হাতে-পায়ে চামড়া উঠছে? এটি শুধু শীত নয়, ৫ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ১৭:২৯:৩০
হাতে-পায়ে চামড়া উঠছে? এটি শুধু শীত নয়, ৫ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ
ছবিঃ সংগৃহীত

শীত আসার আগেই অনেকের হাত-পা ফেটে চামড়া ওঠা শুরু হয়ে গেছে। অনেকে এটিকে আবহাওয়ার প্রভাব বা ক্রিমের অভাব মনে করলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এটি শুধু শীতের প্রভাব নয়, বরং শরীরের ভেতরের পুষ্টিহীনতা বা ভিটামিনের ঘাটতির সংকেতও হতে পারে। নিয়মিত এমন হলে বিষয়টি অবহেলা না করে এর আসল কারণ ও সমাধান জানা জরুরি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই অবস্থাকে বলা হয় ‘কেরাটোলাইসিস এক্সফোলিয়াটিকা’ (Keratolysis Exfoliativa)।

যে ৫ ভিটামিনের ঘাটতিতে চামড়া ওঠে

চিকিৎসকদের মতে, হাতে-পায়ে চামড়া ওঠার সবচেয়ে বড় কারণ হলো নির্দিষ্ট ভিটামিনের ঘাটতি।

ভিটামিন এ: ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে এবং ত্বককে মসৃণ রাখে।

উৎস: গাজর, পাকা পেঁপে, কুমড়া, দুধ ও ডিম।

ভিটামিন বি১২: রক্তকণিকা ও স্নায়ুর কার্যকারিতায় সাহায্য করে।

উৎস: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও দই।

ভিটামিন সি: ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।

উৎস: কমলা, লেবু, পেয়ারা, আমলকী ও টমেটো।

ভিটামিন ডি: ত্বক ও হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ; এর ঘাটতিতে ব্যথা ও ক্লান্তি দেখা দেয়।

উৎস: রোদ, মাছ, ডিমের কুসুম ও দুধ।

ভিটামিন ই: ত্বককে কোমল রাখে এবং মৃত কোষের পুনর্জন্ম ঘটায়।

উৎস: বাদাম, অ্যাভোকাডো, সূর্যমুখী তেল ও অঙ্কুরিত শস্য।

চামড়া ওঠার অন্যান্য কারণ ও করণীয়

বিশেষজ্ঞদের মতে, চামড়া ওঠার পেছনে অন্যান্য কারণও থাকতে পারে, যেমন—বংশগত প্রভাব, অতিরিক্ত পানিশূন্যতা, রোদে পোড়া বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগা, ঘন ঘন হাত ধোয়া বা রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসা এবং একজিমা বা সংক্রমণ।

চিকিৎসকদের পরামর্শ: নিয়মিত হাতে-পায়ে চামড়া উঠলে প্রথমে খাদ্যাভ্যাস ঠিক করা উচিত। পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার রাখুন দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায়। যদি অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।


গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে হার্ভার্ডের চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া ৭ সুপারফুড

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ২০:৫৪:২৭
গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে হার্ভার্ডের চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া ৭ সুপারফুড
ছবিঃ সংগৃহীত

আধুনিক লাইফস্টাইলের কারণে আজকাল ঘরে ঘরে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তরুণ বা বয়স্ক—হাজার হাজার মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। গুরুপাক খেয়ে ফেলতেই পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় এবং গ্যাসের কারণে পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যাও নতুন নয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হার্ভার্ডের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ শেঠি ৭টি সুপারফুড খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, যেগুলো নিয়মিত খেলে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিমেষেই দূর হতে পারে।

গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে যে ৭ সুপারফুড

১. কিউই: এ তালিকায় প্রথমেই থাকবে কিউই। ফাইবার ও অ্যান্টিনিডিন এনজাইমে ভরপুর এই ফলটি পেট ফোলার সমস্যা কমিয়ে দেয় এবং হজমের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

২. মৌরি: গ্যাস কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় মৌরি খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। হার্ভার্ডের ওই চিকিৎসকের মতে, হজমশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য মৌরির বিকল্প নেই। মৌরি খেলে পেটের সব রকমের অস্বস্তি দূর হয়।

৩. পুদিনা পাতা: পুদিনা টি ও পুদিনা তেল—দুটোই গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার যম। পুদিনার তেল মাংসপেশিতে স্বস্তি আনে এবং পেটে জমে থাকা গ্যাস বের করে দেয়। এ কারণেই গ্যাস হলে পুদিনা পাতার পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক চিকিৎসক।

৪. পেঁপে: পেঁপেতে থাকা এনজাইম হজমশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। হজমের সমস্যায় পাকা পেঁপে খাওয়া অত্যন্ত উপকারী মনে করা হয়। এটি খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং অন্ত্র পরিষ্কার রাখতেও সহায়ক।

৫. চিয়া সিডস: চিয়া সিডস পাচন প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে এবং মলত্যাগে সাহায্য করে। তবে রক্তচাপ কম থাকলে কিংবা কিডনির অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিয়া সিডস খাওয়া উচিত নয়।

৬. আদা: আদা খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। আদার রস খেলে পেটব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। এটি পেট ফোলার সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে সহায়ক।

৭. শসা: শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করতে সাহায্য করে এই সবজি। শসাকে সুপারফুডের তালিকায় রেখেছেন হার্ভার্ডের চিকিৎসক। এটি পেট ফুলে থাকার সমস্যায় খুবই সহায়ক। দিনে একের অধিক শসা খাওয়া যেতে পারে।

সূত্র : আজতক বাংলা


দুশ্চিন্তা-উদ্বেগে ভুগছেন? মন শান্ত করতে মেনে চলুন এই ৫ কৌশল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৯:৩৯:৫২
দুশ্চিন্তা-উদ্বেগে ভুগছেন? মন শান্ত করতে মেনে চলুন এই ৫ কৌশল
ছবিঃ সংগৃহীত

দৈনন্দিন জীবনে নানা কারণে আমাদের মন কখনো অশান্ত হয়, কখনো আবার খারাপ হয়ে থাকে। দুশ্চিন্তা, ভাবনা, উদ্বেগ—এগুলো জীবনে স্বাভাবিকভাবেই থাকবে। কিন্তু অশান্তি সহজে কাটে না এবং দুর্ভাবনার কারণগুলো সব সময় দ্রুত নির্মূলও করা যায় না। ফলে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। অশান্ত মন ও উদ্বেগ নিয়ে যত বেশি ভাবা হয়, ততই তা বাড়তে থাকে। বরং সেই সব সরিয়ে দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজে মন দিলে, মন শান্ত হতে পারে। এই কৌশলগুলো মনের চাঞ্চল্য, রাগ ও অশান্তি কমাতে সহায়ক হতে পারে।

মন শান্ত করার ৫ কৌশল

১. বাগান পরিচর্যা: খোলা আকাশ ও সবুজের মাঝে অনেকেই ভালো লাগা খুঁজে পান। নিজের হাতে বড় করা গাছে ফুল বা ফল এলে—তা দেখেও তৃপ্তি আসে। বাগানের পরিচর্যা মানে চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে খানিক প্রকৃতির স্পর্শ, যা মনকে শান্ত ও হালকা করতে সাহায্য করে।

২. লিখে ফেলা: মান-অভিমানে মন বড় ভার হয়ে থাকলে বা কেউ আপনাকে বুঝতে পারছে না মনে হলে, মনের কষ্ট ও খারাপ লাগাগুলো ডায়েরিতে লিখে ফেলুন। শুধু খারাপ লাগাই নয়, আনন্দের মুহূর্তও লিখে রাখা যায়। মন হালকা এবং শান্ত করার এটি একটি ভালো উপায়।

৩. শখগুলিকে ঝালিয়ে নিন: কারও শখ আঁকা, কারও রান্না করা, কারও পছন্দ বেকিং, আবার কারও বই পড়া। মনোবিদেরা জানাচ্ছেন, শখের কাজ মনঃসংযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নিয়মিত এমন কোনো কাজ অন্তত ৩০ মিনিট করলে, মন ভালো থাকবে এবং কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়বে।

৪. কথা বলা: কাছের বন্ধু বা বিশ্বাসযোগ্য কারও কাছে মন খুলে কথা বললেও মন খানিক শান্ত হয়। কষ্ট বা সমস্যার কথা কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। বন্ধু বা কাছের মানুষের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করে কথা বললে, মন হালকা হতে পারে।

৫. প্রাণায়াম: হঠাৎ রাগ বা কোনো কারণে অশান্ত হয়ে উঠলেই প্রথমেই কয়েক বার শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। শান্ত হয়ে কিছু ক্ষণ বসুন। নিয়মিত ২০-৩০ মিনিট প্রাণায়াম করলেও মন শান্ত থাকে এবং দৈনন্দিন সমস্যা শান্ত ভাবে মোকাবিলা করা যায়।


ঘুমের মধ্যে ঘন ঘন প্রস্রাব: ডায়াবেটিস ছাড়াও যে ৫ রোগের লক্ষণ হতে পারে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৭:২৯:১৮
ঘুমের মধ্যে ঘন ঘন প্রস্রাব: ডায়াবেটিস ছাড়াও যে ৫ রোগের লক্ষণ হতে পারে
ছবিঃ সংগৃহীত

রাতে বিছানায় পিঠ ঠেকালেই বারবার বাথরুমে যেতে হচ্ছে—এমন সমস্যা অনেকেরই হয়। যদিও স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের হয়ে যায়, কিন্তু ঘুমের মধ্যে ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া মোটেই স্বাভাবিক নয়। অনেকেই এটিকে ডায়াবেটিসের লক্ষণ মনে করলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া ছাড়াও এর পেছনে থাকতে পারে অনেক জটিল রোগ।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক রাতে বারবার প্রস্রাব হওয়ার (নকচুরিয়া) ৫টি সম্ভাব্য কারণ:

ঘন ঘন প্রস্রাবের ৫টি কারণ

১. প্রস্টেটের সমস্যা: বয়স বাড়লে অনেক সময় পুরুষদের প্রস্টেটের সমস্যা দেখা দেয়। এই কারণে বারবার প্রস্রাব পেতে পারে, কারণ ভুক্তভোগীদের একবারে মূত্র বের হতে চায় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রস্টেট বড় হয়ে গেলে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২. স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা: অল্প বয়সীদের মধ্যেও আজকাল স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা নজরে আসে। দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার ফলে এই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। এর কারণে অনেক সময়ই বারবার প্রস্রাব পায় কিংবা প্রস্রাব আটকে রাখা যায় না। এর সঙ্গে পিঠে বা কোমরে ব্যথাও থাকতে পারে।

৩. কিডনির অসুখ (নকচুরিয়া): রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের লক্ষণ কিডনির অসুখের কারণেও হতে পারে, যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় নকচুরিয়া বলা হয়। রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি মূত্রত্যাগ করতে হলে দ্রুত সতর্ক হওয়া জরুরি।

৪. কিডনিতে স্টোন বা সংক্রমণ: কম পানিপানসহ আরও অনেক কারণে কিডনিতে স্টোন বা পাথর হতে পারে। সেই স্টোন আবার মূত্রনালীতে চলে আসলে বারবার প্রস্রাব পায়। মূত্র ত্যাগ করার সময় ব্যথা এবং প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হতেও পারে। এ ছাড়া, মূত্রনালি বা মূত্রথলির সংক্রমণ হলেও রাতে বারবার প্রস্রাব পেতে পারে।

৫. হরমোনের তারতম্য: শরীরে থাইরয়েড হরমোন বা কর্টিসল হরমোনের আধিক্য হলে রাতে একাধিকবার প্রস্রাব পেতে পারে। একই সমস্যা দেখা দেয় রক্তে ক্যালসিয়াম বা পটাশিয়ামের তারতম্য ঘটলেও। এ ছাড়া গর্ভাবস্থার প্রথমে ও পরেও বারবার প্রস্রাব পেতে পারে।

সূত্র : আজকাল


বিলিয়নিয়ার হতে চান? যে ৪টি ব্যবসায় রয়েছে সফল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৭:০৮:৪৭
বিলিয়নিয়ার হতে চান? যে ৪টি ব্যবসায় রয়েছে সফল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
ছবিঃ সংগৃহীত

বিলিয়নিয়ার বা শতকোটি ডলারের মালিক হওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। অনেকে সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেও সফল হতে পারেন না, আবার কারো কারো কাছে এটি ধরা দেয় অল্প বয়সেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্যবসায় যদি সঠিকভাবে কাজ করা যায়, তাহলে বিলিয়নিয়ার হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বিলিয়নেয়ার তৈরি করেছে এমন চারটি ব্যবসা এখানে তুলে ধরা হলো।

১. ফাইন্যান্স ও বিনিয়োগ (Finance and Investment)

ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের যত বিলিয়নিয়ার আছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৩০০ জনই ফাইন্যান্স ও বিনিয়োগের মাধ্যমে সাফল্য পেয়েছেন।

সাফল্যের উদাহরণ: বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রবাদপুরুষ ওয়ারেন বাফেট (মোট সম্পদ ৭৮.১ বিলিয়ন ডলার) এর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।

সম্ভাবনা: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা সম্ভব হলে এখান থেকে ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল অর্থ তুলে নেওয়া সম্ভব। এ কারণে এটি বিলিয়নিয়ার হওয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।

২. ফ্যাশন ও খুচরা পণ্য (Fashion and Retail)

এই ব্যবসাকে অনেকেই তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজে ব্যবহার করেছেন। বিশ্বের ২৩৭ জন বিলিয়নিয়ার ফ্যাশন ও খুচরা পণ্যের ব্যবসায় সফল হয়েছেন। তারা নিজ উদ্যোগে বিশ্বের বড় বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

৩. গৃহায়ন ব্যবসা (Real Estate)

রিয়েল এস্টেট ব্যবসা অতীতে যেমন রমরমা ছিল, এখনও তা রয়েছে। এ ব্যবসায় সাফল্য পেতে হলে বেশ কিছু অর্থ বিনিয়োগ করতে হয় এবং সাধারণত পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে এমন ব্যক্তিরা এই ক্ষেত্রে সুবিধা পান।

সাফল্যের উদাহরণ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (মোট সম্পদ ৩.১ বিলিয়ন ডলার) এ ব্যবসার সফল ব্যক্তিদের একটি উদাহরণ। চীন ও হং কংয়ের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরাও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীদের অন্যতম। বিশ্বে গৃহায়ন ব্যবসা করে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা দুই শতাধিক।

৪. তথ্য–প্রযুক্তি (Information Technology)

তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবসা করেও প্রতি বছর বহু মানুষ বিলিয়নিয়ার হয়ে উঠছেন। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ৩০ বছরের আগেই এ সম্পদ কামিয়েছেন। বিল গেটসও এই ব্যবসাতেই দীর্ঘদিন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ছিলেন।

প্রবৃদ্ধির হার: ফোর্বস ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ২০১৭ সালে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবসায় ১৮৩ জন বিলিয়নিয়ার হয়েছেন, যা আগের বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি।


খাবার খেয়েই বসে আছেন? এটি হতে পারে ধূমপানের মতোই মারাত্মক অভ্যাস

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৬:১৬:৩৯
খাবার খেয়েই বসে আছেন? এটি হতে পারে ধূমপানের মতোই মারাত্মক অভ্যাস
ছবিঃ সংগৃহীত

ধূমপান যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন অনেকক্ষণ ধরে একটানা বসে থাকাও শরীরের জন্য ঠিক ততটাই ক্ষতিকর। বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পরপরই বসে থাকা শরীরের বিপাক (Metabolism)-এ ব্যাঘাত ঘটায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ধূমপান নয়, দীর্ঘ সময় বসে থাকার অভ্যাসও আপনার জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।

ক্ষতির মাত্রা ও বিপদ

ভারতের কিমশেলথ ত্রিভান্দ্রাম হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ধীনেশ ডেভিড জানিয়েছেন, খাবার খাওয়ার পরপরই বসে থাকলে শরীরের বিপাক ধীর হয়ে যায়। এতে ওজন বাড়ে, ধমনীতে চর্বি জমে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। যদিও তিনি বলেন, এটি ধূমপানের চেয়েও খারাপ—এমন দাবি পুরোপুরি সঠিক নয়, তবে এটা নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর।

মৃত্যুঝুঁকি: ফরিদাবাদের অমৃতা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মোহিত শর্মা জানান, দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি সময় বসে থাকলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, ক্যানসার এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি বসে থাকা মানুষের মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৩৪% বাড়ে, যা দিনে ১-৫টি সিগারেট পানকারীর হৃদরোগের ঝুঁকির (৪০-৫০%) কাছাকাছি।

অন্যান্য সমস্যা: হায়দরাবাদের যশোদা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কে. সোমনাথ গুপ্ত বলেন, অনেকক্ষণ বসে থাকলে ঘাড়, পিঠ ও কাঁধে ব্যথা হতে পারে। রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, পেশি দুর্বল হয় এবং পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ডা. মোহিত শর্মা কিছু সহজ পরামর্শ দিয়েছেন:

স্বল্প বিরতি: প্রতি ২ ঘণ্টা পর উঠে খানিকটা হাঁটাহাঁটি করুন। পানি পান করতে উঠে দাঁড়ান।

সক্রিয় থাকা: পিঠ সোজা করে বসার অভ্যাস করুন। মাঝেমধ্যে স্ট্রেচিং করুন বা ঘরেই সামান্য হাঁটাহাঁটি করে নিন।

চিকিৎসকরা বলেন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক দিক থেকেও ক্ষতিকর। এতে মনোযোগ কমে যায়, উদ্যম হারিয়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে শুধু ধূমপান ছাড়লেই হবে না, বসে থাকার অভ্যাসও পরিবর্তন করতে হবে।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৯:৪১:২৩
রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
ছবিঃ সংগৃহীত

কর্মব্যস্ত জীবনে উদ্বেগ এবং ক্লান্তির কারণে অনেকেই ভালো করে ঘুমোতে পারেন না। কেউ কেউ নিয়মিত ঘুমের ওষুধও খান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব সহজেই কিছু কৌশলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। আমেরিকান উদ্যোগপতি ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ডেভ অ্যাসপ্রে, যার মতামত ‘বুলেটপ্রুফ ডায়েট’ নামে পরিচিত, তিনি ভালো ঘুমের জন্য দুটি সহজ কৌশল জানিয়েছেন: শোয়ার ঘরে লাল আলো এবং কালো পর্দা ব্যবহার করা।

কেন লাল আলো প্রয়োজন?

ডেভ অ্যাসপ্রে ব্যাখ্যা করেন, আধুনিক সমাজে রাতে উজ্জ্বল আলোয় ঘুমালে মস্তিষ্ক সেই সময়টিকে দিন বলে মনে করে। এর ফলে দেহে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, যা উদ্বেগ এবং অবসাদ আরও বাড়িয়ে তোলে।

হরমোনের ভারসাম্য: সভ্যতার আদি লগ্ন থেকেই সূর্যাস্তের পর উজ্জ্বল আলোর উৎস ছিল না। রাতে ডিজিটাল পর্দা থেকে নির্গত নীল আলো ক্ষতিকারক, কিন্তু লাল আলো অনেক বেশি নিরাপদ। এটি শরীরে মেলাটোনিন (ঘুমের হরমোন) তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে না। তাই শোয়ার ঘরে রাতে লাল আলো জ্বললে ভালো ঘুম হয়।

ঘুমের মান উন্নত করতে পর্দা

ডেভের মতে, ভালো ঘুমের জন্য এমন পর্দা ব্যবহার করা উচিত, যার মধ্য দিয়ে ঘরে আলো প্রবেশ করবে না।

সার্কাডিয়ান রিদ্‌ম: জানলায় পর্দা না থাকলে বাইরের আলো ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। অন্যদিকে, সূর্যোদয়ের সময়ে আলো ঘরে প্রবেশ করলে অনেক সময়েই ঘুম ভেঙে যায়। ঘুমের সময়ে জানলায় পর্দা ঢাকা থাকলে ঘর অন্ধকার থাকে। এর ফলে ‘সির্কাডিয়ান রিদ্‌ম’ (শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়ি) সম্পর্কে মস্তিষ্কের কোনো ভুল ধারণা তৈরি হয় না এবং ঘুমের গুণগত মান আরও উন্নত হয়।


শরীরের পরিবর্তন দেখে অবাক হবেন: প্রতিদিন খান মাত্র ১ লবঙ্গ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৮:৪৭:৪১
শরীরের পরিবর্তন দেখে অবাক হবেন: প্রতিদিন খান মাত্র ১ লবঙ্গ
ছবিঃ সংগৃহীত

বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর সুস্থ রাখা একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে লবঙ্গ একটি প্রাচীন এবং শক্তিশালী ঘ্রাণযুক্ত মশলা, যা শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও অসাধারণ উপকারী। প্রতিদিন মাত্র একটি লবঙ্গ খেলে দীর্ঘমেয়াদে শরীর, হজম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হতে পারে।

লবঙ্গের ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

১. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: প্রতিদিন একটি লবঙ্গ খেলে পাকস্থলীর অম্লজনিত সমস্যা কমে যায়। এটি হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং গ্যাস বা পেট ফুলে যাওয়া রোধ করে।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: লবঙ্গের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সর্দি, কাশি এবং অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধে এটি সহায়ক।

৩. রক্তের গুণগত মান উন্নত করে: লবঙ্গ রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।

৪. দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা করে: লবঙ্গ মুখের ব্যাকটেরিয়া কমায় এবং দাঁতের ব্যথা, মাড়ির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

৫. মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী করে: লবঙ্গের নিয়মিত ব্যবহার স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।

লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম

এই সমস্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে প্রতিদিন সকালে বা রাতের খাবারের পরে মাত্র একটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন।

বিশেষ টিপস: লবঙ্গ গরম পানিতে বা চায়ের সঙ্গেও খাওয়া যেতে পারে। তবে যাদের পেটে সমস্যা আছে, তারা অতিরিক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বা খাবারের সঙ্গে খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।


ব্রণ সারাতে চান? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রণ দূর করার ৭ কার্যকর উপায় জেনে নিন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৬:০০:৫৯
ব্রণ সারাতে চান? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রণ দূর করার ৭ কার্যকর উপায় জেনে নিন
ছবিঃ সংগৃহীত

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ ব্রণ চোখে পড়লে অনেকেই অস্থির হয়ে ওঠেন। ব্রণ দুই হাতের আঙুল দিয়ে টিপ দিয়ে ভেতরের ‘পদার্থ’ বের করে আপনি যতই ‘সুখী’ হোন না কেন, নিজেকে সংবরণ করা জরুরি। কারণ এর ফলে ক্ষত বাড়ে, দীর্ঘস্থায়ী দাগ পড়ার আশঙ্কা বাড়ে এবং ব্রণের জায়গাটা দ্রুত সেরে ওঠার চ্যালেঞ্জও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রণ ফাটিয়ে না ফেলে কিছু ঘরোয়া ও সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।

ব্রণ দূর করার ৭টি সহজ কৌশল

১. বরফের কিউব: ‘রাগী’ ও যন্ত্রণাদায়ক ব্রণকে শান্ত করতে এক খণ্ড বরফের কিউবই যথেষ্ট। দিনে চার–পাঁচবার বিরতি নিয়ে ব্রণের ওপর বরফের কিউব ঘষতে থাকুন। ২৪ ঘণ্টায় ব্রণ অনেকটাই কমে আসবে বা ছোট হয়ে যাবে।

২. অ্যাসপিরিন-পেস্ট: ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে কার্যকর অ্যাসপিরিনে থাকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড। দুটি অ্যাসপিরিন গুঁড়া করে সামান্য পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্রণের ওপর লাগান। এটি মরা চামড়া দূর করবে এবং ব্রণ দ্রুত সারাতে সাহায্য করবে।

৩. স্পট ক্রিম: স্পট ক্রিম বা দাগ দূর করার বিভিন্ন ক্রিমে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও বেনজলপারঅক্সাইড থাকে। এটিও মরা চামড়া দূর করে, ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এবং অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়।

৪. মধু ও অ্যালোভেরার মিশ্রণ: উভয়েরই অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে। এই দুইয়ের মিশ্রণ ব্রণের ওপর লাগান। বিরতি নিয়ে কয়েকবার লাগালেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

৫. টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণসমৃদ্ধ। দিনে কয়েকবার লাগালে ব্রণ কমে আসবে। তবে আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তবে এটি ব্যবহার না করাই ভালো।

৬. মাইল্ড ক্লিনজার: মাইল্ড বা কোমল ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করুন। স্ক্র্যাবার যেন ত্বকের জন্য স্বস্তিদায়ক হয়, সেটি নিশ্চিত করুন। এটি আপনার ত্বকের ময়লা ও মরা কোষ দূর করে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করবে এবং ব্রণ দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে।

৭. হাইড্রোকলয়েডস: ছোট একটা হাইড্রোকলয়েড ড্রেসিং ব্যবহার করে আপনি ব্রণের ভেতরের তরল বের করে আনতে পারেন। এর ফলে ত্বকে ব্রণের দাগ পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে আসে।

সূত্র: হেলথলাইন


নারীদের জন্য বড় সুযোগ! ঘরে বসেই আয় করুন মাসে লাখ টাকা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৫:৫০:৩২
নারীদের জন্য বড় সুযোগ! ঘরে বসেই আয় করুন মাসে লাখ টাকা
ছবিঃ সংগৃহীত

বর্তমানে ঘরে বসে আয় করা এখন আর স্বপ্ন নয়। সামান্য উপকরণ, সৃজনশীল চিন্তা এবং অল্প কিছু সময় দিয়েই গড়ে তোলা যায় সফল ব্যবসা। ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি উপজেলার এক গৃহশিক্ষক সেই প্রমাণই দিয়েছেন। বাড়িতে বসে আর্ট পেপার ও ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়ে পরিবেশবান্ধব ব্যাজ তৈরি করে তিনি এখন মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছেন।

সৃজনশীলতা ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ

পেশায় গৃহশিক্ষক সুধাংশু চিংড়ি অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে হাতে তৈরি ব্যাজ বানানোর কাজ শুরু করেছিলেন। এখন সেটিই তার বাড়তি উপার্জনের প্রধান উৎস। তিনি বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে ব্যবহারের জন্য নানা ডিজাইন ও রঙের ব্যাজ তৈরি করেন।

সুধাংশু জানান, “শুরুতে শখের বসে বানানো শুরু করেছিলাম। এখন অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যমেই ব্যাজ বিক্রি করছি। চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারের কারণে ক্রেতাদের আগ্রহও বেশি।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিক ও কেমিক্যালযুক্ত ব্যাজ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই আর্ট পেপার দিয়ে তৈরি এই ব্যাজগুলো পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে।

স্বনির্ভর হওয়ার নতুন পথ

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের উদ্যোগ ঘরে বসে স্বনির্ভর হওয়ার এক নতুন দিক উন্মোচন করছে, বিশেষত নারীদের জন্য। কারণ এই কাজের জন্য প্রয়োজন নেই দামি যন্ত্রপাতি বা বড় বিনিয়োগ। শুধু রঙিন আর্ট পেপার, আঠা, কাঁচি ও সামান্য সময় ব্যয় করেই গড়ে তোলা যায় ছোট ব্যবসা।

সুধাংশুর এই উদ্যোগ স্থানীয় অনেক তরুণ-তরুণীকেও অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ঘরে বসে উদ্যোক্তা হতে চাইলে এই ধরনের ছোট পরিসরের সৃজনশীল ব্যবসা হতে পারে নিরাপদ ও লাভজনক বিকল্প। সামান্য পরিশ্রমে মাসে লাখ টাকার আয়ও অসম্ভব নয়।

পাঠকের মতামত:

কুরআন ও বিজ্ঞানের মহাবিস্ময়: যেভাবে মিলে যাচ্ছে ‘বিগ ক্রাঞ্চ’ তত্ত্ব ও কিয়ামতের ভবিষ্যদ্বাণী!

কুরআন ও বিজ্ঞানের মহাবিস্ময়: যেভাবে মিলে যাচ্ছে ‘বিগ ক্রাঞ্চ’ তত্ত্ব ও কিয়ামতের ভবিষ্যদ্বাণী!

মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে যেমন 'বিগ ব্যাং' (Big Bang) তত্ত্ব বহুল পরিচিত, তেমনই এর সম্ভাব্য শেষ পরিণতি নিয়েও বিজ্ঞানীরা এক নতুন... বিস্তারিত