মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে ৫০টির বেশি জাহাজ, বাংলাদেশের আমদানি-সংক্রান্ত উদ্বেগ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরে ইরানি তেল ও এলপিজি পরিবহন এবং এর উৎস গোপনের সঙ্গে জড়িত বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও নৌবাহিনীর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। ভেসেল-ট্র্যাকিং তথ্য অনুযায়ী, ইরান-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলো এখনো চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় রয়েছে। যদিও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের নাম সরাসরি নেই, তবে এই ধরনের চালান ও লেনদেনের মাধ্যমে বাংলাদেশও এখন ওয়াশিংটনের সম্প্রসারিত নজরদারি ও বাস্তবায়ন ব্যবস্থার আওতায় ধরা হচ্ছে।
দীর্ঘ আলোচনার পর চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর জাহাজগুলোকে পুনরায় গ্যাস স্থানান্তরের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মার্কিন আইনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ লেনদেনে জড়িত বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’-এর ঝুঁকিতে থাকে।
চীনা রিফাইনারি ও ‘ছায়া নৌবহর’
চলতি বছরের চতুর্থ দফার এই নিষেধাজ্ঞা বিশেষভাবে চীনের রিফাইনারি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের লক্ষ্য করেছে। মার্কিন অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ভিত্তিক কিছু প্রতিষ্ঠান ইরানি তেলের উৎস গোপন করতে ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা ছায়া নৌবহর পরিচালনা করত। এসব কার্যক্রমের মধ্যে ছিল এক জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে তেল স্থানান্তর এবং ছদ্ম কোম্পানির মাধ্যমে পণ্যের গতিপথ লুকানো।
তালিকাভুক্ত চীনা প্রতিষ্ঠান: সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান—শানডং জিনচেং পেট্রোকেমিক্যাল গ্রুপ ও রিজাও শিহুয়া ক্রুড অয়েল টার্মিনাল। অভিযোগ রয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করে ইরানের কোটি কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানের তেল ও এলপিজি পরিবহন বা উৎস গোপনের কাজে ব্যবহৃত বহু জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘ম্যাক্স স্টার’, ‘গ্যাস ভিশন’, ‘সি অপেরা’ এবং ‘টিউলিপ’—যেগুলোর সঙ্গে যুক্ত চালানগুলো বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে পৌঁছেছে।
আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব
নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে মার্কিন আইনের আওতায় থাকা তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সব সম্পদ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার জ্বালানি বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোতে, যারা স্পট মার্কেট থেকে এলপিজি ক্রয় করে। ওয়াশিংটনের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে—ইরানের সীমার বাইরে গিয়ে তারা এখন এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদেরও নজরদারির আওতায় আনছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিষেধাজ্ঞা ছোট আমদানিকারকদের জন্য জ্বালানি সরবরাহকে জটিল করে তুলতে পারে।
নভেম্বরেই রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ডের আভাস
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে চলমান ঊর্ধ্বমুখী ধারা নভেম্বর মাসে আরও দৃশ্যমান রূপ নিয়েছে। চলতি নভেম্বরের প্রথম ২৪ দিনেই বাংলাদেশে এসেছে ২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা সমপরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব বলছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৫১ কোটি ডলার বেশি, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ও সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য আশাব্যঞ্জক সংকেত।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, নভেম্বর মাসের অবশিষ্ট দিনগুলোর প্রবাহ একই ধারায় অব্যাহত থাকলে মাস শেষে মোট রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত বছরে মাত্র একবার, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে, মাসিক রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন অতিক্রম করেছিল। এবার বছরের শেষপ্রান্তে এসে আবারও সেই রেকর্ড ছোঁয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সরকারের দেয়া ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা, ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার সহজ হওয়া, বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউসের কার্যকর সমন্বয় এবং হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারির ফলে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। চলতি মাসের ২৪ দিনে দেশে যে ২৩৫ কোটি ডলার এসেছে, সেটি প্রতিদিনের হিসেবে দাঁড়ায় ৯ কোটি ৭৯ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ের এই পরিমাণ ছিল ১৮৪ কোটি ডলার, যা প্রবাসী আয়ে ২৮ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
অর্থনীতিবিদদের ভাষ্য, আমদানি ব্যয়, ডলারের দাম, রিজার্ভ পরিস্থিতি এবং ব্যাংকিং খাতের চলমান চাপের মধ্যে রেমিট্যান্সের এই উল্লম্ফন অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তারা মনে করেন, এই ধারা বজায় থাকলে বিনিময় হার স্থিতিশীল হওয়া, ডলার সংকট কমা এবং অর্থনৈতিক চাপ কিছুটা লাঘব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
-শরিফুল
এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বার পরিবর্তন স্বর্ণের দামে নতুন সমন্বয়
দেশের বাজারে আজ মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ২০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব এবং তেজাবি স্বর্ণের মূল্যহ্রাস বিবেচনায় ভরিতে ১ হাজার ৩৫৩ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন এই দাম আজ থেকে দেশের সকল জুয়েলারি দোকানে কার্যকর হয়েছে।
বাজুসের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি ভরি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম এখন ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকা। একইভাবে ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ আজ বিক্রি হবে ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৮ টাকায়।
স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাজারের সার্বিক অবস্থা তেজাবি স্বর্ণের মূল্যহ্রাস এবং আমদানি প্রবণতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস। একই সঙ্গে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। গহনার ডিজাইন জটিলতা ও মান অনুযায়ী মজুরিতে তারতম্য হতে পারে।
এর আগে বুধবার ১৯ নভেম্বর বাজুস স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল। সেদিন ভরিতে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম হয়েছিল ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছিল ২ লাখ ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা। ২০ নভেম্বর থেকে সেই দাম কার্যকর হয়।
স্বর্ণের বাজারে দামের ওঠানামা দেখা গেলেও রুপার বাজার সম্পূর্ণ স্থিতিশীল রয়েছে। দেশের বাজারে ২২ ক্যারেট রুপা বিক্রি হচ্ছে প্রতি ভরি ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। ২১ ক্যারেট রুপার দাম ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।
-রাফসান
ভারতীয় চাল কেনা হচ্ছে সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে: বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের নতুন কৌশল
বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার সিঙ্গাপুরের সরবরাহকারীর মাধ্যমে ভারত থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য দেন।
তিনি জানান চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হলেও আবার কিছুটা বাড়ছে তাই কোনোক্রমে যেন চালের দাম না বাড়ে সেজন্য সরকার নন বাসমতি চাল আবার আমদানি করবে। কোন দেশ থেকে চাল আসবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা স্পষ্ট করেন যে নন বাসমতি চালটা ভারত থেকে আসবে তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি সিঙ্গাপুরের। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে তাঁরা নির্দিষ্ট কোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেননি বরং চালের মান সময়মতো সরবরাহ আর দামটা দেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার সংশোধিত বাজেট করে ফেলতে চায় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। গণভোট ও ত্রয়োদশ নির্বাচন একই দিনে হওয়ায় বাড়তি খরচ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন নির্বাচনের ও গণভোটের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে কারণ সেখানে লোকবল ও সিকিউরিটি লাগবে। তিনি জানান বাজেট এখন নতুন করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে তবে নির্বাচনের বাজেটটা সরকার এখনও উন্মুক্ত রেখেছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের বাজেটের জন্য একটি সময়সীমা দেওয়া হলেও নির্বাচনের বাজেটের ক্ষেত্রে তা পুরোপুরি খোলা রাখা হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেন যে জানুযারিতে তাঁরা পরবর্তী সরকারের জন্য বাজেট প্রস্তুত করে রাখবেন এবং নির্বাচন নিয়ে অর্থের জোগান বা চিন্তার কোনো কারণ নেই।
গণভোট ও নির্বাচন একই দিনে করা চ্যালেঞ্জ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন এটি চ্যালেঞ্জ হলেও গ্রহণ করতে হবে। তিনি জানান সরকার থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং প্রধান উপদেষ্টাও বলে দিয়েছেন যে ভোট একদিনেই হবে। তিনি যুক্তি দেখান যে দুই দিন ভোট করা মানে রিটার্নিং অফিসার মোবিলাইজ করা থেকে শুরু করে ব্যাংক অফিসার ও স্কুল শিক্ষকদের ডিউটিতে আনা যা অনেক কঠিন কাজ। পৃথিবীর অনেক দেশেই গণভোট আর সাধারণ ভোট একই দিনে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন লজিস্টিক্যালি বা কারিগরি দিক থেকে একবারে করাটাই ভালো এবং এতে সুষ্ঠুভাবে ভোট করা সম্ভব। এছাড়া এদিন বৈঠকে সার ও পরিশোধিত তেল কেনা এবং তিনটি সড়ক করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
২১–১৮ ক্যারেটেও দাম কমছে, কেমন হবে বাজারের পরবর্তী ধাপ?
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের স্বর্ণবাজারেও দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য কমে যাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই মূল্য শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে, যা আগামী সোমবার (২৪ নভেম্বর) একইভাবে বহাল থাকবে।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম কমেছে ১,৩৫৩ টাকা, যার ফলে নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকা। আগের দাম ছিল ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। এর বাইরে ২১ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ টাকা, যা বৃহস্পতিবার ছিল ২ লাখ ৩ টাকা। ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরিপ্রতি কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩১৭ টাকা, আগের মূল্য ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা। সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৭ টাকা, যা আগের দিনে ছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা।
নতুন এই মূল্যহার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব জুয়েলারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর রাখতে হবে। বাজুস জানিয়েছে, ঘোষিত বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন, মান এবং নির্মাণের জটিলতার কারণে মজুরি ভিন্ন হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
-রাফসান
আজ থেকেই যেসব গ্রাহকসেবা বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকের
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক তার সব অফিসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি, প্রাইজবন্ড বিক্রি ও পরিশোধ, ছেঁড়া–ফাটা নোট বিনিময়, অটোমেটেড চালান গ্রহণসহ সকল ধরণের সরাসরি গ্রাহকসেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) থেকে মতিঝিলসহ দেশের নয়টি অফিসেই সেবাবন্ধের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘ্নে গ্রাহক লেনদেন ও সংশ্লিষ্ট সেবা দিতে পারে, সে জন্য মনিটরিং আরও জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কেপিআইভুক্ত (Key Point Installation) প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরাপত্তার গুরুত্ব বিবেচনাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সরাসরি সাধারণ জনগণকে কাউন্টার সেবা দেয় না এই আন্তর্জাতিক প্র্যাকটিস অনুসরণ করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত এসেছে। ব্যাংক সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা, প্রবেশাধিকার এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ লেনদেন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দূরে রাখতে এই পরিবর্তন দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় ছিল।
প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল ৩০ নভেম্বরকে লক্ষ্য রেখে মতিঝিল অফিসে সেবা বন্ধ করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে অন্যান্য অফিসে। তবে সর্বশেষ মূল্যায়নের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সময় এগিয়ে এনে সব অফিসে একই দিন থেকে সরাসরি গ্রাহকসেবা বন্ধের ঘোষণা দেয়।
এর ফলে এতদিন যেসব অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড কার্যক্রম, ক্ষতিগ্রস্ত নোট বিনিময় এবং বৈদেশিক লেনদেন-সংক্রান্ত চালান কার্যক্রম পরিচালিত হতো যেমন মতিঝিল, সদরঘাট, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী ও সিলেট সেসব শাখায় সাধারণ গ্রাহকদের প্রবেশাধিকার কার্যত বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এখন থেকে এসব কার্যক্রম শুধুমাত্র বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমেই পরিচালিত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চিত করেছে যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে যেন কোনো ধরনের ভোগান্তি বা জট সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কার্যক্রম তদারকিতে বিশেষ স্কোয়াড ও মনিটরিং টিম কাজ করবে। নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক কাঠামোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন মূলত মুদ্রানীতি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং ব্যাংকিং সেক্টরের নজরদারিতে অধিক মনোযোগ দেবে এমনটাই জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সঞ্চয়পত্র বা প্রাইজবন্ড সংশ্লিষ্ট সকল লেনদেন এখন কেবল অনুমোদিত বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে এবং ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময়সহ নগদ মুদ্রা সংক্রান্ত সেবা সম্পূর্ণভাবে তাদের ওপর ন্যস্ত হচ্ছে।
রমজান সামনে রেখে বাজার নিয়ে যে সুখবর মিলছে আমদানির পরিসংখ্যানে
সয়াবিন তেল চিনি মসুর ডাল ছোলা মটর ডাল ও খেজুরের চাহিদা রমজানে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। এই বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে বেশি পরিমাণে পণ্য আমদানি করতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ঋণপত্র বা এলসি খোলা অনেকটাই বেড়েছে। আমদানির তথ্য বলছে এ সময় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সয়াবিন তেল আমদানি ৩৬ শতাংশ চিনি ১১ শতাংশ মসুর ডাল ৮৭ শতাংশ ছোলা ২৭ শতাংশ মটর ডাল ২৯৪ শতাংশ ও খেজুরের আমদানি ২৩১ শতাংশ বেড়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রমজান মাস শুরু হতে পারে।
রমজানে তেল ও চিনির চাহিদা সবসময় বেশি থাকে তাই শীর্ষ গ্রুপগুলো সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর এই দুই মাসেই তেল ও চিনির এলসি খোলা বাড়িয়েছে। এছাড়া আগে থেকেই রমজানের প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য প্রচুর পরিমাণে ক্রয় করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন আমদানির এই ধারা নভেম্বর ও ডিসেম্বরেও থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। বেশির ভাগ পণ্য আগে আনা হলেও অবশিষ্ট যা বাকি রয়েছে তা রোজা শুরু হওয়ার এক মাস আগপর্যন্ত আসতে থাকবে। তবে সেপ্টেম্বরেই রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে মোট ৬ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার ও অক্টোবরে ৫ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। এ বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৮৬৫ টন সয়াবিন তেল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪ টন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৭২ টনের চিনি আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৬ টন।
অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানিও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। চলতি বছর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ডাল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে ৫০ হাজার ৩৫৫ টনের যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৬ হাজার ৯১২ টন। ছোলার এলসি ৪২ হাজার ৮৯১ টন থেকে বেড়ে ৫৪ হাজার ৫১৬ টনে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছর এ দুই মাসে ১০ হাজার ১৬৫ টন খেজুরের এলসি খোলা হয়েছে যা আগের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৬৩ টন। এছাড়া চলতি বছর ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮১০ টন মটর আমদানির এলসি খোলা হয়েছে যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪১ হাজার ৮১৫ টন।
আমদানিকারকরা বলছেন ব্যাংকগুলোতে ডলারের সংকট না থাকায় এই প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশে এক ধরনের ডলার সংকট দেখা দেয় যার ফলে আমদানি সীমিত হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই সমস্যা এখন সমাধান হয়েছে। এছাড়া এলসি খোলার ক্ষেত্রে শতভাগ মার্জিন রাখারও বাধ্যবাধকতা নেই। রমজানে ভোগ্যপণ্য আমদানি নির্বিঘ্ন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি মার্জিনে ছাড় দিয়ে থাকে যা ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক হয়েছে।
বড় ধাক্কা স্বর্ণবাজারে: ভরিতে কমল ৫,৫১৯ টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামে ওঠানামা ও স্থানীয়ভাবে তেজাবী স্বর্ণের মূল্য কমে যাওয়ার প্রভাব বাংলাদেশের বাজারেও দৃশ্যমান হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার রাতে বাজুস কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, স্থানীয় বাজারে পিওর গোল্ডের মূল্য হ্রাস পাওয়া ও চাহিদা-সরবরাহের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত আগামী দিনের বাজারে স্বর্ণ ক্রেতাদের জন্য স্বস্তি তৈরি করবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরিতে ৫ হাজার ৫১৯ টাকা কমানো হয়েছে। পূর্বের দাম ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা, যা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ২৭২ টাকায়। একইভাবে ২১ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ কমতি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বৃহত্তম মূল্যহ্রাস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
২১ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০১ টাকা, যা ১৫ নভেম্বর ছিল ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা। ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন ভরি দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৯ টাকা, যা আগের দাম থেকে এক লাফে প্রায় চার হাজারের বেশি কম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামও কমে এখন প্রতি ভরিতে নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৭১৮ টাকা। বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, দামের এই পতন উৎসব ও বিয়ের মৌসুমে সাধারণ মানুষকে নতুন কেনার উৎসাহ দিতে পারে।
-রফিক
ডলারের রিজার্ভে সুখবর, নভেম্বরের শুরুতেই বিপুল সাড়া
চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম অর্ধেক সময়েই প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন। মাসের প্রথম ১৫ দিনে মোট ১৫২ কোটি ২০ লাখ (বা ১.৫২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক রবিবার (১৬ নভেম্বর) রেমিট্যান্স প্রবাহের এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, বৈধ পথে বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো এই অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফেরাতে সাহায্য করছে।
কর্মকর্তারা মনে করছেন, হুন্ডি বন্ধে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ, প্রবাসীদের জন্য দেওয়া প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং সেবার উন্নতির ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহে এই ভালো দিক দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে, মাসের বাকি দিনগুলোতেও যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তবে নভেম্বর মাস শেষে মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ ভালো ছিল। ওই মাসে মোট ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের বেশি প্রবাস আয় আসে। এই অঙ্কটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলার বেশি। গত বছর অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান দেখায় যে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রবাস আয়ের প্রবাহ শক্তিশালী রয়েছে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল প্রায় ২৪৮ কোটি ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ডলার এবং সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলারে পৌঁছেছিল।
সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত) প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ১০১৫ কোটি ডলার বা ১০.১৫ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় এক লাখ ২৪ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। এই চার মাসে মোট রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগের অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ৮৯৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
২০২৬ সালের ব্যাংক ছুটির তালিকা প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ২০২৬ সালের জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর ছুটির তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এই নতুন তালিকা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো আগামী বছর মোট ২৮ দিন বন্ধ থাকবে। রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব সুপারভিশন এই তালিকাটি অনুমোদন করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।
প্রকাশিত তালিকা অনুসারে, ২০২৬ সালের প্রথম সরকারি ছুটি হবে শবে বরাত উপলক্ষে। এজন্য ৪ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। একই মাসে, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখেও ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর ১৭ মার্চ শবে কদর উপলক্ষ্যে ছুটি নির্ধারিত হয়েছে।
মার্চ মাসেই জুমাতুল বিদা এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হবে। এই উপলক্ষ্যে ব্যাংকগুলো ১৯ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত একটানা বন্ধ থাকবে। এই পাঁচ দিনের ছুটির মধ্যে দুটি সাপ্তাহিক ছুটিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরপর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ছুটি থাকবে।
এপ্রিল মাসে, পার্বত্য চট্টগ্রামের (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) জন্য ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি এবং ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। মে মাসের ১ তারিখে মে দিবস ও বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ব্যাংকগুলোতে ২৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ছুটি থাকবে। এই ছুটির মধ্যেও দুটি দিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে, ২৬ জুন আশুরা, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে এবং ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এছাড়া ২৬ আগস্ট ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ৪ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী এবং ২০ ও ২১ অক্টোবর দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ছুটি থাকবে।
বছরের শেষে, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। সবশেষে, ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে পালনের মাধ্যমে বছরের ছুটির তালিকা শেষ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৯ নভেম্বরের জারি করা প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতেই ২০২৬ সালের এই ছুটির তালিকা কার্যকর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ব্যাংকে মোট ছুটি ছিল ২৪ দিন এবং ২০২৫ সালে ছিল ২৭ দিন। সেই তুলনায় আগামী বছর এই ছুটির সংখ্যা বেড়ে ২৮ দিন হলো।
পাঠকের মতামত:
- একটি দল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: মির্জা ফখরুল
- শেখ হাসিনার বিচার হোক তবে ফাঁসি নয়: জার্মান রাষ্ট্রদূত
- যেসব এলাকায় দুই দিন টানা ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে
- শক্তিশালী হয়েও ভূমিকম্পে যেভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল ইতিহাসের তিনটি জাতি
- দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিত্তিমূল্য এবং নিলামের খুঁটিনাটি জানাল গভর্নিং কাউন্সিল
- চ্যাটজিপিটিতে এবার বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ চ্যাট করার সুযোগ চালু করল ওপেনএআই
- বাংলাদেশের অনুরোধ পেয়ে হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে ভারত জানাল তাদের অবস্থান
- জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনে সরকারের ৮টি জরুরি নির্দেশনা
- মাঝরাতের পর থেকেই বদলে যাচ্ছে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার নিয়ম
- বাউল বনাম তৌহিদি জনতা: পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে আবারও রণক্ষেত্র
- বরিশাল ১: ধানের শীষের অভিজ্ঞতার কাছে কি টিকবে জামায়াতের কৌশল
- ওজন কমাতে চিনির বদলে মধু খাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি
- শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে মার্কিং করা স্বর্ণালংকার নিয়ে দুদকের চাঞ্চল্যকর তথ্য
- জুলাই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
- সাগরের তল থেকে মরুভূমির বুক আসলে কী রহস্য লুকিয়ে আছে এখানে
- শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লির চিঠির জবাব নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পার্লামেন্ট নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল
- গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় শেন ইয়ার
- এসপি পদায়নের লটারি কীভাবে হয়েছে তা বিস্তারিত জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি তাই যা ধরি শেষ করে ছাড়ি বলে হুঙ্কার মমতার
- আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাসের নজিরবিহীন ক্ষোভ ও বিস্ফোরক মন্তব্য
- হৃদ্রোগে আক্রান্ত বাবা নাকি অন্য কোনো কারণ কেন স্থগিত হলো তারকা জুটির বিয়ে
- ২৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জনসংখ্যার বিচারে টোকিওকে টপকে ঢাকার নতুন বিশ্বরেকর্ড
- প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকরা সরকারের কাছ থেকে যে বিশেষ আর্থিক ছাড় পাচ্ছেন
- দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নেতৃত্বের আসনে দেখতে চায়: রিজভীর
- যমুনায় ম্যানুয়াল লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হলো ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার
- সড়কে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ না হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- জন্মনিয়ন্ত্রণে হরমোনাল পিল নিয়ে নতুন গবেষণায় যা উঠে আসল
- শেখ হাসিনার দুই লকারে মিলল স্বর্ণের পাহাড়
- ইস্টার্ন কেবলসের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ
- গোল্ডেন সনের টানা লোকসানে ডিভিডেন্ড বন্ধ ঘোষণা
- এমটিবি পারপেচুয়াল বন্ডের কুপন রেট ঘোষণা
- হুয়াওয়ের ম্যাট ৮০ সিরিজে বিপ্লবী কিরিন ৯০৩০ চিপ উন্মোচন
- কড়াইল বস্তিতে গৃহহীনদের সহায়তার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
- মেয়র মামদানির টিমে একসাথে ১০ বাংলাদেশি
- ডিএসই–৩০ সূচকে মিশ্র প্রবণতা
- ডিএসই মিউচুয়াল ফান্ডে এনএভি হালনাগাদ
- ভারতে মূর্তির পায়ে হাতজোড় করতে বাধ্য করল তিন মুসলিম ছাত্রকে
- ২৬ নভেম্বরের নামাজের সময়সূচি
- নভেম্বরেই রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ডের আভাস
- বুধবার কোন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ? তালিকা প্রকাশ
- বিএনপি–সরকারি কর্মসূচিতে রাজধানীতে ব্যস্ত দিন
- বিএনপির মনোনয়ন বিতর্কে রাজশাহী জুড়ে আগুনঝরা প্রতিক্রিয়া
- টিউলিপ সিদ্দিকির মামলা নিয়ে বিষ্ফোড়ক মন্তব্য ব্রিটিশ আইনজীবীদের
- পাকিস্তানের জাহাজ-বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা
- ই–১ প্রকল্প ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ‘শেষ কফিন’
- যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের তুমুল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা
- শিরোপা জয়ের রেসে আজ বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান কার পাল্লা ভারীে
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ২৬ নভেম্বরের নামাজের সময়সূচি
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- মাটির নিচে তিন প্লেটের সংযোগস্থলে থাকা চট্টগ্রাম যেভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে
- ভারতকে হারানোর পর ৯ বছরের মধ্যে সেরা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
- চট্টগ্রাম ৪ আসনে বিএনপির অভিজ্ঞতা নাকি জামায়াতের কৌশল কার পাল্লা ভারী
- ভূমিকম্প মুহূর্তে যে দোয়া পড়তেন রাসূল (সা.)
- চট্টগ্রাম ১ আসনে বিএনপির নুরুল আমিন নাকি জামায়াতের সাইফুর রহমান কার পাল্লা ভারী








