চার কোটি বেকারের সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ আরেকবার রায় দেবে যে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক। তিনি মনে করেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থার চেষ্টা চললেও তা বিঘ্ন করার বিভিন্ন অপচেষ্টা দেখা যাচ্ছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খ্রিস্টান ফোরামের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই মন্তব্য করেন।
পিআর পদ্ধতি ও নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টা
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন তোলেন, হঠাৎ করে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির দাবি সামনে এনে আন্দোলন করার বিষয়টি কেন হচ্ছে? তিনি বলেন:
“পিআর পদ্ধতির দাবি নিয়ে আন্দোলন করার বিষয়টি যারা দ্রুত নির্বাচন চান, তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। এখন যদি পিআর দেওয়া হয়, জনগণ বুঝবেই না এটা কী? বিষয়টি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে, সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে।”
বিএনপির প্রতিশ্রুতি
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে সংসদের উচ্চকক্ষে সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, চার কোটি বেকারের সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, দেড় বছরের মধ্যে এই সংকটের সমাধান সম্ভব।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ফাদার আলবার্ট রোজারিও এবং সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অনিল লিও কস্তা।
কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস আলম
বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করে দেওয়া ‘কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি জানান, গত এক মাসে একাধিকবার তার বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়াটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তা ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত লোডশেডিংয়ের অভিযোগ
সারজিস আলম তার পোস্টে বলেন, গত এক মাসে পঞ্চগড়ে এনসিপি তিনটি প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে এবং প্রতিবারই তিনি বক্তব্য শুরু করার এক-দুই মিনিট পর বিদ্যুৎ চলে যায়। কথা বলা শেষ হলে বিদ্যুৎ আবার চলে আসে।
তিনি বলেন:
“তিনটি প্রোগ্রাম তিন দিন ভিন্ন সময় হয়েছে। তারপরও যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তখন আমি অবশ্যই মনে করি এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
তিনি অভিযোগ করেন, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সেক্টরের কিছু কর্মকর্তা “এই ধরনের ছোটলোকি কিংবা অন্য দলের দালালি মূলক আচরণ করে থাকে। একজনকে ডিস্টার্ব করতে পারলে তারা রাজনৈতিক সফলতা মনে করে।”
ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ
সারজিস আলম স্বীকার করেন, ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে যে উপমা তিনি ব্যবহার করেছেন, সেটি করা উচিত হয়নি।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সারজিস আলমের নেতৃত্বে পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত ‘লং মার্চ’ হয়। লং মার্চের সমাপ্তি বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মন্তব্য করেছিলেন:
**“যারা এটা করছে, তারা হচ্ছে রাজনৈতিক *। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব।”
তিনি জানান, এসব ঘটনার পর তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে সুশীলতা প্রদর্শন করা প্রয়োজন মনে করেননি।
এনসিপির লং মার্চ
সারজিস আলম বলেন, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট, দুর্নীতি ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে এনসিপির পক্ষ থেকে লং মার্চে প্রায় দুই হাজার মানুষ মোটরসাইকেলে করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে পুরো পঞ্চগড় জেলার ১৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে। তিনি আশা করেন, মিডিয়ার ফোকাস এই লং মার্চের দিকেও থাকবে।
পিআর আন্দোলন নির্বাচন বিলম্বের অপচেষ্টা: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা ‘পিআর’ পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টা করা হচ্ছে। রোববার (১২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির অবস্থান
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে এবং সংস্কার কমিশন যেসব প্রস্তাব দিচ্ছে, তার বেশিরভাগই ইতোমধ্যেই বিএনপির ৩১ দফায় অন্তর্ভুক্ত আছে। আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এই বিষয়ে সনদে স্বাক্ষর করা হবে এবং যেসব বিষয়ে একমত হয়নি, সেগুলো নির্বাচনের সময় ম্যান্ডেটের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব প্রশ্ন তোলেন, নতুন সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে জনগণের কাছে আদৌ কোনো ধারণা আছে কি না। তিনি বলেন:
“পিআর নিয়ে আলোচনা ও আন্দোলন হচ্ছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন বিলম্বিত করা। জনগণ পিআর গ্রহণ করবে না এবং বিএনপি আগেই জানিয়েছে, এটি চাপিয়ে দিলে জনগণ কখনো মেনে নেবে না।”
গণতন্ত্র ও জনগণের প্রত্যাশা
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ এমন একটি নির্বাচন দেখতে চায়, যার মাধ্যমে তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে এসে নিজস্ব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে। তিনি মনে করেন, মাত্র ১৪ মাসে রাতারাতি কোনো সংস্কার বাস্তবায়িত হবে—এমন ধারণা জনগণ বিশ্বাস করে না। তারা প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চায়।
তিনি অনুরোধ করেন যে, দেশের মানুষ যে গণতান্ত্রিক সুযোগটি পেয়েছে, তা যেন হারিয়ে না যায়। তিনি বলেন, কিছু মহলের চেষ্টা জনগণকে একাত্তরের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে। তবে জনগণের শক্তি আছে এবং তারা সব ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করবে।
দায়সারাভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর গ্রহণযোগ্য নয়: আখতার হোসেন
গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে, তারা যেনতেনভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করে বেঁচে যেতে চান। এই দায়মুক্তির মানসিকতা এবং ‘সেফ এক্সিট’ নেওয়ার প্রবণতা দেশের জনগণ কখনো মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান শেষে নিজের নির্বাচনি এলাকা কাউনিয়া যাওয়ার পথে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
দায়সারা মনোভাবের সমালোচনা
এনসিপি নেতা আখতার হোসেন বলেন, “জুলাই আন্দোলনের পর জনগণ আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে উপদেষ্টাদের দায়িত্ব দিয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও তার উপদেষ্টাদের ফাঁকিবাজি করে নয়, তাদের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করতে হবে।”
তিনি বলেন:
“তারা মনে করেছেন, এভাবে দায়সারাভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন— এরকম পলায়নপর মানসিকতা পরিহার করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের যে স্পিরিট, সেটা পুরোপুরি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি করে সত্যিকার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।”
জোট ও সনদের অগ্রগতি
জোটের সম্ভাবনা: আখতার হোসেন জানান, জনগণের স্বার্থে ও জাতীয় স্বার্থে যদি জোট করার প্রয়োজন হয়, সেটা এনসিপি বিবেচনায় রেখেছে এবং বিষয়টি এখনও ওপেন রয়েছে।
সরকারের প্রতি আহ্বান: তিনি বলেন, “আমরা জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অবশ্যই যোগ দেবো। কিন্তু সরকার যেন কোনো দলের দ্বারা প্রভাবিত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখার অনুরোধ করছি।”
নিবন্ধন: এনসিপি অল্প সময়ে সারাদেশে তাদের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। নিবন্ধনের সব শর্ত পূরণ করায় দলটি এখন নিবন্ধন পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে, যা তাদের অনেক বড় অর্জন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সম্পর্ক: ইশরাক হোসেনের বাগদান সম্পন্ন
ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিচয় ও পারিবারিক সম্পর্ক
শায়রুল কবির খান জানান, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন শুক্রবার রাতে পারিবারিকভাবে ব্যারিস্টার নুসরাত খানকে বিয়ের আংটি পরিয়েছেন।
কনে: নুসরাত খান হলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এবং টাঙ্গাইলের সাবেক সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ খানের বড় মেয়ে।
পরিবার: ইশরাক হোসেনের মা ইসমত হোসেন বিষয়টি অবহিত করেছেন। পারিবারিকভাবে হঠাৎ এই আংটি বদলের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইসমত হোসেন সবার কাছে এই নবদম্পতির জন্য দোয়া চেয়েছেন।
জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ, উত্তপ্ত পরিস্থিতি
রাজধানীর কাকরাইলের বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকা কর্মী সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সমাবেশ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় সমাবেশস্থল থেকে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দও পাওয়া যায়।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জরুরি সভার উদ্দেশ্য
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া, দলীয় প্রতীক নিয়ে ‘ষড়যন্ত্র’ সহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করার জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এই জরুরি সভা আহ্বান করেছিলেন।
এর আগে ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে কর্মী সমাবেশ শুরু হয়। জি এম কাদের, শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ প্রথম সারির নেতারা মঞ্চে উপস্থিত হন এবং খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা যোগ দেন। ঘটনার আগে থেকেই চারপাশে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল।
গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই: মির্জা ফখরুল
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না।”
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্র ও ষড়যন্ত্র
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং সেই পথ শুধু সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব। তিনি বলেন, সংস্কার কিংবা বুদ্ধিজীবীদের নানা কৌশল যথেষ্ট নয়—যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠন না হবে, ততক্ষণ গণতন্ত্র ফিরবে না। তিনি বলেন, এই জাতি বহুবার লড়াই-সংগ্রামে জয়ী হয়েছে এবং বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “শুধু ‘হাসিনা’ বললে তাকে সম্মান দেওয়া হয়ে যায়। আসলে তিনি একজন দানব। বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা—সবকিছু তছনছ করে ফেলেছেন।”
জুলাই মাসের আন্দোলন নিয়ে কিছু সংগঠনের দাবির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে এসেছে বিএনপি। তাই কেউ কেউ এই আন্দোলনকে নিজেদের বলে দাবি করলেও বাস্তবে সেই ইতিহাস বিএনপির।
প্রতীক নিয়ে বিতর্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী-এর ‘শাপলা মার্কা না দিলে ধানের শীষ বাতিল করতে হবে’—এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা তো আপনাদের মার্কায় বাধা দিইনি। কোন প্রতীক কে পাবে, তা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। ধানের শীষ নিয়ে এত টানাটানি কেন? কারণ ধানের শীষ এখন অপ্রতিরোধ্য—দেশজুড়ে এই প্রতীকের পক্ষে স্লোগান উঠেছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, ধানের শীষ প্রতীকে বাধা দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। কিন্তু ধানের শীষ জিতে গেলে যারা বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে।
শুধু অভিযোগ নয়, গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি: ডাকসু-জাকসুর তীব্র আহ্বান, দেশের বিবেক জাগুক
ঢাকা — গুম-খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রকাশিত তথ্য ও প্রামাণ্যচিত্রের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) থেকে কড়া আবেদনে সাড়া পড়েছে: অভিযুক্ত হিসেবে ইতোমধ্যে নাম ওঠা ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক। ডাকসুর সহ-সভাপতি সাদিক কায়েম সরাসরি বলেছেন, “যে কোনো পরিচয়ের খুনি, ধর্ষক বা গুমকারী—তাদের রাজনৈতিক পরিচয় বা উচ্চ সামরিক পদমর্যাদা হলেও বিচারের মুখোমুখি করা হবে”—এমনই একটি সিদ্ধান্ত না হলে ছাত্রসমাজ নিরব থাকবে না।
সাদিক কায়েম তাঁর ফেসবুক পেজে গুম কমিশনের রিপোর্ট ও প্রামাণ্যচিত্র শেয়ার করে অভিযোগ তুলেছেন যে, গত পনেরো বছরে রাষ্ট্রক্ষমতার বিভিন্ন স্তর ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং সেই বিচার প্রক্রিয়ায় এখনো নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন কিছু উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাসহ সামরিক নেতৃত্বের নাম—তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেছেন, “অপরাধীরা যদি নিঃশর্তভাবে দণ্ডিত না হন, তবে আমরা ইনসাফ চাইবেই।”
আপাতত ডাকসু–জাকসু–সহ প্রগতিশীল শিক্ষার্থীবর্গের আভ্যন্তরীন আয়োজন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সাড়া দেখা যাচ্ছে। জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেকর্ড ও জনপ্রতিবেদনগুলোতে যেসব নাম উঠে এসেছে, তাদের গ্রেফতার না করে বিচারের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা যাবে না।” বিবৃতিটি আরও যোগ করেছে, “যতদিন এসব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, ততদিন প্রতিবাদ ও জবাবদিহিতার দাবি জারি থাকবে।”
রাজনৈতিক-আইনি পরিভাষায় এই দাবি পুরোদমে অভিযুক্তদের ‘ইনকোন্নভিকা’ (in-custody presentation) এবং স্বাধীন তদন্তের ওপর দাঁড়ায়—তাই অনেকেই প্রশ্ন করছেন: আদৌ কীভাবে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের ব্যবস্থা করা সম্ভব? বিশ্লেষকরা বলে থাকেন, উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে উপযুক্ত আইনি প্রস্তুতি, প্রমাণের ধারাবাহিকতা ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া বাধ্যতামূলক। আবার পরিবারের পক্ষ থেকে অনেকে বলছেন—বহু বছরের অপেক্ষার পরে ন্যায়ের বিষয়ে নাড়ি না কেঁপে গেলে কল্পনাও করা যায় না।
দুর্ভেদ্য বাস্তবতা হলো—আদেশ, পরোয়ানা কিংবা আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বাস্তবে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ইচ্ছা, অনুসন্ধানকেন্দ্রিক সক্ষমতা ও সুরক্ষাব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ কাজ করে। সাদিক কায়েম এই প্রেক্ষিতটিকেই লক্ষ্য করে বলেন, “কারাগারে না থাকা কোনো আসামি ‘বিচার’ থেকে পালাতে পারে—তাই দ্রুত গ্রেপ্তার জরুরি। যারা অপরাধের সাথে যুক্ত, তাদের রাজনৈতিক বা সামরিক পরিচয় বিচার-প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।”
অন্যদিকে, আইনী পরামর্শকরা বলে থাকেন—নিশ্চিত এবং টেকসই বিচারের জন্য প্রয়োজন বৈধ প্রমাণ-উপাত্ত, স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড। তারা আরও বলেন, দ্রুত গ্রেপ্তার অর্থে আদালত-বহির্ভূত বিচার বা জনরোষে ভাঙচুর সহ অরাজকতা হওয়া উচিত নয়; বরং আইনের ফাঁড়া বেঁধে নিরপেক্ষ তদন্ত ও স্থির প্রক্রিয়া বজায় রেখে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া উত্তম। এ প্রসঙ্গে অনেকেই আর্জি করেন—দুর্নীতির তদন্তবাহিনী ও স্বাধীন তত্ত্বাবধায়করা যদি মিশে কাজ করে, তবে জনগণের আস্থা ফিরে আসবে।
প্রতিবাদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে একটি বিস্তৃত সামাজিক দাবি—নিয়ম-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে একদিকে ছাত্রসমাজ চাপ সৃষ্টি করবে, অন্যদিকে আইন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিকভাবে বিষয়গুলো নজরে রাখছে। পরিবারগুলোর ক্লান্ত আর্তচিৎকার আর সমাজের সংবেদনশীলতা দুটোই এখন প্রভাব ফেলতে পারে স্বরাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে—কিন্তু চূড়ান্ত সড়কটি নিরাপদ হবে কেবল যখন বিচারবহির্ভূতভাবে প্রতিষ্ঠিত ও প্রদর্শনযোগ্য শাস্তি কার্যকর করা হবে।
অবশেষে, ছাত্রনেতা ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এ পর্যায়ে একটি সুস্পষ্ট সংকেত দিচ্ছে: কোনো দুর্নীতি বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ছত্রছায়ায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ অনুকম্পায় ক্ষমা নয়—তারা দাবী করছে যে, ন্যায়বিচার হবে এমন বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করা না গেলে ভবিষ্যতে দেশের বিচারব্যবস্থা ও সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আবারও অপব্যবহারের শিকার হবে। এই দাবির মধ্যে এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়—কোনো সরকার বা প্রশাসন কি তৎপরতা দেখাবে, নাকি বাস্তবে ক্ষমতা ও নীতিগত জটিলতায় বিষয়টি বারবার টলমল করবে? উত্তরটা সময়ই বলবে; ততদিন জনতার চোখ থাকবে, আর ছাত্রসমাজের অনড় চাপ রাজনৈতিক ও বিচারিক স্তরে ভূমিকা রাখবে—এটাই বর্তমান পরিস্থিতির সবচেয়ে তীক্ষ্ণ এবং গভীরতম পাঠ।
প্রতিটি মেয়ের স্বপ্নপূরণে রাষ্ট্রকে সঙ্গী করব: তারেক রহমান
আজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। এই উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মেয়ের স্বপ্ন দেখা, শেখা, নেতৃত্ব দেওয়া ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অধিকারের কথা স্মরণ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (১১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা ও ঐতিহ্যের ভিত্তি
তারেক রহমান বলেন, “একজন কন্যাসন্তানের পিতা হিসেবে আমি জানি, মেয়েদের ক্ষমতায়ন কেবল নীতির বিষয় নয়—এটা ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা। আমরা এমন এক বাংলাদেশ চাই, যেখানে প্রতিটি মেয়ে স্বাধীনতা, সুযোগ ও নিরাপত্তা পাবে, যা প্রত্যেক পিতা-মাতা তাদের সন্তানের জন্য কামনা করে।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গার্মেন্টস খাত লাখো নারীর আশার প্রতীক হয়ে উঠেছিল এবং তার সময়েই নারীর উন্নয়নকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সময়েই মেয়েদের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা মূল্যে শিক্ষা চালু করা হয় এবং ‘ফিমেল সেকেন্ডারি স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট’ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষায় লিঙ্গসমতা এনেছিল।
তিনি বলেন, “এই সব উদ্যোগ প্রমাণ করেছে—যখন রাষ্ট্র মেয়েদের মর্যাদা রক্ষা ও ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করে, তখন পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী হয়।”
ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা
বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় নারীর ক্ষমতায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
১. পরিবারভিত্তিক সহায়তা: পরিবারভিত্তিক সহায়তা ‘ফ্যামিলি কার্ড’ নারীদের নামে প্রদান।
২. উদ্যোক্তা উন্নয়ন: নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, ব্যবসায় প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা।
৩. শিক্ষা ও নিরাপত্তা: গ্রামীণ ও শহুরে মেয়েদের জন্য একাডেমিক ও কারিগরি শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি এবং তাদের চলাফেরা, মতপ্রকাশ ও ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
৪. নেতৃত্বে অংশগ্রহণ: নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা ফাঁকা বুলি দিই না—আমরা বিশ্বাস থেকে কথা বলি, ঐতিহ্য ও প্রতিশ্রুতির শক্তিতে। প্রতিটি মেয়েদের স্বপ্নপূরণের পথে রাষ্ট্রকে তার সঙ্গী করব, প্রতিবন্ধক নয়।”
ষড়যন্ত্র করে একটি দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার চেষ্টা: মিয়া গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার মন্তব্য করেছেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অস্থিরতা বাড়ছে। তিনি অভিযোগ করেন, “দু-একজন উপদেষ্টা এবং প্রশাসন গোপনে গোপনে ষড়যন্ত্র করে একটি দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা কেমন যেন একটা চাপের মধ্যে আছেন।”
আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে খুলনার পাইকগাছা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ছাত্র-যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুশাসনের বিপ্লব ও নীতির পরিবর্তন
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের গোপন পথ ছেড়ে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার স্বার্থে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে মনোযোগী হতে হবে।
তিনি বলেন:
“২৪-এর গণ আন্দোলনের ছাত্র-জনতার যুদ্ধ ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আর আমাদের দ্বিতীয় যুদ্ধ হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এবার সুশাসনের জন্য বিপ্লব করতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার পরে যারা দেশ শাসন করেছে, তারা বারবার দেশকে ‘চোরের দিক থেকে চ্যাম্পিয়ন’ করেছে এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে ‘বেগমপাড়া’ তৈরি করেছে। এসব অনাচার দূর করতে কোরআনের আইনকে সংসদে পাঠাতে হবে।
ক্ষমতায় গেলে প্রতিশ্রুতি
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ইসলামী দলগুলোর মধ্যে এখন ঐক্য তৈরি হয়েছে—এই ঐক্য থাকলে বাকিরা বাতিলের খাতায় চলে যাবে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন:
শিক্ষা ব্যবস্থা: ক্ষমতায় গেলে প্রথম কাজ হবে বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে সবার শিক্ষা নিশ্চিত করা।
দুর্নীতি: দ্বিতীয় কাজ হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন।
সুবিধা বর্জন: নির্বাচনে জয়ী হলে জামায়াত নেতারা কোনো সরকারি প্লট, গাড়ি, বাড়ি বা অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করবেন না।
নির্বাচনী দাবি: আগামী ফেব্রুয়ারিতে পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি নাগরিকের ভোটের মূল্যায়ন করতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় জামায়াত নেতারা।
পাঠকের মতামত:
- চার কোটি বেকারের সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
- ৭৩৮ দিন পর মুক্ত: হামাস ১৩ জন জিম্মিকে তুলে দিল রেডক্রসের হাতে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হামাসের বন্দি মুক্তিতে উল্লাস ইসরায়েলে, শান্তির ইঙ্গিত মধ্যপ্রাচ্যে
- শি জিনপিং: সমাজে প্রকৃত সমতা চাইলে নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে
- এএফসি বাছাইয়ে আজ জর্ডানের মুখোমুখি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল
- ‘আর ফেরার উপায় নেই’: জলবায়ু সংকটে পৃথিবীর ইকোসিস্টেম বিপন্ন
- পরমাণু ইস্যুতে কঠোর ইরান: আইএইএ-এর সঙ্গে চুক্তি স্থগিত, কারণ কী?
- অর্থ সাশ্রয়ে বিশেষ পদক্ষেপ: জুলাই সনদ ও নির্বাচন একই দিনে করার প্রস্তুতি
- মেক্সিকোর পাহাড়ি জনপদে ভয়াবহ বন্যা: মৃত্যু ৪৭, নিঃস্ব অসংখ্য পরিবার
- ট্রাম্প: ৩ হাজার বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ইহুদি-মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ
- ‘সামাজিক ব্যবসা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- কুরআন ও বিজ্ঞানের মহাবিস্ময়: যেভাবে মিলে যাচ্ছে ‘বিগ ক্রাঞ্চ’ তত্ত্ব ও কিয়ামতের ভবিষ্যদ্বাণী!
- সৌদি আরবের মক্কা অঞ্চলে বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার
- গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে হার্ভার্ডের চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া ৭ সুপারফুড
- জুলাই বিপ্লবের চেতনা: ওসমানী উদ্যানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের বাজেট নিয়ে বিতর্ক
- ইউটিউবে সাফল্য: আপনার চ্যানেলকে জনপ্রিয় করার ৮টি সহজ টিপস
- দুশ্চিন্তা-উদ্বেগে ভুগছেন? মন শান্ত করতে মেনে চলুন এই ৫ কৌশল
- আমার ছেলেমেয়ে দেশে, একা সেফ এক্সিট নিয়ে কী করব?: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস আলম
- আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের সামরিক অভিযান: বড় সংখ্যক তালেবানকে হত্যার দাবি
- ঘুমের মধ্যে ঘন ঘন প্রস্রাব: ডায়াবেটিস ছাড়াও যে ৫ রোগের লক্ষণ হতে পারে
- অস্টিওপোরোসিস থেকে মুক্তি: গর্ভাবস্থায় হাড় শক্ত রাখতে মেনে চলুন এই নিয়ম
- বিলিয়নিয়ার হতে চান? যে ৪টি ব্যবসায় রয়েছে সফল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
- জুলাই নিয়ে কাজ করলেই প্রশ্ন: বাজেট বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ মাহমুদ
- এনসিপি নেতা সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রিন্স মাহমুদ
- খাবার খেয়েই বসে আছেন? এটি হতে পারে ধূমপানের মতোই মারাত্মক অভ্যাস
- অবিশ্বাস্য! ১১ বছর বয়সী শিশুর মুখে ৮১টি দাঁত
- সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
- আজকের ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১২ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১২ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিচারকাজ সম্প্রচারে সাইবার হামলা
- ইসরায়েল ধোঁকা দিতে পারে: গাজার চুক্তি মানা নিয়ে সংশয়ে ইরান
- পিআর আন্দোলন নির্বাচন বিলম্বের অপচেষ্টা: মির্জা ফখরুল
- নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে ডিসি, এসপি ও ওসিদের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনা
- আফগানিস্তানের ‘প্রতিশোধমূলক’ অভিযান: সীমান্তে তীব্র সংঘাত
- বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা
- মরণযাত্রায় শীর্ষে বাংলাদেশ,তবুও কমছে না অবৈধ অনুপ্রবেশ
- হামাস-ইসরায়েল চুক্তি কার্যকর: ধ্বংসস্তূপের মাঝে ফিরছে ফিলিস্তিনিরা
- ৪ বার সংশোধন হলো ট্রাইব্যুনাল আইন, যুক্ত হলো ‘নির্বাচনী অযোগ্যতা’ ধারা
- গাজায় শান্তির সন্ধিক্ষণ: সোমবার শারম এল-শেখে ট্রাম্প ও সিসির নেতৃত্বে বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলন
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প
- হজ নিবন্ধনে নেই আশানুরূপ সাড়া, কোটা খালি থাকার শঙ্কা
- ১২ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ভেষজ পাতা: কীভাবে ও কখন খাবেন কুলেখাড়া?
- দায়সারাভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর গ্রহণযোগ্য নয়: আখতার হোসেন
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
- চ্যাম্পিয়নের দুর্দিন: সেভিয়ার মাঠে ৪–১ গোলে হার বার্সেলোনার
- স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য