পিআর আন্দোলন নির্বাচন বিলম্বের অপচেষ্টা: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৪:৩২:৫১
পিআর আন্দোলন নির্বাচন বিলম্বের অপচেষ্টা: মির্জা ফখরুল
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা ‘পিআর’ পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টা করা হচ্ছে। রোববার (১২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির অবস্থান

মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে এবং সংস্কার কমিশন যেসব প্রস্তাব দিচ্ছে, তার বেশিরভাগই ইতোমধ্যেই বিএনপির ৩১ দফায় অন্তর্ভুক্ত আছে। আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এই বিষয়ে সনদে স্বাক্ষর করা হবে এবং যেসব বিষয়ে একমত হয়নি, সেগুলো নির্বাচনের সময় ম্যান্ডেটের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব প্রশ্ন তোলেন, নতুন সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে জনগণের কাছে আদৌ কোনো ধারণা আছে কি না। তিনি বলেন:

“পিআর নিয়ে আলোচনা ও আন্দোলন হচ্ছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন বিলম্বিত করা। জনগণ পিআর গ্রহণ করবে না এবং বিএনপি আগেই জানিয়েছে, এটি চাপিয়ে দিলে জনগণ কখনো মেনে নেবে না।”

গণতন্ত্র ও জনগণের প্রত্যাশা

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ এমন একটি নির্বাচন দেখতে চায়, যার মাধ্যমে তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে এসে নিজস্ব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে। তিনি মনে করেন, মাত্র ১৪ মাসে রাতারাতি কোনো সংস্কার বাস্তবায়িত হবে—এমন ধারণা জনগণ বিশ্বাস করে না। তারা প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চায়।

তিনি অনুরোধ করেন যে, দেশের মানুষ যে গণতান্ত্রিক সুযোগটি পেয়েছে, তা যেন হারিয়ে না যায়। তিনি বলেন, কিছু মহলের চেষ্টা জনগণকে একাত্তরের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে। তবে জনগণের শক্তি আছে এবং তারা সব ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করবে।


দায়সারাভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর গ্রহণযোগ্য নয়: আখতার হোসেন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ২১:১২:৪৩
দায়সারাভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর গ্রহণযোগ্য নয়: আখতার হোসেন
ছবিঃ সংগৃহীত

গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে, তারা যেনতেনভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করে বেঁচে যেতে চান। এই দায়মুক্তির মানসিকতা এবং ‘সেফ এক্সিট’ নেওয়ার প্রবণতা দেশের জনগণ কখনো মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (১১ অক্টোবর) জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান শেষে নিজের নির্বাচনি এলাকা কাউনিয়া যাওয়ার পথে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

দায়সারা মনোভাবের সমালোচনা

এনসিপি নেতা আখতার হোসেন বলেন, “জুলাই আন্দোলনের পর জনগণ আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে উপদেষ্টাদের দায়িত্ব দিয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও তার উপদেষ্টাদের ফাঁকিবাজি করে নয়, তাদের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করতে হবে।”

তিনি বলেন:

“তারা মনে করেছেন, এভাবে দায়সারাভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন— এরকম পলায়নপর মানসিকতা পরিহার করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের যে স্পিরিট, সেটা পুরোপুরি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি করে সত্যিকার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।”

জোট ও সনদের অগ্রগতি

জোটের সম্ভাবনা: আখতার হোসেন জানান, জনগণের স্বার্থে ও জাতীয় স্বার্থে যদি জোট করার প্রয়োজন হয়, সেটা এনসিপি বিবেচনায় রেখেছে এবং বিষয়টি এখনও ওপেন রয়েছে।

সরকারের প্রতি আহ্বান: তিনি বলেন, “আমরা জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অবশ্যই যোগ দেবো। কিন্তু সরকার যেন কোনো দলের দ্বারা প্রভাবিত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখার অনুরোধ করছি।”

নিবন্ধন: এনসিপি অল্প সময়ে সারাদেশে তাদের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। নিবন্ধনের সব শর্ত পূরণ করায় দলটি এখন নিবন্ধন পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে, যা তাদের অনেক বড় অর্জন।


রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সম্পর্ক: ইশরাক হোসেনের বাগদান সম্পন্ন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৮:৪০:০৯
রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সম্পর্ক: ইশরাক হোসেনের বাগদান সম্পন্ন
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরিচয় ও পারিবারিক সম্পর্ক

শায়রুল কবির খান জানান, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন শুক্রবার রাতে পারিবারিকভাবে ব্যারিস্টার নুসরাত খানকে বিয়ের আংটি পরিয়েছেন।

কনে: নুসরাত খান হলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এবং টাঙ্গাইলের সাবেক সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ খানের বড় মেয়ে।

পরিবার: ইশরাক হোসেনের মা ইসমত হোসেন বিষয়টি অবহিত করেছেন। পারিবারিকভাবে হঠাৎ এই আংটি বদলের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইসমত হোসেন সবার কাছে এই নবদম্পতির জন্য দোয়া চেয়েছেন।


জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ, উত্তপ্ত পরিস্থিতি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৭:৩৮:১৩
জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ, উত্তপ্ত পরিস্থিতি
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর কাকরাইলের বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকা কর্মী সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সমাবেশ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় সমাবেশস্থল থেকে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দও পাওয়া যায়।

শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জরুরি সভার উদ্দেশ্য

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া, দলীয় প্রতীক নিয়ে ‘ষড়যন্ত্র’ সহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করার জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এই জরুরি সভা আহ্বান করেছিলেন।

এর আগে ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে কর্মী সমাবেশ শুরু হয়। জি এম কাদের, শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ প্রথম সারির নেতারা মঞ্চে উপস্থিত হন এবং খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা যোগ দেন। ঘটনার আগে থেকেই চারপাশে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল।


গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৬:৫৯:০১
গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই: মির্জা ফখরুল
ছবিঃ সংগৃহীত

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না।”

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্র ও ষড়যন্ত্র

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং সেই পথ শুধু সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব। তিনি বলেন, সংস্কার কিংবা বুদ্ধিজীবীদের নানা কৌশল যথেষ্ট নয়—যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠন না হবে, ততক্ষণ গণতন্ত্র ফিরবে না। তিনি বলেন, এই জাতি বহুবার লড়াই-সংগ্রামে জয়ী হয়েছে এবং বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “শুধু ‘হাসিনা’ বললে তাকে সম্মান দেওয়া হয়ে যায়। আসলে তিনি একজন দানব। বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা—সবকিছু তছনছ করে ফেলেছেন।”

জুলাই মাসের আন্দোলন নিয়ে কিছু সংগঠনের দাবির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে এসেছে বিএনপি। তাই কেউ কেউ এই আন্দোলনকে নিজেদের বলে দাবি করলেও বাস্তবে সেই ইতিহাস বিএনপির।

প্রতীক নিয়ে বিতর্ক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী-এর ‘শাপলা মার্কা না দিলে ধানের শীষ বাতিল করতে হবে’—এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা তো আপনাদের মার্কায় বাধা দিইনি। কোন প্রতীক কে পাবে, তা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। ধানের শীষ নিয়ে এত টানাটানি কেন? কারণ ধানের শীষ এখন অপ্রতিরোধ্য—দেশজুড়ে এই প্রতীকের পক্ষে স্লোগান উঠেছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, ধানের শীষ প্রতীকে বাধা দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। কিন্তু ধানের শীষ জিতে গেলে যারা বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে।


শুধু অভিযোগ নয়, গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি: ডাকসু-জাকসুর তীব্র আহ্বান, দেশের বিবেক জাগুক

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৫:১৬:৪৬
শুধু অভিযোগ নয়, গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি: ডাকসু-জাকসুর তীব্র আহ্বান, দেশের বিবেক জাগুক
শুরুতে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, প্রথম সারিতে র‌্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, হারুন অর রশিদ, আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম। দ্বিতীয় সারিতে ব্রি. জে. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র‌্যাব কর্মকর্তা কেএম আজাদ, লে. কর্নেল খায়রু

ঢাকা — গুম-খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রকাশিত তথ্য ও প্রামাণ্যচিত্রের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) থেকে কড়া আবেদনে সাড়া পড়েছে: অভিযুক্ত হিসেবে ইতোমধ্যে নাম ওঠা ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক। ডাকসুর সহ-সভাপতি সাদিক কায়েম সরাসরি বলেছেন, “যে কোনো পরিচয়ের খুনি, ধর্ষক বা গুমকারী—তাদের রাজনৈতিক পরিচয় বা উচ্চ সামরিক পদমর্যাদা হলেও বিচারের মুখোমুখি করা হবে”—এমনই একটি সিদ্ধান্ত না হলে ছাত্রসমাজ নিরব থাকবে না।

সাদিক কায়েম তাঁর ফেসবুক পেজে গুম কমিশনের রিপোর্ট ও প্রামাণ্যচিত্র শেয়ার করে অভিযোগ তুলেছেন যে, গত পনেরো বছরে রাষ্ট্রক্ষমতার বিভিন্ন স্তর ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং সেই বিচার প্রক্রিয়ায় এখনো নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন কিছু উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাসহ সামরিক নেতৃত্বের নাম—তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়া­না জারি রয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেছেন, “অপরাধীরা যদি নিঃশর্তভাবে দণ্ডিত না হন, তবে আমরা ইনসাফ চাইবেই।”

আপাতত ডাকসু–জাকসু–সহ প্রগতিশীল শিক্ষার্থীবর্গের আভ্যন্তরীন আয়োজন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সাড়া দেখা যাচ্ছে। জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেকর্ড ও জনপ্রতিবেদনগুলোতে যেসব নাম উঠে এসেছে, তাদের গ্রেফতার না করে বিচারের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা যাবে না।” বিবৃতিটি আরও যোগ করেছে, “যতদিন এসব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, ততদিন প্রতিবাদ ও জবাবদিহিতার দাবি জারি থাকবে।”

রাজনৈতিক-আইনি পরিভাষায় এই দাবি পুরোদমে অভিযুক্তদের ‘ইনকোন্নভিকা’ (in-custody presentation) এবং স্বাধীন তদন্তের ওপর দাঁড়ায়—তাই অনেকেই প্রশ্ন করছেন: আদৌ কীভাবে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের ব্যবস্থা করা সম্ভব? বিশ্লেষকরা বলে থাকেন, উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে উপযুক্ত আইনি প্রস্তুতি, প্রমাণের ধারাবাহিকতা ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া বাধ্যতামূলক। আবার পরিবারের পক্ষ থেকে অনেকে বলছেন—বহু বছরের অপেক্ষার পরে ন্যায়ের বিষয়ে নাড়ি না কেঁপে গেলে কল্পনাও করা যায় না।

দুর্ভেদ্য বাস্তবতা হলো—আদেশ, পরোয়ানা কিংবা আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বাস্তবে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ইচ্ছা, অনুসন্ধানকেন্দ্রিক সক্ষমতা ও সুরক্ষাব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ কাজ করে। সাদিক কায়েম এই প্রেক্ষিতটিকেই লক্ষ্য করে বলেন, “কারাগারে না থাকা কোনো আসামি ‘বিচার’ থেকে পালাতে পারে—তাই দ্রুত গ্রেপ্তার জরুরি। যারা অপরাধের সাথে যুক্ত, তাদের রাজনৈতিক বা সামরিক পরিচয় বিচার-প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।”

অন্যদিকে, আইনী পরামর্শকরা বলে থাকেন—নিশ্চিত এবং টেকসই বিচারের জন্য প্রয়োজন বৈধ প্রমাণ-উপাত্ত, স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড। তারা আরও বলেন, দ্রুত গ্রেপ্তার অর্থে আদালত-বহির্ভূত বিচার বা জনরোষে ভাঙচুর সহ অরাজকতা হওয়া উচিত নয়; বরং আইনের ফাঁড়া বেঁধে নিরপেক্ষ তদন্ত ও স্থির প্রক্রিয়া বজায় রেখে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া উত্তম। এ প্রসঙ্গে অনেকেই আর্জি করেন—দুর্নীতির তদন্তবাহিনী ও স্বাধীন তত্ত্বাবধায়করা যদি মিশে কাজ করে, তবে জনগণের আস্থা ফিরে আসবে।

প্রতিবাদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে একটি বিস্তৃত সামাজিক দাবি—নিয়ম-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে একদিকে ছাত্রসমাজ চাপ সৃষ্টি করবে, অন্যদিকে আইন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিকভাবে বিষয়গুলো নজরে রাখছে। পরিবারগুলোর ক্লান্ত আর্তচিৎকার আর সমাজের সংবেদনশীলতা দুটোই এখন প্রভাব ফেলতে পারে স্বরাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে—কিন্তু চূড়ান্ত সড়কটি নিরাপদ হবে কেবল যখন বিচারবহির্ভূতভাবে প্রতিষ্ঠিত ও প্রদর্শনযোগ্য শাস্তি কার্যকর করা হবে।

অবশেষে, ছাত্রনেতা ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এ পর্যায়ে একটি সুস্পষ্ট সংকেত দিচ্ছে: কোনো দুর্নীতি বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ছত্রছায়ায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ অনুকম্পায় ক্ষমা নয়—তারা দাবী করছে যে, ন্যায়বিচার হবে এমন বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করা না গেলে ভবিষ্যতে দেশের বিচারব্যবস্থা ও সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আবারও অপব্যবহারের শিকার হবে। এই দাবির মধ্যে এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়—কোনো সরকার বা প্রশাসন কি তৎপরতা দেখাবে, নাকি বাস্তবে ক্ষমতা ও নীতিগত জটিলতায় বিষয়টি বারবার টলমল করবে? উত্তরটা সময়ই বলবে; ততদিন জনতার চোখ থাকবে, আর ছাত্রসমাজের অনড় চাপ রাজনৈতিক ও বিচারিক স্তরে ভূমিকা রাখবে—এটাই বর্তমান পরিস্থিতির সবচেয়ে তীক্ষ্ণ এবং গভীরতম পাঠ।


প্রতিটি মেয়ের স্বপ্নপূরণে রাষ্ট্রকে সঙ্গী করব: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৪:২৬:০০
প্রতিটি মেয়ের স্বপ্নপূরণে রাষ্ট্রকে সঙ্গী করব: তারেক রহমান
ছবিঃ সংগৃহীত

আজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। এই উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মেয়ের স্বপ্ন দেখা, শেখা, নেতৃত্ব দেওয়া ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অধিকারের কথা স্মরণ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (১১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা ও ঐতিহ্যের ভিত্তি

তারেক রহমান বলেন, “একজন কন্যাসন্তানের পিতা হিসেবে আমি জানি, মেয়েদের ক্ষমতায়ন কেবল নীতির বিষয় নয়—এটা ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা। আমরা এমন এক বাংলাদেশ চাই, যেখানে প্রতিটি মেয়ে স্বাধীনতা, সুযোগ ও নিরাপত্তা পাবে, যা প্রত্যেক পিতা-মাতা তাদের সন্তানের জন্য কামনা করে।”

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গার্মেন্টস খাত লাখো নারীর আশার প্রতীক হয়ে উঠেছিল এবং তার সময়েই নারীর উন্নয়নকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সময়েই মেয়েদের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা মূল্যে শিক্ষা চালু করা হয় এবং ‘ফিমেল সেকেন্ডারি স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট’ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষায় লিঙ্গসমতা এনেছিল।

তিনি বলেন, “এই সব উদ্যোগ প্রমাণ করেছে—যখন রাষ্ট্র মেয়েদের মর্যাদা রক্ষা ও ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করে, তখন পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী হয়।”

ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা

বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় নারীর ক্ষমতায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

১. পরিবারভিত্তিক সহায়তা: পরিবারভিত্তিক সহায়তা ‘ফ্যামিলি কার্ড’ নারীদের নামে প্রদান।

২. উদ্যোক্তা উন্নয়ন: নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, ব্যবসায় প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা।

৩. শিক্ষা ও নিরাপত্তা: গ্রামীণ ও শহুরে মেয়েদের জন্য একাডেমিক ও কারিগরি শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি এবং তাদের চলাফেরা, মতপ্রকাশ ও ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

৪. নেতৃত্বে অংশগ্রহণ: নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা ফাঁকা বুলি দিই না—আমরা বিশ্বাস থেকে কথা বলি, ঐতিহ্য ও প্রতিশ্রুতির শক্তিতে। প্রতিটি মেয়েদের স্বপ্নপূরণের পথে রাষ্ট্রকে তার সঙ্গী করব, প্রতিবন্ধক নয়।”


 ষড়যন্ত্র করে একটি দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার চেষ্টা: মিয়া গোলাম পরওয়ার

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৪:১৮:৩৩
 ষড়যন্ত্র করে একটি দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার চেষ্টা: মিয়া গোলাম পরওয়ার
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার মন্তব্য করেছেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অস্থিরতা বাড়ছে। তিনি অভিযোগ করেন, “দু-একজন উপদেষ্টা এবং প্রশাসন গোপনে গোপনে ষড়যন্ত্র করে একটি দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা কেমন যেন একটা চাপের মধ্যে আছেন।”

আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে খুলনার পাইকগাছা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ছাত্র-যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সুশাসনের বিপ্লব ও নীতির পরিবর্তন

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের গোপন পথ ছেড়ে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার স্বার্থে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে মনোযোগী হতে হবে।

তিনি বলেন:

“২৪-এর গণ আন্দোলনের ছাত্র-জনতার যুদ্ধ ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আর আমাদের দ্বিতীয় যুদ্ধ হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এবার সুশাসনের জন্য বিপ্লব করতে হবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার পরে যারা দেশ শাসন করেছে, তারা বারবার দেশকে ‘চোরের দিক থেকে চ্যাম্পিয়ন’ করেছে এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে ‘বেগমপাড়া’ তৈরি করেছে। এসব অনাচার দূর করতে কোরআনের আইনকে সংসদে পাঠাতে হবে।

ক্ষমতায় গেলে প্রতিশ্রুতি

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ইসলামী দলগুলোর মধ্যে এখন ঐক্য তৈরি হয়েছে—এই ঐক্য থাকলে বাকিরা বাতিলের খাতায় চলে যাবে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন:

শিক্ষা ব্যবস্থা: ক্ষমতায় গেলে প্রথম কাজ হবে বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে সবার শিক্ষা নিশ্চিত করা।

দুর্নীতি: দ্বিতীয় কাজ হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন।

সুবিধা বর্জন: নির্বাচনে জয়ী হলে জামায়াত নেতারা কোনো সরকারি প্লট, গাড়ি, বাড়ি বা অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করবেন না।

নির্বাচনী দাবি: আগামী ফেব্রুয়ারিতে পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি নাগরিকের ভোটের মূল্যায়ন করতে হবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় জামায়াত নেতারা।


শাপলা না পেলে ধানের শীষসহ সব প্রতীক বাতিলের দাবি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ২১:২০:৫১
শাপলা না পেলে ধানের শীষসহ সব প্রতীক বাতিলের দাবি
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, “নিবন্ধন যদি আমাদের দিতে হয়, সেটা শাপলা দিয়েই হবে। শাপলা ছাড়া এনসিপির নিবন্ধন হবে না এবং এনসিপিও শাপলা ছাড়া নিবন্ধন মানবে না।”

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অদৃশ্য শক্তি ও ইসির নীরবতা

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ইসির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে দুই ঘণ্টা তারা প্রতীক প্রশ্নে ইসির ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, “শাপলা না দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা দেখি নাই। প্রতিবন্ধকতা অন্য জায়গা থেকে দেখেছিলাম। অদৃশ্য শক্তির এখানে হাত রয়েছে।” তিনি প্রশ্ন করেন, দুই ঘণ্টা ধরে ইসি কেন নিশ্চুপ ছিল।

“আমরা ধরে নেব যে তারা এটাতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। আমরা তাদের বলে এসেছি যে, আপনারা যদি শাপলা না দেন, তাহলে ব্যাখ্যা দিতে হবে।”

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারিতা করছে এবং কোনো গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন আচরণ করছে। এই মাসের মধ্যেই কোনো প্রভাব বা শক্তি তাদের ওপর বিরাজ করছে কি না, তা জাতির সামনে স্পষ্ট হবে এবং এই মাস পর্যন্ত এনসিপি অপেক্ষা করবে।

প্রতীকের ক্ষেত্রে আল্টিমেটাম

শাপলা প্রতীক না দিলে বিকল্প হিসেবে অন্যান্য দলের প্রতীক বাতিলের দাবি জানিয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, “যদি রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতীকের দায়িত্ব তারা নেন যে এ প্রতীক রক্ষা করবেন, তাহলে ধানের শীষ এবং শাপলা সবগুলোকে রক্ষা করে ওই ধরনের আইন সংশোধন করতে হবে।”

তিনি বলেন, “সুতরাং নির্বাচন কমিশনের সামনে দুটি পথ রয়েছে। একটি হলো ধান, তারা, সোনালি আঁশ বাতিল করা। আরেকটি হলো শাপলা দেওয়া। আমরা আশা করি যে কারো প্রতীকই বাতিল না হোক।”

প্রবাসী ভোটার ও নিবন্ধন শঙ্কা

বৈঠকে এনসিপি নেতারা ভোটার নিবন্ধন ও প্রবাসী ভোট নিয়েও আলোচনা করেন। দলের যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, প্রবাসীরা ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। কিন্তু প্রবাসী ভোটারদের অ্যাপস চালু হতে দেরি হওয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসীকে ভোটের বাইরে রাখার একটি পাঁয়তারা চলছে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। কমিশন জানিয়েছে, অক্টোবরের মধ্যে অ্যাপটি চালু করা হবে।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, জেন-জি ও তরুণ ভোটারদের কথা ভেবে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ভোটার হওয়ার দাবি জানিয়েছে এনসিপি।


কেউ কিছু জানে না, এমনও অনেক মিটিং হচ্ছে: আমির খসরু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ১৪:২২:২৩
কেউ কিছু জানে না, এমনও অনেক মিটিং হচ্ছে: আমির খসরু
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবে, তা নিয়ে বিএনপি চিন্তা করে না। তিনি বলেন, “কেউ কিছু জানে না, এমনও অনেক মিটিং হচ্ছে। এগুলোর কোনো গুরুত্ব নেই আমাদের কাছে।” তার মতে, আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনাই গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠক ও বিনিয়োগের লক্ষ্য

বৈঠকের নেতৃত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জার্মানির রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতি আগ্রহ দেখান।

আমির খসরু বলেন, “বিএনপি বলেছে ১৮ মাসের মধ্যে ১ কোটি কর্মসংস্থান করব। এক কোটি কর্মসংস্থানের জন্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন। স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য জার্মানির সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি জানান, জার্মানি ইতোমধ্যে চীন ও ভারতে বিনিয়োগ করেছে এবং তারা বাংলাদেশকে আগামী দিনের বিনিয়োগের জন্য ভালো গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছে। তিনি বলেন, “সুতরাং বাংলাদেশে জার্মানির বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছি; এ ব্যাপারে তাদের আগ্রহ আছে।”

গণতন্ত্র ও বিনিয়োগ

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিনিয়োগের জন্য নির্বাচন ও দেশের স্থিতিশীলতা অবশ্যই দরকার। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। নির্বাচিত সরকার এলে বিনিয়োগকারীরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বিনিয়োগে যে সমস্যাগুলো ছিল, সে বিষয়ে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি, সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। বিনিয়োগ সামিটে বিনিয়োগকারীদের কাছে আমাদের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে দিয়েছি, প্রত্যেকটি দূতাবাসেও দিয়েছি। বিনিয়োগকারীরা জানেন, আমাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের বিনিয়োগে কোনো সমস্যা থাকবে না।”

পাঠকের মতামত: