বিলিয়নিয়ার হতে চান? যে ৪টি ব্যবসায় রয়েছে সফল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা

বিলিয়নিয়ার বা শতকোটি ডলারের মালিক হওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। অনেকে সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেও সফল হতে পারেন না, আবার কারো কারো কাছে এটি ধরা দেয় অল্প বয়সেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্যবসায় যদি সঠিকভাবে কাজ করা যায়, তাহলে বিলিয়নিয়ার হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বিলিয়নেয়ার তৈরি করেছে এমন চারটি ব্যবসা এখানে তুলে ধরা হলো।
১. ফাইন্যান্স ও বিনিয়োগ (Finance and Investment)
ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের যত বিলিয়নিয়ার আছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৩০০ জনই ফাইন্যান্স ও বিনিয়োগের মাধ্যমে সাফল্য পেয়েছেন।
সাফল্যের উদাহরণ: বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রবাদপুরুষ ওয়ারেন বাফেট (মোট সম্পদ ৭৮.১ বিলিয়ন ডলার) এর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
সম্ভাবনা: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা সম্ভব হলে এখান থেকে ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল অর্থ তুলে নেওয়া সম্ভব। এ কারণে এটি বিলিয়নিয়ার হওয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।
২. ফ্যাশন ও খুচরা পণ্য (Fashion and Retail)
এই ব্যবসাকে অনেকেই তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজে ব্যবহার করেছেন। বিশ্বের ২৩৭ জন বিলিয়নিয়ার ফ্যাশন ও খুচরা পণ্যের ব্যবসায় সফল হয়েছেন। তারা নিজ উদ্যোগে বিশ্বের বড় বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
৩. গৃহায়ন ব্যবসা (Real Estate)
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা অতীতে যেমন রমরমা ছিল, এখনও তা রয়েছে। এ ব্যবসায় সাফল্য পেতে হলে বেশ কিছু অর্থ বিনিয়োগ করতে হয় এবং সাধারণত পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে এমন ব্যক্তিরা এই ক্ষেত্রে সুবিধা পান।
সাফল্যের উদাহরণ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (মোট সম্পদ ৩.১ বিলিয়ন ডলার) এ ব্যবসার সফল ব্যক্তিদের একটি উদাহরণ। চীন ও হং কংয়ের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরাও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীদের অন্যতম। বিশ্বে গৃহায়ন ব্যবসা করে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা দুই শতাধিক।
৪. তথ্য–প্রযুক্তি (Information Technology)
তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবসা করেও প্রতি বছর বহু মানুষ বিলিয়নিয়ার হয়ে উঠছেন। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ৩০ বছরের আগেই এ সম্পদ কামিয়েছেন। বিল গেটসও এই ব্যবসাতেই দীর্ঘদিন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ছিলেন।
প্রবৃদ্ধির হার: ফোর্বস ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ২০১৭ সালে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবসায় ১৮৩ জন বিলিয়নিয়ার হয়েছেন, যা আগের বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি।
খাবার খেয়েই বসে আছেন? এটি হতে পারে ধূমপানের মতোই মারাত্মক অভ্যাস
ধূমপান যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন অনেকক্ষণ ধরে একটানা বসে থাকাও শরীরের জন্য ঠিক ততটাই ক্ষতিকর। বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পরপরই বসে থাকা শরীরের বিপাক (Metabolism)-এ ব্যাঘাত ঘটায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ধূমপান নয়, দীর্ঘ সময় বসে থাকার অভ্যাসও আপনার জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
ক্ষতির মাত্রা ও বিপদ
ভারতের কিমশেলথ ত্রিভান্দ্রাম হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ধীনেশ ডেভিড জানিয়েছেন, খাবার খাওয়ার পরপরই বসে থাকলে শরীরের বিপাক ধীর হয়ে যায়। এতে ওজন বাড়ে, ধমনীতে চর্বি জমে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। যদিও তিনি বলেন, এটি ধূমপানের চেয়েও খারাপ—এমন দাবি পুরোপুরি সঠিক নয়, তবে এটা নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর।
মৃত্যুঝুঁকি: ফরিদাবাদের অমৃতা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মোহিত শর্মা জানান, দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি সময় বসে থাকলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, ক্যানসার এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি বসে থাকা মানুষের মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৩৪% বাড়ে, যা দিনে ১-৫টি সিগারেট পানকারীর হৃদরোগের ঝুঁকির (৪০-৫০%) কাছাকাছি।
অন্যান্য সমস্যা: হায়দরাবাদের যশোদা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কে. সোমনাথ গুপ্ত বলেন, অনেকক্ষণ বসে থাকলে ঘাড়, পিঠ ও কাঁধে ব্যথা হতে পারে। রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, পেশি দুর্বল হয় এবং পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ডা. মোহিত শর্মা কিছু সহজ পরামর্শ দিয়েছেন:
স্বল্প বিরতি: প্রতি ২ ঘণ্টা পর উঠে খানিকটা হাঁটাহাঁটি করুন। পানি পান করতে উঠে দাঁড়ান।
সক্রিয় থাকা: পিঠ সোজা করে বসার অভ্যাস করুন। মাঝেমধ্যে স্ট্রেচিং করুন বা ঘরেই সামান্য হাঁটাহাঁটি করে নিন।
চিকিৎসকরা বলেন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক দিক থেকেও ক্ষতিকর। এতে মনোযোগ কমে যায়, উদ্যম হারিয়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে শুধু ধূমপান ছাড়লেই হবে না, বসে থাকার অভ্যাসও পরিবর্তন করতে হবে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
কর্মব্যস্ত জীবনে উদ্বেগ এবং ক্লান্তির কারণে অনেকেই ভালো করে ঘুমোতে পারেন না। কেউ কেউ নিয়মিত ঘুমের ওষুধও খান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব সহজেই কিছু কৌশলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। আমেরিকান উদ্যোগপতি ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ডেভ অ্যাসপ্রে, যার মতামত ‘বুলেটপ্রুফ ডায়েট’ নামে পরিচিত, তিনি ভালো ঘুমের জন্য দুটি সহজ কৌশল জানিয়েছেন: শোয়ার ঘরে লাল আলো এবং কালো পর্দা ব্যবহার করা।
কেন লাল আলো প্রয়োজন?
ডেভ অ্যাসপ্রে ব্যাখ্যা করেন, আধুনিক সমাজে রাতে উজ্জ্বল আলোয় ঘুমালে মস্তিষ্ক সেই সময়টিকে দিন বলে মনে করে। এর ফলে দেহে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, যা উদ্বেগ এবং অবসাদ আরও বাড়িয়ে তোলে।
হরমোনের ভারসাম্য: সভ্যতার আদি লগ্ন থেকেই সূর্যাস্তের পর উজ্জ্বল আলোর উৎস ছিল না। রাতে ডিজিটাল পর্দা থেকে নির্গত নীল আলো ক্ষতিকারক, কিন্তু লাল আলো অনেক বেশি নিরাপদ। এটি শরীরে মেলাটোনিন (ঘুমের হরমোন) তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে না। তাই শোয়ার ঘরে রাতে লাল আলো জ্বললে ভালো ঘুম হয়।
ঘুমের মান উন্নত করতে পর্দা
ডেভের মতে, ভালো ঘুমের জন্য এমন পর্দা ব্যবহার করা উচিত, যার মধ্য দিয়ে ঘরে আলো প্রবেশ করবে না।
সার্কাডিয়ান রিদ্ম: জানলায় পর্দা না থাকলে বাইরের আলো ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। অন্যদিকে, সূর্যোদয়ের সময়ে আলো ঘরে প্রবেশ করলে অনেক সময়েই ঘুম ভেঙে যায়। ঘুমের সময়ে জানলায় পর্দা ঢাকা থাকলে ঘর অন্ধকার থাকে। এর ফলে ‘সির্কাডিয়ান রিদ্ম’ (শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়ি) সম্পর্কে মস্তিষ্কের কোনো ভুল ধারণা তৈরি হয় না এবং ঘুমের গুণগত মান আরও উন্নত হয়।
শরীরের পরিবর্তন দেখে অবাক হবেন: প্রতিদিন খান মাত্র ১ লবঙ্গ
বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর সুস্থ রাখা একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে লবঙ্গ একটি প্রাচীন এবং শক্তিশালী ঘ্রাণযুক্ত মশলা, যা শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও অসাধারণ উপকারী। প্রতিদিন মাত্র একটি লবঙ্গ খেলে দীর্ঘমেয়াদে শরীর, হজম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হতে পারে।
লবঙ্গের ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: প্রতিদিন একটি লবঙ্গ খেলে পাকস্থলীর অম্লজনিত সমস্যা কমে যায়। এটি হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং গ্যাস বা পেট ফুলে যাওয়া রোধ করে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: লবঙ্গের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সর্দি, কাশি এবং অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধে এটি সহায়ক।
৩. রক্তের গুণগত মান উন্নত করে: লবঙ্গ রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
৪. দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা করে: লবঙ্গ মুখের ব্যাকটেরিয়া কমায় এবং দাঁতের ব্যথা, মাড়ির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৫. মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী করে: লবঙ্গের নিয়মিত ব্যবহার স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম
এই সমস্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে প্রতিদিন সকালে বা রাতের খাবারের পরে মাত্র একটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন।
বিশেষ টিপস: লবঙ্গ গরম পানিতে বা চায়ের সঙ্গেও খাওয়া যেতে পারে। তবে যাদের পেটে সমস্যা আছে, তারা অতিরিক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বা খাবারের সঙ্গে খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
ব্রণ সারাতে চান? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রণ দূর করার ৭ কার্যকর উপায় জেনে নিন
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ ব্রণ চোখে পড়লে অনেকেই অস্থির হয়ে ওঠেন। ব্রণ দুই হাতের আঙুল দিয়ে টিপ দিয়ে ভেতরের ‘পদার্থ’ বের করে আপনি যতই ‘সুখী’ হোন না কেন, নিজেকে সংবরণ করা জরুরি। কারণ এর ফলে ক্ষত বাড়ে, দীর্ঘস্থায়ী দাগ পড়ার আশঙ্কা বাড়ে এবং ব্রণের জায়গাটা দ্রুত সেরে ওঠার চ্যালেঞ্জও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রণ ফাটিয়ে না ফেলে কিছু ঘরোয়া ও সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।
ব্রণ দূর করার ৭টি সহজ কৌশল
১. বরফের কিউব: ‘রাগী’ ও যন্ত্রণাদায়ক ব্রণকে শান্ত করতে এক খণ্ড বরফের কিউবই যথেষ্ট। দিনে চার–পাঁচবার বিরতি নিয়ে ব্রণের ওপর বরফের কিউব ঘষতে থাকুন। ২৪ ঘণ্টায় ব্রণ অনেকটাই কমে আসবে বা ছোট হয়ে যাবে।
২. অ্যাসপিরিন-পেস্ট: ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে কার্যকর অ্যাসপিরিনে থাকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড। দুটি অ্যাসপিরিন গুঁড়া করে সামান্য পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্রণের ওপর লাগান। এটি মরা চামড়া দূর করবে এবং ব্রণ দ্রুত সারাতে সাহায্য করবে।
৩. স্পট ক্রিম: স্পট ক্রিম বা দাগ দূর করার বিভিন্ন ক্রিমে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও বেনজলপারঅক্সাইড থাকে। এটিও মরা চামড়া দূর করে, ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এবং অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়।
৪. মধু ও অ্যালোভেরার মিশ্রণ: উভয়েরই অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে। এই দুইয়ের মিশ্রণ ব্রণের ওপর লাগান। বিরতি নিয়ে কয়েকবার লাগালেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
৫. টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণসমৃদ্ধ। দিনে কয়েকবার লাগালে ব্রণ কমে আসবে। তবে আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তবে এটি ব্যবহার না করাই ভালো।
৬. মাইল্ড ক্লিনজার: মাইল্ড বা কোমল ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করুন। স্ক্র্যাবার যেন ত্বকের জন্য স্বস্তিদায়ক হয়, সেটি নিশ্চিত করুন। এটি আপনার ত্বকের ময়লা ও মরা কোষ দূর করে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করবে এবং ব্রণ দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে।
৭. হাইড্রোকলয়েডস: ছোট একটা হাইড্রোকলয়েড ড্রেসিং ব্যবহার করে আপনি ব্রণের ভেতরের তরল বের করে আনতে পারেন। এর ফলে ত্বকে ব্রণের দাগ পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে আসে।
সূত্র: হেলথলাইন
নারীদের জন্য বড় সুযোগ! ঘরে বসেই আয় করুন মাসে লাখ টাকা
বর্তমানে ঘরে বসে আয় করা এখন আর স্বপ্ন নয়। সামান্য উপকরণ, সৃজনশীল চিন্তা এবং অল্প কিছু সময় দিয়েই গড়ে তোলা যায় সফল ব্যবসা। ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি উপজেলার এক গৃহশিক্ষক সেই প্রমাণই দিয়েছেন। বাড়িতে বসে আর্ট পেপার ও ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়ে পরিবেশবান্ধব ব্যাজ তৈরি করে তিনি এখন মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছেন।
সৃজনশীলতা ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ
পেশায় গৃহশিক্ষক সুধাংশু চিংড়ি অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে হাতে তৈরি ব্যাজ বানানোর কাজ শুরু করেছিলেন। এখন সেটিই তার বাড়তি উপার্জনের প্রধান উৎস। তিনি বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে ব্যবহারের জন্য নানা ডিজাইন ও রঙের ব্যাজ তৈরি করেন।
সুধাংশু জানান, “শুরুতে শখের বসে বানানো শুরু করেছিলাম। এখন অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যমেই ব্যাজ বিক্রি করছি। চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারের কারণে ক্রেতাদের আগ্রহও বেশি।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিক ও কেমিক্যালযুক্ত ব্যাজ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই আর্ট পেপার দিয়ে তৈরি এই ব্যাজগুলো পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে।
স্বনির্ভর হওয়ার নতুন পথ
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের উদ্যোগ ঘরে বসে স্বনির্ভর হওয়ার এক নতুন দিক উন্মোচন করছে, বিশেষত নারীদের জন্য। কারণ এই কাজের জন্য প্রয়োজন নেই দামি যন্ত্রপাতি বা বড় বিনিয়োগ। শুধু রঙিন আর্ট পেপার, আঠা, কাঁচি ও সামান্য সময় ব্যয় করেই গড়ে তোলা যায় ছোট ব্যবসা।
সুধাংশুর এই উদ্যোগ স্থানীয় অনেক তরুণ-তরুণীকেও অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ঘরে বসে উদ্যোক্তা হতে চাইলে এই ধরনের ছোট পরিসরের সৃজনশীল ব্যবসা হতে পারে নিরাপদ ও লাভজনক বিকল্প। সামান্য পরিশ্রমে মাসে লাখ টাকার আয়ও অসম্ভব নয়।
মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
মাইগ্রেন শুধু “খারাপ মাথাব্যথা” নয়; এটা একধরনের স্নায়বিক সমস্যা। মাথার একপাশে বা দু’পাশে ধকধকে ব্যথা, আলো–শব্দে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব বা বমি, মাথা ঘোরা—এসবই মাইগ্রেনের পরিচিত মুখ। কারও কারও ক্ষেত্রে ব্যথার আগে চোখে ঝিলিমিলি আলো দেখা, কথায় জড়ানো, জিভ/হাতে ঝিনঝিনি—এগুলোকে বলা হয় “অরা”। সাধারণত একটি আক্রমণ ৪–৭২ ঘণ্টা থাকে; ৭২ ঘণ্টার বেশি চললে হাসপাতালে দেখানো দরকার।
মাইগ্রেন কেন হয়—এক কথায় বললে “ব্রেনের নেটওয়ার্কে” সাময়িক বিশৃঙ্খলা। মস্তিষ্কের ব্যথা–পথ সক্রিয় হয়ে মাথার আবরণে প্রদাহ–রক্তনালির প্রসারণ ঘটায়, তাই ব্যথা ধকধকে লাগে। পারিবারিক ইতিহাস, হরমোনের ওঠানামা (বিশেষ করে মাসিকের সময়), ঘুমে অনিয়ম, স্ট্রেস, কিছু খাবার (পুরোনো চিজ, প্রসেসড মাংস, চকলেট, এমএসজি/অ্যাসপার্টেম), অতিরিক্ত/হঠাৎ ক্যাফেইন–অ্যালকোহল, তীব্র আলো–শব্দ–গন্ধ, আবহাওয়া বদল, হঠাৎ ভারী ব্যায়াম—এসব ট্রিগার অনেকের ক্ষেত্রে কাজ করে। কার কার কীতে ট্রিগার হচ্ছে, সেটা বোঝার সহজ উপায় হলো ছোট একটা “হেডেক ডায়েরি”—কবে, কতক্ষণ, কী খেয়েছিলেন/ঘুম–স্ট্রেস কেমন ছিল—এগুলো নোট নিন; ২–৩ সপ্তাহেই নিজের প্যাটার্ন ধরতে পারবেন।
লক্ষণগুলো কেমন? বেশির ভাগ মানুষ বলেন—ব্যথা নড়াচড়ায় বাড়ে, আলো–শব্দ খারাপ লাগে, বমি বমি ভাব থাকে, চোখ–কপাল–কানপাশে চাপ লাগে। অনেকের ঘাড় টনটনে, মাথার ত্বক সংবেদনশীল লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। আক্রমণের আগের ১–২ দিন হাই ওঠা, মেজাজ বদল, ঘাড় শক্ত, হঠাৎ কিছু খেতে মন চাওয়া বা বারবার প্রস্রাবের মতো সংকেতও আসতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে মাঝেমাঝে “অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন”—মাথার বদলে পেটের মাঝখানে ব্যথা–বমি বমি ভাব দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় কারও কারও মাইগ্রেন কমে, আবার প্রসবের পর হরমোন বদলে বাড়তেও পারে—তাই পরিকল্পনা করে চলাই ভালো।
কখনই দেরি করবেন না? জীবনের “সবচেয়ে তীব্র” আকস্মিক মাথাব্যথা, জ্বর–ঘাড় শক্ত–জড়ানো কথা–দৃষ্টি ডাবল, শরীরের একপাশ হঠাৎ দুর্বল/অসাড়, মাথায় আঘাতের পর নতুন ব্যথা, >৫০ বছর বয়সে নতুন মাথাব্যথা—এসব হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা নিন। এগুলো অন্য গুরুতর সমস্যারও ইঙ্গিত হতে পারে।
নির্ণয় সাধারণত ইতিহাস–লক্ষণেই হয়। চিত্র অস্বাভাবিক হলে বা “রেড ফ্ল্যাগ” থাকলে ডাক্তার MRI/CT, রক্তপরীক্ষা বা বিরল ক্ষেত্রে স্পাইনাল ট্যাপ করতে পারেন—স্ট্রোক/টিউমার/সংক্রমণ排除 করতেই এসব লাগে।
চিকিৎসা দুই ভাগ—আক্রমণ থামানো ও আগাম প্রতিরোধ। আক্রমণের শুরুতেই পানি খান, অন্ধকার–নিঃশব্দ ঘরে শুয়ে পড়ুন, কপাল/ঘাড়ে ঠাণ্ডা সেঁক দিন। ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল/আইবুপ্রোফেন/নাপ্রোক্সেন দ্রুত নিন (খালি পেটে নয়); বমি বমি ভাব থাকলে ডাক্তারি পরামর্শে মেটোক্লোপ্রামাইড/ডমপেরিডন যোগ হয়। তীব্র মাইগ্রেনে “ট্রিপটান” (যেমন সুমাট্রিপটান/রিজাট্রিপটান) খুব কার্যকর—নাসাল স্প্রে/ট্যাবলেট/ইনজেকশন আকারে পাওয়া যায়। ট্রিপটান না হলে বা মানায় না—নতুন জেনারেশনের “জিপ্যান্ট” (CGRP ব্লকার) বা “ডিট্যান” আছে; এগুলো ডাক্তারের পরামর্শেই নেবেন। গুরুত্বপূর্ণ—মাসে ৮–১০ দিনের বেশি পেইনকিলার/ট্রিপটান ব্যবহার করলে “মেডিকেশন ওভারইউজ হেডেক” হতে পারে; তাই বারবার হলে প্রতিরোধের পরিকল্পনায় যান।
প্রতিরোধমূলক ওষুধ কাদের দরকার? মাসে চার বা তার বেশি মাইগ্রেন–দিন হলে, আক্রমণ ১২ ঘণ্টার বেশি হলে, কাজ–জীবন ভীষণ ব্যাহত হলে। অপশন আছে—বিটা–ব্লকার (প্রোপ্রানোলল/মেটোপ্রোলল), ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার (ফ্লুনারিজিন/ভেরাপামিল), অ্যামিট্রিপটাইলিন/ভেনলাফাক্সিন, টপিরামেট/ভ্যালপ্রোয়েট (গর্ভ–উপযোগী নয়), ক্রনিক মাইগ্রেনে বোটক্স, আর টার্গেটেড CGRP–মোনোক্লোনাল ইনজেকশন (মাসিক/দুই–তিন মাস অন্তর)। কার জন্য কোনটি—এটা সম্পূর্ণই ব্যক্তিভেদে; আপনার অন্যান্য রোগ–ওষুধ–গর্ভধারণের পরিকল্পনা—সব বিবেচনায় ডাক্তার ঠিক করেন। ওষুধছাড়া কিছু FDA–ক্লিয়ারড ডিভাইসও আছে—ঘাড়/কপাল/মাথার স্নায়ুতে হালকা ইলেকট্রিক/ম্যাগনেটিক স্টিমুলেশন—যেগুলো নির্বাচিত রোগীতে উপকারী হতে পারে।
জীবনযাপনই আসল “ফাউন্ডেশন”—একই সময়ে শোয়া–উঠা, ৭–৮ ঘণ্টা নিয়মিত ঘুম; খাবার স্কিপ নয়, পর্যাপ্ত পানি; সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটা/হালকা কার্ডিও; স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট (গভীর শ্বাস, ধ্যান, প্রগ্রেসিভ মাংস–রিল্যাক্সেশন); স্ক্রিনে ২০–২০–২০ নিয়ম (২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ড ২০ ফুট দূরে তাকান), ব্লু–লাইট ফিল্টার; কাজের জায়গায় কড়া আলো–তীব্র গন্ধ এড়ানো। খাবারের ক্ষেত্রে “ট্রিগার–খাবার” সবার এক নয়—তাই ডায়েরি দেখে সিদ্ধান্ত নিন। সাধারণভাবে প্রিজারভেটিভ/অতিপ্রক্রিয়াজাত খাদ্য কমিয়ে শাকসবজি–ফল, বাদাম–বীজ, ডাল–শস্য, মাছ–ডিমের দিকে ঝুঁকুন; পানি–ই ইঞ্জিনের জ্বালানি।
শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে রুটিনটাই প্রথম ওষুধ—ঘুম–খাবার–স্ক্রীন–খেলা ব্যালান্সে রাখুন; ওজন–ভিত্তিক ডোজে চিকিৎসা হয়। গর্ভাবস্থায় ওষুধের নিয়ম আলাদা—নন–ড্রাগ কৌশল আগে, প্রয়োজনে কিছু সীমিত–নিরাপদ অপশন; নিজে নিজে কিছু শুরু/বন্ধ করবেন না। মাসিক–সম্পর্কিত মাইগ্রেনে মাসিকের আগ–পরে কয়েকদিন “শর্ট–উইন্ডো” প্রতিরোধ কাজ দেয়—ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।
সবশেষে, একটা সহজ ৫–পয়েন্ট অ্যাকশন প্ল্যান—আজ থেকেই: (১) ছোট হেডেক ডায়েরি শুরু করুন, (২) একই সময়ে ঘুম–খাবার—স্কিপ নয়, (৩) পানি ২–২.৫ লিটার, ক্যাফেইন নিয়ন্ত্রণ, (৪) ৩০ মিনিট হাঁটা + ১০ মিনিট শ্বাস–ব্যায়াম, (৫) ট্রিগার–খাবার ২ সপ্তাহ বাদ দিয়ে দেখুন—উপকার মিলল কি না। আক্রমণ বাড়তে থাকলে বা কাজকর্মে বড় বাধা হলে দেরি না করে নিউরোলজিস্টের সঙ্গে প্রতিরোধমূলক পরিকল্পনা করুন।
মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণযোগ্য। লক্ষ্য একটাই—আক্রমণের সংখ্যা, তীব্রতা ও অক্ষমতা কমিয়ে আপনাকে স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনে রাখা। ধৈর্য, নিয়মিত রুটিন আর টেইলার্ড চিকিৎসা—এই তিনে সমাধানই “মেইন স্ট্রিট”–এর জন্য সবচেয়ে বাস্তব পথ।
মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
মৌসুমভেদে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের মধু উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে সরিষা ফুল থেকে উৎপাদিত মধুই সবচেয়ে বেশি। তবে আগ্রহের শীর্ষে বরাবরই থাকে সুন্দরবনের মধু। মধু নিয়ে কাজ করা ব্যবসায়ী ও গবেষকরা বলছেন, মধু প্রধানত দুই প্রকার—প্রাকৃতিক মধু এবং চাষের মধু। এই ভিন্ন ভিন্ন মধুর রং, স্বাদ ও ঘনত্বের ভিন্নতা রয়েছে।
বাংলাদেশে প্রাকৃতিক মধুর একমাত্র উৎস হলো সুন্দরবন। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মধু ব্যবসায়ী আনতা নূরের তথ্যমতে, পহেলা এপ্রিল থেকে মৌয়ালরা বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে মধু আহরণ শুরু করেন। সুন্দরবনে অন্তত সাত রকম ফুলের মধু হয়ে থাকে।
১. খলিশা মধু: এটিই সুন্দরবনের প্রথম মধু। এই মধু কিছুটা সাদা রংয়ের হয় এবং মিষ্টিও বেশি। একক ফুলের মধু হওয়ায় এর চাহিদা বেশি, তবে উৎপাদন কম। প্রতি কেজি ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
২. গরান মধু: খলিশার পরে আসে গরান ফুলের মধু, যা একটু লাল রংয়ের হয়। এটি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে থাকে ও বেশি পরিমাণে সংগ্রহ করা হয়।
৩. অন্যান্য: এরপর ক্রমান্বয়ে পশুর, কেওড়া ও বাইন ফুলের মধু সংগ্রহ করা হয়। জুন মাসের দিকে মৌসুম শেষ হয় গেওয়া ফুলের মধু দিয়ে।
৪. মিশ্র মধু: বিভিন্ন ফুল থেকে সংগৃহীত মধু মূলত মিশ্র মধু হিসেবে বাজারে আসে।
চাষের মধু: জনপ্রিয় সরিষা ও তার রহস্য
বাংলাদেশে চাষ করা মধুর মধ্যে পাঁচটি ভিন্ন জাতের মৌমাছির মধু বেশি দেখা যায়। এর মধ্যে চারটি জাত পোষ মানে। মৌ খামার নিয়ে ব্যক্তিগত গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া আরিফুল ইসলাম জানান, দেশে এখন সবচেয়ে বেশি চাষ হয় সরিষা ফুলের মধু।
সরিষা ফুল: এটি সহজলভ্য এবং খরচও কম। এই মধুর ঘ্রাণ তীব্র, হালকা সাদাটে সোনালি রং হয়। সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী রুবেল আহম্মেদ বলেন, “এই শীতে সরিষা ফুলের মধু খুব সহজেই জমে যায়, কারণ এটাতে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি থাকে। এটাকে আমরা ক্রিম হানি বলে থাকি।” সরিষা ফুলের মধু প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
অন্যান্য চাষের মধু: সরিষার পর মৌমাছির বাক্সগুলো ধনিয়া ক্ষেতে যায়। এরপর কালোজিরা ফুলের মধু সংগৃহীত হয়, যা কালো থাকে ও খেতে খেজুরের গুড়ের মতো স্বাদ পাওয়া যায়। চাহিদার শীর্ষে থাকা লিচু ফুলের মধু দেশের উত্তরবঙ্গের লিচু বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয়। বর্ষার সময়টায় সংগ্রহ করা হয় কুল বা বরই ফুলের মধু।
মধু চেনার উপায় ও ভুল ধারণা
মধু খাঁটি নাকি ভেজাল—এ নিয়ে ক্রেতাদের সন্দেহ থাকেই। মধু গবেষক আরিফুল ইসলামের মতে, মধু চেনার মূল উপায় হলো তিনটি: স্বাদ, বর্ণ ও গন্ধ। মধু চেনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাই আসল। তিনি বলেন, সুন্দরবনের মধুতে একটা বুনো গন্ধ থাকে।
ভেজাল চেনার ভুল ধারণা: বিশেষজ্ঞরা প্রচলিত ধারণাগুলো বাতিল করেছেন। “মধু জমে গেলে খাঁটি না”—এই ধারণা ভ্রান্ত। আবার, মধু পানিতে মেশে কি মেশে না, তা মধুর ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে। আগুন দেওয়ার পদ্ধতিতেও ভুল প্রমাণ হয়, কারণ মৌমাছি প্রাকৃতিকভাবে চাকে মোম তৈরি করে। ল্যাব টেস্ট ছাড়া তাই খাঁটি মধু চেনার উপায় নেই।
মধুর স্বাস্থ্য উপকারিতা
বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিসের তথ্যমতে, রোগ নিরাময়ের জন্য মধু কখনো এককভাবে, আবার কখনো ভেষজ দ্রব্যের সঙ্গে মিশিয়ে সফলতার সঙ্গে ব্যবহার হয়ে আসছে।
ঠান্ডা ও কাশি: চায়ের সঙ্গে মধু ও আদার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি ও শ্লেষ্মা রোগের উপশম হয়। এক চামচ তুলসী পাতার রস ও সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে কাশি দূর হয়।
শিশুদের স্বাস্থ্য: শিশুদের দৈহিক গড়ন, রুচি বৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি ও পেট ভালো রাখার জন্য প্রত্যহ এক চা চামচ মধু গরম দুধ ও গরম পানির সঙ্গে দেওয়া ভালো।
সতর্কতা: হজমের গোলমাল, হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস রোগে আধা চা-চামচের বেশি মধু না খাওয়াই ভালো।
পারফিউম নয়, ফিটকিরি: ১০০ টাকায় তৈরি করুন নিজস্ব ঘরোয়া সুগন্ধি
বাজারে নানা ব্র্যান্ডের পারফিউমের দাপট থাকলেও, মন ভালো করে দেওয়া এক চমৎকার সুগন্ধি তৈরি করা যায় নিজের ঘরেই, তাও আবার মাত্র ১০০ টাকায়! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বিউটিশিয়ানরা বলছেন, এই কাজের জন্য প্রয়োজন নেই দামি উপকরণ বা জটিল প্রক্রিয়ার। হাতের কাছেই থাকা ফিটকিরিই হতে পারে আপনার ঘরোয়া পারফিউমের মূল উপাদান।
ফিটকিরি কেন কার্যকরী?
ফিটকিরির ব্যবহার রূপচর্চায় শতাব্দীপ্রাচীন। শুধু পানিতে জীবাণুনাশক হিসেবেই নয়, দাড়ি কামানোর পর ত্বকের জ্বালা প্রশমনে বা ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতেও এটি কার্যকর। আয়ুর্বেদেও ফিটকিরির গুণের উল্লেখ আছে। সেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই তৈরি করা যায় একদম নিজস্ব ঘরোয়া ডিয়োডরেন্ট স্প্রে। এটি যেমন সুগন্ধি, তেমনি ত্বকবান্ধবও।
ঘরোয়া পারফিউম তৈরির সহজ পদ্ধতি
আপনার ঘরোয়া পারফিউমটি তৈরি করতে প্রয়োজন হবে: ফিটকিরি, গোলাপজল বা ডিসটিলড ওয়াটার, পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল এবং একটি ছোট স্প্রে বোতল। এই সবকিছুই সর্বোচ্চ ১৫০-১৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া সম্ভব।
পদ্ধতি:
১. গুঁড়ো তৈরি: ফিটকিরি খণ্ডটিকে ভালোভাবে গুঁড়ো করে নিন।
২. মিশ্রণ তৈরি: এক চা চামচ ফিটকিরি গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপজল বা ডিসটিলড ওয়াটার (গোলাপের গন্ধ পছন্দ না হলে) মিশিয়ে দিন। ফিটকিরি পুরোপুরি গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৩. তেল যোগ: এরপর তরলটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল (যেমন: ল্যাভেন্ডার, জুঁই, চন্দন বা লেমনগ্রাস) কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে বোতলটি ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন।
ব্যস! তৈরি হয়ে গেল আপনার নিজস্ব ঘরোয়া পারফিউম। এটি যেমন সাশ্রয়ী, তেমনি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ।
টিপস: বিউটিশিয়ানরা বলছেন, এই স্প্রে শরীরে বা জামাকাপড়ে ব্যবহার করা যায়। ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে এটি বিশেষভাবে কার্যকর। স্নানের পর বা বাইরে বেরোনোর আগে হালকা করে ব্যবহার করলে সারা দিন ফুরফুরে মেজাজে থাকা সম্ভব।
সূত্র : এই সময় অনলাইন
রান্নাঘর থেকে রূপচর্চা: এক টুকরো ফিটকিরির ১০টি বিস্ময়কর ব্যবহার
ফিটকিরি হলো সোডিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামের একটি যৌগ লবণ, যার রাসায়নিক নাম পটাশ অ্যালাম। একসময় প্রায় সব বাড়িতেই ফিটকিরি ব্যবহারের চল ছিল। কারণ, এর ঔষধি গুণ ও জীবাণুনাশক ক্ষমতা অনেক। ফিটকিরি শুধু পানিতে জীবাণু দূর করে না, বরং ঘর পরিষ্কার, সৌন্দর্যচর্চা ও রোগ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক দৈনন্দিন জীবনে ফিটকিরির ১০টি কার্যকরী ব্যবহার:
১. ফ্রিজের গন্ধ দূর করতে: ফ্রিজের ভেতরে এক টুকরো ফিটকিরি রেখে দিলে সবজি ও খাবারের কারণে তৈরি হওয়া ভ্যাপসা বা বোঁটকা গন্ধ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। ফিটকিরি দুর্গন্ধ শোষণ করে নেয়।
২. ঘামের গন্ধ দূর করতে: গরমে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে ফিটকিরির গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে বাহুমূলের অংশ ধুয়ে নিন। এর অ্যাস্ট্রিনজেন্ট বৈশিষ্ট্য ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে।
৩. রান্নাঘর পরিষ্কার করতে: রান্নাঘর ঝকঝকে ও জীবাণুমুক্ত করতে ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। পানি গরম করে তাতে ফিটকিরির টুকরো মিশিয়ে, সেই পানি দিয়ে রান্নাঘরের তাক পরিষ্কার করলে সাধারণ পাউডারের তুলনায় বেশি পরিষ্কার হবে।
৪. ব্রণ দূর করতে: ব্রণের দাগ দূর করতে বা ব্রণ কমাতে ফিটকিরির সাহায্য নেওয়া যায়। এক চা চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে দুই চা চামচ ডিমের সাদা অংশ ও এক চা চামচ ফিটকিরির গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগালে উপকার মেলে।
৫. ব্যাকটেরিয়া দূর করতে: দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে ফিটকিরি সাহায্য করে। এক গ্লাস পানি ফুটিয়ে তাতে এক চিমটি লবণ ও ফিটকিরির গুঁড়া মিশিয়ে ঠান্ডা করে কুলকুচি করলে দ্রুত মুক্তি মিলবে।
৬. পানি পরিশুদ্ধ করতে: খাবারের পানিতে এক টুকরা ফিটকিরি ফেলে রাখলে পানির ক্ষতিকর কণা ধীরে ধীরে নিচে থিতিয়ে পড়ে যায়। এরপর সেই পানি ছেঁকে খেলে তা পরিশোধিত হয়।
৭. গলা ব্যথা কমায়: আগেকার দিনে ফিটকিরি গুঁড়ার সঙ্গে মধু ও আদা মিশিয়ে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে খাওয়া হতো। এর অ্যান্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্যের কারণে গলার ব্যথা সেরে যেত বলে মনে করা হয়।
৮. প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ: আচারে ফিটকিরি মেশালে তা অনেক দিন রেখে দিলেও নষ্ট হয় না। সংরক্ষণের জন্য অনেকে এটি ব্যবহার করতেন।
৯. ফুল তাজা রাখে: ফুলদানিতে সামান্য ফিটকিরির গুঁড়া ঢেলে দিলেই অনেক দিন পর্যন্ত ফুল তাজা থাকে এবং দ্রুত মুহ্যমান হয় না।
১০. বেকিং পাউডারের বিকল্প: (সতর্কতা সাপেক্ষে) কেউ কেউ রুটি, পাঁউরুটি বা কেক বেকিংয়ের ব্যাটারে ফিটকিরি গুঁড়া মিশিয়ে দেন, যাতে ভালো বেক হয়।
পাঠকের মতামত:
- বিলিয়নিয়ার হতে চান? যে ৪টি ব্যবসায় রয়েছে সফল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
- জুলাই নিয়ে কাজ করলেই প্রশ্ন: বাজেট বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ মাহমুদ
- এনসিপি নেতা সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রিন্স মাহমুদ
- খাবার খেয়েই বসে আছেন? এটি হতে পারে ধূমপানের মতোই মারাত্মক অভ্যাস
- অবিশ্বাস্য! ১১ বছর বয়সী শিশুর মুখে ৮১টি দাঁত
- সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
- আজকের ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১২ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১২ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিচারকাজ সম্প্রচারে সাইবার হামলা
- ইসরায়েল ধোঁকা দিতে পারে: গাজার চুক্তি মানা নিয়ে সংশয়ে ইরান
- পিআর আন্দোলন নির্বাচন বিলম্বের অপচেষ্টা: মির্জা ফখরুল
- নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে ডিসি, এসপি ও ওসিদের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনা
- আফগানিস্তানের ‘প্রতিশোধমূলক’ অভিযান: সীমান্তে তীব্র সংঘাত
- বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা
- মরণযাত্রায় শীর্ষে বাংলাদেশ,তবুও কমছে না অবৈধ অনুপ্রবেশ
- হামাস-ইসরায়েল চুক্তি কার্যকর: ধ্বংসস্তূপের মাঝে ফিরছে ফিলিস্তিনিরা
- ৪ বার সংশোধন হলো ট্রাইব্যুনাল আইন, যুক্ত হলো ‘নির্বাচনী অযোগ্যতা’ ধারা
- গাজায় শান্তির সন্ধিক্ষণ: সোমবার শারম এল-শেখে ট্রাম্প ও সিসির নেতৃত্বে বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলন
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প
- হজ নিবন্ধনে নেই আশানুরূপ সাড়া, কোটা খালি থাকার শঙ্কা
- ১২ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ভেষজ পাতা: কীভাবে ও কখন খাবেন কুলেখাড়া?
- দায়সারাভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর গ্রহণযোগ্য নয়: আখতার হোসেন
- জনগণের সুবিধার জন্য জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের স্থান ও সময় পরিবর্তন
- সুস্থ থাকতে আটার রুটিতে মেশান ৩ উপাদান, দেখুন ম্যাজিক!
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা সেনাসদরের হেফাজতে
- চাঁদ কি ধ্বংস হতে চলেছে? বিজ্ঞানীদের পারমাণবিক হামলার পরিকল্পনা!
- যে ভবিষ্যদ্বাণী কাঁপিয়ে দেবে মুসলিম বিশ্ব: ঈমানশূন্য পৃথিবীতে যেভাবে ধ্বংস হবে কাবা!
- শরীরের পরিবর্তন দেখে অবাক হবেন: প্রতিদিন খান মাত্র ১ লবঙ্গ
- রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সম্পর্ক: ইশরাক হোসেনের বাগদান সম্পন্ন
- কবরের চারপাশে কি ফুলগাছ লাগানো যাবে? জেনে নিন শরীয়তের বিধান
- জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ, উত্তপ্ত পরিস্থিতি
- এশিয়ান কাপ বাছাই: শেষ আশা বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাদেশের সামনে কঠিন সমীকরণ
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই: মির্জা ফখরুল
- জ্বালানি সংকট সৃষ্টি করেছেন রাজনীতিবিদেরা: বিস্ফোরক মন্তব্য জ্বালানি উপদেষ্টার
- বিছানায় বসে প্রেম’: ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা আদনানের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নতুন বিস্ফোরক পোস্ট
- কোথাও দাওয়াত দিতো না: মারুফা আক্তারের চোখে জল আনা সেই কষ্টের কথা
- আজ ৪ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা, ২০ জেলায় সতর্কতা
- ব্রণ সারাতে চান? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রণ দূর করার ৭ কার্যকর উপায় জেনে নিন
- নারীদের জন্য বড় সুযোগ! ঘরে বসেই আয় করুন মাসে লাখ টাকা
- আমার পাসপোর্ট মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে তারা:শহিদুল আলম
- শুধু অভিযোগ নয়, গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি: ডাকসু-জাকসুর তীব্র আহ্বান, দেশের বিবেক জাগুক
- সাত মিলিয়ন ডাউনলোড: হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী ‘আরাত্তাই’
- সিরিজ বাঁচাতে আজ আফগানিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ, একাদশে আসছে পরিবর্তন?
- অ্যালার্জি থেকে মুক্তি চান? খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৫ খাবার
- প্রতিটি মেয়ের স্বপ্নপূরণে রাষ্ট্রকে সঙ্গী করব: তারেক রহমান
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- কোরআন অবমাননা: নর্থ সাউথ থেকে শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- তারেক রহমানের ঘোষণা: “জনগণের নির্বাচনে আমি থাকব জনগণের মধ্যেই”
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- আধুনিক বিজ্ঞান ও কোরআনের আলোকে জিন: রহস্যময় অস্তিত্বের এক নতুন দিগন্ত!
- চ্যাম্পিয়নের দুর্দিন: সেভিয়ার মাঠে ৪–১ গোলে হার বার্সেলোনার