সিরাত সিরিজ, পর্ব-১

কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৮ ১৯:৪০:৪১
কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
ছবি: pinterest

প্রায় দেড় হাজার বছর আগে আরব উপদ্বীপে নেমে এসেছিল এক ভয়াল অন্ধকার। এই সময়কাল ইতিহাসে আইয়্যামে জাহেলিয়াত বা অজ্ঞতার যুগ নামে পরিচিত । এই নামকরণ কোনো সাধারণ অজ্ঞতার জন্য নয়, বরং ছিল মানবিকতার চরমতম বিপর্যয় ।

সামাজিক ও নৈতিক সংকট: মক্কার জমিন ছিল গোত্রে গোত্রে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ক্ষেত্র । সমাজের মূল ভিত্তি ছিল দাসপ্রথা ও ধনীদের সীমাহীন শোষণ । সবচেয়ে ভয়াবহ ও অমানবিক প্রথাটি ছিল কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়া ।

ধর্মীয় বিকৃতি: ইব্রাহিম (আঃ) প্রতিষ্ঠিত পবিত্র কাবা ঘর তখন মূর্তিপূজার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল । কাবা ভরে ছিল ৩৬০টি মূর্তিতে।

ব্যতিক্রমী আগমন: ঠিক এমন এক ঘোর নৈতিক শূন্যতায়, জন্ম হলো এক ব্যতিক্রমী শিশুর, যিনি কেবল একটি সমাজ নয়, গোটা মানবজাতির ইতিহাসের গতিপথ চিরতরে পাল্টে দিলেন।

জন্মের অলৌকিক পটভূমি: হস্তীবাহিনীর ঘটনা ও পিতৃহীন জন্ম

ঐতিহাসিক সময়কাল: মহানবী (সাঃ) ৯ই রবিউল আউয়াল তারিখে মক্কার বিখ্যাত বনু হাশিম বংশে সুবহে সাদেকের সময় জন্মগ্রহণ করেন । ইংরেজি পঞ্জিকা অনুসারে তারিখটি ছিল ৫৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২০ বা ২২শে এপ্রিল ।

হস্তীবাহিনীর ঘটনা: তাঁর জন্মের মাত্র ৫০ থেকে ৫৫ দিন পূর্বে, ইয়েমেনের শাসক আবরাহা বিশাল হস্তীবাহিনী (আসহাবে ফীল) নিয়ে কাবা ধ্বংস করতে আসেন । আবরাহার উদ্দেশ্য ছিল মক্কার পরিবর্তে সানা'য় (ইয়েমেন) নির্মিত গির্জার দিকে আরবদের হজ্বকে ফিরিয়ে আনা ।

আল্লাহর সাহায্য: আবরাহার হাতি যখন কাবার দিকে এগোতে চাইল, তখন তা মাটিতে বসে পড়ল । এমন সময় আল্লাহ তা'আলা ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল পাখি প্রেরণ করলেন, যারা ছোট ছোট পাথর (কঙ্কর) নিক্ষেপ করে সেই বিশাল বাহিনীকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় ।

তাৎপর্য: এই অলৌকিক ঘটনাটি ছিল নবুয়তের আগমনের পূর্বাভাস এবং কাবার উচ্চ সম্মান ও সুমহান মর্যাদার প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে এক সুস্পষ্ট নিদর্শন ।

পিতা-মাতার বিয়োগ: জন্মের আগেই তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন । এরপর ছয় বছর বয়সে তিনি মাতা আমিনা (রাঃ)-কেও হারান ।

শৈশবে লালন-পালন ও আত্মিক শুদ্ধিকরণ

দুধমাতা হালিমা ও বরকত: তৎকালীন মক্কার রীতি অনুযায়ী, শিশু মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে বনু সা'দ গোত্রের ধাত্রী হালিমা সাদিয়া (রাঃ)-এর কাছে মরুভূমিতে পাঠানো হয় । উদ্দেশ্য ছিল শহর থেকে দূরে গ্রামীণ পরিবেশে শিশুদের বলিষ্ঠ দেহ ও বিশুদ্ধ আরবী ভাষা শিক্ষা দেওয়া । শিশুটিকে গ্রহণ করার পর হালিমা (রাঃ)-এর পরিবার অলৌকিকভাবে বরকত লাভ করতে থাকে ।

বক্ষ বিদারণ (শাক্ক আল-সাদর): শিশু মুহাম্মাদ (সাঃ) যখন হালিমা (রাঃ)-এর কাছে ছিলেন, তখন তাঁর বক্ষ বিদারণের অলৌকিক ঘটনাটি ঘটে । খেলার সময় ফেরেশতা জিবরাঈল (আঃ) তাঁর বক্ষ উন্মোচন করে তাঁর হৃদপিণ্ড থেকে শয়তানের অংশটি বা কলুষতাকে অপসারণ করেন ।

শুদ্ধিকরণ: এরপর হৃৎপিণ্ডটি জমজমের পানি দ্বারা ধুয়ে তা যথাস্থানে প্রতিস্থাপন করা হয় । এটি ছিল নবুয়তের জন্য তাঁর দৈহিক ও আত্মিক শুদ্ধিকরণ এবং তাঁকে সব ধরনের পাপ ও কলুষতা থেকে পবিত্র করার প্রস্তুতি ।

দাদা আব্দুল মুত্তালিবের আশ্রয়: মায়ের মৃত্যুর পর বৃদ্ধ দাদা আব্দুল মুত্তালিব তাঁকে মক্কায় নিয়ে আসেন । দাদা তাঁকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন এবং কা'বার ছায়ায় নিজের বিশেষ আসনেও বসতে দিতে।

চাচার তত্ত্বাবধান: আট বছর দু'মাস দশ দিন বয়সে দাদা আব্দুল মুত্তালিব মৃত্যুবরণ করলে , চাচা আবু তালিব তাঁকে নিজ সন্তানের চেয়েও বেশি স্নেহ ও সম্মানের সাথে প্রতিপালন করেন ।

যৌবন, কর্মজীবন ও 'আল-আমিন' উপাধি

কর্মজীবন: কৈশোরে তিনি চাচা আবু তালিবের মেষ চরাতেন । বিশ বছর বয়সে তিনি চাচার সঙ্গে ব্যবসায়িক সফরে সিরিয়া গমন করেন ।

ব্যবসা ও বিবাহ: ২৫ বছর বয়সে তিনি মক্কার সম্ভ্রান্ত ও ধনী মহিলা খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (রাঃ)-এর ব্যবসার ভার নিয়ে সিরিয়া গমন করেন । তাঁর সততা ও ব্যবসায়িক সাফল্য দেখে খাদিজা (রাঃ) মুগ্ধ হন এবং পরে তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দেন । বিবাহের সময় খাদিজা (রাঃ)-এর বয়স ছিল ৪০বছর।

কাবা সংস্কারে বিচক্ষণতা: যখন তাঁর বয়স ৩৫ বছর, তখন কাবা গৃহ পুনর্নির্মাণের সময় হাজরে আসওয়াদ স্থাপনের সম্মান নিয়ে গোত্রীয় সংঘাত সৃষ্টি হলে, তিনি চাদরের মাধ্যমে বুদ্ধিদীপ্ত সমাধান দেন এবং রক্তপাত এড়ান ।

বিশ্বস্ততার প্রতীক: তাঁর চারিত্রিক গুণাবলী ছিল সর্বজনস্বীকৃত। তাঁর সততা, বিশ্বস্ততা, নম্র-ভদ্রতা এবং আমানত হেফাজতের কারণে আরববাসীগণ তাঁকে 'আল-আমিন' (অতি বিশ্বস্ত) উপাধিতে ভূষিত করেছিল । তিনি ছিলেন আরববাসীগণের মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আমানতদার ।

সিরাত অধ্যয়নের আহ্বান ও পরবর্তী পর্বের ঘোষণা

এই পর্বে আমরা মহানবী (সাঃ)-এর জীবনের নবুয়ত-পূর্ব চল্লিশ বছরের বিস্তারিত চিত্র দেখলাম, যা ছিল জাহেলিয়াতের সব ধরনের অশ্লীলতা, পাপাচার ও কলুষতা থেকে মুক্ত । তাঁর জীবন ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ সুরক্ষা ও পরিচালনার অধীন । তাঁর চরিত্র ছিল সততা, ন্যায়পরায়ণতা এবং বিশ্বস্ততার এক পূর্ণাঙ্গ নমুনা, যা তাঁকে মানবজাতির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছিল।

বিশেষ বার্তা:

সম্মানিত পাঠক, মহানবী (সাঃ)-এর পবিত্র জীবন অত্যন্ত বিস্তৃত। আমাদের এই ধারাবাহিক পর্বগুলো শায়খ সফিউর রহমান মোবারকপুরী রচিত বিশ্বখ্যাত সিরাত গ্রন্থ 'আর-রাহীকুল মাখতূম'-এর তথ্য অনুযায়ী, তথ্য সংক্ষেপ না করে, সহজ ভাষায় তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা মাত্র। তাঁর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জনের জন্য মূল সিরাত গ্রন্থগুলো অধ্যয়নের আহ্বান রইল।

আগামী পর্ব: নবুয়তের সূচনা: হেরা গুহার অভ্যন্তরে প্রথম ওহী ও জিবরাঈল (আঃ)-এর আগমন (সূত্র: আর-রাহীকুল মাখতূম)।


আল-আকসা ও শাম: কেন এই ভূখণ্ডকে পৃথিবীর সভ্যতার কেন্দ্র বলা হয়?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৮ ১৮:৩৭:৩৪
আল-আকসা ও শাম: কেন এই ভূখণ্ডকে পৃথিবীর সভ্যতার কেন্দ্র বলা হয়?
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কোরআনুল কারিমের একাধিক আয়াতে রাব্বুল আলামিন একটি অঞ্চলকে পবিত্র ও বরকতময় ভূখণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। মুফাসসিরদের (তাফসির বিশেষজ্ঞ) ভাষায়, এই ভূখণ্ডটির নাম হলো শাম। সেকালে শাম বলতে মূলত ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান এবং আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হতো। এই ঐতিহাসিক ভূখণ্ডে ইবরাহিম (আ.), ইসহাক (আ.), ইয়াকুব (আ.), মুসা (আ.), দাউদ (আ.), সুলাইমান (আ.), ঈসা (আ.) সহ অসংখ্য নবী-রাসুল বসবাস করতেন, তাই একে পৃথিবীর সভ্যতার কেন্দ্রও বলা যায়।

পবিত্র কোরআনে শাম শব্দটি সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও, মুফাসসিরদের মতে পাঁচটি আয়াতে এই অঞ্চলের মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। চলুন, দেখে নিই সেই আয়াতগুলো:

৫টি আয়াতে শামের মর্যাদা

১. সুরা বনি ইসরাইল : ১

“পবিত্র ও মহীয়ান তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারপাশকে (শাম) আমি কল্যাণময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শনাবলি দেখানোর জন্য (ভ্রমণ করিয়েছি)।”

তাৎপর্য: এই আয়াতে মিরাজ গমনের সময় মসজিদুল আকসার চারপাশকে কল্যাণময় বা বরকতময় বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

২. সুরা আরাফ : ১৩৭

“যে জাতিকে দুর্বল ও দীনহীন ভাবা হত আমি তাদের আমার কল্যাণ প্রাপ্ত রাজ্যের (শাম) পূর্ব ও পশ্চিমের উত্তরাধিকারী বানাই, আর বনি ইসরায়েল জাতি সম্পর্কে তোমার রবের শুভ ও কল্যাণময় বাণী (প্রতিশ্রুতি) পূর্ণ হলো, যেহেতু তারা ধৈর্য ধারণ করেছিল। আর ফির’আউন ও তার সম্প্রদায়ের কীর্তিকলাপ ও উচ্চ প্রাসাদসমূহকে আমি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছি।”

তাৎপর্য: বনি ইসরায়েল জাতিকে ফির’আউনের হাত থেকে মুক্ত করে এই পবিত্র রাজ্যের উত্তরাধিকারী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

৩. সুরা আম্বিয়া : ৭০-৭১

“তারা তার (ইবরাহিম আ.) বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল, কিন্তু আমি তাদেরই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে ছাড়লাম। আর আমি তাকে ও (তার ভ্রাতুষ্পুত্র) লুতকে উদ্ধার করে এমন দেশে (শাম) নিয়ে গেলাম, যা আমি বিশ্ববাসীর জন্য কল্যাণময় করেছি।”

তাৎপর্য: হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে উদ্ধার করে শাম অঞ্চলে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।

৪. সুরা আম্বিয়া : ৮১

“(আমার ক্ষমতাবলেই) আমি উদ্দাম বায়ুকে (স্বাভাবিক গতিসম্পন্ন) করেছিলাম সোলায়মানের জন্য। তার নির্দেশমতো তা প্রবাহিত হতো সেই দেশের (শাম) দিকে, যাতে আমি কল্যাণ রেখেছি।”

তাৎপর্য: হজরত সুলাইমান (আ.)-এর জন্য বায়ুর গতি নিয়ন্ত্রিত হতো শামের দিকে।

৫. সুরা সাবা : ১৮

“তাদের (কওমে সাবা) এবং যেসব জনপদের (শাম) প্রতি আমি অনুগ্রহ বর্ষণ করেছিলাম, সেগুলোর মাঝে অনেক দৃশ্যমান জনপদ স্থাপন করে দিয়েছিলাম এবং সেগুলোর মাঝে সমান সমান দূরত্বে সফরের মঞ্জিল ঠিক করে দিয়েছিলাম। (আর তাদের বলেছিলাম) তোমরা এসব জনপদে রাতে আর দিনে নিরাপদে ভ্রমণ করো।”

তাৎপর্য: এই অঞ্চলে আল্লাহ তাআলা সুনির্দিষ্ট ও দৃশ্যমান জনপদ সৃষ্টি করে দেন।


আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ২১:৫৭:৫১
আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ৪টা ৩৮ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ৫টা ৫৩ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে (AM), আসর ৪টা ০০ মিনিটে (PM), মাগরিব ৫টা ৩৯ মিনিটে (PM), এবং ইশা ৬টা ৫৪ মিনিটে (PM)।

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে পার্থক্য আসে। ৮ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ৪টা ৩৪ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে, আসর ৩টা ৫৮ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৩৭ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫২ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ৪টা ৪২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪১ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৬ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ৪টা ০৪ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪২ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৭ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ৪টা ৩৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ৫টা ৪৮ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ৪টা ০১ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৩৩ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৪৮ মিনিটে।


কোরআনের ভুল খুঁজতে গিয়েই ইসলাম কবুল: যে গল্প পাল্টে দিল এক প্রফেসরের জীবন

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ২১:২০:৪৯
কোরআনের ভুল খুঁজতে গিয়েই ইসলাম কবুল: যে গল্প পাল্টে দিল এক প্রফেসরের জীবন
ছবি: সংগৃহীত/সাবেক খ্রিস্টধর্ম প্রচারক ড. গ্যারি মিলার

ইসলামের বিরুদ্ধে বিতর্কের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি, কোরআনে ভুল খুঁজে বের করাই ছিল তার লক্ষ্য। কিন্তু সেই গবেষণার পথই তাকে নিয়ে গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক গন্তব্যে – সত্যের সন্ধানে। কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ও যুক্তিবিদ্যার প্রফেসর ডক্টর গ্যারি মিলার, যিনি একসময় খ্রিস্টান ধর্মের একজন সক্রিয় প্রচারক ছিলেন, তিনি এখন ইসলাম গ্রহণ করে পরিচিত হয়েছেন আব্দুল আহাদ নামে।

কোরআনের নির্ভুলতা: এক অচিন্তনীয় ধাক্কা

ডক্টর গ্যারি মিলার ছিলেন বাইবেলের একজন গভীর পণ্ডিত। তার ধারণা ছিল, ১৪০০ বছর আগের গ্রন্থ কোরআনে নিশ্চয়ই ব্যাকরণগত, ঐতিহাসিক বা গাণিতিক অনেক ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যাবে, যা দিয়ে তিনি মুসলিমদের পরাজিত করতে পারবেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি কোরআন অধ্যয়ন শুরু করেন।

কিন্তু গবেষণার শুরুতেই তিনি এক অপ্রত্যাশিত ধাক্কা খেলেন। পৃথিবীর কোনো লেখকই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারেন না যে তার বইয়ে কোনো ভুল নেই। অথচ কোরআন শুরুতেই ঘোষণা করছে, "এই সেই কিতাব, যাতে কোনো সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য এটা পথনির্দেশক।" এমন নির্ভুলতার দাবি ডক্টর মিলারকে বিস্মিত করে। তিনি আরও দেখলেন, কোরআন নিজেই তার ভুল খুঁজতে আসা ব্যক্তিদের বারবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। কোরআনে বলা হয়েছে, "তারা কি কোরআন নিয়ে চিন্তা করে না? এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো পক্ষ থেকে হতো, তবে তারা অবশ্যই এতে অনেক অসঙ্গতি দেখতে পেত।"

মহানবীর ব্যক্তিগত জীবনের অনুপস্থিতি ও সম্মিলিত আলোচনার গুরুত্ব

ডক্টর মিলার কোরআনের গভীরে গিয়ে আরও কিছু বিষয় লক্ষ্য করলেন, যা তাকে ইসলামের সত্যতার দিকে আকৃষ্ট করে। তিনি দেখলেন, সম্পূর্ণ কোরআনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রায় কিছুই লেখা নেই। যদি এটি তাঁর নিজের লেখা হতো, তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঘটনা এতে থাকতো। এই যুক্তি তাকে মানতে বাধ্য করে যে, কোরআন মুহাম্মদ (সা.)-এর লেখা কোনো গ্রন্থ নয়।

এছাড়াও, সম্মিলিত আলোচনার ওপর কোরআনের জোর তাকে মুগ্ধ করে। কোরআনে বলা হয়েছে, "বলুন, আমি তোমাদের একটা বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছি যে, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দুজন দুজন অথবা একজন একজন করে দাঁড়াও। এরপর তোমরা চিন্তা করে দেখো তোমাদের সঙ্গী আদৌ উন্মাদ নয়; সে তো আসন্ন কঠিন শাস্তি সম্পর্কে তোমাদের সতর্ককারী মাত্র।" অর্থাৎ, আল্লাহ এখানে অবিশ্বাসীদেরকে বিনা চিন্তায় মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ না করে, তাঁর কথাগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। একা সিদ্ধান্তে আসতে না পারলে, একাধিক ব্যক্তি মিলে আলোচনা করে তারপর ঈমান আনার কথা বলা হয়েছে।

মরিয়ম (আ.)-এর বিশেষ সম্মান

ডক্টর মিলারের নজর কেড়েছিল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঈসা (আ.)-এর মা মারিয়াম (আ.)-কে কোরআন যে উচ্চ সম্মান দিয়েছে, তা বাইবেলের চেয়েও বেশি। যেখানে মহানবী (সা.)-এর কন্যা ফাতিমা (রা.) বা তাঁর স্ত্রী আয়েশা (রা.)-এর নাম কোরআনে একবারও উল্লেখ নেই, সেখানে মারিয়াম (আ.)-এর নাম কোরআনে ৩৪ বার এসেছে। এমনকি তাঁর নামে একটি সম্পূর্ণ সূরাও নাযিল হয়েছে। অন্যদিকে, মহানবী (সা.)-এর নাম কোরআনে এসেছে মাত্র চার বার, আর ঈসা (আ.)-এর নাম এসেছে ২৫ বার।

ডক্টর গ্যারি মিলার উপলব্ধি করলেন, কোরআনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছিল, তার কোনোটিই যুক্তিতে টেকে না। কোরআন নিজেই প্রতিটি অভিযোগের উত্তর দিয়েছে। অবশেষে, তিনি বিনা সন্দেহে কোরআনের সামনে আত্মসমর্পণ করেন এবং ১৯৭৮ সালে ইসলাম কবুল করে নিজের নাম রাখেন আব্দুল আহাদ।

যুগে যুগে ডক্টর মিলারের মতোই যারা কোরআনের ভুল ধরতে গিয়েছেন, তারাই এই গ্রন্থের গভীরে সত্যের পথ খুঁজে পেয়েছেন। আল্লাহ নিজেই কোরআনে বলেছেন, "আর আমি আমার আয়াত ভীষকভাবে বর্ণনা করেছি জ্ঞানীদের জন্য।"


আগামীকাল মঙ্গলবার দৈনিক নামাজের ওয়াক্ত ও সূর্যোদয়ের সময়

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ২১:৫৯:৩৬
আগামীকাল মঙ্গলবার দৈনিক নামাজের ওয়াক্ত ও সূর্যোদয়ের সময়
ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ৪টা ৩৭ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ৫টা ৫২ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে (AM), আসর ৪টা ০১ মিনিটে (PM), মাগরিব ৫টা ৪০ মিনিটে (PM), এবং ইশা ৬টা ৫৫ মিনিটে (PM)।

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ৭ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ৪টা ৩৩ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৭ মিনিটে, আসর ৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৩৮ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৩ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ৪টা ৪১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৩ মিনিটে, আসর ৪টা ১৩ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৯ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ৪টা ৪১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৫ মিনিটে, আসর ৪টা ১৫ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪৬ মিনিটে এবং ইশা ৭টা ০০ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ৪টা ৩৩ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৩ মিনিটে, আসর ৪টা ০৭ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৩৪ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৪৯ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ৪টা ৩৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫১ মিনিটে, আসর ৪টা ১১ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪২ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৭ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ৪টা ৪০ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫১ মিনিটে, আসর ৪টা ১২ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪১ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৬ মিনিটে।


কোরআনের বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী: আধুনিক যানবাহন ও প্রযুক্তির কথা

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ২১:৩০:৫১
কোরআনের বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী: আধুনিক যানবাহন ও প্রযুক্তির কথা

আজ থেকে বহু শতাব্দী আগেও মানুষ যখন কেবল নৌকা, জাহাজ, ঘোড়ার গাড়ি বা পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করত, তখন কেউ যদি বলতো একদিন ধাতব এক যন্ত্র মানুষকে হাজার হাজার মাইল দূরে আকাশপথে উড়িয়ে নিয়ে যাবে, তা হয়তো মানুষের কল্পনারও অতীত ছিল। কিন্তু বর্তমান যুগে উড়োজাহাজ, বুলেট ট্রেন, বিশাল জাহাজ, এমনকি মহাকাশযান ছাড়া আধুনিক ভ্রমণ চিন্তাও করা যায় না। বিস্ময়ের বিষয় হলো, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বহু শতাব্দী আগেই ভবিষ্যতের উন্নত যানবাহন সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে মিলে যাচ্ছে।

চতুষ্পদ জন্তু থেকে অজানার পথে

সুরা আন-নাহলের ৫ থেকে ৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য সৃষ্ট চতুষ্পদ জন্তুগুলোর উপকারিতা বর্ণনা করেছেন। এতে বলা হয়েছে, মানুষ এই জন্তুগুলো থেকে উষ্ণতার উপকরণ ও বিবিধ উপকার লাভ করে, আহার গ্রহণ করে এবং গর্বভরে সৌন্দর্য অনুভব করে যখন গোধূলি লগ্নে তাদের ঘরে আনা হয় বা সকালে চারণভূমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই জন্তুগুলো মানুষের বোঝা বহন করে এমন সব দূরবর্তী স্থানে নিয়ে যায়, যেখানে ভীষণ কষ্ট ছাড়া মানুষের পক্ষে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক বড়ই দয়াময়, পরম দয়ালু।

এরপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়াতটিতে আল্লাহ আরও বলেন, "তোমাদের আরোহণের জন্য ও শোভা-সজ্জার জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা, এবং তিনি সৃষ্টি করেন এমন অনেক কিছু যা তোমরা অবগত নও"।

কোরআনের বিজ্ঞানসম্মত ইঙ্গিত

এই আয়াতটিই ভবিষ্যতের উন্নত যানবাহনের প্রতি স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে বলে ইসলামী চিন্তাবিদরা মনে করেন। তাফসীরে আহসানুল বয়ানেও এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আল্লাহ ভূগর্ভে, সমুদ্রে, মরুভূমিতে এবং জঙ্গলে অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টি করে থাকেন, যার জ্ঞান আল্লাহ ছাড়া কারো নেই। এর সঙ্গে নব আবিষ্কৃত সকল বাহনও এসে যায়। আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান ও যোগ্যতা প্রয়োগ করে তারই সৃষ্ট বস্তুকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে মানুষ তৈরি করেছে যেমন বাস, ট্রেন, রেলগাড়ি, জাহাজ ও বিমান ইত্যাদি অসংখ্য যানবাহন। এমনকি আরও অনেক কিছু যা ভবিষ্যতে আশা করা যায়।

বর্তমানে আমরা যে আধুনিক গাড়ি, বুলেট ট্রেন, সমুদ্রে ভাসমান বিশাল আকারের জাহাজ, বিমান, হেলিকপ্টার, এমনকি নানা ধরনের মহাকাশযান দেখছি—এগুলোর কিছুই সেই যুগের মানুষের ধারণার মধ্যে ছিল না। কোরআন এই আয়াতগুলোর মাধ্যমে শুধু অতীত বা বর্তমান নয়, বরং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দিকেও দৃষ্টি দিতে শেখায়।

জ্ঞান আহরণের নির্দেশনা

এই সূরার ৪৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, "আর আমি তোমার পূর্বে কেবল পুরুষদেরকেই রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছি, যাদের প্রতি আমি ওহি পাঠিয়েছি। সুতরাং জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা করো, যদি তোমরা না জানো"। এই আয়াতটি নির্দেশ করে যে, যখন মানুষ নতুন কিছুর মুখোমুখি হবে, তখন জ্ঞানীদের কাছেই উত্তর খুঁজতে হবে। যান্ত্রিক বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারের কাছে, চিকিৎসা বিষয়ে ডাক্তারদের কাছে—অর্থাৎ প্রত্যেক বিষয়ে বিশেষজ্ঞের কাছে জ্ঞান আহরণ করতে হবে।

এই আয়াতগুলো আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, আধুনিক যানবাহন কেবল মানুষের মেধা নয়, বরং আল্লাহ তায়ালারই একেকটি নিদর্শন। এর মাধ্যমে আল্লাহ যুগে যুগে প্রযুক্তি ও পরিবহনের উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে তাঁরই সৃষ্টি ও কুদরতের ফল হিসেবে তুলে ধরেছেন, যা তিনি বহু আগেই ঘোষণা করে রেখেছিলেন। এই আয়াতগুলো মানুষকে শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিকেই উৎসাহিত করে না, বরং আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও জ্ঞানের প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন করতে শেখায়।


৬ অক্টোবর, ২০২৫ (সোমবার) ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ২১:৫৫:২৩
৬ অক্টোবর, ২০২৫ (সোমবার) ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি
ছবি: সংগৃহীত

সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল:

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ৪টা ৩৭ মিনিট (AM), সূর্যোদয় ৫টা ৫২ মিনিট (AM), জোহর ১১টা ৪৭ মিনিট (AM), আসর ৪টা ০৮ মিনিট (PM), মাগরিব ৫টা ৪৩ মিনিট (PM), এবং ইশা ৬টা ৫৭ মিনিট (PM)।

অন্যান্য বিভাগীয় শহর:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ৪টা ৪০ মিনিট, সূর্যোদয় ৫টা ৫২ মিনিট, জোহর ১১টা ৪৭ মিনিট, আসর ৩টা ৫৯ মিনিট, মাগরিব ৫টা ৪০ মিনিট এবং ইশা ৬টা ৫৩ মিনিট।

খুলনা: খুলনায় ফজর ৪টা ৪১ মিনিট, সূর্যোদয় ৫টা ৫৫ মিনিট, জোহর ১১টা ৫০ মিনিট, আসর ৪টা ০৫ মিনিট, মাগরিব ৫টা ৪২ মিনিট এবং ইশা ৬টা ৫৭ মিনিট।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ৪টা ৪১ মিনিট, সূর্যোদয় ৫টা ৫৬ মিনিট, জোহর ১১টা ৫০ মিনিট, আসর ৪টা ১১ মিনিট, মাগরিব ৫টা ৪৫ মিনিট এবং ইশা ৬টা ৫৯ মিনিট।

সিলেট: সিলেটে ফজর ৪টা ৩৩ মিনিট, সূর্যোদয় ৫টা ৪৬ মিনিট, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিট, আসর ৪টা ০২ মিনিট, মাগরিব ৫টা ৩৪ মিনিট এবং ইশা ৭টা ০৬ মিনিট।

দ্রষ্টব্য: এই সময়সূচি স্থানীয় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।


ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকালের ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ২২:০৪:১৪
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকালের ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
ছবি: সংগৃহীত

রোববার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো।

ওয়াক্ত সময় (আনুমানিক)

ফজর / সুবহে সাদিক ৪টা ৩৮ মিনিট (AM)

সূর্যোদয় ৫টা ৫২ মিনিট (AM)

জোহর ১১টা ৫১ মিনিট (AM)

আসর ৪টা ০৩ মিনিট (PM)

মাগরিব ৫টা ৪৩ মিনিট (PM)

ইশা ৭টা ০ মিনিট (PM)

উল্লিখিত ঢাকা সময়ের সঙ্গে নিচের সময়গুলো যোগ-বিয়োগ করে নিতে হবে:

চট্টগ্রাম -৫ মিনিট (বিয়োগ)

সিলেট -৬ মিনিট (বিয়োগ)

খুলনা +৩ মিনিট (যোগ)

রাজশাহী +৭ মিনিট (যোগ)

রংপুর +৮ মিনিট (যোগ)

বরিশাল +১ মিনিট (যোগ)


রমজান কবে? জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার পূর্বাভাসে মিলল সেই ইঙ্গিত

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৫:২৫:১৩
রমজান কবে? জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার পূর্বাভাসে মিলল সেই ইঙ্গিত
ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, পবিত্র রমজান মাস আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার শুরু হতে পারে। এই হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে আমরা রমজান মাস থেকে ঠিক ১৩৯ দিন দূরে আছি।

সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানিয়েছেন, রমজান মাস শুরু হবে নতুন চাঁদ ওঠার ভিত্তিতে। এই নতুন চাঁদ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) আবুধাবির সময় অনুযায়ী বিকেল ৪টা ১ মিনিটে ‘জন্ম নেবে’। তবে নতুন চাঁদ সূর্যাস্তের এক মিনিট পরই অস্ত যাবে। তাই সেই দিন সন্ধ্যায় খালি চোখে চাঁদ দেখা সম্ভব হবে না। ফলে চাঁদ দেখা কমিটির আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণের পর রমজানের প্রথম দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রোজার সময়কাল ও আবহাওয়া

আল জারওয়ান জানান, আবুধাবিতে রোজা রাখার সময় শুরুতে প্রায় ১২ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট হবে এবং মাসের শেষের দিকে এটি ধীরে ধীরে বেড়ে ১৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে পৌঁছাবে। দিনের আলো শুরুতে ১১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট থাকবে এবং মাস শেষে ১২ ঘণ্টা ১২ মিনিটে পৌঁছাবে।

আবুধাবিতে ওই মাসের শুরুতে তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকতে পারে। রমজানের শেষ দিকে তাপমাত্রা বেড়ে ১৯ ডিগ্রি থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। আল জারওয়ান আরও জানান, পবিত্র রমজানের পুরো মাস বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা মৌসুমি গড় আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ সময় বৃষ্টির পরিমাণ ১৫ মিলিমিটার ছাড়াতে পারে।


ওমরাহ পালনে ১০টি নতুন নিয়ম: যা না মানলেই জরিমানা

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৪:৪১:৩০
ওমরাহ পালনে ১০টি নতুন নিয়ম: যা না মানলেই জরিমানা
ওমরাহর নিয়মে ব্যাপক পরিবর্তন, মানতে হবে যে ১০ বিষয়

ওমরাহ পালন প্রতিটি মুসলিমেরই হৃদয়ের লালিত স্বপ্ন। কিন্তু এই স্বপ্নযাত্রায় ভিসা আবেদন থেকে আবাসন—সবকিছুই অনেক সময় জটিল হয়ে উঠত। তবে এবার সেই প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব। উমরাহ যাত্রা আরও স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করতে নতুন কিছু নিয়ম চালু করেছে সৌদি সরকার।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) খালিজ টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওমরাহ অপারেটরদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়। নতুন নিয়মে ভিসা আবেদন, পরিবহন, হোটেল—সবকিছুই সরকারি অনুমোদিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। নিচে ওমরাহ যাত্রার আগে প্রতিটি হাজির জন্য জানা জরুরি ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন তুলে ধরা হলো:

ওমরাহ যাত্রায় জানা জরুরি ১০টি পরিবর্তন

১. ভিসা আবেদনের সময়ই হোটেল বুকিং বাধ্যতামূলক: এখন আর ভিসা পাওয়ার পর হোটেল বুক করা যাবে না। ওমরাহ ভিসার আবেদন করার সময়ই মাসার সিস্টেম বা নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদিত হোটেল বুক করতে হবে। কেউ আত্মীয়ের বাসায় থাকলে তা ভিসা আবেদনের সময় উল্লেখ করতে হবে।

২. পর্যটন ভিসায় ওমরাহ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ: এখন থেকে পর্যটন ভিসায় কেউ ওমরাহ পালন করতে পারবেন না। অপারেটররা সতর্ক করেছেন, কেউ চেষ্টা করলে তাকে থামিয়ে দেওয়া বা এমনকি মদিনার রিয়াজুল জান্নাহয় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ওমরাহ গাইড শিহাব বলেন, “পর্যটন ভিসায় গেলে ঝুঁকি আছে।”

৩. আলাদা ওমরাহ ভিসা বাধ্যতামূলক: সব হাজিকেই এখন নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আলাদা ওমরাহ ভিসা নিতে হবে। এটি ই-ভিসা হিসেবে বা অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্টের প্যাকেজের মাধ্যমেও করা যাবে।

৪. আত্মীয়ের বাসায় থাকলে সৌদি আইডি নম্বর: যারা পরিবার বা আত্মীয়ের বাসায় থাকার পরিকল্পনা করছেন, তাদের সেই হোস্টের ইউনিফায়েড সৌদি আইডি নম্বর দিতে হবে। এই আইডিটি সরাসরি ভিসার সঙ্গে যুক্ত থাকবে।

৫. সফরসূচি বদলানো যাবে না: ভিসা আবেদন করার সময় সফরসূচি (ইটিনারারি) আপলোড করতে হবে, যা পরবর্তীতে পরিবর্তন বা স্থগিত করা যাবে না। ওমরাহ অপারেটর কায়সার মাহমুদের মতে, ফেরার তারিখ পিছিয়ে দিলে প্রতি হাজির জন্য কমপক্ষে ৭৫০ সৌদি রিয়াল জরিমানা দিতে হয়।

৬. বিমানবন্দরে বুকিং যাচাই: সৌদিতে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নুসুক বা মাসার প্ল্যাটফর্মে থাকা হোটেল ও পরিবহন বুকিং যাচাই করবে। কোনো তথ্য অনুপস্থিত থাকলে যাত্রা থামিয়ে দেওয়া বা জরিমানা করা হতে পারে।

৭. কেবল অনুমোদিত ট্যাক্সি ও পরিবহন ব্যবহার: সব হাজিকেই নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদিত ট্যাক্সি, বাস বা ট্রেন ব্যবহার করতে হবে। এখন থেকে অনুমোদিত যানবাহন ছাড়া কেউ বিমানবন্দর থেকে মক্কা বা মদিনায় যেতে পারবেন না।

৮. নিয়ম ভাঙলে কড়াকড়ি জরিমানা: অনুমোদনবিহীন ট্যাক্সি ব্যবহার, নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান বা বুকিং না করা—সব ক্ষেত্রেই জরিমানা শুরু হবে ৭৫০ দিরহাম থেকে।

৯. অন-অ্যারাইভাল ভিসা: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও শেনগেন অঞ্চলের ভিসাধারী বা সেসব দেশে বসবাসকারী মুসলমানেরা নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পেতে পারেন।

১০. ট্রেন সেবা ও সময়সীমা: হারামাইন এক্সপ্রেস ট্রেন রাত ৯টার পর চালু থাকে না। যারা দেরিতে পৌঁছান, তাদের আগে থেকেই বিকল্প অনুমোদিত যানবাহন বুক করতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, নতুন এই নিয়মগুলো ওমরাহ প্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ, স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করতে তৈরি করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: