প্রতিটি মেয়ের স্বপ্নপূরণে রাষ্ট্রকে সঙ্গী করব: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৪:২৬:০০
প্রতিটি মেয়ের স্বপ্নপূরণে রাষ্ট্রকে সঙ্গী করব: তারেক রহমান
ছবিঃ সংগৃহীত

আজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। এই উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মেয়ের স্বপ্ন দেখা, শেখা, নেতৃত্ব দেওয়া ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অধিকারের কথা স্মরণ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (১১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা ও ঐতিহ্যের ভিত্তি

তারেক রহমান বলেন, “একজন কন্যাসন্তানের পিতা হিসেবে আমি জানি, মেয়েদের ক্ষমতায়ন কেবল নীতির বিষয় নয়—এটা ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা। আমরা এমন এক বাংলাদেশ চাই, যেখানে প্রতিটি মেয়ে স্বাধীনতা, সুযোগ ও নিরাপত্তা পাবে, যা প্রত্যেক পিতা-মাতা তাদের সন্তানের জন্য কামনা করে।”

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গার্মেন্টস খাত লাখো নারীর আশার প্রতীক হয়ে উঠেছিল এবং তার সময়েই নারীর উন্নয়নকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সময়েই মেয়েদের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা মূল্যে শিক্ষা চালু করা হয় এবং ‘ফিমেল সেকেন্ডারি স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট’ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষায় লিঙ্গসমতা এনেছিল।

তিনি বলেন, “এই সব উদ্যোগ প্রমাণ করেছে—যখন রাষ্ট্র মেয়েদের মর্যাদা রক্ষা ও ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করে, তখন পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী হয়।”

ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা

বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় নারীর ক্ষমতায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

১. পরিবারভিত্তিক সহায়তা: পরিবারভিত্তিক সহায়তা ‘ফ্যামিলি কার্ড’ নারীদের নামে প্রদান।

২. উদ্যোক্তা উন্নয়ন: নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, ব্যবসায় প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা।

৩. শিক্ষা ও নিরাপত্তা: গ্রামীণ ও শহুরে মেয়েদের জন্য একাডেমিক ও কারিগরি শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি এবং তাদের চলাফেরা, মতপ্রকাশ ও ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

৪. নেতৃত্বে অংশগ্রহণ: নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা ফাঁকা বুলি দিই না—আমরা বিশ্বাস থেকে কথা বলি, ঐতিহ্য ও প্রতিশ্রুতির শক্তিতে। প্রতিটি মেয়েদের স্বপ্নপূরণের পথে রাষ্ট্রকে তার সঙ্গী করব, প্রতিবন্ধক নয়।”


চট্টগ্রাম ৫: মীর হেলাল নাকি অধ্যাপক মালেক কার পাল্লা ভারী হাটহাজারীর ভোটে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ১৮:৩২:৫১
চট্টগ্রাম ৫: মীর হেলাল নাকি অধ্যাপক মালেক কার পাল্লা ভারী হাটহাজারীর ভোটে
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম ৫ বা হাটহাজারী বায়েজিদ আসনে ভোটের রাজনীতি এখন তুঙ্গে। এই আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এবং জামায়াতে ইসলামীর নতুন প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল মালেক চৌধুরীর মুখোমুখি অবস্থান নির্বাচনী উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। বিশেষ করে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত এবং বিএনপির বিশাল শোডাউন সাধারণ ভোটারদের মাঝে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বিশাল শোডাউনের মাধ্যমে তাঁর নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। এরপর তিনি নগরীর শাহ আমানত রহমতুল্লাহি আলাইহির মাজার জিয়ারত এবং ফাতেহা পাঠের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মীর হেলাল বলেন জীবন ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে গুম খুন ও হামলা মামলার ভয় উপেক্ষা করে ১৭টি বছর তিনি হাটহাজারী ও বায়েজিদ এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছেন। তিনি বলেন দল ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ধানের শীষকে আমার মাধ্যমে এলাকার জনগণের কাছে আমানত হিসেবে দিয়েছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে জনগণ এই আমানতের সম্মান দেখিয়ে ধানের শীষকে সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী করবেন।

অন্যদিকে এই আসনে বড় ধরনের চমক দেখিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলের সাবেক আমির ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলামের পরিবর্তে হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আবদুল মালেক চৌধুরীকে নতুন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দলের নীতিনির্ধারকরা সিরাজুল ইসলামের স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে তরুণ ও সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন অধ্যাপক মালেককে বেছে নিয়েছেন। অধ্যাপক আবদুল মালেক চৌধুরী গত ২৭ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত আছেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে তাঁর পরিচিতি রয়েছে।

মনোনয়ন পাওয়ার পর অধ্যাপক মালেক বলেন দল যে দায়িত্ব দিয়েছে তা আমি আল্লাহর সাহায্যে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করব। জনগণের সেবা ও দেশের ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। জামায়াতের নেতাকর্মীরা মনে করছেন অধ্যাপক মালেকের শিক্ষা ও সাংগঠনিক দক্ষতা হাটহাজারীতে দলের ভিত্তি আরও শক্ত করবে। প্রার্থী পরিবর্তনের এই ঘোষণার পর ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম ও নতুন প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মালেক চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল মিছিল বের করে জামায়াত যা বিএনপির শোডাউনের পাল্টা জবাব হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন হাটহাজারীতে এবার লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। একদিকে ব্যারিস্টার মীর হেলালের পারিবারিক ঐতিহ্য ও দীর্ঘ ১৭ বছরের রাজপথের সংগ্রাম অন্যদিকে জামায়াতের সুশৃঙ্খল ভোটব্যাংক ও নতুন প্রার্থীর ক্লিন ইমেজ। বিএনপি ও জামায়াত দুই দলই এই আসনটিকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে নিয়েছে। শেষ হাসি কে হাসবেন তা নির্ভর করছে হাটহাজারী ও বায়েজিদের সাধারণ ভোটাররা কার ওপর শেষ পর্যন্ত আস্থা রাখেন তার ওপর।


কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: মির্জা ফখরুল  

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ১৭:১১:৪৫
কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: মির্জা ফখরুল  
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন বাংলাদেশ গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যাচ্ছে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন এরইমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে যার ফলে দেশে নির্বাচনের আবহাওজা তৈরি হয়েছে। তিনি আইনজীবীদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ও আইনের শাসন রক্ষায় আইনজীবীরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে আশ্বস্ত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন দেশে বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে। এমন কোনো পরিবেশ নেই যাতে নির্বাচন ব্যাহত হতে পারে। দলের সাংগঠনিক শক্তি ও ব্যাপ্তি বোঝাতে তিনি একটি বিশেষ উপমা ব্যবহার করেন। মির্জা ফখরুল বলেন বিএনপি স্রোতস্বতী নদীর মতো। প্রতিটি আসনে চার থেকে পাঁচজন করে প্রার্থী আছে এবং এতেই বোঝা যায় বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন সাধারণ সম্পাদক মো. মকদুম সাব্বির মৃদুল জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী প্রমুখ।


এনসিপি নিয়ে রিজভীর মন্তব্যে রাজনীতির নতুন সমীকরণের আভাস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ১৬:৩৫:৩৬
এনসিপি নিয়ে রিজভীর মন্তব্যে রাজনীতির নতুন সমীকরণের আভাস
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী জানান বিএনপির নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং তপশিল ঘোষণার পর প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত প্রস্তুতিও নেওয়া হবে।

নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে গণভোটের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটও একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত আর এটাই দেশের মানুষের প্রত্যাশা। রাজনীতির মাঠে ধর্মের ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন ধর্মকে অতিরিক্ত ব্যবহার করে রাজনীতি করা অনুচিত। ধর্মীয় অপব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে যারা রাজনীতি করছেন তাদের ব্যাপারে জনগণই রায় দেবে। অতিরিক্ত ধর্মীয় ব্যবহার রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি প্রসঙ্গে রিজভী জানান বর্তমানে বিরোধিতা করলেও ভবিষ্যতে অনেক দলই বিএনপির অংশ হতে পারে।

এদিকে সোমবার ২৪ নভেম্বর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উত্তরণ এবং বন্দরের বিষয়সহ কোনো দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেবল নির্বাচিত সরকারের। এ বিষয়ে এমন কোনো সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না যাদের নির্বাচনী ম্যান্ডেট নেই।

তারেক রহমান দাবি করেন ২০২৬ সালেই এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়সূচি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। কিন্তু সিদ্ধান্তটি নিচ্ছে এমন এক অন্তর্বর্তী সরকার যাদের হাতে জনগণের ম্যান্ডেট নেই অথচ তারা দেশের আগামী কয়েক দশকের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এমন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তিনি দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরে বলেন ব্যাংকিং খাতের চাপ বৈদেশিক মুদ্রার সংকট ঋণের ঝুঁকি এবং রপ্তানি কমে যাওয়া সবই প্রমাণ করে যে প্রস্তুতি ছাড়া শুধু অধিকার দিয়ে উত্তরণ সম্ভব নয়।

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সাম্প্রতিক দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তগুলোও তিনি একইভাবে দেখছেন। তারেক রহমান তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবেশদ্বার। সেখানে যা হয় তার প্রভাব লাখো মানুষের জীবনে অনেক গভীর প্রভাব ফেলে। বন্দরকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তগুলো কোনোভাবেই রুটিন কাজ নয়। এগুলো জাতীয় সম্পদ নিয়ে কৌশলগত অঙ্গীকার যা একটি অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বেধে দেওয়ার মতো করে এগিয়ে নিচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন কৌশলগত বিকল্পগুলো বন্ধ করে জনআলোচনাকে ঝামেলা মনে করা হচ্ছে এবং যুক্তিসঙ্গত উদ্বেগকে অনিবার্যতার কথা বলে পাশ কাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


সেরে উঠুন দেশনেত্রী বলে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ১৬:০৭:১৪
সেরে উঠুন দেশনেত্রী বলে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন বার্তা
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত সুস্থতা ও আরোগ্য কামনা করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি আবেগঘন বার্তা সংবলিত ফটোকার্ড শেয়ার করে তিনি দেশনেত্রীর প্রতি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

মির্জা ফখরুলের শেয়ার করা ওই ফটোকার্ডে লেখা ছিল সেরে উঠুন দেশনেত্রী আপনার প্রতীক্ষায় বাংলাদেশ। দলের প্রধানের অসুস্থতায় মহাসচিবের এমন আবেগঘন বার্তা মুহূর্তেই নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং তারাও কমেন্টে প্রিয় নেত্রীর আশু রোগমুক্তি কামনা করেন।

এদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান তাঁর বরাতে জানান মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।

ডা. জাহিদ হোসেন আরও উল্লেখ করেন যে চেয়ারপারসন দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন মহান আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থ করে তোলেন। এর আগে রবিবার ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকেই মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।


সন্দ্বীপে উপকূলীয় বন উজাড়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ০৯:৪৭:০৭
সন্দ্বীপে উপকূলীয় বন উজাড়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে উপকূলীয় সুরক্ষা বন নির্বিচারে কেটে সরকারি জমি দখলের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তার নেতৃত্বে অনুসারীরা রাতের আঁধারে মগধরা ইউনিয়নের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কেওড়া এবং অন্যান্য ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছ কেটে ফেলছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব কাটা গাছ নদীপথ এবং সড়কপথে হাতিয়া সুবর্ণচরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হচ্ছে। এতে সন্দ্বীপ চ্যানেল তীরবর্তী সুরক্ষা বাঁধ এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে গেছে এবং বাড়ছে নদীভাঙনের আশঙ্কা।

বন বিভাগ সূত্র জানায় মগধরা এলাকার বিস্তীর্ণ বনটি ১৯৯১ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর কোস্টাল গ্রীণবেল্ট প্রকল্পের মাধ্যমে বনায়ন করা হয়েছিল। এই বেল্ট উপকূলীয় জনপদকে জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড় এবং নদীভাঙন থেকে সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্থানীয়দের অভিযোগ ইদ্রিস আলম প্রকাশ্যে বন উজাড় করলেও বন বিভাগ পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। ফলে সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

গত শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় মগধরা ইউনিয়নের দ্বীপ সুরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন বনাঞ্চলের প্রায় ২০ একর এলাকায় হাজার হাজার কেওড়া এবং ম্যানগ্রোভ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিশাল গাছের গুঁড়ি ডালপালা এবং কাটা কাঠের স্তূপ। স্থানীয় নারীরাও কাটা গাছের টুকরো সংগ্রহ করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোশারফ অভিযোগ করেন বন উজাড়ে বন বিভাগের বেশ কিছু অসাধু সদস্য জড়িত। অভিযোগ দেওয়ার পরও কেউ ঘটনাস্থলে আসে না বরং ঘটনাটি উপেক্ষা করা হচ্ছে।

এই বনের ধ্বংসে সন্দ্বীপ চ্যানেল তীরবর্তী সুরক্ষা বনের বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নদীভাঙনের ঝুঁকি বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। বেড়িবাঁধসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম বলেন গত এক বছর ধরে বন কাটা চলছে তবে গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই গাছ কাটছে। স্থানীয় এক চা দোকানি জানান রাত ১১টা থেকে ভোর পর্যন্ত একটি গ্রুপ এবং ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত আরেকটি গ্রুপ গাছ কাটে। পুরো কাজটি হচ্ছে ইদ্রিস আলমের নেতৃত্বে এবং তার রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করতে ভয় পান।

তবে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলম দাবি করেছেন যে তিনি নিজের জায়গার গাছ কাটছেন এবং সেখানে তার লিজ নেওয়া ১০ কানি জমিসহ আরও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি রয়েছে। কিন্তু বন বিভাগ তার দাবি সরাসরি নাকচ করেছে। সন্দ্বীপ উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন সরকারি সৃজিত বনের অংশবিশেষ কেউ নিজের দাবি করলে তাকে প্রথমে লিখিত আবেদন করতে হবে এবং সার্ভে শেষে মালিকানা নির্ধারণ করা হবে। অনুমতি ছাড়া বন বিভাগের কোনো গাছ কাটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা জানান বন বিভাগের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আশ্বাস দেন যে উপকূলীয় বন উজাড়ের মতো গুরুতর অপরাধ কোনোভাবেই উপেক্ষিত থাকবে না।

সন্দ্বীপের উপকূল রক্ষাকারী বনের এই ধ্বংস পরিবেশ জীববৈচিত্র্য এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলেছে। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত তদন্ত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে উপকূলীয় অঞ্চলকে আসন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

-রাফসান


শিক্ষা আজ জাতির মেরুদণ্ড নয় বরং অসুস্থতায় পরিণত হয়েছে: রিজভী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৪ ২০:৪১:৪০
শিক্ষা আজ জাতির মেরুদণ্ড নয় বরং অসুস্থতায় পরিণত হয়েছে: রিজভী
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আন্দোলনরত নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবির প্রতি সরকারের উদাসীনতার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন বাংলাদেশের শিক্ষা আজ জাতির মেরুদণ্ড নয় বরং শিক্ষা এখন জাতির অসুস্থতা এবং সরকার ও প্রশাসনের উদাসীনতা দেখলে সেটাই মনে হয়। সোমবার ২৪ নভেম্বর দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সরকার প্রতিশ্রুত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সচল সব নন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে অবস্থানরত শিক্ষকদের প্রতি একাত্মতা জানাতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আক্ষেপ করে বলেন স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষিত মানুষরা আজ ফুটপাতে বসে অনশন করছেন কিন্তু সরকার বা প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি উল্লেখ করেন যে তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করে আসছেন অথচ সেই সরকারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেই শিক্ষকরা আজ অনাহারে জীবন যাপন করছেন। তিনি মন্তব্য করেন যে এটা শুধু সরকারের লজ্জা নয় বরং এটি পুরো জাতির লজ্জা।

সরকারের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন অন্তর্বর্তী সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছে এবং সব দল মনে করেছে এ সরকারের অধীনে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। সেই বিশ্বাস এখনো প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূসের ওপরে আছে। কিন্তু রিজভী অভিযোগ করেন যে অন্য উপদেষ্টারা জনগণের স্বার্থে বা জনগণের চিন্তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করছেন না যা কোনো কার্যকর সরকারের কাজ হতে পারে না।

শেখ হাসিনার আমলে ভারতের একটি প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎচুক্তির কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন এ চুক্তি পৃথিবীর কোথাও হয়নি। সবচেয়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও বেসরকারি কোম্পানিকে দিতে হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জ। অথচ নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ফুটপাতে অনশন করেন কিন্তু তাদের জন্য সরকারের কোনো টাকাই নেই এবং তাদের জন্য কোনো নীতিমালা তৈরি হয় না।

অর্থ উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি কখনো গরিব মানুষের পক্ষে থাকেননি। সরকার গরিব মানুষের জন্য হলেও এ সরকার গরিব মানুষের দিকে তাকায় না বরং গরিব মানুষের ওপর কীভাবে স্টিমরোলার চালানো যায় আজ তিনি সেটির নমুনা দেখলেন বলে মন্তব্য করেন। রিজভী প্রশ্ন তোলেন যে কত হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে এবং শত শত কোটি টাকা এখন কয়েকজনের বাড়িতে খোঁজ করলেই পাওয়া যায়। সরকারও কত দিকে কত কাজে টাকা দিচ্ছে তাহলে শিক্ষকদের জন্য টাকা খরচ করতে অসুবিধা কোথায়।

কৃষি ও কৃষকদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের ওপর ৮৩ শতাংশ কর বাড়ানো হয়েছে। এতে সারের দাম বাড়বে এবং কৃষক বিপর্যস্ত হবে যা প্রমাণ করে সরকার গরিববান্ধব নয়। রিজভী অভিযোগ করে বলেন আমলাতান্ত্রিক লালফিতার জটিলতা শিক্ষা খাতকে জর্জরিত করে রেখেছে। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেসরকারি শিক্ষকেরাও ভালো বেতন পান কিন্তু বাংলাদেশে নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বছরের পর বছর দাবি জানিয়ে এলেও কোনো সমাধান হয় না।

বক্তব্যের শেষে তিনি অবিলম্বে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বলেন শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হোক। তিনি মন্তব্য করেন যারা মানুষ গড়েন তাঁরা নিজেরাই অনাহারে অনশন করছেন এটা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।


এভারকেয়ারে নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকা খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৪ ২০:৩৪:৩৭
এভারকেয়ারে নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকা খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই শারীরিক অসুস্থতার মুহূর্তে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। সোমবার ২৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

তিনি জানান মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। ডা. জাহিদ হোসেন উল্লেখ করেন যে চেয়ারপারসন দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন মহান আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থ করে তোলেন।

এর আগে রোববার ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকেই মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। উল্লেখ্য গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে দীর্ঘ ১১৭ দিন অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরার পর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।


রাজনৈতিক দল জান্নাতের টিকিট দিতে পারে না বলে জামায়াতকে তোপ দাগলেন এ্যানি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৪ ১৯:০৯:৪৯
রাজনৈতিক দল জান্নাতের টিকিট দিতে পারে না বলে জামায়াতকে তোপ দাগলেন এ্যানি
ছবি : কালের কণ্ঠ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন কোনো রাজনৈতিক দল জান্নাতের টিকিট দিতে পারে না। তিনি ইসলামকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন যারা আল্লাহর ওপর সন্তুষ্টি ও বিশ্বাস না রেখে শুধু নিজের দলকে ইসলাম ব্যবহারের পন্থা হিসেবে ব্যবহার করতে চান ওই ইসলাম আসল ইসলাম নয়। মদিনার ইসলামই আসল ইসলাম। মওদুদীর ইসলাম আসল ইসলাম নয় বরং ওইটা পাকিস্তানের ইসলাম।

সোমবার ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের করইতলা এলাকায় আয়োজিত ধানের শীষের পক্ষে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি জামায়াতে ইসলামীর মতাদর্শের কঠোর সমালোচনা করেন। এ্যানি বলেন মওদুদীর ছেলে নিজে তাঁর বাবার বিরোধিতা করেছেন। যারা মওদুদীবাদ বা মওদুদী ইসলাম নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে জামায়াত বেহেশতের সার্টিফিকেট দিতে চায় বা জান্নাতের কথা বলে এটা শিরক। এটা হয় না কারণ একটা রাজনৈতিক দল কখনো জান্নাতের টিকিট দিতে পারে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন আমার ঈমান আকিদা ও কর্ম দিয়ে ইহকালে কী করলাম তার ওপর ভিত্তি করেই পরকাল নির্ধারিত হবে।

সমাবেশে তিনি তরুণ ভোটারদের উদ্দেশে বলেন তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক। তরুণরা এত দিন ভোট দিতে পারেননি তবে এবার তারা ভোট দেবেন। তিনি দাবি করেন ধানের শীষ যখনই দাঁড়ায় তখনই জেতে। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন আপনারা আমাকে ধানের শীষেই ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। এ এলাকার ঘরে ঘরে ধান এবং ঘরে ঘরে জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান রয়েছেন যার কারণে যখনই ভোট আসে তখনই ধানের শীষ জেতে।

জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া মাত্র ৩৬ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। তিনি একজন সৈনিক ও মেজর ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যখন যুদ্ধ হয় তখন তিনি সেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। তাঁর ডাকের কারণেই তরুণ সমাজ যুদ্ধে নেমে পড়েছিল এবং তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয়।

বিএনপি যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশে জেলা বিএনপির সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া আবুল হাশেম মাহবুবুর রহমান লিটন লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটনসহ জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


শুধু ওয়াজ মাহফিল নয় এবার রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্ন দেখছেন গিয়াসউদ্দিন তাহেরী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৪ ১৮:৪২:৩৯
শুধু ওয়াজ মাহফিল নয় এবার রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্ন দেখছেন গিয়াসউদ্দিন তাহেরী
সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মুফতি গিয়াসউদ্দিন তাহেরী। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাংগঠনিক সচিব আল্লামা মুফতি গিয়াসউদ্দিন তাহেরী বলেছেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে বৃহত্তর সুন্নি জোটের পক্ষ থেকে দেশের ৩০০ আসনেই প্রার্থী নিশ্চিত করা হবে। তিনি বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতির সমালোচনা করে বলেন দেশে মব ভাইরাসের তাণ্ডবলীলায় মানুষ এখন অতিষ্ঠ তাই শান্তি কায়েমে মব তাণ্ডব বন্ধ করতে হবে।

সোমবার ২৪ নভেম্বর দুপুরে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। গিয়াসউদ্দিন তাহেরী দাবি করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এদেশের একমাত্র শান্তিপূর্ণ দল। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুভূতি এবং শান্তির বার্তা এদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের পদার্পণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

দলের আদর্শ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন সুফিবাদী সংগঠন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীরা কখনো কারও ওপর জুলুম করে না এবং কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে না। তারা সবসময় ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন এবার ভোটে যেন আমরা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল না করি। দেশের সুন্নি মুসলমানরা যদি এক থাকে তাহলে আমরাই আগামীতে সরকার গঠন করব।

সবশেষে তিনি সব শান্তিপ্রিয় জনগণকে আহ্বান জানিয়ে বলেন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সুন্নি জোটকে বিজয়ী করুন। দেশকে শান্তি শৃঙ্খলায় রাখতে হলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং বৃহত্তর সুন্নি জোটের সঙ্গে একতাবদ্ধ হতে সবাইকে হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত