১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে সরকার : ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ আয়তনে ইতালির অর্ধেক, কিন্তু ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে। এর পাশাপাশি দেশটি আরও ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিখাতে বাংলাদেশের অর্জন
ড. ইউনূস বাংলাদেশের কৃষিখাতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি তুলে ধরেন:
খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ: তিনি বলেন, “আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি আমরা।”
শীর্ষ উৎপাদক: বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি।
ফসল চাষের ঘনত্ব: দেশের কৃষকরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন।
প্রযুক্তি ও ভর্তুকি: তিনি জানান, সরকার কৃষি প্রযুক্তিতে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়েছে এবং ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।
খাদ্য নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসব উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশে শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে এবং কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তিনি আনন্দিত যে, ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড পিস’—যার তিনি একজন সদস্য—তা এখন ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও)-এর একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এটি আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।
খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে ফোরামে ড. ইউনূসের ৬ প্রস্তাব
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জনগণের ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে যাবে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে বিশ্ব খাদ্য ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্ষুধার জন্য অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে তিনি দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে ছয় দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।
ছয় দফা প্রস্তাব
প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ব খাদ্য ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ড. ইউনূস প্রথমেই জুলাই শহীদদের স্মরণ করে বলেন, তরুণদের আকাঙ্ক্ষার দেশ গড়তে সব প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন করা হচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য ও অর্থনৈতিক কাঠামো সংস্কারের জন্য তার ছয় দফা প্রস্তাবগুলো হলো:
১. যুদ্ধ বন্ধ করা: যুদ্ধ বন্ধ করুন, সংলাপ শুরু করুন এবং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে খাদ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। এর মাধ্যমে ক্ষুধা ও সংঘাতের দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে।
২. এসডিজি ও জলবায়ু: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অর্থায়নের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩. আঞ্চলিক খাদ্য ব্যাংক: আঞ্চলিক খাদ্য ব্যাংক গঠন করে খাদ্য সরবরাহ চেইন স্থিতিশীল রাখতে হবে।
৪. তরুণ উদ্যোক্তা: তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অর্থায়ন, অবকাঠামো ও বৈশ্বিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে সহায়তা দিতে হবে।
৫. বাণিজ্যনীতি: বাণিজ্যনীতিকে খাদ্য নিরাপত্তার সহায়ক হতে হবে, বাধা নয়।
৬. প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন: প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের তরুণ কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য।
তিনি কাঙ্ক্ষিত বিশ্ব গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সামাজিক ব্যবসায় জোর দেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
রোমে আজকের কর্মসূচি অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা (বিকাল ৩:২০ মিনিট), রোমের মেয়র রবার্তো গুয়ালতিয়েরি (বিকাল ৪:৩০ মিনিট) এবং জিবুতির প্রধানমন্ত্রীর (বিকাল ৫:১৫ মিনিট) সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে এফএও মহাপরিচালক ড. কু দোংইউও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
পর্যটন খাতে নতুন দিগন্ত: কক্সবাজার বিমানবন্দর পেল আন্তর্জাতিক মর্যাদা
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার (১২ অক্টোবর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিএ-১ শাখার যুগ্ম সচিব আহমেদ জামিলের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
আইন ও কার্যকারিতা
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দ্য সিভিল অ্যাভিয়েশন রুল, ১৯৮৪-এর রুল ১৬-এর সাব রুল (১)-এ’ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ হিসেবে ঘোষণা করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
উন্নয়ন কাজ
রানওয়ে: বিমানবন্দরের রানওয়ে ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার ফুটে উন্নীত করা হয়েছে।
টার্মিনাল: এটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে ২০২১ সালে কাজ শুরু করে বেবিচক। এই প্রকল্পের আওতায় নতুন টার্মিনাল নির্মাণসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে, যা শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে। রানওয়ের কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে।
অতিরিক্ত সিম নিয়ে বিটিআরসির জরুরি বার্তা: কী করতে হবে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে?
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) একটি জরুরি বার্তায় জানিয়েছে, কোনো ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি মোবাইল সিম নিবন্ধিত থাকলে, সেগুলো আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ডি-রেজিস্টার (নিবন্ধন বাতিল) বা মালিকানা পরিবর্তন করতে হবে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিটিআরসির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই বার্তা দেওয়া হয়।
বিটিআরসি বলেছে:
“নিজ এনআইডিতে পছন্দমতো ১০টি সিমকার্ড রেখে অতিরিক্ত সিমকার্ডগুলো ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে ডি-রেজিস্টার বা মালিকানা পরিবর্তন করুন।”
বিটিআরসি সতর্ক করেছে, যদি গ্রাহক নিজে অতিরিক্ত সিম ডি-রেজিস্টার করতে ব্যর্থ হন, তাহলে কমিশন দৈবচয়নের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল করবে।
নিবন্ধনের তথ্য জানবেন যেভাবে
গ্রাহকদের জন্য নিজেদের নামে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা যাচাই করার সহজ পদ্ধতিও জানিয়েছে বিটিআরসি। ব্যবহারকারীরা ১৬০০১# নম্বরে এনআইডির শেষ ৪টি ডিজিট পাঠিয়ে তাদের নামে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবেন।
সেনানিবাসের ভবন সাময়িক কারাগার: প্রজ্ঞাপন জারি
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। রোববার (১২ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা-১ শাখা থেকে আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনের বিস্তারিত
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব মো. হাফিজ আল আসাদ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ধারা ৫৪১(১) এবং The Prisons Act, 1894 এর ধারা ৩(বি) অনুসারে, ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোড সংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত ‘এমইএস’ বিল্ডিং নং-৫৪-কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ ঘোষণা জারি করা হয়েছে এবং এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। তবে কোন উদ্দেশ্যে ভবনটি সাময়িক কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হবে, সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি।
অর্থ সাশ্রয়ে বিশেষ পদক্ষেপ: জুলাই সনদ ও নির্বাচন একই দিনে করার প্রস্তুতি
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে পৌঁছালেও ভোটের সময় নিয়ে তাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ মতামত অনুযায়ী গণভোটের সময় নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এমন প্রেক্ষাপটে আর্থিক সাশ্রয় এবং প্রস্তুতির কথা বিবেচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার করা হবে। সরকারের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র এমন আভাস দিয়েছে।
ঐকমত্য হলেও দ্বন্দ্বের সমাধান হয়নি
জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে গণভোট আয়োজন অপরিহার্য বলে মনে করা হচ্ছে। বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের পক্ষে থাকলেও, জামায়াত ও এনসিপি নির্বাচনের আগেই এই ভোট আয়োজনের ব্যাপারে অনড়। গত বুধবার দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সর্বশেষ সম্মিলিত বৈঠকেও এ বিষয়ে সুরাহা হয়নি।
কমিশনের সিদ্ধান্ত: ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, দলগুলোর বিভক্তির মধ্যেই সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদের সমর্থন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংসদ নির্বাচনের দিনই আলাদা ব্যালটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
জামায়াতের অনড় অবস্থান: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, তারা মনে করেন জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে না।
সরকার ও ইসির অবস্থান
সরকারি সূত্র জানায়, একই দিনে গণভোট করার ব্যাপারে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে সবুজ সংকেত পেয়েছে সরকার।
ব্যয় সাশ্রয়: নির্বাচন কমিশনও বাড়তি ঝামেলা ও অর্থের অপচয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে একই দিনে গণভোটের ব্যাপারে আগ্রহী। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজন করলে আগের প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দের সঙ্গে সামান্য যোগ করলেই হবে, যা আলাদা নির্বাচনের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী।
ইসি’র মত: নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “দুই নির্বাচন একত্রে করলে অনেক টাকা বেঁচে যায়। ফেব্রুয়ারিতে দুই নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব। সেটাই ভালো হবে।”
বিশেষজ্ঞের মত: নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে রাজনৈতিক দলগুলোও সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
‘সামাজিক ব্যবসা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
বিশ্ব খাদ্য ফোরামের আলোচনাসভায় রোমে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (IFAD) প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিওর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস প্রস্তাব দিয়েছেন একটি ‘সামাজিক ব্যবসা তহবিল’ (Social Business Fund) গঠনের। এই তহবিলের লক্ষ্য হবে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা, নারী, ক্ষুদ্র কৃষক ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে কর্মরতদের আর্থসামাজিক সক্ষমতা বাড়ানো এবং কৃষি উদ্ভাবনে উৎসাহ দেওয়া।
অধ্যাপক ইউনুস বলেন, “আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের জন্য। এমন একটি তহবিল দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে এবং তরুণ, নারী, কৃষক ও মৎস্য উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে সহায়ক হবে।”
বৈঠকে উভয়পক্ষ বাংলাদেশের কৃষিখাতে প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ সহযোগিতা, গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরণ শিল্পের উন্নয়ন, আম ও কাঁঠালের রপ্তানি সম্প্রসারণ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোক্তা গড়ে তোলা, এবং মহিষের দুধ থেকে মোজারেলা চিজ উৎপাদনে সহায়তা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস বাংলাদেশে আইএফএডের প্রেসিডেন্টকে সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং কৃষি, প্রযুক্তি ও সামাজিক ব্যবসায় সম্ভাব্য সহযোগিতা খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিশেষ দল পাঠানোর অনুরোধ করেন। জবাবে আলভারো লারিও বাংলাদেশের কৃষিখাতে বেসরকারি খাতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ ও সামাজিক ব্যবসা প্রসারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে আইএফএডের অর্থায়নে সাতটিরও বেশি কৃষি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনুস বলেন, “বাংলাদেশ এখন ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ, ঠান্ডা সংরক্ষণাগার ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত। আমরা ইতোমধ্যেই আম রপ্তানি শুরু করেছি, তবে পরিমাণ এখনো সীমিত। চীন বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক হারে আম ও কাঁঠাল আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, যিনি বাংলাদেশের নারী দুগ্ধচাষিদের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, দেশের অনেক নারী উদ্যোক্তা এখন মহিষের দুধ থেকে মোজারেলা চিজ উৎপাদন করছেন এবং এই উদ্যোগকে শিল্প পর্যায়ে উন্নীত করতে আইএফএডের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরণ শিল্পের প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনুস বলেন, “আমাদের মৎস্যজীবীরা এখনো প্রধানত অগভীর সমুদ্রে কাজ করেন। বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবে আমরা গভীর সমুদ্রে প্রবেশ করতে পারিনি। আইএফএড এই খাতে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।”
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে আইএফএড এখন পর্যন্ত ৩৭টি প্রকল্পে অংশ নিয়েছে, যার মোট মূল্য ৪.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ১.১৩ বিলিয়ন ডলার সরাসরি আইএফএডের অর্থায়নে। বর্তমানে ৪১২ মিলিয়ন ডলারের ছয়টি প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং আরও একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায়।
রোম সময় অনুযায়ী রোববার বিকেল ৫টার দিকে অধ্যাপক ইউনুস বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিতে রোমে পৌঁছান। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) আয়োজিত এই ফোরামে তিনি মূল বক্তৃতা প্রদান করবেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম এবং আইএফএডের সহযোগী সহ-সভাপতি ডোনাল ব্রাউন।
-নাজমুল হাসান
জুলাই বিপ্লবের চেতনা: ওসমানী উদ্যানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের বাজেট নিয়ে বিতর্ক
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে এবং জুলাইয়ের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রাখতে ঢাকার ওসমানী উদ্যানে নির্মিত হবে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’। রোববার (১২ অক্টোবর) স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ বাস্তবায়ন করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
স্মৃতিস্তম্ভের নকশা ও নির্মাণ
স্মৃতিস্তম্ভটি একটি বৃত্তাকার বেদির ওপর নির্মিত হবে। স্তম্ভটির দুই পাশে চারটি করে ৮টি আয়তাকার পারসিভড কলাম এবং মাঝখানে একটি স্বতন্ত্র বৃত্তাকার কলাম থাকবে, যার উচ্চতা হবে ৯০ ফুট। ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া জানান, পাইলিং কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
বাজেট বিতর্ক ও সমালোচনার জবাব
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কোনো কাজ করতে গেলেই একটি মহল বাজেট নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করে বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, “এসব প্রশ্ন জনগণের টাকার প্রতি দায়বদ্ধতা নয়, বরং মূলত রাজনৈতিক অপচেষ্টা।” তিনি আরও বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদের সময় এসব প্রশ্ন ছিল না। ফ্যাসিবাদের আমলে ভাস্কর্য হতো, এর থেকেও ছোট অবকাঠামো ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বিগত আমলের শুধু পরামর্শক ফি দিয়েই এখন প্রায় পুরো প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, সব অপচেষ্টা মোকাবিলা করেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহত ও শহীদদের আত্মত্যাগের স্মৃতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, যখন এই স্মৃতি সংরক্ষণের কেউ উদ্যোগ গ্রহণ করেনি, তখন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার উদ্যোগ ও নির্দেশনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এই গৌরবময় কাজটি হাতে নিয়েছে।
আমার ছেলেমেয়ে দেশে, একা সেফ এক্সিট নিয়ে কী করব?: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সম্প্রতি উপদেষ্টারা ‘সেফ এক্সিট’ (নিরাপদ প্রস্থান) চাইছেন—এমন একটি বক্তব্য প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, তার ছেলেমেয়েরা সবাই দেশেই আছেন। তিনি একা একা সেফ এক্সিট নিয়ে কী করবেন?
আজ রোববার (১২ অক্টোবর) আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ব্যক্তিগত অবস্থান ও নির্বাচনের প্রস্তুতি
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে ‘সেফ এক্সিট’ চাওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, “কে কী চায়, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমার ছেলেমেয়ে সবাই দেশে। আমি একা সেফ এক্সিট নিয়ে কী করব?”
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় কেউ যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অস্ত্র উদ্ধার ও বিচার প্রক্রিয়া
বেহাত হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “সব অস্ত্র সব সময় উদ্ধার হয় না, কিছু অস্ত্র তো বাইরে থাকে। এ জন্যই তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োজন হয়। যদি সব অস্ত্র উদ্ধার হয়ে যেত, তাহলে তো আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনী লাগত না, নির্বাচন স্বাভাবিকভাবেই হয়ে যেত।” তিনি বলেন, এই তথ্য আইজিপির সঙ্গে কথা বলে পরের সভায় হয়তো জানাতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা জারি হওয়া সেনাসদস্যদের সেনাবাহিনীর হেফাজতে রেখেই বিচারকাজ করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “আইনে যেটা আছে, সেটাই করা হবে।” তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, আল্লাহ চাইলে ভালোভাবে নির্বাচন হবে।
জুলাই নিয়ে কাজ করলেই প্রশ্ন: বাজেট বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ মাহমুদ
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কোনো কাজ করতে গেলেই একটি মহল বাজেট নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, এই মহলটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন আলোচনা করছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী উদ্যানে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনীতি ও স্মৃতিরক্ষার উদ্যোগ
আসিফ মাহমুদ বলেন, “ফ্যাসিবাদের আমলে ভাস্কর্য হতো, এর থেকেও ছোট অবকাঠামো হতে দেখেছি, যেগুলোর বাজেট ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। কিন্তু তখন তাদের এমন কথা বলতে দেখতাম না।” তিনি বলেন, “এখন বলছে কারণ, এটা জুলাই নিয়ে কাজ হচ্ছে।”
উপদেষ্টা বলেন, সমালোচনাকারীরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন আলোচনা করেন এবং জুলাই নিয়ে শহরে যেন কোনো কাজ না করা হয়, সেজন্য একটি চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেন। তবে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, জুলাইয়ের প্রেরণা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ তারা করে যাবেন।
তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’-এর কাজ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে এবং শহীদদের স্মরণের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
- খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে ফোরামে ড. ইউনূসের ৬ প্রস্তাব
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- প্রস্রাবে ফেনা কেন হয়? কখন বুঝবেন এটি কিডনি রোগের সংকেত?
- ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে সরকার : ড. ইউনূস
- পূর্বের আটলান্টিস: চীনের সেই ডুবো শহর যেখানে সময় থেমে আছে!
- রক্তস্বল্পতা দূর করা থেকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি—বিট রুটের ১০ উপকারিতা
- পাকিস্তানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভয়াবহ সংঘর্ষ
- ঢাকা কলেজে শিক্ষক লাঞ্ছনা: এবার সব সরকারি কলেজে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- পর্যটন খাতে নতুন দিগন্ত: কক্সবাজার বিমানবন্দর পেল আন্তর্জাতিক মর্যাদা
- হাতে-পায়ে চামড়া উঠছে? এটি শুধু শীত নয়, ৫ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ
- মৃত্যু যখন সুন্দরের প্রতীক: ভালো মৃত্যুর ১৫টি আলামত
- এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর, জানুন ফলাফল জানার উপায়
- ফোন স্লো হয়ে গেলে কী করবেন? স্টোরেজ খালি করার ১০ সহজ কৌশল
- অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
- হংকং ম্যাচের আগে ভোগান্তি বাংলাদেশের: বাফুফের ‘অদূরদর্শিতায়’ বাড়তি চাপ
- অতিরিক্ত সিম নিয়ে বিটিআরসির জরুরি বার্তা: কী করতে হবে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে?
- মুক্তির পথে ফিলিস্তিনি বন্দীরা: প্রথম বাসটি পৌঁছাল গাজায়
- ৪ দফা দাবি নিয়ে শহীদ পরিবার ও আহত জুলাই যোদ্ধারা সচিবালয়ে
- সেনানিবাসের ভবন সাময়িক কারাগার: প্রজ্ঞাপন জারি
- চার কোটি বেকারের সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
- ৭৩৮ দিন পর মুক্ত: হামাস ১৩ জন জিম্মিকে তুলে দিল রেডক্রসের হাতে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হামাসের বন্দি মুক্তিতে উল্লাস ইসরায়েলে, শান্তির ইঙ্গিত মধ্যপ্রাচ্যে
- শি জিনপিং: সমাজে প্রকৃত সমতা চাইলে নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে
- এএফসি বাছাইয়ে আজ জর্ডানের মুখোমুখি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল
- ‘আর ফেরার উপায় নেই’: জলবায়ু সংকটে পৃথিবীর ইকোসিস্টেম বিপন্ন
- পরমাণু ইস্যুতে কঠোর ইরান: আইএইএ-এর সঙ্গে চুক্তি স্থগিত, কারণ কী?
- অর্থ সাশ্রয়ে বিশেষ পদক্ষেপ: জুলাই সনদ ও নির্বাচন একই দিনে করার প্রস্তুতি
- মেক্সিকোর পাহাড়ি জনপদে ভয়াবহ বন্যা: মৃত্যু ৪৭, নিঃস্ব অসংখ্য পরিবার
- ট্রাম্প: ৩ হাজার বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ইহুদি-মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ
- ‘সামাজিক ব্যবসা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- কুরআন ও বিজ্ঞানের মহাবিস্ময়: যেভাবে মিলে যাচ্ছে ‘বিগ ক্রাঞ্চ’ তত্ত্ব ও কিয়ামতের ভবিষ্যদ্বাণী!
- সৌদি আরবের মক্কা অঞ্চলে বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার
- গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে হার্ভার্ডের চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া ৭ সুপারফুড
- জুলাই বিপ্লবের চেতনা: ওসমানী উদ্যানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের বাজেট নিয়ে বিতর্ক
- ইউটিউবে সাফল্য: আপনার চ্যানেলকে জনপ্রিয় করার ৮টি সহজ টিপস
- দুশ্চিন্তা-উদ্বেগে ভুগছেন? মন শান্ত করতে মেনে চলুন এই ৫ কৌশল
- আমার ছেলেমেয়ে দেশে, একা সেফ এক্সিট নিয়ে কী করব?: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস আলম
- আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের সামরিক অভিযান: বড় সংখ্যক তালেবানকে হত্যার দাবি
- ঘুমের মধ্যে ঘন ঘন প্রস্রাব: ডায়াবেটিস ছাড়াও যে ৫ রোগের লক্ষণ হতে পারে
- অস্টিওপোরোসিস থেকে মুক্তি: গর্ভাবস্থায় হাড় শক্ত রাখতে মেনে চলুন এই নিয়ম
- বিলিয়নিয়ার হতে চান? যে ৪টি ব্যবসায় রয়েছে সফল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
- জুলাই নিয়ে কাজ করলেই প্রশ্ন: বাজেট বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ মাহমুদ
- এনসিপি নেতা সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রিন্স মাহমুদ
- খাবার খেয়েই বসে আছেন? এটি হতে পারে ধূমপানের মতোই মারাত্মক অভ্যাস
- অবিশ্বাস্য! ১১ বছর বয়সী শিশুর মুখে ৮১টি দাঁত
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার