স্বাস্থ্য কথন
মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন

মাইগ্রেন শুধু “খারাপ মাথাব্যথা” নয়; এটা একধরনের স্নায়বিক সমস্যা। মাথার একপাশে বা দু’পাশে ধকধকে ব্যথা, আলো–শব্দে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব বা বমি, মাথা ঘোরা—এসবই মাইগ্রেনের পরিচিত মুখ। কারও কারও ক্ষেত্রে ব্যথার আগে চোখে ঝিলিমিলি আলো দেখা, কথায় জড়ানো, জিভ/হাতে ঝিনঝিনি—এগুলোকে বলা হয় “অরা”। সাধারণত একটি আক্রমণ ৪–৭২ ঘণ্টা থাকে; ৭২ ঘণ্টার বেশি চললে হাসপাতালে দেখানো দরকার।
মাইগ্রেন কেন হয়—এক কথায় বললে “ব্রেনের নেটওয়ার্কে” সাময়িক বিশৃঙ্খলা। মস্তিষ্কের ব্যথা–পথ সক্রিয় হয়ে মাথার আবরণে প্রদাহ–রক্তনালির প্রসারণ ঘটায়, তাই ব্যথা ধকধকে লাগে। পারিবারিক ইতিহাস, হরমোনের ওঠানামা (বিশেষ করে মাসিকের সময়), ঘুমে অনিয়ম, স্ট্রেস, কিছু খাবার (পুরোনো চিজ, প্রসেসড মাংস, চকলেট, এমএসজি/অ্যাসপার্টেম), অতিরিক্ত/হঠাৎ ক্যাফেইন–অ্যালকোহল, তীব্র আলো–শব্দ–গন্ধ, আবহাওয়া বদল, হঠাৎ ভারী ব্যায়াম—এসব ট্রিগার অনেকের ক্ষেত্রে কাজ করে। কার কার কীতে ট্রিগার হচ্ছে, সেটা বোঝার সহজ উপায় হলো ছোট একটা “হেডেক ডায়েরি”—কবে, কতক্ষণ, কী খেয়েছিলেন/ঘুম–স্ট্রেস কেমন ছিল—এগুলো নোট নিন; ২–৩ সপ্তাহেই নিজের প্যাটার্ন ধরতে পারবেন।
লক্ষণগুলো কেমন? বেশির ভাগ মানুষ বলেন—ব্যথা নড়াচড়ায় বাড়ে, আলো–শব্দ খারাপ লাগে, বমি বমি ভাব থাকে, চোখ–কপাল–কানপাশে চাপ লাগে। অনেকের ঘাড় টনটনে, মাথার ত্বক সংবেদনশীল লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। আক্রমণের আগের ১–২ দিন হাই ওঠা, মেজাজ বদল, ঘাড় শক্ত, হঠাৎ কিছু খেতে মন চাওয়া বা বারবার প্রস্রাবের মতো সংকেতও আসতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে মাঝেমাঝে “অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন”—মাথার বদলে পেটের মাঝখানে ব্যথা–বমি বমি ভাব দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় কারও কারও মাইগ্রেন কমে, আবার প্রসবের পর হরমোন বদলে বাড়তেও পারে—তাই পরিকল্পনা করে চলাই ভালো।
কখনই দেরি করবেন না? জীবনের “সবচেয়ে তীব্র” আকস্মিক মাথাব্যথা, জ্বর–ঘাড় শক্ত–জড়ানো কথা–দৃষ্টি ডাবল, শরীরের একপাশ হঠাৎ দুর্বল/অসাড়, মাথায় আঘাতের পর নতুন ব্যথা, >৫০ বছর বয়সে নতুন মাথাব্যথা—এসব হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা নিন। এগুলো অন্য গুরুতর সমস্যারও ইঙ্গিত হতে পারে।
নির্ণয় সাধারণত ইতিহাস–লক্ষণেই হয়। চিত্র অস্বাভাবিক হলে বা “রেড ফ্ল্যাগ” থাকলে ডাক্তার MRI/CT, রক্তপরীক্ষা বা বিরল ক্ষেত্রে স্পাইনাল ট্যাপ করতে পারেন—স্ট্রোক/টিউমার/সংক্রমণ排除 করতেই এসব লাগে।
চিকিৎসা দুই ভাগ—আক্রমণ থামানো ও আগাম প্রতিরোধ। আক্রমণের শুরুতেই পানি খান, অন্ধকার–নিঃশব্দ ঘরে শুয়ে পড়ুন, কপাল/ঘাড়ে ঠাণ্ডা সেঁক দিন। ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল/আইবুপ্রোফেন/নাপ্রোক্সেন দ্রুত নিন (খালি পেটে নয়); বমি বমি ভাব থাকলে ডাক্তারি পরামর্শে মেটোক্লোপ্রামাইড/ডমপেরিডন যোগ হয়। তীব্র মাইগ্রেনে “ট্রিপটান” (যেমন সুমাট্রিপটান/রিজাট্রিপটান) খুব কার্যকর—নাসাল স্প্রে/ট্যাবলেট/ইনজেকশন আকারে পাওয়া যায়। ট্রিপটান না হলে বা মানায় না—নতুন জেনারেশনের “জিপ্যান্ট” (CGRP ব্লকার) বা “ডিট্যান” আছে; এগুলো ডাক্তারের পরামর্শেই নেবেন। গুরুত্বপূর্ণ—মাসে ৮–১০ দিনের বেশি পেইনকিলার/ট্রিপটান ব্যবহার করলে “মেডিকেশন ওভারইউজ হেডেক” হতে পারে; তাই বারবার হলে প্রতিরোধের পরিকল্পনায় যান।
প্রতিরোধমূলক ওষুধ কাদের দরকার? মাসে চার বা তার বেশি মাইগ্রেন–দিন হলে, আক্রমণ ১২ ঘণ্টার বেশি হলে, কাজ–জীবন ভীষণ ব্যাহত হলে। অপশন আছে—বিটা–ব্লকার (প্রোপ্রানোলল/মেটোপ্রোলল), ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার (ফ্লুনারিজিন/ভেরাপামিল), অ্যামিট্রিপটাইলিন/ভেনলাফাক্সিন, টপিরামেট/ভ্যালপ্রোয়েট (গর্ভ–উপযোগী নয়), ক্রনিক মাইগ্রেনে বোটক্স, আর টার্গেটেড CGRP–মোনোক্লোনাল ইনজেকশন (মাসিক/দুই–তিন মাস অন্তর)। কার জন্য কোনটি—এটা সম্পূর্ণই ব্যক্তিভেদে; আপনার অন্যান্য রোগ–ওষুধ–গর্ভধারণের পরিকল্পনা—সব বিবেচনায় ডাক্তার ঠিক করেন। ওষুধছাড়া কিছু FDA–ক্লিয়ারড ডিভাইসও আছে—ঘাড়/কপাল/মাথার স্নায়ুতে হালকা ইলেকট্রিক/ম্যাগনেটিক স্টিমুলেশন—যেগুলো নির্বাচিত রোগীতে উপকারী হতে পারে।
জীবনযাপনই আসল “ফাউন্ডেশন”—একই সময়ে শোয়া–উঠা, ৭–৮ ঘণ্টা নিয়মিত ঘুম; খাবার স্কিপ নয়, পর্যাপ্ত পানি; সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটা/হালকা কার্ডিও; স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট (গভীর শ্বাস, ধ্যান, প্রগ্রেসিভ মাংস–রিল্যাক্সেশন); স্ক্রিনে ২০–২০–২০ নিয়ম (২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ড ২০ ফুট দূরে তাকান), ব্লু–লাইট ফিল্টার; কাজের জায়গায় কড়া আলো–তীব্র গন্ধ এড়ানো। খাবারের ক্ষেত্রে “ট্রিগার–খাবার” সবার এক নয়—তাই ডায়েরি দেখে সিদ্ধান্ত নিন। সাধারণভাবে প্রিজারভেটিভ/অতিপ্রক্রিয়াজাত খাদ্য কমিয়ে শাকসবজি–ফল, বাদাম–বীজ, ডাল–শস্য, মাছ–ডিমের দিকে ঝুঁকুন; পানি–ই ইঞ্জিনের জ্বালানি।
শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে রুটিনটাই প্রথম ওষুধ—ঘুম–খাবার–স্ক্রীন–খেলা ব্যালান্সে রাখুন; ওজন–ভিত্তিক ডোজে চিকিৎসা হয়। গর্ভাবস্থায় ওষুধের নিয়ম আলাদা—নন–ড্রাগ কৌশল আগে, প্রয়োজনে কিছু সীমিত–নিরাপদ অপশন; নিজে নিজে কিছু শুরু/বন্ধ করবেন না। মাসিক–সম্পর্কিত মাইগ্রেনে মাসিকের আগ–পরে কয়েকদিন “শর্ট–উইন্ডো” প্রতিরোধ কাজ দেয়—ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।
সবশেষে, একটা সহজ ৫–পয়েন্ট অ্যাকশন প্ল্যান—আজ থেকেই: (১) ছোট হেডেক ডায়েরি শুরু করুন, (২) একই সময়ে ঘুম–খাবার—স্কিপ নয়, (৩) পানি ২–২.৫ লিটার, ক্যাফেইন নিয়ন্ত্রণ, (৪) ৩০ মিনিট হাঁটা + ১০ মিনিট শ্বাস–ব্যায়াম, (৫) ট্রিগার–খাবার ২ সপ্তাহ বাদ দিয়ে দেখুন—উপকার মিলল কি না। আক্রমণ বাড়তে থাকলে বা কাজকর্মে বড় বাধা হলে দেরি না করে নিউরোলজিস্টের সঙ্গে প্রতিরোধমূলক পরিকল্পনা করুন।
মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণযোগ্য। লক্ষ্য একটাই—আক্রমণের সংখ্যা, তীব্রতা ও অক্ষমতা কমিয়ে আপনাকে স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনে রাখা। ধৈর্য, নিয়মিত রুটিন আর টেইলার্ড চিকিৎসা—এই তিনে সমাধানই “মেইন স্ট্রিট”–এর জন্য সবচেয়ে বাস্তব পথ।
মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
মৌসুমভেদে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের মধু উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে সরিষা ফুল থেকে উৎপাদিত মধুই সবচেয়ে বেশি। তবে আগ্রহের শীর্ষে বরাবরই থাকে সুন্দরবনের মধু। মধু নিয়ে কাজ করা ব্যবসায়ী ও গবেষকরা বলছেন, মধু প্রধানত দুই প্রকার—প্রাকৃতিক মধু এবং চাষের মধু। এই ভিন্ন ভিন্ন মধুর রং, স্বাদ ও ঘনত্বের ভিন্নতা রয়েছে।
বাংলাদেশে প্রাকৃতিক মধুর একমাত্র উৎস হলো সুন্দরবন। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মধু ব্যবসায়ী আনতা নূরের তথ্যমতে, পহেলা এপ্রিল থেকে মৌয়ালরা বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে মধু আহরণ শুরু করেন। সুন্দরবনে অন্তত সাত রকম ফুলের মধু হয়ে থাকে।
১. খলিশা মধু: এটিই সুন্দরবনের প্রথম মধু। এই মধু কিছুটা সাদা রংয়ের হয় এবং মিষ্টিও বেশি। একক ফুলের মধু হওয়ায় এর চাহিদা বেশি, তবে উৎপাদন কম। প্রতি কেজি ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
২. গরান মধু: খলিশার পরে আসে গরান ফুলের মধু, যা একটু লাল রংয়ের হয়। এটি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে থাকে ও বেশি পরিমাণে সংগ্রহ করা হয়।
৩. অন্যান্য: এরপর ক্রমান্বয়ে পশুর, কেওড়া ও বাইন ফুলের মধু সংগ্রহ করা হয়। জুন মাসের দিকে মৌসুম শেষ হয় গেওয়া ফুলের মধু দিয়ে।
৪. মিশ্র মধু: বিভিন্ন ফুল থেকে সংগৃহীত মধু মূলত মিশ্র মধু হিসেবে বাজারে আসে।
চাষের মধু: জনপ্রিয় সরিষা ও তার রহস্য
বাংলাদেশে চাষ করা মধুর মধ্যে পাঁচটি ভিন্ন জাতের মৌমাছির মধু বেশি দেখা যায়। এর মধ্যে চারটি জাত পোষ মানে। মৌ খামার নিয়ে ব্যক্তিগত গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া আরিফুল ইসলাম জানান, দেশে এখন সবচেয়ে বেশি চাষ হয় সরিষা ফুলের মধু।
সরিষা ফুল: এটি সহজলভ্য এবং খরচও কম। এই মধুর ঘ্রাণ তীব্র, হালকা সাদাটে সোনালি রং হয়। সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী রুবেল আহম্মেদ বলেন, “এই শীতে সরিষা ফুলের মধু খুব সহজেই জমে যায়, কারণ এটাতে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি থাকে। এটাকে আমরা ক্রিম হানি বলে থাকি।” সরিষা ফুলের মধু প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
অন্যান্য চাষের মধু: সরিষার পর মৌমাছির বাক্সগুলো ধনিয়া ক্ষেতে যায়। এরপর কালোজিরা ফুলের মধু সংগৃহীত হয়, যা কালো থাকে ও খেতে খেজুরের গুড়ের মতো স্বাদ পাওয়া যায়। চাহিদার শীর্ষে থাকা লিচু ফুলের মধু দেশের উত্তরবঙ্গের লিচু বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয়। বর্ষার সময়টায় সংগ্রহ করা হয় কুল বা বরই ফুলের মধু।
মধু চেনার উপায় ও ভুল ধারণা
মধু খাঁটি নাকি ভেজাল—এ নিয়ে ক্রেতাদের সন্দেহ থাকেই। মধু গবেষক আরিফুল ইসলামের মতে, মধু চেনার মূল উপায় হলো তিনটি: স্বাদ, বর্ণ ও গন্ধ। মধু চেনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাই আসল। তিনি বলেন, সুন্দরবনের মধুতে একটা বুনো গন্ধ থাকে।
ভেজাল চেনার ভুল ধারণা: বিশেষজ্ঞরা প্রচলিত ধারণাগুলো বাতিল করেছেন। “মধু জমে গেলে খাঁটি না”—এই ধারণা ভ্রান্ত। আবার, মধু পানিতে মেশে কি মেশে না, তা মধুর ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে। আগুন দেওয়ার পদ্ধতিতেও ভুল প্রমাণ হয়, কারণ মৌমাছি প্রাকৃতিকভাবে চাকে মোম তৈরি করে। ল্যাব টেস্ট ছাড়া তাই খাঁটি মধু চেনার উপায় নেই।
মধুর স্বাস্থ্য উপকারিতা
বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিসের তথ্যমতে, রোগ নিরাময়ের জন্য মধু কখনো এককভাবে, আবার কখনো ভেষজ দ্রব্যের সঙ্গে মিশিয়ে সফলতার সঙ্গে ব্যবহার হয়ে আসছে।
ঠান্ডা ও কাশি: চায়ের সঙ্গে মধু ও আদার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি ও শ্লেষ্মা রোগের উপশম হয়। এক চামচ তুলসী পাতার রস ও সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে কাশি দূর হয়।
শিশুদের স্বাস্থ্য: শিশুদের দৈহিক গড়ন, রুচি বৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি ও পেট ভালো রাখার জন্য প্রত্যহ এক চা চামচ মধু গরম দুধ ও গরম পানির সঙ্গে দেওয়া ভালো।
সতর্কতা: হজমের গোলমাল, হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস রোগে আধা চা-চামচের বেশি মধু না খাওয়াই ভালো।
পারফিউম নয়, ফিটকিরি: ১০০ টাকায় তৈরি করুন নিজস্ব ঘরোয়া সুগন্ধি
বাজারে নানা ব্র্যান্ডের পারফিউমের দাপট থাকলেও, মন ভালো করে দেওয়া এক চমৎকার সুগন্ধি তৈরি করা যায় নিজের ঘরেই, তাও আবার মাত্র ১০০ টাকায়! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বিউটিশিয়ানরা বলছেন, এই কাজের জন্য প্রয়োজন নেই দামি উপকরণ বা জটিল প্রক্রিয়ার। হাতের কাছেই থাকা ফিটকিরিই হতে পারে আপনার ঘরোয়া পারফিউমের মূল উপাদান।
ফিটকিরি কেন কার্যকরী?
ফিটকিরির ব্যবহার রূপচর্চায় শতাব্দীপ্রাচীন। শুধু পানিতে জীবাণুনাশক হিসেবেই নয়, দাড়ি কামানোর পর ত্বকের জ্বালা প্রশমনে বা ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতেও এটি কার্যকর। আয়ুর্বেদেও ফিটকিরির গুণের উল্লেখ আছে। সেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই তৈরি করা যায় একদম নিজস্ব ঘরোয়া ডিয়োডরেন্ট স্প্রে। এটি যেমন সুগন্ধি, তেমনি ত্বকবান্ধবও।
ঘরোয়া পারফিউম তৈরির সহজ পদ্ধতি
আপনার ঘরোয়া পারফিউমটি তৈরি করতে প্রয়োজন হবে: ফিটকিরি, গোলাপজল বা ডিসটিলড ওয়াটার, পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল এবং একটি ছোট স্প্রে বোতল। এই সবকিছুই সর্বোচ্চ ১৫০-১৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া সম্ভব।
পদ্ধতি:
১. গুঁড়ো তৈরি: ফিটকিরি খণ্ডটিকে ভালোভাবে গুঁড়ো করে নিন।
২. মিশ্রণ তৈরি: এক চা চামচ ফিটকিরি গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপজল বা ডিসটিলড ওয়াটার (গোলাপের গন্ধ পছন্দ না হলে) মিশিয়ে দিন। ফিটকিরি পুরোপুরি গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৩. তেল যোগ: এরপর তরলটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল (যেমন: ল্যাভেন্ডার, জুঁই, চন্দন বা লেমনগ্রাস) কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে বোতলটি ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন।
ব্যস! তৈরি হয়ে গেল আপনার নিজস্ব ঘরোয়া পারফিউম। এটি যেমন সাশ্রয়ী, তেমনি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ।
টিপস: বিউটিশিয়ানরা বলছেন, এই স্প্রে শরীরে বা জামাকাপড়ে ব্যবহার করা যায়। ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে এটি বিশেষভাবে কার্যকর। স্নানের পর বা বাইরে বেরোনোর আগে হালকা করে ব্যবহার করলে সারা দিন ফুরফুরে মেজাজে থাকা সম্ভব।
সূত্র : এই সময় অনলাইন
রান্নাঘর থেকে রূপচর্চা: এক টুকরো ফিটকিরির ১০টি বিস্ময়কর ব্যবহার
ফিটকিরি হলো সোডিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামের একটি যৌগ লবণ, যার রাসায়নিক নাম পটাশ অ্যালাম। একসময় প্রায় সব বাড়িতেই ফিটকিরি ব্যবহারের চল ছিল। কারণ, এর ঔষধি গুণ ও জীবাণুনাশক ক্ষমতা অনেক। ফিটকিরি শুধু পানিতে জীবাণু দূর করে না, বরং ঘর পরিষ্কার, সৌন্দর্যচর্চা ও রোগ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক দৈনন্দিন জীবনে ফিটকিরির ১০টি কার্যকরী ব্যবহার:
১. ফ্রিজের গন্ধ দূর করতে: ফ্রিজের ভেতরে এক টুকরো ফিটকিরি রেখে দিলে সবজি ও খাবারের কারণে তৈরি হওয়া ভ্যাপসা বা বোঁটকা গন্ধ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। ফিটকিরি দুর্গন্ধ শোষণ করে নেয়।
২. ঘামের গন্ধ দূর করতে: গরমে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে ফিটকিরির গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে বাহুমূলের অংশ ধুয়ে নিন। এর অ্যাস্ট্রিনজেন্ট বৈশিষ্ট্য ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে।
৩. রান্নাঘর পরিষ্কার করতে: রান্নাঘর ঝকঝকে ও জীবাণুমুক্ত করতে ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। পানি গরম করে তাতে ফিটকিরির টুকরো মিশিয়ে, সেই পানি দিয়ে রান্নাঘরের তাক পরিষ্কার করলে সাধারণ পাউডারের তুলনায় বেশি পরিষ্কার হবে।
৪. ব্রণ দূর করতে: ব্রণের দাগ দূর করতে বা ব্রণ কমাতে ফিটকিরির সাহায্য নেওয়া যায়। এক চা চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে দুই চা চামচ ডিমের সাদা অংশ ও এক চা চামচ ফিটকিরির গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগালে উপকার মেলে।
৫. ব্যাকটেরিয়া দূর করতে: দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে ফিটকিরি সাহায্য করে। এক গ্লাস পানি ফুটিয়ে তাতে এক চিমটি লবণ ও ফিটকিরির গুঁড়া মিশিয়ে ঠান্ডা করে কুলকুচি করলে দ্রুত মুক্তি মিলবে।
৬. পানি পরিশুদ্ধ করতে: খাবারের পানিতে এক টুকরা ফিটকিরি ফেলে রাখলে পানির ক্ষতিকর কণা ধীরে ধীরে নিচে থিতিয়ে পড়ে যায়। এরপর সেই পানি ছেঁকে খেলে তা পরিশোধিত হয়।
৭. গলা ব্যথা কমায়: আগেকার দিনে ফিটকিরি গুঁড়ার সঙ্গে মধু ও আদা মিশিয়ে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে খাওয়া হতো। এর অ্যান্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্যের কারণে গলার ব্যথা সেরে যেত বলে মনে করা হয়।
৮. প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ: আচারে ফিটকিরি মেশালে তা অনেক দিন রেখে দিলেও নষ্ট হয় না। সংরক্ষণের জন্য অনেকে এটি ব্যবহার করতেন।
৯. ফুল তাজা রাখে: ফুলদানিতে সামান্য ফিটকিরির গুঁড়া ঢেলে দিলেই অনেক দিন পর্যন্ত ফুল তাজা থাকে এবং দ্রুত মুহ্যমান হয় না।
১০. বেকিং পাউডারের বিকল্প: (সতর্কতা সাপেক্ষে) কেউ কেউ রুটি, পাঁউরুটি বা কেক বেকিংয়ের ব্যাটারে ফিটকিরি গুঁড়া মিশিয়ে দেন, যাতে ভালো বেক হয়।
রাশিফল: ৯ অক্টোবর আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। আজ ৯ অক্টোবর, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, তা জানতে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আজ আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকতে পারে। যেকোনো প্রতিবন্ধকতায় নিকটজনের সাহায্য পাবেন। বিশেষ কাজের জন্য সুনাম হবে। নতুন চিন্তাধারায় আকৃষ্ট হতে পারেন। যেকোনো সিদ্ধান্তে স্থির থাকুন।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): আপনার সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পাবে। কাজে দক্ষতা দেখাতে পারবেন। প্রতিকূল পরিস্থিতির হঠাৎ পরিবর্তনের ইঙ্গিত রয়েছে। নতুন কিছু করার সুযোগ আসবে। নিজ ভাবনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবেন। মন ভালো রাখুন।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কোনো পরিকল্পনা বিলম্বিত হতে পারে। কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা আছে। অকারণে ব্যয় বাড়তে পারে। পরিস্থিতি যাতে বিরুদ্ধে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করলে লাভবান হবেন। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো পরিকল্পনার অগ্রগতি হবে। ইতিবাচক সংবাদে আশাবাদী হবেন। কাজে উৎসাহ পাবেন। কোনো বন্ধুর সহযোগিতায় কাজে অগ্রগতি হতে পারে। আবেগের বশে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। আবেগের চেয়ে ধৈর্য বেশি কাজ করবে।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): আজ মানসিকভাবে ভালো বোধ করবেন। আপনি একটি উদার এবং ভালো মেজাজে নিজেকে খুঁজে পাবেন। কারো উপদেশ কাজে লাগবে। সমস্যা সমাধানে নিজ বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগান। অবসর সময়টি আপনজনের সঙ্গে ব্যয় করতে পারেন।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): বিদেশসংক্রান্ত কোনো বিষয় অগ্রাধিকার পাবে। কারো সাহচর্যে সময় ভালো কাটবে। কোনো শুভকাজে অংশগ্রহণের সুযোগ আসবে। প্রয়োজনীয় কাজে গতি আনার চেষ্টা করুন। উপার্জনের জন্য উদ্ভাবনী চিন্তার ব্যবহার করুন।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): কাজের চাপ থাকবে। বিরূপ সমালোচনার সম্মুখীন হতে পারেন। কাজে বাধা এলেও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। প্রিয়জনের অসুস্থতায় কিছুটা উদ্বিগ্ন থাকতে পারেন। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সাবধান। শরীর ভালো রাখুন।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): পুরনো সমস্যার জট খুলবে। যৌথ কাজে অগ্রগতি হবে। উপার্জন হলেও আর্থিক চাপ থাকবে। কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ দেখা দিতে পারে। সঠিক বুদ্ধি প্রয়োগে অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): নির্জনতায় থাকতে পছন্দ করতে পারেন। কর্মপ্রার্থীরা কোনো কাজে সুযোগ পেতে পারেন। সব কিছুতে দ্রুত ফল লাভ হয়তো হবে না। অগ্র-পশ্চাৎ ভালোভাবে চিন্তা করে এগোবেন। পরিবেশ পক্ষে থাকবে।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): মন উৎফুল্ল থাকবে। প্রত্যাশিত কাজে সফলতা পাবেন। অপ্রত্যাশিত কোনো সুযোগ আসতে পারে। কাজে উন্নতির যোগ ও সুনাম বাড়বে। অতীতের কোনো কাজের ফল এখন পেতে পারেন। রোমান্স শুভ।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কোনো পরিকল্পনায় বিলম্বিত হতে পারে। কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে। কোনো কিছু নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আজ দিন আনন্দে কাটবে। বন্ধু এবং স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগে স্বস্তি পাবেন। প্রিয়জন কিছু সুন্দর কথা নিয়ে আপনার সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। কোনো বন্ধুর পরামর্শ কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে।
মানসিক চাপ ও হতাশা দূর করুন: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ১০ খাবার
মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের সার্বিক সুস্থতার এক অপরিহার্য অংশ। আমরা সাধারণত মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা হতাশা দূর করতে নানা চেষ্টা করি, কিন্তু খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। অথচ পুষ্টিবিদরা বলছেন, পুষ্টিকর খাবার শরীরের পাশাপাশি মনকেও চাঙা রাখে, স্ট্রেস সামলাতে সাহায্য করে এবং জীবনকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ লবলিন কৌর জানিয়েছেন, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার ও খাদ্যাভ্যাস যুক্ত করা জরুরি। নিচে রইল এমন ১০টি খাবার ও অভ্যাস, যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যে আনতে পারে ইতিবাচক পরিবর্তন:
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০টি কৌশল
১. ঘরে তৈরি দই: দইয়ে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া পরোক্ষভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। প্রতিদিন আধা থেকে এক কাপ ঘরে তৈরি দই, সঙ্গে ভাজা জিরা ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে হজমও সহজ হয় এবং মন ভালো থাকে।
২. ওটস ও হোলগ্রেইন: ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। ফলে শক্তি ও মেজাজ দুটোই ভালো থাকে। সকালের নাস্তায় ওটস বা কুইনোয়া রাখলে পুষ্টিগুণ আরও বাড়ে।
৩. কলা: এই সহজলভ্য ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন বি-৬, যা সেরোটোনিন তৈরি করে। এই হরমোনই আমাদের ‘ভালো মুড’ ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটুখানি কলা ও এক মুঠো বাদাম খেলে শরীর ও মন দুটোই প্রফুল্ল থাকে।
৪. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার: প্রোটিন মস্তিষ্কে ডোপামিন ও সেরোটোনিন তৈরিতে ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিটি মিলেই প্রোটিন (ডাল, ডিম, মাছ বা স্প্রাউটস) থাকা উচিত। এটি মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫. আখরোট ও বাদাম: আখরোটে আছে উদ্ভিজ্জ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা প্রদাহ কমায় ও মেজাজ ভালো রাখে। অন্যদিকে, কাঠবাদামে থাকা ম্যাগনেশিয়াম স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ঘুম ভালো আনে। প্রতিদিন এক মুঠো খাওয়া যথেষ্ট।
৬. ফ্ল্যাক্সসিড ও কুমড়ার বীজ: প্রতিদিন এক টেবিলচামচ ফ্ল্যাক্সসিড বা কুমড়ার বীজ খেলে শরীর প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩, জিঙ্ক ও ম্যাগনেশিয়াম পায়। এগুলো দই বা সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৭. পাতা জাতীয় সবজি: পালং, লাল শাক, সরিষা শাক ইত্যাদিতে থাকে ফলেট ও ম্যাগনেশিয়াম, যা স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখে। এগুলো ডাল বা ওমলেটে মিশিয়ে খেলে পুষ্টিগুণ আরও বাড়ে।
৮. রঙিন ফল ও সবজি: বেরি, কমলা, আমলা, বিটরুট, টমেটোর মতো রঙিন ফল ও সবজিতে থাকে পলিফেনল, যা মস্তিষ্কে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং মন ভালো রাখে। প্রতিদিনের খাবারে অন্তত দুই রঙের সবজি বা ফল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
৯. ভিটামিন ডি ও বি-১২: এই দুটি ভিটামিন শক্তি, মেজাজ ও মনোযোগ ধরে রাখতে অপরিহার্য। সকালে অল্প রোদে কিছুক্ষণ থাকা ভিটামিন ডি পাওয়ার প্রাকৃতিক উপায়। ঘাটতি থাকলে সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
১০. ডার্ক চকলেট: ৭০ শতাংশ বা তার বেশি কোকোযুক্ত ডার্ক চকলেট খেলে মেজাজ ভালো হয়, কারণ এতে থাকে ম্যাগনেশিয়াম ও পলিফেনল। তবে অতিরিক্ত চিনি যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে দিনে ১৫-২০ গ্রামই যথেষ্ট।
পুষ্টিবিদদের মতে, “মন ভালো রাখার শুরু হয় প্লেট থেকেই।” তাই পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে মানসিক চাপ সামলানো সহজ হয়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
৫টি বিশেষ ধরনের মধু, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
মধু শুধু একটি মিষ্টি খাবার নয়—এটি প্রকৃতির অন্যতম প্রাচীন ও নির্ভরযোগ্য ওষুধও বটে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিশ্বের নানা সভ্যতায় মধু তার চিকিৎসাগত, জীবাণুনাশক ও পুষ্টিগুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুল বা উদ্ভিদের ধরন অনুযায়ী মৌমাছিরা যে মধু সংগ্রহ করে, তার স্বাদ, রঙ ও ঘনত্বে ভিন্নতা দেখা যায়। হাজারো প্রজাতির মধু থাকলেও, পাঁচটি বিশেষ ধরনের মধু তাদের অনন্য গুণাবলির জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
৫টি বিশেষ ধরনের মধুর কার্যকারিতা
১. মানুকা হানি— প্রাকৃতিক নিরাময়ক: নিউজিল্যান্ডের মানুকা গাছ থেকে উৎপন্ন এই মধুটি জীবাণুনাশক ও প্রদাহনাশক গুণে বিখ্যাত। এতে থাকা ‘মিথাইলগ্লাইঅক্সাল’ (MGO) উপাদান ক্ষত, পোড়া ও ত্বকের সংক্রমণ নিরাময়ে সহায়তা করে। এটি কাশি ও গলার প্রদাহ কমাতেও কার্যকর। ত্বকের যত্নেও এটি জনপ্রিয়।
২. বাকহুইট হানি— রোগপ্রতিরোধের ঢাল: গাঢ় রঙের ও তীব্র স্বাদের এই মধু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি বিশেষভাবে গলা ব্যথা ও কাশি উপশমে কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু ওষুধের কফ সিরাপের মতোই এটি কাজ করতে পারে, ফলে ঋতুজনিত সর্দি-কাশিতে এটি প্রাকৃতিক বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৩. ইউক্যালিপটাস হানি— ঠান্ডা কাশির সহায়ক: মেনথলের মতো স্বাদযুক্ত এই মধু নাক বন্ধভাব দূর করে ও শ্বাস-প্রশ্বাসে আরাম দেয়। এটি ঠান্ডা, ফ্লু ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় উপকার দেয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতকালে এর সতেজ ঘ্রাণ ও স্বাদ শরীর ও মনকে আরাম দেয়।
৪. ক্লোভার (বারসিম) হানি— হৃদযন্ত্রের রক্ষাকবচ: হালকা রঙ ও মৃদু স্বাদের এই মধু সবচেয়ে প্রচলিত হলেও এর গুণাগুণ কম নয়। এটি রক্ত চলাচল উন্নত করে ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। এটি হজমে সহায়তা করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা না বাড়িয়ে প্রাকৃতিক শক্তি জোগায়।
৫. ফলের মধু— কোমল ও সবদিক থেকে উপকারী: বিভিন্ন ফলের ফুল থেকে সংগৃহীত এই মধু সুগন্ধি ও হালকা স্বাদের। এটি রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা, হজমে সহায়তা ও ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর। এর প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক গুণ শরীরের সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রকৃতির এই অনন্য উপহার শুধু স্বাদেই নয়, সুস্থতাতেও নিয়ে আসে মিষ্টি পরশ।
সঙ্গী কি আপনাকে এড়িয়ে চলছেন? এই ৬টি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন
সম্পর্কে ঝগড়া-বিবাদ থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। তবে অনেকেই আছেন, হাজার খারাপ লাগলেও মুখে কিছু বলতে পারেন না। তারা ধীরে ধীরে সঙ্গীর থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন, যার ফলে একসঙ্গে থেকেও সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। নিচে এমন কিছু লক্ষণ তুলে ধরা হলো, যা দেখলে সহজেই বুঝবেন আপনার সঙ্গী মানসিকভাবে আপনার সঙ্গে খুশি নেই।
সম্পর্কের ফাটল বোঝার ৬টি লক্ষণ
১. কথা বলা বন্ধ করা: আগে সঙ্গী হয়তো আপনার সঙ্গে অনেক ছোট ছোট কথা শেয়ার করতেন। যদি দেখেন, এখন আর তিনি তা করছেন না বা আপনার সমস্যার কথা শুনলেও, নিজের ব্যক্তিগত কিছুই আর জানাচ্ছেন না, তাহলে বুঝবেন তিনি মানসিকভাবে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছেন।
২. আবেগের অনুপস্থিতি: মানসিকভাবে দূরত্ব তৈরি হলে কোনো ধরনের আবেগ আর সঙ্গীকে স্পর্শ করবে না। আপনারা হয়তো একসঙ্গে থাকবেন, কিন্তু মানসিকভাবে তিনি আপনার থেকে দূরে সরে যাবেন। আপনি রাগ দেখান বা ভালোবেসে কাছে টেনে নিন—আগের মতো কোনো প্রতিক্রিয়া আর পাবেন না।
৩. খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ: সঙ্গী যদি হঠাৎ করেই আপনার ছোট-বড় খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন, তাহলে বুঝবেন সম্পর্কে ফাটল ধরেছে এবং সম্পর্কে আপনার গুরুত্ব কমে গেছে।
৪. অসমাপ্ত আলোচনা ও মতানৈক্য: ছোট-বড় সব বিষয়ে মতানৈক্য তৈরি হলেও বুঝবেন আপনাদের সম্পর্ক আর আগের মতো নেই। দিনের পর দিন নিজেদের মধ্যেকার কথা অসমাপ্ত থাকলে দুজনের মধ্যেই বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট হয়। ফলে ছোটখাটো বিষয়েও সহজে কথা কাটাকাটির পরিস্থিতি তৈরি হয়।
৫. শারীরিক সম্পর্কে অনীহা: দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্কে অনীহা প্রকাশ করলেও বুঝতে হবে সঙ্গী মানসিকভাবে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছেন এবং সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
৬. গোপনীয়তা বৃদ্ধি: সঙ্গী যদি হঠাৎ করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বাড়াতে শুরু করেন—যেমন ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সতর্ক থাকা—তাহলে বুঝতে হবে তিনি আপনার সঙ্গে ভালো নেই।
মেদ কমাতে হিমশিম খাচ্ছেন? খাবারের পর ২ মিনিটের অভ্যাসেই মিলবে সমাধান
পেটের মেদ কমানো কঠিন কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। শরীরের অন্য অংশের চর্বি কমলেও কোমর ও পেটের বাড়তি চর্বি অনেক সময় নড়তে চায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মেদ কমাতে জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। সম্প্রতি ফিটনেস ট্রেইনার ক্রিস্টিন স্টাইনস জানিয়েছেন, রাতের খাবারের পর মাত্র দুই মিনিটের একটি অভ্যাস গড়ে তুললে ওজন কমানো অনেক সহজ হতে পারে।
২ মিনিটের হাঁটা কেন এত কার্যকর?
ফিটনেস ট্রেইনার ক্রিস্টিন জানান, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে রক্তে শর্করা (blood sugar) ও ইনসুলিনের সম্পর্ক গভীর। তার মতে, যখন আমরা খাবার খাই, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এই অবস্থায় অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন নিঃসরণ করে, যা রক্ত থেকে শর্করা সরিয়ে শক্তি হিসেবে জমা রাখে।
ক্রিস্টিন বলেন:
“যখন শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেশি থাকে, তখন ফ্যাট বার্নিং বা চর্বি পোড়ানো বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় শরীর বেশি ইনসুলিন চায়, ফলে সারাক্ষণ ফ্যাট স্টোরেজ মোডে থাকে। এমনকি স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও ওজন কমাতে সমস্যা হয়।”
পেটের অতিরিক্ত মেদ রক্তে শর্করা ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। ক্রিস্টিনের মতে, এই সমস্যার সমাধানে রক্তে গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের হঠাৎ ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
গবেষণার তথ্য ও কৌশল
২০২২ সালে জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ক্রিস্টিন জানান, খাবারের পর মাত্র ২ থেকে ৫ মিনিট হাঁটলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
তিনি ব্যাখ্যা করেন:
“খাওয়ার পর হাঁটার সময় শরীরের পেশিগুলো স্পঞ্জের মতো কাজ করে। তারা চলাফেরার মাধ্যমে রক্ত থেকে গ্লুকোজ শোষণ করে নেয়, এতে অতিরিক্ত ইনসুলিনের প্রয়োজন পড়ে না। ফলে রক্তে শর্করা কমে, ইনসুলিনও কমে এবং শরীর স্বাভাবিকভাবে ফ্যাট বার্নিং মোডে চলে যায়।”
ফিটনেস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, এই পদ্ধতি কার্যকর হলেও এটি সবার জন্য এক নয়। তাই খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়ামের রুটিনে পরিবর্তন আনার আগে চিকিৎসক বা ফিটনেস পরামর্শকের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি।
সূত্র : এনডি টিভি
পোষা প্রাণী কি অ্যালার্জি কমায়? গবেষণা যা বলছে
পোষা প্রাণীর উপস্থিতি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলে গবেষকরা দাবি করছেন। প্রাণীর সাহচর্য অ্যালার্জি, একজিমা, চুলকানি এবং এমনকি থাইরয়েড সংক্রান্ত রোগ বা টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের মতো অটোইমিউনো ডিজিজের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে পারে।
এই প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় আমিশ সম্প্রদায়ের কথা। ১৯৬০-এর দশক থেকে হাঁপানি, একজিমা এবং অ্যালার্জির মতো প্রতিরোধ ক্ষমতা-সংক্রান্ত রোগের প্রকোপ বাড়লেও, তা আমিশদের খুব একটা প্রভাবিত করতে পারেনি। এর নেপথ্যে থাকা কারণ জানতে গবেষকরা আমিশ ও হুটেরাইটস সম্প্রদায়ের শিশুদের নিয়ে গবেষণা চালান।
আমিশ ও হুটেরাইটস: দুই সম্প্রদায়ের তুলনামূলক চিত্র
২০১২ সালে গবেষকরা ইন্ডিয়ানায় বসবাসকারী আমিশ এবং সাউথ ডাকোটায় হুটেরাইটস নামে পরিচিত দুটি কৃষিভিত্তিক সম্প্রদায়ের ৩০ জন শিশুর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেক মিল থাকলেও, হাঁপানি এবং শৈশবকালীন অ্যালার্জির হারে ছিল বিশাল পার্থক্য।
পার্থক্য: হুটেরাইটস সম্প্রদায়ের শিশুদের মধ্যে হাঁপানি এবং শৈশবকালীন অ্যালার্জির হার আমিশ শিশুদের তুলনায় চার থেকে ছয় গুণ বেশি।
কারণ: গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেন, হুটেরাইটসরা শিল্পায়িত কৃষি প্রযুক্তিগুলো পুরোপুরি গ্রহণ করেছে, কিন্তু আমিশ সম্প্রদায় তা করেনি। ফলে অল্প বয়স থেকেই আমিশ সম্প্রদায়ের শিশুরা খামারে প্রাণীদের সঙ্গে বাস করেছে এবং তাদের বয়ে আনা জীবাণুর সংস্পর্শে থেকেছে।
বিশেষজ্ঞের ব্যাখ্যা: আয়ারল্যান্ডস্থিত ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক’-এর অধ্যাপক ফার্গুস শানাহান বলেন, হুটেরাইটসরা ছোট গ্রামে বাস করলেও তাদের খামারগুলো বাড়ি থেকে কয়েক মাইল দূরে থাকে। কিন্তু আমিশ সম্প্রদায়ের মানুষরা খামারে প্রাণীদের সঙ্গেই বাস করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির গবেষকদের সিদ্ধান্তে আসে যে, আমিশ সম্প্রদায়ের শিশুদের মধ্যে অ্যালার্জির ঝুঁকি কম থাকার কারণ হলো, এই পরিবেশ তাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এভাবে গড়ে তুলেছে।
টি কোষ ও ‘মিনি-ফার্ম এফেক্ট’
২০১৬ সালে প্রকাশিত এই গবেষণায় গবেষকরা লক্ষ্য করেন, হুটেরাইট সম্প্রদায়ের শিশুদের তুলনায় আমিশ শিশুদের শরীরে ‘টি কোষগুলো’ (যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে) আরও বেশি কার্যকর। দুই সম্প্রদায়ের শিশুদের বাড়ি থেকে ধুলোবালির নমুনা সংগ্রহ করে দেখা যায়, আমিশ শিশুরা আরও বেশি পরিমাণে মাইক্রোবের (অণুজীব বা জীবাণু) সংস্পর্শে এসেছে, যা সম্ভবত প্রাণীদের সাহচর্য থেকে এসেছে।
অন্যান্য গবেষকদের পরীক্ষা থেকেও জানা যায়, আলপাইন খামারে বেড়ে ওঠা শিশুরা হাঁপানি, হে ফিভার এবং একজিমার মতো রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে। গবেষকদের মতে, শৈশবের প্রথম দিকে বাচ্চারা যত সংখ্যক পোষা প্রাণীর উপস্থিতিতে থেকেছে, সাত থেকে নয় বছর বয়সে অ্যালার্জির ঝুঁকি ততই হ্রাস পায়। একে ‘মিনি-ফার্ম এফেক্ট’ বলা হয়।
তবে গবেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যাদের ইতোমধ্যে একজিমা রয়েছে, তাদের নতুন করে কুকুরের সাহচর্যে রাখলে রোগের লক্ষণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাঠকের মতামত:
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেয়েছেন শহিদুল আলম, তুরস্কের ফ্লাইটে আঙ্কারার পথে
- ট্যাঙ্গো, পাম্পাস আর বিপ্লবের দেশ: আর্জেন্টিনার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি
- নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা: কে পেলেন এ বছরের সম্মানজনক পুরস্কার?
- আজ থেকে পাঁচ দিন দেশের আবহাওয়া কেমন থাকবে?
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- সাবধান! হোটেলকক্ষে গোপন ক্যামেরা শনাক্তের ৬ কৌশল
- গুগল জেমিনি প্রো বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা
- পারফিউম নয়, ফিটকিরি: ১০০ টাকায় তৈরি করুন নিজস্ব ঘরোয়া সুগন্ধি
- ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রাঃ): জীবন, নেতৃত্ব ও উত্তরাধিকার ভূমিকা
- নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা আজ, ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ
- চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং-এর রহস্যময় সমাধি: মাটির সেনাবাহিনী, পারদের নদী আর অমরত্বের অভিশাপ
- ফিলিপাইনে ৭.৫ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প: সুনামি সতর্কতা, আতঙ্কে মিন্দানাওবাসী
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- ইসরায়েলে আটক শহিদুল আলমকে ফিরিয়ে আনার চূড়ান্ত চেষ্টা—তুরস্কের বিশেষ বিমান প্রস্তুত, অপেক্ষা শেষ মুহূর্তের সম্মতির
- শেষ বাঁশি বাজার মুহূর্তে স্বপ্ন চুরি: নাটকীয় ম্যাচে হারল বাংলাদেশ
- আগামীকাল ১০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- ব্যাংকিং খাতে বড় রদবদল: ৫ ব্যাংক একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠন
- ব্যাংকিং খাতে বড় রদবদল: ৫ ব্যাংক একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠন
- আন্দোলন প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় ইনজেকশন পুশ করা হয়
- এক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে নারাজ ইসরায়েল, কে এই ব্যক্তি?
- শহিদুল আলমসহ আটক কর্মীদের কঠোর কারাগারে পাঠাচ্ছে ইসরায়েল
- শাপলা না পেলে ধানের শীষসহ সব প্রতীক বাতিলের দাবি
- বড় দরপতনে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস শেয়ারবাজারে নেতিবাচক ধারা
- ৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সহজে ভিডিও ডাউনলোডের ৭টি সেরা অ্যাপ
- রান্নাঘর থেকে রূপচর্চা: এক টুকরো ফিটকিরির ১০টি বিস্ময়কর ব্যবহার
- খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ী খুন
- পশ্চিমতীরে ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েলি সেনারা
- কেউ কিছু জানে না, এমনও অনেক মিটিং হচ্ছে: আমির খসরু
- শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- গাজায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও হামলা অব্যাহত
- বিশ্বসংগীতে নতুন রেকর্ড গড়লেন রোজে
- পুরুষের বন্ধ্যত্ব কেন হয়? যে ৫টি খাবার শুক্রাণুর পরিমাণ বাড়ায়
- সকালে এই ৪টি অভ্যাস হার্টের ক্ষতি বাড়াতে পারে
- ইউনেসকোর সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি বাংলাদেশ: কূটনৈতিক অগ্রযাত্রায় নতুন মাইলফলক
- শেখ হাসিনার ভারত থেকে রাজনৈতিক বক্তব্য বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে দিল্লি
- সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার পথে বাংলাদেশ: বহুমাত্রিক পরিবহন পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে
- র্যাঙ্কিংয়ে ৩৮ ধাপ এগিয়ে থাকা হংকংয়ের বিপক্ষে আজ লড়বে বাংলাদেশ
- গাজায় শান্তি ফেরায় উৎসব: হামাস-ইসরায়েল চুক্তিতে আনন্দ-উচ্ছ্বাস
- অষ্টম প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পথে ফ্রান্স: ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে ম্যাক্রোঁ
- শুক্রবার ১৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- তহবিল সংকটে জাতিসংঘ: শান্তিরক্ষী বাহিনী কমছে ২৫ শতাংশ
- নোবেল শান্তি পুরস্কার: আগামীকাল ঘোষণা, ট্রাম্পের ভাগ্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
- শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচজন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে: রাশেদ খান
- রাশিফল: ৯ অক্টোবর আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
- শর্ত লঙ্ঘনের বিশাল অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচন নিয়ে কেন এত বিতর্ক?
- নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপিকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতে নীরব প্রতিযোগিতা
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- কোরআন অবমাননা: নর্থ সাউথ থেকে শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- আফ্রিকার হৃদয়ে পাথরের রাজ্য: জিম্বাবুয়ের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আত্মার গল্প
- গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
- সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী
- তারেক রহমানের ঘোষণা: “জনগণের নির্বাচনে আমি থাকব জনগণের মধ্যেই”
- ইসরায়েলে আটক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অভিযাত্রীদের অনশন
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পৃথিবীর শেষ সীমান্ত: মহাসাগরের গহীনে অজানার খোঁজে
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ