ফলাফল
এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর, জানুন ফলাফল জানার উপায়

২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) প্রকাশ করা হবে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক সাবকমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার।
একযোগে ফল প্রকাশ
অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, ফল প্রকাশের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী ১৬ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ—এই ৯টি শিক্ষা বোর্ডসহ বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল সেদিন সকাল ১০টায় একযোগে প্রকাশ করা হবে।
যেভাবে জানা যাবে ফলাফল
পরীক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি উপায়ে তাদের ফলাফল জানতে পারবে:
ওয়েবসাইট: পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে, শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইট ঠিকানা www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে।
প্রতিষ্ঠানের জন্য: সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN-এর মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবে।
এসএমএস: এছাড়া নির্ধারিত শর্ট কোড 16222-এ SMS করে ফল পাওয়া যাবে।
শিক্ষা ও সাহিত্যের আলোকবর্তিকা নিভে গেল—চলে গেলেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
বাংলাদেশের সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির আকাশে এক বিশাল নক্ষত্র নিভে গেল। দেশের প্রজ্ঞা ও মানবিকতার প্রতীক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। রেখে গেছেন স্ত্রী, এক পুত্র, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য ছাত্রছাত্রী এবং অগণিত ভক্ত-গুণগ্রাহী।
তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে যেন শেষ হলো এক প্রজ্ঞাপূর্ণ যুগ—যেখানে জ্ঞানের সঙ্গে মানবিকতার, সাহিত্যের সঙ্গে যুক্তির, শিল্পের সঙ্গে সমাজবোধের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের জীবন ও কর্মে।
৩ অক্টোবর সকালটা ছিল তাঁর জীবনের শেষ কর্মমুখর সকাল। ধানমন্ডি থেকে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) যাচ্ছিলেন নিয়মিত ক্লাস নিতে। হঠাৎ গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চালক তাঁকে দ্রুত পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলামসহ তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা সেখানে ছুটে যান এবং তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। চিকিৎসকেরা জানান—তিনি ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’-এর শিকার হয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে তাঁর হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট বসানো হয়।
তবে শনিবার থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অক্সিজেন লেভেল নেমে যায়, ফুসফুসে পানি জমে, অবশেষে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা, পরিবার ও শিক্ষার্থীদের অগণিত প্রার্থনা সত্ত্বেও তিনি আর ফিরে আসেননি। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তাঁর মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগতে নেমে আসে গভীর শোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাহিত্যিক, কবি, শিল্পী, প্রকাশক, পাঠক—সবাই যেন একসঙ্গে নির্বাক হয়ে যান।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন,
“তিনি ছিলেন আধুনিক মননসম্পন্ন এক শিক্ষক, যিনি সাহিত্যের পাশাপাশি মানুষকে চিনতে শিখিয়েছেন। তাঁর কথায় ও লেখায় এক অদ্ভুত স্বচ্ছতা ও সত্যের সাহস ছিল।”
ল্যাবএইড হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ফখরুল আলম, কায়সার হক, কবি দিলারা হাফিজ, ফরিদ কবির, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, কথাসাহিত্যিক ও চিকিৎসক মোহিত কামাল, এবং আরও অনেকে। তাঁরা বললেন, “মনজুরুল ভাই ছিলেন আমাদের সাহিত্য-শিক্ষা মহলের প্রাণ। তাঁর চলে যাওয়া মানে এক শূন্যতার সূচনা।”
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু বলেন,
“অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুর পর বেঙ্গলের বহু কাজে মনজুরুল ইসলাম নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর চলে যাওয়া আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে অপরিমেয় ক্ষতি।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে বারডেমের হিমঘরে নেওয়া হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে তাঁর সহকর্মী, ছাত্রছাত্রী ও ভক্তরা শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। বেলা ১১টায় মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, যেখানে সর্বস্তরের মানুষ জানাবে শ্রদ্ধা। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে—যেখানে ঘুমিয়ে আছেন তাঁরই মতো এই দেশের চিন্তার স্থপতিরা।
জীবনের পথ ও সাহিত্যকীর্তি
১৯৫১ সালের ১৮ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। পেশাগত জীবনের সিংহভাগ কাটিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। অবসরের পরও তিনি একাডেমিয়া ছাড়েননি—ইউল্যাব-এ যোগ দেন নতুন প্রজন্মকে সাহিত্যের আলোয় গড়ে তুলতে।
তিনি বাংলা সাহিত্যে ‘জাদুবাস্তবতা’র এক নতুন ধারা প্রতিষ্ঠা করেন—যেখানে বাস্তবতার গণ্ডি পেরিয়ে মানবমনের গভীর স্তরগুলো উন্মোচিত হয় কল্পনা ও প্রতীকী বয়ানে। তাঁর ‘প্রেম ও প্রার্থনার গল্প’ বইটি ২০০৫ সালে প্রথম আলো বর্ষসেরা সৃজনশীল বইয়ের পুরস্কার পায়। ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে একুশে পদক অর্জন করেন। সাহিত্য, অনুবাদ, নন্দনতত্ত্ব ও প্রবন্ধচর্চায় তাঁর কাজ বাংলা সাহিত্যকে দিয়েছে আন্তর্জাতিক পরিসরে এক নতুন পরিচিতি।
এক শিক্ষক, এক মানবিক আলোকস্তম্ভ
শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি ছিলেন শুধু শিক্ষক নন—এক প্রেরণা, এক মেন্টর, যিনি শেখাতেন চিন্তা করতে, প্রশ্ন করতে, সত্যকে ভালোবাসতে। ক্লাসরুমে তাঁর কণ্ঠে সাহিত্য মানে ছিল মানবতার পাঠ, আর জীবনের প্রতিটি ব্যাখ্যা একেকটি গল্প হয়ে ফুটে উঠত তাঁর ব্যাখ্যায়।
তিনি ছিলেন এক মানবিক বুদ্ধিজীবী—যিনি ক্ষমতার সামনে সত্য উচ্চারণে দ্বিধা করতেন না, কিন্তু কারও প্রতি ঘৃণাও পোষণ করতেন না। তাঁর জীবন ছিল এক আলোকিত যাত্রা—যেখানে সাহিত্য, শিক্ষা, সততা ও সৌন্দর্য মিশে ছিল একাকার।
বিদায় এক আলোকিত আত্মাকে
দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি মহল আজ শূন্য হয়ে গেল। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আমাদের ছেড়ে গেছেন, কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া আলোকরেখা এখনো অনুপ্রেরণা হয়ে জ্বলে থাকবে প্রতিটি পাঠকের, প্রতিটি ছাত্রের, প্রতিটি মুক্তমনের হৃদয়ে।
তিনি ছিলেন শিক্ষক, চিন্তক, লেখক—সবচেয়ে বড় কথা, তিনি ছিলেন এক আলোকিত মানুষ।
হাঙ্গেরি: ইউরোপের হৃদয়ে উচ্চশিক্ষার নতুন দুয়ার
বিদ্যা অর্জনের নির্দেশনা সীমাহীন, আর সেই সীমারেখা পেরিয়ে ইউরোপের কেন্দ্রে অবস্থিত হাঙ্গেরি এখন হয়ে উঠেছে বিশ্বের শিক্ষার্থীদের নতুন গন্তব্য। ইতিহাস, সংস্কৃতি, ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার অনন্য সংমিশ্রণ—এই দেশটি আজ ইউরোপের শিক্ষা ও গবেষণার এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। “দানিয়ুবের তীরে জ্ঞান ও ভবিষ্যতের শহর” হিসেবে পরিচিত বুদাপেস্টে শিক্ষা গ্রহণ মানে শুধুমাত্র একাডেমিক উৎকর্ষ নয়, বরং এক পরিপূর্ণ ইউরোপীয় অভিজ্ঞতা অর্জন।
কেন হাঙ্গেরি পড়াশোনার জন্য বেছে নেবেন?
অস্ট্রিয়া, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া ও ইউক্রেনের মাঝখানে অবস্থিত এই দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শেনজেন চুক্তিভুক্ত, ফলে শিক্ষার্থীরা একসাথে বহু দেশের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পান। উন্নত মানের রিসার্চ সুবিধা, আন্তর্জাতিক কোর্স, এবং বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ হাঙ্গেরিকে তুলনামূলক কম খরচে উন্নত শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।
বুদাপেস্ট বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর—শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তার মানে এটি ইউরোপের শীর্ষ শহরগুলোর একটি। শিক্ষার পাশাপাশি সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারেন।
উচ্চশিক্ষায় যোগ্যতা ও ভাষাগত প্রয়োজনীয়তা
হাঙ্গেরির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলর পর্যায়ে ভর্তি হতে HSC বা সমমানের সার্টিফিকেট প্রয়োজন। মাস্টার্সে ব্যাচেলর এবং পিএইচডি পর্যায়ে মাস্টার্স ডিগ্রি আবশ্যক। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে IELTS স্কোর ৫.৫–৬.৫ বা TOEFL ৭২–৯০ পর্যন্ত প্রয়োজন হয়। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় Medium of Instruction (MOI) গ্রহণ করে, বিশেষত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। কিছু কোর্সে Duolingo বা PTE স্কোরও বৈধ।
সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও জনপ্রিয় বিষয়সমূহ
হাঙ্গেরির বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে:
- Eötvös Loránd University (ELTE)
- University of Szeged
- University of Debrecen
- Budapest University of Technology and Economics (BME)
- University of Pécs
- Corvinus University of Budapest
- Hungarian University of Agriculture and Life Sciences
এখানে তথ্যপ্রযুক্তি, চিকিৎসাবিজ্ঞান, প্রকৌশল, স্থাপত্য, আইন, ব্যবসা ও অর্থনীতি, এবং মনোবিজ্ঞানসহ নানা বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
খরচ ও স্কলারশিপ সুবিধা
হাঙ্গেরিতে পড়াশোনার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম—প্রতি বছর প্রায় €1,500 থেকে €5,000 পর্যন্ত। মাসিক জীবনযাত্রার ব্যয় প্রায় €300–€600 এর মধ্যে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারি স্কলারশিপ হলো Stipendium Hungaricum, যা পুরো টিউশন ফি ছাড়, মাসিক স্টাইপেন্ড (HUF 43,700–180,000), বিনামূল্যে আবাসন বা আবাসন ভাতা, স্বাস্থ্যবীমা, এবং পরিবার নিয়ে থাকার সুযোগ প্রদান করে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ও সরকারি গবেষণা বৃত্তিও পাওয়া যায়।
ভিসা প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরির ভিসা আবেদন করা যায় ঢাকার VFS Global-এর মাধ্যমে। প্রয়োজন হবে:
- বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার
- স্কলারশিপ বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- স্বাস্থ্য বীমা
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- বৈধ পাসপোর্ট ও ছবি
ভিসা প্রক্রিয়া সাধারণত ৪–৫ সপ্তাহ সময় নেয়, এবং আবেদন ফি প্রায় ৫০ ইউরো।
পড়াশোনা শেষে ক্যারিয়ার ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ
ডিগ্রি শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা ৯–১২ মাসের Job Search Visa পান, যার মাধ্যমে তারা ইউরোপজুড়ে চাকরির আবেদন করতে পারেন। চাকরি পেলে সহজেই Work Permit ও পরবর্তীতে Permanent Residence (PR)-এর জন্য আবেদন করা যায়। আইনত ৩ বছর বসবাসের পর National Permanent Residence Permit (NPRP) পাওয়া সম্ভব, যা ফ্রান্স, ইতালি বা পর্তুগালসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়।
জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি
হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট তার অসাধারণ স্থাপত্য, সেতু, আর্ট গ্যালারি ও দানিয়ুব নদীর মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। এখানে নিরাপত্তা সূচক অত্যন্ত উচ্চ, ক্রাইম ইনডেক্স মাত্র ৩৩.৮—যা ইউরোপের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি। শিক্ষার্থীরা চাইলে সংগীত, সংস্কৃতি, ও ভ্রমণের মাধ্যমে ইউরোপীয় জীবনধারার স্বাদ নিতে পারেন।
ইউরোপীয় স্বপ্নের দুয়ারে হাঙ্গেরি
যে দেশে তুলনামূলক কম খরচে পাওয়া যায় উচ্চমানের শিক্ষা, যেখানে গবেষণা, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে গড়ে ওঠে সৃজনশীল ভবিষ্যৎ—সেই হাঙ্গেরি এখন শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণের গন্তব্য। আপনি যদি বিশ্বমানের ডিগ্রি, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, ও ক্যারিয়ারের নতুন দিগন্ত খুঁজে থাকেন, তবে হাঙ্গেরিই হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত, দেখে নিন পরীক্ষার সময়সূচি
চলতি বছরের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এই পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, পরীক্ষার প্রথম দিন ২১ ডিসেম্বর বাংলা, দ্বিতীয় দিন ২২ ডিসেম্বর ইংরেজি, তৃতীয় দিন ২৩ ডিসেম্বর গণিত এবং চতুর্থ দিন ২৪ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু নির্দেশনা
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
বিজ্ঞান ও বিশ্বপরিচয়—এই দুটি বিষয়ের জন্য মোট ৩ ঘণ্টা সময় থাকবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য সময় দেওয়া হবে দেড় ঘণ্টা।
পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রবেশপত্র প্রতিষ্ঠান-প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে সাত দিন আগে সংগ্রহ করবে।
উত্তরপত্রের ওএমআর ফর্মে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং বিষয় কোড সঠিকভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা বোর্ড অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সঙ্গে আনতে পারবেন না।
‘প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই’—সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়া হবে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে—প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া।
আজ রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটি (ACCGP) এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি (ACCEA)-র বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ কথা জানান।
ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “কিছু শ্রেণির বই মুদ্রণের জন্য ইতিমধ্যেই অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা প্রাপ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা খতিয়ে দেখছি, যেন কোনো স্কুল একাধিক বরাদ্দ না পায় বা অতীতে যেসব অনিয়মের অভিযোগ ছিল তা পুনরাবৃত্তি না হয়।”
তিনি জানান, সরকার চায় যেসব প্রতিষ্ঠান অতীতে নিয়মিতভাবে বই পেয়েছে তারা যেন এবারও পায়। একই সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বই নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “আমরা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করব। আমাদের লক্ষ্য পরিষ্কার—১ জানুয়ারির মধ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে হবে।”
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ঘোষণা শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর। কারণ সময়মতো বই হাতে পাওয়া গেলে শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে শুরু করা সম্ভব হবে।
-আলমগীর হোসেন
হিজাব-নিকাব নিয়ে হেনস্তা বন্ধে পাবিপ্রবি প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ভাইভা বা প্রেজেন্টেশনের মতো একাডেমিক কার্যক্রমে নারী শিক্ষার্থীদের নিকাব খুলতে বাধ্য না করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
নারী শিক্ষিকারা শনাক্ত করবেন পরিচয়
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু না হওয়া পর্যন্ত ভাইভা, প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিকাব খুলতে বাধ্য করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য নারী শিক্ষিকাদের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
একইসঙ্গে, কোনো ধরনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা বা শিক্ষার্থীদের বিদ্রুপ, ট্যাগিং বা বৈষম্যের শিকার না করার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সারা দেশে হিজাব ও নিকাব পরা শিক্ষার্থীদের হেনস্তার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা তিনটি দাবি তুলে ধরেছিল:
১. ছাত্রীদের শনাক্তকরণের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করা।
২. বায়োমেট্রিক চালু না হওয়া পর্যন্ত নারী শিক্ষিকাদের মাধ্যমে শনাক্তকরণ নিশ্চিত করা।
৩. হিজাব বা নিকাব খুলতে বাধ্য না করা এবং কোনো ধরনের বুলিং বা ট্যাগিং না করা।
শিক্ষার্থীদের এই দাবির প্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাকসু নির্বাচনে শিবিরের দাপট, ভিপি পদে স্বতন্ত্রের চমক!
৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বড় ধরনের চমক দেখিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’। মোট ২৫টি পদে তারা ২০টিতে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলনের প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন শিবির সমর্থিত মাজহারুল ইসলাম। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সিনেট কক্ষে নির্বাচন কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
ভিপি পদে জয়ী আব্দুর রশিদ জিতু বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তিনি এর আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি মোট ৩,৩৩৪ ভোট পান, যা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত প্রার্থী আরিফ উল্লাহর (২,৩৯২ ভোট) চেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে বেশি। অপরদিকে জিএস পদে ইংরেজি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ৩,৯৩০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম পেয়েছেন ১,২৩৮ ভোট।
শীর্ষ দুই পদের বাইরে শিবিরপন্থী প্যানেলের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে। এজিএস (পুরুষ) পদে ফেরদৌস আল হাসান এবং এজিএস (নারী) পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক, পরিবেশ সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, নাট্য সম্পাদক, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদকসহ একাধিক পদে তাদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। কার্যকরী সদস্য পদেও তাদের প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্য ভোটে জয়ী হয়েছেন।
তবে সব পদেই শিবিরের দাপট দেখা যায়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ক্রীড়া সম্পাদক এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছে। এই বৈচিত্র্যময় ফলাফলে ছাত্র রাজনীতির নানা প্রেক্ষাপট প্রতিফলিত হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে শিবিরপন্থী প্যানেলই প্রধান শক্তি হয়ে উঠেছে।
১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৫৯ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৯ জন, জিএস পদে ৮ জন এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী, যাদের মধ্যে ছয়জন নারী।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেছেন, প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়া শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও উৎসাহের প্রমাণ বহন করে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মিলেমিশে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার প্রত্যাশা রয়েছে। যদিও ভোট গ্রহণের আগে কিছু অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রদল ও আরও কয়েকটি প্রগতিশীল সংগঠন নির্বাচন বর্জন করেছিল, তবুও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সম্পন্ন হওয়াটাই একটি বড় অর্জন বলে মনে করেন কমিশন।
জাকসু ভোট গণনায় ট্র্যাজেডি: দায়িত্ব পালনে এসে সহকারী অধ্যাপকের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনার সময় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় গণনার কক্ষের সামনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস (৩১)। দ্রুত তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসকরা মৃত্যুর ঘোষণা দেন।
দায়িত্ব পালনকালে দুর্ঘটনা
জান্নাতুল ফেরদৌস জাকসু নির্বাচনে প্রীতিলতা হলের পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বৃহস্পতিবার দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বাসায় ফেরার পর শুক্রবার সকালে তিনি আবারও ভোট গণনার কাজে যোগ দিতে আসেন। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে সিনেট ভবনে পৌঁছে ভোট গণনার কক্ষের দরজার সামনেই হঠাৎ পড়ে যান তিনি।
চারুকলা বিভাগের সভাপতি শামীম রেজা জানান, তিনি নিজে প্রীতিলতা হলে রিটার্নিং অফিসার ছিলেন। জান্নাতুল গণনার কাজের জন্য এসেছিলেন তাঁর আহ্বানে। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে সহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় সবাই হতবাক হয়ে পড়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ভোটগ্রহণের দিন রাতভর কর্মব্যস্ততার কারণে সব হলে একসঙ্গে গণনা করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার সকালে প্রীতিলতা হলের গণনা চলছিল। সে সময়েই এ ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, “আমাদের সবাই শোকে আচ্ছন্ন। তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”
পরিবেশে শোকের ছায়া
জান্নাতুল ফেরদৌসের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে সিনেট ভবনের গণনাকক্ষে শোকের আবহ ছড়িয়ে পড়ে। দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কমিশনার রেজোয়ানা করিম স্নিগ্ধা মাইকে উপস্থিত সবার কাছে মরহুম শিক্ষকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করার আহ্বান জানান এবং জানান, প্রীতিলতা হলের ভোট গণনা দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় এক তরুণ শিক্ষকের মৃত্যু পুরো বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রদায়কে গভীর শোকে নিমজ্জিত করেছে। সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জান্নাতুল ফেরদৌসের পরিবারকে সমবেদনা জানানো হয়েছে।
শিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলের বর্জন—প্রশ্নের মুখে ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে ভোট চলাকালীন সময়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুটি বড় ছাত্রসংগঠন—ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল এবং ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের বর্জন ঘোষণা
বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী মওলানা ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। এ সময় প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা অভিযোগ করেন, ভোটগ্রহণে নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তারা এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন।
ছাত্রশিবির সমর্থিত জোটের অভিযোগ
এদিকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটও একইভাবে অনিয়মের অভিযোগ তোলে। বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের যথাযথ প্রস্তুতি ছিল না। ক্যাম্পাসে ভীতি ও অনিয়মের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।”
তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন হলে বহিরাগতদের আনাগোনা দেখা গেছে এবং ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ভোটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কিছু সিদ্ধান্ত নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে। কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, “কিছু কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে চলমান রয়েছে। যেসব কেন্দ্রে সাময়িক বিরতি ছিল, সেগুলোতে ভোটারদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।”
নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটার সংখ্যা
এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন এবং পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন। মোট ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও দুপুরের পর তা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।
ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ বিরতির পর আয়োজিত এ নির্বাচনে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করলেও সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসজুড়ে দেখা দিয়েছে থমথমে পরিস্থিতি।
প্রায় তিন দশকের বেশি সময় পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আয়োজিত এ নির্বাচনকে ঘিরে দেশজুড়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোরও নানা হিসাব-নিকাশ চলছিল। নানা আশঙ্কা ও আলোচনা-সমালোচনা সত্ত্বেও গত ১৫ দিনে প্রশাসনের উদ্যোগে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এটি মাত্র অষ্টম ডাকসু নির্বাচন। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে, যা ছিল বিতর্কিত।
এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। অন্যদিকে ১৮টি হল সংসদে ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন এক হাজার ৩৫ জন। সব মিলিয়ে একজন ভোটারকে মোট ৪১টি ভোট দিতে হয়েছে।
ভোটগ্রহণ শেষে শিক্ষার্থীরা ফলাফলের অপেক্ষায় থাকলেও বিকেল থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলতে শুরু করেন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসজুড়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের সামনেই শিক্ষার্থীদের ভিড় জমেছে ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায়।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম জানান, যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে এবং সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
তবে নির্বাচন নিয়ে অভিযোগও তুলেছেন বিভিন্ন প্রার্থীরা। ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে যেতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন তাঁরা। আচরণবিধিতে অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও তাঁকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় প্রার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
অন্যদিকে ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাদেক কায়েম শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ডাকসু নির্বাচনে হার-জিতের কিছু নেই। জুলাই বিপ্লবের সহযোদ্ধা হিসেবে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করেছি। তাই শিক্ষার্থীরা যাকে বেছে নেবে, তাকেই মেনে নিতে হবে।” তিনিসতর্ককরেদেন, শিক্ষার্থীদেরওপরকিছুচাপিয়েদেওয়ারচেষ্টাকরলেতাউল্টোফলবয়েআনবে।
সব মিলিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে মূলত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষা। তবে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সক্রিয় অবস্থানের কারণে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উত্তেজনা, আর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পাঠকের মতামত:
- এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর, জানুন ফলাফল জানার উপায়
- ফোন স্লো হয়ে গেলে কী করবেন? স্টোরেজ খালি করার ১০ সহজ কৌশল
- অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
- হংকং ম্যাচের আগে ভোগান্তি বাংলাদেশের: বাফুফের ‘অদূরদর্শিতায়’ বাড়তি চাপ
- অতিরিক্ত সিম নিয়ে বিটিআরসির জরুরি বার্তা: কী করতে হবে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে?
- মুক্তির পথে ফিলিস্তিনি বন্দীরা: প্রথম বাসটি পৌঁছাল গাজায়
- ৪ দফা দাবি নিয়ে শহীদ পরিবার ও আহত জুলাই যোদ্ধারা সচিবালয়ে
- সেনানিবাসের ভবন সাময়িক কারাগার: প্রজ্ঞাপন জারি
- চার কোটি বেকারের সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
- ৭৩৮ দিন পর মুক্ত: হামাস ১৩ জন জিম্মিকে তুলে দিল রেডক্রসের হাতে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হামাসের বন্দি মুক্তিতে উল্লাস ইসরায়েলে, শান্তির ইঙ্গিত মধ্যপ্রাচ্যে
- শি জিনপিং: সমাজে প্রকৃত সমতা চাইলে নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে
- এএফসি বাছাইয়ে আজ জর্ডানের মুখোমুখি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল
- ‘আর ফেরার উপায় নেই’: জলবায়ু সংকটে পৃথিবীর ইকোসিস্টেম বিপন্ন
- পরমাণু ইস্যুতে কঠোর ইরান: আইএইএ-এর সঙ্গে চুক্তি স্থগিত, কারণ কী?
- অর্থ সাশ্রয়ে বিশেষ পদক্ষেপ: জুলাই সনদ ও নির্বাচন একই দিনে করার প্রস্তুতি
- মেক্সিকোর পাহাড়ি জনপদে ভয়াবহ বন্যা: মৃত্যু ৪৭, নিঃস্ব অসংখ্য পরিবার
- ট্রাম্প: ৩ হাজার বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ইহুদি-মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ
- ‘সামাজিক ব্যবসা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- কুরআন ও বিজ্ঞানের মহাবিস্ময়: যেভাবে মিলে যাচ্ছে ‘বিগ ক্রাঞ্চ’ তত্ত্ব ও কিয়ামতের ভবিষ্যদ্বাণী!
- সৌদি আরবের মক্কা অঞ্চলে বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার
- গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে হার্ভার্ডের চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া ৭ সুপারফুড
- জুলাই বিপ্লবের চেতনা: ওসমানী উদ্যানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের বাজেট নিয়ে বিতর্ক
- ইউটিউবে সাফল্য: আপনার চ্যানেলকে জনপ্রিয় করার ৮টি সহজ টিপস
- দুশ্চিন্তা-উদ্বেগে ভুগছেন? মন শান্ত করতে মেনে চলুন এই ৫ কৌশল
- আমার ছেলেমেয়ে দেশে, একা সেফ এক্সিট নিয়ে কী করব?: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস আলম
- আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের সামরিক অভিযান: বড় সংখ্যক তালেবানকে হত্যার দাবি
- ঘুমের মধ্যে ঘন ঘন প্রস্রাব: ডায়াবেটিস ছাড়াও যে ৫ রোগের লক্ষণ হতে পারে
- অস্টিওপোরোসিস থেকে মুক্তি: গর্ভাবস্থায় হাড় শক্ত রাখতে মেনে চলুন এই নিয়ম
- বিলিয়নিয়ার হতে চান? যে ৪টি ব্যবসায় রয়েছে সফল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
- জুলাই নিয়ে কাজ করলেই প্রশ্ন: বাজেট বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ মাহমুদ
- এনসিপি নেতা সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রিন্স মাহমুদ
- খাবার খেয়েই বসে আছেন? এটি হতে পারে ধূমপানের মতোই মারাত্মক অভ্যাস
- অবিশ্বাস্য! ১১ বছর বয়সী শিশুর মুখে ৮১টি দাঁত
- সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
- আজকের ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১২ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১২ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিচারকাজ সম্প্রচারে সাইবার হামলা
- ইসরায়েল ধোঁকা দিতে পারে: গাজার চুক্তি মানা নিয়ে সংশয়ে ইরান
- পিআর আন্দোলন নির্বাচন বিলম্বের অপচেষ্টা: মির্জা ফখরুল
- নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে ডিসি, এসপি ও ওসিদের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনা
- আফগানিস্তানের ‘প্রতিশোধমূলক’ অভিযান: সীমান্তে তীব্র সংঘাত
- বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা
- মরণযাত্রায় শীর্ষে বাংলাদেশ,তবুও কমছে না অবৈধ অনুপ্রবেশ
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
- স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প