২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ২১:৩০:৫৩
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের বাজারে আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এবার ভরিতে ৪ হাজার ৬১৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা নির্ধারণ করেছে। এটি দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এই তথ্য জানিয়েছে। নতুন এই দাম মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) থেকেই কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের এই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।


জ্বালানি সংকট সৃষ্টি করেছেন রাজনীতিবিদেরা: বিস্ফোরক মন্তব্য জ্বালানি উপদেষ্টার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৬:৫০:৩২
জ্বালানি সংকট সৃষ্টি করেছেন রাজনীতিবিদেরা: বিস্ফোরক মন্তব্য জ্বালানি উপদেষ্টার
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের স্বল্পমেয়াদি জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, বর্তমানে সিলিন্ডারের বাজার মূল্য ১২০০ টাকার বেশি হওয়ায় শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা যথাযথ সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ এর দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের সমালোচনা

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বাজারে বাড়তি দামে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে অভিযান চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন।

তিনি বলেন:

“১২০০ টাকার এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হয় ১৪০০ টাকায়। এটার দায় নিতে হবে ব্যবসায়ীদের। অতিরিক্ত মুনাফা করে সম্পদের পাহাড় গড়ে বিদেশে টাকা পাচার করার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।”

তিনি জ্বালানি সংকটের জন্য এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন। তিনি অভিযোগ করেন, জ্বালানি নিশ্চিত না করেই চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে এবং গ্যাস খাতে অসংখ্য অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে—এসব অপকর্ম করেছেন রাজনীতিবিদেরা।

চ্যালেঞ্জ ও সমাধান

এলপিজি অপারেটরদের জবাব: এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (লোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করে বিইআরসি। তিনি প্রশ্ন করেন, “১ হাজার টাকায় এলপিজি দিতে চান উপদেষ্টা। তিনি আমদানিকারকদের ৭ শতাংশ মুনাফা দিয়ে যদি ওই দামে বিক্রি করতে পারেন, করে দেন।”

ঘাটতি মোকাবিলা: জ্বালানি অনুসন্ধানের কাজ বাড়ানো হয়েছে এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) জন্য নতুন রিগ কেনা হচ্ছে। এলএনজি রূপান্তরের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন এফএসআরইউ-এর চেষ্টা করা হচ্ছে।

সাবেক মন্ত্রীর মত: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, সবাইকে দোষারোপের কিছু নেই। বাংলাদেশের গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে। এ ঘাটতি কীভাবে পূরণ করা হবে, তার পরিকল্পনা এখন থেকেই করতে হবে।

এলপিজি খাতে নিরাপত্তা ঝুঁকি

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, এ বছর গ্যাস খাতে মোট অগ্নি দুর্ঘটনা দেড় হাজারের বেশি, যার মধ্যে ৫৮০টি এলপিজি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য ম. তামিম জানান, দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে এখন দিনে ১৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি আছে। শিল্পে গ্যাস সংকট কাটাতে এলপিজি ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ডিজেলের চেয়ে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ খরচ কমাতে পারে।


মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে ৫০টির বেশি জাহাজ, বাংলাদেশের আমদানি-সংক্রান্ত উদ্বেগ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৩:৫৪:৩০
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে ৫০টির বেশি জাহাজ, বাংলাদেশের আমদানি-সংক্রান্ত উদ্বেগ
ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরে ইরানি তেল ও এলপিজি পরিবহন এবং এর উৎস গোপনের সঙ্গে জড়িত বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও নৌবাহিনীর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। ভেসেল-ট্র্যাকিং তথ্য অনুযায়ী, ইরান-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলো এখনো চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় রয়েছে। যদিও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের নাম সরাসরি নেই, তবে এই ধরনের চালান ও লেনদেনের মাধ্যমে বাংলাদেশও এখন ওয়াশিংটনের সম্প্রসারিত নজরদারি ও বাস্তবায়ন ব্যবস্থার আওতায় ধরা হচ্ছে।

দীর্ঘ আলোচনার পর চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর জাহাজগুলোকে পুনরায় গ্যাস স্থানান্তরের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মার্কিন আইনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ লেনদেনে জড়িত বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’-এর ঝুঁকিতে থাকে।

চীনা রিফাইনারি ও ‘ছায়া নৌবহর’

চলতি বছরের চতুর্থ দফার এই নিষেধাজ্ঞা বিশেষভাবে চীনের রিফাইনারি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের লক্ষ্য করেছে। মার্কিন অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ভিত্তিক কিছু প্রতিষ্ঠান ইরানি তেলের উৎস গোপন করতে ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা ছায়া নৌবহর পরিচালনা করত। এসব কার্যক্রমের মধ্যে ছিল এক জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে তেল স্থানান্তর এবং ছদ্ম কোম্পানির মাধ্যমে পণ্যের গতিপথ লুকানো।

তালিকাভুক্ত চীনা প্রতিষ্ঠান: সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান—শানডং জিনচেং পেট্রোকেমিক্যাল গ্রুপ ও রিজাও শিহুয়া ক্রুড অয়েল টার্মিনাল। অভিযোগ রয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করে ইরানের কোটি কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানের তেল ও এলপিজি পরিবহন বা উৎস গোপনের কাজে ব্যবহৃত বহু জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘ম্যাক্স স্টার’, ‘গ্যাস ভিশন’, ‘সি অপেরা’ এবং ‘টিউলিপ’—যেগুলোর সঙ্গে যুক্ত চালানগুলো বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে পৌঁছেছে।

আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব

নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে মার্কিন আইনের আওতায় থাকা তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সব সম্পদ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার জ্বালানি বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোতে, যারা স্পট মার্কেট থেকে এলপিজি ক্রয় করে। ওয়াশিংটনের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে—ইরানের সীমার বাইরে গিয়ে তারা এখন এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদেরও নজরদারির আওতায় আনছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিষেধাজ্ঞা ছোট আমদানিকারকদের জন্য জ্বালানি সরবরাহকে জটিল করে তুলতে পারে।


রেকর্ড ছুঁয়েছে সোনার দাম: বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয় সোনা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৮ ১২:১০:৩২
রেকর্ড ছুঁয়েছে সোনার দাম: বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয় সোনা
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বিনিয়োগকারীদের ‘নিরাপদ আশ্রয়’ খোঁজার প্রবণতা আবারও সোনার বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪,০০০ ডলার (প্রায় ২,৯৮৫ পাউন্ড) অতিক্রম করে সর্বকালের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এটি ১৯৭০–এর দশকের পর সোনার সবচেয়ে বড় উত্থান বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত সোনার দাম বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্কনীতির পর থেকেই বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়, যা বিনিয়োগকারীদের সোনার দিকে ঝুঁকতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মার্কিন সরকারের চলমান ‘শাটডাউন’ বা আংশিক কার্যক্রম বন্ধ থাকাও এই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করা এই সংকটে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশ বিলম্বিত হচ্ছে, যা বাজারে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে।

সোনা ঐতিহ্যগতভাবে একটি ‘সেফ হেভেন’ বা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত—যে সম্পদ বাজারের অস্থিরতা বা অর্থনৈতিক মন্দার সময়েও মূল্য ধরে রাখে, এমনকি বাড়ায়ও।

বুধবার সকালে এশীয় বাজারে স্পট গোল্ড—অর্থাৎ তাৎক্ষণিক বিক্রয়যোগ্য সোনার দাম—প্রতি আউন্সে ৪,০১১ ডলারের উপরে উঠে যায়। একই দামে ৭ অক্টোবর পৌঁছেছিল গোল্ড ফিউচারস মার্কেটও, যা বাজারের ভবিষ্যৎ প্রত্যাশার সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক ব্যাংক ওসিবিসির (OCBC) রেটস স্ট্র্যাটেজিস্ট ক্রিস্টোফার ওং বলেন, “মার্কিন সরকারের শাটডাউন সোনার দামের জন্য শক্তিশালী অনুকূল বাতাস তৈরি করেছে। অতীতেও এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝুঁকেছেন।”

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এক মাসব্যাপী সরকারি অচলাবস্থার সময়ও সোনার দাম প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে ওং সতর্ক করে বলেন, “যদি শাটডাউন প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত শেষ হয়, তাহলে সোনার দাম কিছুটা কমে আসতে পারে।”

ইউওবি ব্যাংকের বাজার কৌশল বিভাগের প্রধান হেং কুন হাও বলেন, “গত এক মাসের সোনার অভূতপূর্ব উত্থান বিশ্লেষকদের সব পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে।” তিনি জানান, ডলারের দুর্বলতা এবং নতুন খুচরা বিনিয়োগকারীদের (রিটেইল ইনভেস্টর) অংশগ্রহণ এই উত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে।

প্রেসিয়াস মেটাল ব্যবসায়ী ও স্টোরেজ প্রতিষ্ঠান সিলভার বুলিয়ন–এর প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগর গ্রেগারসন বলেন, “গত এক বছরে আমাদের গ্রাহকের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এখন ব্যাংক, ধনী পরিবার ও খুচরা বিনিয়োগকারীরা সোনাকে বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে একধরনের সুরক্ষা হিসেবে বিবেচনা করছেন।”

তার ভাষায়, “আমাদের বেশিরভাগ গ্রাহক দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারী—তারা সাধারণত চার বছরের বেশি সময় সোনা সংরক্ষণ করেন। সোনার দাম ভবিষ্যতে কিছুটা নামতে পারে, কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্তত আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত এটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় থাকবে।”

তবে বিশ্লেষকেরা সতর্ক করছেন, সুদের হার বাড়লে বা ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত হলে সোনার দাম কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। ওসিবিসির ওং বলেন, “২০২২ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়েছিল, তখন সোনার দাম ২,০০০ ডলার থেকে নেমে ১,৬০০ ডলারে পৌঁছেছিল।”

তিনি আরও বলেন, “সোনা অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে একধরনের বীমা হলেও, সেই বীমা পরিস্থিতি বদলালে ভাঙা যায়।”

বিশ্লেষকদের মতে, এবার সোনার উত্থান মূলত বাজারে এমন ধারণা থেকে এসেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ শিগগিরই সুদের হার কমাবে। এতে সোনার বিনিয়োগ আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।

এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফেডের ওপর প্রকাশ্যে চাপ বাড়িয়েছেন—গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্তের চেষ্টা ও চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে সমালোচনা করে। অর্থনীতিবিদ ওং মন্তব্য করেন, “এভাবে ফেডের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হলে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আস্থা কমে যাবে, আর তখন অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক সম্পদ হিসেবে সোনার গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে।”

বিশ্লেষক মহল একমত—বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতা, মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েন মিলিয়ে সোনার এই রেকর্ড উত্থান শুধুমাত্র বাজারের প্রতিক্রিয়া নয়, বরং অনিশ্চিত সময়ে নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবেও নতুন করে আবির্ভূত হচ্ছে।

-আশরাফুল ইসলাম


অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার: বিশ্বব্যাংক দিল বাংলাদেশকে সুখবর

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১৭:১৫:০৯
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার: বিশ্বব্যাংক দিল বাংলাদেশকে সুখবর
ছবি: সংগৃহীত

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত অর্থবছরে যা ছিল ৩.৯৭ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই ধারা আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত থাকতে পারে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি ও চ্যালেঞ্জ

আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাটি বলছে, মূল্যস্ফীতি কমে আসা এবং ব্যক্তি খাতের ভোগব্যয় বৃদ্ধিই এই প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি।

ভোগব্যয় বৃদ্ধি: ভোগব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পোশাক রপ্তানি খাত স্থিতিশীল থাকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্যারিফ কাঠামোর আওতায় বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

চ্যালেঞ্জ: বিশ্বব্যাংকের মতে, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সংস্কার কার্যক্রমে বিলম্বের কারণে বিনিয়োগ নিম্নমুখী থাকতে পারে।

আমদানি ও ঘাটতি: আমদানি স্বাভাবিক হলে চলতি হিসাব আবার ঘাটতিতে ফিরে যাওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

এলডিসি উত্তরণ ও রাজস্ব সংস্কার

বিশ্বব্যাংকের বিভাগীয় পরিচালক জ্যঁ পেম মন্তব্য করেছেন, এলডিসি (LDC) গ্র্যাজুয়েশনের জন্য বাংলাদেশের জোরেশোরে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “এ ধরনের উত্তরণে অনেক ধরনের সুবিধাও আছে, এ বিষয়ে সরকারকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। বেসরকারি খাতকে উপযোগী করে তুলতে মনোযোগ প্রয়োজন।”

সংস্কারের ফলে রাজস্ব আয় বাড়ায় বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক। আগামী অর্থবছরে সরকারি ঋণ জিডিপির ৪১.৭ শতাংশে পৌঁছাবে।


অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১৪:৫১:০৬
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের অর্থনৈতিক দিক নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি। সে জন্য তো আমরা মোটামুটি একটু কনফিডেন্ট।”

দারিদ্র্যের হার নিয়ে প্রশ্ন

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ার কথা বলা হলে, অর্থ উপদেষ্টা তার উত্তরে এই পরিসংখ্যানের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “আমি তাত্ত্বিক দিকে এখন যাবো না। দারিদ্র্য বেড়ে গেছে, দারিদ্র্য আছে—এগুলো বলতে হলে আমার অনেক বক্তব্য দিতে হবে।”

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ পরিসংখ্যানের প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন:

“আপনি ৫ হাজার লোকের টেলিফোন করে ইন্টারভিউ নিয়ে বললেন দারিদ্র্য বেড়ে গেছে, এগুলো তো আমি জানি। আমাকে একজন বলে স্যার আপনি একটা পেপার লেখেন, আমি বলে দিলে একটা ফার্ম ২০ হাজার রিপ্লাই দিয়ে দিবে আপনাকে কালকের মধ্যে। এগুলো রিলাবিলিটির ব্যাপার।”

তিনি আরও বলেন, “তবে ডেফিনেটলি আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে, এটা আমি অস্বীকার করি না। কিন্তু এত পারসেন্ট বেড়ে গেছে…”

অমর্ত্য সেনের প্রসঙ্গ

তিনি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের একটি মন্তব্য উল্লেখ করে বলেন, “অমর্ত্য সেন একবার বলেছিলেন—খুব কঠিন দারিদ্র্য আমার মেজার করতে হবে না। দরিদ্র লোক দেখলেই চিনতে পারবেন, তার চেহারা, তার ভাবে।”


স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ২১:০১:৪৪
স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য
ফাইল ছবি

দেশের বাজারে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরিতে ৩ হাজার ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭২৫ টাকায়। এটি দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার (৪ অক্টোবর) প্রতি ভরিতে ২ হাজার ১৯৩ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল।


দেশের মূল্যস্ফীতি এখনও লক্ষ্যমাত্রার ওপরে, সেপ্টেম্বরের চিত্র প্রকাশ করল বিবিএস

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৯:৩০:৩৩
দেশের মূল্যস্ফীতি এখনও লক্ষ্যমাত্রার ওপরে, সেপ্টেম্বরের চিত্র প্রকাশ করল বিবিএস

চলতি অর্থবছরের আগস্টে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমার পর এক মাস বাদে তা আবারও বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এই সময়ে দেশের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত—উভয় খাতের পণ্যের দামই বেড়েছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত মাসিক ভোক্তা মূল্য সূচকে (সিপিআই) মূল্যস্ফীতির এই তথ্য উঠে এসেছে।

লক্ষ্যমাত্রার ওপরে মূল্যস্ফীতি

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিলেও, মূল্যস্ফীতি এখনো লক্ষ্যমাত্রার ওপরে থাকায় এই অর্থবছরের লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সিপিআই তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে (আগস্টে ছিল ৭.৬ শতাংশ)। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে (আগের মাসে ছিল ৮.৯ শতাংশ)।

গ্রামাঞ্চলে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি

সর্বশেষ এ মাসে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে গ্রাম এলাকায় গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে শহর এলাকায় তা ৮ দশমিক ২৮ শতাংশে নেমেছে। তবে গ্রামাঞ্চলের মানুষ খাবারের (৭.৫৪ শতাংশ) চেয়ে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের (৯.৪ শতাংশ) কেনাকাটায় বেশি কষ্ট ভোগ করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান

সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি এখন বাংলাদেশে। ভারতে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ২.০৭ শতাংশ, পাকিস্তানে ৫.৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১.৫ শতাংশ এবং নেপালে ১.৬৮ শতাংশ।

তবে একক মাস হিসেবে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও, গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১.৫৬ শতাংশ কমেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৯২ শতাংশ।


প্রবাসী আয়ে বড় চমক: সেপ্টেম্বরের রেমিট্যান্স নিয়ে এল সুখবর

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ২১:০৩:০৭
প্রবাসী আয়ে বড় চমক: সেপ্টেম্বরের রেমিট্যান্স নিয়ে এল সুখবর
ছবি: সংগৃহীত

বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ২৬৮ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণ

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ১৬৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সেই তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহে বিশাল প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে।

ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গত আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয়প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এছাড়া ডলারের উচ্চ দামও বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠাতে উৎসাহিত করছে। এসব কারণ মিলিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ব্যতিক্রম হয়নি চলতি সেপ্টেম্বর মাসেও।

এর আগে, গত আগস্টে দেশে আসে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এবং জুলাইয়ে এসেছিল ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।


ব্যাংকিং খাতে দক্ষ এমডি পাওয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ: গভর্নর আহসান এইচ মনসুর

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ২১:৩০:১৬
ব্যাংকিং খাতে দক্ষ এমডি পাওয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ: গভর্নর আহসান এইচ মনসুর
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খুঁজে পাওয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে ফিন্যান্সিয়াল এক্সিলেন্স লিমিটেডের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই মন্তব্য করেন।

দক্ষ জনবলের ঘাটতি

তিনি বলেন, “ভালো মানের এমডি পাওয়া এখন বড় সমস্যা। এমনকি ভালো হেড অব ডিপার্টমেন্ট খুঁজে পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। সেটা কর্পোরেট বিভাগ হোক বা কনজিউমার বিভাগ—প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষ জনবলের ঘাটতি স্পষ্ট।”

গভর্নর আরও বলেন:

“প্রোপার নলেজ ও প্রোপার ট্রেইনিংপ্রাপ্ত এমডি আমরা পাচ্ছি না। এটা ব্যাংকিং খাতের জন্য এক ধরনের ব্যর্থতা। ফলে সামনে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে।”

ডিজিটাল ব্যাংকিং প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ যখন আধুনিক প্রশাসনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তখন প্রতিটি সেক্টরে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি দেশের বেশিরভাগ ব্যাংক এখনো ভারতীয় কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের ওপর নির্ভর করছে এবং দেশে এখনো নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি সম্ভব হয়নি।

মানসিকতা ও চ্যালেঞ্জ

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থনীতিবিদ ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “মানসিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, প্রশিক্ষিত কিন্তু মানসিকভাবে সঠিকভাবে প্রস্তুত নয় এমন জনবল অনেক সময় অপ্রশিক্ষিত জনবলের চেয়েও বেশি ক্ষতি করতে পারে।” তিনি সতর্ক করেন, আগামী ৪-৫ মাসে দেশের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আসছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

পাঠকের মতামত: