখের মতো স্পর্শকাতর অঙ্গে দেখা দিলে মারাত্মক হতে পারে। অ্যালার্জির সঠিক কারণ জানা গেলে তার চিকিৎসা সম্ভব। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকলে অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকা সম্ভব। অ্যালার্জির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়ে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার যুক্ত করা জরুরি।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, অ্যালার্জি প্রতিরোধে ৫টি কার্যকর খাদ্যাভ্যাস:

১. ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল ও সবজি: ভিটামিন ‘সি’ একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি হিস্টামিন নামক রাসায়নিকের নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে, যা অ্যালার্জির উপসর্গ তৈরি করে।

যেগুলো খাবেন: আমলকী, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, পেঁপে, ক্যাপসিকাম এবং ব্রকোলির মতো ফল ও সবজি।

২. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (বিশেষ করে EPA এবং DHA) শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং অ্যালার্জির উপসর্গ কমাতেও কার্যকর।

যেগুলো খাবেন: স্যালমন, টুনা, ম্যাকেরেল বা অন্যান্য তৈলাক্ত সামুদ্রিক মাছ। উদ্ভিজ্জ উৎস হিসেবে আখরোট ও ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি বীজ)।

৩. প্রোবায়োটিকস: প্রোবায়োটিক হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে। অ্যালার্জি প্রতিরোধে অন্ত্রের সুস্থতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

যেগুলো খাবেন: টকদই, কেফির এবং বাটারমিল্ক।

৪. কুয়ারসেটিন যুক্ত খাবার: কুয়ারসেটিন হলো এক ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-হিস্টামিন হিসেবে কাজ করে এবং অ্যালার্জির কারণে হওয়া প্রদাহ কমায়।

যেগুলো খাবেন: পেঁয়াজ (বিশেষত লাল পেঁয়াজ), আপেল (খোসাসহ), আঙুর, বেরি, ব্রকোলি এবং গ্রিন টি।

৫. হলুদ: হলুদে থাকা প্রধান সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন। এটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অ্যালার্জিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত।

যেভাবে খাবেন: কাঁচা হলুদের সঙ্গে চারটি গোলমরিচের দানা মিশিয়ে খালিপেটে খেতে পারেন।

সতর্কতা

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই খাবারগুলো অ্যালার্জির উপসর্গ কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করলেও, এগুলো কোনো চিকিৎসার বিকল্প নয়। গুরুতর অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১০ ১৯:৪৮:২৭
মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন

মাইগ্রেন শুধু “খারাপ মাথাব্যথা” নয়; এটা একধরনের স্নায়বিক সমস্যা। মাথার একপাশে বা দু’পাশে ধকধকে ব্যথা, আলো–শব্দে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব বা বমি, মাথা ঘোরা—এসবই মাইগ্রেনের পরিচিত মুখ। কারও কারও ক্ষেত্রে ব্যথার আগে চোখে ঝিলিমিলি আলো দেখা, কথায় জড়ানো, জিভ/হাতে ঝিনঝিনি—এগুলোকে বলা হয় “অরা”। সাধারণত একটি আক্রমণ ৪–৭২ ঘণ্টা থাকে; ৭২ ঘণ্টার বেশি চললে হাসপাতালে দেখানো দরকার।

মাইগ্রেন কেন হয়—এক কথায় বললে “ব্রেনের নেটওয়ার্কে” সাময়িক বিশৃঙ্খলা। মস্তিষ্কের ব্যথা–পথ সক্রিয় হয়ে মাথার আবরণে প্রদাহ–রক্তনালির প্রসারণ ঘটায়, তাই ব্যথা ধকধকে লাগে। পারিবারিক ইতিহাস, হরমোনের ওঠানামা (বিশেষ করে মাসিকের সময়), ঘুমে অনিয়ম, স্ট্রেস, কিছু খাবার (পুরোনো চিজ, প্রসেসড মাংস, চকলেট, এমএসজি/অ্যাসপার্টেম), অতিরিক্ত/হঠাৎ ক্যাফেইন–অ্যালকোহল, তীব্র আলো–শব্দ–গন্ধ, আবহাওয়া বদল, হঠাৎ ভারী ব্যায়াম—এসব ট্রিগার অনেকের ক্ষেত্রে কাজ করে। কার কার কীতে ট্রিগার হচ্ছে, সেটা বোঝার সহজ উপায় হলো ছোট একটা “হেডেক ডায়েরি”—কবে, কতক্ষণ, কী খেয়েছিলেন/ঘুম–স্ট্রেস কেমন ছিল—এগুলো নোট নিন; ২–৩ সপ্তাহেই নিজের প্যাটার্ন ধরতে পারবেন।

লক্ষণগুলো কেমন? বেশির ভাগ মানুষ বলেন—ব্যথা নড়াচড়ায় বাড়ে, আলো–শব্দ খারাপ লাগে, বমি বমি ভাব থাকে, চোখ–কপাল–কানপাশে চাপ লাগে। অনেকের ঘাড় টনটনে, মাথার ত্বক সংবেদনশীল লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। আক্রমণের আগের ১–২ দিন হাই ওঠা, মেজাজ বদল, ঘাড় শক্ত, হঠাৎ কিছু খেতে মন চাওয়া বা বারবার প্রস্রাবের মতো সংকেতও আসতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে মাঝেমাঝে “অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন”—মাথার বদলে পেটের মাঝখানে ব্যথা–বমি বমি ভাব দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় কারও কারও মাইগ্রেন কমে, আবার প্রসবের পর হরমোন বদলে বাড়তেও পারে—তাই পরিকল্পনা করে চলাই ভালো।

কখনই দেরি করবেন না? জীবনের “সবচেয়ে তীব্র” আকস্মিক মাথাব্যথা, জ্বর–ঘাড় শক্ত–জড়ানো কথা–দৃষ্টি ডাবল, শরীরের একপাশ হঠাৎ দুর্বল/অসাড়, মাথায় আঘাতের পর নতুন ব্যথা, >৫০ বছর বয়সে নতুন মাথাব্যথা—এসব হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা নিন। এগুলো অন্য গুরুতর সমস্যারও ইঙ্গিত হতে পারে।

নির্ণয় সাধারণত ইতিহাস–লক্ষণেই হয়। চিত্র অস্বাভাবিক হলে বা “রেড ফ্ল্যাগ” থাকলে ডাক্তার MRI/CT, রক্তপরীক্ষা বা বিরল ক্ষেত্রে স্পাইনাল ট্যাপ করতে পারেন—স্ট্রোক/টিউমার/সংক্রমণ排除 করতেই এসব লাগে।

চিকিৎসা দুই ভাগ—আক্রমণ থামানো ও আগাম প্রতিরোধ। আক্রমণের শুরুতেই পানি খান, অন্ধকার–নিঃশব্দ ঘরে শুয়ে পড়ুন, কপাল/ঘাড়ে ঠাণ্ডা সেঁক দিন। ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল/আইবুপ্রোফেন/নাপ্রোক্সেন দ্রুত নিন (খালি পেটে নয়); বমি বমি ভাব থাকলে ডাক্তারি পরামর্শে মেটোক্লোপ্রামাইড/ডমপেরিডন যোগ হয়। তীব্র মাইগ্রেনে “ট্রিপটান” (যেমন সুমাট্রিপটান/রিজাট্রিপটান) খুব কার্যকর—নাসাল স্প্রে/ট্যাবলেট/ইনজেকশন আকারে পাওয়া যায়। ট্রিপটান না হলে বা মানায় না—নতুন জেনারেশনের “জিপ্যান্ট” (CGRP ব্লকার) বা “ডিট্যান” আছে; এগুলো ডাক্তারের পরামর্শেই নেবেন। গুরুত্বপূর্ণ—মাসে ৮–১০ দিনের বেশি পেইনকিলার/ট্রিপটান ব্যবহার করলে “মেডিকেশন ওভারইউজ হেডেক” হতে পারে; তাই বারবার হলে প্রতিরোধের পরিকল্পনায় যান।

প্রতিরোধমূলক ওষুধ কাদের দরকার? মাসে চার বা তার বেশি মাইগ্রেন–দিন হলে, আক্রমণ ১২ ঘণ্টার বেশি হলে, কাজ–জীবন ভীষণ ব্যাহত হলে। অপশন আছে—বিটা–ব্লকার (প্রোপ্রানোলল/মেটোপ্রোলল), ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার (ফ্লুনারিজিন/ভেরাপামিল), অ্যামিট্রিপটাইলিন/ভেনলাফাক্সিন, টপিরামেট/ভ্যালপ্রোয়েট (গর্ভ–উপযোগী নয়), ক্রনিক মাইগ্রেনে বোটক্স, আর টার্গেটেড CGRP–মোনোক্লোনাল ইনজেকশন (মাসিক/দুই–তিন মাস অন্তর)। কার জন্য কোনটি—এটা সম্পূর্ণই ব্যক্তিভেদে; আপনার অন্যান্য রোগ–ওষুধ–গর্ভধারণের পরিকল্পনা—সব বিবেচনায় ডাক্তার ঠিক করেন। ওষুধছাড়া কিছু FDA–ক্লিয়ারড ডিভাইসও আছে—ঘাড়/কপাল/মাথার স্নায়ুতে হালকা ইলেকট্রিক/ম্যাগনেটিক স্টিমুলেশন—যেগুলো নির্বাচিত রোগীতে উপকারী হতে পারে।

জীবনযাপনই আসল “ফাউন্ডেশন”—একই সময়ে শোয়া–উঠা, ৭–৮ ঘণ্টা নিয়মিত ঘুম; খাবার স্কিপ নয়, পর্যাপ্ত পানি; সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটা/হালকা কার্ডিও; স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট (গভীর শ্বাস, ধ্যান, প্রগ্রেসিভ মাংস–রিল্যাক্সেশন); স্ক্রিনে ২০–২০–২০ নিয়ম (২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ড ২০ ফুট দূরে তাকান), ব্লু–লাইট ফিল্টার; কাজের জায়গায় কড়া আলো–তীব্র গন্ধ এড়ানো। খাবারের ক্ষেত্রে “ট্রিগার–খাবার” সবার এক নয়—তাই ডায়েরি দেখে সিদ্ধান্ত নিন। সাধারণভাবে প্রিজারভেটিভ/অতিপ্রক্রিয়াজাত খাদ্য কমিয়ে শাকসবজি–ফল, বাদাম–বীজ, ডাল–শস্য, মাছ–ডিমের দিকে ঝুঁকুন; পানি–ই ইঞ্জিনের জ্বালানি।

শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে রুটিনটাই প্রথম ওষুধ—ঘুম–খাবার–স্ক্রীন–খেলা ব্যালান্সে রাখুন; ওজন–ভিত্তিক ডোজে চিকিৎসা হয়। গর্ভাবস্থায় ওষুধের নিয়ম আলাদা—নন–ড্রাগ কৌশল আগে, প্রয়োজনে কিছু সীমিত–নিরাপদ অপশন; নিজে নিজে কিছু শুরু/বন্ধ করবেন না। মাসিক–সম্পর্কিত মাইগ্রেনে মাসিকের আগ–পরে কয়েকদিন “শর্ট–উইন্ডো” প্রতিরোধ কাজ দেয়—ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।

সবশেষে, একটা সহজ ৫–পয়েন্ট অ্যাকশন প্ল্যান—আজ থেকেই: (১) ছোট হেডেক ডায়েরি শুরু করুন, (২) একই সময়ে ঘুম–খাবার—স্কিপ নয়, (৩) পানি ২–২.৫ লিটার, ক্যাফেইন নিয়ন্ত্রণ, (৪) ৩০ মিনিট হাঁটা + ১০ মিনিট শ্বাস–ব্যায়াম, (৫) ট্রিগার–খাবার ২ সপ্তাহ বাদ দিয়ে দেখুন—উপকার মিলল কি না। আক্রমণ বাড়তে থাকলে বা কাজকর্মে বড় বাধা হলে দেরি না করে নিউরোলজিস্টের সঙ্গে প্রতিরোধমূলক পরিকল্পনা করুন।

মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণযোগ্য। লক্ষ্য একটাই—আক্রমণের সংখ্যা, তীব্রতা ও অক্ষমতা কমিয়ে আপনাকে স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনে রাখা। ধৈর্য, নিয়মিত রুটিন আর টেইলার্ড চিকিৎসা—এই তিনে সমাধানই “মেইন স্ট্রিট”–এর জন্য সবচেয়ে বাস্তব পথ।


স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ২২:০৩:০৩
স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন। শারীরিক সক্ষমতা ধরে রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল ও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে রান্নাঘরে পরিবর্তন আনা জরুরি—তেলের ব্যবহার কমিয়ে শাকসবজি ও দানাশস্যের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কিন্তু অনেকেই তেল কম দিয়েও সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করার কৌশল জানেন না।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন উপায়ে এবং কীভাবে রান্নায় তেলের ব্যবহার কমাবেন:

তেল কমানোর ৫টি সহজ কৌশল

১. চামচ ব্যবহার করুন: তেলের জার থেকে কড়াইতে সরাসরি তেল ঢালা থেকে বিরত থাকুন। এতে তেল বেশি ব্যবহার হয়। এর বদলে একটি চামচ ব্যবহার করে মেপে মেপে তেল ব্যবহার করুন।

২. খাবার ভাপিয়ে নিন: সব সময় কষিয়েই রান্না করতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। শাকসবজি বা মাংস—তেল দিয়ে রান্না করার আগে তা ভাপিয়ে নিন। ভাপিয়ে নিলে ভাজার আগে তেল কম লাগে এবং খাবারের পুষ্টিগুণ ও স্বাদ অটুট থাকে।

৩. সঠিক পাত্র ব্যবহার: কম তেলে রান্না করতে হলে সঠিক পাত্র বেছে নেওয়া জরুরি। ননস্টিক প্যান ব্যবহার করলে কম তেলেই সুস্বাদু পদ রান্না করা যায়। কয়েক ফোঁটা তেলে ভাজাভুজি রান্না করতে আপনি এয়ার ফায়ারও বেছে নিতে পারেন।

৪. রান্নার আগে ম্যারিনেট: মাছ কিংবা মাংস রান্নার আগে ম্যারিনেট করে রাখুন। ম্যারিনেট করা খাবার দ্রুত রান্না হয়ে যায় এবং তেলও কম লাগে। ম্যারিনেশনের সময়ে এক চামচ তেল বা দই ব্যবহার করলে আর অতিরিক্ত তেলের দরকার পড়বে না।

৫. আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না: আঁচ কমিয়ে এবং ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। আঁচ কমিয়ে রান্না করলে খাবারের পুষ্টিগুণ অটুট থাকে। আর ঢাকা দিয়ে রান্না করলে কম তেলেও সুস্বাদু খাবার তৈরি করা সম্ভব। উচ্চ তাপমাত্রায় রান্নার চেয়ে এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।

পাঠকের মতামত: