জ্বালানি সংকট সৃষ্টি করেছেন রাজনীতিবিদেরা: বিস্ফোরক মন্তব্য জ্বালানি উপদেষ্টার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৬:৫০:৩২
জ্বালানি সংকট সৃষ্টি করেছেন রাজনীতিবিদেরা: বিস্ফোরক মন্তব্য জ্বালানি উপদেষ্টার
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের স্বল্পমেয়াদি জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, বর্তমানে সিলিন্ডারের বাজার মূল্য ১২০০ টাকার বেশি হওয়ায় শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা যথাযথ সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ এর দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের সমালোচনা

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বাজারে বাড়তি দামে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে অভিযান চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন।

তিনি বলেন:

“১২০০ টাকার এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হয় ১৪০০ টাকায়। এটার দায় নিতে হবে ব্যবসায়ীদের। অতিরিক্ত মুনাফা করে সম্পদের পাহাড় গড়ে বিদেশে টাকা পাচার করার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।”

তিনি জ্বালানি সংকটের জন্য এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন। তিনি অভিযোগ করেন, জ্বালানি নিশ্চিত না করেই চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে এবং গ্যাস খাতে অসংখ্য অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে—এসব অপকর্ম করেছেন রাজনীতিবিদেরা।

চ্যালেঞ্জ ও সমাধান

এলপিজি অপারেটরদের জবাব: এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (লোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করে বিইআরসি। তিনি প্রশ্ন করেন, “১ হাজার টাকায় এলপিজি দিতে চান উপদেষ্টা। তিনি আমদানিকারকদের ৭ শতাংশ মুনাফা দিয়ে যদি ওই দামে বিক্রি করতে পারেন, করে দেন।”

ঘাটতি মোকাবিলা: জ্বালানি অনুসন্ধানের কাজ বাড়ানো হয়েছে এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) জন্য নতুন রিগ কেনা হচ্ছে। এলএনজি রূপান্তরের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন এফএসআরইউ-এর চেষ্টা করা হচ্ছে।

সাবেক মন্ত্রীর মত: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, সবাইকে দোষারোপের কিছু নেই। বাংলাদেশের গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে। এ ঘাটতি কীভাবে পূরণ করা হবে, তার পরিকল্পনা এখন থেকেই করতে হবে।

এলপিজি খাতে নিরাপত্তা ঝুঁকি

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, এ বছর গ্যাস খাতে মোট অগ্নি দুর্ঘটনা দেড় হাজারের বেশি, যার মধ্যে ৫৮০টি এলপিজি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য ম. তামিম জানান, দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে এখন দিনে ১৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি আছে। শিল্পে গ্যাস সংকট কাটাতে এলপিজি ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ডিজেলের চেয়ে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ খরচ কমাতে পারে।


নভেম্বরেই রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ডের আভাস

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৬ ১০:৩২:২২
নভেম্বরেই রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ডের আভাস
ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে চলমান ঊর্ধ্বমুখী ধারা নভেম্বর মাসে আরও দৃশ্যমান রূপ নিয়েছে। চলতি নভেম্বরের প্রথম ২৪ দিনেই বাংলাদেশে এসেছে ২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা সমপরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব বলছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৫১ কোটি ডলার বেশি, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ও সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য আশাব্যঞ্জক সংকেত।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, নভেম্বর মাসের অবশিষ্ট দিনগুলোর প্রবাহ একই ধারায় অব্যাহত থাকলে মাস শেষে মোট রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত বছরে মাত্র একবার, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে, মাসিক রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন অতিক্রম করেছিল। এবার বছরের শেষপ্রান্তে এসে আবারও সেই রেকর্ড ছোঁয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সরকারের দেয়া ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা, ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার সহজ হওয়া, বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউসের কার্যকর সমন্বয় এবং হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারির ফলে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। চলতি মাসের ২৪ দিনে দেশে যে ২৩৫ কোটি ডলার এসেছে, সেটি প্রতিদিনের হিসেবে দাঁড়ায় ৯ কোটি ৭৯ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ের এই পরিমাণ ছিল ১৮৪ কোটি ডলার, যা প্রবাসী আয়ে ২৮ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।

অর্থনীতিবিদদের ভাষ্য, আমদানি ব্যয়, ডলারের দাম, রিজার্ভ পরিস্থিতি এবং ব্যাংকিং খাতের চলমান চাপের মধ্যে রেমিট্যান্সের এই উল্লম্ফন অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তারা মনে করেন, এই ধারা বজায় থাকলে বিনিময় হার স্থিতিশীল হওয়া, ডলার সংকট কমা এবং অর্থনৈতিক চাপ কিছুটা লাঘব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

-শরিফুল


এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বার পরিবর্তন স্বর্ণের দামে নতুন সমন্বয়

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ১০:২৬:১০
এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বার পরিবর্তন স্বর্ণের দামে নতুন সমন্বয়
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে আজ মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ২০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব এবং তেজাবি স্বর্ণের মূল্যহ্রাস বিবেচনায় ভরিতে ১ হাজার ৩৫৩ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন এই দাম আজ থেকে দেশের সকল জুয়েলারি দোকানে কার্যকর হয়েছে।

বাজুসের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি ভরি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম এখন ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকা। একইভাবে ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ আজ বিক্রি হবে ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৮ টাকায়।

স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাজারের সার্বিক অবস্থা তেজাবি স্বর্ণের মূল্যহ্রাস এবং আমদানি প্রবণতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস। একই সঙ্গে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। গহনার ডিজাইন জটিলতা ও মান অনুযায়ী মজুরিতে তারতম্য হতে পারে।

এর আগে বুধবার ১৯ নভেম্বর বাজুস স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল। সেদিন ভরিতে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম হয়েছিল ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছিল ২ লাখ ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা। ২০ নভেম্বর থেকে সেই দাম কার্যকর হয়।

স্বর্ণের বাজারে দামের ওঠানামা দেখা গেলেও রুপার বাজার সম্পূর্ণ স্থিতিশীল রয়েছে। দেশের বাজারে ২২ ক্যারেট রুপা বিক্রি হচ্ছে প্রতি ভরি ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। ২১ ক্যারেট রুপার দাম ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।

-রাফসান


ভারতীয় চাল কেনা হচ্ছে সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে: বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের নতুন কৌশল

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৪ ১৫:২০:৫৬
ভারতীয় চাল কেনা হচ্ছে সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে: বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের নতুন কৌশল
ছবিঃ সংগৃহীত

বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার সিঙ্গাপুরের সরবরাহকারীর মাধ্যমে ভারত থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য দেন।

তিনি জানান চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হলেও আবার কিছুটা বাড়ছে তাই কোনোক্রমে যেন চালের দাম না বাড়ে সেজন্য সরকার নন বাসমতি চাল আবার আমদানি করবে। কোন দেশ থেকে চাল আসবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা স্পষ্ট করেন যে নন বাসমতি চালটা ভারত থেকে আসবে তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি সিঙ্গাপুরের। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে তাঁরা নির্দিষ্ট কোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেননি বরং চালের মান সময়মতো সরবরাহ আর দামটা দেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার সংশোধিত বাজেট করে ফেলতে চায় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। গণভোট ও ত্রয়োদশ নির্বাচন একই দিনে হওয়ায় বাড়তি খরচ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন নির্বাচনের ও গণভোটের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে কারণ সেখানে লোকবল ও সিকিউরিটি লাগবে। তিনি জানান বাজেট এখন নতুন করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে তবে নির্বাচনের বাজেটটা সরকার এখনও উন্মুক্ত রেখেছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের বাজেটের জন্য একটি সময়সীমা দেওয়া হলেও নির্বাচনের বাজেটের ক্ষেত্রে তা পুরোপুরি খোলা রাখা হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেন যে জানুযারিতে তাঁরা পরবর্তী সরকারের জন্য বাজেট প্রস্তুত করে রাখবেন এবং নির্বাচন নিয়ে অর্থের জোগান বা চিন্তার কোনো কারণ নেই।

গণভোট ও নির্বাচন একই দিনে করা চ্যালেঞ্জ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন এটি চ্যালেঞ্জ হলেও গ্রহণ করতে হবে। তিনি জানান সরকার থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং প্রধান উপদেষ্টাও বলে দিয়েছেন যে ভোট একদিনেই হবে। তিনি যুক্তি দেখান যে দুই দিন ভোট করা মানে রিটার্নিং অফিসার মোবিলাইজ করা থেকে শুরু করে ব্যাংক অফিসার ও স্কুল শিক্ষকদের ডিউটিতে আনা যা অনেক কঠিন কাজ। পৃথিবীর অনেক দেশেই গণভোট আর সাধারণ ভোট একই দিনে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন লজিস্টিক্যালি বা কারিগরি দিক থেকে একবারে করাটাই ভালো এবং এতে সুষ্ঠুভাবে ভোট করা সম্ভব। এছাড়া এদিন বৈঠকে সার ও পরিশোধিত তেল কেনা এবং তিনটি সড়ক করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।


২১–১৮ ক্যারেটেও দাম কমছে, কেমন হবে বাজারের পরবর্তী ধাপ?

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৪ ১১:৪৪:১৪
২১–১৮ ক্যারেটেও দাম কমছে, কেমন হবে বাজারের পরবর্তী ধাপ?
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের স্বর্ণবাজারেও দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য কমে যাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই মূল্য শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে, যা আগামী সোমবার (২৪ নভেম্বর) একইভাবে বহাল থাকবে।

বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম কমেছে ১,৩৫৩ টাকা, যার ফলে নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকা। আগের দাম ছিল ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। এর বাইরে ২১ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ টাকা, যা বৃহস্পতিবার ছিল ২ লাখ ৩ টাকা। ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরিপ্রতি কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩১৭ টাকা, আগের মূল্য ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা। সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৭ টাকা, যা আগের দিনে ছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা।

নতুন এই মূল্যহার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব জুয়েলারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর রাখতে হবে। বাজুস জানিয়েছে, ঘোষিত বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন, মান এবং নির্মাণের জটিলতার কারণে মজুরি ভিন্ন হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

-রাফসান


আজ থেকেই যেসব গ্রাহকসেবা বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকের

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১২:১৮:৪৩
আজ থেকেই যেসব গ্রাহকসেবা বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকের
ছবি: সংগৃহীত

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক তার সব অফিসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি, প্রাইজবন্ড বিক্রি ও পরিশোধ, ছেঁড়া–ফাটা নোট বিনিময়, অটোমেটেড চালান গ্রহণসহ সকল ধরণের সরাসরি গ্রাহকসেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) থেকে মতিঝিলসহ দেশের নয়টি অফিসেই সেবাবন্ধের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘ্নে গ্রাহক লেনদেন ও সংশ্লিষ্ট সেবা দিতে পারে, সে জন্য মনিটরিং আরও জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কেপিআইভুক্ত (Key Point Installation) প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরাপত্তার গুরুত্ব বিবেচনাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সরাসরি সাধারণ জনগণকে কাউন্টার সেবা দেয় না এই আন্তর্জাতিক প্র্যাকটিস অনুসরণ করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত এসেছে। ব্যাংক সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা, প্রবেশাধিকার এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ লেনদেন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দূরে রাখতে এই পরিবর্তন দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় ছিল।

প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল ৩০ নভেম্বরকে লক্ষ্য রেখে মতিঝিল অফিসে সেবা বন্ধ করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে অন্যান্য অফিসে। তবে সর্বশেষ মূল্যায়নের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সময় এগিয়ে এনে সব অফিসে একই দিন থেকে সরাসরি গ্রাহকসেবা বন্ধের ঘোষণা দেয়।

এর ফলে এতদিন যেসব অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড কার্যক্রম, ক্ষতিগ্রস্ত নোট বিনিময় এবং বৈদেশিক লেনদেন-সংক্রান্ত চালান কার্যক্রম পরিচালিত হতো যেমন মতিঝিল, সদরঘাট, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী ও সিলেট সেসব শাখায় সাধারণ গ্রাহকদের প্রবেশাধিকার কার্যত বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এখন থেকে এসব কার্যক্রম শুধুমাত্র বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমেই পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চিত করেছে যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে যেন কোনো ধরনের ভোগান্তি বা জট সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কার্যক্রম তদারকিতে বিশেষ স্কোয়াড ও মনিটরিং টিম কাজ করবে। নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক কাঠামোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন মূলত মুদ্রানীতি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং ব্যাংকিং সেক্টরের নজরদারিতে অধিক মনোযোগ দেবে এমনটাই জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সঞ্চয়পত্র বা প্রাইজবন্ড সংশ্লিষ্ট সকল লেনদেন এখন কেবল অনুমোদিত বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে এবং ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময়সহ নগদ মুদ্রা সংক্রান্ত সেবা সম্পূর্ণভাবে তাদের ওপর ন্যস্ত হচ্ছে।


রমজান সামনে রেখে বাজার নিয়ে যে সুখবর মিলছে আমদানির পরিসংখ্যানে

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ০৯:৩৯:৫৬
রমজান সামনে রেখে বাজার নিয়ে যে সুখবর মিলছে আমদানির পরিসংখ্যানে
ছবিঃ সংগৃহীত

সয়াবিন তেল চিনি মসুর ডাল ছোলা মটর ডাল ও খেজুরের চাহিদা রমজানে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। এই বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে বেশি পরিমাণে পণ্য আমদানি করতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ঋণপত্র বা এলসি খোলা অনেকটাই বেড়েছে। আমদানির তথ্য বলছে এ সময় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সয়াবিন তেল আমদানি ৩৬ শতাংশ চিনি ১১ শতাংশ মসুর ডাল ৮৭ শতাংশ ছোলা ২৭ শতাংশ মটর ডাল ২৯৪ শতাংশ ও খেজুরের আমদানি ২৩১ শতাংশ বেড়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রমজান মাস শুরু হতে পারে।

রমজানে তেল ও চিনির চাহিদা সবসময় বেশি থাকে তাই শীর্ষ গ্রুপগুলো সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর এই দুই মাসেই তেল ও চিনির এলসি খোলা বাড়িয়েছে। এছাড়া আগে থেকেই রমজানের প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য প্রচুর পরিমাণে ক্রয় করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন আমদানির এই ধারা নভেম্বর ও ডিসেম্বরেও থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। বেশির ভাগ পণ্য আগে আনা হলেও অবশিষ্ট যা বাকি রয়েছে তা রোজা শুরু হওয়ার এক মাস আগপর্যন্ত আসতে থাকবে। তবে সেপ্টেম্বরেই রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে মোট ৬ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার ও অক্টোবরে ৫ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। এ বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৮৬৫ টন সয়াবিন তেল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪ টন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৭২ টনের চিনি আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৬ টন।

অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানিও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। চলতি বছর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ডাল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে ৫০ হাজার ৩৫৫ টনের যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৬ হাজার ৯১২ টন। ছোলার এলসি ৪২ হাজার ৮৯১ টন থেকে বেড়ে ৫৪ হাজার ৫১৬ টনে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছর এ দুই মাসে ১০ হাজার ১৬৫ টন খেজুরের এলসি খোলা হয়েছে যা আগের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৬৩ টন। এছাড়া চলতি বছর ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮১০ টন মটর আমদানির এলসি খোলা হয়েছে যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪১ হাজার ৮১৫ টন।

আমদানিকারকরা বলছেন ব্যাংকগুলোতে ডলারের সংকট না থাকায় এই প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশে এক ধরনের ডলার সংকট দেখা দেয় যার ফলে আমদানি সীমিত হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই সমস্যা এখন সমাধান হয়েছে। এছাড়া এলসি খোলার ক্ষেত্রে শতভাগ মার্জিন রাখারও বাধ্যবাধকতা নেই। রমজানে ভোগ্যপণ্য আমদানি নির্বিঘ্ন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি মার্জিনে ছাড় দিয়ে থাকে যা ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক হয়েছে।


বড় ধাক্কা স্বর্ণবাজারে: ভরিতে কমল ৫,৫১৯ টাকা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১০:০৮:৫১
বড় ধাক্কা স্বর্ণবাজারে: ভরিতে কমল ৫,৫১৯ টাকা
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামে ওঠানামা ও স্থানীয়ভাবে তেজাবী স্বর্ণের মূল্য কমে যাওয়ার প্রভাব বাংলাদেশের বাজারেও দৃশ্যমান হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শনিবার রাতে বাজুস কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, স্থানীয় বাজারে পিওর গোল্ডের মূল্য হ্রাস পাওয়া ও চাহিদা-সরবরাহের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত আগামী দিনের বাজারে স্বর্ণ ক্রেতাদের জন্য স্বস্তি তৈরি করবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরিতে ৫ হাজার ৫১৯ টাকা কমানো হয়েছে। পূর্বের দাম ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা, যা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ২৭২ টাকায়। একইভাবে ২১ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ কমতি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বৃহত্তম মূল্যহ্রাস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

২১ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০১ টাকা, যা ১৫ নভেম্বর ছিল ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা। ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন ভরি দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৯ টাকা, যা আগের দাম থেকে এক লাফে প্রায় চার হাজারের বেশি কম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামও কমে এখন প্রতি ভরিতে নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৭১৮ টাকা। বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, দামের এই পতন উৎসব ও বিয়ের মৌসুমে সাধারণ মানুষকে নতুন কেনার উৎসাহ দিতে পারে।

-রফিক


ডলারের রিজার্ভে সুখবর, নভেম্বরের শুরুতেই বিপুল সাড়া

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ২০:১৫:৩১
ডলারের রিজার্ভে সুখবর, নভেম্বরের শুরুতেই বিপুল সাড়া
ছবিঃ সংগৃহীত

চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম অর্ধেক সময়েই প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন। মাসের প্রথম ১৫ দিনে মোট ১৫২ কোটি ২০ লাখ (বা ১.৫২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক রবিবার (১৬ নভেম্বর) রেমিট্যান্স প্রবাহের এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, বৈধ পথে বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো এই অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফেরাতে সাহায্য করছে।

কর্মকর্তারা মনে করছেন, হুন্ডি বন্ধে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ, প্রবাসীদের জন্য দেওয়া প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং সেবার উন্নতির ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহে এই ভালো দিক দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে, মাসের বাকি দিনগুলোতেও যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তবে নভেম্বর মাস শেষে মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে যেতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ ভালো ছিল। ওই মাসে মোট ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের বেশি প্রবাস আয় আসে। এই অঙ্কটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলার বেশি। গত বছর অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান দেখায় যে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রবাস আয়ের প্রবাহ শক্তিশালী রয়েছে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল প্রায় ২৪৮ কোটি ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ডলার এবং সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলারে পৌঁছেছিল।

সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত) প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ১০১৫ কোটি ডলার বা ১০.১৫ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় এক লাখ ২৪ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। এই চার মাসে মোট রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগের অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ৮৯৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।


২০২৬ সালের ব্যাংক ছুটির তালিকা প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৬:৫৬:৪১
২০২৬ সালের ব্যাংক ছুটির তালিকা প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ২০২৬ সালের জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর ছুটির তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এই নতুন তালিকা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো আগামী বছর মোট ২৮ দিন বন্ধ থাকবে। রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব সুপারভিশন এই তালিকাটি অনুমোদন করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।

প্রকাশিত তালিকা অনুসারে, ২০২৬ সালের প্রথম সরকারি ছুটি হবে শবে বরাত উপলক্ষে। এজন্য ৪ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। একই মাসে, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখেও ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর ১৭ মার্চ শবে কদর উপলক্ষ্যে ছুটি নির্ধারিত হয়েছে।

মার্চ মাসেই জুমাতুল বিদা এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হবে। এই উপলক্ষ্যে ব্যাংকগুলো ১৯ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত একটানা বন্ধ থাকবে। এই পাঁচ দিনের ছুটির মধ্যে দুটি সাপ্তাহিক ছুটিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরপর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ছুটি থাকবে।

এপ্রিল মাসে, পার্বত্য চট্টগ্রামের (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) জন্য ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি এবং ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। মে মাসের ১ তারিখে মে দিবস ও বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ব্যাংকগুলোতে ২৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ছুটি থাকবে। এই ছুটির মধ্যেও দুটি দিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে।

বছরের মাঝামাঝি সময়ে, ২৬ জুন আশুরা, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে এবং ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এছাড়া ২৬ আগস্ট ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ৪ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী এবং ২০ ও ২১ অক্টোবর দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ছুটি থাকবে।

বছরের শেষে, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। সবশেষে, ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে পালনের মাধ্যমে বছরের ছুটির তালিকা শেষ হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৯ নভেম্বরের জারি করা প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতেই ২০২৬ সালের এই ছুটির তালিকা কার্যকর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ব্যাংকে মোট ছুটি ছিল ২৪ দিন এবং ২০২৫ সালে ছিল ২৭ দিন। সেই তুলনায় আগামী বছর এই ছুটির সংখ্যা বেড়ে ২৮ দিন হলো।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত