টিপস
রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি

কর্মব্যস্ত জীবনে উদ্বেগ এবং ক্লান্তির কারণে অনেকেই ভালো করে ঘুমোতে পারেন না। কেউ কেউ নিয়মিত ঘুমের ওষুধও খান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব সহজেই কিছু কৌশলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। আমেরিকান উদ্যোগপতি ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ডেভ অ্যাসপ্রে, যার মতামত ‘বুলেটপ্রুফ ডায়েট’ নামে পরিচিত, তিনি ভালো ঘুমের জন্য দুটি সহজ কৌশল জানিয়েছেন: শোয়ার ঘরে লাল আলো এবং কালো পর্দা ব্যবহার করা।
কেন লাল আলো প্রয়োজন?
ডেভ অ্যাসপ্রে ব্যাখ্যা করেন, আধুনিক সমাজে রাতে উজ্জ্বল আলোয় ঘুমালে মস্তিষ্ক সেই সময়টিকে দিন বলে মনে করে। এর ফলে দেহে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, যা উদ্বেগ এবং অবসাদ আরও বাড়িয়ে তোলে।
হরমোনের ভারসাম্য: সভ্যতার আদি লগ্ন থেকেই সূর্যাস্তের পর উজ্জ্বল আলোর উৎস ছিল না। রাতে ডিজিটাল পর্দা থেকে নির্গত নীল আলো ক্ষতিকারক, কিন্তু লাল আলো অনেক বেশি নিরাপদ। এটি শরীরে মেলাটোনিন (ঘুমের হরমোন) তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে না। তাই শোয়ার ঘরে রাতে লাল আলো জ্বললে ভালো ঘুম হয়।
ঘুমের মান উন্নত করতে পর্দা
ডেভের মতে, ভালো ঘুমের জন্য এমন পর্দা ব্যবহার করা উচিত, যার মধ্য দিয়ে ঘরে আলো প্রবেশ করবে না।
সার্কাডিয়ান রিদ্ম: জানলায় পর্দা না থাকলে বাইরের আলো ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। অন্যদিকে, সূর্যোদয়ের সময়ে আলো ঘরে প্রবেশ করলে অনেক সময়েই ঘুম ভেঙে যায়। ঘুমের সময়ে জানলায় পর্দা ঢাকা থাকলে ঘর অন্ধকার থাকে। এর ফলে ‘সির্কাডিয়ান রিদ্ম’ (শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়ি) সম্পর্কে মস্তিষ্কের কোনো ভুল ধারণা তৈরি হয় না এবং ঘুমের গুণগত মান আরও উন্নত হয়।
ওজন কমাতে চিনির বদলে মধু খাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি
মধু যদিও চিনির তুলনায় বেশি প্রাকৃতিক তবুও এতে ক্যালরি ও প্রাকৃতিক চিনি থাকে। তাই ওজন কমাতে এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করা ঠিক নয় বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। কোন পরিস্থিতিতে এবং কীভাবে মধু ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যাবে সেটাই মূল বিষয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে অত্যন্ত গরম পানিতে মধু মেশালে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। হালকা গরম বা ঈষদুষ্ণ পানিই মধুর সঙ্গে মেশানোর জন্য সবচেয়ে উপযোগী। চা বা কফির উচ্চ তাপমাত্রা মধুর এনজাইম নষ্ট করে দেয় ফলে ওই মিশ্রণ খুব বেশি উপকারী থাকে না। তাই ফুটন্ত চা বা কফিতে মধু না মেশানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
অনেকে বলেন অতিরিক্ত গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খাওয়া বিষের মতো ক্ষতিকর হতে পারে। তবে এই দাবি কিছুটা অতিরঞ্জিত হলেও এটি সত্য যে এতে মধুর উপকারিতা অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ গরম পানিতে মধু দিলে তা বিষাক্ত না হলেও শরীরের জন্য আর কার্যকর থাকে না।
ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মধু অবশ্যই চিনির তুলনায় স্বাস্থ্যকর বিকল্প তবে তা কেবল সীমিত পরিমাণে এবং সঠিকভাবে গ্রহণ করলে। অতিরিক্ত মধু সেবন ওজন কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া বাজারের অনেক মধুতেই চিনি মেশানো থাকে তাই অর্গানিক বা খাঁটি মধুই স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ ও ভালো বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : এবিপি
পুষ্টির বিচারে হাঁস নাকি মুরগির ডিম কোনটি শরীরের জন্য সেরা? জানালেন বিশেষজ্ঞ
ডিম এমন এক খাবার যা সাশ্রয়ী দামে সহজলভ্য এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রোটিন ভিটামিন খনিজ ও প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই খাবারটি সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার সব জায়গাতেই মানিয়ে যায়। তবে অনেকেই প্রশ্ন করেন যে শরীরের জন্য হাঁস নাকি মুরগির ডিম বেশি উপকারী।
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন পুষ্টিবিদ অর্পিতা দেবরায়। তাঁর ভাষায় হাঁস ও মুরগির ডিমের মধ্যে খুব বড় পার্থক্য নেই। উভয় ডিমেই সেলেনিয়াম ম্যাংগানিজ ক্যালসিয়াম আয়রন ফসফরাস নিয়ািন রাইবোফ্লোভিন প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড ফোলেট ভিটামিন বি৬ ভিটামিন ডি ভিটামিন ই ও ভিটামিন এ থাকে। এগুলো শরীরের প্রাথমিক চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট।
তবে পার্থক্য তৈরি করে ট্রিপটোফ্যানোমিটার নামক একটি উপাদান যা হাঁসের ডিমে বেশি পরিমাণে থাকে। এটি প্রোটিন হলেও সহজে হজম হয় না এবং পেটে অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে। তাই হাঁসের ডিম বেশি সময় ধরে সেদ্ধ করাই ভালো। এ ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সেদ্ধ দিলেই হবে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ।
অন্যদিকে ক্যালোরি ও ফ্যাটে কিছু ব্যবধান রয়েছে। ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে থাকে প্রায় ১৮৫ ক্যালোরি এবং ৩ দশমিক ৬৮ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট। বিপরীতে ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে থাকে ১৪৯ ক্যালোরি এবং ৩ দশমিক ১ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
যারা হাই প্রোটিন ডায়েট অনুসরণ করছেন তাদের জন্য হাঁসের ডিম হতে পারে ভালো পছন্দ। কিন্তু যাদের রয়েছে হৃদ্রোগ উচ্চ কোলেস্টেরল বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা তাদের জন্য কুসুম না খেয়ে কেবল ডিমের সাদা অংশ খাওয়াই নিরাপদ। সংক্ষেপে বলা যায় আপনি যদি বেশি প্রোটিন চান তবে হাঁসের ডিম আর যদি হজম সহজ রাখতে চান তবে মুরগির ডিম এই হচ্ছে মূল ফারাক। তবে যে কোনো অবস্থাতেই পরিমিত ও সঠিক প্রক্রিয়ায় খাওয়াটা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
উপকারী হলেও মেথি ভেজানো পানি যাদের জন্য মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে
সামাজিক মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতার ট্রেন্ড বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেথি দানা বা মেথি ভেজানো পানি পান করা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে মেথিকে গুণের ভান্ডার হিসেবে অভিহিত করা হয়। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ হজমে সহায়তা এবং পেটের সমস্যা দূরীকরণসহ নানা উপকারে এটি ব্যবহৃত হয়। ফাইবার আয়রন প্রোটিন ম্যাগনেসিয়াম ও প্রয়োজনীয় ভিটামিনে ভরপুর হওয়ায় মেথি সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে গণ্য করা হয়।
তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন সবার জন্য মেথি ভেজানো পানি উপযোগী নয়। মেথির প্রকৃতি উষ্ণ হওয়ায় এটি কিছু মানুষের ক্ষেত্রে উল্টো ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে ছয়টি নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থায় মেথি ভেজানো পানি বিপজ্জনক হতে পারে।
প্রথমত পিত্তজনিত সমস্যা থাকলে মেথির উষ্ণ প্রকৃতি শরীরে পিত্তের আধিক্য বাড়াতে পারে। যাদের পিত্তের সমস্যা বা অ্যাসিডিটি বেশি তাদের মধ্যে ইনডাইজেশন পেট জ্বালা ও অস্বস্তি আরও বেড়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত লিভারের অসুখ থাকলে বা লিভার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে মেথি ভেজানো পানি ব্লোটিং অ্যাসিডিটি ও মেটাবলিজমে সমস্যা বাড়াতে পারে। এতে লিভারের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তৃতীয়ত গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গর্ভবতী নারীদের মেথি ভেজানো পানি পান না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। মেথির উষ্ণ প্রকৃতি অতিরিক্ত সেবনে অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
চতুর্থত অ্যালার্জি থাকলে বিশেষ করে ত্বকে লালচে ভাব চুলকানি বা ফোলাভাবের মতো সমস্যা থাকলে মেথি ভেজানো পানি পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।
পঞ্চমত যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রে মেথি ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই এসব ওষুধ সেবনকারীদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মেথি পান থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ষষ্ঠত শিশু ও সংবেদনশীল বয়স্কদের শরীর মেথির উষ্ণ প্রকৃতি সহ্য করতে না পেরে পেট ব্যথা গ্যাস বা দুর্বলতা বাড়াতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি আরও বেশি।
অতিরিক্ত মেথি ভেজানো পানি পান করলে পেট ফাঁপা বা ব্লোটিং গ্যাস বমি ডায়রিয়া এবং মুখ বা ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে কোনো খাদ্য বা স্বাস্থ্য ট্রেন্ড অনুসরণ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সবার শরীর একইভাবে প্রতিক্রিয়া করে না তাই শরীরের প্রকৃতি বুঝে খাদ্যাভ্যাস ঠিক করাই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।
ভূমিকম্পে বাথরুম কি সত্যিই নিরাপদ? জানুন বিশেষজ্ঞদের মত
সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি প্রশ্ন বারবার উঠে আসছে ভূমিকম্পের সময় কি বাথরুম সবচেয়ে নিরাপদ স্থান অনেকেই পরামর্শ দিচ্ছেন কম্পন শুরু হলে দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে যেতে। কিন্তু এই ধারণা কতটা বৈজ্ঞানিক তা বিশেষজ্ঞরা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করছেন। তাদের মতে এই ধারণা আংশিক সত্য হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি বিভ্রান্তিকর এবং অনেক সময় জীবনও বিপন্ন করতে পারে।
বাথরুম নিরাপদ ধারণাটি এসেছে মূলত পুরোনো নকশার অনেক ভবন থেকে যেখানে বাথরুম পিলারের পাশে থাকে এবং কখনও কখনও সেখানে দেয়াল তুলনামূলক মোটা হয়। এই কারণে মনে করা হয় বাথরুম ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এই ধারণা সব ভবনের ক্ষেত্রে সত্য নয়। কাঠামোগত বাস্তবতা ভিন্ন হলে বাথরুমই হতে পারে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান।
বিশেষজ্ঞরা জানান বাথরুমে থাকে সবচেয়ে বেশি কাঁচের জিনিস আয়না এবং টাইলস। ভূমিকম্পের সময় এগুলো ভেঙে মারাত্মক আঘাত লাগাতে পারে। পানি সরবরাহের পাইপ ও ট্যাপ ভেঙে পানি ছড়িয়ে পড়লে স্লিপ করে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। গিজার বা হিটার থাকলে বিদ্যুৎজনিত দুর্ঘটনার শঙ্কাও থাকে। তাছাড়া ধাক্কায় দরজা আটকে গেলে বাইরে বের হওয়ার উপায় বন্ধ হয়ে যায় যা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে বাথরুম পিলারের সংলগ্ন হওয়ায় ক্ষতি তুলনামূলক কম হতে পারে। কিন্তু এটি সব ভবনে সত্য নয়। নিরাপত্তা পুরোপুরি নির্ভর করে ভবনের নির্মাণমান নকশা এবং ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর।
বিশ্বের সব দেশে ভূমিকম্পে নিরাপদ থাকার জন্য একটি নির্দেশনা মানা হয় নিচে বসে আশ্রয় নেওয়া এবং কম্পন থামা পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে থাকা। ঘরের ভিতরে থাকলে শক্ত টেবিল ডেস্ক বা বিছানার নিচে আশ্রয় নেওয়া উত্তম। কাঁচ জানালা ভারী আলমারি বা দেয়ালের খুব কাছেও দাঁড়ানো উচিত নয়। লিফট ব্যবহার করা যাবে না এবং কম্পন চলাকালীন বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করাও বিপজ্জনক। বাইরে থাকলে ভবন দেয়াল বৈদ্যুতিক খুঁটি বা গাছ থেকে দূরে গিয়ে খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা দরকার।
বাথরুমে আশ্রয় নেওয়া কেবল তখনই বিবেচনা করা যেতে পারে যখন এটি একেবারে কাছে থাকে এবং অন্য কোনো নিরাপদ আসবাব বা আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ না থাকে। তবে এটি কখনোই প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত নয়। ভুল ধারণা থেকে দৌড়ে বাথরুমে ঢোকার সময় পড়ে যাওয়া দরজায় আঘাত পাওয়া বা কাঁচে আহত হওয়ার ঘটনা অনেক সময় দেখা গেছে যা বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় ঝুঁকি আরও বেশি কারণ অনেক ভবনই যথাযথ ভূমিকম্প সহনশীল নকশায় নির্মিত নয়। ফলে যেকোনো কক্ষে ধস বা কাঠামোগত ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এ অবস্থায় সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সুরক্ষা হলো সচেতনতা সঠিক প্রশিক্ষণ এবং বৈজ্ঞানিক নির্দেশনা মানা।
সব মিলিয়ে বাথরুম ভূমিকম্পে নিরাপদ এই ধারণা পুরোপুরি সত্য নয় আবার পুরোপুরি মিথও নয়। তবে এটি কখনোই সবচেয়ে নিরাপদ স্থানের তালিকায় প্রথম পছন্দ নয়। সত্যিকার নিরাপত্তা আসে শান্ত থাকা সঠিকভাবে নিচে বসে আশ্রয় নেওয়া এবং ঝুঁকি কমানোর প্রশিক্ষণ জানা থেকে। বাথরুম নয় সঠিক জ্ঞানই ভূমিকম্পের সময় জীবন বাঁচাতে পারে।
-রফিক
ত্বক উজ্জ্বল করতে পানির ভূমিকা আসলে কতটুকু তা নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
শীত এলেই ত্বক রুক্ষ খসখসে আর টানটান হয়ে ওঠে। অনেকের ক্ষেত্রে তো ত্বক ফেটে যাওয়ার অবস্থাও তৈরি হয়। তাই এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে সবাই একটু বেশি সচেতন হন। ত্বক ভালো রাখতে আমরা প্রায়ই শুনি বেশি পানি পান করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। কিন্তু সত্যিই কি শুধু পানি পান করলেই ত্বক ঝলমল করে ওঠে নাকি এর পেছনে অন্য কোনো বিজ্ঞান কাজ করে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ওপার বাংলার পরিচিত ত্বক বিশেষজ্ঞ দেবত্রী দত্ত যিনি একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়ে তাঁর সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ দেবত্রী দত্ত বলেন মানুষ সাধারণত মনে করে বেশি পানি খেলে ত্বক ঝকঝকে হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে সে রকম নয়। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করাই যথেষ্ট। কেউ যদি ৫ লিটার পানি পান করেন তাহলেও ত্বক অতিরিক্ত উজ্জ্বল হবে না। অর্থাৎ অতিরিক্ত পানি পানে উজ্জ্বলতা বাড়ে না তবে কম পানি পানে ত্বক দ্রুত ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায় যার ফলে ত্বক শুষ্ক রুক্ষ ও প্রাণহীন দেখায়। তাই পানি পানের পাশাপাশি খাবার ঘুম ও স্কিনকেয়ার সবকিছুতেই নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন।
পানি পানের আসল উপকারিতা সম্পর্কে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে পানি ত্বকের কোষগুলোকে ভেতর থেকে আর্দ্রতা দেয় এবং এতে ত্বক নরম ও মসৃণ থাকে। পানির অভাবে ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান শরীরের টক্সিন ঘাম ও প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। এতে ব্রণ ফুসকুড়ি বা ত্বকের জ্বলজ্বলে সমস্যা কমে আসে। শরীর যখন ভেতর থেকে পরিষ্কার থাকে তখন ত্বকেও স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা দেখা যায় তবে এটি ধীরে ধীরে হয় এবং অতিরিক্ত পানি পানে হঠাৎ উজ্জ্বলতা বাড়ে না। পানি কোলাজেন ধরে রাখতে সাহায্য করে যা ত্বককে টানটান রাখে ফলে বলিরেখা বা বয়সের ছাপ দেরিতে পড়ে।
ত্বকের যত্নে বাইরে থেকে পানির ব্যবহারের গুরুত্বও কম নয়। ঘরে ফেরার পর বা ঘুম থেকে উঠে মুখ পানি দিয়ে ধুলে ময়লা ও তেল দূর হয় এবং ত্বক সতেজ লাগে। ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলে ত্বকের ক্লান্তি কমে এবং মুখে সতেজ ভাব আসে। হালকা গরম পানির বাষ্প নিলে লোমকূপ খুলে যায় যা ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর করতে সহজ করে। চোখের নিচে বা মুখে ফোলাভাব থাকলে ঠান্ডা পানি বা বরফ পানি ব্যবহার করলে তা কমে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন পানি ত্বকের জন্য অত্যন্ত জরুরি তবে অতিরিক্ত পানিই ত্বক উজ্জ্বলতার মূল চাবিকাঠি নয়। ত্বক ভালো রাখতে পরিমিত পানি পানের পাশাপাশি সুষম খাদ্য পর্যাপ্ত ঘুম নিয়মিত স্কিনকেয়ার ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পেতে স্মার্টফোনের যে অপশনটি এখনই চালু করা জরুরি
বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। যদিও ঘূর্ণিঝড় বা বন্যার মতো অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা পাওয়া যায় কিন্তু ভূমিকম্পের নির্ভুল পূর্বাভাস দেওয়া এখনো সম্ভব নয়। তবে ভূপৃষ্ঠের কম্পন বিশ্লেষণ করে কিছু প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের তাৎক্ষণিক সতর্কবার্তা দিতে সক্ষম। এর মধ্যে অন্যতম হলো গুগলের আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম যা অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য একটি জীবনরক্ষাকারী ফিচার হতে পারে।
প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল ২০২০ সালে আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করে। এই প্রযুক্তি স্থানীয় অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা প্রদান করে থাকে। মূলত স্মার্টফোনের সেন্সর ব্যবহার করে এটি ভূপৃষ্ঠের কম্পন বিশ্লেষণ করে এবং ভূমিকম্পের উৎস ও মাত্রা সম্পর্কে তথ্য জানানোর পাশাপাশি নিরাপদ থাকার পরামর্শ দেয়।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই এই অপশনটি চালু করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে স্মার্টফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে সেফটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অথবা লোকেশন অপশনটি খুঁজে বের করতে হবে। এরপর সেখান থেকে আর্থকোয়েক অ্যালার্টস অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তী পৃষ্ঠায় একটি টগল বা বাটন দেখা যাবে যা চালু করে দিলেই এই ফিচারটি সক্রিয় হবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে সি এ ডেমো অপশনে ট্যাপ করে ডেমো সতর্কবার্তা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এছাড়া লার্ন আর্থকোয়েক সেফটি টিপস অপশন থেকে ভূমিকম্পে নিরাপদ থাকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও জেনে নেওয়া সম্ভব।
গুগলের এই নিজস্ব সিস্টেম ছাড়াও ভূমিকম্পের তথ্য পাওয়ার জন্য আরও কিছু অ্যাপ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে মাই আর্থকোয়েক অ্যাপটি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের ভূমিকম্প শনাক্ত করতে সক্ষম এবং এটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক নামের অ্যাপটি ভূপৃষ্ঠের কম্পন বিশ্লেষণ করে আশপাশের এলাকায় সতর্কবার্তা পাঠায়। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এই ব্যবস্থাগুলো চালু করে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পেতে পারেন এবং জরুরি সময়ে নিরাপদে থাকার প্রস্তুতি নিতে পারেন।
শ্যাম্পু ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে খুশকি কমানোর সহজ ও ঘরোয়া উপায়
খুশকি হলো মাথার ত্বকের মরা কোষ। মানব শরীর থেকে এমন মরা কোষ প্রাকৃতিকভাবেই ঝরে পড়তে থাকে তবে তা খালি চোখে সব সময় দেখা যায় না। অন্যদিকে মাথার ত্বকে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন কোষ তৈরি হয় এবং পুরনো কোষ ঝরে পড়ে। একে একটি প্রাকৃতিক চক্রও বলা চলে। কিন্তু সমস্যা তখনই হয় যখন এই মরা কোষ ঝরে পড়ার পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় আর একেই সাধারণ ভাষায় খুশকির সমস্যা বলা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা একটু বেশিই খুশকির সমস্যায় ভোগেন। খুশকি পুরোপুরি নির্মূল করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। এ সময় মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখাই হলো সবচেয়ে উপযুক্ত দাওয়াই এবং এতে কার্যকর ফলাফলও পাওয়া যায়।
খুশকি দূর করতে নিয়মিত শ্যাম্পু করা জরুরি। মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে অনেকেই রাসায়নিক শ্যাম্পু ব্যবহার করেন কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে পরিষ্কার করতে পারলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে কুসুম গরম পানিতে সারা রাত রিঠা ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
এছাড়া ভেষজ উপাদান ব্যবহার করেও খুশকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধা কাপ মৌরি ও এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ মেথি সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরে মৌরি ও মেথির ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এতে সামান্য মেথি ও মৌরি ভেজানো পানি মেশান। এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ব্যবহার করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে এবং এরপর শ্যাম্পু করে নিলে খুশকি অনেকটাই কমবে।
চুল আঁচড়ানোর সঙ্গেও খুশকি কমার সম্পর্ক আছে তবে নিয়ম হতে হবে সঠিক। এ ক্ষেত্রে মাথা নিচু করে সব চুল উপুড় করে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এরপর চিরুনি দিয়ে ঘাড়ের দিক থেকে চুল আঁচড়ে কপালের দিকে আনতে হবে। নিয়মিত এই কৌশলে চুল আঁচড়ালে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং খুশকি অনেকটাই কমে আসে।
শীতকালে ত্বকের রুক্ষতা ও চর্মরোগ এড়াতে যা করা প্রয়োজন
শীত এসেছে এবং দেশের কোটি মানুষ এ সময় বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা ও রোগে ভোগেন। ত্বক বা চামড়া মানব দেহের সর্ববৃহৎ অঙ্গ। সুতরাং এর সমস্যা ও রোগও বেশি। চিকিৎসকরা শীতকালে কী কী ধরনের চর্ম সমস্যা ও রোগ হয় এবং এগুলো থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
শীতে সাধারণত বেশ কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া কোনো কারণ ছাড়াই শরীর চুলকানো ঠোঁট ও পা শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া এবং ইনফেকশন হওয়া। এছাড়া এই সময়ে চুলে খুশকির উপদ্রব বেশি হয়। পাশাপাশি কিছু চর্মরোগ বেশি মাত্রায় দেখা দেয় যেমন স্ক্যাবিস ও এলার্জি। পুরোনো জামা কাপড় উলের পোশাক বিভিন্ন ক্রিম লোশন ও পমেড ইত্যাদি ব্যবহারের কারণেও চুলকানি ও ত্বকের প্রদাহ হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ক্রনিক ডিজিজ বা দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন ডায়াবেটিস ক্রনিক কিডনি ডিজিজ ও থাইরয়েডের রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ত্বক শুষ্ক হওয়া ও চুলকানির মাত্রা বেশি দেখা যায়।
শীতে ত্বকের সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে সাধারণ কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে ত্বকের সুরক্ষা সম্ভব। বিশেষ করে যারা বিভিন্ন এলার্জি এবং ক্রনিক ডিজিজ যেমন ডায়াবেটিস ক্রনিক কিডনি ডিজিজ ও থাইরয়েডের রোগে ভুগছেন তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে এবং ত্বকের যত্ন নিতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত শীতে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়া বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়া এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে অলিভ অয়েল নারকেল তেল ভেসলিন ও গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। পুরোনো ও উলেন কাপড় ব্যবহারের আগে অবশ্যই ধুয়ে নিতে হবে এবং যাদের উলের কাপড়ে এলার্জি আছে তাঁদের ভেতরে সুতির কাপড় পরিধান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মাথার খুশকির সমস্যার সমাধানে কিটোকোনাজল জিংক পাইরিথিওন ও সাইক্লোপিরক্স যুক্ত শ্যাম্পু সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে হবে। ছোঁয়াচে রোগ স্ক্যাবিস হলে একই কাপড় চোপড় চাদর গামছা তোয়ালে লেপ ও কম্বল ইত্যাদি পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করা বা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিবারের সব সদস্যের চিকিৎসা নিতে হবে। ঠোঁট ও পায়ের চামড়া শুষ্ক হয়ে ফেটে গেলে ব্যথা ও ইনফেকশন হলে বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীদের কালক্ষেপণ না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাদের সাধারণ নিয়মকানুন মানার পরও ত্বকের সমস্যা যাচ্ছে না তাঁদের উচিত দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। সুস্থ জীবন ও সুন্দর পৃথিবীর জন্য নিজের ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
অর্থভাগ্য নাকি প্রেম: ২২ নভেম্বর শনিবারের রাশিফল ও নক্ষত্রের অবস্থান
আজ ২২ নভেম্বর ২০২৫ রোজ শনিবার। আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি ধনু রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ রাশি অধিপতি বৃহস্পতি সর্বগ্রাসী গ্রহ রাহু ও প্রেমের দেবতা শুক্রের প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে মিথুন রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। আজকের দিনে অর্থকড়ি সতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করুন। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর থাকবে। বিবাহযোগ্যদের বিবাহের সানাই বাজবে। ভাগ্যলক্ষ্মী আপনার দ্বারে এসে টোক্কা মারবে। শ্রমিক কর্মচারীদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন এবং দাম্পত্য কলহবিবাদের মীমাংসা হবে।
রাশি অনুযায়ী আজকের (২২ নভেম্বর) পূর্বাভাস
মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল] গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র ও বস্ত্রালঙ্কারের পসরা সাজবে। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটতে পারে। নিত্যনতুন সুযোগ আসবে হাতের মুঠোয়। আটকে থাকা কাজ সচল হবে এবং পাওনা টাকা আদায় হবে।
বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে] বাড়ি গাড়ি ও ভূসম্পত্তি ক্রয়ের পথ খুলবে। লাইফস্টাইল বদলাবে। মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যকার মতানৈক্য দূর হবে। কর্ম অর্থ যশ খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা হাতের মুঠোয় আসবে। শিক্ষার্থীদের মনোবাসনা পূর্ণ হবে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষের প্রায় সিংহভাগ কুপরিকল্পনা নস্যাৎ হবে।
মিথুন [২১ মে-২০ জুন] ভাগ্যলক্ষ্মী লক্ষ্মীর ভান্ডার পূর্ণ করবে। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। কর্ম ও ব্যবসায় লাগাতার উন্নতি করবেন। বাড়িতে নতুন আসবাবপত্রের পসরা সাজবে। দিনটি প্রেমীযুগলের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।
কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই] দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন। অর্থকড়ি সতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করুন। শ্রমিক কর্মচারীদের মাথায় হাত দিয়ে কার্যউদ্ধার করুন। শিক্ষার্থীদের মন ফেসবুক ইউটিউব প্রেম প্রসঙ্গ ও অনুচিত কাজবাজের প্রতি ঝুঁকবে।
সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট] অংশীদারি ব্যবসার বহুল প্রচার ঘটবে। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে। বেকারদের কর্মপ্রাপ্তির বাসনা পূরণ হবে। দাম্পত্য কলহবিবাদের মীমাংসা হবে। প্রেমীযুগল সতর্কতার সঙ্গে চলুন। জীবনসাথী ও শ্বশুরালয় থেকে ভরপুর সহযোগিতা পাবেন।
কন্যা [২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর] শ্রমিক কর্মচারীদের মাথায় হাত দিয়ে কার্যউদ্ধার করতে হবে। না বুঝে চুক্তি সম্পাদন ও বিনিয়োগ ঘাতক প্রমাণিত হবে। বিষাক্ত কীটপতঙ্গের দংশন থেকে বাঁচতে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন। শিক্ষার্থীদের মন ফেসবুক ইউটিউব ও প্রেম প্রসঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।
তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর] আর্থিক ভিত মজবুত হবে। কর্ম ও ব্যবসায় তরতাজা উন্নতি করবেন। হারানো বুকের ধন বুকে ফিরতে পারে। শিক্ষার্থীরা মনের মতো কলেজ ভার্সিটিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। বিদেশ গমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলবে।
বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর] ধৈর্য সাহস ও মনোবল বাড়বে। গৃহবাড়িতে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হওয়ায় সাজ সাজ রব করবে। মামলা মোকদ্দমা মীমাংসার দিকে ধাবিত হবে। শ্রমিক কর্মচারীদের মনে মালিকপ্রীতি জাগ্রত হবে। মন সুর সংগীত ও ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।
ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর] সন্তানদের ক্যারিয়ার অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তা ঘুচবে। লটারি জুয়া রেস শেয়ার হাউজি এড়িয়ে চলুন। কর্ম অর্থ মোক্ষ লাভের পথ খুলে দেবে। গৃহবাড়িতে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। প্রেমীযুগলের প্রেম মাইলফলক হয়ে থাকবে।
মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি] অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থানের অভাব ঘুচবে। শূন্য পকেট পূর্ণ হবে। ব্যবসায় লাগাতার উন্নতি করবেন। ধারকর্জ ঋণমুক্ত করবে। সন্তানদের সাফল্যে গৌরবান্বিত হবেন। প্রেম রোমান্স বিনোদন ও ভ্রমণ শুভ হবে। শত্রুরা পিছু হটবে এবং বিজয়ের বরমাল্য হাত বাড়িয়ে ধরবে।
কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি] জনবল ও অর্থবলের গ্রাফ চাঙা হবে। গৃহবাড়ি যানবাহন ও বস্ত্রালঙ্কার ক্রয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। মনোবল ও হাতে থাকা প্রতিটি কাজ সহজে সম্পন্ন হবে। পিতা মাতার স্বাস্থ্য ভালোর দিকে যাবে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষ পরাস্ত হয়ে পড়বে।
মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ] পরিবারের কোনো বয়স্ক লোকের শরীর স্বাস্থ্য খারাপ হবে। অত্যাবশ্যকীয় বিবাহে কোনো না কোনো বাধা আসতে পারে। আয় উপার্জনের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্যতা রক্ষা করা কঠিন হবে। শিক্ষার্থীদের মন ভেঙে পড়বে। প্রেমীযুগলের প্রেম ভেঙে দিতে পারে।
পাঠকের মতামত:
- একটি দল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: মির্জা ফখরুল
- শেখ হাসিনার বিচার হোক তবে ফাঁসি নয়: জার্মান রাষ্ট্রদূত
- যেসব এলাকায় দুই দিন টানা ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে
- শক্তিশালী হয়েও ভূমিকম্পে যেভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল ইতিহাসের তিনটি জাতি
- দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিত্তিমূল্য এবং নিলামের খুঁটিনাটি জানাল গভর্নিং কাউন্সিল
- চ্যাটজিপিটিতে এবার বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ চ্যাট করার সুযোগ চালু করল ওপেনএআই
- বাংলাদেশের অনুরোধ পেয়ে হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে ভারত জানাল তাদের অবস্থান
- জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনে সরকারের ৮টি জরুরি নির্দেশনা
- মাঝরাতের পর থেকেই বদলে যাচ্ছে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার নিয়ম
- বাউল বনাম তৌহিদি জনতা: পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে আবারও রণক্ষেত্র
- বরিশাল ১: ধানের শীষের অভিজ্ঞতার কাছে কি টিকবে জামায়াতের কৌশল
- ওজন কমাতে চিনির বদলে মধু খাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি
- শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে মার্কিং করা স্বর্ণালংকার নিয়ে দুদকের চাঞ্চল্যকর তথ্য
- জুলাই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
- সাগরের তল থেকে মরুভূমির বুক আসলে কী রহস্য লুকিয়ে আছে এখানে
- শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লির চিঠির জবাব নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পার্লামেন্ট নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল
- গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় শেন ইয়ার
- এসপি পদায়নের লটারি কীভাবে হয়েছে তা বিস্তারিত জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি তাই যা ধরি শেষ করে ছাড়ি বলে হুঙ্কার মমতার
- আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাসের নজিরবিহীন ক্ষোভ ও বিস্ফোরক মন্তব্য
- হৃদ্রোগে আক্রান্ত বাবা নাকি অন্য কোনো কারণ কেন স্থগিত হলো তারকা জুটির বিয়ে
- ২৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জনসংখ্যার বিচারে টোকিওকে টপকে ঢাকার নতুন বিশ্বরেকর্ড
- প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকরা সরকারের কাছ থেকে যে বিশেষ আর্থিক ছাড় পাচ্ছেন
- দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নেতৃত্বের আসনে দেখতে চায়: রিজভীর
- যমুনায় ম্যানুয়াল লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হলো ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার
- সড়কে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ না হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- জন্মনিয়ন্ত্রণে হরমোনাল পিল নিয়ে নতুন গবেষণায় যা উঠে আসল
- শেখ হাসিনার দুই লকারে মিলল স্বর্ণের পাহাড়
- ইস্টার্ন কেবলসের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ
- গোল্ডেন সনের টানা লোকসানে ডিভিডেন্ড বন্ধ ঘোষণা
- এমটিবি পারপেচুয়াল বন্ডের কুপন রেট ঘোষণা
- হুয়াওয়ের ম্যাট ৮০ সিরিজে বিপ্লবী কিরিন ৯০৩০ চিপ উন্মোচন
- কড়াইল বস্তিতে গৃহহীনদের সহায়তার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
- মেয়র মামদানির টিমে একসাথে ১০ বাংলাদেশি
- ডিএসই–৩০ সূচকে মিশ্র প্রবণতা
- ডিএসই মিউচুয়াল ফান্ডে এনএভি হালনাগাদ
- ভারতে মূর্তির পায়ে হাতজোড় করতে বাধ্য করল তিন মুসলিম ছাত্রকে
- ২৬ নভেম্বরের নামাজের সময়সূচি
- নভেম্বরেই রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ডের আভাস
- বুধবার কোন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ? তালিকা প্রকাশ
- বিএনপি–সরকারি কর্মসূচিতে রাজধানীতে ব্যস্ত দিন
- বিএনপির মনোনয়ন বিতর্কে রাজশাহী জুড়ে আগুনঝরা প্রতিক্রিয়া
- টিউলিপ সিদ্দিকির মামলা নিয়ে বিষ্ফোড়ক মন্তব্য ব্রিটিশ আইনজীবীদের
- পাকিস্তানের জাহাজ-বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা
- ই–১ প্রকল্প ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ‘শেষ কফিন’
- যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের তুমুল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা
- শিরোপা জয়ের রেসে আজ বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান কার পাল্লা ভারীে
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ২৬ নভেম্বরের নামাজের সময়সূচি
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- মাটির নিচে তিন প্লেটের সংযোগস্থলে থাকা চট্টগ্রাম যেভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে
- ভারতকে হারানোর পর ৯ বছরের মধ্যে সেরা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
- চট্টগ্রাম ৪ আসনে বিএনপির অভিজ্ঞতা নাকি জামায়াতের কৌশল কার পাল্লা ভারী
- ভূমিকম্প মুহূর্তে যে দোয়া পড়তেন রাসূল (সা.)
- চট্টগ্রাম ১ আসনে বিএনপির নুরুল আমিন নাকি জামায়াতের সাইফুর রহমান কার পাল্লা ভারী








