শীতের বাজারে গাঢ় গোলাপি কিংবা লালচে রঙের বিট রুট এখন সহজলভ্য। পুষ্টিবিদদের মতে, এই রঙিন সবজিটি পুষ্টিগুণ এবং ভেষজ ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় একে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। ডায়েট সচেতন ও স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে এর উপকারিতা ক্রমশ পরিচিত হচ্ছে।

বিট রুটের ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

১. রক্তস্বল্পতা দূরীকরণ: যারা রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগছেন, তারা খাদ্যতালিকায় বিট রুট রাখতে পারেন। এতে থাকা পর্যাপ্ত আয়রন এবং ফলিসন হিমোগ্লোবিন তৈরি করে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

২. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য বিট রুট অনেক উপকারী। এতে রয়েছে নাইট্রেটস, যা রক্তনালী প্রসারিত করে ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

৩. ওজন কমানো: বিট রুটে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার, যা ক্ষুধা মন্দা তৈরি করে। ফলে দেহের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।

৪. হজমে সহায়তা: পর্যাপ্ত খাদ্য আঁশ থাকার কারণে বিট রুট কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে হজমের জটিলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৫. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: বিট রুট রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) মাত্রা কমিয়ে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৬. লিভার সুরক্ষা: বিট রুটে থাকা বিটেইন উপাদান লিভারে চর্বি জমতে বাধা দেয়, যার ফলে সহজেই শরীরকে ডিটক্সিফাই করা যায়।

৭. চোখের স্বাস্থ্য: বিটে থাকা লুটেইন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমায় এবং চোখের স্বাস্থ্য ও চারপাশের স্নায়ু টিস্যুগুলোর শক্তি বৃদ্ধি করে।

৮. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি: বিট রুট মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৯. প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ: বিট রুটে আছে টালাইন নামক প্রদাহ বিরোধী যৌগ, যা প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগকে নিয়ন্ত্রণ করে।

১০. তারুণ্য ধরে রাখা (অ্যান্টি এজিং): বিট রুটে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের তারুণ্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং ত্বকে বার্ধক্যজনিত যে রিঙ্কেল পড়ে, তার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।

খাবারের নিয়ম ও সতর্কতা

খাওয়ার উপায়: বিট রুট কাঁচা সালাদে, জুস করে কিংবা গাজর, ফুলকপি, ব্রকোলি, বাঁধাকপি ইত্যাদি মিলিয়ে মিক্সড সবজি রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য স্মুদি কিংবা মিল্কশেক করেও দেওয়া যেতে পারে। মিষ্টিপ্রিয় ব্যক্তিরা বিট রুটের হালুয়া বা যেকোনো ডেজার্ট তৈরি করেও খেতে পারেন।

কারা খাবেন না:

ডায়াবেটিস রোগী: দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের প্রতিদিন বিট রুট খাওয়া উচিত নয়। কারণ বিট রুটের গ্লাইসিমিক ইনডেক্স অত্যন্ত বেশি, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে।

কিডনি রোগী: যারা কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগছেন বা যাদের ক্রিয়েটিনিন বেশি, তাদের বিট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

অ্যালার্জি: বিট রুটে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তা এড়িয়ে চলাই ভালো।

সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তাদের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী বিট রুট গ্রহণ করা উচিত।

লেখক: ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনস্ট অ্যান্ড ডায়েটিশিয়ান, উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটাল, উত্তরা, ঢাকা।

অ্যালোভেরা হলো এক ধরনের সাকুলেন্ট গাছ যা ঝোপঝাড়ে জন্মায় এবং এর পাতাগুলো মোটা ও খাঁজযুক্ত হয়। পাতার ভেতরের স্বচ্ছ জেল সাধারণত পোড়া বা জ্বালা পোড়ার ত্বক শান্ত করতে ব্যবহার করা হয় তবে অনেকেই ব্রণ কমাতেও এটি ব্যবহার করে থাকেন। অ্যালোভেরার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণই মূলত ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। কিছু মানুষ মনে করেন অ্যালোভেরা খেলে বা ওরালি গ্রহণ করলে ত্বকের ভেতর থেকে আর্দ্রতা ও সুস্থতা বাড়ে তবে এ বিষয়ে খুব বেশি বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।

গবেষণায় দেখা গেছে অ্যালোভেরা যদি সাধারণ অ্যান্টি অ্যাকনে ওষুধের সঙ্গে ব্যবহার করা হয় তবে ভালো ফল পাওয়া যায়। বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা একাই ব্যবহার করেও সুফল পাওয়া সম্ভব কারণ এটি অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণে ভরপুর। বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা ক্লেনজার হিসেবে মুখে লাগালে ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া কমে। ব্রণের জায়গায় আলাদা করে সারা রাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেললে লালচেভাব ও জ্বালা কমে যায়।

অ্যালোভেরার সঙ্গে মধু ও দারুচিনি মিশিয়ে খুব ভালো একটি ঘরোয়া অ্যান্টি অ্যাকনে মাস্ক তৈরি করা যায়। ২ টেবিলচামচ মধু ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা ও ১/৪ চা চামচ গুঁড়া দারুচিনি একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। অন্যদিকে লেবুর রসের ফল অ্যাসিড ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ২ টেবিলচামচ অ্যালোভেরার সঙ্গে ১/৪ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগানো যেতে পারে তবে অতিরিক্ত লেবুর রস ত্বকে জ্বালা করতে পারে তাই অনুপাত ঠিক রাখা জরুরি।

অ্যালোভেরা নতুন ত্বক কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে তাই মুখে ব্যবহার করার জন্য অ্যালোভেরা স্প্রে খুবই কার্যকর। এটি ত্বককে আর্দ্র করে কিন্তু তেলতেলে করে না। এছাড়া যারা প্রাকৃতিক পদ্ধতি পছন্দ করেন তাঁরা নারিকেল তেল চিনি ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন যা ত্বকের মৃত কোষ সরাতে সাহায্য করে। টি ট্রি অয়েল ব্যাকটেরিয়া রোধী তাই অ্যালোভেরার সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো কাজ করে তবে এটি খুবই শক্তিশালী বিধায় মুখে ১ মিনিটের বেশি রাখা যাবে না।

অ্যালোভেরা ব্যবহারের ঝুঁকি ও সতর্কতা সম্পর্কেও সচেতন থাকা প্রয়োজন। অনেকেই অ্যালোভেরা চা বা জুস পান করতে বলেন কিন্তু ব্রণ কমাতে এর প্রমাণ নেই বরং অতিরিক্ত অ্যালোভেরা খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে এবং কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ওষুধের সঙ্গে অ্যালোভেরা খেলে কিছু ক্ষেত্রে শরীরে প্রতিক্রিয়া হতে পারে তাই ডাক্তারকে জানানো ভালো। মুখে নতুন কিছু লাগানোর আগে সবসময় হাতে বা কব্জির কাছে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া উচিত এবং যদি কোনো রকম জ্বালা বা লালচেভাব দেখা যায় তবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

সূত্র: হেলথলাইন

দীর্ঘ অপেক্ষার পর ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন নৌরুটে পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে। এবার পর্যটকদের জন্য থাকছে রাত্রিযাপনের সুবিধাও। তবে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি পর্যটককে দ্বীপে যেতে দেওয়া হবে না এবং মানতে হবে সরকারের জারি করা ১২টি কঠোর বিধিনিষেধ। কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া জেটিঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টায় জাহাজ রওনা হবে এবং পরের দিন বিকেল ৩টায় সেন্টমার্টিন থেকে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকরা ভ্রমণের এই সুযোগ পাবেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম জানান এমভি কর্ণফুলি এক্সপ্রেস এমভি বারো আউলিয়া কেয়ারি সিন্দাবাদ এবং কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন এই চারটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ঘোষিত ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। নিরাপত্তার কারণে টেকনাফ নয় এবার নুনিয়ারছড়া জেটিঘাট থেকেই পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান নভেম্বর মাসে রাত্রিযাপনের অনুমতি না থাকায় পর্যটকদের আগ্রহ ছিল কম ফলে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। তবে ডিসেম্বর থেকে টানা দুই মাস রাত্রিযাপন চালু থাকায় পর্যটকরা ভ্রমণে উৎসাহী হচ্ছেন তাই ১ ডিসেম্বর থেকে জাহাজ সার্ভিস পুনরায় শুরু করা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন জানান দুই হাজারের বেশি পর্যটককে যেতে দেওয়া হবে না। এজন্য নুনিয়ারছড়া ও সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে আলাদা তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

গত ২২ অক্টোবর পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সেন্টমার্টিন ভ্রমণ সংক্রান্ত ১২টি নির্দেশনা জারি করে। এতে বলা হয় বিআইডব্লিউটিএ ও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো নৌযান দ্বীপে প্রবেশ করতে পারবে না। পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অনুমোদিত ওয়েব পোর্টাল থেকে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে যেখানে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে এবং কিউআর কোড ছাড়া টিকিট অবৈধ ধরা হবে। নভেম্বরে শুধুমাত্র দিনের বেলায় ভ্রমণের অনুমতি থাকলেও ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাত্রিযাপন করা যাবে। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটক যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।

দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় রাতে সৈকতে আলো শব্দ ও বারবিকিউ অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি কেয়াবনে প্রবেশ কেয়া ফল সংগ্রহ বা বেচাকেনা এবং সামুদ্রিক কাছিম প্রবাল পাখি ও রাজকাঁকড়াসহ অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করাও নিষিদ্ধ। সৈকতে মোটরচালিত যেকোনো যান চালানোও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দ্বীপে পলিথিন বহন নিষিদ্ধ এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য বহন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। পর্যটকদের নিজস্ব পানির ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকার আশা করছে এসব নতুন বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেন্টমার্টিনের নাজুক পরিবেশ ও সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য সুরক্ষিত থাকবে।

রান্না শুধু দৈনন্দিন কাজ নয় বরং এটা মনের সুখ আর সৃজনশীলতারও জায়গা। একটু বুদ্ধি আর ছোট কিছু টিপস জানলে ঘরোয়া রান্নাও রেস্টুরেন্টের মতো সুস্বাদু হয়ে উঠতে পারে। অভিজ্ঞ রাঁধুনিরা বলছেন মাত্র তিনটি সহজ ও ব্যবহারযোগ্য কিচেন টিপস আলুর তরকারি স্যুপ বা অমলেট সবকিছুকেই আরও মজাদার ও নিখুঁত করতে পারে।

অনেক সময় আলুর তরকারিতে সেই হোটেলের গন্ধ আর রিচ স্বাদ আসে না। কিন্তু একটি ছোট কৌশলেই টেস্ট বাড়ানোর ম্যাজিক পাওয়া সম্ভব। রান্নার একদম শেষে ১ চামচ ঘি ও সামান্য গরম মসলা ছড়িয়ে দিলে তরকারির ঘ্রাণ বেড়ে যায় কয়েকগুণ আর তৈরি হয় হোটেল স্টাইল স্বাদ। চাইলে ঘির বদলে সামান্য মাখনও ব্যবহার করা যেতে পারে যা রান্নায় দারুণ সুগন্ধ যোগ করে।

পানসে বা পাতলা টমেটো স্যুপ খেতে যেমন ভালো লাগে না তেমনি কর্ন ফ্লাওয়ার সবসময় ব্যবহার করাও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাই আরও স্বাস্থ্যকর ও সহজ উপায়ে স্যুপ ঘন করতে একটি সিদ্ধ আলু ব্লেন্ড করে স্যুপে মেশানো যেতে পারে। এতে স্যুপ স্বাভাবিকভাবে ঘন হবে এবং আলুর স্বাদ টমেটোর টকভাবকে ব্যালেন্স করবে। স্যুপটি আরও রিচ করতে চাইলে সামান্য হেলদি ক্রিম বা দুধ যোগ করলে তা আরও স্মুথ ও রেস্টুরেন্ট স্টাইল হবে।

ফুলে ওঠা বা নরম অমলেট বানাতে অনেকেই বিভিন্ন কৌশল চেষ্টা করেন। কিন্তু এর সবচেয়ে সহজ ট্রিক হলো ডিম ফেটানোর সময় ১ থেকে ২ চামচ গরম পানি মেশানো। এতে অমলেটের ভেতরে বাতাস ঢোকে বেশি ফলে সেটি হয় লাইট ফ্লাফি এবং সুন্দরভাবে ফুলে ওঠা। চাইলে ডিম ফেটানোর সময় একটু দুধ মিশিয়েও নরমতা বাড়ানো যেতে পারে। রান্নাদয় বড় পরিবর্তন আনতে বড় কিছু দরকার নেই বরং এই তিনটি ছোট টিপস প্রতিদিনের রান্নায় সহজতা ও বাড়তি স্বাদ এনে দিতে পারে।

সকালের সময়টা যদি আপনার জন্য সব থেকে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সময় এসেছে কিছু ছোট ছোট বদল আনার। দেরিতে ওঠার অভ্যাস শুধু কর্মদক্ষতা কমায় না বরং শরীর ও মনের স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সকালে তাড়াতাড়ি ওঠা শুধু সময় বাঁচায় না বরং শরীরের ঘড়ি বা বডি ক্লককেও ঠিক রাখে। এই অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য তাঁরা তিনটি কার্যকরী পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রথমত ধীরে ধীরে ঘুম ও ওঠার সময় ঠিক করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সকালে ৬টার দিকে ঘুম থেকে ওঠা এবং রাত ১০টার পর শুয়ে পড়া স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তাঁরা সতর্ক করে দেন যে একদিনেই এত বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। এর বদলে ধাপে ধাপে ঘুমের সময় সামঞ্জস্য করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট করে আগের চেয়ে একটু আগে ঘুমাতে যাওয়া এবং ওঠার অভ্যাস তৈরি করলে শরীর সহজেই মানিয়ে নিতে পারে।

দ্বিতীয়ত নিয়মিত একই সময়ে ঘুমানো ও ওঠার অভ্যাস করা জরুরি। ঘুমানোর সময় নির্দিষ্ট করা এবং রোজ একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা শরীরের ঘড়ি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এটি দেরিতে ওঠার অভ্যাস দূর করতে সবচেয়ে কার্যকর উপায়। বিশেষজ্ঞরা জানান ঘুমের সময় ও ওঠার সময় বারবার পরিবর্তন করলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।

তৃতীয়ত রাতের খাবার ও পানীয় ঠিকভাবে নির্বাচন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করা উচিত এবং ভারী ও তেল মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। ঘুমানোর আগে গ্রিন টি বা ক্যামোমাইল টি পান করলে ঘুম আসতে সাহায্য করে। ঠিক সময়ে ঘুমালে সকালে উঠে তাজা ও চাঙ্গা থাকা সহজ হবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

রোজ সকালে দেরিতে ওঠার অভ্যাস বদলানো কঠিন মনে হলেও এই তিনটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়মিত পালন করলে স্বাভাবিক রুটিন ফিরে পাওয়া সম্ভব। ধাপে ধাপে অভ্যাস গড়ে উঠলে দিনের শুরু হবে প্রাণবন্ত ও উৎপাদনশীল।

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ২৯ নভেম্বর ২০২৫ রোজ শনিবার। আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্য মতে আপনি ধনু রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ দেবগুরু বৃহস্পতি গ্রহমাতা চন্দ্র ও সর্বগ্রাসী গ্রহ রাহুর প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে কর্কট রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। আজকের দিনে নেশা বা মদসহ অনুচিত কাজবাজ বর্জন করুন। শ্রমিক কর্মচারীদের মনে মালিকপ্রীতি জাগ্রত হবে এবং শূন্য পকেট পূর্ণ হবে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মিটবে এবং মন ধর্ম ও পরোপকারের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।

মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]

আজ আপনার ধারকর্জ বা ঋণমুক্তির পথ প্রশস্ত হবে। ব্যবসাবাণিজ্যে মজুতমালের দাম বৃদ্ধি পাবে। হাতে থাকা প্রতিটি কাজ সহজে সম্পন্ন হবে এবং ভাঙা প্রেম বা বন্ধুত্ব জোড়া লাগবে। বিজয়ের বরমাল্য হাত বাড়িয়ে ধরবে এবং বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]

গৃহবাড়ি ও যানবাহন বদলের স্বপ্ন পূরণ হবে। বেকারদের জন্য দিনটি মাইলফলক হিসেবে গণ্য হবে। পিতা মাতার স্বাস্থ্য ভালোর দিকে যাবে। নিত্যনতুন ব্যবসাবাণিজ্যের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে এবং শত্রু ও বিরোধীপক্ষ পরাস্ত হয়ে পড়বে।

মিথুন [২১ মে-২০ জুন]

পিতা মাতা ও গুরুজনদের পূর্ণ সহযোগিতা প্রাপ্ত হবেন। নিত্যনতুন স্বপ্ন পূরণ হবে এবং দুর্ভাগ্য দূর হয়ে সৌভাগ্যের প্রদীপ প্রজ্বলিত হবে। মন সুর সংগীত ও ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে। তবে লৌকিকতা শত্রুতার জন্ম দিতে পারে এবং দ্বিচক্রযান বা মোটরসাইকেল বর্জন করা শ্রেয়।

কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]

সংকটকালে বন্ধু আত্মীয় বা পরিজন কারও সহযোগিতা পাওয়া কঠিন হবে। অপরিচিত কাউকে আশ্রয় দেওয়া ঠিক হবে না। ঘুষ বা উৎকোচ গ্রহণসহ সব ধরনের দুই নম্বরি কাজবাজ থেকে বিরত থাকুন। লম্বা দূরত্বের সফরে নিজে ড্রাইভ না করাই শ্রেয় হবে।

সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]

বিবাহযোগ্যদের বিবাহের সানাই বাজবে। গৃহবাড়ি ও যানবাহন বদলের স্বপ্ন পূরণ হবে। জীবনসাথী ও শ্বশুরালয় থেকে ভরপুর সহযোগিতা পাবেন। প্রেম রোমান্স বিনোদন ও বন্ধুত্ব শুভ। দিনটি স্মরণীয় বরণীয় থাকবে এবং সন্তানদের ক্যারিয়ার অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তা ঘুচবে।

কন্যা [২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]

দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন। প্রত্যেক কাজের শুরু ভালো হলেও শেষ ভালো নাও হতে পারে। অর্থকড়ির ব্যাপারে কাউকে অধিক বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। শিক্ষার্থীদের মন ফেসবুক ও ইউটিউবের প্রতি আকৃষ্ট থাকতে পারে।

তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]

পিতা মাতা ও গুরুজনদের সহযোগিতা প্রাপ্ত হবেন। স্বদেশ ও বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসবে। কর্ম ও ব্যবসায় বাড়তি দায়িত্বভার বর্তাবে। মামলা মোকদ্দমায় জয়ী হবেন এবং শত্রুরা পিছু হটবে। সন্তানদের ক্যারিয়ার অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তা ঘুচবে।

বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]

অত্যাবশ্যকীয় বিনিয়োগে সতর্ক থাকুন। অংশীদারি ব্যবসাবাণিজ্যের বহুল প্রচার ও প্রসার ঘটবে। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহবিবাদের মীমাংসা হবে। মাতা ও মাতৃস্থানীয়ের সহযোগিতা পাবেন। তবে লৌকিকতা শত্রুতার জন্ম দিতে পারে।

ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]

ভাইবোনদের সহযোগিতা পাবেন এবং ধৈর্য সাহস ও মনোবল বাড়বে। বিবাহযোগ্যদের বিবাহের কথাবার্তা পাকাপাকি হবে। গৃহবাড়িতে কোনো না কোনো মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। প্রেমীযুগলের জন্য দিনটি মাইলফলক হয়ে থাকবে এবং কর্মের সুনাম যশ ও পদোন্নতির পথ খুলবে।

মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]

হাত বাড়ালেই নিত্যনতুন সুযোগ আসবে। অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থানের অভাব ঘুচবে। পরিবারে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটবে। কোনো দলিলপত্র আসতে পারে। মামলা মোকদ্দমা মীমাংসার দিকে ধাবিত হবে এবং শিক্ষার্থীরা শুভ সংবাদ পাবেন।

কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]

নিত্যনতুন প্ল্যান প্রোগ্রাম বাস্তবায়িত হবে। গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র ও বস্ত্রালঙ্কার আসতে পারে। দুরারোগ্য ব্যাধিপীড়া থেকে পরিত্রাণ পাবেন। প্রেম রোমান্স বিনোদন ও বন্ধুত্ব শুভ হবে। দুর্যোগের মেঘ সরে গিয়ে সুদিনের সূর্য ফোকাস মারবে।

মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]

ব্যবসাবাণিজ্যে মন্দাভাব বিরাজ করবে। দাম্পত্য সুখশান্তি বজায় রাখা কঠিন হবে। দূর থেকে আসা কোনো সংবাদ গোটা পরিবারে শোকের মাতম বইয়ে দিতে পারে। মন ধর্মের প্রতি ঝুঁকবে এবং প্রেমীযুগলকে সাবধানে চলার পরামর্শ দেওয়া হলো।

সয়াবিনকে অনেকেই সুপারফুড হিসেবে মানেন এবং বিশেষত নিরামিষাশীদের মধ্যে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। প্রোটিন ফাইবার ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ এই খাদ্য শরীরের জন্য উপকারী হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন সবার জন্য এটি নিরাপদ নয়। তাঁদের দাবি বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে সয়াবিন উল্টো ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে সয়াবিন সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে থাইরয়েডের রোগীদের জন্য। কারণ এতে গয়ট্রোজেন নামক এক ধরনের যৌগ থাকে যা থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক কার্যকারিতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং আয়োডিন শোষণে বাধা দেয়। ফলে যারা হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য ওষুধ খান তাঁদের শরীরে এই গয়ট্রোজেন হরমোনের উৎপাদন আরও কমাতে পারে বা ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে। তাই থাইরয়েডের রোগীদের সয়াবিন খাওয়ার বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ ছাড়া সয়াবিন বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ ৮টি খাদ্য অ্যালার্জেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানের মধ্যে একটি। এটি খেলে যদি কারও ত্বকে ফুসকুড়ি চুলকানি পেট ব্যথা বমিভাব বা শ্বাসকষ্টের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তবে তাঁদের সয়াবিন পুরোপুরি এড়িয়ে চলা উচিত।

যাদের বারবার কিডনিতে পাথর হওয়ার ইতিহাস রয়েছে তাঁদেরও সয়াবিন খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সয়াবিনে অক্সালেট নামক যৌগের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে যা ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোইস্ট্রোজেন বা আইসোফ্ল্যাভোনস থাকে যা মানবদেহের ইস্ট্রোজেন হরমোনের মতো কাজ করে। যদিও গবেষণায় মিশ্র ফলাফল রয়েছে তবে কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যে যেসব রোগীর ইস্ট্রোজেন সংবেদনশীল ব্রেস্ট ক্যানসার বা অন্য কোনো হরমোন নির্ভর ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে বা ঝুঁকি আছে তাঁদের সয়াবিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ সীমিত করা উচিত।

এছাড়া অনেকের হজমতন্ত্র সয়াবিনের প্রোটিন এবং ফাইবার সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে পারে না। ফলে অতিরিক্ত সয়াবিন খেলে গ্যাস পেট ফাঁপা ডায়রিয়া বা পেটের অন্যান্য অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে সয়া দুধ বা সয়া প্রোটিন আইসোলেট দ্রুত এই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলে পুষ্টিবিদরা মনে করেন।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

শীতের সময় বাইরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রেফ্রিজারেটরও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঠান্ডা হয়ে থাকে। অনেকেই গ্রীষ্মে যেমন সেটিং রাখেন শীতেও সেইভাবেই ফ্রিজ চালান যা মোটেও ঠিক নয়। এতে খাবার অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে এমনকি জমেও যেতে পারে। শুধু তাই নয় ভুল তাপমাত্রা সেটিংয়ের কারণে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি বিদ্যুৎও খরচ হয়। তাই শীতের জন্য ফ্রিজের সঠিক তাপমাত্রা সেট করা খুব জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে শীতকালে রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি অথবা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি রাখা সবচেয়ে ভালো। এতে খাবার অনেকক্ষণ তাজা থাকে ও অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে জমে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। এ ছাড়া বিদ্যুতের অপচয়ও হয় না। আধুনিক রেফ্রিজারেটরে সাধারণত ১ থেকে ৭ পর্যন্ত একটি ডায়াল বা ডিজিটাল কন্ট্রোল থাকে যেখানে সংখ্যাটি যত বড় হবে ঠান্ডা তত বেশি হবে। গ্রীষ্মে সাধারণত ৪ বা ৫ নম্বরে রাখতে হয় কিন্তু শীতে ২ বা ৩ নম্বর সেট করাই যথেষ্ট। ডিজিটাল ফ্রিজ হলে সরাসরি ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করা যেতে পারে।

শীতে কুলিং সেটিং কমানোর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে এ সময় আশেপাশের তাপমাত্রাই কম থাকে। ফলে ফ্রিজের কম্প্রেসার কম কাজ করে এবং খাবার অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমে। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় এবং ফ্রিজের ওপর চাপ কম পড়ায় এর আয়ুও বাড়ে।

শুধু তাপমাত্রা ঠিক রাখলেই হবে না বরং আরও কিছু ছোট অভ্যাস রেফ্রিজারেটরের পারফরম্যান্স ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টা ফ্রিজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন যাতে কম্প্রেসার রিল্যাক্স করার সুযোগ পায়। এছাড়া সিঙ্গেল ডোর বা ডাইরেক্ট কুলড রেফ্রিজারেটরে প্রতি ১৫ থেকে ২০ দিনে ডিফ্রস্ট করা জরুরি কারণ বরফ জমে থাকলে ঠান্ডা স্বাভাবিকভাবে ছড়াতে পারে না। ফ্রিজে অতিরিক্ত জিনিস রাখলে বায়ু চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় আবার খুব ফাঁকা থাকলেও ঠান্ডা ধরে রাখতে বেশি শক্তি লাগে তাই মাঝারি পরিমাণে জিনিস রাখা সবচেয়ে ভালো। বারবার দরজা খুললে ঠান্ডা বেরিয়ে যায় এবং কম্প্রেসার বেশি কাজ করতে হয় এতে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়। তাই শীতে সঠিক নিয়মে ফ্রিজ ব্যবহার করলে খাবার যেমন ভালো থাকে তেমনি মাস শেষে বিদ্যুৎ বিলও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ২৭ নভেম্বর ২০২৫ রোজ বৃহস্পতিবার। দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে এবং কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো সেটি জানতে হলে দেখে নিন আজকের রাশিফল।

মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]

আজকের দিনটি আপনাকে শুভ ও অশুভ মিশ্রফল প্রদান করবে। যেমন আয় তেমন ব্যয় হওয়ায় সঞ্চয়ের খাতে শূন্য থাকার আশঙ্কা রয়েছে। দাম্পত্য সুখ ও ঐক্য বজায় রাখতে জীবনসাথীর মতামতকে গুরুত্ব দিন। শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হবে। তবে দ্বিচক্রযান বা মোটরসাইকেল বর্জন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পিতা মাতার কাছ থেকে সহযোগিতা পাবেন।

বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]

সহকর্মী ও অংশীদারদের মন জুগিয়ে চলার চেষ্টা করুন। আজ ধন উপার্জনের চেয়ে ধনক্ষয় বা খরচ বেশি হতে পারে। বাড়ির ইলেকট্রনিকস সামগ্রী বৈদ্যুতিক মিটার বা পানির কল মেরামতে নাজেহাল হতে পারেন। আশ্রিত ও প্রতিপালিত ব্যক্তি থেকে সাবধান থাকুন। দূর থেকে কোনো অপ্রিয় সংবাদ আসতে পারে।

মিথুন [২১ মে-২০ জুন]

জীবনসাথী ও শ্বশুরবাড়ি থেকে আজ ভরপুর সহযোগিতা পাবেন। আপনার ধৈর্য সাহস ও মনোবল বাড়বে। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহ বিবাদের মীমাংসা হবে। সন্তানদের গতিবিধির ওপর নজর রাখুন। শত্রুরা আজ পরাস্ত হবে এবং গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র আসতে পারে।

কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]

আয় বুঝে ব্যয় করুন। অবশ্য সহকর্মীরা আজ সহযোগিতার হাত বাড়াবে। শ্রমিক কর্মচারীদের মাথায় হাত দিয়ে কাজ উদ্ধার করতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় কোনো প্রাপ্তি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। ভয় লজ্জা ও দুর্বলতা আপনাকে কুরে কুরে খেতে পারে। বিষাক্ত কীটপতঙ্গের দংশন থেকে বাঁচতে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন এবং সন্তানদের গতিবিধির ওপর নজর দিন।

সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]

আজ আপনার চতুর্দিক থেকে উন্নতির জোয়ার বইবে। পিতা মাতার কাছ থেকে ভরপুর সহযোগিতা পাবেন। পরিবারে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের মন আনন্দে নাচবে এবং শত্রু ও বিরোধীপক্ষের প্রায় সিংহভাগ কুপরিকল্পনা নস্যাৎ হবে।

কন্যা [২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]

দাম্পত্য ঐক্য বজায় রাখা আজ কঠিন হতে পারে। তবে সহকর্মী ও অংশীদারদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। হারানো বুকের ধন বুকে ফিরবে। দুর্জনেরা আত্মীয় বেশে আপনার সুখের সংসারে অশান্তি বাধাতে পারে। শোক দুঃখের অশ্রুজল ঝরতে পারে। গৃহবাড়িতে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটবে।

তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]

ধৈর্য সাহস ও মনোবল পূর্ণ এক রাজকীয় দিন উপভোগ করবেন। সফলতার চাবি আজ আপনার হাতের মুঠোয় থাকবে। ভাইবোনদের সঙ্গে সম্প্রীতির মেলবন্ধন রচিত হবে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষ পিছু হটবে। মন ধর্মের প্রতি ঝুঁকবে এবং প্রেম রোমান্স বিনোদন ও ভ্রমণ শুভ হবে। সন্তানদের সাফল্য নিশ্চিত করবে।

বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]

কর্ম ও ব্যবসায় লাগাতার উন্নতি করবেন। শূন্য পকেট পূর্ণ হবে এবং গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্রের পসরা সাজবে। বিজয়ের বরমাল্য হাত বাড়িয়ে ধরবে। ধারকর্জ বা ঋণমুক্ত হবেন। শিক্ষার্থীদের জীবন ধন্য হবে। প্রেম বন্ধুত্ব ও ভ্রমণ শুভ এবং হারানো নেতৃত্ব কর্তৃত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পাবেন।

ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]

পরিবারের ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটবে। ধীরে ধীরে জীবনের দুর্যোগ কাটতে আরম্ভ করবে। গৃহবাড়ি ও যানবাহন বদলের পথ খুলবে। প্রেমীযুগলের মনের অভিমান ভাঙবে। বিদ্যা বুদ্ধি জ্ঞান ও গরিমা বাড়বে। পিতা মাতা সন্তানদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন এবং নিত্যনতুন স্বপ্ন পূরণ হবে।

মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]

দূর থেকে কোনো অপ্রিয় সংবাদ আসতে পারে। আয় অপেক্ষা ব্যয় বেশি হওয়ায় সঞ্চয়ে হাত পড়বে। শিক্ষার্থীদের মন ভেঙে দিতে পারে। মামলা মোকদ্দমার রায় বিপক্ষে যেতে পারে। নেশা মদ্য ও জুয়া এড়িয়ে চলুন। প্রেমী যুগল সাবধানে চলুন। ইলেকট্রনিকস সামগ্রী মেরামতে প্রচুর ব্যয় হবে।

কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]

গৃহবাড়িতে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হবে। ব্যবসায় মজুত মালের দাম বৃদ্ধি পাবে। দূর থেকে কোনো শুভ সংবাদ আসবে। নিঃসন্তান দম্পতির কোল আলোকিত হবে। প্রেমীযুগলের জন্য দিনটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রাপ্তির খাতা পূর্ণ হবে।

মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]

বাণিজ্যিক সফর লাভদায়ক হবে। কর্ম প্রত্যাশীদের মুখে হাসির ঝলক ফুটবে। স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ভ্রমণকালীন পরিচয় আত্মীয়তায় রূপ নিতে পারে। শিক্ষার্থীদের মনের বাসনা পূর্ণ হবে। প্রেম ও বন্ধুত্ব ঘাতক হতে পারে। সন্তানগণ আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে। লটারি জুয়া রেস ও শেয়ার হাউজিং এড়িয়ে চলুন। মন ধর্মের প্রতি ঝুঁকবে।

মধু যদিও চিনির তুলনায় বেশি প্রাকৃতিক তবুও এতে ক্যালরি ও প্রাকৃতিক চিনি থাকে। তাই ওজন কমাতে এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করা ঠিক নয় বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। কোন পরিস্থিতিতে এবং কীভাবে মধু ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যাবে সেটাই মূল বিষয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে অত্যন্ত গরম পানিতে মধু মেশালে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। হালকা গরম বা ঈষদুষ্ণ পানিই মধুর সঙ্গে মেশানোর জন্য সবচেয়ে উপযোগী। চা বা কফির উচ্চ তাপমাত্রা মধুর এনজাইম নষ্ট করে দেয় ফলে ওই মিশ্রণ খুব বেশি উপকারী থাকে না। তাই ফুটন্ত চা বা কফিতে মধু না মেশানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনেকে বলেন অতিরিক্ত গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খাওয়া বিষের মতো ক্ষতিকর হতে পারে। তবে এই দাবি কিছুটা অতিরঞ্জিত হলেও এটি সত্য যে এতে মধুর উপকারিতা অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ গরম পানিতে মধু দিলে তা বিষাক্ত না হলেও শরীরের জন্য আর কার্যকর থাকে না।

ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মধু অবশ্যই চিনির তুলনায় স্বাস্থ্যকর বিকল্প তবে তা কেবল সীমিত পরিমাণে এবং সঠিকভাবে গ্রহণ করলে। অতিরিক্ত মধু সেবন ওজন কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া বাজারের অনেক মধুতেই চিনি মেশানো থাকে তাই অর্গানিক বা খাঁটি মধুই স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ ও ভালো বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র : এবিপি